উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালের প্রথম লেগে এক নাটকীয়, উত্তেজনাপূর্ণ ও ছয় গোলের রোমাঞ্চে বার্সেলোনাকে রুখে দিয়েছে ইতালিয়ান ক্লাব ইন্টার মিলান। বুধবার (৩০ এপ্রিল) রাতে বার্সার অলিম্পিক স্টেডিয়ামে রেকর্ডসংখ্যক দর্শকের সামনে দুই দলই দেখিয়েছে এক অসাধারণ লড়াই, যার ফলাফল—৩-৩ গোলে ড্র।
ম্যাচের শুরুতেই বাজিমাত করেন ইন্টারের মার্কাস থুরাম। ম্যাচ শুরুর মাত্র ১ মিনিটেই ডেনজেল ডামফ্রিজের ক্রস থেকে চমৎকার ব্যাকহিল করে ইন্টারকে এগিয়ে দেন তিনি। ২১ মিনিটে আবারও ডামফ্রিজের ম্যাজিক—দিমারকোর কর্নার থেকে আকেরবির পাসে দুর্দান্ত অ্যাক্রোব্যাটিক ভলিতে ব্যবধান করেন ২-০।

তবে শুরুতে দুই গোল খেয়ে যেন আরও ক্ষিপ্র হয়ে ওঠে বার্সেলোনা। ২৩ মিনিটে বার্সার উদীয়মান তারকা লামিন ইয়ামাল একক নৈপুণ্যে এক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে ডান পায়ের কৌশলী শটে গোল করে ব্যবধান কমিয়ে আনেন। এরপর প্রথমার্ধের শেষদিকে পেদ্রির চতুর ফ্লিকে রাফিনিয়ার দারুণ কন্ট্রোল, আর সেখান থেকে ফেরান তোরেসের গোলে সমতায় ফেরে বার্সা—২-২।
দ্বিতীয়ার্ধে ইনজুরিতে ইন্টার অধিনায়ক লাউতারো মার্টিনেজ মাঠ ছাড়লে বদলি হয়ে আসেন মেহেদি তারেমি। ৬০ মিনিটে কর্নার থেকে ডামফ্রিজের দুর্দান্ত হেড—এবার নিজের জোড়া গোল পূর্ণ করে আবারও এগিয়ে নেয় ইন্টারকে।
কিন্তু বার্সাও থামেনি। ৬৭ মিনিটে ছোট কর্নার থেকে রাফিনিয়ার শট পোস্টে লেগে ফেরত আসে, যা গোলরক্ষক ইয়ান সোমারের পিঠে লেগে বল গড়ায় জালে। স্কোরলাইন আবারও সমতায়—৩-৩।

৭৫ মিনিটে ইন্টারের মিডফিল্ডার হেনরিখ মিখিতারিয়ান একবার বল জালে পাঠালেও ভিএআরে দেখা যায়—সামান্য অফসাইড। সেই বিতর্কিত সিদ্ধান্তেই বেঁচে যায় বার্সা।
রোমাঞ্চকর এই প্রথম লেগের পর এখন সব চোখ আগামী ৬ মে-তে, যখন জিউসেপ্পে মিয়াজ্জা স্টেডিয়ামে হবে ফিরতি লড়াই। সেখানেই নির্ধারণ হবে কে যাবে ফাইনালে, যেখানে অপেক্ষায় থাকবে পিএসজি ও আর্সেনালের মধ্যকার বিজয়ী।