বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব-৬

নেই দেশের নাগরিক

‘উরি আল্লাহ’ মুখ ফুটে বেরোনো কথাটাকে জিভ থেকে আবার টেনে পেটে নামাল নুহু। ওরা জানতে চায়ছে, আমরা রোহিঙ্গা কি না! তবে কি ওরা ভেক নিয়ে ছো মেরে বসে থাকা মায়ানমার-সেনা? লুন সানের ফৌজ?

রোহিঙ্গা! এই পরিচয়টার জন্যই আজ তাদের এই হাল। তাদের বেঁচে থাকাটাই লাটে উঠেছে। মাঝে মাঝে নুহুর মনে হয়, আল্লাহ তাদের এই রোহিঙ্গা না করে কোনো পোকামাকড় করে পাঠালেই পারতেন? কোনো বুনেঢ্যাঙর করেও পাঠাতে পারতেন। নুহু জানে, তাদের শরীরের হাড়ের কোনো দোষ নেই, তাদের শরীরের মাংসের কোনো দোষ নেই, তাদের নাক-চোখেরও কোনো দোষ নেই, যত দোষের মূলে হল এই একটাই পরিচয়, রোহিঙ্গা! এই রোহিঙ্গা পরিচয়টাকে কি গলা টিপে মারা যায় না? নুহু তার মনের এই ক্ষেদটা একবার বিড়ি টানতে টানতে সুং তান কে বলেছিল। সুং তান জেলে বৌদ্ধিষ্ট। নুহুদের পিঠাপিঠি জেলেপাড়ার লোক। নুহুর সাথে তার জব্বর পিরিত।

সুং তানরা গরীব জেলে। ‘খাটি খাই’ গোছের। দংখালীর এই জেলেপাড়াটায় সুং তানরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ। নুহুরা বলে, বোদ্ধপাড়া। কেউ কেউ রসিকতা করে বলে, বুদ্ধুপাড়া। নুহুদের সঙ্গে সুংতানদের চিরদিনই দহরম-মহরম ভালো। চাল-ডাল, তেল-নুন ধার নেওয়ানেয়ির সম্পর্ক। এ সম্পর্কের হাড় শত শত বছরের পুরোনো। এই সেদিন পর্যন্তও হিংসার বিষাক্ত ফণা এখানে দাঁত বসাতে পারেনি। তাদের হক কথা, আমাদের আলাদা কোনো জাত নেই, আমরা এক সাথে খাটি, একসাথে খাই, এটাই আমাদের জাত। আমাদের জাত শ্রমে, ধর্মে নয়। তবুও নুহুরা টের পাচ্ছিল, ওপর তলার একটা অন্য গরম হাওয়া এখানেও দাঁত ফোটাতে শুরু করেছে। বিদ্বেষের একটা চোরা বিষ স্রোত মিহি করে ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে এই গোব্যাচারি মানুষগুলোর মনে।

নুহু সুং তান কে বলেছিল, ‘আমাদের রোহিঙ্গা হয়ে জন্মানোটাই পাপ। আমরা যদি তোমাদের মতো বৌদ্ধ হতেম, তাহলে নিশ্চয় আমাদের ওপর এই জুলুম করত না মায়ানমার সেনা? যত দোষ মুখের দাড়ি আর মাথার টুপিতে!’

‘ধুর বোকা, এটা কোনো কথা হল? যে যে ধর্মেই জন্মাক না কেন, যে জাতিতেই জন্মাক না কেন, তাকে সেই ধর্ম বা জাতি নিয়েই গর্ব করা উচিৎ। কোনো জাতিই ছোট না। কোনো ধর্মও ছোট না। সব জাতিই সমান। সব ধর্মও সমান। এই পৃথিবীতে কত জাতি আর কত ধর্ম আছে বলো তো? শত শত, হাজার হাজার! একজন যদি আরেকজনকে ধ্বংস করতে উঠেপড়ে লাগে, তাহলে তো পৃথিবীটাই ধংস হয়ে যাবে। একজন আরেকজনের মাথায় যদি কুঠার তোলে, তাহলে তো কোনো মানুষই বেঁচে থাকবে না। ধর্ম কুঠারে নয়, ধর্ম প্রেমে।’

‘তাহলে আমাদের কেন বেছে বেছে হত্যা করা হচ্ছে? ওই ধর্মের জন্যই তো?’

‘সব ধর্মেই, সব জাতিতেই কিছু খারাপ মানুষ থাকে, মন্দ মানুষ থাকে নুহু, আমাদের মধ্যেও তা আছে। আর এই খারাপ মানুষদের হাতে রাষ্ট্রের ক্ষমতা চলে এলেই সর্বনাশ। সব ভেঙে তছনছ করে দেয়। আজ আমাদের দেশে সেটাই ঘটছে।’ ফদফদ করে বকে গেছিল তামাটে রঙের পাঁচ ফুটের বেঁটেখাট মানুষ সুং তান। তারপর জোরে শ্বাস ঠেলে বলেছিল, ‘আমি কিন্তু ভাই, ওসবের ধাড়ধারি নে। তুমিও যা আমিও তাই।’ কথাটা বলার সময় যেন সুং তান তার বুক চিড়ে নুহুকে দেখাতে চেয়েছিল যে, সে একজন সাধারণ মানুষ ছাড়া অন্য কিছুই নয়। তার ‘নির্বাণ’য়েই শান্তি। বুদ্ধ আজীবন শান্তির কথাই বলতে চেয়েছেন। জীবনে অহিংসা ভড় না করলে ‘নির্বাণ’ হবে কীভাবে? ‘নির্বাণ’ ছাড়া তো মুক্তি নেই। সেই যেন একই কথা, কোথাও যেন ‘নির্বাণ’ আর ‘ঈমান’এর একই ঘাটে এসে গলাগলি করা।

‘হ্যাঁ, আমরা রোহিঙ্গা, তো কী হয়েছে? কেটে পানিতে ভাসিয়ে দেবেন? জবেহ করবেন? আসুন, তাইই করুন।’

আচমকা যেন দুম করে বাঁশ ফাটল। ছইয়ের ভেতর থেকে ছ্যান ছ্যান করে উঠলেন হালেমা। হৃদপিন্ড ধড়াক করে উঠল মতির। আরিফার তো মাথা ঘুরে পড়ে যাওয়ার জোগাড়। নুহুর হৃদস্পন্দন তখন চরমে। আতঙ্কের পারদ ধুকপুক করছে। আর রেহাই নেই! মরণ এবার দুয়ারে! মা কি সর্বনাশটাই না করল! মতিও মনে মনে তার মা’কে দুষতে লাগল, অ্যা ক্যামুন মা গো, পেটে ধরা ছেলেকে জেনেবুঝে জল্লাদের হাতে তুলে দিচ্ছে!

বলতে বলতে আগন্তুক নৌকাটা থেকেও একটা মেয়েলি কণ্ঠস্বর ভেসে এল। যেন হালেমার কথাটাই দেওয়ালে ধাক্কা লেগে প্রতিধ্বনি হয়ে ফিরে এল। ঠান্ডায় বসে যাওয়া স্বর। যেন বহুত কষ্টে ঠেলেঠুলে গলা ফুঁড়ে বের হয়ে আসছে। গলার স্বরই জানান দিচ্ছে, মেয়েটি বৃদ্ধা এবং অসুস্থ। কথার মাঝে মাঝে গলা খিঁচে ধরা কাশিও জড় পাকিয়ে দিচ্ছে। নৌকাটার একেবারে পেট থেকে কথাটা ভেসে এল, ‘আমরাও তো তাই! হাতে জান নিয়ে পানি পানি ঘুরে বেড়াচ্ছি।’

‘বাপ রে, বাঁচলাম’। ধড়ে প্রাণ ফিরে এল মতির। ‘আমি তো বাঁচার আশা ছেড়েই দিয়েছিলাম।’ ঠোঁট নড়ল নুহুর। ভয়ের মেঘ কেটে মনের আকাশে এখন খুশির ঘুড়ি উড়তে শুরু করে দিয়েছে। নুহু এবার বৈঠাটাকে স্যাৎ স্যাৎ করে পাক মেরে মেহমান নৌকাটার দিকে টান মারল। মতিও দাঁড়টাকে বেঁকিয়ে ধরল। ‘কট’ করে উঠল নৌকাটা। মতি যখন গায়ের শক্তিটাকে একেবারে নিংড়ে দিচ্ছে, তখন তার দুবলা পাতলা শরীরটাও ধনুকের মতো বেঁকে যাচ্ছে। মতি ভাবছে, যাক একটা সাথী নৌকা তো পাওয়া গেল। আপদ-বিপদে একসঙ্গে ঝাঁপিয়ে পড়া যাবে। কিন্তু ওরা উচিপুরংএর দিক থেকে আসছে কেন! ওরা যদি আমাদের মতো পালিয়েই যাবে, তাহলে তো ওরা উচিপুরংএর দিকে যেত? কিন্তু এ তো দেখছি ঘুরে আকিয়াবের দিকেই যাচ্ছে! খটকা বাঁধল মতির। ব্যাপারটা কি? তবে কি উচিপুরংএর দিকেও বার্মিজ সেনারা ডেরা বেঁধে আছে! মতি একবার ভাবল, ব্যাপারটা নুহুর সঙ্গে আলোচনা করি। আবার পরক্ষণেই ভাবল, না থাক, সরাসরি ওদের সঙ্গেই কথা বলি। নৌকাটা একেবারে আগন্তুক মেহমান নৌকাটার ঘাড় ঘেঁষে ভিড়ল। আলতো করে দুই নৌকার খোলের সঙ্গে ঠোকাঠুকিও লাগল। দুই নৌকাই দুলে উঠল। দুই নৌকার এই প্রেমময় টোকাতে নদীর জলও ছলাৎ করে কোমর দুলিয়ে উঠল। তার নীল-কালো জলের গালে মিহি করে টোলও পড়ল। নুহুদের নৌকাটা কাছে ভিড়তেই, আগন্তুক নৌকাটা থেকে পিলপিল করে গুচ্চের মানুষ বেরিয়ে এল! ফিক করে একটা কুপিও জ্বলে উঠল। নৌকার ওপরে গেঁড়ে বসে থাকা কালো ঘুটঘুটে ছায়াটা দুদ্দাড় করে নদীতে নেমে গেল। ছায়ার সঙ্গে সঙ্গে ঝিম মেরে থাকা নৈশব্দটাও নেমে গেল। একটা ফিনফিনে তামাটে আলো নৌকাটায় ছড়িয়ে গেল। এই আলোতে নুহু চোখ ফেড়ে দেখল, দশটা মানুষের মাথা! মাঝবয়সী দুজন মেয়ে। সঙ্গে দুটো বাচ্চা। আর পাঁচজন পুরুষ। তার মধ্যে একজন বৃদ্ধ। ছইয়ের ভেতরে কাঁথা মুড়ি দিয়েও কেউ একজন বসে আছেন। ‘খক’ ‘খক’ করে কাশছেন। সম্ভবত সেই বৃদ্ধা মেয়েটিই হবে, যিনি একটু আগেই কাশতে কাশতে কথাগুলো বলছিলেন।

 আপনারা রোহিঙ্গা তো আকিয়াবের দিকে যাচ্ছেন কেন?’ মনের খুঁতখুতিটা উগলালো মতি। সে এতক্ষণে দাঁড়টা ধরে খাড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে।

‘আমরা উচিপুরংএর দিকেই যাচ্ছিলাম। কিন্তু ওদিকে বিজিবি যেতে দিচ্ছে না। তারা ধরে আবার এদিকে পাঠিয়ে দিচ্ছে।’ চুল কোঁকড়ানো একটা ছিপছিপে চেহারার মাঝবয়সী লোক কথাগুলো বলল।

‘হাই আল্লাহ!’ আঁতকে উঠল আরিফা। ভাবল, এবার কী হবে! ভদ্রলোকের কথাটা শুনে মতিরও বুক চিনচিন করতে শুরু করে দিয়েছে। সে আফসোস করল, যাহ শালা, যে আশা নিয়ে এগোচ্ছিলাম, তাও জলে ভেসে গেল! বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড আবার এমন কেন করছে! তারা তো রোহিঙ্গাদেরকে এতদিন আশ্রয় দিচ্ছিল। হঠাৎ কী এমন হল যে, তারা মুখ ফিরিয়ে নিল! মতিরা শুনেছে, তাড়া খাওয়া, ভিটেমাটি ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া রোহিঙ্গাদের বড় আশ্রয়দাতা হল বাংলাদেশ। তাদের মানবিক মুখের জন্যেই হাজার হাজার রোহিঙ্গারা এখনও জীবনে বেঁচে আছে। টিকে আছে দুনিয়াদারি। বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলার বিভিন্নপ্রান্তে শরণার্থী শিবিরগুলো ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। কুতুপালং, নয়াপাড়া, থাংখালী, উচিপুরং ক্যাম্পগুলোই আজ রোহিঙ্গাদের ঠিকানা। এগুলোর কোত্থাও আমাদের ঠিকানা হল না! এতটুকু মাথা গোঁজার ঠাঁই হল না! হুহু করে উঠল মতির হৃদয়। হাই আল্লাহ, আব্বার কী হবে! ও যে যেকোনো সময় ইন্তেকাল করবে! তার দাফন করার মাটিটুকু পাব কোথায়! আব্বার স্বপ্নাদেশ তবে কি বিফল হয়ে যাবে!

কষ্ট দলা পাকিয়ে উঠছে মতির। হৃদয়টা টুকরো টুকরো হয়ে ভেঙে যাচ্ছে। আর কত সহ্য করবে! সে যে কাঠ-পাথর লোহা-ইস্পাত দিয়ে তৈরি নয়? সেও যে একজন রক্ত-মাংসের মানুষ।

‘তাহলে এখন কী করবে? কোন দিকে যাবে?’ কথা তো নয়, যেন একদলা কষ্ট টং করে গলা থেকে বেরিয়ে এল নুহুর। সঙ্গে দিক হারা পথ হারা মানুষের আকুতি।

‘আরে আলোটা!’ চমকে উঠল মতি। তারা যে এসব ঝুট-ঝামেলায় পড়ে ধেয়ে আসা লাল আলোটার কথা ভুলতেই বসেছিল।

‘আরে তাই তো!’ ঘাড় ঘোরালো নুহু। সে লম্বা দৃষ্টি ফেলল বঙ্গোপসাগরের দিকে। ঝাপসাতে যতদূর দৃষ্টি যায়, ভালো করে জরিপ করল। ‘কই, কোথায় গেল! আর তো দেখা যাচ্ছে না!’ বিস্ময় প্রকাশ করল নুহু। চোখের পাতায় অদ্ভুত সারল্যতা। ঠোঁটে একটা আত্মতৃপ্তির প্রশান্তি। কিন্তু মাথা চুলকালো মতি, ‘লেডা ক্যাম্পের দিকে যাব নাকি।’

‘তা গেলে হয়, তবে ওখানকার বিজিবি আবার চরে উঠতে দেবে? রাইফেল নিয়ে তাড়া করবে না তো!’ আশঙ্কা প্রকাশ করল নুহু।

‘হ্যাঁ, ওরাও ঢুকতে দিচ্ছে না। আমরাও খবর নিয়েছি।’ আগন্তুক নৌকা থেকে কথাটা ভেসে এল। চুল কোঁকড়ানো লোকটা গলা ঝেড়ে কথাগুলো বলল। সে আরও জানাল, ‘তবে শুনলাম, বাংলাদেশ বর্ডার গার্ডের ঘুমধুম সীমান্ত চৌকির স্টেশন প্রধান লেফটানেন্ট জেনারেল আলি কাদের খুব ভালো লোক। খুবই মানবিক। দরদী মানুষ। তিনি নাকি রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাচ্ছেন না। তিনি রোহিঙ্গাদের ট্রলারে করে নিয়ে গিয়ে টেঙ্গার চরে রেখে আসছেন। একটু দূর হলে কী হল, মানুষগুলো বেঁচেবর্তে তো থাকছে? আপাতত একটা ঠাঁই তো পাচ্ছে?’

‘টেঙ্গার চর বলতে মেঘনা………।’ মতি ফট করে কিছু একটা বলতে যাচ্ছিল অমনি তার মুখের কথা কেড়ে নিয়ে লোকটা ভড়ভড় করে বলতে লাগল, ‘হ্যাঁ হ্যাঁ, ওই যে মেঘনা নদীর পলি জমে যেটা নতুন গড়ে উঠেছে, ওটাই টেঙ্গার চর।’

‘তা আপনারা ওখানে গেলেন না কেন?’ হুট করে বেখাপ্পা প্রশ্ন করল নুহু।

‘ওখানে তো সরাসরি যাওয়া যাবে না। সে তো অনেক দূর। ঢেরখানি পশ্চিমে। বিজিবির লোকেরাই অন্যান্য ক্যাম্প থেকে ট্রলারে করে ওখানে নিয়ে যাচ্ছে। ওখানে সরাসরি যাওয়ার ফুরসত থাকলে কি আর বলতে হত, ঠেলেঠুলে ঠিকই চলে যেতাম।’ একজন খোকলা দাঁতের লোক ত ত করে তোতলালো। সঙ্গে কোঁকড়ানো চুলের লোকটি যোগ করল, ‘টেঙ্গার চরে ওরা বেশিদিন রাখছে না। কিছুদিন রাখার পর আবার নাকি নয়াপাড়া অথবা কুতুপালং ক্যাম্পে সরিয়ে নিচ্ছে। টেঙ্গার চর যে জোয়ারের সময় তিন-চার ফুট পানির তলে ডুবে যায়।’

‘বলছেন কী!’ ভ্রূ কুঁচকে উঠল মতির। যেন এক বুক আশার মধ্যে কেউ জল ঢেলে দিল।

‘হ্যাঁ, তাইই তো শুনলাম। আমাদের পাশের বাড়ির কামালরা ওখানেই আছে।’ কোঁকড়ানো চুলের লোকটি এবার গলা দঢ় করে বলল। মতি বলল, ‘এ তো পেটে না মেরে ভাতে মারা!’

‘ওই আর কি, আজ না মেরে সাতদিন পরে মারা।’

‘তাহলে এখন উপায়?’ অন্ধকারে পথ হাতড়ায় মতি।

‘আপাতত পথ বলতে গেলে তো এখন একটাই পথ বাকি।’

‘কোন পথটা বলুন তো!’ উৎসুক হয়ে উঠল মতি। মনের মধ্যে তখন এক চিলতে ঠাঁই ফিরে পাওয়ার প্রবল আকুতি উছাল মারছে। 

‘নয়াপাড়া ক্যাম্প।’ লোকটা আলগোছে বললেন। তারপর সুখের কথা শোনালেন, ‘নয়াপাড়া ক্যাম্প বড় ক্যাম্প। ওখানে বিজিবি ঢুকতে দিচ্ছে না, এখন পর্যন্ত এরকম কোনো খবর নেই।’

‘তাহলে আর দেরি কেন? চলুন একসঙ্গেই যাই।’ তড়াক করে উঠল মতি। ঘাড়ের গামছাটাকে ঝেরে কোমরে বাঁধল। লোকটাও কোমর হেলাল, ‘হ্যাঁ, চলুন, তবে লেডা বর্ডার ঘেঁষেই যেতে হবে, তানাহলে আবার মায়ানমার সেনার খপ্পরে পড়ে যেতে পারি!’

‘তো, তাইই চলুন।’ তাড়া লাগাল মতি। সে এমন করছে যেন পারলে উড়ে চলে যাবে। নদী তার কাছে আর ভালো লাগছে না। অসহ্য হয়ে উঠছে। একটুখানি মাটি দেখার জন্যে তার মন ছু ছু করছে। 

‘আপনাদের বাড়ি কোথায় ছিল?’ জানতে চায়ল নুহু।

চলবে... 

আগের পর্বগুলো পড়ুন>>>

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৫

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৪

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-৩

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-২

নেই দেশের নাগরিক: পর্ব-১

আরএ

 

আরও ৩ দিন হিট অ্যালার্ট জারি

হিট অ্যালার্ট জারি। ছবি: সংগৃহীত

দেশজুড়ে চলমান তাপমাত্রার পারদে উঠতি গতার খুব একটা হেরফের না হওয়ায় এখনও অস্বস্তি কমেনি। মাথার ওপর গনগনে সূর্যকে সঙ্গী করেই প্রচণ্ড দাবদাহে নাজেহাল পরিস্থিতি পার করছে মানুষ। যদিও কয়েকদিনের তুলনায় কিছুটা বাতাসের উপস্থিতি থাকলেও পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান এ তথ্য জানান।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক বলেন, আমরা এর আগে তিন দিনের যে হিট অ্যালার্ট জারি করেছিলাম তার মেয়াদ আজ শেষ হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) থেকে আরও তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি করা হবে। কারণ, আপাতত বড় পরিসরে বৃষ্টি হয়ে তাপপ্রবাহ দূর হওয়ার সম্ভাবনা নেই। আমরা হিট অ্যালার্ট জারি করে সরকারকে জানিয়ে দিই। সরকার সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে। সংশ্লিষ্টরা তাদের করণীয় যা সেটা করবে।

তিনি বলেন, সারাদেশের তাপমাত্রা গতকালের থেকে আজ কিছুটা বেড়েছে। চলতি এপ্রিল মাসে তাপপ্রবাহ পুরোপুরি দূর হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। আমরা দেখছি যে এটা মে মাসের ২ থেকে ৩ তারিখ পর্যন্ত চলবে। এরপর হয়তো বিভিন্ন অঞ্চলে কিছু বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। এর আগে পর্যন্ত বড় পরিসরে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। স্থানীয়ভাবে বিচ্ছিন্নভাবে কোথাও কোথাও বৃষ্টি হতে পারে।

মো. আজিজুর রহমান বলেন, আপাতত দিনের তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পার হওয়ার কোনো লক্ষণ দেখছি না। ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত তাপমাত্রা আর খুব বেশি বাড়ার সম্ভাবনা নেই।

এদিকে বুধবার সন্ধ্যা ৬টায় দেওয়া পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে এবং সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। খুলনা বিভাগসহ দিনাজপুর, নীলফামারী, রাজশাহী, পাবনা, ফরিদপুর ও গোপালগঞ্জ জেলাসমূহের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ময়মনসিংহ, মৌলভীবাজার, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও বান্দরবান জেলাসহ বরিশাল বিভাগ এবং রংপুর, রাজশাহী ও ঢাকা বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। সারাদেশে দিনের এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। বিরাজমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিবিরাজ করতে পারে।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে এবং সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। বিরাজমান তাপ প্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বিরাজ করতে পারে।

আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ের গল্প আসছে বাংলাদেশের পর্দায়

ডকুফিল্ম ‘মুচাচোস’ এর পোস্টার। ছবি: সংগৃহীত

৩৬ বছরের আক্ষেপ ঘুচিয়ে ২০২২ সালের কাতার বিশ্বকাপ জিতেছে আর্জেন্টিনা। সৌদি আরবের কাছে হেরে অঘটন দিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করেছিল আলবিসেলেস্তারা। তবে শেষমেশ লিওনেল মেসির হাতেই ওঠে বিশ্বকাপের সোনালি ট্রফি, এমন বিশ্ব আসরকে সেরা বলতে বাধ্য যে কেউ।

অবিস্মরণীয় এই বিশ্বকাপের রোমাঞ্চ নিয়ে এরইমধ্যে নির্মিত হয়েছে বেশ কিছু ডকুফিল্ম। যার মধ্যে আলোচিত একটি স্প্যানিশ ভাষায় নির্মিত ডকুফিল্ম ‘মুচাচোস’।

স্প্যানিশ পরিচালক জেসাস ব্র্যাসেরাস নির্মাণ করেছেন ১০০ মিনিটের এই ডকুফিল্ম। গত ডিসেম্বরে আর্জেন্টিনায় মুক্তি পাওয়া ‘মুচাচোস’ সেখানকার দর্শকদের মধ্যে দারুণ সাড়া তুলেছিল।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে স্টার সিনেপ্লেক্স জানিয়েছে, আগামী শুক্রবার ‘মুচাচোস’ মুক্তি পাবে এই মাল্টিপ্লেক্সের সবগুলো শাখায়।

বাংলাদেশে ডকুফিল্মটি মুক্তি নিয়ে স্টার সিনেপ্লেক্সের মিডিয়া ও মার্কেটিং বিভাগের সিনিয়র ম্যানেজার মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, “বাংলাদেশে আর্জেন্টিনার বিপুলসংখ্যক সমর্থক রয়েছে। কাতার বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার খেলা উপভোগ করেছে কোটি মানুষ। বিশ্বকাপ জয়ের পর ঢাকাসহ সারাদেশ উৎসবমুখর হয়ে উঠেছিল। বাংলাদেশের সমর্থকদের উন্মাদনা দেখে রীতিমত অবাক হয়েছেন আর্জেন্টিনার মানুষও।

“লিওনেল মেসির হাত ধরে বিশ্বকাপ জয়ের এই মুহূর্ত নিয়ে ভক্তদের উৎসাহ ফুরাবে না সহজে। এই ভক্ত-সমর্থকদের জন্যই ‘মুচাচোস’ নিয়ে এসেছি আমরা। আশা করি এই ছবি দেখাটা চমৎকার একটা ব্যাপার হবে দর্শকদের জন্য।’’

‘মুচাচোস’এ অভিনয় করেছেন জেসুস ব্র্যাসেরাস, বসসি অগাস্টিন বসি, হার্নান ক্যাসশিয়ারি, ম্যাক্সিমিলিয়ানো লাসানস্কিসহ আরও অনেকে।

শরীয়তপুরে দুপক্ষের সংঘর্ষে শতাধিক ককটেল বিস্ফোরণ, আহত ৫

হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন সংঘর্ষে আহত এক ব্যক্তি। ছবি: সংগৃহীত

শরীয়তপুরের জাজিরায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও তার প্রতিপক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত ৫ জন আহত হয়েছেন। এ সময় শতাধিক ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকাল থেকে দফায় দফায় উপজেলার বিলাসপুর ইউনিয়নের সারেংকান্দি এলাকায় এ সংঘর্ষ হয়।

আহতরা হলেন- শাহাবুদ্দিন সারেং (৩০), মো. আরশাদুল (১১), সৈকত সরদার (১৯), হাজেরা বেগম (৭৫) ও আকাশ হাওলাদার (২৮)।

পুলিশ ও স্থানীয় সুত্র জানায়, জাজিরা উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও বিলাসপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুস বেপারী এবং তার নির্বাচনি প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা আব্দুল জলিল মাদবরের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিনের। এই নিয়ে বেশ কয়েকবার দুপক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। গত ২৭ মার্চ দুপক্ষের সংঘর্ষে বোমার আঘাতে সজীব মুন্সী নামের এক যুবক গুরুতর আহত হন। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

সেই ঘটনার সূত্র ধরে আজ আবারও দুপক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়ায়। সকাল থেকে দফায় দফায় সংঘর্ষ চলে। এসময় তারা সারেংকান্দি এলাকায় ফসলি জমিতে নেমে একে–অপরকে লক্ষ্য করে হাতবোমা (ককটেল) ছুঁড়তে থাকে। ককটেলের মুহুর্মুহু শব্দে ভারী হয়ে উঠে আশপাশ। এই ঘটনায় শাহাবুদ্দিন, আরশাদুল, সৈকত, আকাশ ও হাজেরা নামে ৫ জন গুরুতর আহত হয়। পরে তাঁদের উদ্ধার করে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এরমধ্যে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য শাহাবুদ্দিন, আরশাদুল, সৈকত ও আকাশকে ঢাকায় পাঠান। এছাড়া দুপক্ষের বেশকিছু বাড়িঘর ভাংচুর করা হয়। বর্তমানে এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এলাকায় পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

সাবেক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আব্দুল জলিল মাদবর অভিযোগ করে বলেন, ‘কুদ্দুস বেপারীর লোকজন গতকাল মঙ্গলবার আমাকে উদ্দেশ্য করে ফেসবুকে স্টাটাস দিয়ে বলেন, ‘‘বাবার জন্মে হয়ে থাকলে সবার সামনে গিয়ে মারামারি করিস। পোলাপান সামনে দিয়ে মারামারি করিস না। আগামীকাল সকালে শুরু হবে।’’ এ বিষয়ে আমি পুলিশকে জানিয়েছি। পরে আজ কুদ্দুস বেপারীর লোকজন আমার লোকজনের বাড়িঘর ভাংচুর করে ও আমাদের লোকজনের ওপর হামলা চালায়।’

তবে আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল কুদ্দুস বেপারী বলেন, ‘জলিল মাদবর মারামারি করার জন্য কয়েক গ্রাম থেকে লোকজন এনে আমার লোকজনের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে। পরে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে আমার একজন লোক মুমূর্ষু অবস্থায় আছে।’

এ বিষয়ে জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান বলেন, কয়েক বছর যাবত বিলাসপুর ইউনিয়নে দুইটি গ্রুপের মধ্যে দ্বন্দ্ব, হামলা-মামলা চলছে। তারই জেরে আজ দুই পক্ষ সংঘর্ষে জরায়। আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে সংঘর্ষ থামাতে চেষ্টা করি। কিন্তু আমরা পৌঁছানোর আগেই দুপক্ষের অন্তত চারজন লোক আহত হয়। তারা বেশ কিছু ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় ও বাড়িঘর ভাংচুর করেছে। যারা এসব ঘটিয়েছে তাদের আটকের চেষ্টা চলছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সর্বশেষ সংবাদ

আরও ৩ দিন হিট অ্যালার্ট জারি
আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ের গল্প আসছে বাংলাদেশের পর্দায়
শরীয়তপুরে দুপক্ষের সংঘর্ষে শতাধিক ককটেল বিস্ফোরণ, আহত ৫
মুক্তি পেল ইমতু রাতিশ ও অলংকার এর 'বরিশাইল্লা সং'
জরুরি সাংগঠনিক নির্দেশনা দিলো ছাত্রলীগ
সাহিত্য চর্চার আড়ালে শিশু পর্নোগ্রাফি বানাতেন টিপু কিবরিয়া
সাজেকে শ্রমিকবাহী ট্রাক খাদে পড়ে নিহত ৬
ধাওয়া খেয়ে গরু ও গাড়ি রেখে পালালো চোর, গাড়িতে আগুন দিল জনতা
আর্জেন্টাইন ফুটবলার কার্লোস তেভেজ হাসপাতালে ভর্তি
সাংবাদিকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে এফডিসিতে মানববন্ধন
রাজবাড়ীতে হিটস্ট্রোকে স্কু‌লশিক্ষকের মৃত্যু
প্রসূতির পেটে গজ ও ফুল রেখে সেলাইয়ের অভিযোগ, তদন্ত কমিটি গঠন
তাপদাহ কমে গেলে লোডশেডিং থাকবে না: বিদ্যুৎ সচিব
ইন্টারনেট ছাড়াই হোয়াটসঅ্যাপে ছবি-ভিডিও পাঠাবেন যেভাবে
ইতিহাস গড়লেন বাংলাদেশি নারী বক্সার জিন্নাত ফেরদৌস
নিজে না মেরেও সাংবাদিকদের কাছে ক্ষমা চাইলেন রিয়াজ
নারী কর্মীদের বোরকা ও নেকাব পরা নিষিদ্ধ করল চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল
ব্যাংককে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা
কালশী উড়ালসেতুর নাম বদলে হলো শেখ তামিম মহাসড়ক
ক্যান্সারে না ফেরার দেশে পেপার রাইম ব্যান্ডের সাদ