বুধবার, ১ মে ২০২৪ | ১৮ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

মাদরাসা বন্ধের রায় স্থগিত করল ভারতের সুপ্রিম কোর্ট

মাদরাসা বন্ধের রায় স্থগিত করেছে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। ছবি: সংগৃহীত

ভারতের উত্তর প্রদেশে মাদরাসা বন্ধে এলাহাবাদ হাইকোর্টের দেয়া রায় স্থগিত করেছে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। দেশটির বৃহত্তম রাজ্য উত্তর প্রদেশে প্রায় ১৬ হাজার মাদরাসা রয়েছে। যেগুলোতে পড়াশোনা করেন ১৭ লাখ শিক্ষার্থী।

শুক্রবার (৫ এপ্রিল) ভারতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেছেন, এলাহাবাদ হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছেন সেটি প্রাথমিকভাবে সঠিক ছিল না।

গত মাসে এলাহাবাদ হাইকোর্ট তার রায়ে বলেন, ২০০৪ সালের যে আইনে মাদরাসা চলছে সেটি ‘অসাংবিধানিক’। কারণ এটি ভারতের ধর্মনিরপেক্ষতার নীতিকে ভঙ্গ করছে। এ কারণে এই আইন বাতিল ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। এছাড়া মাদরাসায় অধ্যয়নত শিক্ষার্থীদের সাধারণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্থানান্তরিত করার নির্দেশও দেওয়া হয়।

এলাহাবাদের হাইকোর্টের এই রায় শুক্রবার স্থগিত ঘোষণা করে সুপ্রিম কোর্ট বলেছেন, মাদরাসা বোর্ডের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য মূলত হলো নিয়ন্ত্রক। আর এই বোর্ড স্থাপনের মাধ্যমে ধর্মনিরপেক্ষতার কোনো ক্ষতি হবে না।

প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় তার রায়ে বলেছেন, “এলাহাবাদ হাইকোর্ট, ওই আইন স্থগিত করে, শিক্ষার্থীদের অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্থানান্তরিতের নির্দেশ দেয়। তবে এই রায়ে ক্ষতিগ্রস্ত হবে ১৭ লাখ শিক্ষার্থী। আমাদের পর্যবেক্ষণ হলো এত শিক্ষার্থীকে একসঙ্গে স্থানান্তর ন্যায্য নয়।”

প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় আরও বলেছেন, যদি পিআইএলের উদ্দেশ্য থাকে মাদ্রাসায় ধর্মনিরপেক্ষ শিক্ষা যেমন গণিত, বিজ্ঞান, ইতিহাস এবং ভাষা শেখানো হবে। তাহলে মাদরাসা আইন ২০০৪ বাতিল করে এই উদ্দেশ্য অর্জন করা যাবে না।

সুপ্রিম কোর্টে মাদরাসার পক্ষে লড়েছেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভী। তিনি আদালতকে বলেছেন, এলাহাবাদ হাইকোর্টের রায়ের কারণে মাদরাসার ১০ হাজার শিক্ষক এবং ১৭ লাখ শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ অন্ধকার হয়ে যাবে।

তিনি আদালতকে আরও বলেন, মাদরাসায় মানসম্পূর্ণ শিক্ষা দেওয়া হয় না এমনটি বলা ভুল। এছাড়া মাদরাসা সর্বজনীন ও বিস্তৃত নয় এমনটিও বলা যাবে না। এছাড়া মাদরাসা বন্ধ করে দেওয়ার যে নির্দেশ হাইকোর্ট দিয়েছে এটি একটি বৈষম্যমূলক রায়। সূত্র: এনডিটিভি

Header Ad

২৯ বছরের তাপমাত্রার রেকর্ড ভেঙ্গেছে চুয়াডাঙ্গা, যা জানাল আবহাওয়া অফিস

ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

২৯ বছরের তাপমাত্রার রেকর্ড ভেঙ্গে চুয়াডাঙ্গায় আবারো সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪৩ দশমিক ৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস, বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১২ শতাংশ। চলতি মৌসুমে এটিই চুয়াডাঙ্গার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।

এর আগে ১৯৯৫ সালে চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪৩ দশমিক ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস। ২০০৫ সালে ২ জুন চুয়াডাঙ্গার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস। ২০১২ সালে ৪ জুন চুয়াডাঙ্গার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো ৪২ দশমিক ৯ ডিগ্রী সেলসিয়াস ২০১৪ সালের ২১ মে চুয়াডাঙ্গার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিলো ৪৩ দশমিক ২ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এটি সারাদেশের ৩৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ রেকর্ড তাপমাত্রা। টানা প্রায় এক মাস ধরে এ জেলায় অব্যাহত রয়েছে মাঝারী, তীব্র ও অতি তীব্র তাপপ্রবাহ।

চুয়াডাঙ্গায় কেন এতো তীব্র তাপমাত্রা- এ প্রশ্নের উত্তরে চুয়াডাঙ্গার প্রথম শ্রেণীর আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের সিনিয়র পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান জানান, ভৌগলিক কারনে সাধারনত চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা বেশি থাকে। আবার শীতের দিনে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বিরাজ করে। তবে তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার ৪টি কারন উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রথম কারন হলো চুয়াডাঙ্গাসহ ভারতের পশ্চিমবাংলার বিস্তৃর্ন এলাকা সমভুমি হওয়ার কারনে এখানে মার্চ,এপ্রিল, মে এই তিনমাস সুর্য লম্বাভাবে কিরন দেয়। ফলে প্রচুর গরম অনুভুত হয়। এ্ জায়গায় বায়ু মন্ডল বেশি উত্তপ্ত হয়। তাপের পরিবহন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এই সময় পশ্চিমা বায়ু চুয়াডাঙ্গার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এর ফলে গরম বাতাস যখন চুয়াডাঙ্গা প্রবেশদ্বার দিয়ে প্রবাহিত হয় তখন চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা অন্যান্য এলাকার চেয়ে বেড়ে যায়। এটা হলো প্রথম কারন। আর চুয়াডাঙ্গার খুব কাছাকাছি দিয়ে কর্কটক্রান্তি  রেখার অবস্থান বলে এপ্রিল মাসের দিকে তাপমাত্রা অনেক বেশি থাকে। চুয়াডাঙ্গাতে অতীতের তুলনায় গাছপালার অনেক কমে গেছে। এছাড়াও নদী-নালা, খাল-বিল শুকিয়ে গেছ্। মুলত এই চারটি কারনে চুয়াডাঙ্গাতে গরমের সময় গরম বেশি আর শীতের সময় শীত বেশি থাকে।

চুয়াডাঙ্গার প্রথম শ্রেণীর আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান জানান, মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বেলা ৩টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪৩ দশমিক ৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১২ শতাংশ। এ দিন দুপুর ১২টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস, এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১৪ শতাংশ এবং সকাল ৯টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস, বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৫৬ শতাংশ। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ অনেক বেশী থাকায় গোটা জেলায় ভ্যাপসা গরম অনুভূত হচ্ছে।

তিনি আরো জানান, মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) পর্যন্ত তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে। বুধবার (১ মে) থেকে ধিরে ধিরে তাপমাত্রা কমতে থাকবে এবং রবিবার (৫ মে) থেকে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভনা রয়েছে বলে তিনি জানান।

মে দিবসের কর্মসূচিতে এসে গরমে অসুস্থ শ্রমিকের মৃত্যু

ছবি: সংগৃহীত

গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে মে দিবসের কর্মসূচিতে গিয়ে তীব্র গরমে অসুস্থ হয়ে সাজু মিয়া (৫৫) নামে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। আজ বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে সদরের উপজেলা পরিষদ গেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

সাজু মিয়া উপজেলার বেতকাপা ইউনিয়নের ছোট বোনের পাড়া গ্রামের মৃত মোজাম্মেল হকের ছেলে।

বেতকাপা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা বলেন, সাজু মিয়া বাসচালকের সহকারী (হেলপার) হিসেবে কাজ করতেন। তিনি গাইবান্ধা জেলা বাস-মিনিবাস-কোচ ও মাইক্রোম্যাক্স শ্রমিক ইউনিয়নের একজন সদস্য।

তিনি আরও বলেন, আজ সকাল ১০টায় মে দিবস উপলক্ষ্যে সংগঠন আয়োজিত র‍্যালিতে অংশ নেন সাজু। র‍্যালি শেষে উপজেলা পরিষদ টাউন হলে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখান থেকে বের হয়ে পরিষদের গেটের সামনে এসে তিনি অসুস্থ হলে হাসপাতালে নেয়ার আগেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। বিকেলে নিহতের মরদেহ বাড়িতে পৌঁছেছে।

পলাশবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আনিসুর রহমান বলেন, তীব্র গরমে হিটস্ট্রোকজনিত কারণে তার মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে।

টাঙ্গাইলে সেনা সদস্য পরিচয়ে প্রতারণা

ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরি দেওয়ার বলে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা নিতে এসে পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন হাসান মিয়া (২২) নামের ভুয়া সেনা সদস্য।

আটককৃত হাসান জামালপুর জেলার মাদারগঞ্জ উপজেলার চর ভাটিয়ানী গ্রামের গোলজার হোসেনের ছেলে।

বুধবার (১ মে) সকালে ভুয়া সেনা সদস্যের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের পর জেলহাজতে প্রেরণ করেছে থানা পুলিশ।

এর আগে মঙ্গলবার রাতে ভূঞাপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাকে আটক করে থানা পুলিশ। এ সময় তার কাছ থেকে সেনাবাহিনীর পরিচয়পত্র, পোশাক ও একটি মানিব্যাগ উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী উপজেলার বরকতপুর গ্রামের মাহবুবুর শেখ জানান, ওই ভুয়া সেনাসদস্য তার বড় কর্মকর্তার মাধ্যমে আমার বোনকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরি দিবেন। এ জন্য কয়েক লাখ টাকা চাওয়া হয়। পরে ওই সেনা সদস্য ভূঞাপুর আসেন টাকা লেনদেনের বিষয়ে কথা বলতে। পরে আত্মীয় এক সেনা সদস্যের মাধ্যমে জানতে পারি যিনি চাকরি নিয়ে দিবেন তিনি ভুয়া সেনা সদস্য।

এ ব্যাপারে ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আহসান উল্লাহ্ বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরির কথা বলে টাকা লেনদেনের কথা বলতেই ভূঞাপুর আসছিল ওই ভুয়া সেনা সদস্য। পরে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়। নিয়মিত মামলা দায়ের পর তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

সর্বশেষ সংবাদ

২৯ বছরের তাপমাত্রার রেকর্ড ভেঙ্গেছে চুয়াডাঙ্গা, যা জানাল আবহাওয়া অফিস
মে দিবসের কর্মসূচিতে এসে গরমে অসুস্থ শ্রমিকের মৃত্যু
টাঙ্গাইলে সেনা সদস্য পরিচয়ে প্রতারণা
ভারতের নির্বাচনি প্রস্তুতি দেখার আমন্ত্রণ পেল আওয়ামী লীগ
বঙ্গবন্ধু বৈষম্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন সর্বদা: খাদ্যমন্ত্রী
পুলিশ হেফাজতে সালমান খানের বাড়িতে হামলার অস্ত্রদাতার আত্মহত্যা
দুই মাস পর ইলিশ ধরতে নেমেছেন জেলেরা
গরমে ফ্রিজের ঠান্ডা পানি খাচ্ছেন? হতে পারে বড় বিপদ
নিজ এলাকায় জানাজায় গিয়ে মোবাইল হারালেন ধর্মমন্ত্রী
মানুষের মস্তিষ্কের আকার বড় হচ্ছে!
শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার বর্ণনা দিতে গিয়ে কাঁদলেন র‍্যাব কর্মকর্তা
বিমানের খাবার নিয়ে অসন্তোষ প্রধানমন্ত্রী, দুইদিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নির্দেশ
ছাত্রলীগ নেতাকে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ ছাত্রদলের বিরুদ্ধে
শেখ হাসিনার অধীনে কেয়ামত পর্যন্ত সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না: রিজভী
যতবার সরকারে এসেছি ততবার শ্রমিকদের মজুরি বাড়িয়েছি: প্রধানমন্ত্রী
দেশে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড
জায়েদ খানের ওপর ক্ষোভ ঝাড়লেন সাকিব!
সৌদি আরবে ভারী বৃষ্টিপাতে ডুবে গেছে রাস্তাঘাট, মদিনায় রেড এলার্ট!
সন্ধ্যায় হাসপাতালে যাবেন খালেদা জিয়া
নাটোরে আওয়ামী লীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা