শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারি ২০২৫ | ৩ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

সিরিয়ায় অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পরিকল্পনা, কে হবেন প্রধান?

ছবি: সংগৃহীত

সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ পালিয়ে যাওয়ার পর বিদ্রোহী জোটগুলো একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পরিকল্পনায় অগ্রসর হয়েছে। বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শামের (এইচটিএস) প্রধান আবু মোহাম্মেদ আল-জোলানির নেতৃত্ব অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পরিকল্পনা করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে তিনি এরই মধ্যেই ক্ষমতাচ্যুত আসাদ সরকারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ জালালি ও ভাইস প্রেসিডেন্ট ফয়সাল মেকদাদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। এ বিষয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্রের বরাত দিয়ে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়।

অপরদিকে আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নিতে পারেন আরেক বিদ্রোহী নেতা মোহাম্মদ আল-বশির। তিনি বিদ্রোহী-নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলের একটি ছোট এলাকার দায়িত্বে ছিলেন। তার নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচনের আয়োজন করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

স্বৈরশাসক বাশার আল-আসাদ দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর দেশজুড়ে আনন্দ-উল্লাস করতে শুরু করেন সাধারণ মানুষ। তার দেশত্যাগের মাধ্যমে দীর্ঘ ২৪ বছরের শাসনের অবসান ঘটেছে।

এদিকে বাশার আল-আসাদ বর্তমানে রাশিয়ায় অবস্থান করছেন। তবে সেখানে তিনি খুব বেশি মর্যাদা পাচ্ছেন না। বিদ্রোহীদের অভিযানের মুখে দেশ ছেড়ে পালিয়ে মস্কোতে যাওয়ার পর তার বা তার পরিবারের কোনো ছবি বা ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ হতে দেখা যায়নি।

ক্রেমলিন বলছে, বাশার আল-আসাদের সঙ্গে দেখা করার কোনো পরিকল্পনা নেই প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের। সিরিয়ার দূতাবাসের সদস্যরাও নিশ্চিত করেছেন যে, আল-আসাদ মস্কোতে আছেন। কিন্তু তারা জানিয়েছেন যে, তিনি কূটনৈতিক মিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। এসব কর্মকর্তা জানিয়েছেন যে, তারা সিরিয়ার নতুন সরকারের প্রতিনিধিদের নির্দেশের জন্য অপেক্ষা করছেন।

রাশিয়ার জন্য এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন সিরিয়ায় তাদের সামরিক ঘাঁটির কী হবে? যদিও সিরিয়ার বিরোধী নেতারা লাতাকিয়া এবং টারতুসে রাশিয়ার বিমান ও নৌ ঘাঁটির পাশাপাশি দেশটিতে রাশিয়ার কূটনৈতিক মিশনগুলোর নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

Header Ad
Header Ad

তোফাজ্জল হত্যাকাণ্ডে ঢাবির ২১ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলে মানসিক ভারসাম্যহীন যুবক তোফাজ্জল হোসেনকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ২১ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে পুলিশ। এদের মধ্যে ছয়জন কারাগারে এবং ১৫ জন পলাতক রয়েছেন।

গত ১ জানুয়ারি ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার পরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান অভিযোগপত্রটি জমা দেন। বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন তিনি।

গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর রাতে ফজলুল হক মুসলিম হলের অতিথি কক্ষে তোফাজ্জল হোসেনকে নির্মমভাবে নির্যাতন করা হয়। অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, একটি চুরি যাওয়া মোবাইল ফোনের ক্ষতিপূরণ হিসেবে তোফাজ্জলের পরিবারের কাছে ৩৫ হাজার টাকা দাবি করা হয়। তাৎক্ষণিকভাবে টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে ক্ষিপ্ত হয়ে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীরা ক্রিকেট স্টাম্প ও বাঁশের লাঠি দিয়ে তার কাঁধ, পিঠ, পা এবং উরুতে বেধড়ক মারধর করে। গুরুতর আঘাত ও অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে রাত ১২টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

কারাগারে থাকা ছয় আসামির মধ্যে রয়েছেন: ফজলুল হক হল শাখা ছাত্রলীগের সাবেক উপ-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক জালাল মিয়া, মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিভাগের সুমন মিয়া, পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের মোত্তাকিন সাকিন, ভূগোল বিভাগের আল হোসেন সাজ্জাদ, আবাসিক শিক্ষার্থী আহসান উল্লাহ এবং ওয়াজিবুল আলম। তারা আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।

পলাতক ১৫ আসামির মধ্যে রয়েছেন: ফিরোজ কবির, আবদুস সামাদ, সাকিব রায়হান, ইয়াসিন আলী গাইন, ইয়ামুজ্জামান ইয়াম, ফজলে রাব্বি, শাহরিয়ার কবির শোভন, মেহেদী হাসান ইমরান, রাতুল হাসান, সুলতান মিয়া, নাসির উদ্দিন, মোবাশ্বের বিল্লাহ, শিশির আহমেদ, মহসিন উদ্দিন এবং আব্দুল্লাহিল কাফি।

অভিযোগপত্রে আসামিদের রাজনৈতিক পরিচয় উল্লেখ করা হয়নি। এতে বলা হয়েছে, তোফাজ্জলের ওপর চালানো নির্যাতনের প্রধান কারণ ছিল মোবাইল চুরির মিথ্যা অভিযোগ। মামলাটি প্রথমে অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতকারীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা হলেও তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১ শিক্ষার্থীর সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়।

Header Ad
Header Ad

৭ গোলের রোমাঞ্চে ভরা ম্যাচে বার্সেলোনার বিপক্ষে রিয়ালের নাটকীয় জয়

ছবি: সংগৃহীত

স্প্যানিশ সুপার কাপের ফাইনালে বার্সেলোনার বিপক্ষে বড় পরাজয়ের ক্ষত এখনও তাজা রিয়াল মাদ্রিদের জন্য। তবে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুর উত্তেজনাপূর্ণ এক ম্যাচে সেলতা ভিগোর বিপক্ষে অতিরিক্ত সময়ে তিন গোল করে দুর্দান্ত এক জয় তুলে নিয়েছে কার্লো আনচেলত্তির দল।

বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) রাতে সেলতা ভিগোকে ৫-২ গোলের ব্যবধানে হারিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। ম্যাচটি শেষ পর্যন্ত রূপ নেয় রোমাঞ্চকর এক লড়াইয়ে, যা মুগ্ধ করেছে দর্শকদের।

ম্যাচের ৩৭তম মিনিটে রিয়ালকে এগিয়ে দেন কিলিয়ান এমবাপে। মাঝমাঠ থেকে প্রতি-আক্রমণে ডি-বক্সে ঢুকে অসাধারণ স্কিলের প্রদর্শনী শেষে জোরালো শটে জাল খুঁজে নেন তিনি। প্রথমার্ধ শেষে ১-০ গোলে এগিয়ে ছিল রিয়াল।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। ৪৮তম মিনিটে দিয়াসের নিখুঁত পাস থেকে সুযোগ কাজে লাগান এই ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড।

তবে ৮৩তম মিনিটে কামাভিঙ্গার একটি ভুল রিয়ালকে বিপদে ফেলে দেয়। ডি-বক্সের পাশে তার ব্যর্থ পাস থেকে বল পেয়ে যান পাবলো দুরান। এরপর তার পাস থেকে গোল করেন সেলতার ফরোয়ার্ড বাম্বা।

ম্যাচের যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে রাউল আসেন্সিওর ফাউলের কারণে পেনাল্টি পায় সেলতা ভিগো। সেখান থেকে সফল স্পট কিকে সমতা ফেরান আলোনসো।

তবে অতিরিক্ত সময়ে মাঠে পুরোপুরি আধিপত্য বিস্তার করে রিয়াল। ৯৮ মিনিটে এন্দ্রিকের দারুণ শটে রিয়াল এগিয়ে যায়। এরপর ১১২ মিনিটে ডি-বক্সের বাইরে থেকে তীব্র গতির শটে দুর্দান্ত গোল করেন ভালভার্দে। ম্যাচের ১১৯তম মিনিটে আবারও গোল করে নিজের দ্বিতীয় গোলের মাধ্যমে স্কোরলাইন ৫-২ করেন এন্দ্রিক, নিশ্চিত করেন রিয়ালের জয়।

এই জয়ে শুধু পয়েন্টই অর্জন করেনি রিয়াল, বরং হারের চাপের মধ্যেও কীভাবে ঘুরে দাঁড়াতে হয়, তার এক অনন্য উদাহরণ তৈরি করেছে। সান্তিয়াগো বার্নাব্যুর এই ম্যাচ ছিল রিয়াল সমর্থকদের জন্য এক অবিস্মরণীয় রাত।

Header Ad
Header Ad

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড: পুড়ল শতাধিক ঘরবাড়ি, শিশুর মৃত্যু

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। ছবি: সংগৃহীত

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের নয়াপাড়া মোচনী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে এবং শতাধিক ঘরবাড়ি পুড়ে গেছে। বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টার দিকে ক্যাম্পের পি-৩ ব্লকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

১৬ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক মোহাম্মদ কাউসার সিকদার জানান, একটি বসতঘরে আকস্মিকভাবে আগুন লাগার পর তা দ্রুত আশপাশের ঘরবাড়িতে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে টেকনাফ ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। স্থানীয় রোহিঙ্গা বাসিন্দাদের সহযোগিতায় প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

নিহত শিশুর নাম-পরিচয় ও আহতদের সংখ্যা তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণে কাজ করছে।

টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গিয়াস উদ্দিন বলেন, অগ্নিকাণ্ডে একটি ঘুমন্ত শিশু নিহত হয়েছে। এ ছাড়া দুজন নিখোঁজ রয়েছেন। প্রায় শতাধিক ঘরবাড়ি আগুনে সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

তোফাজ্জল হত্যাকাণ্ডে ঢাবির ২১ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল
৭ গোলের রোমাঞ্চে ভরা ম্যাচে বার্সেলোনার বিপক্ষে রিয়ালের নাটকীয় জয়
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড: পুড়ল শতাধিক ঘরবাড়ি, শিশুর মৃত্যু
হাছান মাহমুদ ও তার পরিবারের ৭৭ ব্যাংক হিসাব জব্দ
ভোটাভুটি বিলম্বিত করলো ইসরায়েল, গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে শঙ্কা
শেখ হাসিনা ভারতের নাগরিকত্ব নিয়েছেন কি না জানা নেই: মুখপাত্র
জবির দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীকে হস্তান্তর করে প্রজ্ঞাপন জারি
শুক্রবারে মেট্রোরেল চলাচলের সময় বাড়লো
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র প্রণয়নের বিষয়ে সবাই একমত: আসিফ নজরুল
টাঙ্গাইল হাসপাতালে চোর সন্দেহে যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
ফিলিস্তিনি ভাই-বোনের পাশে আছি, থাকব: এরদোগান
ওষুধ-পোশাকসহ নিত্যপণ্যের ভ্যাট রিভিউ হচ্ছে: অর্থ উপদেষ্টা
অভিনেতা সাইফ আলী খানকে ছুরিকাঘাত, আইসিইউতে ভর্তি
অল্প খরচে দেখা যাবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি, টিকিটের মূল্য প্রকাশ
জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপির কর্মসূচি ঘোষণা
বাম চোখের বদলে ডান চোখে অপারেশন করা সেই চিকিৎসক গ্রেফতার
সবার মতামতের ভিত্তিতে জুলাই ঘোষণাপত্র করতে চাই: প্রধান উপদেষ্টা
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা, সময়সূচি প্রকাশ
বঙ্গবন্ধু সেতুতে চলবে না ট্রেন, বছরে আয় কমবে কোটি টাকা
কুড়িগ্রামে ‘মার্চ ফর ফেলানী’: সীমান্ত হত্যার বিচার ও মানবাধিকার রক্ষার দাবি