কক্সবাজার-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) মো. জাফর আলমকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। রাজধানীর ধানমণ্ডি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
রোববার বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ শাখার উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান। তিনি জানান, বিশেষ অভিযানের অংশ হিসেবে ধানমণ্ডি এলাকা থেকে মো. জাফর আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তবে ঠিক কী অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।
অভিযুক্ত যুবক মুস্তফা (বামে) এবং নিহত ঘটক সুলেমান। ছবি: সংগৃহীত
ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের ম্যাঙ্গালুরুতে একটি বিয়েবিচ্ছিন্নতার জেরে ঘটেছে মর্মান্তিক এক হত্যাকাণ্ড। বিয়ের কিছুদিনের মধ্যেই সংসার ভেঙে যাওয়ার জন্য দায়ী করে ঘটককে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছেন মুস্তফা (৩০) নামের এক যুবক। নিহত ঘটকের নাম সুলেমান (৫০)। ঘটনার পর অভিযুক্ত ওই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
প্রতিবেদনে জানা যায়, সুলেমানের মাধ্যমে আট মাস আগে মুস্তফার সঙ্গে বিয়ে হয় শাহিনাজ নামের এক নারীর। তবে বিয়ের সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দ্বন্দ্ব তৈরি হলে শাহিনাজ ফিরে যান নিজের পিতামাতার বাড়িতে। এরপর থেকেই মুস্তফার মধ্যে ক্ষোভ জন্মে সুলেমানের প্রতি, যিনি এই বিয়ের ঘটক ছিলেন।
ঘটনার দিন, মুস্তফা সুলেমানকে ফোন করে গালিগালাজ করেন এবং দেখা করতে বলেন। দুই ছেলে, রিয়াব ও সিয়াবকে নিয়ে সুলেমান মুস্তফার বাড়িতে যান। ছেলেদের বাইরে রেখে মুস্তফার সঙ্গে একান্তে কথা বলতে ঘরে প্রবেশ করেন তিনি। কিন্তু সেই আলোচনা ব্যর্থ হয়। বাড়ি ছাড়ার প্রস্তুতির সময় আচমকা মুস্তফা ছুরি হাতে বেরিয়ে এসে সুলেমানের ঘাড়ে আঘাত করেন। এতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান সুলেমান।
এরপর মুস্তফা তার দুই ছেলের দিকেও হামলা চালান। প্রাণ রক্ষা করতে তারা পালিয়ে যান। স্থানীয়রা দ্রুত সুলেমানকে হাসপাতালে নিয়ে গেলেও চিকিৎসকরা জানান, তিনি আগেই মারা গেছেন। ম্যাঙ্গালুরু গ্রামীণ থানায় এই ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে এবং অভিযুক্ত মুস্তফাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। ঘটনার তদন্ত এখনও চলছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, অনেকেই বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য আসতে চায়, কিন্তু তারা একটি সুন্দর নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা করছে। এখন কত দ্রুত গণতন্ত্রের দিকে ফিরে যেতে পারবো সেটাই মুখ্য বিষয়।
শনিবার (২৪ মে) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত এক সেমিনারে এসব কথা বলেন তিনি।
আমীর খসরু বলেন, দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে বিনিয়োগের বিকল্প নেই। এই বিনিয়োগের উৎস হবে পুঁজিবাজার। আগামীতে বিনিয়োগ নিশ্চিত করতে হলে পুঁজিবাজারকে পুনরুজ্জীবিত করতে হবে। অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, দেশে পুঁজিবাজার ক্যাসিনোতে পরিণত হয়েছে। এখানে একটি গ্রুপ এসে খেলাধূলা করে চলে যায়। বিগত ১৫ বছর এভাবেই চলেছে। এ সময় পুঁজিবাজারে স্বচ্ছতা আনার ওপরও জোর দেন তিনি।
এতে আরও বক্তব্য দেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, বিএসইসির কমিশনার মো. মোহসিন চৌধুরী, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য মো. মোবারক হোসাইন, পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ড. মাশরুর রিয়াজ, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম আহ্বায়ক তাসনুভা জাবিন, আইসিএমএবির সভাপতি মাহতাব উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, পুঁজিবাজারের দুরবস্থা ভালো হওয়ার লক্ষণ নেই। এলডিসি গ্রাজুয়েশনের জন্য পুঁজিবাজারকে উন্নয়নের হাতিয়ার হিসেবে দাঁড়াতে হবে। এজন্য ব্যাংক এবং করের সম্পর্ক যুক্ত একটা প্যাকেজ দরকার। আগামী বাজেটে এর প্রতিফলন থাকবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে ৯৬ ও ২০১০ সালের কেলেঙ্কারির ঘটনায় শাস্তি হয়নি। কারসাজিতে বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বলিউডের প্রিয় মুখ, অভিনেতা মুকুল দেব আর নেই। শুক্রবার (২৩ মে) শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এই গুণী শিল্পী। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৪ বছর। তার মৃত্যুর খবরটি শনিবার (২৪ মে) সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে জানান বন্ধু ও সহকর্মী অভিনেতা মনোজ বাজপেয়ী।
হিন্দি, পাঞ্জাবি ও দক্ষিণী ছবির পাশাপাশি টেলিভিশনেও সমান জনপ্রিয় ছিলেন মুকুল। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস-এর তথ্য অনুযায়ী, বেশ কিছুদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন তিনি এবং শেষ কদিন আইসিইউ-তে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
মুকুলের মৃত্যুতে শোক জানিয়ে মনোজ বাজপেয়ী এক আবেগঘন বার্তায় বলেন, "মুকুল আমার আত্মার ভাই ছিল। ওর উষ্ণতা, আবেগ, শিল্পীসত্তা—সব কিছুই ছিল অনন্য। খুব অল্প বয়সে চলে গেল। ভাষায় প্রকাশ করা যাচ্ছে না আমার কষ্ট। ওর পরিবারের প্রতি আমার প্রার্থনা রইল। মিস ইউ মেরি জান... যতক্ষণ না আবার দেখা হচ্ছে, ওম শান্তি।"
মুকুল দেব। ছবি: সংগৃহীত
অভিনেতা বিন্দু দারা সিং ইন্ডিয়া টুডে-কে জানান, "মুকুলের মৃত্যুর খবর শোনাটা হৃদয়বিদারক। বাবা-মায়ের মৃত্যুর পর সে একেবারেই নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছিল। কারও সঙ্গে যোগাযোগ রাখত না। শেষ কয়েকদিন তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়, আর তাতেই শেষ হয়ে গেল সব।"
অভিনেত্রী দীপশিখা নাগপাল ইনস্টাগ্রামে মুকুলের সঙ্গে একটি পুরনো ছবি শেয়ার করে লেখেন, "সে কখনোই নিজের অসুস্থতার কথা বলত না। সকালে ঘুম থেকে উঠে ওর মৃত্যুর খবর পেলাম, তখন থেকেই ওর নম্বরে ফোন করে যাচ্ছি... ভাবছিলাম যদি ধরেই ফেলে!"
মুকুল দেবের জন্ম ১৯৭০ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর, এক পাঞ্জাবি পরিবারে। অভিনয় জীবন শুরু করেন ১৯৯৬ সালে টিভি সিরিজ ‘মুমকিন’ দিয়ে। একই বছর ‘দাস্তাক’ ছবিতে সুস্মিতা সেনের বিপরীতে বলিউডে পা রাখেন। এরপর ‘ইয়ামলা পাগলা দিওয়ানা’, ‘সন অফ সর্দার’, ‘আর... রাজকুমার’, ‘ডন’ ও ‘জয় হো’-সহ বহু হিট ছবিতে অভিনয় করেন।
তিনি বাংলা চলচ্চিত্রেও কাজ করেছেন—‘আওয়ারা’, ‘বচ্চন’ ও ‘সুলতান: দ্য স্যাভিয়ার’ ছবিতে জিৎ-এর সঙ্গে পর্দা ভাগ করেছেন। এছাড়া, দিল্লির সেন্ট কলম্বাস স্কুলে পড়াশোনা এবং ইন্দিরা গান্ধী ইনস্টিটিউট অফ অ্যাভিয়েশন থেকে বিমানচালনার প্রশিক্ষণও নিয়েছিলেন।