বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ২৭ ভাদ্র ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘শেখ হাসিনা হল’ হয়ে গেল ‘সুনীতি-শান্তি হল’

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘শেখ হাসিনা হল’ হয়ে গেল ‘সুনীতি-শান্তি হল’। ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী শিক্ষার্থীদের ‘শেখ হাসিনা’ হলের নাম পরিবর্তন করার একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। তারা হলটির নাম পরিবর্তন করে রেখেছে ‘সুনীতি-শান্তি হল’।

শনিবার (৩ আগস্ট) রাতে 'হলের নাম পরিবর্তন প্রসঙ্গে' দেওয়া একটি বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ হাসিনা হলের সকল আবাসিক শিক্ষার্থীর সম্মিলিত মতামতের ভিত্তিতে হলের নাম পরিবর্তন করে "সুনীতি-শান্তি" রাখা হলো। ৩ আগস্ট, ২০২৪ তারিখ হতে হলের পূর্বনাম “শেখ হাসিনা” অকার্যকর বলে বিবেচিত হবে এবং নতুন নাম "সুনীতি-শান্তি" কার্যকর হবে। এ প্রসঙ্গে হল প্রশাসনকে অনতিবিলম্বে নতুন প্রজ্ঞাপন জারি করার আহ্বান জানানো হলো।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, সুনীতি চৌধুরী এবং শান্তি ঘোষ নামের দুই মহীয়সী নারী তৎকালীন ভারতবর্ষে কুমিল্লা অঞ্চল থেকে ব্রিটিশ শাসকের অন্যায়, অবিচার এবং অত্যাচারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে সক্রিয় অংশ নেন। সেই সময়ে কুমিল্লার ফয়জুন্নেসা স্কুলপড়ুয়া এই দুই নারী ব্রিটিশ রাজ্যের ভিত নাড়িয়ে দিয়েছিলেন। অথচ তাদের সাহসিকতার কথা কখনো সামনে আসেনি। তাদের প্রতি সম্মানার্থে হলের নামকরণ "সুনীতি-শান্তি হল” করা হলো।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের ১৪তম আবর্তন ও হলের আবাসিক শিক্ষার্থী সাদিয়া আক্তার মোহনা বলেন, আন্দোলনের পর থেকেই মনে হচ্ছিল যার বিরুদ্ধে আমরা ধিক্কার জানাচ্ছি তার নামের হলেই আমাদের আবাসিক হল। সর্বশেষ যখন স্বৈরাচার সরকার হাসিনার পতনের দাবি উঠল তখনো মনে হলো এই নামের হলে থাকতে আমাদের বিবেকে বাধবে। দেশে যেখানে ১ দফা দাবি শেখ হাসিনার পতনের– তখন আমার থাকার ঠিকানাও এই নামে থাকার প্রশ্নই আসে না।

বুটেক্স ও চুয়েটের মতো অনেকেই তাদের হলগুলোর নাম পরিবর্তনের উদ্যোগ নিয়েছে উল্লেখ করে সাদিয়া আক্তার আরও বলেন, সেই অনুপ্রেরণা থেকেই আমরাও সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আমাদের হলের নাম পরিবর্তন করে “সুনীতি-শান্তি” করার। আমার অস্তিত্বের ঠিকানায় স্বৈরাচারের নামের জায়গা নেই।

এ ব্যাপারে হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মেহের নিগার বলেন, আমি আমার হলের আবাসিক শিক্ষার্থীদের বর্তমান মানসিক অবস্থা বুঝতে পারছি। হলের নাম পরিবর্তনের বিষয়টিও চলমান পরিস্থিতির প্রতি তাদের প্রতিক্রিয়ার বহিঃপ্রকাশ। তাদের এই সিদ্ধান্তের প্রতি আমি শ্রদ্ধা জানাই, তবে বিষয়টি পুরোপুরি হল কর্তৃপক্ষের ওপর নেই। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ বিষয়ে আমাদের যে নির্দেশনা দেবে সে অনুযায়ীই আমরা কাজ করব।

Header Ad

সাবেক বিদ্যুৎ ও জ্বালানী উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী গ্রেফতার

ফাইল ছবি

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরি গ্রেফতার হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর গুলশান থেকে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি দল তাকে গ্রেফতার করে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। তবে, তাকে কোন মামলায় বা কী অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে, সে সম্পর্কে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো তথ্য মেলেনি।

তিনি বর্তমানে ডিবি কার্যালয়ে আছেন বলে জানা গেছে। তার বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া চলমান বলেও জানিয়েছে ডিএমপি।

তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরীও আত্মগোপনে ছিলেন।

এরপর ৮ আগস্ট প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস শপথ নেন। এরপর ১৩ আগস্ট থেকে সারা দেশে একের পর এক মামলা শুরু হয়। এসব মামলায় এখন পর্যন্ত সাবেক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, সাবেক আইজিপি, সরকারি কর্মকর্তাসহ বেশ কয়েকজন গ্রেফতার হয়েছেন।

এবার শেখ হাসিনাসহ জি এম কাদেরের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে রাজধানীতে মাহমুদুল হাসান জয় নামে এক কিশোর নিহতের ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জি এম কাদেরকে দায়ী করে ৩৭ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদ্দাম হোসেনের আদালতে নিহত কিশোরের পূর্বপরিচিত দাবিকারী রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানার সাত মসজিদ হাউজিংয়ের বাসিন্দা মো. রবিউল আউয়াল এই মামলা করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে অভিযোগটি যাত্রাবাড়ী থানাকে এজাহার হিসেবে নেওয়ার নির্দেশ দেন।

মামলার অপর আসামিরা হলেন— শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানা, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাবেক ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদ, পুলিশের সাবেক যুগ্ম-কমিশনার বিপ্লব কুমার, সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মো. হাসান মাহমুদ, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর শিল্প ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জোনায়েদ আহমেদ পলক, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, হামিম গ্রুপের স্বত্বাধিকারী ও সাবেক সংসদ সদস্য এ কে আজাদ, সাবেক পানিসম্পদ মন্ত্রী এনামুল হক শামীম, জিএম কাদের স্ত্রী শেরিফা কাদের, সুজন হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা আতিকুল রহমান ভুঁইয়া, যুবলীগ নেতা মনির হোসেন, তারেক খালদুন বিন আরিফ, তাজরিন হোসেন, ইঞ্জি. রবিউল আলম, হাবিবুর রহমান ভুঁইয়া ওরফে হাবু, রফিকুল ইসলাম শান্ত, সাইদুর রহমান বাবুল, আবু বকর, মমিন, শাহজালাল, আবুল কালাম আজাদ, আকবর হোসেন, চিত্তরঞ্জন দাস, নজরুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম রফিক ও মো. আফজাল হোসেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ১৪ বছরের কিশোর মাহমুদুল হাসান জয় একজন সক্রিয় সদস্য ছিলেন। গত ৫ আগস্ট সে ছাত্র আন্দোলনের ডাকা মার্চ টু ঢাকা কর্মসূচিতে যোগ দেয়। ওই দিন সকাল ১১টায় যাত্রাবাড়ীর শনির আখড়া ব্রিজের কাছে পৌঁছালে অন্যান্যদের সঙ্গে মাহমুদুল হাসান জয়ও গুলিবিদ্ধ হন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

 

এবার মাশরাফী ও তার বাবার বিরুদ্ধে মামলা

ফাইল ছবি

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার অভিযোগে এবার ক্রিকেটার ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাংসদ মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা ও তার বাবা গোলাম মোর্ত্তজা স্বপনসহ ৯০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাতে নড়াইল সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেন শেখ মোস্তফা আল-মুজাহিদুর রহমান পলাশ।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, কোটা সংস্কার আন্দোলনকালে ছাত্র-জনতাকে রুখতে মাশরাফী ও তার বাবার নেতৃত্বে আসামিরা গত ৪ আগস্ট দুপুর আড়াইটার দিকে রামদা, ছুরি, চাইনিজ কুড়াল ও লোহার রডের মতো দেশীয় অস্ত্রের পাশাপাশি শর্টগান, বন্দুক-পিস্তল ও বোমা নিয়ে নড়াইল চৌরাস্তায় সমাবেশ করে। সমাবেশ চৌরাস্তা থেকে চিত্রা নদীর ওপর রাসেল সেতুর পূর্বপাড় পর্যন্ত বিস্ততৃ ছিল। ওই সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীরা ও নিরীহ শান্তিকামী জনতা স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের দাবিতে মিছিল নিয়ে শহর অভিমুখে আসছিল।

রাসেল সেতুর কাছাকাছি পৌঁছাতেই মাশরাফী ও তার বাবার নেতৃত্বে আসামিরা আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতার ওপর হামলা চালায়। রামদা, ছুরি, চাইনিজ কুড়াল ও লোহার রড দিয়ে হামলার পাশাপাশি আন্দোলনকারীদের ওপর শর্টগান ও পিস্তল থেকে গুলিবর্ষণ করা হয়। বিস্ফোরণ ঘটানো হয় বোমার। বৃষ্টির মতো নিক্ষেপ করা হয় ইট-পাটকেল।

এতে বহু আন্দোলনকারী গুরুতর আহত হন। তাদের অনেকেই পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন এবং এখনও চিকিৎসাধীন।

সর্বশেষ সংবাদ

সাবেক বিদ্যুৎ ও জ্বালানী উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী গ্রেফতার
এবার শেখ হাসিনাসহ জি এম কাদেরের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা
এবার মাশরাফী ও তার বাবার বিরুদ্ধে মামলা
গুলিতে নিহত শ্রী জয়ন্ত'র মরদেহ ফেরত দিয়েছে বিএসএফ
দিল্লি হয়ে ঢাকায় আসছেন ডোনাল্ড লু
রিমান্ড শেষে কারাগারে সাবেক আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক
টেন্ডার ছাড়াই ওরাকলকে ২০৭ কোটি টাকার কাজ দেন পলক
সেন্টমার্টিনে যাত্রীবাহী ট্রলারে মিয়ানমার থেকে গুলি
২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৫ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৫৩৪ জন
প্রতিটি প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে গেছেন শেখ হাসিনা: ড. ইউনূস
৩ বছরে ৫৫০ কোটি টাকা ঘুষ নিয়েছেন তিতাসের সাবেক এমডি হারুন!
চট্টগ্রামে নতুন জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম
সালমান এফ রহমান ও এস আলমের শেয়ার কারসাজি তদন্তে কমিটি গঠন
আইডিয়ালের সাইনবোর্ড খুলে নিয়ে গেল ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা
পাওনা ৮০ কোটি ডলার চেয়ে ড. ইউনূসকে চিঠি দিলেন গৌতম আদানি
ভল্ট থেকে ৭৫ লাখ টাকা নিয়ে উধাও অগ্রণী ব্যাংকের কর্মকর্তা
জেনে নিন ফেসবুক পোস্টের রিচ কমার কারণ ও তা বাড়ানোর কৌশল
মণিপুরে কারফিউ জারি, ৫ দিনের জন্য মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ
২৫ জন ডিসির সবাই ছিল ছাত্রলীগের: রিজভী
শিবলী রুবাইয়াত ও তার সহযোগী ৮ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে নেমেছে দুদক