শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫ | ১৩ আষাঢ় ১৪৩২
Dhaka Prokash

ক্যানসারের ঝুঁকি কমায় যেসব খাবার

ছবি সংগৃহিত

পৃথিবীতে কোনো খাবারই ক্যান্সার প্রতিরোধের নিশ্চয়তা দিতে পারে না৷ তবে খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন কিছুটা উন্নতি করাতে পারে। মূলত দুই তৃতীয়াংশ সবজি জাতীয় খাবার এবং এ তৃতীয়াংশ প্রাণীজ আমিষের সম্মিলনে আদর্শ খাদ্যতালিকা গড়ে নেওয়া যায়।

চিকিৎসকদের ভাষায় ক্যানসারকে বলা হয়‘মাল্টি ফ্যাকেটেরিয়াল ডিজিজ’। কারণ কোনো নির্দিষ্ট কারণে এ রোগ হয় না। আবার কোনো নির্দিষ্ট খাবার ক্যানসার প্রতিরোধও করতে পারে না। তবে সুষম পুষ্টিকর খাদ্যাভ্যাস ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। একদিকে যেমন কিছু কিছু খাবার নিয়মিত পাতে রাখার অভ্যাস করতে হবে, অন্যদিকে কিছু খাবার এড়িয়ে চলতে হবে।

ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে এমন অনেক খাদ্যই আমাদের আশেপাশে খুঁজে পাওয়া যাবে। নিয়মিত এই খাবারগুলো খেলে আপনার উপকার হবে বলেই আমাদের বিশ্বাস। আসুন জেনে নেই কোন খাবারগুলো ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে থাকে।

ভিটামিন সি জাতীয় খাবার

ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ ফল প্রাকৃতিকভাবে ডিএনএ মেরামত করতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন কেমোথেরাপির পর কিউয়ি ফল রোগীর শরীরে খুব ভালো কাজ করে।

রঙিন শাকসবজি ও ফলমূল

দৈনিক একধরনের সবজি না খেয়ে বিভিন্ন ধরনের রঙিন শাকসবজি খেতে হবে। কারণ, একটি রঙিন ডায়েট আপনার ক্যানসার লড়াইয়ের গুরুত্বপূর্ণ একটি ধাপ। বিভিন্ন রঙিন শাকসবজিতে ক্যারোটিন, বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন (সি, ই, ফলিক অ্যাসিড ইত্যাদি), মিনারেল ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, পলিফেনল ও ফাইটোকেমিক্যাল রয়েছে, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়িয়ে ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করবে। 

টকজাতীয় যেসব ফল ক্যানসাররোধী

টক ফলে পর্যাপ্ত ভিটামিন সি রয়েছে, যা কোষ রক্ষাকারী হিসেবে ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে কাজ করে। এ ছাড়া ভিটামিন সি কেমোথেরাপির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ও অ্যানিমিয়া রোধ করতে সাহায্য করে। সাইট্রাস ফলে ভিটামিন সি ছাড়াও রয়েছে ভিটামিন এ, আঁশ, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম। টকজাতীয় ফলের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আঁশ আছে কমলালেবুতে। এরপরই আছে জাম্বুরা। কমলা ও আঙুরে মোট ফাইবারের ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ হলো দ্রবণীয়, যা কোলেস্টেরল কমাতে আর রক্তে শর্করার বৃদ্ধি কমাতে সাহায্য করে। টক ফলের পাল্প ও রসে বিভিন্ন প্রকার ফ্ল্যাভোনয়েড রয়েছে। এ ছাড়া টক ফলের খোসায় লিমোনয়েড ও ট্যানগেরিটিন নামক ফাইটোকেমিক্যাল রয়েছে। এসব উপাদান কেমোপ্রতিরোধী এজেন্ট হিসেবে কাজ করে, যা কোলন ক্যানসারসহ একাধিক ক্যানসারের প্রতিরোধক। জুসের থেকে গোটা ফল খেলে ৫ গুণ বেশি ফ্ল্যাভোনয়েড পাওয়া যায়। ফ্ল্যাভোনয়েডে ভালো অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট রয়েছে, যা ক্যানসারের কার্সিনোজেন নির্মূল করে প্রদাহ কমায়।

নাস্তায় পরিবর্তন আনুন

প্রাকৃতিকভাবে উৎপন্ন ফোলেট নামক উপাদান একটি গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন বি এর উৎস। এই উপাদান কোলন, রেকটাম এবং ব্রেস্ট ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে। নাস্তায় যদি ফাইবারজাতীয় খাবার যেমন ওটস, রুটি বা সিরিয়াল খাওয়া যায়, তাহলে ভালো হয়।

প্রসেস করা মাংস খাওয়া বাদ দিন

প্রসেস করা মাংস যেমন বার্গার, কাবাব, শর্মা খাওয়া বাদ দিন। বাজারে জাংক ফুড বা ফাস্ট ফুডের মাংস সচরাচর বিভিন্ন উপায়ে প্রসেস করা হয়। তাছাড়া প্যাকেটজাত বা ফ্রিজে অনেকদিন সংরক্ষণ করা মাংস স্বাস্থ্যের জন্যে ক্ষতিকর। কোলন ক্যান্সার, রেকটাম ক্যান্সারের মতো সমস্যাও হতে পারে৷ তাই প্রসেস করা মাংস খাওয়া বাদ দিতে হবে।

টমেটো

লাইকোপেন নামক পিগমেন্টের কারণে টমেটো লাল বর্ণের হয়। আর বিভিন্ন পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে টমেটো বিভিন্ন ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে। বিশেষত প্রস্টেট ক্যান্সার প্রতিরোধে টমেটো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

গ্রিন টি

গ্রিন টি বেশকিছু ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে। প্রোস্টেট ক্যান্সার, কোলন ক্যান্সার, ব্রেস্ট ক্যান্সার সহ আরো কিছু ক্যান্সার প্রতিরোধে গ্রিন টির ভূমিকা উল্লেখযোগ্য। এমনকি ফুসফুসের টিস্যু গঠনেও এর ভূমিকা আছে। তাই নিয়ম করে গ্রিন টি পান করার অভ্যাস করুন।

পরিমিত পানি খান

ব্ল্যাডার ক্যান্সার খুবই ভয়ংকর। মূত্রথলীতে ক্যান্সার হতে পারে এমন উপাদানকে দ্রবীভূত করতে পারে পানি। তাই পরিমিত পানি পান করুন।

মাশরুম

ক্যানসার প্রতিরোধক খাবারের নামের তালিকায় প্রথমেই যে খাবারের নাম চলে আসে, তা হলো মাশরুম। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। শরীরের ক্যানসার প্রতিরোধে সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন এই খাবার ডায়েটলিস্টে রাখতে পারেন।

রসুন

ক্যানসার প্রতিরোধে রসুনের বিকল্প নেই। রসুনের অ্যালিসিন নামক যৌগ বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সারের আশঙ্কা কমাতে সাহায্য করে। এটি মূলত ক্যান্সারের কোষগুলোকে ধ্বংস করতে সাহায্য করে। তাই রান্নায় রসুনের পরিমাণ বাড়িয়ে দিন। দুপুরের খাবারে এক কোয়া রসুনও রাখতে পারেন।

তৈলাক্ত মাছ

ইলিশ, পাঙাশ, রুই, স্যামন, সার্ডিনের মতো তৈলাক্ত মাছে ভিটামিন বি, পটাশিয়াম, ওমেগা–থ্রির মতো প্রয়োজনীয় পুষ্টি রয়েছে। গবেষণার তথ্য বলছে, যাঁদের খাবারে এ ধরনের তৈলাক্ত মাছ বেশি ছিল, তাঁদের কোলেরেক্টাল ক্যানসারের ঝুঁকি ৫৪ শতাংশ কম ছিল; পাশাপাশি প্রোস্টেট ক্যানসারের ঝুঁকিও কম ছিল।

Header Ad
Header Ad

খিলক্ষেতে মণ্ডপ সরানোর বিষয়ে ব্যাখ্যা দিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকার খিলক্ষেত এলাকায় একটি অস্থায়ী পূজা মণ্ডপ অপসারণ নিয়ে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনার প্রেক্ষিতে ব্যাখ্যা দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। শুক্রবার (২৭ জুন) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়।

এতে উল্লেখ করা হয়, ঢাকার খিলক্ষেত এলাকায় একটি দুর্গা মন্দির ধ্বংসের অভিযোগে গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বাংলাদেশ সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে।

তবে প্রকৃত ঘটনা হলো- গত বছর দুর্গাপূজার সময় পূর্বানুমতি ছাড়াই স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায় বাংলাদেশ রেলওয়ের মালিকানাধীন একটি জমিতে অস্থায়ী পূজা মণ্ডপ স্থাপন করেছিল। পরে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ এ শর্তে অনুমতি দেয় যে পূজা উদযাপন শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আয়োজকরা অস্থায়ী মণ্ডপটি সরিয়ে ফেলবেন। তবে দুঃখের বিষয় হলো, ২০২৪ সালের অক্টোবরে পূজা শেষ হওয়ার পর আয়োজকরা পারস্পরিক শর্ত লঙ্ঘন করে অস্থায়ী মণ্ডপটি সরিয়ে নিতে অস্বীকৃতি জানায়। পরে তারা সেখানে একটি ‘মহাকালী’ (কালী মূর্তি) স্থাপন করে।

বারবার স্মরণ করিয়ে দেওয়ার পরেও দুর্ভাগ্যবশত তারা রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে উপেক্ষা করে মণ্ডপটিকে স্থায়ী করার উদ্যোগ নেয়। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ স্থানীয় সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি, মণ্ডপের আয়োজকদের সঙ্গে আলোচনা করে এবং সংশ্লিষ্ট সবাইকে এ এলাকায় বাংলাদেশ রেলওয়ের মালিকানাধীন রেললাইনের উভয় পাশে অবৈধভাবে নির্মিত শত শত দোকান এবং রাজনৈতিক দলের অফিসসহ সমস্ত অননুমোদিত স্থাপনা অপসারণের জন্য একটি পাবলিক বিজ্ঞপ্তি জারি করে। মূলত বিদ্যমান রেললাইনের পূর্ব দিক থেকে ২০০ ফুট দূরে কেবল বাংলাদেশ রেলওয়ের জমি।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো উল্লেখ করা হয়, ‘ঢাকা-টঙ্গী তৃতীয় ও চতুর্থ সেকশন ডুয়েল গেজ লাইন নির্মাণ এবং টঙ্গী-জয়দেবপুর সেকশনে ডুয়েল গেজ ডাবল লাইন’ শীর্ষক একটি প্রকল্পের আওতায় আরও দুইটি রেল ট্র্যাক নির্মাণ করা হচ্ছে এবং এ প্রকল্পের আওতায় নতুন লাইন সম্পন্ন করার জন্য এ জমির খুব প্রয়োজন ছিল।

বিগত মাসগুলোতে অবৈধ ভূমি দখলকারীদের বারবার স্মরণ করিয়ে দেওয়া হলেও তা উপেক্ষা করা হয়। গত ২৪ ও ২৫ জুন বাংলাদেশ রেলওয়ে অবশেষে সবাইকে সমস্ত অননুমোদিত স্থাপনা অপসারণের নির্দেশ দেয়, যার মধ্যে পূজা আয়োজকদের অস্থায়ীভাবে নির্মিত মণ্ডপটি অপসারণেরও নির্দেশ দেওয়া হয়। অবশেষে ২৬ জুন যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে বাংলাদেশ রেলওয়ে খিলক্ষেত এলাকার রেল ট্র্যাক বরাবর সমস্ত অননুমোদিত স্থাপনা শান্তিপূর্ণভাবে উচ্ছেদ করে। উচ্ছেদ প্রক্রিয়া চলাকালীন স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের অংশগ্রহণে যথাযথ শ্রদ্ধার সঙ্গে অস্থায়ী মণ্ডপের প্রতিমা নিকটবর্তী বালু নদীতে বিসর্জন দেওয়া হয়। সরকারি জমি পুনরুদ্ধারের জন্য অননুমোদিত স্থাপনা অপসারণ একটি নিয়মিত এবং আইনসম্মত প্রশাসনিক কার্যক্রম।

যদিও দেশের আইন অনুসারে নির্মিত কোনো ধর্মীয় স্থাপনার সঙ্গে বৈষম্য না করে সমস্ত উপাসনালয়ের পূর্ণ সুরক্ষা নিশ্চিত করে। তবুও কোনো পরিস্থিতিতেই সরকারি জমি দখল করে কোনো ধর্মীয় স্থাপনা নির্মাণ করা অনুমোদিত নয়। অস্থায়ী মণ্ডপের আয়োজকরা তাদের নিজস্ব অঙ্গীকার লঙ্ঘন করে রেল কর্তৃপক্ষের আস্থা এবং সদিচ্ছাকে স্পষ্টতই কাজে লাগিয়েছেন।

বাংলাদেশ সব সম্প্রদায়ের অধিকার রক্ষায় দৃঢ়ভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যার মধ্যে রয়েছে উপাসনালয়ের সুরক্ষা। বাংলাদেশকে তার সমন্বিত ঐতিহ্য বজায় রাখতে কখনও বাধা দেয়নি যেখানে প্রতিটি নাগরিক তার বিশ্বাস বা বিশ্বাস নির্বিশেষে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং উন্মুক্ত সমাজে স্বাধীনভাবে বসবাস করতে পারে। বাংলাদেশ সবাইকে তথ্য এবং বাস্তবতা উপেক্ষা করে কোনো বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে।

Header Ad
Header Ad

কুমারখালীতে এনসিপির পদ পেলেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা, সমালোচনার ঝড়

আসাদুজ্জামান আলী। ছবি: সংগৃহীত

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উপজেলা সমন্বয় কমিটিতে যুগ্ম সমন্বয়কারী হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন আসাদুজ্জামান আলী নামে এক সাবেক ছাত্রলীগ নেতা। এনসিপির এ পদে একজন প্রাক্তন ছাত্রলীগ নেতার অন্তর্ভুক্তিকে ঘিরে স্থানীয় পর্যায়ে শুরু হয়েছে জোর বিতর্ক ও সমালোচনা।

গত ২১ জুন এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে কুমারখালী উপজেলা শাখার ১২ সদস্যের সমন্বয় কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়। কমিটিতে কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব আখতার হোসেন ও দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ স্বাক্ষর করেন। এই কমিটিতেই আসাদুজ্জামান আলীকে যুগ্ম সমন্বয়কারীর দায়িত্ব দেওয়া হয়।

আসাদুজ্জামান আলী কুমারখালী পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা এবং এক সময় কুমারখালী পৌর ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুমারখালী শাখার সদস্য সচিবের দায়িত্বও পালন করেন। তবে নানা অভিযোগে তাকে সেখান থেকেও বহিষ্কার করা হয়।

স্থানীয়দের অভিযোগ, আলী ছাত্রলীগে থাকা অবস্থায় বিভিন্ন সময় প্রভাব খাটিয়ে চাঁদাবাজি, মামলা ও ঘুষ বাণিজ্য, সেল্টার বাণিজ্যসহ নানা অনিয়মে জড়িত ছিলেন। তার বিরুদ্ধে জনসাধারণের মধ্যে ব্যাপক অসন্তোষ রয়েছে। এমনকি তার বাবা আবদুর সামাদ পাখির বিরুদ্ধেও অনিয়ম ও প্রভাব খাটানোর অভিযোগ আছে।

২০২৪ সালের মার্চ মাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুষ্টিয়া জেলা শাখার পক্ষ থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও নীতি বহির্ভূত কর্মকাণ্ডের অভিযোগে আলীকে পদচ্যুত করা হয়েছে।

এই প্রেক্ষাপটে এনসিপির কমিটিতে আলীর অন্তর্ভুক্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও স্থানীয় নেতাকর্মীরা। তাদের বক্তব্য, অতীতের বিতর্কিত কর্মকাণ্ড জানা সত্ত্বেও কীভাবে একজন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা এনসিপির মতো একটি দলে নেতৃত্বের জায়গা পেলেন, তা নিয়ে এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের জবাবদিহি প্রয়োজন।

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আসাদুজ্জামান আলী খান। তিনি বলেন, “আমি আন্দোলনে জীবনবাজি রেখে সক্রিয় ছিলাম। সরকার পতনের আন্দোলনে মাঠে ছিলাম। আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ষড়যন্ত্রমূলক।”

তিনি আরও দাবি করেন, প্রতিপক্ষের লোকজন তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলে তাকে সামাজিকভাবে হেয় করতে চাইছে। “আমার বিরুদ্ধে কেউ কোনো অপকর্ম প্রমাণ করতে পারলে আমি কুমারখালী ছেড়ে চলে যাব,” বলেন তিনি।

Header Ad
Header Ad

দেশে করোনায় আরও একজনের মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ১০ জন

ছবি: সংগৃহীত

দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে নতুন করে ১০ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে।

শুক্রবার (২৭ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ১৯৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এতে ১০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছরে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৫২৮ জনে, মৃত্যু হয়েছে ২০ জনের।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আরও জানায়, করোনা মহামারির শুরু থেকে এখন পর্যন্ত দেশে মোট ২০ লাখ ৫২ হাজার ৭৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। মৃত্যুবরণ করেছেন ২৯ হাজার ৫১৯ জন।

উল্লেখ্য, দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় ২০২০ সালের ৮ মার্চ। ওই বছরের ১৮ মার্চ করোনায় প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। এরপর ২০২১ সালের ৫ ও ১০ আগস্ট দেশে এক দিনে সর্বোচ্চ ২৬৪ জন করে মারা যান।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খিলক্ষেতে মণ্ডপ সরানোর বিষয়ে ব্যাখ্যা দিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
কুমারখালীতে এনসিপির পদ পেলেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা, সমালোচনার ঝড়
দেশে করোনায় আরও একজনের মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ১০ জন
১১ নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ উইন্ডিজ ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে
গাজায় হামাসের হামলায় ৩ দিনে ১৫ ইসরায়েলি সেনা নিহত
বেনাপোল বন্দরে কাগজপত্রবিহীন প্রায় ২ কোটি টাকার নিষিদ্ধ পণ্য জব্দ
ডেঙ্গুতে আরও দুজনের মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ১৫৯
ব্যবসায়ীকে দাড়ি ধরে টানা হেঁচড়া-মারধরের ঘটনায় আসামি নাসিম গ্রেপ্তার
অভিমান ভুলে বুকে জড়িয়ে নিলেন রিয়া মনি, হিরো আলমকে নিয়ে ছুটলেন ঢাকায়
এক মিনিট আগেও অফিস ছাড়তে পারবেন না সরকারি চাকরিজীবীরা
প্রেমিককে ভিডিও কলে রেখে জীবন দিলেন কলেজছাত্রী
সাবেক সিইসি নূরুল হুদা আরও ৪ দিনের রিমান্ডে
মিরপুরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়ক বিভাজকে উঠে গেল বাস, নিহত ১
খামেনিকে হত্যার পরিকল্পনা ছিল: স্বীকার করলেন ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী
জঙ্গি সম্পৃক্ততার অভিযোগে মালয়েশিয়ায় ৩৬ বাংলাদেশি আটক
বন্ধুর বাড়িতে ঘুমের ওষুধ খেয়ে হিরো আলমের আত্মহত্যার চেষ্টা
বাংলাদেশের সঙ্গে সব বিষয়ে আলোচনায় ভারত প্রস্তুত: রণধীর জয়সওয়ালম  
সুন্দর বিশ্ব তৈরি করতে চায় বাংলাদেশ: ড. ইউনূস
উড্ডয়নের পর ইঞ্জিনে ত্রুটি, ঢাকায় ফিরল বিমানের ফ্লাইট
সেই পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়টি বিবেচনাধীন