কার্ড দিয়ে ক্যাশ উত্তোলন বন্ধ করলো ব্র্যাক ব্যাংক। ছবি: সংগৃহীত
দেশের বাইরে ব্র্যাক ব্যাংকের কার্ড দিয়ে নগদ অর্থ তোলা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) ব্যাংকটির রিটেল ব্যাংকিং ইউনিটের এক শীর্ষ কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, নগদ অর্থ তোলার কোনো রেকর্ড না থাকায় ব্যাংকটি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এ বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রোববার (২৪শে ডিসেম্বর) থেকেই এই স্থগিতাদেশ কার্যকর হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, 'প্রিয় গ্রাহক, ২৪শে ডিসেম্বর ২০২৩ থেকে ব্র্যাক ব্যাংক কার্ড দিয়ে দেশের বাইরে সকল প্রকার ক্যাশ উত্তোলন স্থগিত করা হয়েছে।'
তবে ব্র্যাক ব্যাংকের কার্ডধারীরা ভ্রমণ কোটার মধ্যে পয়েন্ট অব সেল (পিওএস) টার্মিনাল এবং ই-কমার্স সেবার মাধ্যমে যেকোনো ধরনের বৈধ কেনাকাটা করতে পারবেন বলে জানানো হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
মিয়ানমারে চলমান অভ্যন্তরীন সংঘর্ষের জেরে কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তের দুটি পয়েন্ট দিয়ে অস্ত্র সজ্জিত আরও ৪০ জন মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিপি) সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন।
শনিবার (৪ মে) ভোরে সাবরাংরাংয়ের আচারবুনিয়া থেকে ১৪ জন এবং নাজিরপাড়া সীমান্ত দিয়ে ২২ জন বিজিপির সদস্য বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেন। পরে নাজির পাড়া থেকে আরও ৪ জন বিজিপি সদস্য আশ্রয় নেন।
নির্ভরযোগ্য সূত্র বলছে, শনিবার ভোরে দুই দফায় আশ্রয় নেওয়া বিজিপি সদস্যদের নিরস্ত্র করে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড বিজিবি। তারপর বাসযোগে তাদের প্রথম ১৪ জনকে হ্নীলা উচ্চ বিদ্যালয়ে রাখা হয়। পরে আরও ২২ জনকেও একই স্থানে রাখা হয়। বাকি ৪ জনকে নিরস্ত্রকরণের কাজ করছে বিজিবি।
তবে এ বিষয়ে বিজিবির পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
সর্বশেষ বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া ২৮৮ জন মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী ও সেনা সদস্যেকে নানা প্রক্রিয়া শেষ করে ফেরত পাঠায় বাংলাদেশ।
গোল টেবিল বৈঠকে বক্তব্য রাখছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত। ছবি: সংগৃহীত
সরকার যারা পরিচালনা করেন তারা সবাই ফেরেশতা নয় বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত।
শনিবার (৪ মে) বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস-২০২৪ উপলক্ষ্যে ‘গ্রহের জন্য গণমাধ্যম: পরিবেশগত সংকট মোকাবিলায় সাংবাদিকতা’ শীর্ষক গোল টেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে এই গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে সম্পাদক পরিষদ।
সরকারের ব্যত্যয়-বিচ্যুতি ধরিয়ে দিতে সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ ধরনের সব সমালোচনাকে আমরা স্বাগত জানাই। তবে যখন সমালোচনার নামে অপতথ্য, মিথ্যাচার, অপপ্রচারের মাধ্যমে এক ধরনের এজেন্ডা বেইজড, সিস্টেমেটিক মিথ্যাচার ছড়ানো হয়, সেগুলো আমরা বুঝি কে করছে, কারা করছে, কেন করছে। সেই বিষয়গুলোকে আমরা নিন্দা জানাই। কিন্তু গঠনমূলক সমালোচনাকে আমরা সব সময় স্বাগত জানাই এবং জানাবো। কারণ আমরা মনে করি না, সরকার যারা পরিচালনা করছেন, তারা সবাই ফেরেশতা। সবাই মানুষ। আমাদের ভুল-ত্রুটি হতে পারে, ব্যত্যয়-বিচ্যুতি থাকতে পারে, ব্যর্থতা থাকতে পারে। সেগুলো ধরিয়ে দেওয়ার জন্য গণমাধ্যম আছে, এটি গণমাধ্যমের দায়িত্ব। গঠনমূলকভাবে ধরিয়ে দিলে সেটি স্বীকার করে নিতে এবং সেগুলো শুদ্ধ করে নিতে আমাদের কোনো সমস্যা নেই।
তিনি বলেন, কার্বন নিঃসরণ বাংলাদেশে জিরো করলেও লাভ নেই। কারণ আমরা কার্বন নিঃসরণ কম করি। কিন্তু ক্ষতিগ্রস্ত হই বেশি। আমরা উন্নয়নের পাশাপাশি সেটাকে টেকসই করতে চাই। আমরা শুধু উন্নয়নে নয় বরং টেকসই উন্নয়নে বিশ্বাস করি। একইসাথে তথ্যপ্রকাশে সাহসী প্রতিবেদনের জন্য সাহসী সাংবাদিকদের আইনি সুরক্ষা আরও জোরদার করা হবে।
তিনি আরও বলেন, তথ্য কমিশনে আইন আছে। আমি তাদের সাথে বসেছি কয়েকদিন আগে। আমার উপলব্ধি হয়েছে দুইদিকে কিছু চ্যালেঞ্জ আছে। আমি দেখেছি তথ্য চাইলেই সরকারি অনেক কর্মকর্তা খুব ডিফেন্সিভ হয়ে যায়। তথ্য কেন চাইবে এমন একটা বিষয় দাঁড়ায়। আসলে এটা তাদের দোষ নয়। আমাদের ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন এবং বিভিন্ন সময়ে গণতন্ত্র নষ্ট হওয়ার প্রভাব এটা।
মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, আমরা মন্ত্রী থেকে শুরু করে সকল কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে এ বিষয়টি আরও সহজতর করবো। এছাড়া তথ্য অধিকার আইন অনুযায়ী সাংবাদিকরাও যাতে সঠিক উপায়ে তথ্য পেতে পারে সেদিকেও লক্ষ্য রেখে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। একইসাথে ফ্যাক্ট চেক নিয়ে আরও জোরালো ভূমিকা নিতে হবে।
তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী গণমাধ্যমে রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার (আরএসএফ) এর র্যাংকিংয়ের উদ্যোগ খুব ভালো। তবে তাদের নিকট অনুরোধ, পদ্ধতিগত বিষয় বিবেচনায় নিয়ে তারা সবসময় সঠিক তথ্য সরবরাহ করবে। এরপর আমাদের অবস্থান বা র্যাংকিং যা হয় হবে। তবে তারা বারবার ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্তি করলে তাদের গ্রহণযোগ্যতা কমে আসবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, রাইট টু ইনফরমেশন অ্যাক্ট যেটা আছে আছে, সেটা আমি পূর্ণাঙ্গভাবে বিশ্বাস করি। রাইট টু ইনফরমেশন অ্যাক্টের অধীনে কোনো গণমাধ্যম জনগণের পক্ষে যে তথ্য চাইবে সেটা আমি তড়িৎ গতিতে দিতে বাধ্য থাকবো। এ ধরনের মানসিকতা তৈরি করার জন্য প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে আমরা ওরিয়েন্টেশন করবো। কারণ তথ্য দিলে আমার কোনো সমস্যা নেই তো। যদি না আমার মধ্যে কোনো গলদ থাকে। যে তথ্য পাওয়ার অধিকার মানুষের আছে, সেটি দিতে হবে। এটি আমি নিশ্চিত করবো।
বাসায় লুটপাটের পর এলোমেলো অবস্থায় পড়ে আছে আসবাবপত্র। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে খাবারের সাথে নেশা জাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে এক প্রধান শিক্ষকের বাসায় চুরির ঘটনা ঘটে। এতে চোরচক্র বাসার আলমিরা ভেঙে নগদ এক লাখ টাকাসহ ও ২ থেকে ৩ ভরি স্বর্ণ অলংকার লুটপাট করে। নেশা জাতীয় দ্রব্য মেশানো খাবার খেয়ে শিক্ষকসহ তার পরিবারের তিনজন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
শনিবার (০৪ মে) সকালে এমন খবর পেয়ে সহকারী পুলিশ সুপার (কালিহাতী সার্কেল) মো. শরিফুল হক ও ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আহসান উল্লাহ্ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
গত শুক্রবার রাতে উপজেলার অলোয়া ইউনিয়নের আমুলা গ্রামের শিক্ষক মো. মতিয়ার রহমানের বাসায় এ ঘটনা ঘটে। তিনি নিকরাইল পলশিয়া রানী দিনমনী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। অসুস্থরা হলেন- শিক্ষক মতিয়ার রহমান (৫৬), তার ছেলে জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রী দোলন (২৮) ও তার মেয়ে মারিয়া জাহান মুন্নী (২২)।
অসুস্থ মেয়ে মারিয়া জাহান বলেন, শুক্রবার রাত সাড়ে ৯ টা থেকে ১০ টার মধ্যে আমিসহ আমার বাবা ও ভাবি খাবার শেষে নিজ নিজ রুমে ঘুমাতে যাই। অন্যান্য দিন আমরা টিভি বা মোবাইল দেখে ১২ টার দিকে ঘুমিয়ে পড়ি। কিন্তু সেদিন রাতে খাবার খাওয়ার কিছুক্ষণ পরেই ঘুম ঘুম ভাব আসে। পরে কখন ঘুমিয়ে যাই তা জানা নেই। রাত ৩ টার দিকে বাসায় শব্দ হলে ঘুম ভেঙে যায়। পরে কয়েকজন লোক রুমে প্রবেশ করে ভয়-ভীতি দেখিয়ে লুটপাট করে। তাদের মুখ ডাকা ছিল। যার কারণে তাদের চিনতে পারেনি।
ছেলে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, গত শুক্রবার রাতে বাবা, ছোট বোন ও আমার স্ত্রী তারা রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে যায় ও আমিও ঘুমিয়ে পড়ি। পরে ভোরে ঘুম ভাঙলে দেখি বাবা, ছোট বোন ও স্ত্রী তিনজন অসুস্থ হয়ে পড়েছে এবং বাসার সবকিছু এলোমেলো। পরে ডাক-চিৎকারে স্থানীয়দের সহযোগিতায় বাবাকে অচেতন অবস্থায় হাসপাতালে পাঠানো হয় এবং বোন ও স্ত্রীকে বাসাতেই চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এ ঘটনায় সহকারী পুলিশ সুপার (কালিহাতী সার্কেল) মো. শরিফুল হক বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। এনিয়ে কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।