শনিবার, ৪ মে ২০২৪ | ২১ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব-৭

নেই দেশের নাগরিক

‘আর বাড়ি! দেশই নেই তো বাড়ি! আল্লাহ কি আমাদের কপালে কোনো বাড়ি লিখে পাঠিয়েছেন?’ কোঁকড়ানো চুলের লোকটির গলা মুষড়ে পড়ল। চোখের সোনালী ফ্রেমের চশমাটা খুলে চোখ মুছল। যেন এতক্ষণ ফদফদ করে বকার সময় কষ্টের যন্ত্রণার যেসব দলাগুলোকে পেটের মধ্যে জোর করে ঠেসে পুরে রেখেছিল, সেসব যেন এবার কণ্ঠে এসে ধাক্কা দিল। আর কতক্ষণ! মানুষ যে কষ্টকে বেশিক্ষণ চেপে রাখতে পারে না। একটা সময় ঠিকই মেঘভাঙার মতো দুদ্দাড় করে ভেঙে পড়ে। তখন মানুষটা যে পাথরের নয়, কাদামাটির, তা বোঝা যায়।

লোকটিকে দেখে মনে হচ্ছে শিক্ষিত লোক। পরনের বেশভুষা আর কথাবার্তার ধরণ দেখে সেটাই বলছে। লোকটি চোখে আবার চশমাটা এঁটে ভেজা গলায় বলতে লাগল, ‘মংডুর ফাতাংজায় আমাদের বাড়ি ছিল। পাকা দালানের দোতলা বাড়ি। চারপাশে দশ ইঞ্চি ইটের পাঁচিল দিয়ে ঘেরা। ফাতাংজার ডিহি মাঠে আমাদের এক দাগে চোদ্দ বিঘে আবাদে জমি। ভুঁইগুলো খুবই উর্বর। বছরে তিন তিনটে ফসল হয়। তবুও মাটি বুড়ো হয় না। একের পর এক ফসল বিহিয়েই যায়। আমরা তিনভাই। এত ঠুকুরমুকুর হলেও কোনোদিন ভিনো হইনি। গোটা গায়ে একমাত্র আমাদেরই যৌথপরিবার। উঠোনের উত্তর কোণে দুটো ধানের গোলা রয়েছে। বছরে যা ধান পেতাম তাতেই আমাদের সংসার স্বচ্ছলভাবে চলে যেত। বাড়িতে এক গোহাল ছাগল-গরু। সব ছেড়ে ছুড়ে চলে আসতে হল জানের বেগাত্তায়!’ হাউমাউ করে উঠল লোকটা। লোকটার কথা শুনতে শুনতে মতির মনও ফুড়ুৎ করে উড়ে গেল তাদের দংখালীর বাড়িটায়। আটচালার মাটির ঘর। দক্ষিণ দুয়ারি লম্বা শিতেনের বারান্দা। পাশেই নীমগাছটাকে আড়াল করে দুচালার টালির ঘর তুলছিল নুহু। দুটো ঘরে সবার ঘেঁষাঘেঁষি হচ্ছিল। নুহু কেবলই ইটের দেওয়াল তুলে মাথায় বাঁশের ফ্রেম বসাচ্ছিল। জাবের চাচা ভালো ঘরামী। তার হাতেই পুরোনো আটচালা ঘরটা বছর ঘুরতেই নতুন করে ঝাড়া হয়। পাকা বাঁশের খাঁচা, চাছা বাতা, নারকেলের ছোবড়ার দড়ি, পেরেক আর নতুন খড় দিয়ে ছাওয়া হয় চালা, ডাপ, কোঠা। মতি মাথায় টালি দেব, টালি দেব করলেও বাপ আলি জাফর দিতে দেননি। তিনি বলেন, খড়ের ঘরের মতন কি আর মজা আছে রে। চৈত্রের রৌদ্রেও ঘর কেমন কালহা থাকে, দেখতে পাস নে? আমি মরে গেলে ওসব টালিফালি লাগাস। এখন খড়ই থাক। বড় বাড়িটার খড়ের চালাটা এখনো আকাশের দিকে মুখ তুলে আছে, না জল্লাদরা এসে সব আগুন ধরিয়ে দিয়েছে? মনে পাক দিয়ে উঠল মতির। এই বাড়িটা তাদের বাপ-দাদোর আমলের। দাওয়ায় এক গড়া দিলে, এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে যেতে যেতে মা’র দুটো রুটি স্যাকা হয়ে যেত। দাওয়াটা এতই বড়! এতক্ষণে নিশ্চয় এই দাওয়ায় খড়ের ছাইগুলো ঝরে ঝরে পড়েছে? হুড়মুড় করে খসে পড়েছে বাঁশের পোড়া বাতা। ডাপে গোঁজা রফিকের কাজললতাটাও নিশ্চয় আগুনে পুড়ে লাল হয়ে গেছে। মা’র পানের বাটাটাও ছাইয়ের মধ্যে পড়ে হয়ত এতক্ষণে ছাই! যাঁতিটায় কতদিন সুপারি কেটে দিয়েছি মাকে। মা গোটা পানপাতাটায় গোল করে চুন ডলত। তাতে সুপারি কুচি, জর্দার গুড়ো আর একটা এলাচ দিয়ে কচমচ করে মুখে এক খিলি পান পুরে দিত। গালটা বেলুনের মতো ফুলে উঠত। মা যখন মুখে পান পুরে দিত, তখন যেন মনে হত মা’র থেকে সুখি মনে হয় এই পৃথিবীতে আর কেউ নেই। মা তখন আশমোড়া দিয়ে বসে পুরোনো দিনের কথা বলত। দেশের কথা, দশের কথা, ধম্মের কথা, জাতিতে জাতিতে মিলমিশের কথা। কত্ত গালগল্প। সে কথায় যে দরদপনা থাকত, তা আর কোত্থাও পাওয়া যাবে না।
‘আপনাদের ফাতাংজা কি একেবারে সুনসান? না এখনও কেউ কেউ আছেন?’ বৈঠাটাকে জল থেকে নৌকাতে তুলতে তুলতে জিজ্ঞেস করল নুহু। জলে মিহি করে একটা ছলাৎ শব্দ হল।
‘না, আর মনে হয় সেরকম কেউ বাকি নেই। যারা ছিল, তাদেরকে মনে হয় হত্যা করে বাড়িঘর জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে! আমরাই তো আর কটাদিন দেখি দেখি করে লেট করে ফেলেছিলাম। গত পরশু রাতে না পালিয়ে আসতে পারলেই আর রেহাই থাকত না! ওদের হাতে জবেহ হয়ে যেতাম। আমরা যেই ঘাটে নৌকা ভিড়িয়েছি অমনি একটা বিশাল সংখ্যক সেনার দল গ্রামে হুড়মুড় করে ঢুকে পড়েছিল। মিনিট দশেকের ফারাকে কোনোক্রমে জানে বেঁচে গেছি।’
‘সবই আল্লাহর কুদরত।’ লোকটা এবার কাঁপছে। আতঙ্ক তার শরীরকে হালিয়ে দিচ্ছে। ভ্যাদভ্যাদে গরমে লোকটা শীতের মতো হালছে! আসলে মানুষের মনেরও যে শীত-গ্রীষ্ম থাকে। আর সে সব বাইরের রোদ ঝড় বৃষ্টিতে ঠাণ্ডা বা গরম হয় না। সেসব ঘামে বা হালে জীবনের ঘটনা দুর্ঘটনার উপর। আপদ-বিপদের ছোবলে কামড়ে। সে মনে যেমন মোষের মতো মেঘ ওঠে, ফণী হয়ে তেড়ে আসে মারণঝড়, ঝেঁপে নামে বৃষ্টি, ঠিক তেমনি খিলখিল করে ওঠে সোনালি রোদ।
‘কার সাথে অত কথা বলছিস নুহু? আমাদের গাঁয়ের কি কারও দেখাটেখা পেলি নাকি?’ ছইয়ের ভেতর থেকে জানতে চাইলেন হালেমা।
‘না, মা, আমাদের দংখালীর না। এদের বাড়ি ফাতাংজা।’ গলা নামিয়ে বলল নুহু। তারপর গলাটা কিছুটা তুলে কোঁকড়ানো চুলের লোকটাকে জিজ্ঞেস করল, ‘দুটো নৌকা কি একসাথে জুড়ে দেব?’
‘তা করলে তো ভালোয় হয়।’ লোকটি বলল।
‘তুমি কী বলছ, মতিভাই। নৌকাদুটো কি একসাথে জুড়ে দেব?’ মতির দিকে ঘাড় ঘোরালো নুহু। মতি তখনও বুঁদ হয়ে আছে তাদের ফেলে আসা দংখালীতে। ঘোরে মুদে আছে। নুহু একটু গলা চড়াল, ‘মতিভাই, এই মতিভাই?’ নুহুর উচ্চ ডাকে ঘোর ভাঙল মতির, ‘হু, কী বলছিস?’
‘বলছি, দুটো নৌকা কি একসাথে জুড়ে দেব? ওদের আপত্তি নেই। ওরাও চায়ছেন, একসাথে যেতে।’
‘সে তো ভালো কথা। দল ভারী হবে। তা ছাড়া জোড়নৌকা পানির তোড়ও ঠেকাতে পারবে।’ ঘাড়ের গামছাটা দিয়ে মুখ মুছল মতি। নুহু নারকেলের ছোবড়ার দড়িগুলোকে বগলে পাজা করে ধরে খাড়া হয়ে দাঁড়াল। অপর নৌকাটা থেকে একজন বেঁটেখাট গাট্টাগোট্টা লোক একটা ফোলা টিউবে কোমর ঢুকিয়ে ঝপাং করে জলে লাফ মারল। নদীর নীল জল জ্যান্ত মানুষের ছোঁয়া পেয়ে মিহি করে কোমর দুলিয়ে উঠল। ‘উরি বাব্বা, কি ঠাণ্ডা গো!’ জলের উপর মুখ তুলে নুহুকে বলল, ‘আপনি রশি ফেলুন, আমি তলার আংটার সাথে বেঁধে দিচ্ছি।’ ঝপাং করে রশির বান্ডিলটা বগল থেকে ছিটকে জলে ফেলল নুহু। জলে থাকা লোকটি মিহি স্বরে বলল, ‘লোহার আংটাটা দেন, রশিটাকে টাইট দিতে হবে।’ মতি হাত বাড়িয়ে লোহার আংটাটা লোকটাকে দিল। নুহু একবার এ নৌকা একবার ও নৌকা করে করে রশির বাঁধন দিল। এভাবে তল থেকে মাথা পর্যন্ত দুটো নৌকা রশির বাঁধনে পড়ে একটা বড় নৌকায় পরিণত হয়ে গেল। বাঁধা সম্পূর্ণ হয়ে গেলে নৌকার কাণা ধরে বেঁটে লোকটা উপরে উঠে এল। নুহু যেই বৈঠার একটা ঠেলা মারল, অমনি কচমচ করে গড়তে শুরু করল জোড় বাঁধা দুটো নৌকা। যেন দুটো নৌকা নয়, দুটো বাড়ি, দুটো পাশাপাশি গাঁ, দুটো জোড় বাঁধা দেশ। আরিফা কুপিটা আবার ধরাল। দুটো নৌকায় জ্বলছে দুটো কুপি। অন্ধকারে কুপি দুটোর শিখাকে দেখে মনে হচ্ছে, যেন নদী জ্বলছে! নদীর মুখ দিয়ে বের হচ্ছে আগুনের লেলিহান শিখা। তার অন্তর পুড়ে যেন যন্ত্রণার জিভ ললকাচ্ছে!

টিমটিম করে এগোতে থাকল নৌকা। নুহু পা ছড়িয়ে টান মারল বৈঠা। রাত মধ্যগগন থেকে তার লম্বা ছায়া ফেলতে শুরু করেছে। দূর থেকে দেখা যাচ্ছে বিজিবির সীমান্ত চৌকির টিমটিমে আলো। পাড় লাগোয়া বসতির এলেবেলে আলোর বিন্দু। পুবে আকিয়াবের উপকূল সেভাবে চোখে পড়ছে না। অন্ধকারের চাদরে মুড়ে আছে চরাচর। এভাবেই সীমান্তের অন্ধকার, নেইদেশের অন্ধকার মতি নুহুদেরকে জীবন থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিচ্ছে। মনের মধ্যে বেড়ে উঠছে অন্ধকারের ভয়। ফণা তুলে বসে থাকা অন্ধকার যেকোনো সময় ছোবল মারতে পারে। খুবলে তুলে নিতে পারে চোখ।

‘যেখানে যুগযুগ ধরে বাপ-দাদো চৌদ্দ পুরুষ বাস করে আসছে, আর শয়তান সেনারা বলছে কি না যে আমরা নাকি ভিনদেশের লোক!’ নৌকার খোলে পা ঝুলিয়ে বসে কোঁকড়ানো চুলের লোকটি বিড়বিড় করে উঠল।
‘ডাহা মিথ্যে কথা।’ গামছাটাকে মাথায় ফেট্টি বাঁধতে বাঁধতে ফুঁসে উঠল মতি। তারপর চোখ টেরিয়ে বলল, ‘যদি তাইই হবে, তবে এতদিন আমাদেরকে ওরা থাকতেই বা দিল কেন?’
‘অথচ ইতিহাস কিন্তু অন্য কথা বলছে। এই রাখাইন অর্থাৎ পূর্বের আরাকান একসময় পূর্ব ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল। আমরা একসময় সবাই হিন্দু ছিলাম।’

‘এই বার্মিজরাও নাকি বাইরে থেকে এখানে এসেছিল?’ মনের খটকাটা প্রকাশ করল মতি। মতিও কিছু কিছু ইতিহাস জানে। সে অত হাদাভোদা মূর্খ নয়। বোর্ডের পরীক্ষা না দিলেও, আটক্লাস পর্যন্ত পড়েছে। তা ছাড়া সে অনেক চেপে রাখা ইতিহাসও নাড়াঘাটা করেছে। সে জানে, সত্যিকারের ইতিহাস তাদের স্কুলের সিলেবাসে ছিল না। সেখানেই অনেক কিছুই বিকৃত করে উপস্থাপন করা হয়েছে। শাসকের অঙ্গুলি হিলনে সাতকে পাঁচ পাঁচকে সাত করা হয়েছে।
‘হ্যাঁ, সেটা দশম শতক। মঙ্গোলীয় ও তিব্বতি বার্মিজরা এখানে আসে।’
‘ইসলাম ধর্মের বিস্তার কবে হয়?’
‘বারশ তিন সালে মুসলমান শাসক ও বণিকদের সংস্পর্শে এই অঞ্চলে ইসলামের বিস্তার ঘটে। চতুর্দশ ও পঞ্চদশ শতকে আরাকান স্বাধীন মুসলিম রাজ্য ছিল। তবে সেসময় মুসলমান ও বৌদ্ধদের মধ্যে ব্যাপক সম্প্রীতি ছিল।’ কথাটা বলেই লোকটি ছড়ানো পাদুটো জড়ো করে, চশমাটা খুলে পাশে রেখে, হাঁটুর ওপর মাথা রেখে বললেন, ‘১৭৮৪ সালে বার্মিজ রাজা বোদাওপায়া এই এলাকা দখল করেন। এবং বার্মার অধীনে করদ রাজ্যে পরিণত করেন। শুনলে অবাক হবেন, আরাকান রাজ্যের রাজা বৌদ্ধ হলেও তিনি মুসলমান উপাধি গ্রহণ করতেন। এবং আরও তাজ্জব ব্যাপার, তার মুদ্রাতে ফারসি ভাষায় লেখা থাকত কালেমা। একপাশে থাকত বার্মি বর্ণ অন্য পাশে ফার্সি বর্ণ।’
‘একেই বলে সম্প্রীতির মেলবন্ধন। ধর্মে ধর্মে মিল-মহব্বত। কাঁধে কাঁধ লাগিয়ে বাস করা। মুসলমান বৌদ্ধ ভাই ভাই।’
‘রোহিঙ্গা’ নামটি এসেছে আরাকানের রাজধানীর নাম ‘ম্রোহং’ থেকে। ‘ম্রোহংরোহাংরোয়াইঙ্গিয়ারোহিঙ্গা’। মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যে আরাকানকে ডাকা হত ‘রোসাং’ বলে।’
‘তাহলে এটা তো ঠিক, আমরা বানের পানিতে ভেসে আসিনি?’
‘একদমই না। বরং আমরাই আদি।’ দাঁত এঁটে বললেন ভদ্রলোক। মতির চোখে উৎফুল্লতার দ্যুতি। গামছা দিয়ে মুখ মুছতে মুছতে মতি বলল, ‘আচ্ছা, আপনি এত ইতিহাস জানেন, আপনি কি ইতিহাসের লোক?’
‘হ্যাঁ ভাই, আমার নাম ইয়াসিন আলি, এলাকায় সবাই ‘ইয়াসিন মাস্টার’ বলে ডাকে। আমি ফাতাংজা হাইস্কুলের ইতিহাসের শিক্ষক। তা ছাড়া ইতিহাস নিয়ে টুকটাক গবেষণাধর্মী কাজও করি। ওটা আমার নেশা বলতে পারেন।’ লোকটির ঠোঁটে আলতো হাসি। দুশ্চিন্তার কালো মেঘ জমে থাকা মুখে এইটুকু হাসি যেন জান কবজের ফিরিস্তা আজরাইলকেও হাসিয়ে দিল। মতিও যেন হাসিটার কিছুটা ধার করে নিয়ে নিজের মুখে মেখে নিল।

‘আচ্ছা ভাবুন তো, শত শত বছর আগে কে কোথা থেকে এসেছে, এই ভেবে যদি মানুষকে বহিরাগত চিহ্নিত করা হয়, তাহলে তো দেখতে গেলে দুনিয়ার সবাইই বহিরাগত? কোনো মসজিদের তলায় মন্দির ছিল, কোন মন্দিরের নিচে মঠ ছিল, এসব খুঁড়তে গেলে তো পৃথিবীর কোথাও কোনো মানবসভ্যতায়ই থাকবে না! না থাকবে দেশ, না থাকবে ধর্ম। এসব মুর্খামি নয়?’
‘আসলে এরা নিজের পায়ে নিজেই কুড়ুল মারছে।’ গলার কাশিটাকে আলুথালু করে ঝেড়ে বলল নুহু।

চলবে...

আগের পর্বগুলো পড়ুন>>>

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৬

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৫

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৪

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-১

আরএ

Header Ad

জিম্বাবুয়েকে হেসে-খেলে হারাল টাইগাররা

ছবি: সংগৃহীত

পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে সফরকারী জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সহজ জয় পেয়েছে বাংলাদেশ।

শুক্রবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে জিম্বাবুয়ের দেওয়া ১২৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ২৮ বল ও ৮ উইকেট হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ দল।

১২৫ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ৫ রান তুলতেই লিটনের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ৩ বলে ১ রান করে সাজঘরে ফিরেন টাইগার ওপেনার লিটন কুমার দাস। এরপর ধীর গতির ব্যাট করেন নাজমুল শান্ত। আউট হওয়ার আগে তিনি ২৪ বলে ২১ রান করেন। এরপর তানজিদ তামিম ও তাওহীদ হৃদয় ঝড়ো ব্যাটিং করে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। অভিষিক্ত তানজিদ তামিম ৪৭ বলে ৬৭ রান করেন ও তাওহীদ হৃদয় ১৮ বলে করেন ৩৩ রান।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই প্রথম উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। মাহেদী নিজের প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলেই সরাসরি বোল্ড করে ফেরান জিম্বাবুয়ের ওপেনার ক্রেইগ আরভিনকে (০)। এরপর শরিফুল ইসলাম এক ওভারে তিন বাউন্ডারি সহ হজম করেন ১৩ রান। কিন্তু তাসকিন আহমেদ এসে রানের চাকায় লাগাম টানেন। যার ফল তুলে নেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। প্রথমবার বল হাতে নিয়ে দারুণ নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেন সাইফউদ্দিন।

ওভারের শেষ বলে তিনি জিম্বাবুয়ের অভিষিক্ত ব্যাটার জয়লর্ড গাম্বিকে (১৪) বিদায় করেন। উইকেট পতনের মিছিল এরপর চলতেই থাকে। ষষ্ঠ ওভারে ফের বল হাতে নেন মাহেদী। এবার প্রথম বলেই রান আউটের শিকার হন একপ্রান্ত আগলে রাখা ব্রায়ান বেনেট (১৬)।

পরের বলে এসেই ডাক মারেন জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক সিকান্দার রাজা। মাহেদীর লেন্থ বলে প্যাডেল সুইপ খেলতে গিয়ে ফার্স্ট স্লিপে থাকা লিটন দাসের হাতে ক্যাচ তুলে দেন রাজা। ১ উইকেটে ৩৬ রান করা জিম্বাবুয়ে আর কোনো রান যোগ করার আগেই হারায় আরও ৩ উইকেট।

এখানেই শেষ নয়। তাসকিন পরের ওভারে তুলে নেন জোড়া উইকেট। ওভারের প্রথম দুই বলেই তিনি বিদায় করেন শন উইলিয়ামস ও রায়ান বার্লকে। দু’জনেই বিদায় নিয়েছেন রানের খাতা খোলার আগেই। এরপর অষ্টম ওভারে লুক জঙওয়ে (২) বিদায় নেন সাইফউদ্দিনের বলে।

৪১ রানে ৭ উইকেট হারানোর পর ওয়েলিংটন মাসাকাদজাকে সঙ্গে নিয়ে ক্লিভে মাদানদে ইনিংস গড়ার দায়িত্ব নেন। শুরুতে তারা ধীরস্থিরভাবেই খেলছিলেন। কিন্তু শেষদিকে আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন তারা।

শরিফুলের করা ১৭তম ওভারে ১১ ও রিশাদ হোসেনের করা পরের ওভারে ১৬ রান নেন মাসাকাদজা ও মাদানদে। এরপর ১৮তম ওভারের প্রথম বলে তাসকিনকেও ছক্কা হাঁকান মাসাকাদজা। এক বল পরই অবশ্য তার সঙ্গী মাদানদেকে বোল্ড করেন তাসকিন।

তার ইয়র্কার মাদানদের দুই পায়ের মাঝখান দিয়ে স্টাম্পে আঘাত করে। অষ্টম উইকেটে জিম্বাবুয়ের রেকর্ড ৬৫ বলে ৭৫ রানের জুটি ভেঙে যায় এতে। ৬ চারে ৩৯ বলে ৪৩ রান করে আউট হন মাদানদে। তার বিদায়ের পর জিম্বাবুয়ের রান হয়নি খুব একটা। শেষ বলে রান আউট হওয়ার আগে ৩৮ বলে ৩৪ রান করেন মাসাকাদজা।

বাংলাদেশের হয়ে ৪ ওভারে ১৪ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন তাসকিন। সমান ওভারে ১৬ রান দিয়ে ৩ উইকেট পান সাইফউদ্দিনও।

চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে ইসরায়েলের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধ করল তুরস্ক

ছবি: সংগৃহীত

গত ছয়মাস ধরে দখলদার ইসরাইল অবরুদ্ধ গাজায় নির্বিচারে ফিলিস্তিনিদের হত্যা করছে। ইতোমধ্যে প্রায় ৩৮ হাজারের বেশি ফলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। আহত হয়েছেন লাখ লাখ। বাস্তহারা করেছে ২০ লাখের বেশি মানুষকে। এই হত্যার বিরুদ্ধে সারাবিশ্বে চলছে প্রতিবাদ। তুরস্কে লাগাতার বিক্ষোভ মুখে ইসরাইলের সঙ্গে সব ধরণের যোগাযোগ ও বাণিজ্য বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

জানা যায়, গতকাল বৃহস্পতিবার তুরস্ক জানিয়ে দিয়েছে, গাজার পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় তারা ইসরায়েলের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধ রাখছে।

বলা হয়েছে, গাজায় যতদিন পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্ন মানবিক ত্রাণ দিতে না দেয়া হচ্ছে, ততদিন বাণিজ্য বন্ধ রাখবে তুরস্ক।

তুরস্কের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ''ইসরায়েলের সঙ্গে সব পণ্যের আমদানি ও রপ্তানি বন্ধ থাকছে।''

দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ বাংলাদেশি টাকায় ৭৩ হাজার কোটি টাকারও বেশি।

এর আগে ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অভিযোগ করেছিলেন, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এর্দোয়ান সমঝোতা ভেঙে ইসরায়েলের সঙ্গে আমদানি ও রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছেন।

সামাজিক মাধ্যমে তিনি বলেছেন, ''এভাবেই একজন ডিক্টেটর কাজ করেন। তুরস্কের মানুষ, ব্যবসায়ীদের স্বার্থ তিনি দেখলেন না। আন্তর্জাতিক বাণিজ্য চুক্তিও অবহেলা করলেন।''

তিনি বলেছেন, ''ইসরায়েল বিকল্প খুঁজে নেবে। অন্য দেশের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বাড়াবে।''

তুরস্ক গতমাসে জানিয়েছিল, তারা ইসরায়েল থেকে বাণিজ্যে কাটছাঁট করছে। সেসময় তুরস্কের অভিযোগ ছিল, তাদের বিমান গাজায় মানবিক ত্রাণ দিতে গিয়েছিল। ইসরায়েল তা করতে দেয়নি। তুরস্কে ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে বিশাল বিক্ষোভ সমাবেশ হচ্ছে।

গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযানকে কঠোর ভাষায় নিন্দা করেছে তুরস্ক। এর্দোয়ান তো ইসরায়েলকে 'সন্ত্রাসী রাষ্ট্র' পর্যন্ত বলেছেন।

অন্যদিকে এক বিবৃতিতে তুরস্ক জানিয়েছে, এই বাণিজ্য স্থগিত করার সিদ্ধান্ত সব ধরনের পণ্যের ক্ষেত্রেই কার্যকর হবে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘তুরস্ক কঠোরভাবে ও সন্দেহাতীতভাবেই নতুন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করবে যতদিন পর্যন্ত ইসরাইল সরকার গাজায় বাধাহীন ও পর্যাপ্ত ত্রাণ প্রবাহের অনুমোদন না দেয়।’

১৯৪৯ সালে প্রথম মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ হিসেবে ইসরাইলকে স্বীকৃতি দেয় তুরস্ক। তবে সাম্প্রতিক দশকগুলোতে দেশ দু’টির মধ্যকার সম্পর্কের অবনতি হয়েছে।

২০১০ সালে গাজায় তুরস্ক মালিকানাধীন জাহাজ ইসরাইলের সমুদ্রসীমা লঙ্ঘন করার সময় ইসরাইলি কমান্ডোদের সাথে সংঘর্ষে ১০ জন ফিলিস্তিনপন্থী তুর্কি কর্মকর্তা নিহত হওয়ার ঘটনায় তুরস্ক কূটনৈতিক সম্পর্কও ছিন্ন করেছিল।

পরে ২০১৬ সালে আবার দেশ দু’টির মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনস্থাপন হয়। কিন্তু এর দু’বছরের মাথায় উভয় দেশ একে অন্যের শীর্ষ কূটনীতিককে বহিষ্কার করে গাজা সীমান্তে ইসরাইল কর্তৃক ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ার ঘটনায়।

এরদোগান গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামাসের হামলার পর ইসরাইলের তীব্র সমালোচনা করে আসছেন।

গত জানুয়ারিতে তিনি বলেন, ‘হামাসের হামলার জবাবে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু যে সামরিক অভিযান চালিয়েছেন তা হিটলার যা করেছিল তার চেয়ে কোনো অংশে কম নয়।’

জবাবে নেতানিয়াহু বলেন, ‘এরদোগান, যিনি কুর্দিদের বিরুদ্ধে গণহত্যা সঙ্ঘটিত করেন এবং যিনি তার শাসনের বিরোধিতা করায় সাংবাদিক বন্দীর ক্ষেত্রে বিশ্বরেকর্ড করেন, তিনিই হলেন শেষ ব্যক্তি যিনি আমাদের নৈতিকতা শেখাচ্ছেন।’

গাজা উপত্যকার পরিস্থিতি নিয়ে ইসরাইলের বিরুদ্ধে সমালোচনা বাড়ছে। জাতিসঙ্ঘ সমর্থিত এক পর্যালোচনায় দেখা গেছে গত মাসে ১১ লাখ মানুষ তীব্র ক্ষুধায় জর্জরিত ছিল এবং এ মাসের মধ্যে গাজার উত্তরাঞ্চলে দুর্ভিক্ষের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।

বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউস বলেছে, গাজা উপকূলে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী যে বন্দর নির্মাণ করেছে ত্রাণ প্রবাহ বাড়ানোর জন্য সেটি কয়েক দিনের মধ্যেই উন্মুক্ত করে দেয়া হবে।

ভাসমান ওই বন্দরে নৌযান ও লোকজনের কাজের ছবিও প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তার কাছেই নৌবাহিনীর জাহাজ ছিল।

যদিও জাতিসঙ্ঘ বলেন, সামুদ্রিক করিডোর কখনো স্থলপথে ত্রাণ সরবরাহের বিকল্প হতে পারে না। আর সড়কপথ হলো একমাত্র উপায় যেখানে একসাথে অনেক পরিমাণ ত্রাণ নেয়া যায়।

এর আগে, আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর বারবার অনুরোধের প্রেক্ষাপটে চলতি সপ্তাহে গাজার উত্তরাঞ্চলে ত্রাণ সরবরাহের জন্য ইসরাইল ইরেয ক্রসিং আবার খুলে দিয়েছে।

তবে জর্ডান বলেছে, তাদের কিছু ত্রানবাহী লরি ওই ক্রসিং পার হওয়ার সময় ইসরাইলি বাহিনীর হামলার শিকার হয়েছে।

জাতিসঙ্ঘের রিপোর্ট বলছে, গাজার মানবিক বিপর্যয় একটি মানব সৃষ্ট দুর্ভিক্ষে রূপান্তরিত হতে যাচ্ছে।

জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকারবিষয়ক সিনিয়র কর্মকর্তা ভলকার তুর্ক বলেন, এটা এখন ‘বিশ্বাসযোগ্য’ যে ইসরাইল ক্ষুধাকে গাজা যুদ্ধে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে।

ইসরাইল ত্রাণ সরবরাহ সীমিত করার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। দেশটি গাজায় যাদের প্রয়োজন তাদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণে ব্যর্থতার অভিযোগ এনেছে জাতিসঙ্ঘের বিরুদ্ধে।

৭ অক্টোবরের হামলার প্রতিক্রিয়ায় হামাসকে ধ্বংস করতে গাজায় ইসরাইল যে সামরিক অভিযান চালিয়েছে তাতে ৩৪ হাজার ৫০০ মানুষের মৃত্যুর খবর দিয়েছে হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এর আগে, হামাসের হামলায় ইসরাইলে এক হাজার ২০০ মানুষ নিহত হয়েছিল এবং তারা আরো ২৫৩ জনকে পণবন্দী করেছিল।

মধ্যস্থতাকারীরা এখন যুদ্ধবিরতি নিয়ে সবশেষ আসা প্রস্তাবের বিষয়ে হামাসের প্রতিক্রিয়ার জন্য অপেক্ষা করছে।

খবর অনুযায়ী, এবারের প্রস্তাবে ৪০ দিনের যুদ্ধবিরতির কথা বলা হয়েছে এবং এর বিনিময়ে ইসরাইলি বন্দী ও ফিলিস্তিনি কিছু বন্দী মুক্তি পাবে। সূত্র : বিবিসি

বাংলাদেশের কোনো ভাষাকেই হারিয়ে যেতে দেওয়া যাবে না: প্রধান বিচারপতি

ছবি: সংগৃহীত

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছন, বাংলাদেশের কোনো ভাষাকেই হারিয়ে যেতে দেওয়া যাবে না, যেকোনো মূল্যে খাড়িয়া সম্প্রদায়ের মাতৃ (পার্সী)-ভাষাকে রক্ষা করতে হবে। এর জন্য তিনি সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগকে দ্রুত উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান।

শুক্রবার (৩ মে) দুপুরে শ্রীমঙ্গলস্থ বাংলাদেশ চা গবেষণা কেন্দ্রের গেস্ট হাউসে খাড়িয়া জাতিগোষ্ঠীর প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক সাক্ষাতের সময় এ কথা জানান তিনি।

এ সময় খারিয়া জাতিগোষ্ঠীর প্রতিনিধিদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন প্রধান বিচারপতি। সাক্ষাতে শ্রীমঙ্গল বর্মা ছড়ার খাড়িয়া সম্প্রদায়ের দুই বোন ভেরোনিকা কেরকেটা ও খ্রিস্টিনা কেরকেটা তাদের ভাষায় কথা বলেন এবং তাদের সম্প্রদায়ের জহরলাল ইন্দোয়া নামের একজন তা বাংলায় বর্ণনা করেন।

সাক্ষাতের সময় উপস্থিত ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ আমিন উদ্দিন, মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক উর্মি বিনতে সালাম, সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আল-মাহমুদ ফায়জুল কবির, জেলা পুলিশ সুপার মো. মঞ্জুর রহমান, শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো আবু তালেব ও শ্রীমঙ্গল থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিনয় ভূষণ রায়।

প্রধান বিচারপতি জানান, ভাষা বৈচিত্রের দেশ আমাদের বাংলাদেশ। তিনি গণমাধ্যমের সূত্রে জেনেছেন, খাড়িয়া সম্প্রদায়ের দুজন লোকই বেঁচে আছেন। যারা তাদের মাতৃভাষায় কথা বলতে পারেন। তারা মারা গেলে বাংলাদেশ থেকে হারিয়ে যাবে এই ভাষা। এই বিষয়টি তাকে ভাবান্বিত করেছে। তাই নিজ উদ্যোগেই এই দুজন মহিলার সঙ্গে তিনি দেখা করতে এসেছেন। তিনি আস্বস্ত হয়েছেন শুধু দুজন নয়, এই ভাষায় কথা বলতে পারেন আরও কয়েকজন আছেন এবং খাড়িয়া জনগোষ্ঠীর প্রায় আড়াই থেকে তিন হাজার মানুষ বাংলাদেশে বসবাস করছেন। তবে এই ভাষাটি রক্ষার জন্য সর্বোচ্চ উদ্যোগ গ্রহণের ওপর প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে তিনি সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগকে উদ্যোগ নিতে বলেন।

এর আগে তিনি বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউটের আবিষ্কৃত চায়ের জাত ও তৈরি চায়ের গুণগত মান যাচাই করেন। এ সময় তিনি বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চায়ের গুণগত মান ধরে রাখার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান করেন।

সর্বশেষ সংবাদ

জিম্বাবুয়েকে হেসে-খেলে হারাল টাইগাররা
চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে ইসরায়েলের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধ করল তুরস্ক
বাংলাদেশের কোনো ভাষাকেই হারিয়ে যেতে দেওয়া যাবে না: প্রধান বিচারপতি
বৃষ্টি হতে পারে যেসব বিভাগে, যে তথ্য দিল আবহাওয়া অফিস
ভূমধ্যসাগরে নিহত ৮ বাংলাদেশির মরদেহ হস্তান্তর
কাল থেকে বাড়তি ভাড়ায় চড়তে হবে ট্রেনে, কোন রুটে ভাড়া কত
সবসময় আস্থা রাখায় ধোনিকে ধন্যবাদ জানালেন মোস্তাফিজ
সুষ্ঠু ভোটের আয়োজনে প্রার্থীদেরও ভূমিকা রয়েছে : ইসি রাশেদা
টাঙ্গাইলে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসে গণমাধ্যমকর্মীদের সমাবেশ
গণতন্ত্রের জন্য লড়াইকারীদের নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে : রিজভী
সরকারকে যারা চাপে রাখতে চেয়েছিল তারা নিজেরাই চাপে আছে : ওবায়দুল কাদের
যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষার্থীদের ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ, গ্রেপ্তার ২ হাজার
ট্রেনের ধাক্কায় প্রাণ হারালেন পুলিশ কর্মকর্তা
আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডের সভা শনিবার
যেসব অভিযোগে ১১১০ দিন কারাগারে ছিলেন মামুনুল হক
শনিবার যেসব জেলার স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা বন্ধ থাকবে
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার প্রমাণ পেয়েছে বিবিসি!
নওগাঁয় আ.লীগ নেতার প্রচারে যাওয়া ছাত্রদলের ২ নেতাকে শোকজ
বলিউডের ছবিতে গাইলেন আসিফ আকবর
যাত্রীবাহী বাস উল্টে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনা, নিহত ২০