শনিবার, ১০ মে ২০২৫ | ২৭ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

মুসলিম বিবাহ আইন বাতিল করছে আসাম

ঢাকাপ্রকাশ ফাইল ।

ভারতের আসামে মুসলিম বিবাহ ও বিবাহবিচ্ছেদ নিবন্ধন আইন বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রাজ্যের ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) সরকার ইউনিফর্ম বা অভিন্ন সিভিল কোড আইন (ইউসিসি) কার্যকরের লক্ষ্যে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শনিবার দেশটির সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

এর আগে, দেশটির আরেক রাজ্য উত্তরাখন্ডের সরকার সব ধর্ম-বর্ণের জন্য একই ধরনের বিয়ে, তালাক ও উত্তরাধিকারসহ অন্যান্য সাধারণ আইন প্রবর্তনের সিদ্ধান্ত নেয়। এনডিটিভি বলছে, চলতি মাসের শুরুর দিকে ভারতের প্রথম রাজ্য হিসেবে উত্তরাখন্ড রাজ্য ইউসিসি আইন পাস করে। এখন আসামের ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকারও একই ধরনের আইন আনার ইঙ্গিত দিয়েছে।

আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত শর্মা নেতৃত্বাধীন সরকার আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি বিধানসভার বাজেট অধিবেশনের সময় ইউসিসি বিলটি উপস্থাপন করতে পারে। শুক্রবার আসামের মন্ত্রী জয়ন্ত মাল্লা বড়ুয়া বলেছেন, মন্ত্রিসভা মুসলিম বিবাহ এবং বিবাহবিচ্ছেদ নিবন্ধন আইন বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সরকার এখন এই ধরনের সব বিষয়কে বিশেষ বিবাহ আইনের আওতায় আনতে চায় ।

আসামের বর্তমান আইনে মুসলমানদের বিবাহ এবং বিবাহবিচ্ছেদে স্বেচ্ছা নিবন্ধনের অনুমতি রয়েছে। আইন অনুযায়ী, এই ধরনের ঘটনা নিবন্ধন করা বাধ্যতামূলক নয়। নিবন্ধনের যেসব বিধি-বিধান রয়েছে তা অনানুষ্ঠানিক এবং বিদ্যমান নিয়মাবলি উপেক্ষা করার সুযোগও রয়েছে।

মুসলিম রেজিস্ট্রার থাকবে না
আইনটি বাতিল হয়ে গেলে বিবাহ ও বিবাহবিচ্ছেদের নিবন্ধনের লাইসেন্সধারী মুসলিম রেজিস্ট্রাররা আর বিবাহ কিংবা তালাকের নিবন্ধন করতে পারবেন না। মন্ত্রী জয়ন্ত মাল্লা বড়ুয়া বলেন, রাজ্যে যে ৯৪ জন মুসলিম নিবন্ধক রয়েছেন; যারা আইনের আওতায় বিবাহ নিবন্ধন করেন তাদের এককালীন ২ লাখ রূপি ক্ষতিপূরণ হিসেবে দেওয়া হবে।

রেজিস্ট্রেশন রেকর্ডের রক্ষণাবেক্ষণ
হিমন্ত বিশ্ব শর্মার মতে, আইনটি বাতিল হওয়ার পর নিবন্ধন রেকর্ডের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকবেন জেলা কমিশনার এবং জেলা রেজিস্ট্রাররা। নিবন্ধনের পুরো রেকর্ড ও প্রক্রিয়া আসামের ইন্সপেক্টর জেনারেল অব রেজিস্ট্রেশনের তত্ত্বাবধানে নিয়ন্ত্রিত হবে। বর্তমানে আসামের ৯৪ জন মুসলিম বিবাহ নিবন্ধক এই ধরনের রেকর্ডের রক্ষণাবেক্ষণ করেন।

বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ
হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, বর্তমান আইনের কিছু বিধানে বর এবং কনের বয়স যথাক্রমে ১৮ ও ২১ বছরে না পৌঁছালেও বিবাহ নিবন্ধন করার অনুমতি রয়েছে। আইনটি বাতিল করা হলে তা আসামে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হবে।

Header Ad
Header Ad

বেনাপোলে পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় যুবকের মৃত্যু

নিহত সুমন হোসেন। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানার খড়িডাঙ্গা গ্রামে পাওনা টাকা ফেরত চাওয়াকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় সুমন হোসেন (৩২) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। তিনি ওই গ্রামের নূর ইসলামের ছেলে। সুমনের স্ত্রী, ৬ বছর বয়সী একটি কন্যাসন্তান, এবং বাবা-মা রয়েছেন।

ঘটনাটি ঘটে শুক্রবার (৯ মে) সন্ধ্যায়। আহত সুমনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পর শনিবার (১০ মে) সকালে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

স্থানীয় সূত্র জানায়, কয়েক বছর আগে মৃত মইরদ্দিনের তিন ছেলে—মশিয়ার, মফিজুর এবং শহিদুল্লাহ—সুমনের কাছ থেকে ৪০ হাজার টাকার বিনিময়ে ১২ কাঠা জমি বন্ধক নিয়েছিল। দীর্ঘদিন পর উক্ত জমির ব্যাপারে মতবিরোধ দেখা দিলে সুমন টাকা ফেরত দিয়ে জমি বুঝে নিতে চান। এ নিয়ে বিরোধ বাড়তে থাকে।

শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে সুমন মশিয়ারদের বাড়িতে গিয়ে টাকা ফেরতের কথা বলেন। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে তর্কবিতর্ক হয়। সেখান থেকে ফিরে সুমন স্থানীয় আনিছুর রহমানের দোকানে গিয়ে বসেন।

কিছুক্ষণ পর মশিয়ার, মফিজুর ও শহিদুল্লাহসহ আরও কয়েকজন আনিছুরের দোকানে গিয়ে সুমনকে টেনে হিঁচড়ে রাস্তায় ফেলে মারধর শুরু করে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তারা দেশীয় অস্ত্র, লাঠি, সোটা ও ইট দিয়ে তাকে এলোপাতাড়ি আঘাত করে এবং মৃত ভেবে ফেলে রেখে চলে যায়।

পরবর্তীতে স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় সুমনকে উদ্ধার করে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই শনিবার সকাল ১১টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাসেল মিয়া জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এখনও পর্যন্ত কেউ মামলা করেনি, তবে হামলার ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করে দ্রুত গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

Header Ad
Header Ad

শেখ হাসিনার সহকারী প্রেস সচিব বিটু ও সাবেক এমপি শামীমা গ্রেপ্তার

আশরাফ সিদ্দিকী বিটু এবং অ্যাডভোকেট শামীমা আক্তার খানম। ছবি: সংগৃহীত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক সহকারী প্রেস সচিব আশরাফ সিদ্দিকী বিটু এবং কৃষকলীগ নেত্রী ও সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট শামীমা আক্তার খানমকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

শনিবার ( ১০ মে) বিকালে ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ শাখার উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, কৃষকলীগ নেত্রী ও সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট শামীমা আক্তার খানম এবং শেখ হাসিনার সহকারী প্রেস সচিব আশরাফ সিদ্দিকী বিটুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

উল্লেখ্য, আশরাফ সিদ্দিকী বিটু ২০১৭ সালে প্রথমবারের মতো প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রেস উইংয়ে সহকারী প্রেস সচিব হিসেবে নিয়োগ পান। পরবর্তীকালে ২০২১ সালে তার চুক্তির মেয়াদ আরও তিন বছর বাড়ানো হয়। তবে ২০২২ সালের ২১ জুলাই তার নিজ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ওই পদ থেকে তার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করা হয়।

Header Ad
Header Ad

জনগণ আর পলাতক অপশক্তির পুনর্বাসন চায় না: তারেক রহমান

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত

সরকার ও রাজনীতিতে গুম, খুন, দুর্নীতি ও সংবিধান লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত পলাতক অপশক্তিদের আর কোনো ধরনের পুনর্বাসন চায় না দেশের জনগণ—এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

শনিবার (১০ মে) বিকেলে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বৌদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে আয়োজিত শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন।

তারেক রহমান বলেন, “গণতান্ত্রিক বিশ্বে একমাত্র নিরাপদ ও মানবিক রাষ্ট্রের পথ হলো গণতন্ত্র। যারা অতীতে সংবিধান লঙ্ঘন করেছে, অবৈধভাবে সরকার ও সংসদ গঠন করেছে, তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে। জনগণ তাদের রাজনীতিতে আর দেখতে চায় না।”

তিনি বলেন, “দেশে একটি জবাবদিহিমূলক, গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে বিএনপি বদ্ধপরিকর। এজন্য জনগণকে সজাগ ও সক্রিয় থাকতে হবে যেন কেউ আমাদের ভোটাধিকার ও রাজনৈতিক অধিকার হরণ করতে না পারে।”

বাংলাদেশকে আর যেন কোনোদিন ‘তাঁবেদার রাষ্ট্র’ বা ‘গণতন্ত্রবিরোধী অপশক্তির নিয়ন্ত্রণাধীন রাষ্ট্র’ বানানো না যায়, সে বিষয়ে জনগণ ঐক্যবদ্ধ বলে মন্তব্য করেন তিনি।

আন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, “সরকারের কর্মপরিকল্পনা ও রূপরেখা নিয়ে জনগণের সামনে স্বচ্ছ অবস্থান থাকা জরুরি, যাতে কোনো বিভ্রান্তি না তৈরি হয়। এজন্য বারবার পরিকল্পনা প্রকাশের আহ্বান জানানো হয়েছে।”

ফ্যাসিবাদী শাসনের দেড় দশকে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর ঘটে যাওয়া রামু, নাসিরনগর, রংপুরসহ বিভিন্ন সহিংস ঘটনার প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানে নাগরিক তদন্ত কমিশন গঠনের পরিকল্পনার কথাও জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ড. আবদুল মঈন খান, সালাহউদ্দিন আহমদ, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও বিভিন্ন বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি। সভাপতিত্ব করেন বিএনপির ধর্মবিষয়ক সহসম্পাদক দীপেন দেওয়ান।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বেনাপোলে পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় যুবকের মৃত্যু
শেখ হাসিনার সহকারী প্রেস সচিব বিটু ও সাবেক এমপি শামীমা গ্রেপ্তার
জনগণ আর পলাতক অপশক্তির পুনর্বাসন চায় না: তারেক রহমান
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে এক ঘণ্টা সময় দিলেন হাসনাত আব্দুল্লাহ
যুদ্ধবিরতির তথ্য নিশ্চিত করলো ভারত-পাকিস্তান, সামরিক অভিযান বন্ধ
জাতীয় পার্টি কোনো রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করার পক্ষে নয়: জিএম কাদের
১৫ বছর পর দেশে ফিরলেন হানিফ এন্টারপ্রাইজের মালিক
আরাফাত রহমান কোকোর কবর জিয়ারত করলেন শর্মিলা রহমান ও ডা. জুবাইদা রহমান
ভারত-পাকিস্তান ‘যুদ্ধবিরতিতে’ সম্মত হয়েছে: ট্রাম্প
মুন্সীগঞ্জে লঞ্চে ২ তরুণীকে বেল্ট দিয়ে পেটানো সেই যুবক আটক
চট্টগ্রামে বিএনপির তারুণ্য সমাবেশে উপস্থিত তামিম ইকবাল
শীর্ষ সামরিক ও নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সঙ্গে মোদির জরুরি বৈঠক
টানা দ্বিতীয়বার স্কাই স্পোর্টসের সেরা একাদশে হামজা চৌধুরী
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়টা বাংলাদেশের জন্য একটি বড় ইস্যু: আযম খান
সন্ধ্যায় উপদেষ্টা পরিষদের জরুরি বৈঠক
বিরামপুরে প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ উদ্‌যাপন
আইপিএলের পর এবার অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত পিএসএল
যমুনা ও সচিবালয়সহ বিভিন্ন এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ
বরেণ্য সংগীতশিল্পী মুস্তাফা জামান আব্বাসী মারা গেছেন
মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপে পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা