মুহম্মদ নূরুল হুদা
সীতা সংহিতা

১
২
৩
৪
৫
৬
৭
৮
৯
১০

ছবি: সংগৃহীত
যুদ্ধবিরতির পরদিনই চেনাব নদীতে দেওয়া বাঁধের একাধিক গেট খুলে দিয়েছে ভারত। এর ফলে আবারও পাকিস্তানের দিকে পানি প্রবাহিত হতে শুরু করেছে। পাকিস্তানি প্রশাসন ইতিমধ্যেই কিছু এলাকায় বন্যার সতর্কতা জারি করেছে।
পেহেলগাঁওয়ের হামলায় নিহতের পর ভারত একাধিক কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করে। এর মধ্যে অন্যতম ছিল পাকিস্তানের দিকে পানি প্রবাহ বন্ধ করা এবং পাকিস্তানি নাগরিকদের দেশ ছাড়ার নির্দেশ।
ভারত সরকার সাময়িকভাবে সিন্ধু পানিচুক্তি স্থগিত করে এবং চেনাব নদীর বাগলিহার ও সালাল বাঁধের গেট লাগিয়ে প্রবাহ আটকে দেয়। ফলে পাকিস্তানের দিকে চেনাব নদীর জলস্তর আশঙ্কাজনকভাবে কমে যায়।
দেশটির প্রশাসনের বরাতে ভারতীয় বিভিন্ন গণমাধ্যম জানিয়েছে, সম্প্রতি জম্মু-কাশ্মীরে টানা বৃষ্টির কারণে বাগলিহার ও সালাল বাঁধে পানিরস্তর বেড়ে গিয়েছিল। বাঁধে অতিরিক্ত জল জমে থাকায় তা ছেড়ে দেওয়ার প্রয়োজন হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, পানি না ছাড়লে বাঁধের ওপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে বিপর্যয় সৃষ্টি হতে পারত।
যদিও সরকারিভাবে এখন পর্যন্ত বাঁধের গেট খোলার প্রকৃত কারণ জানানো হয়নি। গেট খোলার ফলে পাকিস্তানে চেনাব নদীর শুকিয়ে যাওয়া এলাকাগুলোতে আবারও জল প্রবাহিত হচ্ছে। এতে নদীর নিচু অঞ্চলগুলো প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
ছবি: সংগৃহীত
রংপুরের মিঠাপুকুরে সাত বছর বয়সী এক শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শিশুটির পরিবারের দাবি, ধর্ষণের পর শিশুটিকে হত্যা করে লাশ বালুচাপা দেওয়া হয়। এ ঘটনায় ফজলু মিয়া নামের এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ।
ঘটনার পর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ঘটনাস্থলে গেলে ‘অসৌজন্যমূলক’ আচরণের অভিযোগে তাঁকে অবরুদ্ধ করেন এলাকাবাসী। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সেনাসদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ওসিকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন। নিহত শিশুটির বাড়ি মিঠাপুকুরের বালুয়া মাসিমপুর ইউনিয়নের একটি গ্রামে। অভিযুক্তও একই গ্রামের বাসিন্দা।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ সকাল সাড়ে আটটার দিকে অভিযুক্ত ফজলু মিয়া কৌশলে শিশুটিকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ। এ সময় চিৎকার দেওয়ায় শিশুটিকে শ্বাস রোধ করে হত্যা করা হয়। পরে বাড়ির পাশে বালুর স্তূপে মরদেহ চাপা দিয়ে রাখা হয়। প্রতিবেশী এক নারী বালুর নিচে হাত দেখতে পেলে আশপাশের লোকজন বালুর নিচ থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ঘটনার পর বেলা দেড়টার দিকে অভিযুক্ত ফজলু মিয়ার বাড়িতে ভাঙচুর ও আগুন দেন বিক্ষুব্ধ লোকজন। পরে ঘটনাস্থলে মিঠাপুকুর থানার ওসি আবু বক্কর সিদ্দিক গেলে অবরুদ্ধ করে রাখেন এলাকাবাসী। স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, ওসি আবু বক্কর সিদ্দিক এলাকাবাসীর সঙ্গে ‘অসৌজন্যমূলক’ আচরণ করেছেন। পরে মিঠাপুকুরের ইউএনও ও সেনাবাহিনী বিকেল চারটার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে ওসিকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন।
এ বিষয়ে ওসি আবু বক্কর সিদ্দিক কোনো কথা বলতে রাজি হননি। মিঠাপুকুরের ইউএনও বিকাশ চন্দ্র বর্মণ বলেন, স্থানীয় জনতা উত্তেজিত ছিলেন। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে ঘণ্টাখানেক আগে ওসিকে নিয়ে আসা হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: সংগৃহীত
স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়ন ও সংকট মোকাবিলায় সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে কোনো রাজনীতি নেই, বরং এ খাতের ঘাটতি পূরণে দরকার সম্মিলিত প্রচেষ্টা ও আন্তরিকতা।
সোমবার (১২ মে) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত প্রথম সিভিল সার্জন সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “স্বাস্থ্যখাতে আমাদের ঘাটতি রয়েছে, কিন্তু সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও অনেক ভালো করা সম্ভব। একে অপরকে দোষারোপ না করে সবাই মিলে সমস্যার সমাধান করতে হবে।” তিনি আরও বলেন, “স্বাস্থ্যসেবায় কাঠামোর চেয়ে মন-মানসিকতা বড়, আর সেখানে কোনো রাজনীতির জায়গা নেই।”
সিভিল সার্জনদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “আপনারা মন থেকে চাইলেই, শুধু নিয়ম-কানুন ঠিকভাবে মেনে চলেই, বর্তমান অবকাঠামো ও সম্পদের মধ্য দিয়েই স্বাস্থ্যসেবার মান ২৫ শতাংশ পর্যন্ত উন্নয়ন সম্ভব।”
জনবল ও সরঞ্জাম ঘাটতির কথা তুলে ধরে হাত গুটিয়ে বসে না থেকে বরং বিদ্যমান সম্পদকে কাজে লাগিয়ে চিকিৎসা সেবা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান ড. ইউনূস। তিনি বলেন, “যা রয়েছে, তা দিয়েই কাজ চালিয়ে যেতে হবে। পাশাপাশি সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করতে হবে।”
অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম। তিনি বলেন, “স্বাস্থ্য ব্যবস্থার কেন্দ্রবিন্দুতে জেলা পর্যায়ের সেবার মান উন্নয়ন জরুরি, আর সে লক্ষ্যেই এই সম্মেলনের আয়োজন।”
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, “প্রশাসনের ডিসি সম্মেলন প্রতিবছরই হয়, কিন্তু সিভিল সার্জনদের নিয়ে এমন সম্মেলন এতদিন হয়নি—এটা আমার বোধগম্য নয়। এই আয়োজন নিয়মিত হওয়া উচিত।”
উল্লেখ্য, প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনে দেশের ৬৪ জেলার সিভিল সার্জনরা অংশ নিচ্ছেন, যেখানে সরাসরি মতবিনিময়, নীতিনির্ধারণ এবং সমস্যা চিহ্নিতকরণ ও সমাধানের পথ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।