সোমবার, ১২ মে ২০২৫ | ২৯ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

আজ থেকে করোনার চতুর্থ ডোজ শুরু

ফাইল ফটো

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে টিকার চতুর্থ ডোজ প্রয়োগের কার্যক্রম শুরু হচ্ছে আজ মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর)। তবে এই ৪র্থ ডোজ কার্যক্রমে দুই সপ্তাহ পর্যবেক্ষণ শর্ত থাকছে না। অর্থাৎ আজ থেকে নিয়মিতভাবেই টিকা কার্যক্রম চলবে।

সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) পরিচালক ও লাইন ডাইরেক্টর ডা. মো. শামসুল হক।

তিনি বলেন, ২০ ডিসেম্বর থেকে ঢাকাসহ সারাদেশে করোনার চতুর্থ ডোজ টিকা প্রদান কার্যক্রম শুরু করা হবে। দেশের প্রতিটি কেন্দ্রেই অন্যান্য ডোজ টিকার সঙ্গে চতুর্থ ডোজও প্রয়োগ করা হবে।

অন্যান্য ডোজের মতো ৪র্থ ডোজ আপাতত গণহারে দেওয়া হচ্ছে না বলে জানিয়েছে অধিদপ্তর। প্রথম ধাপে পাঁচ শ্রেণির মানুষ পাবে চতুর্থ ডোজের টিকা।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ডোজ প্রাপ্তির পর চার মাস অতিবাহিত হয়েছে এমন নিম্নলিখিত ব্যক্তিদের চতুর্থ ডোজ দেওয়া যাবে—

*৬০ বছর এবং তদূর্ধ্বর বয়সী জনগোষ্ঠী

*দীর্ঘমেয়াদি রোগে আক্রান্ত ১৮ বছর এবং তদূর্ধ্ব বয়সী জনগোষ্ঠী

*স্বল্প রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন জনগোষ্ঠী

*গর্ভবতী মহিলা এবং দুগ্ধদানকারী মা এবং

*সম্মুখসারির যোদ্ধা (স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সব কর্মকর্তা-কর্মচারী, অনুমোদিত বেসরকারি ও প্রাইভেট স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা-কর্মচারী, প্রত্যক্ষভাবে সম্পৃক্ত সব সরকারি, বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত কর্মকর্তা-কর্মচারী, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনা, সম্মুখ সারির আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সামরিক বাহিনী, বেসামরিক বিমান, রাষ্ট্র পরিচালনার নিমিত্ত অপরিহার্য কার্যালয়, সম্মুখসারির গণমাধ্যমকর্মী, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার সম্মুখসারির কর্মকর্তা-কর্মচারী, ধর্মীয় প্রতিনিধি (সব ধর্মের), মৃতদেহ সৎকার কার্যে নিয়োজিত ব্যক্তি, জরুরি বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস, পয়ঃনিষ্কাশন ও ফায়ার সার্ভিসের সম্মুখ সারির সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, রেল স্টেশন, বিমানবন্দর, স্থল বন্দরের সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, জেলা ও উপজেলায় জরুরি জনসেবায় সম্পৃক্ত সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারী, জাতীয় দলের খেলোয়াড়, চিকিৎসা শিক্ষা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ছাত্র- ছাত্রী।

আরএ/

Header Ad
Header Ad

আন্তর্জাতিক নার্স দিবস আজ

দেশে প্রয়োজনের তুলনায় ২ লাখের বেশি নার্সের ঘাটতি

ছবি: সংগৃহীত

দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থায় অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে নার্স সংকট। জনসংখ্যার অনুপাতে যেখানে কমপক্ষে ৩ লাখ ১০ হাজার ৫০০ নার্স প্রয়োজন, সেখানে কর্মরত নার্সের সংখ্যা মাত্র ৫৬ হাজার ৭৩৪ জন। ঘাটতি রয়েছে প্রায় ২ লাখ ৫৪ হাজার জনের বেশি, যা প্রয়োজনের তুলনায় প্রায় ৮২ শতাংশ কম। স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশনের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে এ উদ্বেগজনক চিত্র উঠে এসেছে।

এই পরিস্থিতির মধ্যেই আজ পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক নার্স দিবস। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য—‘নার্সরা সুস্থ থাকলে, দেশও সবল হয়’—সরাসরি ইঙ্গিত দিচ্ছে যে নার্সদের সুরক্ষা ও কল্যাণ নিশ্চিত করা ছাড়া স্বাস্থ্যখাতে কাঙ্ক্ষিত মান অর্জন সম্ভব নয়।

স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশনের জমা দেওয়া প্রতিবেদনে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, জনসংখ্যা ও স্বাস্থ্যসেবার চাহিদা বিবেচনায় দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে নার্সসহ স্বাস্থ্যকর্মীদের শূন্যপদে দ্রুত নিয়োগ প্রয়োজন। কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালের হিসাব অনুযায়ী দেশে চিকিৎসক আছেন ৮৬ হাজার ৬৭৫ জন (প্রয়োজনের তুলনায় ১৬.৫ শতাংশ কম), নার্স আছেন ৫৬ হাজার ৭৩৪ জন (৮২ শতাংশ কম), আর সহযোগী স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছেন ২ লাখ ৩০ হাজার ২১৯ জন, যা প্রয়োজনের তুলনায় প্রায় ৫৫ শতাংশ কম।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, উন্নত ও কার্যকর স্বাস্থ্যসেবার জন্য চিকিৎসক ও নার্সের অনুপাত হওয়া উচিত ১:৩। অর্থাৎ, একজন চিকিৎসকের সঙ্গে থাকা উচিত তিনজন নার্স এবং আরও অন্তত পাঁচজন সহকারী স্বাস্থ্যকর্মী। অথচ বাংলাদেশে এই অনুপাত বর্তমানে মাত্র ১:০.৭।

জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সিনিয়র স্টাফ নার্স মল্লিকা বানু গণমাধ্যমকে বলেন, “আমার হয়তো ছয়জন রোগীর দায়িত্ব থাকার কথা, কিন্তু দিতে হয় ৫০ জনকে। এতে রোগীদের প্রয়োজনীয় সময় দেওয়া সম্ভব হয় না। একদিকে রোগী সন্তুষ্ট হয় না, অন্যদিকে আমরা ক্লান্ত হয়ে পড়ি, সেবার মানও কমে যায়।”

শুধু সংখ্যা নয়, নার্সিং পেশার প্রতি সামাজিক অবহেলা ও কাঠামোগত অব্যবস্থাপনাও সংকট বাড়াচ্ছে। নিউইয়র্কভিত্তিক ‘সেজ’ প্রকাশনা সংস্থার এক গবেষণায় দেখা গেছে, বাংলাদেশে নার্সিংকে এখনো অনেকেই নোংরা ও নীচু কাজ হিসেবে ভাবেন। দরিদ্র পরিবারের মেয়েরা বেশি এই পেশায় আসেন, এমন ধারণা রয়েছে সমাজে। এমনকি নারী নার্সদের পেশাগত দায়িত্ব—যেমন অন্য লিঙ্গের রোগীর যত্ন নেওয়া—নিয়ে সমাজে নানামুখী নেতিবাচক ধারণাও আছে।

নার্সিংয়ের শিক্ষাক্ষেত্রেও পিছিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। উচ্চশিক্ষার সুযোগ সীমিত, আর সেই শিক্ষার কোনো স্বীকৃতি বা প্রভাব পড়ছে না চাকরি বা পদোন্নতিতে। গবেষণায় দেখা গেছে, কয়েকজন নার্স পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করলেও তাঁদের পদ বা বেতন বাড়েনি।

বাংলাদেশ ডিপ্লোমা নার্সেস ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি ইসমত আরা পারভীন বলেন, “নার্সদের সংখ্যা বাড়ানো, তাদের বেতন ও পদোন্নতির সুযোগ বৃদ্ধি, সিদ্ধান্ত গ্রহণে অংশগ্রহণ—এসব নিশ্চিত না করলে মানসম্পন্ন স্বাস্থ্যসেবা সম্ভব নয়। ক্লান্ত, অবমূল্যায়িত নার্সদের দিয়ে উন্নত সেবা আশা করা ঠিক না।”

Header Ad
Header Ad

এবার বাঁধের গেট খুলে দিল ভারত, পাকিস্তানে জরুরি সতর্কতা

ছবি: সংগৃহীত

যুদ্ধবিরতির পরদিনই চেনাব নদীতে দেওয়া বাঁধের একাধিক গেট খুলে দিয়েছে ভারত। এর ফলে আবারও পাকিস্তানের দিকে পানি প্রবাহিত হতে শুরু করেছে। পাকিস্তানি প্রশাসন ইতিমধ্যেই কিছু এলাকায় বন্যার সতর্কতা জারি করেছে।

পেহেলগাঁওয়ের হামলায় নিহতের পর ভারত একাধিক কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করে। এর মধ্যে অন্যতম ছিল পাকিস্তানের দিকে পানি প্রবাহ বন্ধ করা এবং পাকিস্তানি নাগরিকদের দেশ ছাড়ার নির্দেশ।

ভারত সরকার সাময়িকভাবে সিন্ধু পানিচুক্তি স্থগিত করে এবং চেনাব নদীর বাগলিহার ও সালাল বাঁধের গেট লাগিয়ে প্রবাহ আটকে দেয়। ফলে পাকিস্তানের দিকে চেনাব নদীর জলস্তর আশঙ্কাজনকভাবে কমে যায়।

দেশটির প্রশাসনের বরাতে ভারতীয় বিভিন্ন গণমাধ্যম জানিয়েছে, সম্প্রতি জম্মু-কাশ্মীরে টানা বৃষ্টির কারণে বাগলিহার ও সালাল বাঁধে পানিরস্তর বেড়ে গিয়েছিল। বাঁধে অতিরিক্ত জল জমে থাকায় তা ছেড়ে দেওয়ার প্রয়োজন হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, পানি না ছাড়লে বাঁধের ওপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে বিপর্যয় সৃষ্টি হতে পারত।

যদিও সরকারিভাবে এখন পর্যন্ত বাঁধের গেট খোলার প্রকৃত কারণ জানানো হয়নি। গেট খোলার ফলে পাকিস্তানে চেনাব নদীর শুকিয়ে যাওয়া এলাকাগুলোতে আবারও জল প্রবাহিত হচ্ছে। এতে নদীর নিচু অঞ্চলগুলো প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

 

Header Ad
Header Ad

রংপুরে ধর্ষণের পর শিশুকে হত্যার অভিযোগ, ওসি অবরুদ্ধ

ছবি: সংগৃহীত

রংপুরের মিঠাপুকুরে সাত বছর বয়সী এক শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শিশুটির পরিবারের দাবি, ধর্ষণের পর শিশুটিকে হত্যা করে লাশ বালুচাপা দেওয়া হয়। এ ঘটনায় ফজলু মিয়া নামের এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ।

ঘটনার পর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ঘটনাস্থলে গেলে ‘অসৌজন্যমূলক’ আচরণের অভিযোগে তাঁকে অবরুদ্ধ করেন এলাকাবাসী। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সেনাসদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ওসিকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন। নিহত শিশুটির বাড়ি মিঠাপুকুরের বালুয়া মাসিমপুর ইউনিয়নের একটি গ্রামে। অভিযুক্তও একই গ্রামের বাসিন্দা।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ সকাল সাড়ে আটটার দিকে অভিযুক্ত ফজলু মিয়া কৌশলে শিশুটিকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ। এ সময় চিৎকার দেওয়ায় শিশুটিকে শ্বাস রোধ করে হত্যা করা হয়। পরে বাড়ির পাশে বালুর স্তূপে মরদেহ চাপা দিয়ে রাখা হয়। প্রতিবেশী এক নারী বালুর নিচে হাত দেখতে পেলে আশপাশের লোকজন বালুর নিচ থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করেন।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ঘটনার পর বেলা দেড়টার দিকে অভিযুক্ত ফজলু মিয়ার বাড়িতে ভাঙচুর ও আগুন দেন বিক্ষুব্ধ লোকজন। পরে ঘটনাস্থলে মিঠাপুকুর থানার ওসি আবু বক্কর সিদ্দিক গেলে অবরুদ্ধ করে রাখেন এলাকাবাসী। স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, ওসি আবু বক্কর সিদ্দিক এলাকাবাসীর সঙ্গে ‘অসৌজন্যমূলক’ আচরণ করেছেন। পরে মিঠাপুকুরের ইউএনও ও সেনাবাহিনী বিকেল চারটার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে ওসিকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন।

এ বিষয়ে ওসি আবু বক্কর সিদ্দিক কোনো কথা বলতে রাজি হননি। মিঠাপুকুরের ইউএনও বিকাশ চন্দ্র বর্মণ বলেন, স্থানীয় জনতা উত্তেজিত ছিলেন। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে ঘণ্টাখানেক আগে ওসিকে নিয়ে আসা হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

দেশে প্রয়োজনের তুলনায় ২ লাখের বেশি নার্সের ঘাটতি
এবার বাঁধের গেট খুলে দিল ভারত, পাকিস্তানে জরুরি সতর্কতা
রংপুরে ধর্ষণের পর শিশুকে হত্যার অভিযোগ, ওসি অবরুদ্ধ
স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে কোনো রাজনীতি নেই: প্রধান উপদেষ্টা
নিলামে উঠল এস আলম গ্রুপের বেনামি প্রতিষ্ঠানের ৩১ একর জমি
টেস্ট ক্রিকেট থেকে বিরাট কোহলির অবসর, রাখলেন না বোর্ডের অনুরোধ
ওহা সে গোলি চলেগি, ইহা সে গোলা চলেগা: মোদির হুঁশিয়ারি
বিডিআরের ৪০ জওয়ানের জামিন
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে জুলাই গণহত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল
‘অন্তর্বর্তী সরকার আসার পর একটিও গুমের ঘটনা ঘটেনি’
সন্ত্রাসবিরোধী অধ্যাদেশ জারি
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৮ শিশুসহ ২৬ ফিলিস্তিনি নিহত
এবার জাতীয় পার্টির নিবন্ধন বাতিলের দাবি
এল ক্লাসিকো জিতে শিরোপার আরও কাছে বার্সেলোনা
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গণহত্যার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল আজ
যুদ্ধে ভারতের ৮৩ বিলিয়ন, পাকিস্তানের ৪ বিলিয়ন ডলার ক্ষতি
আসছে ঘূর্ণিঝড় 'শক্তি' আঘাত হানতে পারে যেসব অঞ্চলে
কাউন্টার অ্যাটাক ‘বুনইয়ানুম মারসুস’-এর সাফল্য উদযাপন করছে পাকিস্তান
নওগাঁয় কালবৈশাখীর তাণ্ডবে যুবক নিহত
‘ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার’ দেশে বিভক্তির সুযোগ নেই: আমীর খসরু