রবিবার, ৫ মে ২০২৪ | ২২ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

রাঙামাটিতে দেশের সবচেয়ে বড় বুদ্ধমূর্তি

রাঙামাটির প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝে নির্মিত হলো সিংহশয্যার গৌতম বুদ্ধের মূর্তি। বুদ্ধমূর্তিটি নির্মাণ হয়েছে রাঙামাটি থেকে ৭১ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত জুরাছড়ি উপজেলার বালুখালীমূখ এলাকার সুবলং শাখা বনবিহারে।

ইতোমধ্যে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বুদ্ধমূর্তি হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। বুদ্ধমূর্তিটির দৈর্ঘ্য ১২৬ ফুট, প্রস্ত ৪০ ফুট এবং উচ্চতা ৬০ ফুট। বিহার কমিটির দাবি এটিই দেশের সবচেয়ে বড় বৃদ্ধমূর্তি। আগামী ১৬, ১৭ ও ১৮ নভেম্বর তিন দিনব্যাপী কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে বুদ্ধমূর্তিটির উদ্বোধন করা হবে। এ উপলক্ষে গ্রহণ করা হয়েছে ব্যাপক কর্মসূচি। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিহার পরিচালনা কমিটির সভাপতি ধল কুমার চাকমা।

স্থানীয় ও ভিক্ষু সংঘের সূত্রে জানা গেছে, পুণ্যার্থীদের দেওয়া অর্থ দিয়ে এ বুদ্ধমূর্তির যাবতীয় নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়েছে। ২০১৩ সালের ৯ এপ্রিল তারিখে ভগবান বুদ্ধের মূর্তিটির নির্মাণকাজ শুরু করা হয়। মহাপরিনির্বাণপ্রাপ্ত সাধনানন্দ মহাস্থবির বনভান্তে জীবিত থাকাকালীন জুরাছড়ি উপজেলায় ধর্মপ্রচারে সফল হন। তার প্রচেষ্টায় উপজেলায় বসবাসরত মানুষ বৌদ্ধধর্মকে বিশ্বাসী করে তোলেন। যার কারণে বনভান্তের স্মৃতি রক্ষার্থে ভগবান বুদ্ধের সিংহশয্যার বুদ্ধমূর্তিটি জুরাছড়ি উপজেলা থেকে ভদন্ত শ্রীমৎ সাধানানন্দ মহাস্থবির বনভান্তে কর্তৃক শিষ্যলাভ ও বুদ্ধশ্রী মহাস্থবির কর্তৃক শিষ্যলাভ সব শিষ্যমণ্ডলী ও জুরাছড়ি উপজেলাবাসীর উদ্যোগে বুদ্ধমূর্তিটি নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। সম্পূর্ণ পুণ্যার্থীদের দেওয়া অর্থ দিয়ে নির্মিত হয় বুদ্ধমূর্তিটি। নির্মাণকাজ শেষ হতে পৌনে ৪ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। বুদ্ধমূর্তিটি নির্মাণে সর্বদা দায়িত্বে থাকেন সুবলং শাখা বনবিহারের বিহার অধ্যক্ষ ভদন্ত শ্রীমৎ বুদ্ধশ্রী মহাস্থবির ও রাজবন বিহারের জ্যেষ্ঠ ভিক্ষু ভদন্ত শ্রীমৎ জ্ঞানপ্রিয় মহাস্থবির।

বুদ্ধমূর্তিটির তথ্য জানাজানি হলে ভগবান বুদ্ধের অনুসারী পুণ্যার্থীরা বিহারে যাওয়া শুরু করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রামের বুকে এত বড় বুদ্ধমূর্তি নির্মাণকে সাধুবাদ জানিয়েছেন পুণ্যার্থীরা। বুদ্ধমূর্তির দর্শনে যাওয়া এক পুণ্যার্থী পুষ্প চাকমা বলেন, 'বুদ্ধমূর্তির নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে শুনে সোমবার কয়েকজন মিলে বিহারে গিয়েছিলাম।এতবড় বুদ্ধমূর্তি জীবনে কখনো দেখিনি। জুরাছড়ি এখন সবচেয়ে আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে বুদ্ধমূর্তির কারণে।'

ওই এলাকার স্থানীয় বিকাশ চাকমা বলেন, ‘এই বুদ্ধমূর্তি নির্মাণে মানুষের যে আগ্রহ, মানুষের মনে যে শ্রদ্ধা ও বিশ্বাস নিয়ে কায়িক শ্রম ও অর্থ দান করেছে আমার মনে হয় বুদ্ধ মূর্তিটি ত্যাজী হয়েছে। তাই কেউ যদি মনে বিশ্বাস ও অগাধ শ্রদ্ধার সহিত কোনো কিছু মানত করে বুদ্ধ মূর্তিতে পূজা করে তার ফলপ্রসু সফল হবে।’

শুধু উপসনাই নয়, মানুষ বিহারে যায় মনের সব গ্লানি মুছে দিয়ে পবিত্রতাকে গ্রহণ করতে। আর নিজের মনকে পরিশুদ্ধ করতে। এসব বাদেও সারা পৃথিবীর মানুষের মাঝে বৌদ্ধ ধর্ম প্রচার ও প্রসারের জন্য এ বুদ্ধমূর্তি গুরুত্ব পাবে বলে মন্তব্য করেন, সুবলং শাখা বনবিহার পরিচালনা কমিটির সভাপতি ধল কুমার চাকমা বলেন, ‘বুদ্ধমূর্তির নির্মাণের প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে মহাপরিনির্বাণপ্রাপ্ত সাধনানন্দ মহাস্থবির বনভান্তের স্মৃতি রক্ষার্থে। তিনি জুরাছড়িতে বৌদ্ধধর্ম প্রচারে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখেন। যার কারণে জুরাছড়ি উপজেলাবাসীর শ্রদ্ধাদানে (দেওয়া অর্থ) প্রায় পৌনে ৪ কোটি টাকা উত্তোলন করে বুদ্ধমূর্তিটি নির্মাণকাজ শেষ হচ্ছে।

দীর্ঘ ১০ বছর ধরে সিংহশয্যার ভগবান বুদ্ধের মূর্তিটি নির্মাণে ভূমিকা রাখেন সুবলং শাখা বনবিহারের বিহার অধ্যক্ষ ভদন্ত শ্রীমৎ বুদ্ধশ্রী মহাস্থবির ও রাজবন বিহারের জ্যেষ্ঠ ভিক্ষু ভদন্ত শ্রীমৎ জ্ঞানপ্রিয় মহাস্থবির এ দুইজন ভিক্ষু। এবিষয়ে জানতে চাইলে জ্ঞানপ্রিয় মহাস্থবির বলেন, ‘২০১৩ সালের ৯ এপ্রিল তারিখে ভগবান বুদ্ধের বুদ্ধমূর্তিটির নির্মাণকাজ শুরু করা হয়। দীর্ঘ ১০ বছর ধরে নির্মাণকাজ শেষে চলতি মাসে উদ্বোধনের আয়োজন করা হয়েছে। বুদ্ধমূর্তিটির দৈর্ঘ্য ১২৬ ফুট, প্রস্ত ৪০ ফুট ও উচ্চতা ৬০ ফুট। এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ভগবান বুদ্ধের সিংহশয্যার বুদ্ধমূর্তি।’

তিনি আরও বলেন, ‘এ বুদ্ধমূর্তি নির্মাণে উপজেলাবাসী অনেক শ্রম দিয়েছেন। তাদের ভক্তি, শ্রদ্ধা আর পরিশ্রমের কারণে বুদ্ধমূর্তিটির নির্মাণ সফল হয়েছে। এ বুদ্ধমর্তি নির্মাণের ফলে বৌদ্ধধর্ম অনুসারীরা ভগবান বুদ্ধকে ও সাধনানন্দ মহাস্থবির বনভান্তেকে পূজা করতে পারবে।’

সুবলং শাখা বনবিহারের বিহার অধ্যক্ষ ভদন্ত শ্রীমৎ বুদ্ধশ্রী মহাস্থবির ভিক্ষু বলেন,‘ভগবান বুদ্ধের বুদ্ধমূর্তিটি একটি স্থাপনার উপর নির্মিত হয়েছে। যার দৈর্ঘ্য ১২৬ ফুট। বাংলাদেশের মধ্যে এটিই সবচেয়ে বড় বুদ্ধমূর্তি। বুদ্ধমূর্তিটির নিচের অংশে বনভান্তের স্মরণে লাইব্রেরি, বনভান্তের স্মৃতিসমূহ ও ভগবান বুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত যাদুঘর তৈরি করা হয়েছে।’

এসএন

Header Ad

নওগাঁয় ঔষধ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে হয়রানি মূলক মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

নওগাঁয় ঔষধ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে হয়রানি মূলক মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (৫ মে) বেলা ১১টায় নওগাঁ সদর হাসপাতাল মোড়ে বাংলাদেশ কেমিস্টস এন্ড ড্রাগিস্টস সমিতি জেলা শাখার উদ্যোগে এ কর্মসূচী পালিত হয়। মানববন্ধনে সংগঠনের জেলা শাখার সহ-সভাপতি মাসুদ হায়দার টিপুর সভাপতিত্বে ঘন্টাব্যাপী এ কর্মসূচী পালিত হয়।

এদিকে সকাল থেকে ঔষদের দোকান বন্ধ রেখে ধর্মঘট পালন করায় ভোগান্তীতে পড়েছে রোগীর স্বজনরা। দোকান বন্ধ পেয়ে ফিরে যেতে হচ্ছে।

সংগঠনের জেলা শাখার সহ-সভাপতি মাসুদ হায়দার টিপু বলেন- চিকিৎসকগণ ব্যবস্থাপত্রে অ্যালোপ্যাথিক ঔষধের পাশাপাশি কসমেটিক্স প্রোডাস্টস ও ফুড সাপ্লিমেন্টস লিখে থাকেন। ঔষধ ব্যবসায়ীগণ চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী ঔষধ বিপণন করে। ঔষধ ব্যবসায়ীর কোন অপরাধ না থাকলেও আমাদের দুইজন সদস্য আবুল কালাম আজাদ ও রাশেদুল ইসলাম এর বিরুদ্ধে ঔষধ প্রশাসন মামলা করে। গত ১৬ এপ্রিল রাশেদুল ইসলাম আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন। কিন্তু বিচারক তার জামিন না মঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠিয়ে দেন। অপরজন আবুল কালাম আজাদ মামলার পর থেকে পলাতক রয়েছে।

 

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

তিনি আরো বলেন- মামলায় আসামীর ১০ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১০ বছর কারাদন্ডের কথা বলা হয়েছে। দীর্ঘ ৩৯ বছর পর ঔষধ ও কসমেটিকক্স আইন ২০২৩ এর সংশোধন করে দ্রুত এসব হয়রানি মূলক নির্যাতন বন্ধ করতে হবে। তা না হলে অবিলম্বে আরও বৃহৎ আন্দোলন শুরু করা হবে।

ঔষধ ব্যবসায়ী বজলুর রহমান বলেন- আমরা মানবসেবার ব্রত নিয়ে এ পেশায় এসেছি। কিন্তু ঔষধ প্রশাসন আমাদের সঙ্গে অবিচার করছে। অন্যায়ভাবে মামলা দিয়ে আমাদের সদস্যদের হয়রানি করা হচ্ছে। অন্যায়ের প্রতিবাদে দোকান বন্ধ রেখে রাস্তায় নেমেছি। এ কঠোর আইন সংশোধনের দাবী জানানা তারা।

নওগাঁ শহরের কোমাইগাড়ী মহল্লার বাসীন্দা মুনি আরা বলেন- এক বছরের ছেলে মুহিত গত কয়েক দিন বমি ও পাতলা পায়খানা করছে। হাসপাতালে ডাক্তার দেখানোর পর ভর্তি করে নেয়। একটি ব্যবস্থাপত্রে চারপদের ঔষধ লিখে দেয়। ব্যবস্থাপত্র নিয়ে ঔষধ ব্যবসায়ীদের এসে দেখি সব দোকান। আধা ঘন্টা ধরে বিভিন্ন দোকানে গিয়েও ঔষধ পাওয়া যায়নি। পরে পরিচিত এক মাধ্যম দিয়ে ঔষধগুলো সংগ্রহ করা হয়। ঔষদের দোকানগুলো বন্ধ থাকায় আমাদের ভোগান্তী পোহাতে হচ্ছে।
জেলার মহাদেবপুর উপজেলার চকগৌরি হাটের বাসীন্দা নিমাই চন্দ্র বলেন- গত কয়েকদিন থেকে হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম। আজ হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দিয়েছে। ব্যবস্থাপত্র নিয়ে দোকানে এসে দেখি সবগুলো বন্ধ রয়েছে। আমার মতো অনেকেই ঔষধ নিতে এসে দোকান বন্ধ পেয়ে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। আমরা দ্রুত এ সমস্যা সমাধান চাই।

বাংলাদেশ কেমিস্টস এন্ড ড্রাগিস্টস সমিতি নওগাঁ জেলা শাখার সভাপতি আতাউর রহমান খোকা বলেন, বিষয়টি নিয়ে সংগঠনের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসক কে একটি স্মারকলিপি দেয়া হয়েছিল। কিন্তু সদুত্তর পাওয়া যায়নি। তাই বাধ্য হয়ে আমরা রাস্তায় নেমেছি।

কিশোরীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে দুই যুবককে পিটিয়ে হত্যা করল জনতা

ছবি: সংগৃহীত

ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মেঘালয়ে এক কিশোরীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে দুই যুবককে পিটিয়ে হত্যা করেছে উত্তেজিত জনতা। শনিবার মেঘালয়ের পূর্ব পশ্চিম খাসি হিলস জেলায় এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

রোববার দেশটির সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মেঘালয়ের পূর্ব পশ্চিম খাসি হিলস জেলার নংথলিউ গ্রামে কিশোরীকে ধর্ষণের চেষ্টা করায় ওই দুই যুবককে পিটিয়ে হত্যা করেছে গ্রামবাসী।

পুলিশ বলেছে, ভুক্তভোগী কিশোরী অভিযোগ করে বলেছে ঘটনার সময় সে বাড়িতে ছিল। ওই সময় দুই যুবক ছুরি হাতে তার ওপর আক্রমণ চালায় এবং তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। তার চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা ঘটনাস্থলে জড়ো হয়ে দু’জনকে ধরে ফেলে।

পরে গ্রামের প্রায় দেড় হাজার মানুষ সেখান থেকে অভিযুক্ত দুই যুবককে পার্শ্ববর্তী একটি কমিউনিটি হলে নিয়ে যায়। সেখানে তাদের বেধড়ক মারপিট করা হয়।

ঘটনাস্থলে পৌঁছালেও উত্তেজিত জনতা অভিযুক্ত দুই যুবককে পুলিশ কর্মকর্তাদের জিম্মায় দেয়নি।

স্থানীয় কমিউনিটির নেতাদের সাথে পুলিশের আলোচনার সময় জনতা কমিউনিটি হলে ঢুকে পড়ে এবং অভিযুক্তদের মারধর করে। পুলিশের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, লোকজনের বাধার কারণে পুলিশ কমিউনিটি হলে প্রবেশ করতে পারেনি।

পরে অভিযুক্ত দুই যুবককে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেওয়া হয়। হাসপাতালের চিকিৎসকরা ওই দুই যুবককে মৃত ঘোষণা করেন।

মেঘালয় পুলিশ বলেছে, এই ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং তদন্ত চলছে। গণপিটুনিতে নিহত দুই যুবক নংথলিউতে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন।

সত্য বলায় যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থে আঘাত লাগলে কিছু করার নেই: ওবায়দুল কাদের

ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আওয়ামী লীগ কোনো সংঘাতে নেই, তবে সত্য বলায় যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থে আঘাত লাগলে কিছুই করার নেই বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

রোববার (৫ মে) ধানমন্ডিতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কোনো সংঘাতে নেই। তবে সত্য বললে তাদের স্বার্থে আঘাত লাগলে তো কিছু করার নেই। ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময় যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিবাদ দমনে যে আচরণ করা হয়েছিল, একই রকম নির্মম আচরণ এখন করা হচ্ছে। এটা বললে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বন্ধুত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলার কী আছে?

তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র আমাদের মানবাধিকার, নির্বাচন, গণতন্ত্র নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারলে আমরা কেন বলতে পারব না প্রায় প্রতিদিনই যুক্তরাষ্ট্রে গান ভায়োলেন্স হচ্ছে।’

সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশের মানবাধিকার নিয়ে তারা কথা বলে। আমরা কি এসব নিয়ে কথা বলতে পারব না? আমাদের দেশে তারা যে দৃষ্টিতে মানবাধিকার দেখে সে দৃষ্টিতে নিজের দেশে দেখবে না কেন? তাদের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্ব নেই এমন কথা তো আমরা বলিনি।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে যখন বিরোধীরা ধ্বংসযজ্ঞ চালায়, যখন সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালায়, পুলিশকে পিটিয়ে মারে তখন যুক্তরাষ্ট্র চুপ থাকে।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘যুদ্ধের কারণে বিশ্বে যে অর্থনৈতিক সংকট চলছে তা বাংলাদেশেও আছে। বাংলাদেশ এ প্রভাব থেকে মুক্ত নয়। আমদানি-রফতানি, জ্বালানি, ডলার সংকট এগুলো অর্থনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। তাই সে ক্ষেত্রে আমরা চাপে আছি। যেমন: দ্রব্যমূল্যের যে চাপ তা তো অস্বীকার করার উপায় নেই।’

তিনি বলেন, প্রতীক ছাড়া স্থানীয় সরকার নির্বাচনের রেকর্ড আছে। প্রতীক ছাড়া নির্বাচন করলে নির্বাচন বেশি অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে-এমন চিন্তা থেকে আমরা প্রতীক দিইনি। এর মানে এই নয় যে অন্য দলগুলো নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দ করতে পারবে না।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ান আব্দুস সবুর, সংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, উপ দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।

সর্বশেষ সংবাদ

নওগাঁয় ঔষধ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে হয়রানি মূলক মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন
কিশোরীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে দুই যুবককে পিটিয়ে হত্যা করল জনতা
সত্য বলায় যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থে আঘাত লাগলে কিছু করার নেই: ওবায়দুল কাদের
সেনাবাহিনীকে আরও আধুনিক ও দক্ষ করে তোলা হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী
উপজেলা নির্বাচন বর্জনে রিজভীর লিফলেট বিতরণ
টাঙ্গাইলে বজ্রপাতে বাবুর্চির মৃত্যু
জিম্বাবুয়ে-যুক্তরাষ্ট্র সিরিজের ফলাফল কোনো কাজে আসবে না : সাকিব
১৫ বছরে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জিত হয়েছে : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
সুন্দরবনের আগুন নেভাতে যোগ দিয়েছে নৌ ও বিমান বাহিনী
গাজায় দেড় লাখের বেশি অন্তঃসত্ত্বা নারী পানিশূন্যতায় ভুগছেন
স্বামীর সঙ্গে অভিমানে নববধূর আত্মহত্যা
নারী এমপিকে মাদক খাইয়ে যৌন হেনস্তা
নীলক্ষেতে দুই রেস্টুরেন্টে আগুন
খাগড়াছড়িতে টিনের চালে বজ্রপাত, ঘরসহ পুড়ে ছাই মা-ছেলে
যুদ্ধে বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রকেও পাত্তা দিচ্ছে না দখলদার ইসরায়েল
সুন্দরবনে আগুন নেভানোর কাজ শুরু
ঢাকা সফরে আসছেন আইওএম মহাপরিচালক অ্যামি পোপ
কেমন থাকবে আজকের আবহাওয়া, যা জানাল আবহাওয়া অফিস
আজ থেকে খুলছে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
মিল্টন সমাদ্দারের মানবিকতার আড়ালে প্রতারণা, যা বললেন ব্যারিস্টার সুমন