শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫ | ১৩ আষাঢ় ১৪৩২
Dhaka Prokash

ভোজ্যতেল ও চিনিতে নৈরাজ্য, সিন্ডিকেটকে দায়ী করছেন খুচরা বিক্রেতারা

চিনির দাম কমানো হয়েছে জানুয়ারিতে। কিন্তু সেই দামে মে মাসেও চিনি পাওয়া যাচ্ছে না। অন্যদিকে, সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে ৪ মে। তার কয়েক ঘণ্টা পর থেকেই বর্ধিত দামে তেল বিক্রি করা হচ্ছে। উভয় ক্ষেত্রেই মিল মালিকদের সিন্ডিকেটকে দায়ী করছেন খুচরা বিক্রেতারা।

খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, মিল মালিকদের সিন্ডিকেটের কারণে সরকার নির্ধারিত কম দামে চিনিই পাচ্ছেন না তারা। মিল মালিকদের কাছ থেকে বেশি দামে কেনার কারণে বিক্রিও করতে হবে বেশি দামে। কিন্তু খুচরা ব্যবসায়ীরা বেশি দামে বিক্রি করলে সরকারি সংস্থার জরিমানার সম্মুখীন হতে হয়।

অন্যদিকে, সয়াবিন তেলের দাম লিটারপ্রতি ১২টাকা বাড়ানো হলে বোতলের গায়ে আগের দাম উল্লেখ থাকার পরও বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। কারণ মিলারদের সিন্ডিকেটের কারনে আগের সয়াবিনও বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। তাই বেশি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে। ফলে ভোজ্যতেল ও চিনির বাজার মিল মালিকদের ইচ্ছা-অনিচ্ছার উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে বলেই দাবি খুচরা ব্যবসায়ীদের।

রাজধানীর কারওয়ান বাজার, মোহাম্মদপুরের কৃষিমার্কেট, টাউনহলসহ বিভিন্ন বাজারে গেলে এমনই ক্ষোভের চিত্র পাওয়া যাচ্ছে।

এ বিষয়ে জানতে চেয়ে সিটি গ্রুপের পরিচালক বিশ্বজিত সাহার সঙ্গে ঢাকাপ্রকাশ-এর পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে সবশুনে কোনো জবাব না দিয়ে ফোন কেটে দেন।

চিনির দাম তিন টাকা কমিয়ে ১০৪ টাকা কেজি ঘোষণা দিলেও সেই নির্ধারিত দামতো দূরের কথা, কিছু বেশি দামেও কোথায় পাওয়া যায় না। অভিযোগ উঠেছে, বেশি দামের আশায় মিলমালিকরা কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি করায় এই অবস্থা। তবে কোনো কোনো ডিলার ও পাইকাররা মিল থেকে বেশি দামে কিনে তা খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করছেন। এ জন্য ভোক্তাদের অনেক বেশি দাম গুনতে হচ্ছে, ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা কেজি পর্যন্ত।

অপরদিকে, সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ১২ টাকা বাড়িয়ে ১৯৯ টাকা ঘোষণার পর থেকেই বাজারে দাম বাড়তে শুরু করেছে। খুচরা ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, নতুন রেটের তেল না আসলেও বাড়তি দামেই ভোক্তাদের কাছে বিক্রি করতে হচ্ছে।

এবার রমজানের আগে থেকেই চিনি নিয়ে চলছে ছিনিমিনি। সরকার গত ৮ এপ্রিল থেকে পরিশোধিত চিনির কেজিতে ৩ টাকা কমিয়ে করেছে ১০৪ টাকা। আর প্যাকেট চিনির দাম ৩ টাকা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ১০৯ টাকা। কিন্তু সেই দামে তো দূরের কথা রমজান মাস শেষ হলেও প্রায় দোকানে চিনি পাওয়া যাচ্ছে না। আবার কোথাও পাওয়া গেলেও ভোক্তাদের বেশি দাম গুনতে হচ্ছে। মিল থেকেই বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে বলে ডিলার ও পাইকারি ব্যবসায়ীদের অভিযোগ। এ জন্য খুচরা ব্যবসায়ীও ভোক্তাদের কাছে বেশি দামে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা কেজি বিক্রি করছে।

সর্বশেষ, গত ১ জানুয়ারি চিনির দাম বাড়িয়ে খোলা চিনির দাম নির্ধারণ করা হয়েছিল ১০৭ টাকা কেজি এবং প্যাকেটজাত চিনির দাম নির্ধারণ করা হয়েছিলো ১১২ টাকা কেজি। এরপর দ্রব্যমূল্য ও বাজার পর্যালোচনা করে টাস্কফোর্স সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী, পরিশোধিত খোলা চিনির সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১০৪ টাকা কেজি। প্রতি কেজিতে দাম কমানো হয়েছে তিন টাকা।

কিন্তু সরেজমিনে বাজারে দেখা গেছে উল্টোচিত্র। কারওয়ান বাজাররের মেসার্স রতন স্টোরের মালিক রতন ঢাকাপ্রকাশ-কে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমরা কি মুখে শুধু শুনব দাম কমেছে? আর বেশি দামে কিনতে হবে? তাও ঠিকমতো পাওয়া যায় না। সরকার চিনির কেজিতে তিন টাকা কমানোর ঘোষণা দেওয়ার পর আমরা পাচ্ছি না কেন। সিটিগ্রুপ, মেঘনা, দেশবন্ধুসহ কয়েকটি চিনি কলের কাছে সরকার জিম্মি হয়ে গেছে। ১৭ কোটি মানুষকেও জিম্মি করে রাখছে। তারা যা ইচ্ছা তাই করছে।

রতন স্টোরের সত্ত্বাধিকারী আরও বলেন, রমজান মাসে ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মিটিং করে বললেন, চিনির দাম কমানো হয়েছে। যার যতো লাগবে পাবেন। কিন্তু আমরা চাহিদা মতো তো দূরের কথা ঈদ শেষেও সামান্যতম চিনি পাচ্ছি না। আবার কোনো ডিলার ও পাইকারি ব্যবসায়ীর কাছে পেলেও অনেক বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। এভাবে কি ব্যবসা হয়? কেউ টাকা লুট করবে সরকার চুপ করে থাকবে। আর আমরা বেশি দামে কিনে বিক্রি করলে গালি শুনতে হয়। জরিমানা দিতে হয়। মিল মালিকদের ধরতে হবে। না হলে ভোক্তাদের পকেট কাটা বন্ধ হবে না। আমিও ভোক্তা। আবার বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। কিন্তু আয় তো আর বাড়েনি। বরং বিক্রি কমে গেছে।

তেলের দামের ব্যাপারে জানতে চাইলে এই খুচরা ব্যবসায়ী আরও বলেন, মিলমালিকরা চিনির দাম কমানোর ঘোষণা দিলেও কমেনি। বরং বেড়েই যাচ্ছে। আবার তেলের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিলে নতুন রেটের তেল মিল থেকে বাজারে আসেনি। কিন্তু কয়েকটি মিল সিন্ডিকেট করে বেশি দামে বিক্রি করছে। এ জন্য পাইকারি ও ডিলাররাও আমাদের কাছে বেশি দাম নিচ্ছে।

আগে ৫ লিটারের এমআরপি ছিলো ৯০৪ টাকা উল্লেখ করে রতন বলেন, তখন তা কিনতাম ৮৭০ টাকা। সেই তেল কিনতে হচ্ছে ৯০৬ টাকা। মাত্র ৪ টাকা লাভ করে ৯১০ টাকা বিক্রি করা হচ্ছে। কিন্তু মিল থেকে যে বাড়তি দাম নিচ্ছে সরকার কি করছে? আবার ভোক্তা অধিদপ্তর এসে আমাদের ধরে। বেশি দাম নেওয়ায় জরিমানা করে। কিন্তু যারা সিন্ডিকেট করে বেশি টাকা আদায় করছে তাদের কিছু হয় না কেন?

তাদের বিরুদ্ধে তো সরকার মামলা করেছে। এমন তথ্যের প্রত্যুত্তরে তিনি বলেন, তাহলে তারা আসল দামে মাল দিচ্ছে না কেন?

আন্তর্জাতিক বাজারের অজুহাতে বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন গত ৪ মে প্রতি লিটারে ১২ টাকা দাম বাড়িয়ে ১৯৯ টাকা, ৫ লিটার ৯৬০ টাকা ও খোলা তেল ১৩৫ টাকা লিটার করেছে। সরকারও তা মেনে নিয়েছে। কিন্তু দুই দিন না যেতেই মজুত ফুরিয়ে যাওয়ার অজুহাতে বাজারে দাম বেড়ে গেছে।

একই বাজারের লক্ষীপুর স্টোরের ফরিদ বলেন, চিনি আছে ১৫০ টাকা কেজি। এতো বেশি বলা মাত্র তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমগো বলে লাভ কি? গোড়াতে ধরলে সব ঠিক হয়ে যাবে। তারাই বেশি দাম নিচ্ছে। আমরা গালি খাচ্ছি।

কারওয়ান বাজাররের ইউসুফ জেনারেল স্টোরের মো. ইউসুফও ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, বেশি দামে চিনি কিনে জরিমানা খেতে চাই না। তবে তেলের ব্যাপারে বলেন, আছে। তবে লাভের ধান টিয়ায় খাচ্ছে। মানে আগে ৫ লিটার ৮৭০ টাকায় কিনে ৮৮০ থেকে ৮৯০ টাকা বিক্রি করতাম। এখন গায়ের রেটেই কিনতে হচ্ছে। সেই রেটেই আবার বিক্রি করা হচ্ছে। কারণ বেশি নিলে জরিমানা খেতে হয়।
শুধু এই ব্যবসায়ীই নন, কারওয়ান বাজারের সততা ট্রেডার্স, সালমান ট্রেডার্স, আ. গনি স্টোরসহ অন্যান্য খুচরা ব্যবসায়ীরাও ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, শুধু শুনছি চিনির দাম কমেছে কিন্তু পাচ্ছি তো না। কোথাও পাওয়া গেলেও তা ১৩০ টাকা। মেঘনা গ্রুপের ডিলার জামান ট্রেডার্সের মালিক জামান বলেন, না পারি কইতে না পারি সইতে। মিল থেকেই বেশি দামে চিনি কিনতে হচ্ছে। তাও আবার সহজে পাওয়া যায় না।

মোহাম্মদপুর টাউনহলের মনির জেনারেল স্টোরের আনোয়ার হোসেন ও একতা জেনারেল স্টোরের সুমনও জানালেন একই তথ্য। তারা ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, চিনি নেই। সহজে পাওয়া যাচ্ছে না। আবার পাওয়া গেলেও দাম বেশি। যতোই দিন যাচ্ছে দাম বাড়ছেই। কি হয়েছে যে সরকার নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। এভাবে চলতে পারে না। ব্যবসা করব কিভাবে। তেল দাম বাড়ানোর ঘোষণা আসার সঙ্গে সঙ্গেই আগের দাম লেখা তেলই বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। তাই বিক্রিও করতে হচ্ছে বেশি দামে।

এদিকে কৃষিমার্কেটের সিটি এন্টারপ্রাইজের আবু তাহের ও বিক্রমপুরের জসিমও বলেন, চিনি তো নেই। দেশে হচ্ছে কি? সরকার বলছে চিনি দাম কমিয়েছি। কিন্তু বাজারে পাওয়া যাচ্ছে না। মিলে যে চিনি উৎপাদন হচ্ছে সেগুলো যাচ্ছে কোথায়? তেলের ব্যাপারে জানতে চাইলে একইভাবে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, নতুন রেটের তেল আসেনি। তারপরও আগের কম দামের তেল হাওয়া। কৃষিমার্কেটে পাওয়ায় যায় না।

চিনি ও তেলের ব্যাপারে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ভোক্তাদের মধ্যেও চরমভাবে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। টাউনহলে জুয়েল নামে এক বেসরকারি ব্যাংক কর্মকর্তা বলেন, আমাদের বেতন বাড়েনি। কিন্তু এ দোকান সে দোকান ঘুরে বেশি দামেই চিনি কিনতে হচ্ছে। এভাবে সিন্ডিকেট করে রাঘব-বোয়ালরা টাকা লুট করছে, পকেট কাটছে সরকারের দেখা উচিত।

শুধু এই ভোক্তা নয় প্রায় বাজারের ভোক্তাদের একই অভিযোগ, গত বছর তেল লুকিয়ে বেশি দামে বিক্রি করা হয়েছে। এবার চিনি নিয়ে চলছে ছিনিমিনি। দুই দিন থেকে আবার শুরু হয়েছে তেল নিয়ে খেলা। বাড়তি দামের রেট না আসলেও বেশি দামে কিনতে হচ্ছে।

খুচরা ব্যবসায়ী ও ভোক্তাদের অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, রমজান মাসে ব্যবসায়ীদের বলেছিলাম যার যতো চিনি লাগবে চাইলে মিল থেকে দেওয়া হবে। কিন্তু এভাবে দাম বাড়লেও কোনো ব্যবসায়ী অভিযোগ করেনি।

ব্যবসায়ীরা বলেছেন, মিডিয়াতে তো প্রায় দিন খবর হচ্ছে ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক তা দেখেন না?- এমন জবাবে এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, এটা নিয়ে আমরা কাজ করছি। আজও ঢাকার বাইরে আছি।

এর চেয়ে বেশি কিছু জানতে চাইলে মহাপরিচালক বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার পরমার্শ দিয়ে বলেন, উনি এর ভালো ব্যাখ্যা দিতে পারবেন। মিলমালিকদের ধরা হচ্ছে না এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমরা প্রায় খাতের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে সভা করে বাড়তি দামের ব্যাপারে ব্যাখ্যা চাচ্ছি। তাদের মতামত নিয়ে সরকারের কাছে দামের ব্যাপারে সুপারিশ করছি। কর্পোরেটদের বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছে। প্রতিযোগিতা কমিশন সেটা করেছে। কাজেই কর্পোরেটদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় না সেটা বলা যাবে না।

শুধু বড় বড় বাজারে নয়, রাজধানীর বিভিন্ন অলিগলির ছোট দোকানেও দেখা গেছে বেশি দাম ছাড়া পাওয়া যাচ্ছে না চিনি। আবার আগের কম রেটের তেল বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে।

আরইউ/এএস

Header Ad
Header Ad

খামেনিকে হত্যার পরিকল্পনা ছিল: স্বীকার করলেন ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি এবং ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ। ছবি: সংগৃহীত

সম্প্রতি ইরান-ইসরায়েল সংঘর্ষের সময় ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিল ইসরায়েল— এমন বিস্ফোরক দাবি করেছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ।

ইসরায়েলের চ্যানেল ১৩-এ দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কাটজ বলেন, “আমরা খামেনিকে হত্যা করতে চেয়েছিলাম, কিন্তু সেই সুযোগ তৈরি হয়নি।” তার দাবি, ইরানের শীর্ষ এই নেতা হামলার আশঙ্কায় আত্মগোপনে চলে যান এবং তার বাহিনীর নতুন নেতাদের সঙ্গেও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করেন।

তবে বাস্তবে খামেনি ওই সময় একাধিকবার প্রকাশ্যে ভিডিও বার্তা দেন, এবং তার বাহিনীর সঙ্গে সম্পৃক্ততার প্রমাণও পাওয়া যায়— যা কাটজের দাবিকে প্রশ্নবিদ্ধ করে।

আরো চাঞ্চল্যকরভাবে কাটজ বলেন, এই ধরনের হামলার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের অনুমতি প্রয়োজন ছিল না, যার মাধ্যমে তিনি আগের কিছু সংবাদমাধ্যমের সেই দাবি প্রত্যাখ্যান করেন যে, ওয়াশিংটন এ ধরনের পরিকল্পনায় অসম্মতি জানিয়েছিল।

বিশ্লেষকদের মতে, খামেনির মতো একজন ধর্মীয় ও রাজনৈতিক নেতার ওপর হামলা হলে তা পুরো মধ্যপ্রাচ্য তথা বিশ্বজুড়ে চরম উত্তেজনা সৃষ্টি করত। তিনি শুধু ইরানের নয়, বিশ্বের কোটি কোটি শিয়া মুসলমানের কাছে এক শীর্ষ ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব।

এই মন্তব্য এমন সময় এলো, যখন ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর হামলা এবং তার পরবর্তী প্রভাব নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে তুমুল বিতর্ক চলছে। কাটজ আরও বলেন, “ইরান যদি পারমাণবিক কর্মসূচি পুনরায় শুরু করে, তাহলে আমরা আবারো হামলা চালাতে প্রস্তুত।”

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এ প্রসঙ্গে বলেন, “ইরানের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই একটি বড় বিজয় এনে দিয়েছে, যা আরব বিশ্বের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক সম্প্রসারণের সুযোগ সৃষ্টি করেছে।” তিনি ২০২০ সালের ‘আব্রাহাম চুক্তি’র প্রসঙ্গও টানেন।

তবে পাল্টা অবস্থান নিয়েছে ইরান। তেহরান জানায়, তাদের জবাবি হামলাই ইসরায়েলকে যুদ্ধ থামাতে বাধ্য করেছে এবং দেশটির অভ্যন্তরে বড় ধ্বংসযজ্ঞ সৃষ্টি করেছে। তারা দাবি করে, ইসরায়েলের মূল লক্ষ্য— ইরানের পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি বন্ধ করা— ব্যর্থ হয়েছে।

সূত্র : আলজাজিরা

Header Ad
Header Ad

জঙ্গি সম্পৃক্ততার অভিযোগে মালয়েশিয়ায় ৩৬ বাংলাদেশি আটক

ছবি: সংগৃহীত

মালয়েশিয়ায় আইএস মতাদর্শে অনুপ্রাণিত একটি বিদেশি জঙ্গি চক্রের বিরুদ্ধে পরিচালিত নিরাপত্তা অভিযানে ৩৬ জন বাংলাদেশিকে আটক করেছে দেশটির পুলিশ। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাতুক সেরি সাইফুদ্দিন নাসিউশন ইসমাইল।

মন্ত্রী জানান, সেলাঙ্গর ও জোহর রাজ্যে ২৪ এপ্রিল থেকে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত তিনটি ধাপে পরিচালিত সমন্বিত অভিযানে এই বাংলাদেশিদের আটক করা হয়।

আটকদের মধ্যে পাঁচজনের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে সন্ত্রাসবাদবিরোধী আইনে মামলা চলমান রয়েছে, যা শাহ আলম ও জোহর বাহরুর সেশন কোর্টে বিচারাধীন। অপরদিকে ১৫ জনকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং বাকি ১৬ জনের বিষয়ে তদন্ত প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

মালয়েশিয়ার গোয়েন্দা শাখার তথ্যমতে, এই চক্র ইসলামিক স্টেট (আইএস) মতাদর্শে বিশ্বাসী এবং তারা সেই চরমপন্থী চিন্তাধারা মালয়েশিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছিল। তাদের উদ্দেশ্য ছিল স্থানীয় প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটির মধ্যে ভিত্তি গড়ে তোলা, চরমপন্থী ভাবধারা প্রচার, অর্থ সংগ্রহ এবং নিজ দেশে সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে সহায়তা করা।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন সাফ জানিয়ে দেন, “মালয়েশিয়াকে কেউ জঙ্গি তৎপরতার ঘাঁটি কিংবা ট্রানজিট হাব হিসেবে ব্যবহার করার চেষ্টা করলে, কঠোরভাবে দমন করা হবে। মালয়েশিয়া কখনোই চরমপন্থীদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল হতে দেবে না।”

তিনি বলেন, এই সফল অভিযান মাদানি সরকারের দৃঢ় অবস্থান এবং জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষায় শূন্য সহনশীলতার প্রমাণ। একইসঙ্গে, দেশি-বিদেশি নিরাপত্তা সংস্থার সঙ্গে সমন্বয়, গোয়েন্দা নজরদারি এবং আইনের কঠোর প্রয়োগ অব্যাহত থাকবে।

Header Ad
Header Ad

বন্ধুর বাড়িতে ঘুমের ওষুধ খেয়ে হিরো আলমের আত্মহত্যার চেষ্টা

ছবি: সংগৃহীত

বগুড়ার ধুনটে ঘনিষ্ঠ বন্ধুর বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল আলম হিরো আলম ঘুমের ওষুধ সেবন করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। শুক্রবার (২৭ জুন) দুপুর ১২টায় হিরো আলমকে অচেতন অবস্থায় ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান বন্ধু নাট্যকার জাহিদ হাসান সাগর।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) রাত ৩টার দিকে বগুড়ার ধুনট উপজেলার ভান্ডারবাড়ি গ্রামে বন্ধু নাট্যকার জাহিদ হাসান সাগরের বাড়িতে বেড়াতে যান হিরো আলম। সেখানেই রাতে দুই বন্ধু আলাদা কক্ষে ঘুমাতে যান। পরদিন শুক্রবার (২৭ জুন) সকাল ১১টার দিকে হিরো আলমকে ঘুম থেকে না উঠতে দেখে জাহিদ তাকে ডাকতে গেলে তার পাশেই ঘুমের ওষুধ পড়ে থাকতে দেখতে পান। এরপর তাকে অচেতন অবস্থায় ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়।

চিকিৎসক ডা. মনিরুজ্জামান জানান, হিরো আলম ঘুমের ওষুধ সেবনের কারণে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে তার স্বজনরা স্থানান্তরে আপত্তি জানান। বর্তমানে তিনি শঙ্কামুক্ত আছেন।

বন্ধু জাহিদ হাসান বলেন, “হিরো আলম আমার দীর্ঘদিনের বন্ধু। তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন, বারবার বলছিলেন মানুষ তাকে অপমান করে, বিরক্ত করে। রিয়া মনিকে না পাওয়ার হতাশাও ছিল। আমার ধারণা, সেই মানসিক চাপ থেকেই তিনি এমন পদক্ষেপ নিয়েছেন।”

এ বিষয়ে ধুনট থানার ওসি ফয়জুল আলম বলেন, “ঘুমের ওষুধ সেবনের বিষয়টি আমরা জেনেছি। তিনি এখন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।”

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খামেনিকে হত্যার পরিকল্পনা ছিল: স্বীকার করলেন ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী
জঙ্গি সম্পৃক্ততার অভিযোগে মালয়েশিয়ায় ৩৬ বাংলাদেশি আটক
বন্ধুর বাড়িতে ঘুমের ওষুধ খেয়ে হিরো আলমের আত্মহত্যার চেষ্টা
বাংলাদেশের সঙ্গে সব বিষয়ে আলোচনায় ভারত প্রস্তুত: রণধীর জয়সওয়ালম  
সুন্দর বিশ্ব তৈরি করতে চায় বাংলাদেশ: ড. ইউনূস
উড্ডয়নের পর ইঞ্জিনে ত্রুটি, ঢাকায় ফিরল বিমানের ফ্লাইট
সেই পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়টি বিবেচনাধীন
দেশজুড়ে রথযাত্রা উৎসব শুরু আজ
ইরানকে যুক্তরাষ্ট্রের ৩০ বিলিয়ন ডলারের গোপন প্রস্তাব
প্রত্যেক জেলায় হাসপাতালের মত সিনেমা হলও দরকার: জাহিদ হাসান
দেশে ফিরতে ইরান থেকে পাকিস্তান পৌঁছেছেন ২৮ বাংলাদেশি
যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সিইসির সাক্ষাৎ
খুলনায় বিএনপির নেতার বাড়ি ভাঙচুর, এসআই সুকান্ত চুয়াডাঙ্গায় গ্রেপ্তার
বিশেষ সুবিধা: ১ জুলাই থেকে সরকারি চাকরিজীবীদের কার কত বেতন বাড়ছে
হানিয়া আমিরের সঙ্গে সিনেমায় অভিনয়, ভারতে দিলজিৎকে নিষিদ্ধের দাবি
আমি যদি ভবিষ্যতে শেখ হাসিনার মতো করি, আমারও পতন হবে: কাদের সিদ্দিকী
চীন ও পাকিস্তানের সঙ্গে জোট গড়ছে না বাংলাদেশ: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের নামে থাকা ৯৭৭ স্থাপনার নাম পরিবর্তন
যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা পেতে ‘পাবলিক’ রাখতে হবে সোশ্যাল মিডিয়ার প্রোফাইল
প্রকৃত ঘটনা জানলে হাসনাত আবদুল্লাহ তার ভুল বুঝতে পারবেন: দুদকের ডিজি