মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫ | ১৭ আষাঢ় ১৪৩২
Dhaka Prokash

নতুন শো হওয়ার আগে আমি আতঙ্কিত থাকি: ত্রপা মজুমদার

বিশ্বখ্যাত নাট্যকার এ আর গার্নির ‘লাভ লেটারস’-এর পাঠাভিনয়ে দেখা যাবে দেশ বরেণ্য দুই অভিনয়শিল্পী রামেন্দু মজুমদার ও ফেরদৌসী মজুমদারকে। রাজধানীর মহিলা সমিতির নীলিমা ইব্রাহিম মিলনায়তনে শুক্রবার (৫ মে) ও শনিবার (৬ মে) সন্ধ্যা ৭টায় নাটকের প্রথম ও দ্বিতীয় প্রদর্শনী হবে। নাটকটির অনুবাদ করেছেন অধ্যাপক আবদুস সেলিম। নাটক ও অন্যান্য প্রসঙ্গে ঢাকাপ্রকাশ-এর সঙ্গে কথা বলেছেন এই নাটকের নির্দেশক ত্রপা মজুমদার-

ঢাকাপ্রকাশ: ‘লাভ লেটারস’ নাটকটি সম্পর্কে জানতে চাই

ত্রপা মজুমদার: এই নাটকটি আমরা ২০১৭ সালে করার উদ্যোগ নিয়েছিলাম। তখন আলী যাকের একটু অসুস্থ ছিলেন। আমাদের তখন মনে হয়েছিল উনাকে নিয়ে যদি মঞ্চে বিশেষ কিছু করা যায়, যতটুকু উনার শরীর সাপোর্ট করে। লাভ লেটারস যেহেতু বসে পাঠ, সে কারণেই নাটকটি নির্বাচন করা। উনিও পছন্দ করতেন ফেরদৌসী মজুমদারের সঙ্গে অভিনয় করা। মা-ও সহশিল্পী হিসেবে আলী যাকেরকে ভীষণ পছন্দ করতেন। এই কারণেই এই দুজনকে নিয়ে নাটকটি করার পরিকল্পনা করি। তারপর আবদুস সেলিম স্যারকে বলি, স্যারও খুব তাড়াতাড়ি এটাকে বাংলায় রূপান্তর করে দেন। ২০১৭ এর ১৫ অক্টোবর আলী যাকেরের বাড়িতে সেলিম স্যার এটা পড়ে শোনান। এটা শুনে উনি খুব পছন্দ করেন। কাজটি করার জন্য আলী যাকের খুব উৎসাহী ছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে শরীরটা একটু বেশি খারাপ হয়ে যায়, বারবার আমরা উদ্যোগ নিয়েও আর কাজটি করতে পারিনি। একটা পর্যায়ে আলী যাকের রামেন্দু মজুমদারকে বলেছিলেন আপনার শুরু করুন। আসলে পরে তো কাজটি করা হয়নি। এখন উনাকে উৎসর্গ করেই নাটকটি আমরা মঞ্চে আনছি রামেন্দু মজুমদার ও ফেরদৌসী মজুমদারকে নিয়ে।

ঢাকাপ্রকাশ: ‘লাভ লেটারস’ প্রথম শো শুক্রবার (৫ মে)। কিংবদন্তি দুজন অভিনেতা অভিনেত্রী আপনার নির্দেশনায় মঞ্চে উঠবে। কোনো ভয় অনুভব হচ্ছে কী?

ত্রপা মজুমদার: আমি তো ভীষণ আতঙ্কিত। যেকোনো নতুন নাটকের শো হওয়ার আগে আমি খুব আতঙ্কিত থাকি। এটার ক্ষেত্রে আমার আরও আতঙ্ক বেশি কারণ, মানুষ এখন খুবই অস্থির, আমরা কিছু দেখতে এলেই প্রতি পলকে পলকে চমক প্রত্যাশা করি। সেখানে একটা ঘন্টা দুটি মানুষ চেয়ারে বসে পাঠ করবেন সেটা কতোটা ধৈর্য্য নিয়ে মানুষ শুনবে এই শঙ্কা আমার মধ্যে কাজ করছে। দেখা যায় শেষ পর্যন্ত কি হয়।

ঢাকাপ্রকাশ: যেহেতু আলী যাকের কাজটি করার কথা ছিল। পরবর্তীতে আলী যাকেরের কথাতেই আপনার বাবাকে তার জায়গায় যুক্ত করেছেন। একজন নির্দেশক হিসেবে আলী যাকেরকে নিয়ে আপনার যে প্রত্যাশা ছিল, সেটা কি রামেন্দু মজুমদার পূরণ করতে পেরেছে?

ত্রপা মজুমদার: আসলে দুজনতো দুই মানুষ। দুই ধরনের মানুষ। আমি যখন যে অভিনেতাকে নিয়ে কাজ করি তখন তার কাছে তার মতোই প্রত্যাশা করি। আলী যাকেরেরটা আলী যাকেরের মত আর বাবারটা বাবার মতোন। কাজেই এটা আসলে একই প্রত্যাশা বা প্রাপ্তিতে গেলে ভুল হবে। আলী যাকের একজন মহান অভিনেতা।

ঢাকাপ্রকাশ: আপনি অনেক নাটকের নির্দেশনা দিয়েছেন। আপনার আগের নাটকগুলোকে এই নতুন নাটকটি কতোটা ছাড়িয়ে যেতে পারবে বলে মনে করেন?

ত্রপা মজুমদার: হাহাহা...আমি জানি না। একেবারেই জানি না। এটাতো একেবারেই অন্যরকম, বসে পাঠ, কাজেই ছাড়াছাড়ির বিষয় নাই। আমি চেষ্টা করেছি এই প্রযোজনাটি স্ক্রিপ্টের প্রতি সঠিক বিচার বিশ্লেষন করে কাজটি করার।

ঢাকাপ্রকাশ: আপনার বাবা-মায়ের সঙ্গে এর আগেও অনেক কাজ করেছেন। তাদের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা কেমন?

ত্রপা মজুমদার: এটা আসলে আমি সব জায়গায়তেই স্পষ্ট করে বলেছি। আমি যখন কোনো প্রযোজনাতে কাজ করি, তখন বাবা মা ভাই বোন ছেলে মেয়ে এগুলো আমার মাথায় বিন্দুমাত্র কাজ করে না। একদমই কাজ করে না। কারণ আমি যদি অভিনেতা হই তারা তখন আমার সহভিনেতা। আমি যদি নির্দেশক হই তারা তখন আমার অভিনেতা। আমি যদি ব্যাক স্টেজে কাজ করি তাদের মধ্যে কেউ যদি নির্দেশক হয় আমি তাদের ক্রু। কাজেই তখন প্রযোজনায় যার যে ভূমিকা সেটাই মাথায় থাকে, সম্পর্কের কথা ভুলে যাই। অবশ্যই যে বিষয়টা মাথায় কাজ করে ফেরদৌসী মজুমদার-রামেন্দু মজুমদার তারাতো একটা বিষয়, বড় ব্যাপার, কাজেই সেই মানুষগুলোকে নির্দেশনা দিচ্ছি সেটা মাথায় রেখেই কাজটা করি। আর উনারাই আসলে সহজ করে দেন। আর উনাদের দর্শনেই উনারা বিশ্বাস করেন-নির্দেশক আসলে নির্দেশকই সে ছোটো হোক বা বড় হোক। তাই উনারাই কাজটা করতে সহজ করে দেন।

ঢাকাপ্রকাশ: অভিনয়ে আপনি খুব বেশি সরব নন কেন?

ত্রপা মজুমদার: আমি মঞ্চে নিয়মিতই কাজ করি। কিন্তু নির্দেশনার কাজটা, দলে অনেকটাই করি। যখন নির্দেশনা দেই তখন অভিনয়টা করি না। একই সঙ্গে নির্দেশনা ও অভিনয়ের কাজটা খুব একটা করতে চাই না। আসলে একসঙ্গে পারিও না। কারণ নির্দেশনায় এতো বেশি ইনভলমেন্ট থাকে তাতে অভিনয় করতে গেলে চরিত্রের প্রতি সঠিক বিচার করা সম্ভব হয় না। তবে মঞ্চে অভিনয় নিয়মিত করি। কিন্তু টেলিভিশনে বেশি কাজ করা হয় না। যেহেতু আমি অন্য আরও একটা পেশায় যুক্ত। আজকাল যারা স্ত্রিণে কাজ করে তাদের ওটাই প্রফেশন। আমি যে কাজ করতে চাই না তা নয়। এখন অনেক ভালো ভালো কাজ হচ্ছে। স্পেশালি ওটিটিতে অনেক ভালো কাজ হচ্ছে। এসব দেখে কাজ করতে ইচ্ছে করে। স্ক্রিণে কাজ করতে চাই। আর চলচ্চিত্রে কাজ করার বিশাল লোভও আছে আমার। আমি যদি চলচ্চিতে কাজ করতে পারি তবে ভালো লাগবে।

ঢাকাপ্রকাশ: যেহেতু চলচ্চিত্রে কাজের প্রতি আপনার এতো লোভ আছে, তারপরও চলচ্চিত্রের কাজে আপনাকে দেখা যায় না কেন?

ত্রপা মজুমদার: আসলে আমি যেভাবে মনে করছি নির্দেশকরা হয়তো ওভাবে মনে করছে না। তবে আমি চলচ্চিতে কাজ করতে চাই সময় সুযোগ পেলে।

এএম/এএস

Header Ad
Header Ad

ফাঁস হওয়া ফোনালাপের জেরে থাই প্রধানমন্ত্রী বরখাস্ত

থাই প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা। ছবি: সংগৃহীত

থাইল্যান্ডে রাজনৈতিক উত্তেজনা নতুন মোড় নিয়েছে। ফাঁস হওয়া এক ফোনালাপের জেরে দেশটির সংবিধানিক আদালত প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে। কম্বোডিয়ার সাবেক নেতা হুন সেনের সঙ্গে আলোচিত ওই কথোপকথনে পেতংতার্ন তাকে “চাচা” বলে সম্বোধন করেন এবং থাই সেনাবাহিনীর এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার সমালোচনা করেন।

এই ফোনালাপ সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হলে জনমনে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। ফলে তার অপসারণ দাবিতে একটি পিটিশন দায়ের করা হয়, যার প্রেক্ষিতে আদালত তার পদত্যাগ না হওয়া পর্যন্ত তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে। আদালতের নয়জন বিচারকের মধ্যে সাতজন বরখাস্তের পক্ষে রায় দেন। একই সঙ্গে তাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য ১৫ দিনের সময় দেওয়া হয়েছে।

এ পরিস্থিতিতে উপ-প্রধানমন্ত্রী সুরিয়া জুংরুংরুয়াংকিত ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন।

এ ঘটনার মাধ্যমে থাই রাজনীতিতে প্রভাবশালী সিনাওয়াত্রা পরিবারের আরেক সদস্য ক্ষমতা হারানোর মুখে পড়লেন। পেতংতার্ন হতে যাচ্ছেন এই পরিবারের তৃতীয় সদস্য যিনি পূর্ণ মেয়াদ শেষ করার আগেই ক্ষমতা হারাবেন। এর আগে তার পিতা থাকসিন এবং ফুফু ইংলাক সিনাওয়াত্রা সামরিক হস্তক্ষেপে ক্ষমতা হারিয়েছিলেন।

পেতংতার্নের নেতৃত্বাধীন জোট সরকার ইতোমধ্যেই টালমাটাল অবস্থায় রয়েছে। দুই সপ্তাহ আগে একটি গুরুত্বপূর্ণ রক্ষণশীল মিত্র দল জোট ত্যাগ করেছে, ফলে সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানোর মুখে পড়েছে।

এই পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে, কারণ একই দিনে পেতংতার্নের পিতা, সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার বিরুদ্ধেও শুরু হয় রাজকীয় অবমাননার মামলা। অভিযোগ অনুযায়ী, তিনি নয় বছর আগে একটি দক্ষিণ কোরিয়ান সংবাদপত্রে রাজপরিবার সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করেছিলেন। বর্তমানে তিনি “লেসে মাজেস্তে” আইনের আওতায় বিচারাধীন।

থাকসিন থাইল্যান্ডের সবচেয়ে আলোচিত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের একজন। ১৫ বছর নির্বাসনে থাকার পর তিনি ২০২৩ সালে দেশে ফেরেন। তার ফেরার পেছনে রাজনৈতিক সমঝোতা কাজ করেছিল, যা হয়েছিল তার দল পিউ থাই পার্টি এবং সেনাবাহিনী ও রাজপরিবার ঘনিষ্ঠ রক্ষণশীল গোষ্ঠীর সঙ্গে।

 

থাই প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা। ছবি: সংগৃহীত

৩৮ বছর বয়সী পেতংতার্ন থাইল্যান্ডের ইতিহাসে দ্বিতীয় নারী প্রধানমন্ত্রী এবং সবচেয়ে কমবয়সী প্রধান নির্বাহী। স্রেত্তা থাভিসিন বরখাস্ত হওয়ার পর তিনি প্রধানমন্ত্রী হন। তবে দায়িত্ব নেওয়ার শুরু থেকেই তিনি চাপে ছিলেন। দেশের দুর্বল অর্থনীতি চাঙ্গা করতে না পারায় জনপ্রিয়তা দ্রুত হ্রাস পায়—যেখানে মার্চে তার জনপ্রিয়তা ছিল ৩০.৯ শতাংশ, তা গত সপ্তাহে কমে দাঁড়ায় মাত্র ৯.২ শতাংশে।

ফাঁস হওয়া ফোনালাপের দায় স্বীকার করে তিনি দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং বলেন, এটি ছিল সাম্প্রতিক সীমান্ত সমস্যা নিয়ে “কৌশলগত আলোচনা”। কিন্তু রক্ষণশীল রাজনীতিবিদরা বলছেন, এতে থাই সেনাবাহিনীর মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হয়েছে এবং এটি ছিল কম্বোডিয়ার প্রতি অযথা নমনীয়তা।

সব মিলিয়ে থাইল্যান্ড এখন রাজনৈতিকভাবে একটি গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছে। পেতংতার্নের ভাগ্য নির্ধারণ করবে সংবিধানিক আদালতের চূড়ান্ত রায়, যা রাজনীতিতে নতুন মেরুকরণ ও উত্তেজনার জন্ম দিতে পারে।

Header Ad
Header Ad

স্বৈরাচার পতনে ১৬ বছর অপেক্ষা নয়, তাৎক্ষণিক প্রতিরোধ গড়ার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র রক্ষার লক্ষ্যে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, "জুলাই শুধু একটি মাস নয়, এটি গণজাগরণ, ঐক্য ও গণতান্ত্রিক চেতনার প্রতীক। চলুন, সবাই মিলে এই জুলাইকে পরিণত করি গণজাগরণ এবং জাতীয় ঐক্যের মাসে।"

মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে মাসব্যাপী ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান’ স্মরণ অনুষ্ঠানের উদ্বোধনে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করা হয় বাংলাদেশ টেলিভিশনে।

ড. ইউনূস আরো বলেন, স্বৈরাচার পতনের জন্য যেন ১৬ বছর অপেক্ষা করতে না হয়—এই লক্ষ্যেই কাজ চলছে। তিনি শক্ত কণ্ঠে বলেন, "আগামী দিনে কেউ যদি স্বৈরাচার হবার চেষ্টা করে, তাহলে জনগণ যেন সঙ্গে সঙ্গে তাদের পতন ঘটায়। কারণ যখন জনগণ রাস্তায় নামে, তখন কোনো শক্তিই তা থামাতে পারে না।"

তিনি জানান, আমরা ইতিহাস থেকে শিক্ষা গ্রহণ করছি যে, পথ যতই কঠিন হোক না কেন, জনগণের ঐক্য এবং গণজাগরণই শেষ পর্যন্ত বিজয়ী হয়। জুলাই আন্দোলনের মূল বিষয় ছিল—ফ্যাসিবাদ ও স্বৈরাচার রুখে দিয়ে একটি নতুন বাংলাদেশ গঠনের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা। বর্তমান সরকারও সেই লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে, যাতে আর কখনো স্বৈরাচার মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে।

ড. ইউনূস স্মরণ করিয়ে দেন, ১৬ বছর আগে একটি ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে বিদ্রোহ শুরু হয়েছিল। "আমরা তাৎক্ষণিকভাবে টার্গেট পূরণ করেছিলাম, কিন্তু মূল লক্ষ্য ছিল একটি নতুন রাষ্ট্রব্যবস্থার ভিত্তি নির্মাণ। আমাদের প্রত্যাশা, প্রতি বছর এই মাসটিকে স্মরণ করা হোক এবং স্বৈরাচারের ছায়া পড়লেই তাৎক্ষণিক প্রতিরোধ গড়ে তোলা হোক।"

তিনি জুলাই আন্দোলনের সকল শহীদ ও অংশগ্রহণকারীর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, "মাসব্যাপী এই কর্মসূচি কেবল স্মৃতিচারণ নয়, এটি একটি নতুন শপথ—গণতান্ত্রিক অধিকারের প্রতি জনগণকে সচেতন করা, রাজনৈতিক দায়িত্ববোধ জাগানো এবং মুক্তির জন্য ত্যাগের স্মৃতি অমলিন রাখা।"

ড. ইউনূস আরও উল্লেখ করেন, "গত বছরের জুলাইয়ে দেশের সব শ্রেণি-পেশার মানুষ কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়িয়েছে। সেই ঐক্য পুনরায় গড়ে তোলার সময় এসেছে। শিক্ষার্থীদের সাহসিক আন্দোলন আমাদের পথ দেখিয়েছে। চলুন এই জুলাইকে গণতন্ত্র রক্ষার নতুন প্রত্যয়ের মাস হিসেবে গড়ে তুলি।"

Header Ad
Header Ad

ক্লাব বিশ্বকাপে ম্যানসিটিকে কাঁদিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে আল হিলাল

ছবি: সংগৃহীত

ক্লাব বিশ্বকাপে এবার সবচেয়ে নাটকীয় ও রোমাঞ্চকর ম্যাচ উপহার দিল সৌদি আরবের ক্লাব আল হিলাল। সাত গোলের টান টান উত্তেজনার লড়াইয়ে ইংলিশ জায়ান্ট ম্যানচেস্টার সিটিকে ৪-৩ ব্যবধানে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালের টিকিট কেটেছে দলটি। মার্কোস লিওনার্দোর অতিরিক্ত সময়ের ১১২তম মিনিটে করা জয়সূচক গোলই সৌদি ক্লাবটিকে এনে দিয়েছে এই ঐতিহাসিক জয়।

ম্যাচের শুরুতে অবশ্য এগিয়ে গিয়েছিল সিটি। প্রথমার্ধে বার্নার্ডো সিলভার গোলে ১-০ ব্যবধানে লিড নেয় তারা। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে নাটকীয়ভাবে ম্যাচের মোড় ঘুরে যায়। আল হিলালের হয়ে মার্কোস লিওনার্দো ও ম্যালকম এবং সিটির পক্ষে এরলিং হালান্ডের গোলে ম্যাচ ২-২ সমতায় পৌঁছায়। এতে খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে।

অতিরিক্ত সময়ের ৯৪তম মিনিটে হেডার থেকে গোল করে আল হিলালকে আবারও এগিয়ে দেন কালিদু কুলিবালি। কিন্তু ১০৪ মিনিটে ফিল ফোডেন গোল করে আবারও সিটিকে সমতায় ফেরান। তবে ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দেন সেই মার্কোস লিওনার্দোই, যিনি ১১২ মিনিটে রিবাউন্ড থেকে গোল করে ৪-৩ ব্যবধানে আল হিলালকে এনে দেন অবিশ্বাস্য এক জয়।

ম্যাচ শেষে হতাশ সিটি কোচ পেপ গার্দিওলা বলেন, “আমরা অনেক সুযোগ তৈরি করেছিলাম, কিন্তু আজকের রাতটি ছিল আল হিলালের।” অন্যদিকে ম্যাচসেরা লিওনার্দো বলেন, “এটা আমার ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা মুহূর্ত।”

এই জয়ের ফলে আল হিলাল এখন কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি হবে ব্রাজিলিয়ান ক্লাব ফ্লুমিনেন্সের। ক্লাব বিশ্বকাপে সৌদি আরবের প্রতিনিধি হিসেবে তাদের এমন সাফল্য দেশটির ফুটবলের জন্য একটি নতুন ইতিহাস রচনা করেছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ফাঁস হওয়া ফোনালাপের জেরে থাই প্রধানমন্ত্রী বরখাস্ত
স্বৈরাচার পতনে ১৬ বছর অপেক্ষা নয়, তাৎক্ষণিক প্রতিরোধ গড়ার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
ক্লাব বিশ্বকাপে ম্যানসিটিকে কাঁদিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে আল হিলাল
যে বিশেষ গুণেই তাপসের হৃদয়ে জায়গা করে নেন বুবলী!
আগামী বছরের শুরুতেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ড. ইউনূস
বিসিবি সভাপতির উপদেষ্টা পদে থাকছেন না সামি, জানালেন কারণ
বছর ঘুরে ফিরল গণঅভ্যুত্থানের জুলাই
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৬ কোটি ১০ লাখ টাকার বাজেট পাস
সরকারি চাকরিতে ৪ লাখ ৬৮ হাজার পদ খালি
পুলিশ পরিচয়ে ব্যবহার করা যাবে না সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম: আরপিএমপি কমিশনার
ভোলায় চাঁদা না পেয়ে স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ
টাঙ্গাইলের নির্ধারিত স্থানে মডেল মসজিদ নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন (ভিডিও)
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ফোনালাপ
চুয়াডাঙ্গায় ট্রেন থেকে ফেলে পাউবো কর্মচারীকে হত্যা, পরিবারের মামলা
দেশে নতুন করে আরও ২১ জনের করোনা শনাক্ত
ঢাকার প্রতিটি ভবনের ছাদে সৌর প্যানেল বসানোর নির্দেশ হাইকোর্টের
লুঙ্গি পরে রিকশায় প্যাডেল মেরে ঢাকা থেকে বিদায় নিলেন জার্মান রাষ্ট্রদূত
ইসরায়েলের ৩১ হাজারেরও বেশি ভবন গুঁড়িয়ে দিয়েছে ইরান (ভিডিও)
ইরানের সাথে আলোচনা করছি না, তাদের কিছু দিচ্ছিও না: ট্রাম্প
আসিফ মাহমুদের অস্ত্রের লাইসেন্স নিয়ে প্রশ্ন, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বললেন ‘আইনটা দেখিনি’