ইরানের বিরুদ্ধে আবারও জোরালো হামলার নির্দেশ ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রীর

ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ। ছবি: সংগৃহীত
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ঘোষিত যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে ইরানের রাজধানী তেহরানে আবারও বড় ধরনের সামরিক হামলার নির্দেশ দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ।
শনিবার (২২ জুন) দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, “ইরান যুদ্ধবিরতির শর্ত ভেঙে ইসরায়েলের দিকে ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়েছে। তাই তেহরানের শাসকগোষ্ঠীর অবস্থানে সর্বোচ্চ মাত্রার পাল্টা হামলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”
প্রতিরক্ষামন্ত্রী স্পষ্ট জানান, “যুদ্ধবিরতির যেকোনো লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে কঠোর জবাব দেওয়া ইসরায়েল সরকারের নীতি। আজকের সিদ্ধান্ত সেই নীতিরই বাস্তবায়ন।”
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকেও জানানো হয়েছে, ইরান থেকে ছোড়া একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র তারা শনাক্ত করেছে এবং তার কিছু অংশ প্রতিহত করা হয়েছে। যদিও এসব হামলায় ক্ষয়ক্ষতির বিস্তারিত এখনও প্রকাশ পায়নি।
ইসরায়েলের অভ্যন্তরেও প্রতিক্রিয়া ছিল তীব্র। কট্টর ডানপন্থী অর্থমন্ত্রী এবং নিরাপত্তা মন্ত্রিসভার সদস্য বেজালেল সমোটরিচ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ লিখেছেন, “তেহরান কাঁপবে।”
বিরোধীদল ইয়িসরায়েল বেইতেনুর প্রধান আবিগডোর লিবারম্যান মন্তব্য করেন, “আমরা চুপচাপ বসে থাকতে পারি না। ইরান যুদ্ধবিরতির মাত্র সাড়ে তিন ঘণ্টা পরই হামলা করেছে। এখনই কঠোর প্রতিশোধ নেওয়ার সময়।”
ক্ষমতাসীন লিকুদ পার্টির সংসদ সদস্য তালি গটলিভ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “ইরান যদি যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে, তাহলে তাৎক্ষণিক এবং উপযুক্ত জবাব পাবে।” একই দলের আরেক এমপি আবিচাই বোয়ারন বলেন, “তেহরানের প্রতীকী স্থাপনাগুলোর ওপর পূর্ণ শক্তি দিয়ে আঘাত হানতে হবে।”
উল্লেখ্য, এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একতরফাভাবে মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিয়েছিলেন। তবে তা কার্যকর হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে পরিস্থিতি আবার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। ইসরায়েলের দাবি, ইরান তাদের ওপর হামলা চালিয়ে যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভঙ্গ করেছে, যার ফলে এই পাল্টা পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
এই ঘটনার পর মধ্যপ্রাচ্যে আবারও যুদ্ধের ঘনঘটা ফিরে এসেছে। আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা সতর্ক করছেন, ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে ক্রমবর্ধমান এই সংঘাত যদি নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়ে, তবে তা গোটা অঞ্চলকেই অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে।
