শনিবার, ৪ মে ২০২৪ | ২১ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

শিশুদের বিকাশে পথ দেখাবে ‘শৈশব’

‘শৈশব’ মানেই দুরন্তপনা। এই পাড়া, ওই পাড়া ঘুরে বেড়ানো। এই মহল্লা থেকে ওই মহল্লায় ছুটে চলা। বাড়ির পাশে খালি জমিনে বসে ঘুড়ি উড়ানো কিংবা হাতের কাছে যা পাই তা নিয়েই খেলাধুলা করা। কাদা-পানিতে মাখামাখি করা। নানা খেলায় মেতে উঠা। গ্রামাঞ্চলে এমন শৈশব এখনো দেখা যায়। কিন্তু শহরে ‘শৈশব’ বন্দি চার দেয়ালের মধ্যে।

খেলার মাঠ থাকলেও পরিবেশ নেই। খেলার সঙ্গী পাওয়া বেশ মুশকিল। বিদ্যালয়গুলোতেও মাঠের অভাব। পিতা-মাতারা ব্যস্ত চাকরি-সংসারসহ নিজস্ব কাজে। শিশু তখন একাকিত্বে ভুগে। তার উপর গত দুই বছরে কোভিড-১৯ নামের মহামারি এসে এই পৃথিবীর অন্য দেশগুলোর মত বাংলদেশেও আঘাত করেছে সব শ্রেণির মানুষের উপর। শিশুরাও বাদ যায়নি। এমনিতেই চার দেয়ালে বন্দি শিশুদের শৈশব তখন আরও সংকীর্ণ হয়ে আসে। তাদের মধ্যেও বিষণ্নতা চলে আসে।

কিন্তু ব্যস্ত এই শহরে শিশুদের কথা কয়জনই বা ভাবেন, শিশুর মনোজগত নিয়ে কাজ করেন। শিশু কি চায়? কি করলে শিশুর মন চাঙ্গা থাকবে? শিশুদের শৈশব হয়ে উঠবে প্রাণবন্ত।

শিশুদের কথা মাথায় নিয়েই কাজ করছেন একজন ফারহানা মান্নান। নিজের দুই শিশু কন্যা চিনি আর মধুর সঙ্গে খেলাধুলা করতে করতেই তাদের নানা প্রশ্ন আর কৌতুহল তার ভাবনায় ঢুকিয়ে দেয় শিশুদের মনোজগত। তাদের শৈশবকে কীভাবে আরও সুন্দর ও বর্ণিল করে তোলায় যায় তা নিয়ে নিজেই গবেষণা শুরু করেন। এরই এক পর্যায়ে তার মাথায় যায় শিশুদের শৈশব নিয়ে কাজ করার বিষয়টি। তখনই গড়ে তুলেন ‘শৈশব’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান।

প্রায় তিন বছর আগে একেবারেই ব্যক্তি উদ্যোগে ‘শৈশব’ গড়ে তুললেও এগুচ্ছিলেন একটু একটু করে। কিন্তু কোভিড এসে সেই উদ্যোগে একটা ধাক্কা দেয়। তাতে থেমে থাকেননি পেশায় শিশু বিষয়ক গবেষক ও লেখক উদ্যোক্তা ফারহানা। শুরু করেন ভার্চুয়ালি কার্যক্রম। সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শৈশবকে তুলে ধরেছেন বিভিন্ন সময়ে। অতি সম্প্রতি তিনি তার সেই উদ্যোগকে প্রকাশ্যে নিয়ে এসেছেন।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জাকির হোসেন রোডের ই-ব্লকের একটি বাসায় শুরু করেছেন ‘শৈশব’ এর কার্যক্রম।

চলুন আমরা এখন ‘শৈশব’ এর কার্যক্রমের সঙ্গে একটু পরিচিত হয়ে আসি। জেনে আসি কীভাবে শিশুদের মনোজগত তৈরিতে ভূমিকা রাখবে শৈশব।

জাকির হোসেন রোডের যে ভবনটিতে ‘শৈশব’ এর কার্যক্রম চলছে সেই বাড়ির প্রথম তলা থেকে সিড়ি ধরে উঠতেই চোখে পড়বে শিশুদের দৃষ্টি আকর্ষণে অনেকগুলো চিত্র। কোনোটাতে খেলাধুলার সামগ্রি, কোনোটাতে বিজ্ঞান বিষয়ক নানা চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। আছে রিকশার চেইন, বিয়ারিংয়ের ছবিও। দোতলায় শৈশবের রিসিপশন কক্ষে ঢুকলেই চোখ আটকে যাবে ঘুড়ি উড়ানো একটি স্থিরচিত্রে। আছে দোলনায় চড়ার চিত্রও। লাল-সবুজের পতাকাকে শিশুদের সামনে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে চমৎকারভাবে।

রিসিপশন থেকে হাতের বামের কক্ষের ভিতরে প্রবেশ করলেই দেখা মিলবে সব ধরনের খেলার সামগ্রির। বিশেষ করে বিজ্ঞান বিষয়ক সামগ্রিই বেশি। এটিকে মূলত বলা হচ্ছে স্ট্রিম রুম। একটি সুউচ্চ ভবন কীভাবে তৈরি হয়, তার ভিত্তিটা কীভাবে করতে হয়? এ সব শিশুরা শিখবে খেলতে খেলতে। বিজ্ঞানের আরও নানা বিষয় শিখতে পারবে শিশুরা। কম্পিউটার সম্পর্কে পাবে ধারণা।

এই কক্ষ থেকে বের হয়ে হাতের ডান দিকের কক্ষটিতে গেলে শিশুরা দেখতে পাবে অনেকগুলো বাঁধাই করা ছবি। যেগুলোতে তুলে আনা হয়েছে গ্রামবাংলার শৈশবের চিত্র। এই কক্ষে প্রাণভরে খেলাধুলাও করতে পারবে।

পাশের কক্ষে ঢুকার আগেই করিডোরের দেওয়ালে চোখে পড়বে বাঙালির সাত বীরশ্রেষ্ঠকে। ছবিতে বাঁধাই করে তাদেরকে আগামীর প্রজন্মের সামনে তুলে ধরা হয়েছে। আর সড়কের পাশের বারান্দা সাজানো হয়েছে শিশুদের খেলাধুলার জন্য।

শৈশব সম্পর্কে জানতে চাইলে এর উদ্যোক্তা ফারহানা মান্নান ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, স্ট্রেম সম্পর্কে অনেকেই জানেন, যারা শিক্ষা নিয়ে গবেষণা করেন বা ভাবেন। আমি এটাকে স্ট্রিম বলছি। সায়েন্স, টেকনোলজি, আর্ট, ম্যাথমেটিকস। আমরা শিশুদের নিয়ে কাজ করি যাদের বয়স দুই থেকে আট বছর তাদের জন্য আর্টসটা খুব দরকার। আমরা স্ট্রিম অ্যাপ্রোচ নিয়ে কাজ করি। এটার মাধ্যমে বাচ্চারা খেলবে এবং শিখবে। এটাই হচ্ছে আমার মূল বিষয়।

আমরা স্কুলে স্কুলে গিয়েছি। স্কুলে দুই ঘণ্টার ওয়ার্কশপ করেছি। শিক্ষক, অভিভাবকদের সম্পৃক্ত করে আমরা ওয়ার্কশপ করেছি। আমরা বেশ সাড়া পেয়েছি।

ফারহানা মান্নান বলেন, শৈশবের পুরো পরিবেশটা বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে সাজানো। শিশুদের চাইল্ড এরিয়াগুলোকে ডেভলপ করার চেষ্টা করেছি। শিশুদের বিভিন্ন বিষয়ে মনোযোগ দিতে হয়। যেমন ল্যাঙ্গুয়েজ, ইমোশনাল, স্যোশাল এবং ফিজিক্যাল ডেভলপমেন্ট নিয়ে। আমরা সেন্টারটা সাজানোর ক্ষেত্রে এগুলো নিয়েও ভেবেছি।

আমরা দুটি প্রোগ্রাম করছি। একটি হচ্ছে শিশুদের ছয় মাসের একটা প্রোগ্রাম। তারা ভর্তি হবে ছয় মাসের জন্য। সপ্তাহে দুদিন দুই ঘণ্টা আমাদের সঙ্গে কাটাবে। ছয় মাসে মোট ৪৮টি ক্লাস পাবে। সেখানে আমরা তাদের গাইড করে খেলতে শিখাব। একদম সিলেবাস ধরে। সেখানে সায়েন্সের ১০টা, ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ১০টা, আর্টসের আটটা,ম্যাথমেটিকসের ১০টা, টেকনোলজির ১০টা।

আরেকটা হচ্ছে মুক্তভাবে খেলার একটা সময়। অভিভাকরা তাদের সন্তান নিয়ে আসবেন। বাচ্চারা খেলবে, অভিভাকরাও তাদের সঙ্গে খেলবে। তাদের বাড়িতে হয়ত এতো খেলনার উপাদান নাই। আমরা চাই, তারা এখানে আসুক, সব রকমের খেলনা নিয়ে খেলুক। বিশেষ করে কোভিড সময়ে জন্ম নেওয়া শিশুরা বেড়ে উঠছে একাকীত্বে। তারা সহজে মিশতে পারছে না। তাদের বিকাশের জন্য শৈশব ভূমিকা রাখবে।

একটা বিষয় দেখা যায় শিশুদের মধ্যে। তারা কোনো খেলা শুরু করলে শেষ করতে চায় না। নাড়াছাড়া করে একটা ছেড়ে আরেকটায় চলে যায়। একটা অস্থিরতা দেখা যায়। এই বিষয়গুলোতে আমরা মনোযোগ দেব।

ফারহানা মান্নান জানান, তিনি ব্যক্তিগতভাবে এই উদ্যোগ নিয়েছেন। এখানে সায়েন্স, আর্টস, টেকনোলজি, কম্পিউটার, ম্যাথমেটিকস, ইঞ্জিনিয়ারিং এ শিশুদের জন্য আলাদা আলাদা খেলনা থাকবে। শিশুদের জন্য বুকস কর্নার, ফিজিক্যাল অ্যাক্টিভিটি রুম, কমিউনিটি জোন, সেন্ট প্লে, ওয়াটার প্লে কর্নার থাকবে, তারা খেলাধুলা করবে। ‘শৈশব’ এমন একটা পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে যে, একটা শিশু ঢুকে দুই ঘণ্টা সময় অনায়াসে খেলতে পারবে।

দুই থেকে আট বছর বয়সের শিশুরা এখানে ভর্তি হতে পারবে। এখানে এই বয়সী শিশুদের জন্যে খেলনা আছে।

ব্যক্তি উদ্যোগে ‘শৈশব’ শিশু সেন্টার করতে গিয়ে নানামুখি প্রতিকূলতা মোকাবিলা করতে হয়েছে। একটা বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে অর্থ। আমি চেষ্টা করে যাচ্ছি যাতে এই সংকট কাটিয়ে শৈশবকে একটা জায়গায় নিয়ে যেতে, যোগ করেন ফারহানা মান্নান।

এনএইচবি/আরএ/

Header Ad

একজন টেনিস খেলোয়াড় তৈরি করব, যার জন্য দেশবাসী গর্ববোধ করবে: নৌপ্রতিমন্ত্রী

সভায় সভাপতির বক্তৃতায় বক্তব্য রাখছেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ টেনিস ফেডারেশনের সভাপতি খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

আগে অভিজাত পরিবার ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা টেনিস খেলতো। এখন আর সেরকম জৌলুস নেই। একজন টেনিস খেলোয়াড় ১০০ জনকে পথ দেখাবে। ফেডারেশন ও কাউন্সিলররা মিলে খেলোয়াড় তৈরি করবেন। এমন একজন টেনিস খেলোয়াড় তৈরি করব, যার জন্য দেশবাসী গর্ববোধ করবে।

শনিবার (৪ মে) ঢাকায় বিজয়নগরস্থ হোটেল ৭১এ বাংলাদেশ টেনিস ফেডারেশনের বার্ষিক সাধারণ সভায় সভাপতির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ টেনিস ফেডারেশনের সভাপতি খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

তিনি বলেন, ফুটবল খেলোয়াড়রা একসময় উন্মাদনা তৈরি করেছিল। সেই উন্মাদনা আমাদেরকে মাঠে নিয়ে যেত। আমরা বয়স ভিত্তিক টেনিস খেলাকে গুরুত্ব দিয়েছি। সাধারণকে টেনিস মাঠে নিয়ে আসার জন্য চেষ্টা করছি। উপজেলা পর্যায়ে টেনিস খেলা চলে গেছে। টেনিসের প্রতি মানুষের আগ্রহ আছে। প্রচারণার সেই জায়গাটাই নিয়ে যেতে চাই। টেনিসের প্রতি যাদের প্রেম, ভালবাসা আছে তাদেরকে আগামীতে নির্বাচিত করবেন। ফেডারেশন ও কাউন্সিলররা মিলে খেলোয়াড় তৈরি করবেন।

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, টেনিস ফেডারেশনকে জবাবদিহিতার জায়গায় রাখতে চাই। সীমাবদ্ধতা আছে। সেগুলো দূর করে টেনিসকে এগিয়ে নিতে চাই।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া ক্ষেত্রে থেকে আমরা দূরে সরে যাচ্ছি। মানব কাঠামো তৈরি হচ্ছে না। এগিয়ে যাওয়ার জন্য ক্রীড়া ও সংস্কৃতি চর্চা প্রয়োজন। প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা সংস্কৃতি ও ক্রীড়াকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য কাজ করছেন। ক্রিকেটে ওডিআই ও টেস্ট স্ট্যাটাস তার সময় এসেছে। ক্রিকেট এখন সমীহ জাগানো বিষয়। প্রধানমন্ত্রীর নিকট আমরা কৃতজ্ঞ। তিনি শেখ জামাল জাতীয় টেনিস কমপ্লেক্স আধুনিক করে দিয়েছেন।

সভায় ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ মোহাম্মদ হায়দার সাধারণ সম্পাদকের এবং কোষাধ্যক্ষ খালেদ আহমেদ সালাহউদ্দিন কোষাধ্যক্ষ এর রিপোর্ট পেশ করেন।

বাজারে আসছে মেসির হাইড্রেশন পানীয়

ছবি: সংগৃহীত

বিশ্ব ফুটবলের জাদুকর আর্জেনটাইন তারকা ফুটবলার লিওনেল মেসি। মেসির যাদুকরী ফুটবলে বুঁদ হয়ে থাকেন ভক্তরাও। তবে ফুটবলের বাইরেও লিওর আছে ভিন্ন এক জগৎ। মাঠের ফুটবলের সাথে ব্যবসা বাণিজ্যের দুনিয়াতেও সাফল্যের সাথে বিচরণ করছেন এই কিংবদন্তি।

২০২২ সালে কাপড়ের ব্যবসা চালু করেছিলেন মেসি। এরপর গেল মার্চে বাজারে নতুন হাইড্রেশন পানীয় আনার ঘোষণা দেন মেসি। সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যম ইনস্টাগ্রামে নিজের একাউন্টে একটি ভিডিও পোস্ট করেন আর্জেন্টাইন তারকা। ওই ভিডিওতে দেখা যায়, স্ত্রী আন্তোনেল্লা রোকুজ্জো ও বেশকিছু কর্মকর্তাদের নিয়ে কারখানা পরিদর্শন করছেন মেসি। নতুন ব্রান্ডের এই হাইড্রেশন পানীয়ের নাম প্রকাশ না করলেও নিজেদের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন এই আর্জেন্টাইন মহাতারকা।

মেসি বলেন, আমাদের নতুন হাইড্রেশন পানীয়টি বাজারে আনার জন্য কঠোর পরিশ্রমের সঙ্গে প্রস্তুতি নিচ্ছি। কারণ, হাইড্রেশন প্রত্যেকের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। সবকিছু ঠিকঠাকভাবে হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করতে চাই। যেখানে আমাদের কাজটি এগিয়ে যাচ্ছে, সেখান থেকে মাত্রই ফিরলাম। পরবর্তী প্রজন্মের হাইড্রেশন পানীয়টি কীভাবে তৈরি হচ্ছে সেটি সম্পর্কে জেনেছি।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মেসির দেয়া পোস্ট থেকে জানা গেছে, এ বছরের ২৪ জুন পানীয়টি বাজারজাত করা হবে। শুরুতে এই পণ্য পাওয়া যাবে শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্র আর কানাডার বাজারে।

ইন্টার মায়ামি থেকে বছরে ৫ থেকে ৬ কোটি ডলার আয় করেন মেসি। ফোর্বসের হিসাব মতে, মেসির বর্তমান সম্পদের পরিমাণ প্রায় ৬০ কোটি ডলার। নিজের মালিকানাধীন ব্যবসা ছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন ব্রান্ডের দূত হিসেবে কাজ করে বিশাল অঙ্কের অর্থ আয় করেন মেসি। কাজ করেন জনপ্রিয় দুই ব্রান্ড অ্যাডিডাস ও পেপসিকোর সাথেও। চুক্তি অনুযায়ী, অ্যাডিডাস থেকে বছরে ২ কোটি ৫০ লাখ ডলার আয় করেন মেসি।

এছাড়া, ২০২২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সানফ্রান্সিসকোতে প্লে টাইম স্পোর্ট-টেক নামের একটি বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেন মেসি। প্রতিষ্ঠানটি খেলাধুলায় নতুন প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করে থাকে। তাছাড়া হোটেল ব্যবসা থেকেও বিশাল অঙ্কের অর্থ আয় করেন মেসি। সৌদি ট্যুরিজম কর্তৃপক্ষ থেকে বছরে পান ২ কোটি ৫০ লাখ ডলারেরও বেশি।

ভুয়া দলিল দেখিয়ে ৫০ কোটি টাকা ব্যাংক ঋণ নেয় চক্রটি

চক্রের ৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট। ছবি: সংগৃহীত

ভুয়া তথ্য ব্যবহার করে জাল জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ও ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশন নাম্বার (টিআইএন) তৈরি করত চক্রটি। পরে এসব জাল কাগজপত্র ব্যবহার করে রেজিস্ট্রি অফিসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগসাজশে তৈরি করত ফ্ল্যাটের ভুয়া দলিল। পরে এসব দলিল বিভিন্ন ব্যাংকে মর্টগেজ রেখে মোটা অংকের টাকা ঋণ নিতো চক্রের সদস্যরা। তারা এখন পর্যন্ত বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ৫০ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে ভুয়া দলিল জমা দিয়ে।

চক্রটির জালিয়াতির বিষয়টি তদন্ত করছিল পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে এ সংঘবদ্ধ ফ্ল্যাট জালিয়াতি চক্রের মাস্টারমাইন্ড জয়নাল আবেদীন ওরফে ইদ্রিসসহ ৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট।

গ্রেপ্তার জালিয়াতি চক্রের অন্য সদস্যরা হলেন- ইদ্রিসের প্রধান সহযোগী মো. রাকিব হোসেন (৩৩), জয়নালের ভায়রা ভাই কে এম মোস্তাফিজুর রহমান (৫৪), জাল কাগজপত্র ও এনআইডি প্রস্তুতকারক মো. লিটন মাহমুদ (৪০), ভূমি রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল প্রস্তুতকারক হাবিবুর রহমান মিঠু (৩০), এনআরবিসির ব্যাংক কর্মকর্তা হিরু মোল্যা (৪৪), আব্দুস সাত্তার (৫৪) ও সৈয়দ তারেক আলী (৫৪)। এর আগে, এই চক্রের ৪ জনকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বাকিদের গ্রেপ্তার করা হয়।

জব্দকৃত দলিল, নগদ টাকাসহ অন্যান্য জিনিসপত্র। ছবি: সংগৃহীত

গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে প্রতারণা কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সীলমোহর, একই ব্যক্তির একাধিক এনআইডি ও টিন নম্বর, মোবাইল ফোন, বিভিন্ন ব্যাংকের ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডসহ নগদ ৩ লাখ টাকা জব্দ করা হয়।

শনিবার (৪ মে) দুপুরে রাজধানীর মালিবাগস্থ সিআইডির প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পুলিশের এই সংস্থাটির প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া।

সংবাদ সম্মেলনে ঘটনার বিবরণ দিচ্ছেন সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিটের প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া। ছবি: সংগৃহীত

মোহাম্মদ আলী মিয়া বলেন, সম্প্রতি সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট গোপন সূত্রে জানতে পারে, একটি সংঘবদ্ধ চক্র জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন পরিদপ্তরের কিছু অসাধু সদস্যদের সহযোগিতায় একাধিক এনআইডি ও টিন তৈরি করে আসছে। পরবর্তীতে এই এনআইডি ও টিন ব্যবহার করে চক্রের সদস্যরা ভূমি রেজিস্ট্রি অফিসের অসাধু লোকদের মাধ্যমে চক্রের সদস্যদের নামে ফ্ল্যাট/ জমির একাধিক মূল দলিল তৈরি করত। পরে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজশে এসব জাল দলিল দিয়ে দেশের বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে মর্টগেজ রেখে একটি ফ্ল্যাটের বিপরীতে একাধিক ঋণ নিত। এভাবে তারা প্রায় ৫০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করে।

তিনি আরও বলেন, জয়নাল আবেদীন ইদ্রিসের নেতৃত্বে এ চক্রটি রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন অভিজাত এলাকায় ফ্ল্যাট বিক্রির ফাঁদ পেতে জাল দলিলের মাধ্যমে পথে বসিয়েছে বহু ফ্ল্যাট মালিককে। পাশাপাশি সম্ভাব্য ফ্ল্যাট ক্রেতাদের কাছ থেকে অগ্রিম টাকা এবং ব্যাংক ঋণের বোঝা চাপিয়ে তাদেরকে করেছে নিঃস্ব। সিআইডির অনুসন্ধানে ফ্ল্যাট জালিয়াতির মাধ্যমে অবৈধভাবে বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগের সত্যতা পেয়ে জয়নালের মালিকাধীন প্রতিষ্ঠান রুমানা জুয়েলার্স, নীড় এস্টেট প্রোপার্টিস লিমিটেড, স্নেহা এন্টারপ্রাইজ, ই আর ইন্টারন্যাশনালসহ চক্রের ২৫ জন সদস্যের বিরুদ্ধে ডিএমপির উত্তরা-পূর্ব থানায় মানিলন্ডারিং আইনে মামলা সিআইডি।

মোহাম্মদ আলী মিয়া আরও বলেন, এ চক্রের মাস্টারমাইন্ড জয়নাল রাজধানীর মিরপুরে কোঅপারেটিভ মার্কেটে একটি স্বর্ণের দোকানের কর্মচারী ছিলেন। পরে তিনি ও শহিদুল ইসলাম সবুজ মিলে ফ্ল্যাট জালিয়াতি শুরু করেন। এভাবে শতকোটি টাকার মালিক বনে যান জয়নাল। তার অন্যতম প্রধান সহযোগী দুই স্ত্রী রোমানা সিদ্দিক ও রাবেয়া আক্তার মুক্তা। প্রতারণার জন্য নিজ নামে ছয়টি এনআইডি ব্যবহার করেন তিনি। এসব এনআইডি দিয়ে বিভিন্ন ব্যাংকে ৫০টির অধিক হিসাব খোলেন। অর্থ আত্মসাতের টাকা দিয়ে রাজধানী ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় ৭ তলা বাড়ি, ৩টি ফ্ল্যাট, মিরপুর ও আশকোনায় ৩টি ফ্ল্যাট কেনেন জয়নাল।

সর্বশেষ সংবাদ

একজন টেনিস খেলোয়াড় তৈরি করব, যার জন্য দেশবাসী গর্ববোধ করবে: নৌপ্রতিমন্ত্রী
বাজারে আসছে মেসির হাইড্রেশন পানীয়
ভুয়া দলিল দেখিয়ে ৫০ কোটি টাকা ব্যাংক ঋণ নেয় চক্রটি
রাজবাড়ী-ভাঙ্গা-ঢাকা রুটে দুই জোড়া কমিউটার ট্রেন উদ্বোধন
বাড়ি ফিরলেই বিয়ে, হিটস্ট্রোকে প্রাণ গেল আশিকের
অতিরিক্ত গরমে স্কুলগামী শিশুর স্বাস্থ্য রক্ষার উপায়
নোয়াখালীতে ট্রাক-সিএনজি সংঘর্ষ, সেনা সদস্যসহ নিহত ৪
‘অ্যাক্টরস হোম’-এর জায়গা বুঝে পেল অভিনয় শিল্পী সংঘ
ঢাকাসহ ৬ বিভাগে ঝড়ো হাওয়াসহ শিলাবৃষ্টির আভাস
পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করলো ভারত
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ডাক পেলেন আম্পায়ার সৈকত
ইসরায়েলবিরোধী পোস্ট করলেই গ্রেপ্তার করছে সৌদি
মুন্সীগঞ্জে প্রাইভেটকার খাদে পড়ে একই পরিবারের ৩ জন নিহত
চড়া দামে গ্রাহকরা কিনছে কচ্ছপ গতির ইন্টারনেট
হামাসকে ৭ দিনের সময় দিল ইসরায়েল
বিদেশে পাড়ি জমানো কানাডিয়ানদের সংখ্যা বাড়ছে : গবেষণা
নওগাঁয় ট্রলির চাপায় সড়কে প্রাণ গেল এনজিও কর্মীর
উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ঘিরে দীর্ঘ হচ্ছে বিএনপিতে বহিষ্কারের তালিকা
প্রথমবারের মতো চাঁদে স্যাটেলাইট পাঠাল পাকিস্তান
ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনে কঠিন শর্ত দিল সৌদি