যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে, দয়া করে লঙ্ঘন করবেন না: ট্রাম্প (ভিডিও)

ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: সংগৃহীত
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান উত্তেজনার মধ্যে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিলেও তা নিয়ে শুরু হয়েছে জটিলতা। ট্রাম্পের ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ইরান ফের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ইসরায়েলের দিকে। এরই মধ্যে হামলায় নিহত হয়েছেন অন্তত চারজন, আহত হয়েছেন অনেকে।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ১১টার দিকে নিজস্ব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে ট্রাম্প লেখেন, “যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে, দয়া করে লঙ্ঘন করবেন না।”
তবে মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই ঘোষণার পরেই ইরানের রেভোলিউশনারি গার্ডস (IRGC)-সম্পর্কিত সংবাদমাধ্যম ফার্স নিউজ এজেন্সি ট্রাম্পের বক্তব্যকে ‘সম্পূর্ণ মিথ্যা’ বলে অভিহিত করে জানায়, “ইরান যুদ্ধবিরতির কোনো প্রতিশ্রুতি দেয়নি।”
ইসরায়েলের চ্যানেল ১৪ জানিয়েছে, ইরান মঙ্গলবার সকালে ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর বীরশেবায় ছয়টি দফায় অন্তত ১০-১৫টি ব্যালিস্টিক মিসাইল নিক্ষেপ করে। এতে একটি ভবন ধসে পড়ে, ঘটনাস্থলে মারা যান চারজন। এছাড়া ভবনের ধ্বংসস্তূপে এখনো বেশ কয়েকজন আটকে রয়েছেন বলে জানিয়েছে উদ্ধারকর্মীরা।
দক্ষিণাঞ্চলের দমকল ও উদ্ধারকারী দলের মুখপাত্র লিনয় রেশেফ বলেন, “যুদ্ধবিরতির ঘোষণা কার্যকর হওয়ার ঠিক আগমুহূর্তে মিসাইল হামলায় একাধিক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এখনও ধ্বংসস্তূপে আটকে থাকা ব্যক্তিদের উদ্ধারে তৎপরতা চলছে।”
এই পরিস্থিতিতে যুদ্ধবিরতির বাস্তবতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন বিশ্লেষকরা। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে যুদ্ধবিরতির দাবি এলেও ইরানের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো সম্মতি মেলেনি। বরং পাল্টা হামলার মাধ্যমে তেহরান তাদের কৌশলগত অবস্থান স্পষ্ট করেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, “এই যুদ্ধবিরতি এখন একতরফা প্রচেষ্টা হিসেবে দেখা যাচ্ছে। যদি ইরান আনুষ্ঠানিকভাবে সমর্থন না জানায়, তবে তা কার্যকর হওয়া কঠিন।”
তীব্র উত্তেজনার মধ্যে উভয় পক্ষের কর্মকৌশল, প্রতিক্রিয়া এবং আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপ পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে। এই মুহূর্তে যে কোনো ধরনের উস্কানি আবারও পুরো অঞ্চলকে সহিংস সংঘাতে ঠেলে দিতে পারে বলে সতর্ক করছেন কূটনীতিকরা।
সূত্র: সিএনএন নিউজ
