সোমবার, ১২ মে ২০২৫ | ২৯ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

আন্তর্জাতিক নার্স দিবস আজ

দেশে প্রয়োজনের তুলনায় ২ লাখের বেশি নার্সের ঘাটতি

ছবি: সংগৃহীত

দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থায় অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে নার্স সংকট। জনসংখ্যার অনুপাতে যেখানে কমপক্ষে ৩ লাখ ১০ হাজার ৫০০ নার্স প্রয়োজন, সেখানে কর্মরত নার্সের সংখ্যা মাত্র ৫৬ হাজার ৭৩৪ জন। ঘাটতি রয়েছে প্রায় ২ লাখ ৫৪ হাজার জনের বেশি, যা প্রয়োজনের তুলনায় প্রায় ৮২ শতাংশ কম। স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশনের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে এ উদ্বেগজনক চিত্র উঠে এসেছে।

এই পরিস্থিতির মধ্যেই আজ পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক নার্স দিবস। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য—‘নার্সরা সুস্থ থাকলে, দেশও সবল হয়’—সরাসরি ইঙ্গিত দিচ্ছে যে নার্সদের সুরক্ষা ও কল্যাণ নিশ্চিত করা ছাড়া স্বাস্থ্যখাতে কাঙ্ক্ষিত মান অর্জন সম্ভব নয়।

স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশনের জমা দেওয়া প্রতিবেদনে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, জনসংখ্যা ও স্বাস্থ্যসেবার চাহিদা বিবেচনায় দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে নার্সসহ স্বাস্থ্যকর্মীদের শূন্যপদে দ্রুত নিয়োগ প্রয়োজন। কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালের হিসাব অনুযায়ী দেশে চিকিৎসক আছেন ৮৬ হাজার ৬৭৫ জন (প্রয়োজনের তুলনায় ১৬.৫ শতাংশ কম), নার্স আছেন ৫৬ হাজার ৭৩৪ জন (৮২ শতাংশ কম), আর সহযোগী স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছেন ২ লাখ ৩০ হাজার ২১৯ জন, যা প্রয়োজনের তুলনায় প্রায় ৫৫ শতাংশ কম।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, উন্নত ও কার্যকর স্বাস্থ্যসেবার জন্য চিকিৎসক ও নার্সের অনুপাত হওয়া উচিত ১:৩। অর্থাৎ, একজন চিকিৎসকের সঙ্গে থাকা উচিত তিনজন নার্স এবং আরও অন্তত পাঁচজন সহকারী স্বাস্থ্যকর্মী। অথচ বাংলাদেশে এই অনুপাত বর্তমানে মাত্র ১:০.৭।

জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সিনিয়র স্টাফ নার্স মল্লিকা বানু গণমাধ্যমকে বলেন, “আমার হয়তো ছয়জন রোগীর দায়িত্ব থাকার কথা, কিন্তু দিতে হয় ৫০ জনকে। এতে রোগীদের প্রয়োজনীয় সময় দেওয়া সম্ভব হয় না। একদিকে রোগী সন্তুষ্ট হয় না, অন্যদিকে আমরা ক্লান্ত হয়ে পড়ি, সেবার মানও কমে যায়।”

শুধু সংখ্যা নয়, নার্সিং পেশার প্রতি সামাজিক অবহেলা ও কাঠামোগত অব্যবস্থাপনাও সংকট বাড়াচ্ছে। নিউইয়র্কভিত্তিক ‘সেজ’ প্রকাশনা সংস্থার এক গবেষণায় দেখা গেছে, বাংলাদেশে নার্সিংকে এখনো অনেকেই নোংরা ও নীচু কাজ হিসেবে ভাবেন। দরিদ্র পরিবারের মেয়েরা বেশি এই পেশায় আসেন, এমন ধারণা রয়েছে সমাজে। এমনকি নারী নার্সদের পেশাগত দায়িত্ব—যেমন অন্য লিঙ্গের রোগীর যত্ন নেওয়া—নিয়ে সমাজে নানামুখী নেতিবাচক ধারণাও আছে।

নার্সিংয়ের শিক্ষাক্ষেত্রেও পিছিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। উচ্চশিক্ষার সুযোগ সীমিত, আর সেই শিক্ষার কোনো স্বীকৃতি বা প্রভাব পড়ছে না চাকরি বা পদোন্নতিতে। গবেষণায় দেখা গেছে, কয়েকজন নার্স পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করলেও তাঁদের পদ বা বেতন বাড়েনি।

বাংলাদেশ ডিপ্লোমা নার্সেস ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি ইসমত আরা পারভীন বলেন, “নার্সদের সংখ্যা বাড়ানো, তাদের বেতন ও পদোন্নতির সুযোগ বৃদ্ধি, সিদ্ধান্ত গ্রহণে অংশগ্রহণ—এসব নিশ্চিত না করলে মানসম্পন্ন স্বাস্থ্যসেবা সম্ভব নয়। ক্লান্ত, অবমূল্যায়িত নার্সদের দিয়ে উন্নত সেবা আশা করা ঠিক না।”

Header Ad
Header Ad

বুর্জ খলিফায় বেনজীরে স্ত্রীর ফ্ল্যাট ক্রোক, ব্যাংক হিসাব ফ্রিজের আদেশ

বেনজীর আহমেদ এবং তার স্ত্রী জিসান মির্জা। ছবি: সংগৃহীত

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চলমান অনুসন্ধানে এবার বড় পদক্ষেপ নেওয়া হলো সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের পরিবারের বিরুদ্ধে। তার স্ত্রী জিসান মির্জার নামে দুবাইয়ে থাকা দুটি অভিজাত ফ্ল্যাট এবং দুটি ব্যাংক হিসাব ক্রোক ও ফ্রিজ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত।

এর মধ্যে একটি ফ্ল্যাট রয়েছে বিশ্বের উচ্চতম ভবন বুর্জ খলিফায় এবং অন্যটি দুবাইয়ের আল ওয়াসি এলাকায়। সোমবার (১২ মে) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন গালিব এই আদেশ দেন। আদালতে দুদকের পক্ষে উপপরিচালক জয়নাল আবেদীন আবেদন করেন।

আবেদনে উল্লেখ করা হয়, বেনজীর আহমেদ ও তার স্ত্রী জিসান মির্জার বিরুদ্ধে ১৬ কোটি টাকার সম্পদ গোপন এবং প্রায় ৩২ কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা হয়েছে। তদন্তে উঠে এসেছে, জিসান মির্জা তার বৈধ আয় উৎস ছাড়াই বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদেশে পাচার করেছেন।

আদালতে দুদক আরও জানায়, সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে এই অর্থ ফেরত আনার জন্য ফ্ল্যাট ও ব্যাংক হিসাব হস্তান্তর রোধ করতে তাৎক্ষণিকভাবে এগুলো ক্রোক ও ফ্রিজ করা জরুরি ছিল।

ফৌজদারি আইনের আওতায়, বিশেষ করে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪-এর ধারা ২৬(২) ও ২৭(১) অনুযায়ী, এসব অপরাধ শাস্তিযোগ্য।

Header Ad
Header Ad

আওয়ামী লীগের সব কার্যক্রম নিষিদ্ধের প্রজ্ঞাপন জারি

ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে চলমান মামলাগুলোর বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত দলটির সব ধরনের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে সরকার।

সোমবার (১২ মে) আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ ঘোষণা দেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

তিনি জানান, রাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে সরকার ইতোমধ্যে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। এই প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, দলটির সব সভা-সমাবেশ, রাজনৈতিক প্রচার ও সাংগঠনিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “অধ্যাদেশ অনুসারে বিষয়টি বাস্তবায়নের দায়িত্ব আমাদের। তাই আইন অনুযায়ী নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে যাবতীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।”

এর আগে গত শনিবার (১০ মে) রাতে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের জরুরি বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সেই বৈঠকে দেশব্যাপী রাজনৈতিক সহিংসতা, সাম্প্রতিক সময়ের সংঘাতময় পরিস্থিতি এবং বিভিন্ন মামলায় দলটির জড়িত থাকার বিষয় নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়।

 

Header Ad
Header Ad

ফেসবুক-ইউটিউবে আওয়ামী লীগের পক্ষে কথা বললেই গ্রেপ্তার: আসিফ মাহমুদ

শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগের যাবতীয় রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণার পর এবার আরও কঠোর অবস্থান নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। অনলাইনে দলটির পক্ষে বক্তব্য দিলেও নেওয়া হবে আইনগত ব্যবস্থা—এমনটাই জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

সোমবার (১২ মে) সকালে তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেন, “দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করলে রেহাই নেই! গোপন বৈঠক, উসকানিমূলক মিছিল বা ফেসবুক-ইউটিউবে পোস্ট করলেও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

তার এই পোস্টে একটি পোস্টারও যুক্ত ছিল, যেখানে শিরোনাম হিসেবে লেখা ছিল: “ফেসবুক-ইউটিউবে আওয়ামী লীগের পক্ষে কথা বললেই গ্রেপ্তার”।

পোস্টারে আরও উল্লেখ করা হয়, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা যদি গোপনে কোথাও বৈঠক, মিছিল কিংবা সমাবেশের চেষ্টা করেন, তবে সংশ্লিষ্ট এলাকার থানা পুলিশ তাদের তাৎক্ষণিকভাবে গ্রেফতার করতে পারবে। শুধু তাই নয়, দেশ কিংবা বিদেশে বসে কেউ যদি ফেসবুক বা ইউটিউবে আওয়ামী লীগের পক্ষে পোস্ট, মন্তব্য বা প্রচারণা চালায়, সেক্ষেত্রেও তাদের বিরুদ্ধে সাইবার ক্রাইম বা রাষ্ট্রবিরোধী অপরাধের অভিযোগে মামলা করা যাবে।

এর আগে, শনিবার রাত ১১টায় এক জরুরি বৈঠকে আওয়ামী লীগের সব ধরনের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার ঘোষণা দেয় অন্তর্বর্তী সরকার। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে অংশ নেন উপদেষ্টা পরিষদের গুরুত্বপূর্ণ সদস্যরা।

বৈঠক-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল জানান, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সংশোধনী অনুমোদনের পর এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। তিনি বলেন, ট্রাইব্যুনালে বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগ এবং তার অঙ্গ সংগঠনগুলোর সব ধরনের কার্যক্রম, এমনকি অনলাইন উপস্থিতিও সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় নিষিদ্ধ থাকবে।

এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় সরকারি নির্দেশনা পরবর্তী কর্মদিবসে জারি করা হবে বলে জানানো হয়।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বুর্জ খলিফায় বেনজীরে স্ত্রীর ফ্ল্যাট ক্রোক, ব্যাংক হিসাব ফ্রিজের আদেশ
আওয়ামী লীগের সব কার্যক্রম নিষিদ্ধের প্রজ্ঞাপন জারি
ফেসবুক-ইউটিউবে আওয়ামী লীগের পক্ষে কথা বললেই গ্রেপ্তার: আসিফ মাহমুদ
আ.লীগ নিষিদ্ধের উল্লাসে শাহবাগে নেতাদের নাম দিয়ে গরু-ছাগল জবাই
সীমান্ত উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে মোদির জরুরি বৈঠক, উপস্থিত শীর্ষ কর্মকর্তারা
পরীক্ষা শেষে বাড়ি ফেরা হলো না শিশুর, অটোরিকশার ধাক্কায় সড়কেই ঝড়ল প্রাণ
রিয়াল মাদ্রিদের হেড কোচের দায়িত্ব পেলেন জাবি আলোনসো
সুন্দরবনের ১০ কিলোমিটারের মধ্যে শিল্পপ্রতিষ্ঠান নিষিদ্ধ
দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ প্রবাসী আয়ের রেকর্ড
ভারতের বিরুদ্ধে ৬-০ ব্যবধানে জয়লাভ করেছে পাকিস্তানি বিমানবাহিনী
২২ মে থেকে বাজারে আসছে নওগাঁর আম (ভিডিও)
শাহবাগে কয়েক দিন যাবৎ নাটক চলছে: মির্জা আব্বাস
ঈদে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু ২১ মে
দেশে গুমের সূচনা করেছে আওয়ামী লীগ: প্রেস সচিব
দেশে প্রয়োজনের তুলনায় ২ লাখের বেশি নার্সের ঘাটতি
এবার বাঁধের গেট খুলে দিল ভারত, পাকিস্তানে জরুরি সতর্কতা
রংপুরে ধর্ষণের পর শিশুকে হত্যার অভিযোগ, ওসি অবরুদ্ধ
স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে কোনো রাজনীতি নেই: প্রধান উপদেষ্টা
নিলামে উঠল এস আলম গ্রুপের বেনামি প্রতিষ্ঠানের ৩১ একর জমি
টেস্ট ক্রিকেট থেকে বিরাট কোহলির অবসর, রাখলেন না বোর্ডের অনুরোধ