সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৬

কায়রো শহর দেরিতে ঘুমায় দেরিতে জাগে। এই প্রচলিত ধারণাকে অগ্রাহ্য করে পাঁচটায় আসার কথা থাকলেও করিৎকর্মা  বাসাম তার লাল গাড়িটা নিয়ে সাড়ে চারটায় হাজির! ঘুম থেকে উঠে গেছি আগেই। আসোয়ান যাবার ফ্লাইট সকাল সাড়ে সাতটায়। সে হিসাবে ঘণ্টাখানেক আগে এয়ারপোর্টে পৌঁছালেই চলে। রাতেই সব গোছানো ছিল, গাড়ি চলে আসায় একটু তাড়াতাড়িই বেরিয়ে গেলাম। রাস্তায় দুচারটা যানবাহন দেখা গেলেও কোথাও কোনো মানুষের চলাচল নেই। সারি সারি সড়ক বাতি জ্বলছে রাস্তার দুপাশে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের আলোকোজ্জ্বল বড় বড় ভবনের দেয়ালে প্রবেশপথে এবং জ্বলতে থাকা রঙিন নিয়ন সাইনে বেশিরভাগ আরবি থাকলেও মাঝে মাঝে ইংরেজি উঁকি দিয়ে যায়। হাতের বাঁ দিকে লাল আলোয় সাজানো সিটাডেল মসজিদ পার হয়ে আমরা এগিয়ে যাই।

ঈজিপ্ট এয়ারের ফ্লাইট আকাশে উড়াল দিল যথাসময়ে। আসোয়ান পৌঁছাবে সকাল নয়টায়। সকালে নাস্তা না করেই বেরিয়েছি। অভ্যন্তরীন ফ্লাইট ঈজিপ্ট এয়ার তো বাজেট এয়ার নয়, অতএব দেড় ঘণ্টার আকাশ যাত্রায় ব্রেকফাস্ট পাওয়া যাবে, সে ব্যাপারে প্রায় নিশ্চিত ছিলাম। বোর্ডিং-এর পরপরই বিভিন্ন নিরাপত্তা সম্পর্কিত  ঘোষণার সাথে সাথে অ্যারাবিশ ইংরেজিতে রিফ্রেশমেন্টেরও একটা ঘোষণাও শুনেছিলাম। কিন্তু সিটবেল্ট বাধা থেকে শুরু করে টেক-অফের পরে তেত্রিশ হাজার ফুট উপরে থিতু হবার পরেও দানাপানি যোগান দেয়ার কোনো লক্ষণ দেখা যায় না। মিনিট চল্লিশেক পরে ট্রলিসহ কেবিনক্রুদের নড়াচড়া দেখে একটু ভরসা পেলাম। কিন্তু শেষ পর্যন্ত হা হোতস্মি! হাতে হাতে একটা করে পাঁচশ মিলি লিটারের নির্ভেজাল বোতল ধরিয়ে দিয়ে আসোয়ানে ল্যান্ড করার ঘোষণা দেবার আগে পর্যন্ত তাদের আর কোনো হদিস পাওয়া গেল না। বুঝলাম, যাত্রাটা যাতে একেবারে নির্জলা উপবাস না হয়, সেজন্যেই এই বোতলজাত পানির ব্য্রবস্থা। 

আসোয়ানের ছোট্ট এয়াপোর্টে লাগেজ নিজে বেরিয়ে যেতে বেশি সময় লাগেনি। সফর পরিকল্পনা অনুসারে আমাদের জানা ছিলএয়ারপোর্টের বাইরে আমাদের জন্য অপেক্ষা করবে ইয়াসির। নামফলক নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা ‘তরুণ ইয়াসির’ আমাদের দুজনের লাগেজ অবলীলায় দুহাতে তুলে নিয়ে এবং গাড়িতে তুলে দিয়ে বিদায় নিল। গাড়ি চলতে শুরু করলে একই সাথে বাজতে শুরু করলো আরবি গান।  ড্রাইভারকে জিজ্ঞেস করে জানলাম যে ছেলেটি আমাদের গাড়িতে তুলে দিয়েছে তার নাম ইয়াসির নয়। বুঝলাম চালক নিজেই ইয়াসির এবং সে সম্ভবত ভ্রমণ তরী ‘টুইয়া’র প্রতিনিধি!তবে তখনও অনেক কিছুই জানা বাকি ছিল।ড্রাইভারকে পথের দূরত্ব বা নদীর ঘাটে পৌঁছাতে কতক্ষণ লাগতে পারে ইংরেজিতে ইত্যাদি  নানা প্রশ্ন করেও রানা ভাই কোনো সঠিক উত্তর বের করতে পারলেন না। তবে পথের ডান পাশে আসোয়ান বিশ্ববিদ্যালয় এবং বেশ কয়েকটি পাথরের তৈরি মনুমেন্ট ও বিমূর্ত ভাস্কর্য ইত্যাদি পেছনে ফেলে আধাঘণ্টারও কম সময়ে আমরা শহরে ঢুকে গেলাম। বাঁ পাশে তখন কিছুটা দূরে নীল নদ সাথে সাথেই চলছে। মিনিট কুড়ি পঁচিশ পরে সীমানা দেয়াল দিয়ে ঘেরা নীল নদেরঘাটেআমাদের নামিয়ে অন্য আরেকজনের হাতে তুলে দিয়ে গাড়িচালক চলে গেলে লম্বামতো  লোকটি এসে নিজের পরিচয় দিয়ে ইংরেজিতে বলেন, ‘আই এ্যাম ইয়াসির! ইয়োর ট্যুর ম্যানেজার।’ 


যাক  এতোক্ষণে তাহলে আসল ইয়াসিরকে পাওয়া গেল। আমার মনে হলো স্বয়ং ইয়াসির আরাফাতও তাঁর জীবদ্দশায়  এতোগুলো ডামি ব্যবহার করেননি। যাই হোক, এই নতুন ইয়াসির ট্যুর ম্যানেজার হলেও তার সাথে আমাদের ভ্রমণ তরীর কোনো সম্পর্ক নেই। তিনি ঘাট থেকে নৌযান পর্যন্ত বিছানো পাটাতনের উপর দিয়ে ট্যুইয়ার লবিতে নিয়ে এলেন। একপাশে অসংখ্য ব্যাগ বাক্স স্যুটকেস স্তূপ করে রাখা। আমরা ঠিক বুঝতে পারছিলাম না, এই বিপুল সংখ্যক লাগেজ কী চেক-ইনের প্রতীক্ষায়, না চেক আউট হয়ে গেছে এখন শুধু নিষ্ক্রান্ত হবার অপেক্ষায়! আমরা বাঁ দিকের লাউঞ্জে ঢুকে গেলাম। সেখানে নরম কার্পেটে ঢাকাবিস্তৃত লাউঞ্জে বড় বড় গোল টেবিল ঘিরে চেয়ার পাতা। একপাশের দেয়াল জোড়া  কাচের জানালার পাশে বসে বাইরে তাকাতেই রোদ ঝলমলে একটা সকাল চোখের সামনে বিস্ময় ছড়িয়ে দেয়। আহ! এই সেই নীল নদ!


আমি অবাক হয়ে দেখি নিস্তরঙ্গ নীল নদের নীল জলে ভেসে যাচ্ছে পাল তোলা জলযান ফেলুকা। আরবিতে আন-নীল বাংলা ভাষায় কেমন করে নীল হয়ে গেল জানি না, কিন্তুএর চেয়ে অর্থবহ নাম এ নদীর জন্যে আর কিছুই হতে পারে না। ‘নাইল’ শব্দের অর্থ কোথাও ঔজ্জ্বল্য, কোথাও আলো আবার কোথাও শুধুই নদী কিন্তু নীল নয়। অথচ সামনে প্রবহমান নদী, ওপারে ঘন সবুজ গাছপালা এবং তারও ওপারে ধূসর পাহাড়ের ওপরও মনে হয় ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে খানিকটা নীল রঙ। একটু লক্ষ করলে দেখা যায় নৌকাগুলো নীল জলে সাদা পাল তুলে জল কেটে এগিয়ে গেলেও আসলে সবই ইঞ্জিনবোট। তাহলেও যান্ত্রিক নৌকায় সাদা পাল টাঙিয়ে যে নান্দনিক দৃশ্য তৈরি হয়েছেআমরা অনেকটা সময় বাইরে তাকিয়ে সেই ভাসমান জলযানগুলোরচলাচল দেখতে থাকি। 

সাড়ে দশটা বেজে গেছে, আমরা তখনও নাস্তা করিনি, ভুলেই গিয়েছিলাম। সাক্ষাৎ ইয়াসিরকে ডেকে নাস্তার ব্যবস্থা করতে বললাম। জাহাজের অতিথিরা ব্রেকফাস্ট করে পশ্চিম তীর ভ্রমণে বেরিয়ে গেছেন। আমাদের চেক-ইন শুরু হবার কথা দুপুর বারোটায়, অতএব ‘অন-বোর্ড’ সার্ভিসও শুরু হবে লাঞ্চ থেকে। তারপরেও লাউঞ্জের শেষ প্রান্তের কফিশপ থেকে স্যান্ডউইচ এবং কফি তৈরি হয়ে এলো। স্যান্ডউইচের আকার আকৃতি এবং পরিবেশিত খাবারের পরিমান দেখে আমাদের চক্ষু চড়ক গাছ। তিনজনের ব্রেকফাস্ট দিব্যি আমাদের মতো নয় জনকে খাইয়ে দেয়া যায়! এইবেলা মূল্য পরিশোধ করেই খেতে হবে,কিন্তুসাথে পাঠানো বিলটা দেখে আমরা আবারো বিভ্রান্ত! মাত্র সাড়ে সাত পাউন্ড? আমরা কি বাদশাহ ফারুকের জামানায় ফিরে গেছি! দশমিকের একটা বিন্দুর কারণে যা সাড়ে সাত পাউন্ড ভেবেছিলাম তা আসলে পঁচাত্তর পাউন্ড। টাকার হিসাবে প্রত্যেকের জন্য চারশ চল্লিশ টাকাও একটি ভ্রমণ তরীতে দেয়া ব্রেকফাস্টের জন্যে খুব বেশি বলে মনে হলো না। ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই ফ্রন্টডেস্ক পাসপোর্টের ফটোকপি করে নিয়ে সম্ভবত আমাদের পরিচিতি নিশ্চিত হয়েই ঘরের চাবি হাতে তুলে দিল। কার্পেট বিছানো প্যাঁচানো সিঁড়ি বেয়ে তিন তলায় উঠে নিজেদের ঘরে পৌঁছে প্রথমেই বিছানায় পড়ে একটু ঘুমিয়ে নেবার ইচ্ছে ছিল। কিন্তু জানালার ভারি পর্দা সরিয়ে দিতেই আবার চোখে পড়ে পৃথিবীর দীর্ঘতম নদী নীলের নীল পানিতে নৌকা বিহারের অসাধারণ সুন্দর দৃশ্য।   


সেই শৈশব থেকে শুনে আসছি মিশর নীল নদের দান। তবে শুধু মিশর নয় উগান্ডা, সুদান এবং ইথিওপিয়ার জনজীবনের জন্যেও গুরুত্বপূর্ণ এই বহমান নদী। উগান্ডার লেক ভিক্টোরিয়া থেকে ‘হোয়াইট নাইল’ সুদানের খার্তুমের কাছাকাছি ইথিওপিয়ার ‘ব্লু-নাইল’ এর সাথে একত্রিত হয়ে নাইল নামে মিশরে উপর দিয়ে বয়ে যাবার পথে দু পাশের গাছপালা এবং সবুজ ক্ষেত খামারের সকল বৃক্ষলতায় জলের যোগান দিয়ে যাচ্ছে এই নদী। নীলের তীর থেকে দূরের সারাটা দেশই ঊসর মরুভূমি।আলেক্সান্দ্রিয়ার কাছে ভূমধ্য সাগরে মিশে যাবার আগে পর্যন্ত নীলের দুপাশেই গড়ে উঠেছে আসোয়ান, এসনা, এডফু, লাক্সর, কোমওম্বো এবং কায়রোসহ সকল ছোটবড় শহর। দূর অতীতে পিরামিড এবং প্রত্মতাত্তি¡ক গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোও গড়ে উঠেছে নাইলের আশে পাশেই। 

লাঞ্চের কিছু পরেই আমাদের তৈরি থাকতে বলে ইয়াসির তার দায়িত্ব শেষ করে বিদায় নিয়েছে। এবারে গাইডের দায়িত্বে মোহামেদ নামে যাকে পাওয়া গেল  সে যে আসলেই ট্যুর গাইড তা তার আচার আচরণে বোঝার উপায় নেই। মুন্ডিত  মস্তক ল্যাকপ্যাকা লোকটিকে আমি প্রথমে মাইক্রোবাসের হেল্পার মনে করেছিলাম।তার ইংরেজি ভাষা জ্ঞান নিয়ে আমার কোনো প্রশ্ন নেই, বিদেশি ভাষায় সবার কাছে থেকে বিশুদ্ধ উচ্চারণ কেউ আশাও করে না। মাইক্রোবাসে মাত্র সাতজন যাত্রী। আমাদের তিনজনকে বাদ দিলে বাকি চারজনই আরবি ভাষাভাষি। সেদিক থেকে মোহামেদের সুবিধাই হয়েছিল। আমাদের জন্যে তেমন কিছু ব্যাখ্যা করতে হয়নি বলে দুবাই আবুধাবির ভ্রাতা ভগ্নিদের আরবি ভাষায় ইতিহাস ভূগোলের পাঠ দান করে সে বেশ স্ফূর্তিতেই ছিল।


আমাদের গন্তব্য আসোয়ান হাইড্যাম।আসোয়ানের প্রথম বাঁধ তৈরি হয়েছিল ১৯০২ সালে। অনেকটা সেই বাঁধের সাফল্য থেকে উৎসাহিত হয়েই  ১৯৫২ সালে বিপ্লব পরবর্তী গামাল আবদুল নাসের সরকারের একটা প্রধান লক্ষ ছিল এই বাঁধ নির্মাণ। চাষাবাদের জন্য পানি ধরে রাখা, বন্যা নিয়ন্ত্রণ এবং জল-বিদ্যুৎ উৎপাদন করে মিশরের সামগ্রিক অর্থনীতির উন্নয়নের জন্যই বাঁধ তৈরি করে নীল নদের পানির সবচেয়ে বেশি এবং সবচেয়ে ভালো ব্যবহার নিশ্চিত করা অপরিহার্য হয়ে পড়েছিল। নাসেরের মিশরের সাথে সোভিয়েত ইউনিয়নের শক্ত গাঁটছড়া বাধার এই সময়টা ছিল মিশরের সামগ্রিক অগ্রগতির কাল। আসোয়ান বাঁধ নির্মাণের এক পর্যায়ে নীল নদের জলপ্রবাহ ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার আনুষ্ঠানিকতার সময় আবদুল নাসেরের উপস্থিতিতে সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট নিকিতা ক্রুশ্চেভ নাকি বলেছিলেন আসোয়ান বাঁধ হচ্ছে পৃথিবীর অষ্টম আশ্চর্য! 

পিরামিড এবং আলেক্সান্দ্রিয়ার বাতিঘরের মতো দুটি আশ্চর্যের দেশে আরেকটি আশ্চর্য স্থাপনা দেখতে আমরা আসোয়ান হাইড্যাম এলাকায় এসে নামলাম। মূল বাঁধ এলাকায় প্রবেশের আগে বিশাল অক্ষরে লেখা ‘ওয়েলকাম’। তবে এই একটি শব্দ ছাড়া বাদবাকি সকল তথ্য এবং নির্দেশনা আরবিতে লেখা। আমরা নিরাপত্তা চৌকি, ওয়াচ-টাওয়ার এবং দীর্ঘ সুদৃশ্য দেয়াল পার হয়ে হাইড্যামের কৌশলগত এলাকায় ঢুকে পড়ি। আমাদের গাইড আরবিতে যা ব্যাখ্যা করছিলেন তা বোঝার সাধ্য না থাকলেও বার দুয়েক  ‘সোভিয়েত রাশিয়া’  বঙ্গ সন্তানের কানে আসে। বুঝলাম হয় বাঁধ নির্মাণে সোভিয়েত ইউনিয়নের ভূমিকার কথা বলা হচ্ছে অথবা রাশিয়া এদেশের কী ক্ষতি করে গেছে তার ধারাবিবরণী চলছে।


বাঁধের এলাকাটা একটা উদ্যানের মতো করে সবুজ ঘাস, গাছপালা এবং রঙিন ফুলের ছোট ছোট ঝোপঝাড় দিয়ে সাজিয়ে গুছিয়ে রাখা হয়েছে। উপর দিয়ে চলে গেছে রাস্তা, মাঝখানের সড়ক দ্বীপে যাত্রী ছাউনি ছাড়াওকয়েকটি প্রায় পত্রপুষ্পহীন গাছ এবংএক প্রান্তে একটি ছোট্ট ক্যান্টিন। অনেকগুলো ট্যুরিস্টবাস একদিকে দাঁড়ানো। বাঁধের উপর দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে একটা সাইন বোর্ডে আরবির সাথে ইংরেজিতে নিষেধাজ্ঞা ‘ছবি তোলা নিষেধ!’ নিষেধাজ্ঞা চোখে পড়ার আগেই বেশ কিছু ছবি তোলা হয়ে গেছে। এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করার জন্যে ধারে কাছে কাউকে দেখা না গেলেও নিজের নিরাপত্তার স্বার্থেই ক্যামেরায় লেন্সক্যাপ লাগিয়ে ফেললাম। বাঁধের উপরে দাঁড়ালে যতোদূর দেখা যায় একদিকে পাহাড়ে ঘেরা বিস্তৃত এলাকায় আটকে রাখা হয়েছে নীল জল। অপর পারের পানির রঙ কিছুটা হালকা। রানা ভাই অবশ্য বলছিলেন, ‘আসোয়ান হাই ড্যাম উন্নয়নের ক্ষেত্রে অবদান যা রেখেছে তার তুলনায় ক্ষতিও কম করেনি। এরপরে যদি ইথিওপিয়া উজানে তাদের হাইড্যাম তৈরি করে তাহলে ক্ষতির পরিমান আরো বাড়বে।’


আমি বাঁধের প্রকৌশলগত বিষয়ে একেবারেই অজ্ঞ। শুধু জানি প্রথম আসোয়ান বাঁধের কারণে ফাইলির প্রত্মতাত্তিক নিদর্শন প্রায় ডুবতে বসেছিল, তখন মূল টেম্পল কমপ্লেক্সটি বর্তমানের ছোট্ট দ্বীপভূমি আগিলকিয়াতে সরিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে। দ্বিতীয়বার পূর্বের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে আসোয়ান হাইড্যাম নির্মাণের সময় দ্বিতীয় রামেসেস আমলের দুটি প্রকাণ্ড প্রস্তর মন্দির সম্পূর্ণ তুলে এনে নতুন করে বসানো  হয়েছে লেক নাসেরের পশ্চিম তীরে আবু সিম্বেল গ্রামে। আবু সিম্বেলে না গেলে মিশর ভ্রমণ অস্পূর্ণ থেকে যাবে। পরদিন ভোরে ত্রয়োদশ শতকের এই অভাবিত নির্মাণ এবং তার পুনস্থাপনের কীর্তি দেখতে যাবার কথা আছে। তবে তার আগে যেতে হবে ফাইলি। আসলে আসোয়ান হাইড্যামের উপরে দাঁড়িয়ে বেশি কিছু দেখার নেই। আমরা গাড়িতে উঠে বসলাম আগিলকিয়াদ্বীপের উদ্দেশ্যে। 

 


চলবে...

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৫

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৪

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৩

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ২

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১

Header Ad

হিটস্ট্রোকে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর মৃত্যু, নির্বাচনের নতুন তারিখ ঘোষণা

ছবি: সংগৃহীত

টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলা পরিষদের বর্তমান মহিলা ভাই চেয়ারম্যান ও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ম‌রিয়ম আখতার মুক্তা হিটস্ট্রোকে মৃত্যু বরণ করায় নির্বাচন স্থ‌গিত ক‌রে‌ছে নির্বাচন ক‌মিশন। এই উপজেলায় ৪র্থ ধাপে আগামী ৫ জুন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

রবিবার (২৮ এপ্রিল) নির্বাচন কমিশনের উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান স্বাক্ষ‌রিত চি‌ঠি‌তে উপজেলা পরিষদের সকল পদের নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করা হয়।

চি‌ঠি‌তে বলা হ‌য়ে‌ছে, ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদের ১ম ধাপে আগামী ৮ মে গোপালপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণের কথা ছিল। তার আগেই মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বৈধ প্রার্থীর মৃত্যু হওয়ায় সকল পদের নির্বাচন স্থগিত করে পুনঃতফসিল ঘোষণার মাধ্যমে ৪র্থ ধাপে ০৫ জুন ভোটগ্রহণ সম্পন্ন করার জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত প্রদান করেছেন।

এছাড়া মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ইতোপূর্বে যারা মনোনয়নপত্র দাখিল করে ছিলেন তাদের নতুন করে মনোনয়ন দাখিলের প্রয়োজন হবে না এবং পূর্বে মনোনয়নপত্র দাখিলকারীদের প্রত্যাহারের সুযোগ দেয়া যাবে।

গোপালপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে পূর্বের মনোনয়ন বহাল থাকবে, উক্ত পদে বিদ্যমান প্রার্থীদের মধ্যেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। অর্থাৎ শুধুমাত্র মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নতুনভাবে মনোনয়নপত্র দাখিল করা যাবে।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গোপালপুর উপ‌জেলা প‌রিষ‌দের বর্তমান ম‌হিলা ভাইস চেয়ারম‌্যান ম‌রিয়ম আখতার মুক্তা এবারও প্রার্থী হ‌ন। সম্প্রতি তি‌নি ময়মন‌সিংহে আত্মীয়ের বা‌ড়ি‌তে বেড়া‌তে গি‌য়ে‌ছি‌লেন।

গত শুক্রবার ২৬ এপ্রিল সেখানেই অসুস্থ হ‌য়ে পড়‌লে দ্রুত তা‌কে ময়মন‌সিংহ মে‌ডি‌কেল ক‌লেজ হাসপাতা‌লে ভ‌র্তি করা হলে সেখা‌নেই চি‌কিৎসাধীন অবস্থায় তি‌নি মৃত্যুবরণ ক‌রেন।

তি‌নি আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর এবং সাবেক সংসদ সদস্য হাতেম আলী তালুকদারের নাতনী।

এ বিষয়ে উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম‌্যান প্রার্থী ম‌রিয়ম আখতার মুক্তার স্বামী আরিফ হাসান ব‌লেন, প্রচন্ড তাপদাহের কা‌র‌ণে মরিয়ম হিট‌স্ট্রোকে মারা গে‌ছেন। এ কারণে নির্বাচন স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন।

উপ‌জেলা নির্বাচন কার্যালয় সূ‌ত্রে জানা গে‌ছে, গোপালপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৫ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জনের মনোনয়ন পত্র বৈধ ঘোষণা করে জেলা রিটার্নিং অফিসার। এদের মধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন ভাইস চেয়ারম্যান পদে একমাত্র প্রার্থী মারুফ হাসান জামী।

এই উপ‌জেলায় মোট ভোটার সংখ‌্যা ২ লাখ ২৮ হাজার ৭১ ভোট। এরম‌ধ্যে পুরুষ ভোটার সংখ‌্যা ১ লাখ ১৪ হাজার ৬৬‌ জন এবং ম‌হিলা ভোটার সংখ‌্যা ১ লাখ ১৪ হাজার ৪জন।

ডাক্তার পাত্রীকে বিয়ে করছেন শাকিব খান !

ছবি: সংগৃহীত

দেশের শীর্ষ নায়ক শাকিব খান। কখনো অপু বিশ্বাস, কখনো বা শবনম বুবলী- শাকিবকে নিয়ে যেন আলোচনার শেষ নেই। দুজনই শাকিবের কাছে এখন প্রাক্তন। শোনা যাচ্ছে আবারও বিয়ে করতে চলেছেন শাকিব খান। দেশের গণমাধ্যমের বিভিন্ন প্রতিবেদনে উঠে আসছে এই খবর।

শাকিবকে কেন্দ্র করে অপু ও বুবলী প্রায়ই বিবাদে জড়াচ্ছেন। যা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন মিডিয়ায় বেশ আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিচ্ছে। তাদের এমন কাণ্ডে বিরক্ত শাকিব খান ও তাঁর পরিবার। এমন পরিস্থিতিতে দ্রুতই এই নায়ককে আবারও বিয়ে দিতে চায় পরিবার।

ইতোমধ্যে শাকিবের মতামত নিয়ে তার মা, বাবা, বোন, বোনজামাই সবাই মিলে পাত্রী দেখা শুরু করেছেন বলে জানা যাচ্ছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে শাকিবের পারিবারিক একটি সূত্র খবরটি জানিয়েছে। তাঁর মতে, শাকিবের জীবনে তারা (অপু বিশ্বাস ও বুবলী) সাবেক হওয়া সত্ত্বেও প্রায়ই বিভিন্ন গণমাধ্যমে নানা ধরনের মন্তব্য করে থাকেন। এতে শাকিব খান যেমন বিব্রত হন, তেমনি তার পরিবারকে অস্বস্তিতে পড়তে হয়। এ কারণে শাকিবের পরিবার তাকে বিয়ে দিচ্ছে।

সেই মোতাবেক তার জন্য পাত্রী দেখা শুরু হয়েছে। পরিবারের এমন সিদ্ধান্তে শাকিবের পূর্ণ সম্মতি রয়েছে।

জানা যাচ্ছে, ব্যক্তিগত জীবনে কোনো সম্পর্ক না থাকার পরও বুবলী শাকিবের ব্যক্তিগত জীবন জড়িয়ে বিভিন্ন কথা বলেন, যা মিথ্যাচার। এতে বিরক্ত হয়ে তাকে কড়াকড়িভাবে বাসায় আসতেও বারণ করেছেন শাকিব ও তার পরিবার। যেহেতু অপু-বুবলী দুজনেই অতীত, এ কারণে শাকিবের পরিবার তাকে নতুন করে বিয়ে দিতে যাচ্ছে চলতি বছরই। সূত্রে এটিও জানা গেছে, শাকিব নাকি পরিবারেই ইচ্ছেমতোই বিয়ে করতে চান। কারণ, আগে দুইবার নিজের পছন্দে বিয়ে করে জটিলতার মধ্যে পড়েছিলেন, আর সে ভুল করতে চান না তিনি।

এদিকে ঢাকার পার্শ্ববর্তী জেলার একটি মেয়ে শাকিবের বউ হিসেবে পছন্দের ফিসফাস শোনা যাচ্ছে। মেয়েটি নাকি যুক্তরাজ্য থেকে চিকিৎসা বিষয়ে লেখাপড়া করে দেশে ফিরেছেন। শাকিবের ডাক্তার মেয়ে পছন্দ। অনেক বছর আগে ডাক্তার মেয়ে বউ হিসেবে পছন্দের কথা গণমাধ্যমের সামনেও বলেছিলেন শাকিব। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে চলতি বছরের শেষের দিকেই বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চান ঢাকাই ছবির এই নায়ক। যদিও এসব তথ্য এখন পর্যন্ত শুধই গুঞ্জন হিসেবেই ভেসে বেড়াচ্ছে। এ বিষয়ে মুখ খোলেননি দেশের শীর্ষ নায়ক শাকিব খান।

 

পদত্যাগ করলেন থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত

পদত্যাগের ঘোষণা দিলেন থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পার্নপ্রি বাহিদ্ধা-নুকারা। রোববার দেশটির স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে পার্নপ্রির পদত্যাগের তথ্য জানানো হয়েছে।

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স স্বতন্ত্রভাবে থাই গণমাধ্যমের প্রতিবেদনের বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারেনি বলে জানিয়েছে। তবে দেশটির সরকারের একজন মুখপাত্র রয়টার্সকে বলেছেন, তিনি বিষয়টি খোঁজ-খবর নিয়ে দেখবেন।

থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিন নেতৃত্বাধীন নতুন মন্ত্রিসভার অনুমোদন দিয়েছে থাইল্যান্ডের রাজা। রোববার সরকারি রাজকীয় গেজেটে প্রকাশিত মন্ত্রিসভার তালিকায় দেখা যায়, পার্নপ্রি কেবল পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়েছেন।

এর আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পাশাপাশি দেশটির উপ-প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেছিলেন তিনি। মন্ত্রিসভায় রদবদল এনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী পার্নপ্রি বাহিদ্ধা-নুকারাকে উপ-প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

এই গেজেট প্রকাশিত হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেছেন তিনি।

সর্বশেষ সংবাদ

হিটস্ট্রোকে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর মৃত্যু, নির্বাচনের নতুন তারিখ ঘোষণা
ডাক্তার পাত্রীকে বিয়ে করছেন শাকিব খান !
পদত্যাগ করলেন থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
গুদামে মিলল পুলিশের রেশনের ৩০০ বস্তা চাল, ব্যবসায়ীকে লাখ টাকা জরিমানা
নওগাঁয় মাদক মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন
ইরাকে সমকামিতায় জড়ালেই ১৫ বছরের জেল
আবারও বিএসইসির চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ পেলেন শিবলী রুবাইয়াত
কোরবানির জন্য গরু আমদানি করবে না সরকার
আবু ধাবিতে উদ্বোধন হচ্ছে ৩৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত গির্জা
পাপ লুকাতে বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সরকার : রিজভী
রিকশাচালকদের মাঝে ডিএনসিসির ৩৩ হাজার ছাতা বিতরণ
নির্বাচনী গণসংযোগে গিয়ে হিটস্ট্রোকে আ.লীগ নেতার মৃত্যু
মালয়েশিয়ায় ১৩২ বাংলাদেশি গ্রেপ্তার
বাংলাদেশসহ ৬ দেশে পেঁয়াজ রপ্তানি করবে ভারত
এমভি আবদুল্লাহসহ ২৩ নাবিকের দেশে ফেরা নিয়ে নতুন তথ্য
নিউইয়র্কে বন্দুকধারীর গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত
ইরাকের টিকটক তারকাকে গুলি করে হত্যা
তীব্র গরমে আবারও দুঃসংবাদ দিলো আবহাওয়া অফিস
এসএসসির ফল প্রকাশের সম্ভাব্য তারিখ জানাল বোর্ড
গোবিন্দগঞ্জে চোরাবালিতে আটকে পড়া কিশোরকে উদ্ধার