শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫ | ১৩ আষাঢ় ১৪৩২
Dhaka Prokash

রাজধানীর মোল্লা কলেজে হামলা-ভাঙচুর, শিক্ষার্থীদের দখলে সড়ক

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানী ঢাকার ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজে (ডিএমআরসি) হামলা, ভাঙচুর করছে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। ঢাকার ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় সৃষ্ট পরিস্থিতির জেরে এ ঘটনা ঘটে।

সোমবার (২৫ নভেম্বর) সকাল ১০টা থেকে কবি নজরুল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীরা বাহাদুর শাহ পার্কের সামনে লাঠিসোঁটা নিয়ে জড়ো হতে থাকে। পরে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা রায়সাহেব বাজারের দিকে অগ্রসর হয় সাত কলেজের অন্যান্য শিক্ষার্থীদের সঙ্গে জড়ো হতে থাকে।

পরে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে কিছু শিক্ষার্থী ওই কলেজে বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে হামলা, ভাঙচুর এবং ভেতরে প্রবেশ করে। এসময় রাস্তার বিপরীত পাশে মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থীরা অবস্থান নিতে দেখা গেছে। সবশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত (বেলা সাড়ে ১২টা) দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টাধাওয়া চলছে।

এদিকে ঘটনাস্থলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনো সদস্যকে তেমন কোনো ভূমিকায় দেখা যায়নি বলে অভিযোগ সাধারণ মানুষজনের।

সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীরা বলেন, গতকালকে ডিএমআরসির নেতৃত্ব ঢাকার বেশকয়েকটি কলেজ একত্রিত হয়ে কবি নজরুল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। এ ঘটনায় সোহরাওয়ার্দী কলেজের অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়ে গেছে। গতকাল রাত থেকে আজ সকাল ১০টা পর্যন্ত প্রশাসনকে সময় দিয়েছিলাম এ ঘটনার সুষ্ঠু একটা সমাধান করার জন্য। কিন্তু আমাদের দেওয়া সময়ের ভেতর তেমন কোনো পদক্ষেপ নেয়নি তারা। তাই আমরা আজ একত্রিত হয়েছি। আমরা শুনেছি মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থীরা একত্রিত হচ্ছে আমরা এখন সেখানে যাবো। আমাদের সঙ্গে রায়সাহেব বাজারে ও যাত্রাবাড়ী সাত কলেজের অন্য শিক্ষার্থীরা যুক্ত হবে।

এদিকে কবি নজরুল সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. হাবিবুর রহমান আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের শান্ত করার জন্য বারবার মাইকিং করে নিষেধ করেন।

এসময় তিনি বলেন, তোমরা শান্ত হও, তোমাদের সঙ্গে আমরা আছি। গতকালকের ঘটনায় অনুপ্রবেশকারীরা ছিল, আজও এখানে অনুপ্রবেশকারী আছে বলে মনে হচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কমিটি আসবে, সোহরাওয়ার্দী কলেজকে বলতে চাই গতকালকের ঘটনায় সুষ্ঠু বিচার হবে।

Header Ad
Header Ad

১১ নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ উইন্ডিজ ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে

ছবি: সংগৃহীত

অস্ট্রেলিয়া-ওয়েস্ট ইন্ডিজের বার্বাডোজ টেস্ট যখন রোমাঞ্চকর এক সমাপ্তির দিকে এগোচ্ছে, তখন হঠাৎ করেই মাঠের উত্তেজনাকে ছাপিয়ে আলোচনায় উঠে এসেছে ক্যারিবীয় দলের এক বিতর্কিত খবর। ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের এক সদস্যের বিরুদ্ধে উঠেছে ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নের মতো গুরুতর অভিযোগ।

গায়ানার স্থানীয় গণমাধ্যম কেডিটর স্পোর্টস এক প্রতিবেদনে দাবি করেছে, ওই ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে এক অপ্রাপ্তবয়স্কসহ মোট ১১ জন নারীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগকারীদের মধ্যে কেউ কেউ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন, কেউ যৌন হয়রানি ও লাগাতার মানসিক নিপীড়নের শিকার বলে দাবি করা হয়েছে।

তবে অভিযুক্ত ক্রিকেটারের নাম এখনও প্রকাশ করা হয়নি। প্রতিবেদনে শুধু এতটুকু জানানো হয়েছে যে তিনি গত বছর গ্যাবা টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন এবং সেই সফর শেষে গায়ানায় ফিরে তাকে নায়কোচিত সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছিল। বর্তমানে তিনি চলমান টেস্ট সিরিজের দলেও আছেন।

গণমাধ্যমটি আরও জানিয়েছে, ঘটনাগুলো দুই বছর আগের। অভিযোগকারীদের একজন তখন আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ করলেও আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো মামলা দায়ের করা হয়নি। ফলে এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত পুলিশের কাছে কোনো তদন্ত বা বিচারিক প্রক্রিয়া শুরু হয়নি।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড এ বিষয়ে এখনও কোনো মন্তব্য করেনি। তবে অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পর ক্যারিবীয় ক্রিকেট মহলে শুরু হয়েছে তীব্র বিতর্ক।

Header Ad
Header Ad

গাজায় হামাসের হামলায় ৩ দিনে ১৫ ইসরায়েলি সেনা নিহত

ছবি: সংগৃহীত

গাজা উপত্যকায় টানা তৃতীয় দিনের মতো ইসরায়েলি সেনাদের ওপর হামলা চালিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের সামরিক শাখা ‘আল কাসাম ব্রিগেড’। এতে গত তিন দিনে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১৫ জন ইসরায়েলি সেনা।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোর বরাতে জানা গেছে, শুক্রবার (২৭ জুন) উত্তর গাজার তুফাহ এলাকায় একটি সাঁজোয়া যান লক্ষ্য করে হামলা চালায় আল কাসাম ব্রিগেড। বিস্ফোরক রকেট ছোড়ার ফলে ওই যানে থাকা ১৭ সেনার মধ্যে ঘটনাস্থলেই নিহত হন ৭ জন, আহত হন আরও ১০ জন।

এর আগের দিন বৃহস্পতিবার গাজা সিটিতে আল কাসাম ব্রিগেডের গুলিতে মারা যান আরও একজন ইসরায়েলি সেনা। একই সঙ্গে হামলায় ধ্বংস হয় ইসরায়েলের দুটি মেরকাভা ট্যাংক, একটি সাঁজোয়া যান ও একটি বুলডোজার।

বুধবার দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস এলাকায় চালানো আরেকটি অভিযানে গুলি ও রকেট হামলায় নিহত হন আরও সাতজন ইসরায়েলি সেনা, যাদের একজন ছিলেন লেফটেন্যান্ট পদমর্যাদার কর্মকর্তা।

এই তিন দিনের হামলায় ইসরায়েলি বাহিনীর প্রাণহানির ঘটনা সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে অন্যতম বড় বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। গত মার্চে যুদ্ধবিরতির পর পুনরায় গাজায় অভিযানে যাওয়ার পর এটাই সবচেয়ে বেশি সংখ্যক সেনা নিহত হওয়ার ঘটনা।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের আকস্মিক হামলার জবাবে গাজায় বড় ধরনের সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। তখন থেকে শুরু হওয়া হামলায় গাজায় এখন পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ৫৬ হাজারের বেশি মানুষ। আহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১ লাখ ৩০ হাজার।

গাজার মানবিক পরিস্থিতি দিন দিন ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। একদিকে ইসরায়েলি বিমান ও স্থল হামলা, অন্যদিকে খাবার ও ওষুধসহ ত্রাণ সরবরাহে বাধা দেওয়ায় সেখানে তৈরি হয়েছে দুর্ভিক্ষের মতো অবস্থা।

এখনও পর্যন্ত হামাসের হাতে জিম্মি থাকা ২৫১ জনের মধ্যে প্রায় ৩৫ জন জীবিত আছেন বলে মনে করা হচ্ছে। তাদের উদ্ধারে সামরিক অভিযান অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী।

এদিকে যুদ্ধ বন্ধে বারবার আহ্বান জানালেও তা আমলে নিচ্ছে না ইসরায়েল। জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক আদালতে ইতোমধ্যে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলাও দায়ের হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

বেনাপোল বন্দরে কাগজপত্রবিহীন প্রায় ২ কোটি টাকার নিষিদ্ধ পণ্য জব্দ

বেনাপোল বন্দরে কাগজপত্রবিহীন প্রায় ২ কোটি টাকার নিষিদ্ধ পণ্য জব্দ। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

বেনাপোল স্থলবন্দরের ২৬ নম্বর সেড থেকে কাগজপত্রবিহীন প্রায় ২ কোটি টাকার নিষিদ্ধ ওষুধসহ বিভিন্ন পণ্য জব্দ করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) রাতে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই)-এর গোপন তথ্যের ভিত্তিতে এই অভিযান পরিচালিত হয়।

অভিযানে নেতৃত্ব দেন কাস্টমস হাউসের ডেপুটি কমিশনার রাফেজা সুলতানা। তার সঙ্গে ছিলেন কাস্টমস পরীক্ষণ টিম এবং এনএসআই কর্মকর্তারা।

কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ২৬ নম্বর সেডে অভিযান চালিয়ে সেখানে গোপনে রাখা ছয় বস্তা মালামাল জব্দ করা হয়। জব্দকৃত পণ্যের মধ্যে রয়েছে আমদানি নিষিদ্ধ ওষুধ ৬০ কেজি, ৯৬ হাজার পিস জিলেট ব্লেড, ৬০ পিস শাড়ি কাপড়, ২২০০ পিস মোবাইলের ডিসপ্লে এবং আনুমানিক এক কেজি ওজনের সাদা রঙের গুঁড়া পাউডার। জব্দ করা মালামালের আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ২ কোটি টাকা বলে জানিয়েছে কাস্টমস।

এ বিষয়ে সেড ইনচার্জ তারিকুল ইসলাম বলেন, পণ্যগুলো আমদানি করেছে দলিলুর রহমান অ্যান্ড সন নামের একটি প্রতিষ্ঠান। পণ্য ছাড় করানোর দায়িত্বে ছিল ‘সার্ভিস লাইন’ নামের একটি সিএন্ডএফ এজেন্ট। তবে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি এসব পণ্যের কোনো বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি।

এ ব্যাপারে কাস্টমস কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে সরকারি ছুটি থাকার কারণে কারো সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

১১ নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ উইন্ডিজ ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে
গাজায় হামাসের হামলায় ৩ দিনে ১৫ ইসরায়েলি সেনা নিহত
বেনাপোল বন্দরে কাগজপত্রবিহীন প্রায় ২ কোটি টাকার নিষিদ্ধ পণ্য জব্দ
ডেঙ্গুতে আরও দুজনের মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ১৫৯
ব্যবসায়ীকে দাড়ি ধরে টানা হেঁচড়া-মারধরের ঘটনায় আসামি নাসিম গ্রেপ্তার
অভিমান ভুলে বুকে জড়িয়ে নিলেন রিয়া মনি, হিরো আলমকে নিয়ে ছুটলেন ঢাকায়
এক মিনিট আগেও অফিস ছাড়তে পারবেন না সরকারি চাকরিজীবীরা
প্রেমিককে ভিডিও কলে রেখে জীবন দিলেন কলেজছাত্রী
সাবেক সিইসি নূরুল হুদা আরও ৪ দিনের রিমান্ডে
মিরপুরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়ক বিভাজকে উঠে গেল বাস, নিহত ১
খামেনিকে হত্যার পরিকল্পনা ছিল: স্বীকার করলেন ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী
জঙ্গি সম্পৃক্ততার অভিযোগে মালয়েশিয়ায় ৩৬ বাংলাদেশি আটক
বন্ধুর বাড়িতে ঘুমের ওষুধ খেয়ে হিরো আলমের আত্মহত্যার চেষ্টা
বাংলাদেশের সঙ্গে সব বিষয়ে আলোচনায় ভারত প্রস্তুত: রণধীর জয়সওয়ালম  
সুন্দর বিশ্ব তৈরি করতে চায় বাংলাদেশ: ড. ইউনূস
উড্ডয়নের পর ইঞ্জিনে ত্রুটি, ঢাকায় ফিরল বিমানের ফ্লাইট
সেই পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়টি বিবেচনাধীন
দেশজুড়ে রথযাত্রা উৎসব শুরু আজ
ইরানকে যুক্তরাষ্ট্রের ৩০ বিলিয়ন ডলারের গোপন প্রস্তাব
প্রত্যেক জেলায় হাসপাতালের মত সিনেমা হলও দরকার: জাহিদ হাসান