ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে পুতিনকে পোপের ফোন, শান্তির আহ্বান

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং পোপ চতুর্দশ লিও। ছবি: সংগৃহীত
ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধের অবসান এবং স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ফোন করেছেন ক্যাথলিকদের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা পোপ চতুর্দশ লিও। বুধবার (৪ জুন) এ ফোনালাপ হয় বলে জানা গেছে।
ফোনে পোপ ইউক্রেন সরকারের সঙ্গে খোলামেলা ও গঠনমূলক সংলাপ শুরু করতে পুতিনকে আহ্বান জানান। পাশাপাশি যুদ্ধ বন্ধে সব সংশ্লিষ্ট পক্ষকে আলোচনায় অন্তর্ভুক্ত করার ওপর জোর দেন তিনি।
সম্প্রতি তুরস্কের ইস্তাম্বুলে রাশিয়া-ইউক্রেনের প্রতিনিধিদের মধ্যে একটি শান্তি সংলাপ শুরু হয়েছে। এই আলোচনায় দুই দেশ যুদ্ধক্ষেত্রে নিহত সেনাদের মরদেহ বিনিময় এবং আহত বা অসুস্থ বন্দিদের মুক্তি দিতে সম্মত হয়েছে। পোপ এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে একে “ঘোর অন্ধকারে আশার আলো” বলে অভিহিত করেন।
পোপ বলেন, “শান্তি, জীবন এবং ধর্মীয় স্বাধীনতা রক্ষার জন্য বিশ্বসম্প্রদায়কে আন্তরিকভাবে এগিয়ে আসতে হবে।”
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে। এর আগে কয়েক মাস ধরে সীমান্তে সেনা মোতায়েন রেখেছিল মস্কো। মিনস্ক চুক্তি লঙ্ঘন, ক্রিমিয়া নিয়ে টানাপড়েন এবং ইউক্রেনের ন্যাটো সদস্যপদে আগ্রহ— এসবই ছিল যুদ্ধের মূল পটভূমি।
যুদ্ধ শুরুর পর যুক্তরাষ্ট্র, ন্যাটো ও ইউরোপীয় দেশগুলো ইউক্রেনকে বিপুল পরিমাণ অর্থ ও অস্ত্র দিয়ে সহায়তা করে। বাইডেন প্রশাসন ইউক্রেনকে ১০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি সহায়তা দেয়। যদিও রাশিয়া এর মধ্যেই ইউক্রেনের দোনেৎস্ক, লুহানস্ক, ঝাপোরিঝ্জিয়া এবং খেরসন— এই চার প্রদেশ দখলে নেয়, যা দেশটির মোট ভূখণ্ডের প্রায় এক পঞ্চমাংশ।
তবে পরিস্থিতি কিছুটা বদলায় যুক্তরাষ্ট্রে প্রশাসন পরিবর্তনের পর। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শপথ নেওয়ার পর ইউক্রেনকে দেওয়া সহায়তা স্থগিত করেন এবং যুদ্ধ বন্ধে কূটনৈতিক উদ্যোগ নিতে শুরু করেন। এরই ধারাবাহিকতায় শুরু হয় ইস্তাম্বুল সংলাপ, যেখানে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছে তুরস্কও।
