শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫ | ১৪ আষাঢ় ১৪৩২
Dhaka Prokash

বিশেষ সাক্ষাতকার

বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ‘মহানায়ক’ গানটি তৈরি করতে তিন বছর লেগেছে: মঞ্জুর-উল-আলম চৌধুরী

সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা সাড়াজাগানো গান ‘মহানায়ক’। এ গানটি লিখেছেন খ্যাতিমান গীতিকার ও কবি মঞ্জুর-উল-আলম চৌধুরী। তিনি পেশায় একজন ইজ্ঞিনিয়ার এবং রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক। কিন্তু গান ও কবিতা তার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। তার লেখা গান গেয়েছেন দেশের গুরুত্বপূর্ণ অনেক কণ্ঠশিল্পী। সেসব গানে উঠে এসেছে স্বদেশ, বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ এবং মা-মাটি ও মানুষের কথা। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা ‘মহানায়ক’ তার অন্যতম সেরা সৃষ্টি। মাল্টিমিডিয়া অনলাইন পত্রিকা ‘ঢাকাপ্রকাশ’-এর সঙ্গে আলাপচারিতায় তিনি ‘মহানায়নক’ লেখার প্রেক্ষাপট, গান লেখার অনুপ্রেরণা ও তার জীবন-স্বপ্ন নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন। ‘এডিটর’স টক’ শিরোনামের অনুষ্ঠানে তার সঙ্গে আলাপচারিতায় অংশ নিয়েছেন ‘ঢাকাপ্রকাশ’-এর প্রধান সম্পাদক, বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক মোস্তফা কামাল

মোস্তফা কামাল: মঞ্জুর-উল-আলম চৌধুরী, আপনাকে স্বাগত জানাচ্ছি। সম্প্রতি আপনার লেখা গান ‘মহানায়ক’ মুক্তি পেয়েছে। এ গানটি গেয়েছেন ওয়ারফেজ ব্যান্ডের প্রাক্তন ভোকালিস্ট খ্যাতিমান কণ্ঠশিল্পী মিজান রহমান। আলাপচারিতার শুরুতে ‘মহানায়ক’ লেখার অনুপ্রেরণা সম্পর্কে জানতে চাই।
মঞ্জুর-উল-আলম চৌধুরী: এ গান লেখার মূলেই দেশপ্রেম। বঙ্গবন্ধু ছিলেন বলেই আমরা বাংলাদেশ পেয়েছি। তার যে দীর্ঘ ঐতিহাসিক জীবন আমরা দেখেছি, সেটি বাংলাদেশের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িত। বাংলাদেশকে নিয়ে আমি ভাবি সবসময়ই। বেশ কয়েকটি শব্দ প্রায় সবসময়ই আমাকে গভীর ভাবে নাড়া দেয়। যেমন, বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযদ্ধা এবং বীরাঙ্গনা।
আমি মনে করি, একাত্তরের চেতনা ধারণ করেই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। মূলত আমার সব গানই এই চেতনাবোধ থেকে লেখা। যেহেতু বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বাধীনতার প্রধান নিয়ামক, তাকে নিয়ে তার এই জন্মশতবার্ষিকীতে একটা গান লেখার তীব্র আকাঙ্ক্ষা আমার ছিলো। এ আকাঙ্ক্ষাই গানটি লেখার প্রধান কারণ।

মোস্তফা কামাল: গানটি কবে লিখেছেন এবং লিখতে আপনার কতদিন সময় লেগেছে?
মঞ্জুর-উল-আলম চৌধুরী: ২০১৯-এর শুরু থেকেই আমি গানটি লেখার চেষ্টা করছিলাম। এ কাজটি আমার জন্য খুবই কঠিন ছিল। কারণ বঙ্গবন্ধুর মতো একজন ব্যক্তিত্বকে গানের লাইনে নিয়ে আসাটা সহজ কাজ নয়। গানের লাইনে তো সীমাবদ্ধতা থাকে। কমপ্লিট একটা গান লেখার ইচ্ছে আমার ছিল। ২০১৯ সালে অক্টোবর মাসে আমি ট্রেনে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা আসছিলাম, তখন আমার মধ্যে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে গান লেখার তীব্র এক ইচ্ছে কাজ করছিল। ট্রেনে দীর্ঘ ৫ ঘন্টা আমি এই গানটি নিয়েই একাগ্রভাবে কাজ করছিলাম। ট্রেন যখন ঢাকা প্রবেশ করল, তখন গানটির যে অবয়ব তৈরি হয়, সেটিতে আমি মোটামুটি সন্তুষ্ট হয়েছিলাম। আমার মনে হয়েছিল, কিছুটা হলেও বঙ্গবন্ধুকে আমার গানে ধারণ করতে পেরেছি।

মোস্তফা কামাল: বঙ্গবন্ধুকে নিজের ভেতরে ধারণ না করলে এমন একটি গান রচনা করা যায় না। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে গান সৃষ্টির পরে আপনার অনুভূতি কেমন ছিল? আপনার কি মনে হয়েছিল যে আপনি বেশেষ কিছু রচনা করে ফেলেছেন?
মঞ্জুর-উল-আলম চৌধুরী: আসলে গানটি লেখা শুরু করেছি অনেক আগে থেকে। ২০১৯-এর শুরু থেকে। আমি প্রথমে একটি লাইনও লিখতে পারছিলাম না। শব্দ লিখে যাচ্ছি কিন্ত মনে হচ্ছে যা লিখছি তাতে গান হবে না, যা বলতে চাচ্ছি বলা হচ্ছে না। ঠিকভাবে কিছুই প্রকাশ করতে পারছি না। এভাবে দিনের পর দিন গেছে। কিন্ত ট্রেনে ওইদিন যখন আমি শব্দগুলো বসাতে শুরু করলাম, প্রথম অন্তরার কিছু লাইন আমার উঠে গেল, তখন মনে হলে এইতো আমি পারছি। পরে ধীরে ধীরে প্রথম অন্তরা, দ্বিতীয় অন্তরা তৈরি হয়ে গেল। পরবর্তিতে আমাকে কিছু কিছু পরিবর্তন করতে হয়েছে। ট্রেনে মনে হচ্ছিল যে, আমি যা চাচ্ছি তা গান থেকেই বের হবে। তখন আমার অনুভূতিটি ছিল দারুণ।

মোস্তফা কামাল: উদ্বোধনের আগ পর্যন্ত গানটি নিয়ে আপনার ভাবনার জায়গাটি কেমন ছিল? অর্থাৎ গানটিতে কে সুর করবেন, কিভাবে চিত্রায়িত হবে কিংবা গানটির যথাযথ মূল্যায়ন হবে কিনা এ বিষয়ে আপনার ভাবনা কেমন ছিল?

মঞ্জুর-উল-আলম চৌধুরী: গানটি তৈরি করতে প্রায় তিন বছর লেগেছে। এটি একটি সন্তান মানুষ করার মতো। অতীতে আমি লেখালেখিতে ছিলাম না। আমি অন্য পেশার মানুষ। গানের সঙ্গে আমার সখ্যতা কম। তো গানটিকে মনে হয়েছে অতি যত্নে রাখার মতো একটা বিষয়। আগের গানগুলো আমি সেভাবে করতে পারিনি। আমি অনেকদিন ধরে এমন একজন সুরকার খুঁজছিলাম, যাকে দিয়ে সুর করালে গানটি পূর্ণতা পাবে। যাতে করে গানের কথাগুলো নষ্ট না হয়। খুঁজতে খুঁজতে অবশেষে আমি সরকার রাজেশ ঘোষের সন্ধান পেলাম। তিনি দারুণ সুর করেন এবং অসম্ভব ভালো একজন মানুষ। আমরা গানটি নিয়ে কথা বলি। আমাদের আলোচনায় উঠে আসে যে এটি কথাপ্রধান একটি গান। গানটির কথাগুলো যাতে নষ্ট না হয়ে যায়, সেভাবেই সুর করতে হবে। সুরকার রাজেশ ঘোষ গানটিতে তার সর্বোচ্চ চেষ্টা টাই করেছেন। সুর করার পরে গানটি গাওয়ার জন্য আমি বহু শিল্পীকে গানটি শুনিয়েছি। পরে শিল্পী মিজান রহমানকে পেলাম। তিনি তন্ময় হয়েও আমার গানটি শুনলেন। আমার মনে হচ্ছিলো সঠিক মানুষটিকেই আমি পেয়েছি। সুর তোলার আগেই করোনাকাল শুরু হলো। গানটিকে নিয়ে খুব চিন্তায় পরে গিয়েছিলাম। পরে ২০২১-এর সেপ্টেম্বরে গানটিতে কন্ঠ দেয়া হয়। এ গানটিতে সবার যত্ন আছে। আমরা যারা এটি পরিপূর্ণভাবে তৈরি করার পেছনে কাজ করেছি, প্রত্যেকেই গানটিকে খুব ভালোবাসি।

মোস্তফা কামাল: বঙ্গবন্ধু বা মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আপনার আর কোনো পরিকল্পনা আছে কিনা?
মঞ্জুর-উল-আলম চৌধুরী: যে বাংলাদেশে আমরা বাস করছি এবং এ দেশ যাদের রক্তের বিনিময়ে পেয়েছি, তাদের কিন্ত আমরা ভুলতে বসেছি। আমি আমার গানের মধ্য দিয়ে তাদের স্মরণ করিয়ে দিতে চাই। শুধু বঙ্গবন্ধু নয়, বীরাঙ্গনা ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়েও আমার গান রয়েছে।

মোস্তফা কামাল: মুক্তিযুদ্ধ, বীরাঙ্গনা ও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখার বিষয়টি আপনি কিভাবে নিজের ভেতর ধারণ করলেন?
মঞ্জুর-উল-আলম চৌধুরী: আমি অতীতে কখনও লিখিনি। মূলত মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কারণেই আমি গীতিকার হয়েছি। চেতনাটি এত গভীর যে আমার মতো অগভীর একজন মানুষের মধ্যেও অনেক শব্দ তৈরি হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দেশের জন্য যারা জীবন দিয়ে গেছেন, তাদেরকে আমরা যথাযথভাবে স্মরণ করছি না। তাদেরকে আমরা মূল্যায়ন করছি না। এই চেতনা থেকেই আমি সবগুলো গান লিখেছি। আমার সবগুল গান এমনভাবে লেখা হয়েছে , যাতে করে গান শুনলে এ দেশের নাগরিকদের মনে হয় মুক্তিযোদ্ধা, বীরাঙ্গনাকে আমাদের সম্মান করতে হবে। এ দেশকে মূল্যায়ন করতে হবে এবং বঙ্গবন্ধুর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে হবে। তাহলেই একাত্তরের চেতনা কাজ করবে। এ চেতনাবোধ ও দায়িত্ববোধ থেকেই আমি দেশের জন্যে লিখি।

মোস্তফা কামাল: আপনার কবি ও গীতিকার হয়ে ওঠার নেপথ্যের কথা যদি বলতেন, আপনি তো অতীতে লিখতেন না। হঠাৎ করে লেখালেখিতে আসার পেছনের ঘটনাটি আমরা জানতে চাচ্ছি।
মঞ্জুর-উল-আলম চৌধুরী: মুক্তিযুদ্ধের চেতনা থেকেই আমার লেখালেখিতে আসা। তবে ২০০৭ সালে চাকরিসূত্রে আমি বদলি হয়ে যাই রাজশাহীতে এবং প্রথম বারের মত আমি পরিবার ছাড়া ওখানে একা থাকি। একা থাকায় দায়িত্ব কম ছিল। প্রতিদিন অফিসেরকাজ শেষ করে পদ্মা নদীর পাড়ে হাঁটতে যেতাম। পদ্মার পাড় দিয়ে যখন হাটতাম, তখন পদ্মা নিয়ে আব্দুল আলীমের গান, নজরুলের গান মনে পরত । এ ভাবনাগুলোই সম্ভবত একসময় আমার মধ্যে কবিত্বের সৃষ্টি করে। এরপর থেকে আমি লিখেই চলেছি।

মোস্তফা কামাল: আমরা আশা করি, আপনার থেকে আরও ভালো গান পাব। আপনি সরকারি কাজ নিয়ে সবসময় অনেক ব্যস্ত থাকেন। লেখালেখির কখন করেন কিংবা লেখালেখির জন্য অবসর সময় পান কিনা?
মঞ্জুর-উল-আলম চৌধুরী: আমার লেখার জন্য অবসরের প্রয়োজন নেই। আমি তো গান লিখি। তাতে থাকে মাত্র কয়েকটি লাইন। যখন তখন মাথার ভেতরে শব্দ বা লাইনগুলো ঘুরতে থাকে, সেটি কাজ করতে থাকে, তখন বসে বসে কিংবা শুয়েও সম্ভব লেখা সম্ভব। যেহেতু আমি অনেক শব্দ দিয়ে বড়ো কোনো উপন্যাস লিখি না আপনার মতো, উপন্যাস লেখার ক্ষেত্রে আপনাকে অনেকগুলো প্লট চিন্তা করতে হয় এবং সেই প্লট ধরে এগুতে হয়। আমার সেই ঝামেলা নেই। আমি নির্দিষ্ট একটি ভাবনা নিয়ে থাকি। সেই ভাবনা বা মেসেজটি কোন কোন শব্দ দিয়ে তৈরি করে যেতে পারে এবং গানের অন্তরা যাতে ঠিক থাকে ও মানুষের কাছে যাদে মেসেজটি ঠিকভাবে পৌঁছায় এটিই আমার ভাবনা।

মোস্তফা কামাল: গান নিয়ে আমরা আপনার ভ‌বিষ্যৎ পরিকল্পনা জানতে চাই?
মঞ্জুর-উল-আলম চৌধুরী: দেশ ও মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক গান আমি লিখে যাব। সবধরণের গান আমি শুনি, তবে আধুনিক গান সবচেয়ে বেশি শুনি। কারণ আধুনিক গান মানেই নতুন প্রজন্মের গান। আমাদের নতুন প্রজন্ম কী করছে, সংগীত জগতে নতুন প্রজন্ম কী কন্ট্রিবিউসন করছে এবং গান নিয়ে তাদের ভাবনা কী, এটি আমার জানার খুব ইচ্ছে। যখনই কোন ভালো একটি নতুন গান বের হয়, তখনই আমি খুশি হয়ে যাই। আমি অনেক গান লিখে যাব, তবে যা লিখব তা যেন বাংলাদেশের সংগীত জগতকে সমৃদ্ধ করতে পারে, সেই আকাঙ্ক্ষাই রইল।

 

 

 

Header Ad
Header Ad

আল নাসরে রোনালদোর নতুন চুক্তি: ঘণ্টায় পাচ্ছেন ৬৫ লাখ টাকা, বছরে কত?

ছবি: সংগৃহীত

সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে সৌদি ক্লাব আল নাসরের সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করলেন পর্তুগিজ মহাতারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। ইউরোপে ফেরার গুঞ্জনকে নস্যাৎ করে, ২০২৭ সাল পর্যন্ত ক্লাবটিতে থাকার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশিত এক ভিডিওবার্তায় বিষয়টি নিশ্চিত করে আল নাসর।

ভিডিওটিতে সমুদ্রতটে হাঁটতে দেখা যায় রোনালদোকে। শেষ দৃশ্যে তার মুখে শোনা যায়—"আল নাসর ফরএভার।"

চুক্তির আর্থিক শর্তাবলি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা না হলেও, স্পেনের এএস এবং যুক্তরাজ্যের দ্য সান–এর বরাতে পাওয়া তথ্যে বোঝা যায়, এটি খেলাধুলার ইতিহাসে অন্যতম বিশাল চুক্তি।

এএস-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, রোনালদোর নতুন বার্ষিক আয় হবে ৪৬৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার—যা টাকার অঙ্কে প্রায় ৫৭২০ কোটি টাকা! তার মাসিক আয় ৪৭৬ কোটি টাকারও বেশি, দৈনিক আয় প্রায় ১৫৭ কোটি টাকা। আর প্রতি ঘণ্টায় তার আয় দাঁড়ায় প্রায় ৬৫ লাখ টাকা। প্রতি মিনিটে ১ লাখ ৯ হাজার ও প্রতি সেকেন্ডে রোনালদো আয় করছেন প্রায় ১,৮০০ টাকা!

দ্য সান-এর দাবি, রোনালদো আল নাসরের হয়ে গোল্ডেন বুট জিতলে পাবেন ৪০ লাখ পাউন্ড, আর ক্লাব যদি লিগ শিরোপা জেতে, মিলবে আরও ৮০ লাখ পাউন্ড বোনাস। প্রতিটি গোলেই থাকছে ৮০ হাজার পাউন্ড পুরস্কার, যা দ্বিতীয় বছরে ২০% বাড়বে।

এ ছাড়া চুক্তির আওতায় রোনালদো পেয়েছেন আল নাসরের ১৫% মালিকানা, যার বাজারমূল্য প্রায় ৩৩ মিলিয়ন পাউন্ড। শুধু চুক্তি সইয়ের জন্যও মিলেছে অতিরিক্ত ২৪.৫ মিলিয়ন পাউন্ড, যা দ্বিতীয় বছরে পৌঁছাবে ৩৮ মিলিয়নে।

সার্বক্ষণিক ১৬ জন স্টাফ—ড্রাইভার, রাঁধুনি, নিরাপত্তারক্ষী থেকে শুরু করে হাউসকিপার পর্যন্ত—রাখা হয়েছে রোনালদোর জন্য। রয়েছে প্রাইভেট জেট ব্যবহারের খরচ (৪০ লাখ পাউন্ড), এবং ৬০ মিলিয়ন পাউন্ড মূল্যের স্পনসরশিপ সুবিধাও।

এক সূত্র জানায়, “আল নাসর ও সৌদি কর্তৃপক্ষ জানে, রোনালদো শুধু একজন খেলোয়াড় নন, তিনি এই লিগের পোস্টার বয়। তাকে ধরে রাখতে হলে ‘সোনায় মোড়ানো’ প্রস্তাব দিতে হতো—আর সেটাই তারা করেছে।”

২০২২ সালের ডিসেম্বরে আল নাসরে যোগ দেওয়ার পর থেকে ক্লাবটির হয়ে ১০৫ ম্যাচে ৯৩ গোল করেছেন রোনালদো। গত মৌসুমে সৌদি প্রো লিগে সর্বোচ্চ ২৫ গোল করে জিতেছেন গোল্ডেন বুট।

Header Ad
Header Ad

বাংলাদেশের কাপড়-পাট-সুতার পণ্য আমদানিতে ভারতের নিষেধাজ্ঞা

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ থেকে কাপড়, পাট ও সুতার নির্দিষ্ট কিছু পণ্যের আমদানিতে সীমাবদ্ধতা আরোপ করেছে ভারত। নতুন এই নিষেধাজ্ঞার ফলে আর স্থলবন্দর ব্যবহার করে এসব পণ্য দেশটিতে প্রবেশ করতে পারবে না। শুধুমাত্র মহারাষ্ট্রের ‘নাহভা শেভা’ সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে এসব পণ্য ভারতে আমদানি করা যাবে।

শুক্রবার (২৭ জুন) ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এক বিবৃতিতে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান।

বিবৃতিতে বলা হয়, সীমান্তবর্তী কোনো স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশের পাটজাত পণ্য, একাধিক ভাঁজের বোনা কাপড়, একক শণ সুতা, ব্লিচ না করা পাটের কাপড়— এসব পণ্য আমদানি করা যাবে না। এর পরিবর্তে শুধুমাত্র নির্ধারিত সমুদ্রবন্দর দিয়ে প্রবেশের অনুমতি থাকবে।

তবে এই নিষেধাজ্ঞা নেপাল ও ভুটানে রপ্তানির উদ্দেশ্যে ভারতের ওপর দিয়ে পরিবাহিত বাংলাদেশি পণ্যের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না। যদিও ওইসব পণ্য ভারতে পুনরায় প্রবেশের সুযোগ থাকবে না।

এর আগে গত ১৭ মে ভারত একই ধরনের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল তৈরি পোশাক ও প্রক্রিয়াজাত খাদ্যসামগ্রীর ক্ষেত্রে। সে সময়ও বলা হয়, এসব পণ্য শুধু নাহভা শেভা ও কলকাতা সমুদ্রবন্দর দিয়েই প্রবেশ করতে পারবে।

এছাড়া ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোর বিভিন্ন স্থলবন্দর এবং পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্ধা ও ফুলবাড়ি সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশের ফল, কার্বনেটেড পানীয়, তুলার বর্জ্য, পিভিসি পণ্য, কাঠের আসবাবপত্রসহ বেশ কিছু পণ্যের আমদানিতেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

তবে বাংলাদেশ থেকে মাছ, এলপিজি, ভোজ্যতেল ও চূর্ণী পাথর এই নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত থাকবে বলে জানিয়েছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ।

Header Ad
Header Ad

‘কাঁটা লাগা’ খ্যাত অভিনেত্রী শেফালী জারিওয়ালা মারা গেছেন

শেফালী জারিওয়ালা। ছবি: সংগৃহীত

বলিউডে ‘কাঁটা লাগা’ গার্ল হিসেবে পরিচিতি পাওয়া জনপ্রিয় অভিনেত্রী শেফালী জারিওয়ালা আর নেই। মাত্র ৪২ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করলেন এই গ্ল্যামারাস তারকা। তার আকস্মিক মৃত্যুতে বলিউড অঙ্গনে নেমে এসেছে গভীর শোক।

ভারতীয় বিনোদনমাধ্যম পিংকভিলা জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে শেফালীর স্বামী অভিনেতা পারাস টাইগি তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই সব শেষ হয়ে যায়। চিকিৎসকরা জানান, শেফালীকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল।

শেফালী জারিওয়ালা। ছবি: সংগৃহীত

তার মৃত্যুর সঠিক কারণ এখনও নিশ্চিত না হলেও প্রাথমিকভাবে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই তার মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার আগ পর্যন্ত মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।

২০০২ সালে 'কাঁটা লাগা' গানের রিমেক ভিডিওতে অভিনয়ের মাধ্যমে শেফালী জারিওয়ালা রাতারাতি বলিউডে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। তুমুল আলোচিত ওই মিউজিক ভিডিওর পর তিনি বেশ কয়েকটি গানের ভিডিও এবং রিয়েলিটি শোতেও অংশ নিয়েছেন। ২০১৯ সালে তিনি ‘বিগ বস ১৩’-এ অংশ নিয়ে আবারও আলোচনায় আসেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

আল নাসরে রোনালদোর নতুন চুক্তি: ঘণ্টায় পাচ্ছেন ৬৫ লাখ টাকা, বছরে কত?
বাংলাদেশের কাপড়-পাট-সুতার পণ্য আমদানিতে ভারতের নিষেধাজ্ঞা
‘কাঁটা লাগা’ খ্যাত অভিনেত্রী শেফালী জারিওয়ালা মারা গেছেন
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের জন্মদিন আজ
ই-অরেঞ্জ-এর সিইও ও যুবলীগ নেতা আমান উল্লাহ গ্রেপ্তার
ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে বাস-ট্রাক সংঘর্ষ, নিহত ৪
বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানের ওপর ইইউর নিষেধাজ্ঞা চায় ইউক্রেন
খিলক্ষেতে মণ্ডপ সরানোর বিষয়ে ব্যাখ্যা দিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
কুমারখালীতে এনসিপির পদ পেলেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা, সমালোচনার ঝড়
দেশে করোনায় আরও একজনের মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ১০ জন
১১ নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ উইন্ডিজ ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে
গাজায় হামাসের হামলায় ৩ দিনে ১৫ ইসরায়েলি সেনা নিহত
বেনাপোল বন্দরে কাগজপত্রবিহীন প্রায় ২ কোটি টাকার নিষিদ্ধ পণ্য জব্দ
ডেঙ্গুতে আরও দুজনের মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ১৫৯
ব্যবসায়ীকে দাড়ি ধরে টানা হেঁচড়া-মারধরের ঘটনায় আসামি নাসিম গ্রেপ্তার
অভিমান ভুলে বুকে জড়িয়ে নিলেন রিয়া মনি, হিরো আলমকে নিয়ে ছুটলেন ঢাকায়
এক মিনিট আগেও অফিস ছাড়তে পারবেন না সরকারি চাকরিজীবীরা
প্রেমিককে ভিডিও কলে রেখে জীবন দিলেন কলেজছাত্রী
সাবেক সিইসি নূরুল হুদা আরও ৪ দিনের রিমান্ডে
মিরপুরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়ক বিভাজকে উঠে গেল বাস, নিহত ১