দেওয়ানি-ফৌজদারি পৃথক আদালত স্থাপনে সুপ্রিমকোর্টের চিঠি

ছবি: সংগৃহীত
দেওয়ানি ও ফৌজদারি এখতিয়ার অনুযায়ী পৃথক আদালত স্থাপন এবং বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় গঠনের লক্ষ্যে আইন মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে সুপ্রিমকোর্ট। সুপ্রিমকোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি নিউজ আপডেট ও প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিচার বিভাগকে আরও কার্যকর ও দুর্নীতিমুক্ত করতে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির আলোকে কার্যক্রম চলছে। এরই অংশ হিসেবে এক বেঞ্চ সহকারীকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে বরখাস্ত করা হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এছাড়া সুপ্রিমকোর্টের হেল্পলাইন সেবা চালুর পর থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত সারাদেশ থেকে মোট ২০২৬টি কল এসেছে। এর মধ্যে ১০৬৮টি ছিল আইনি পরামর্শ গ্রহণ সংক্রান্ত এবং ৭৭১টি বিভিন্ন তথ্য জানার জন্য করা হয়। হেল্পলাইনের সাফল্যের ভিত্তিতে দেশের বিভিন্ন জেলা আদালতেও আলাদা হেল্পলাইন চালু হয়েছে।
প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের ঘোষিত বিচার বিভাগ সংস্কারের রোডম্যাপ অনুযায়ী, বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় গঠনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ‘বিচার বিভাগীয় সচিবালয় অধ্যাদেশ-২০২৪’-এর খসড়ার পরিবর্তে নতুনভাবে ‘সুপ্রিমকোর্ট সচিবালয় অধ্যাদেশ ২০২৫’ খসড়া প্রস্তুত করা হয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৭ অক্টোবর আইন মন্ত্রণালয়ে প্রেরিত একটি চিঠিতে বলা হয়, সংবিধানের ১০৯ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী হাইকোর্ট বিভাগের অধীন অধস্তন আদালত ও ট্রাইব্যুনালের তত্ত্বাবধান ও নিয়ন্ত্রণ যথাযথভাবে পালনের জন্য পৃথক সচিবালয় গঠন প্রয়োজন। ইতোমধ্যে অন্তর্বর্তী সরকার এ উদ্যোগে ইতিবাচক সহযোগিতা করেছে এবং প্রয়োজনীয় আইনি কাঠামো প্রস্তুতেও উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে বলে গণসংযোগ কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
