ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, গাজা উপত্যকায় হামাসের বিরুদ্ধে ইসরাইল ‘পূর্ণশক্তিতে আবার যুদ্ধ শুরু করেছে।’
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) রাতভর চালানো ইসরাইলের দফায় দফায় বিমান হামলায় এ পর্যন্ত ৪০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত অসংখ্য।
এক ভিডিও বার্তায় নেতানিয়াহু সতর্ক করে বলেছেন, শুধুমাত্র আক্রমণের মুখেই আলোচনা চলবে এবং ‘এটি কেবল শুরু’।
হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, মঙ্গলবার রাতভর ইসরাইলের তীব্র বিমান হামলায় ৪০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন এবং শত শত আহত হয়েছেন।
এদিকে ইসরাইল জানায়, যুদ্ধবিরতি বাড়ানোর আলোচনা নিয়ে সমঝোতা না হওয়ায় ইসরাইলি সেনাবাহিনী ‘বিস্তৃত’ হামলা শুরু করেছে।
১৯ জানুয়ারি গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর এটিই ইসরাইলের সবচেয়ে বড় হামলা।
মঙ্গলবার বেইত লাহিয়া, রাফাহ, নুসাইরাত এবং আল-মাওয়াসিতে ইসরাইল বিমান হামলা চালায়। যেখানে শত শত মানুষ নিহত হন। যাদের মধ্যে অনেক নারী ও শিশুও রয়েছে।
এছাড়া মঙ্গলবারের বিমান হামলায় হামাসের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন নেতা নিহত হন। যাদের মধ্যে গাজার উপ-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেজর জেনারেল মাহমুদ আবু ওয়াতফা এবং হামাসের সর্বোচ্চ পদস্থ নিরাপত্তা কর্মকর্তাও রয়েছেন।
এদিকে নেতানিয়াহু তার ভাষণে বলেন, গাজায় এখনও আটক থাকা ইসরাইলি জিম্মিদের মুক্তি দেয়ার জন্য ইসরাইল হামাসের সাথে আলোচনার চেষ্টা করেছে। তিনি হামাসকে প্রতিবারই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার অভিযোগ করেন।
মার্চের গোড়ার দিকে প্রথম ধাপের যুদ্ধবিরতি চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর থেকে এই চুক্তি কীভাবে এগিয়ে নেয়া যায় তা নিয়ে ইসরাইল এবং হামাসের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে বলেও জানানো হয় প্রতিবেদনে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নেতানিয়াহু বলেন, ‘ইসরাইল তার সমস্ত যুদ্ধ লক্ষ্য অর্জনের জন্য লড়াই চালিয়ে যাবে - ‘জিম্মিদের ফিরিয়ে আনা, হামাসকে নিষ্ক্রিয় করা এবং নিশ্চিত করা যে হামাস ইসরাইলের জন্য হুমকি নয়।’
এদিকে মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের সঙ্গে পরামর্শ করেই ইসরাইল হামলা চালিয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে হোয়াইট হাউজ।a