শনিবার, ৪ মে ২০২৪ | ২০ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৭

আসোয়ান হাই ড্যাম থেকে আগলিকা দ্বীপের দূরত্ব পঁচিশ কিলোমিটারের মতো। পথে মোহামেদ তার মিশ্র আরবি-ইংরেজি ধারা বিবরণীতে ফিলাইয়ের আদি-অন্ত ব্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করছিল। অতীতকালে নীল নদে বড় ধরনের বন্যার সময় ফিলাই দ্বীপে প্রেমের দেবতা আইসিসের মন্দিরটি এমনিতেই মাঝে মাঝে জলমগ্ন হয়ে পড়তো। ষাটের দশকে আসোয়ানের নতুন বাঁধ নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হলে দ্বীপটি পুরোপুরি প্লাবিত হয়ে ফিলাইয়ের মন্দির চিরদিনের জন্য জলের তলায় চলে যাবার আশঙ্কা দেখা দিয়েছিল।

এ পর্যন্ত শুনে আমার মনে হলো, ভাগ্যিস ষাট দশকে মিশরের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানের সরকার মন্দির ডুবিয়ে দেয়াকে ইসলামের বিজয় মনে করে হাইড্যামের স্লুইসগেট খুলে দেয়নি। বরং ইওনেস্কোর সহযোগিতায় মন্দির কমপ্লেক্সের আসল রূপ এবং বিন্যাস অনুসরণ করে আগের অবস্থান থেকে ফিলাই টেম্পল নতুন দ্বীপটিতে সরিয়ে এনেছে। এই পুনর্বিন্যাসের ক্ষেত্রে সকল জ্যামিতিক মাপজোক, পিলার ও প্রাচীর, অভ্যন্তরের দেয়ালচিত্র এবং শিলালিপিসহ সকল স্থাপনা এতটা যত্নের সাথে নিখুঁতভাবে সংরক্ষণ করা হয়েছে যে আগে থেকে জানা না থাকলে স্থানান্তরের বিষয়টি কারো পক্ষেই বুঝতে পারা সম্ভব নয়।

আমরা যখন ফিলাই টেম্পল এনকোরেজে এসে পাহাড়ের গায়ে পার্কিং এলাকায় গাড়ি থেকে নামলাম তখন সূর্য কিছুটা পশ্চিম আকাশে আকাশে হেলে পড়েছে। দুপুরের রোদের কড়া তাপ আর নেই। দ্বীপে পৌঁছাতে হলে প্রবেশপথে যথারীতি পারের কড়ি পরিশোধ করেই নৌযানে উঠতে হবে। খুব দ্রুত মোহামেদের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হলে মেটাল ডিটেকটরের ছাঁকনি পেরিয়ে ভেতরে ঢুকে পড়লাম। ঘাটের পাথর বাধানো পথে এগিয়ে যাবার সময় দেখা গেল, দুপাশেই পসরা সাজিয়ে বসেছে মিনিয়েচার প্রত্নতত্ত্বের পসারি। তাদের আন্তরিক আহবান উপেক্ষা করেই আমরা একটা ইঞ্জিনচালিত নৌকায় উঠে বসলাম। নৌকাটি ছোট হলেও সহজেই পনের কুড়িজনের জায়গা হতে পারে। গাইড এবং মাঝি মাল্লাসহ আমরা মাত্র দশজন। ইঞ্জিনে গর্জন এবং নীলের জলে ঢেউ তুলে আগলিকা দ্বীপের উদ্দেশ্যে ছোট্ তরী ভেসে চললো। দ্বীপের নাম আগলিকা হলেও পুরো মন্দির কমপ্লেক্স এখনো ফিলাই নামেই পরিচিত, পুরোনো জায়গা ছেড়ে এলেও পুরোনো নাম একে ছেড়ে যায়নি।

মিনিট দশেকের এই জলপথের বাঁ দিকে কোথাও পাহাড়ের খাঁজের ভেতরে আবার কোথাও পাহাড়ের পায়ে ছোট বড় সুন্দর সব স্থাপনা, বাইরে রেলিং দিয়ে ঘেরা। ঘাটে ঘাটে স্পিডবোট অথবা ট্রলারের মতো ছোট নৌযান বাধা। ফিলাইকে কেন্দ্র করে এখানকার চমৎকার উপত্যকা জুড়ে গড়ে উঠেছে বিলাসি পর্যটকদের জন্য ব্যয়বহুল রিসর্ট কিংবা আয়েশী আমিরদের জন্য বিলাসবহুল ভিলা। পাহাড়গুলো দেখে মনে হয় লাইম স্টোন বা গ্রানাইট পাথরের টুকরো কেটে বিভিন্ন উচ্চতায় সাজিয়ে রাখা হয়েছে। তেমনি অনেকগুলো পাথুরে পাহাড় পেরিয়ে নীলের দ্বীপের কাছাকাছি গতি শ্লথ হতে হতে দেখলাম দ্বীপের পাড়ে পাথরের বড় বড় চাঁই এবং ছোট ছোট ঝোপের মতো সবুজ গাছের বেষ্টনী। সম্ভবত দ্বীপের ভূমিক্ষয় রোধ করতেই এই ব্যবস্থা।

নৌকা থেকে ঘাটে নেমে একটা লোহার সেতু পেরিয়ে বাঁ দিকে খানিকটা হেঁটে পৌঁছে গেলাম ফিলাইয়ের মন্দির চত্বরে। সামনে দেবী আইসিসের বিশাল মন্দির আর দু পাশে দীর্ঘ কলামের সারি। প্রায় অক্ষত স্তম্ভগুলোতে খোদাই করা দৃশ্যচিত্র এবং নকশার কারুকাজ কয়েক হাজার বছর পরে এখনও টিকে আছে। আইসিসের মন্দিরের উঁচু দেয়ালে বড় আকারের দৃশ্যপট তার উচ্চতা ও নির্মাণশৈলীর কারণে বিস্ময় জাগায়।

ফারাও যুগের মিশরের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলোর মধ্যে সম্ভবত সবচেয়ে আকর্ষণীয় ফিলাই টেম্পল চারিদিকে জলপরিবেষ্টিত ছোট্ট সুন্দর দৃষ্টি নন্দন একটি দ্বীপ। এর চৌহদ্দি মাত্র সাড়ে চারশ মিটার দীর্ঘ এবং দেড়শ মিটার চওড়া। স্বল্প পরিসরের গ্রানাইট পাথরের ভিত্তিভূমিতে পলি মাটির স্তর জমে জেগে ওঠা ঊর্বর ভূখণ্ডে দিগন্ত রেখায় অপূর্ব দৃশ্য সৃষ্টি করে করে প্রাচীনযুগ থেকে গ্রেকো রোমান সাম্রাজ্যের সাতশ বছর এবং মধ্যযুগে মিশরে আরবের মুসলিম শাসনের প্রায় হাজার বছর পেরিয়ে আজ পর্যন্ত দেশি বিদেশি পর্যটকের কৌতূহলের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। ভাই শেথের হাতে নিহত স্বামী ওরেসিসের জীবন ফিরিয়ে আনার জন্যে আইসিসের পূজায় নিবেদিত সর্বশেষ মন্দিরগুলোর একটি ফিলাই। আইসিস এবং ওরেসিসের পুত্র সন্তান হোরাস মিশরিয়দের গুরুত্বপূর্ণ দেবতা। সেই কারণেই আইসিস ‘মাদার অফ গডস’ নামেও নামেও পরিচিতি লাভ করেছিলেন। আজকাল ‘মাদার অফ চ্যারিটি’ বা ‘মাদার অফ ডেমোক্রেসি’ বলে যেসব পদক, পুরস্কারের কথা শোনা যায় তা বোধহয় ফিলাই থেকেই এসেছে।

মোহামেদ যখন বাঁ দিকের কলামগুলোর সামনে দাঁড়িয়ে আমাদের চারজন সহযাত্রীকে ইতিকথা শোনাচ্ছেন তখন রানাভাই মূল মন্দিরে ঢুকে পড়েছেন। আমি ছবি তুলতে তুলতেই দেখছিলাম, আইসিসের মন্দিরের সামনে দুজন তরুণ তরুণী নানা ঢংয়ে সেলফি তোলার কসরৎ করছে। হঠাৎ তরুণটি সামনে এগিয়ে এসে তার ভাঙা ইংরেজির সাথে যথেষ্ট বিনয় যুক্ত করে যুগলের দুই একটি ছবি তুলে দেয়ার অনুরোধ জানালো। মোবাইল ফোনে ছবি তুলতে আমি সাচ্ছন্দ্যবোধ করি না, তারপরেও বিদেশি তরুণের অনুরোধ উপেক্ষা না করে দু তিনটি ছবি তুলে মোবাইল ফোন ফিরিয়ে দেবার সময় জিজ্ঞেস করে জানলাম যুগলের আগমন রাশিয়া থেকে।

মন্দিরের ভেতরে ঢুকে পাথরের প্রশস্ত দেয়াল, ভারি কলাম ও বিমসহ পুরো কাঠামো দেখে এর হাজার হাজার বছর টিকে যাবার মজবুত নির্মাণ সম্পর্কে ধারণা করা যায়। বোঝা যায় সে সময়ের স্থাপত্যের শক্তি ও স্থায়ীত্বের রহস্য। তবে সবচেয়ে আকর্ষণীয় মন্দিরের দেয়ালের গায়ে রিলিফের কাজ এবং হায়রোগ্লাফিক লিপিতে উৎকীর্ণ কথা কাহিনি কিংবা কোনো তথ্য পরিচয়। শিল্প সুষমায় সমৃদ্ধ প্রতিটি ছবিতে প্রকাশ পেয়েছে জীবনযাত্রার নানা প্রসঙ্গ। অভ্যন্তরের কক্ষগুলোতে আলোর পরিকল্পিত বিন্যাসের ফলে রিলিফের দৃশ্যাবলী দর্শনার্থীদের সামনে ফুটে উঠেছে তার পূর্ণ রূপ বৈচিত্র্য নিয়ে। ভেতরের একটি কক্ষে পাথরের বেদী আছে কিন্তু কক্ষের দেয়ালচিত্র ছাড়া এই বেদীতে অথবা অন্য কোনোখানে কোনো মূর্তি নেই। প্রাচীন দেব দেবী মূর্তির বিকৃতি অথবা পুরোপুরি ধ্বংসের কাজটি সম্পন্ন করেছে আদিযুগের খ্রিস্টান ধর্মধারী এবং তাদের অনুসারিরা। খ্রিস্টান শাসনামলেও দীর্ঘকাল সনাতন ধর্মের চর্চা টিকে ছিল ফিলাইয়ের মন্দিরকে কেন্দ্র করে এবং এটিই ছিল শেষ সনাতন মন্দির। দেশ থেকে পৌত্তলিকতার চিহ্ন মুছে দিয়ে যিশুর রাজত্ব কায়েম করার পবিত্র কর্ম সম্পাদন করে স্বর্গ লাভের অভিপ্রায়ে ৫৫০ খ্রিস্টাব্দে প্রাচীন মন্দির এবং মন্দিরর পূজা পাট আনুষ্ঠানিকভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়। ফিলাইয়ের মূল মন্দিরটি তখন ব্যবহৃত হতো গির্জা হিসাবে। তবে শেষপর্যন্ত ফারাওদের দেব-দেবী অপসারণ করে মা মেরি বা স্বয়ং যিশুখ্রিস্টের মূর্তি কেন স্থায়ীভাবে স্থাপন করা সম্ভব হয়নি মোহামেদের কাছে সে প্রশ্নের কোনো উত্তর ছিল না।

প্রথম মন্দির পার হয়ে ভেতরের আয়তকার চত্বরে প্রবেশের পরেও দুপাশের দীর্ঘ কলামের সারি এবং সামনে আরো একটি বিপুলায়তন ভবন স্থাপত্যের চিরায়ত শৈল্পিক নির্মাণরীতির কথাই মনে করিয়ে দেয়। দ্বিতীয় ভবনের বাইরের চত্বরে ঠিক নদীর ধার ঘেঁষে আরো একটি ছোট আকারের স্থাপনা। সন্দেহ নেই এটিও কোনো নির্ধারিত দেবতার উপাসনালয়। বর্তমানে এর স্তম্ভ এবং কার্নিশ থেকে কিছু অংশ খসে পড়েছে, কিন্তু তাতে কোনো সৌন্দর্য হানি হয়নি, বরং বেশ একটা প্রাচীন প্রত্নতাত্ত্বিক গাম্ভীর্য সৃষ্টি করেছে। কয়েকটি খেজুর গাছ পাথরের তৈরি ছোট কয়েকটি বেদী এবং নদীর বুকে কিছুটা দূরে এবড়ো থেবড়ো পাথরে সাজানো পাহাড়ের চুড়া মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে। এই স্থাপনাটির নিচেই নদীতে চলছে জলযান আর মন্দির ঘিরে নানা দেশের বিভিন্ন বয়সের পর্যটকের ভিড়।

পশ্চিম আকাশে পাহাড়ের আড়ালে সূর্য অস্তাচলে গেলেও নদীর জলে ছড়িয়ে দিয়ে গেছে লাল রঙ। আমরা দুজন ছোট মন্দিরটি থেকে বাঁ দিকে ঘুরে নদীর পাড় ঘেঁষে পুরো পশ্চিম চত্বর ঘুরে এলাম। বন্যার পানি এবং নদীর ভাঙন ঠেকাতে এদিকে বেশ খানিটা অংশে পাথরের স্ল্যাব বসানো। ফিলাই মন্দির ঘুরে দেখার নির্ধারিত সময় শেষ হয়ে এসেছিল। ঘড়ির সময় অনুসারে আমরা ইতিমধ্যেই পাঁচ মিনিট দেরি করে ফেলেছি। পেছন দিকের সংকীর্ণ পথ দিয়ে আমরা আবার প্রথম আইসিসের মন্দির চত্বরে এসে পড়লাম। এদিকে দলের অন্য পাঁচজনের কারো দেখা নেই। আমাদের ভরসা ছিল রানা ভাই যখন আছেন, সেক্ষেত্রে মোহামেদ তার দলবল নিয়ে নিশ্চয়ই এই প্রাচীন মন্দিরের প্রত্নতাত্ত্বিক ধ্বংসাবশেষে আমাদের ফেলে রেখে চলে যেতে পারবে না।

তাড়াহুড়ো করে ঘাটে পৌঁছে কারোরই দেখা পেলাম না। গোটা দশ বারো নৌকা ভাসছে, কিন্তু দুই একজন নাবিক বা তাদের সহকারি ছাড়া কোনো নৌকাতেই যাত্রী নেই। তাহলে আমাদের নৌকা কি এরই মধ্যে ছেড়ে চলে গেছে! পারের কড়ি দিয়ে নৌকায় উঠলেও মাঝি-মাল্লার নাম বা নৌকার নম্বর কোনোটাই তো জেনে নিইনি। তারপরেও দ্রুতই নিজেদের নৌকা খুঁজে পেলাম। আগলিকা দ্বীপে আসার সময়েই লক্ষ করেছিলাম, নৌকার পাটাতনে যে মলিন কার্পেট পাতা, তাতে ডোরাকাটা বাঘের ছাপ। আমি বোধহয় কাউকে বলেও ছিলাম, আসোয়ানের মরুভূমিতে রয়েল বেঙ্গল টাইগার এলো কোথায় থেকে! সেই বাঘের ছাপওয়ালা নৌকা ছোট ছোট ঢেউ তুলে জলে ভাসছে, কিন্তু চালক বা যাত্রী কারোরই ফিরে যাবার তাড়া আছে বলে মনে হলো না।

ঘাটে পৌঁছাবার সংযোগ সেতু পার না হয়ে আমরা নৌকা থেকে নেমে ডকের উপরে দাঁড়িয়ে সহযাত্রীদের খুঁজতে যাবো কিনা ভাবছিলাম। বিস্তৃত পাটাতনে বিচিত্র স্যুভেনিয়ার ছড়িয়ে বসা ফেরওিয়ালাদের একজন আমাদের ধরে বসলো। প্রথমেই ‘হ্যালো ইন্ডিয়া’ বলে খাতির জমাতে চেষ্টা করতেই বললাম ‘নো ইন্ডিয়া।’ এরপরের প্রশ্ন ‘হোয়াট কান্ট্রি?’ বললাম, ‘বংলাদেশ’! প্রথমে বিড়বিড় করে নিজের মনে কয়েকবার আউড়ে নিল বাংলাদেশ। তারপর থেকে প্রতি এক দুই মিনিট পরপরই সে চিৎকার করে বলতে শুরু করলো ‘বাংলাদেশ’ ‘বাংলাদেশ’! সে কি প্রথমবার আমাদের দেশের নাম শুনে তা মুখস্ত করার চেষ্টা করছিল, নাকি বাংলাদেশ শব্দের দ্যোতনায় মুগ্ধ হয়ে বারবার ‘বাংলাদেশ বলে স্লোগান দিচ্ছিল জানি না, তবে সে তার জিনিসপত্র বিক্রির চেষ্টা না বাংলাদেশের নাম গানে মগ্ন থাকায় আমরা বেশ মজা পেয়েছিলাম।

আমরা যখন সেতু পার হয়ে উপরে উঠতে যাচ্ছি তখন মোহামেদ তার তার সঙ্গী সাথীদের নিয়ে ফিরে আসছে। রানা ভাই তখনও বেশ কিছুটা দূরে। একে একে সকলে উঠে পড়লে এবারে ফিলাই মন্দির হাতের বাঁয়ে রেখে দু পাশের পাহাড়ের মাঝখান দিয়ে পথ করে নৌকা চলতে শুরু করলে রানা ভাই বাহরাইন এবং দুবাই থেকে আসা দুই সহযাত্রীর সাথে আলাপ জুড়ে দিলেন। আমি দেখছিলাম সন্ধ্যার ম্লান আলোয় পশ্চিমের লাল আকাশের পটভূমিতে ফিলাই মন্দিরের পিলারগুলো কী অসাধারণ সুন্দর দৃশ্য রচনা করেছে! ‘মিশরের মুক্তা’ নামে খ্যাত এই মনোরম দ্বীপে না এলে কখনোই এই দৃশ্যের সাথে পরিচয় ঘটতো না।

ফিলাই এনকোরেজ থেকে আসোয়ান শহরে পৌঁছাতে আধা ঘণ্টার বেশি সময় লাগেনি। এরই মধ্যে সড়কের বাতিগুলো জ্বলে উঠেছে। আগেই কথা ছিল আমরা কোনো একটা ডিপার্টমেন্ট স্টোরে নেমে যাবো। নির্দেশনা অনুসারে মোহামেদ আমাদের আল রায়াহ ডিপার্টমেন্ট স্টোরের সামনে নামিয়ে দিয়ে বাকি চারজনকে ঘাটে পৌঁছে দিতে যাবার সময় বলে গেল তোমাদের ক্রুইজ শিপ ওই যে দেখা যায়, এখান থেকে পায়ে হাঁটা দূরত্বে। আমাদের যে কোনো মাঝারি ধরনের ডিপার্টমেন্ট স্টোরের মতো ডাল-ডাল, মাছ-মাংস, শাক-সবজির মতো খাদ্য পানীয় থেকে শুরু করে প্রসাধন সামগ্রী, রান্নার সরঞ্জাম, বাসন-কোসন, প্রয়োজনীয় সব কিছুই এখানে বিভিন্ন অংশে নির্দিষ্ট তাকে সাজানো। আমরা আসলে নির্ভেজাল বোতলজাত পানি অর্থাৎ ড্রিংকিংওয়াটার কিনতে এসেছিলাম।

(চলবে)

এসএ/

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৬

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৫

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৪

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ৩

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ২

প্যাপিরাসের পুরোনো পাতা, পর্ব: ১

Header Ad

জিম্বাবুয়েকে হেসে-খেলে হারাল টাইগাররা

ছবি: সংগৃহীত

পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে সফরকারী জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সহজ জয় পেয়েছে বাংলাদেশ।

শুক্রবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে জিম্বাবুয়ের দেওয়া ১২৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ২৮ বল ও ৮ উইকেট হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ দল।

১২৫ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ৫ রান তুলতেই লিটনের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ৩ বলে ১ রান করে সাজঘরে ফিরেন টাইগার ওপেনার লিটন কুমার দাস। এরপর ধীর গতির ব্যাট করেন নাজমুল শান্ত। আউট হওয়ার আগে তিনি ২৪ বলে ২১ রান করেন। এরপর তানজিদ তামিম ও তাওহীদ হৃদয় ঝড়ো ব্যাটিং করে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। অভিষিক্ত তানজিদ তামিম ৪৭ বলে ৬৭ রান করেন ও তাওহীদ হৃদয় ১৮ বলে করেন ৩৩ রান।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই প্রথম উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। মাহেদী নিজের প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলেই সরাসরি বোল্ড করে ফেরান জিম্বাবুয়ের ওপেনার ক্রেইগ আরভিনকে (০)। এরপর শরিফুল ইসলাম এক ওভারে তিন বাউন্ডারি সহ হজম করেন ১৩ রান। কিন্তু তাসকিন আহমেদ এসে রানের চাকায় লাগাম টানেন। যার ফল তুলে নেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। প্রথমবার বল হাতে নিয়ে দারুণ নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেন সাইফউদ্দিন।

ওভারের শেষ বলে তিনি জিম্বাবুয়ের অভিষিক্ত ব্যাটার জয়লর্ড গাম্বিকে (১৪) বিদায় করেন। উইকেট পতনের মিছিল এরপর চলতেই থাকে। ষষ্ঠ ওভারে ফের বল হাতে নেন মাহেদী। এবার প্রথম বলেই রান আউটের শিকার হন একপ্রান্ত আগলে রাখা ব্রায়ান বেনেট (১৬)।

পরের বলে এসেই ডাক মারেন জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক সিকান্দার রাজা। মাহেদীর লেন্থ বলে প্যাডেল সুইপ খেলতে গিয়ে ফার্স্ট স্লিপে থাকা লিটন দাসের হাতে ক্যাচ তুলে দেন রাজা। ১ উইকেটে ৩৬ রান করা জিম্বাবুয়ে আর কোনো রান যোগ করার আগেই হারায় আরও ৩ উইকেট।

এখানেই শেষ নয়। তাসকিন পরের ওভারে তুলে নেন জোড়া উইকেট। ওভারের প্রথম দুই বলেই তিনি বিদায় করেন শন উইলিয়ামস ও রায়ান বার্লকে। দু’জনেই বিদায় নিয়েছেন রানের খাতা খোলার আগেই। এরপর অষ্টম ওভারে লুক জঙওয়ে (২) বিদায় নেন সাইফউদ্দিনের বলে।

৪১ রানে ৭ উইকেট হারানোর পর ওয়েলিংটন মাসাকাদজাকে সঙ্গে নিয়ে ক্লিভে মাদানদে ইনিংস গড়ার দায়িত্ব নেন। শুরুতে তারা ধীরস্থিরভাবেই খেলছিলেন। কিন্তু শেষদিকে আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন তারা।

শরিফুলের করা ১৭তম ওভারে ১১ ও রিশাদ হোসেনের করা পরের ওভারে ১৬ রান নেন মাসাকাদজা ও মাদানদে। এরপর ১৮তম ওভারের প্রথম বলে তাসকিনকেও ছক্কা হাঁকান মাসাকাদজা। এক বল পরই অবশ্য তার সঙ্গী মাদানদেকে বোল্ড করেন তাসকিন।

তার ইয়র্কার মাদানদের দুই পায়ের মাঝখান দিয়ে স্টাম্পে আঘাত করে। অষ্টম উইকেটে জিম্বাবুয়ের রেকর্ড ৬৫ বলে ৭৫ রানের জুটি ভেঙে যায় এতে। ৬ চারে ৩৯ বলে ৪৩ রান করে আউট হন মাদানদে। তার বিদায়ের পর জিম্বাবুয়ের রান হয়নি খুব একটা। শেষ বলে রান আউট হওয়ার আগে ৩৮ বলে ৩৪ রান করেন মাসাকাদজা।

বাংলাদেশের হয়ে ৪ ওভারে ১৪ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন তাসকিন। সমান ওভারে ১৬ রান দিয়ে ৩ উইকেট পান সাইফউদ্দিনও।

চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে ইসরায়েলের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধ করল তুরস্ক

ছবি: সংগৃহীত

গত ছয়মাস ধরে দখলদার ইসরাইল অবরুদ্ধ গাজায় নির্বিচারে ফিলিস্তিনিদের হত্যা করছে। ইতোমধ্যে প্রায় ৩৮ হাজারের বেশি ফলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। আহত হয়েছেন লাখ লাখ। বাস্তহারা করেছে ২০ লাখের বেশি মানুষকে। এই হত্যার বিরুদ্ধে সারাবিশ্বে চলছে প্রতিবাদ। তুরস্কে লাগাতার বিক্ষোভ মুখে ইসরাইলের সঙ্গে সব ধরণের যোগাযোগ ও বাণিজ্য বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

জানা যায়, গতকাল বৃহস্পতিবার তুরস্ক জানিয়ে দিয়েছে, গাজার পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় তারা ইসরায়েলের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধ রাখছে।

বলা হয়েছে, গাজায় যতদিন পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্ন মানবিক ত্রাণ দিতে না দেয়া হচ্ছে, ততদিন বাণিজ্য বন্ধ রাখবে তুরস্ক।

তুরস্কের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ''ইসরায়েলের সঙ্গে সব পণ্যের আমদানি ও রপ্তানি বন্ধ থাকছে।''

দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ বাংলাদেশি টাকায় ৭৩ হাজার কোটি টাকারও বেশি।

এর আগে ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অভিযোগ করেছিলেন, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এর্দোয়ান সমঝোতা ভেঙে ইসরায়েলের সঙ্গে আমদানি ও রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছেন।

সামাজিক মাধ্যমে তিনি বলেছেন, ''এভাবেই একজন ডিক্টেটর কাজ করেন। তুরস্কের মানুষ, ব্যবসায়ীদের স্বার্থ তিনি দেখলেন না। আন্তর্জাতিক বাণিজ্য চুক্তিও অবহেলা করলেন।''

তিনি বলেছেন, ''ইসরায়েল বিকল্প খুঁজে নেবে। অন্য দেশের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বাড়াবে।''

তুরস্ক গতমাসে জানিয়েছিল, তারা ইসরায়েল থেকে বাণিজ্যে কাটছাঁট করছে। সেসময় তুরস্কের অভিযোগ ছিল, তাদের বিমান গাজায় মানবিক ত্রাণ দিতে গিয়েছিল। ইসরায়েল তা করতে দেয়নি। তুরস্কে ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে বিশাল বিক্ষোভ সমাবেশ হচ্ছে।

গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযানকে কঠোর ভাষায় নিন্দা করেছে তুরস্ক। এর্দোয়ান তো ইসরায়েলকে 'সন্ত্রাসী রাষ্ট্র' পর্যন্ত বলেছেন।

অন্যদিকে এক বিবৃতিতে তুরস্ক জানিয়েছে, এই বাণিজ্য স্থগিত করার সিদ্ধান্ত সব ধরনের পণ্যের ক্ষেত্রেই কার্যকর হবে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘তুরস্ক কঠোরভাবে ও সন্দেহাতীতভাবেই নতুন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করবে যতদিন পর্যন্ত ইসরাইল সরকার গাজায় বাধাহীন ও পর্যাপ্ত ত্রাণ প্রবাহের অনুমোদন না দেয়।’

১৯৪৯ সালে প্রথম মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ হিসেবে ইসরাইলকে স্বীকৃতি দেয় তুরস্ক। তবে সাম্প্রতিক দশকগুলোতে দেশ দু’টির মধ্যকার সম্পর্কের অবনতি হয়েছে।

২০১০ সালে গাজায় তুরস্ক মালিকানাধীন জাহাজ ইসরাইলের সমুদ্রসীমা লঙ্ঘন করার সময় ইসরাইলি কমান্ডোদের সাথে সংঘর্ষে ১০ জন ফিলিস্তিনপন্থী তুর্কি কর্মকর্তা নিহত হওয়ার ঘটনায় তুরস্ক কূটনৈতিক সম্পর্কও ছিন্ন করেছিল।

পরে ২০১৬ সালে আবার দেশ দু’টির মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনস্থাপন হয়। কিন্তু এর দু’বছরের মাথায় উভয় দেশ একে অন্যের শীর্ষ কূটনীতিককে বহিষ্কার করে গাজা সীমান্তে ইসরাইল কর্তৃক ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ার ঘটনায়।

এরদোগান গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামাসের হামলার পর ইসরাইলের তীব্র সমালোচনা করে আসছেন।

গত জানুয়ারিতে তিনি বলেন, ‘হামাসের হামলার জবাবে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু যে সামরিক অভিযান চালিয়েছেন তা হিটলার যা করেছিল তার চেয়ে কোনো অংশে কম নয়।’

জবাবে নেতানিয়াহু বলেন, ‘এরদোগান, যিনি কুর্দিদের বিরুদ্ধে গণহত্যা সঙ্ঘটিত করেন এবং যিনি তার শাসনের বিরোধিতা করায় সাংবাদিক বন্দীর ক্ষেত্রে বিশ্বরেকর্ড করেন, তিনিই হলেন শেষ ব্যক্তি যিনি আমাদের নৈতিকতা শেখাচ্ছেন।’

গাজা উপত্যকার পরিস্থিতি নিয়ে ইসরাইলের বিরুদ্ধে সমালোচনা বাড়ছে। জাতিসঙ্ঘ সমর্থিত এক পর্যালোচনায় দেখা গেছে গত মাসে ১১ লাখ মানুষ তীব্র ক্ষুধায় জর্জরিত ছিল এবং এ মাসের মধ্যে গাজার উত্তরাঞ্চলে দুর্ভিক্ষের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।

বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউস বলেছে, গাজা উপকূলে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী যে বন্দর নির্মাণ করেছে ত্রাণ প্রবাহ বাড়ানোর জন্য সেটি কয়েক দিনের মধ্যেই উন্মুক্ত করে দেয়া হবে।

ভাসমান ওই বন্দরে নৌযান ও লোকজনের কাজের ছবিও প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তার কাছেই নৌবাহিনীর জাহাজ ছিল।

যদিও জাতিসঙ্ঘ বলেন, সামুদ্রিক করিডোর কখনো স্থলপথে ত্রাণ সরবরাহের বিকল্প হতে পারে না। আর সড়কপথ হলো একমাত্র উপায় যেখানে একসাথে অনেক পরিমাণ ত্রাণ নেয়া যায়।

এর আগে, আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর বারবার অনুরোধের প্রেক্ষাপটে চলতি সপ্তাহে গাজার উত্তরাঞ্চলে ত্রাণ সরবরাহের জন্য ইসরাইল ইরেয ক্রসিং আবার খুলে দিয়েছে।

তবে জর্ডান বলেছে, তাদের কিছু ত্রানবাহী লরি ওই ক্রসিং পার হওয়ার সময় ইসরাইলি বাহিনীর হামলার শিকার হয়েছে।

জাতিসঙ্ঘের রিপোর্ট বলছে, গাজার মানবিক বিপর্যয় একটি মানব সৃষ্ট দুর্ভিক্ষে রূপান্তরিত হতে যাচ্ছে।

জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকারবিষয়ক সিনিয়র কর্মকর্তা ভলকার তুর্ক বলেন, এটা এখন ‘বিশ্বাসযোগ্য’ যে ইসরাইল ক্ষুধাকে গাজা যুদ্ধে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে।

ইসরাইল ত্রাণ সরবরাহ সীমিত করার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। দেশটি গাজায় যাদের প্রয়োজন তাদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণে ব্যর্থতার অভিযোগ এনেছে জাতিসঙ্ঘের বিরুদ্ধে।

৭ অক্টোবরের হামলার প্রতিক্রিয়ায় হামাসকে ধ্বংস করতে গাজায় ইসরাইল যে সামরিক অভিযান চালিয়েছে তাতে ৩৪ হাজার ৫০০ মানুষের মৃত্যুর খবর দিয়েছে হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এর আগে, হামাসের হামলায় ইসরাইলে এক হাজার ২০০ মানুষ নিহত হয়েছিল এবং তারা আরো ২৫৩ জনকে পণবন্দী করেছিল।

মধ্যস্থতাকারীরা এখন যুদ্ধবিরতি নিয়ে সবশেষ আসা প্রস্তাবের বিষয়ে হামাসের প্রতিক্রিয়ার জন্য অপেক্ষা করছে।

খবর অনুযায়ী, এবারের প্রস্তাবে ৪০ দিনের যুদ্ধবিরতির কথা বলা হয়েছে এবং এর বিনিময়ে ইসরাইলি বন্দী ও ফিলিস্তিনি কিছু বন্দী মুক্তি পাবে। সূত্র : বিবিসি

বাংলাদেশের কোনো ভাষাকেই হারিয়ে যেতে দেওয়া যাবে না: প্রধান বিচারপতি

ছবি: সংগৃহীত

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছন, বাংলাদেশের কোনো ভাষাকেই হারিয়ে যেতে দেওয়া যাবে না, যেকোনো মূল্যে খাড়িয়া সম্প্রদায়ের মাতৃ (পার্সী)-ভাষাকে রক্ষা করতে হবে। এর জন্য তিনি সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগকে দ্রুত উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান।

শুক্রবার (৩ মে) দুপুরে শ্রীমঙ্গলস্থ বাংলাদেশ চা গবেষণা কেন্দ্রের গেস্ট হাউসে খাড়িয়া জাতিগোষ্ঠীর প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক সাক্ষাতের সময় এ কথা জানান তিনি।

এ সময় খারিয়া জাতিগোষ্ঠীর প্রতিনিধিদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন প্রধান বিচারপতি। সাক্ষাতে শ্রীমঙ্গল বর্মা ছড়ার খাড়িয়া সম্প্রদায়ের দুই বোন ভেরোনিকা কেরকেটা ও খ্রিস্টিনা কেরকেটা তাদের ভাষায় কথা বলেন এবং তাদের সম্প্রদায়ের জহরলাল ইন্দোয়া নামের একজন তা বাংলায় বর্ণনা করেন।

সাক্ষাতের সময় উপস্থিত ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ আমিন উদ্দিন, মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক উর্মি বিনতে সালাম, সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আল-মাহমুদ ফায়জুল কবির, জেলা পুলিশ সুপার মো. মঞ্জুর রহমান, শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো আবু তালেব ও শ্রীমঙ্গল থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিনয় ভূষণ রায়।

প্রধান বিচারপতি জানান, ভাষা বৈচিত্রের দেশ আমাদের বাংলাদেশ। তিনি গণমাধ্যমের সূত্রে জেনেছেন, খাড়িয়া সম্প্রদায়ের দুজন লোকই বেঁচে আছেন। যারা তাদের মাতৃভাষায় কথা বলতে পারেন। তারা মারা গেলে বাংলাদেশ থেকে হারিয়ে যাবে এই ভাষা। এই বিষয়টি তাকে ভাবান্বিত করেছে। তাই নিজ উদ্যোগেই এই দুজন মহিলার সঙ্গে তিনি দেখা করতে এসেছেন। তিনি আস্বস্ত হয়েছেন শুধু দুজন নয়, এই ভাষায় কথা বলতে পারেন আরও কয়েকজন আছেন এবং খাড়িয়া জনগোষ্ঠীর প্রায় আড়াই থেকে তিন হাজার মানুষ বাংলাদেশে বসবাস করছেন। তবে এই ভাষাটি রক্ষার জন্য সর্বোচ্চ উদ্যোগ গ্রহণের ওপর প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে তিনি সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগকে উদ্যোগ নিতে বলেন।

এর আগে তিনি বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউটের আবিষ্কৃত চায়ের জাত ও তৈরি চায়ের গুণগত মান যাচাই করেন। এ সময় তিনি বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চায়ের গুণগত মান ধরে রাখার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান করেন।

সর্বশেষ সংবাদ

জিম্বাবুয়েকে হেসে-খেলে হারাল টাইগাররা
চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে ইসরায়েলের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধ করল তুরস্ক
বাংলাদেশের কোনো ভাষাকেই হারিয়ে যেতে দেওয়া যাবে না: প্রধান বিচারপতি
বৃষ্টি হতে পারে যেসব বিভাগে, যে তথ্য দিল আবহাওয়া অফিস
ভূমধ্যসাগরে নিহত ৮ বাংলাদেশির মরদেহ হস্তান্তর
কাল থেকে বাড়তি ভাড়ায় চড়তে হবে ট্রেনে, কোন রুটে ভাড়া কত
সবসময় আস্থা রাখায় ধোনিকে ধন্যবাদ জানালেন মোস্তাফিজ
সুষ্ঠু ভোটের আয়োজনে প্রার্থীদেরও ভূমিকা রয়েছে : ইসি রাশেদা
টাঙ্গাইলে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসে গণমাধ্যমকর্মীদের সমাবেশ
গণতন্ত্রের জন্য লড়াইকারীদের নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে : রিজভী
সরকারকে যারা চাপে রাখতে চেয়েছিল তারা নিজেরাই চাপে আছে : ওবায়দুল কাদের
যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষার্থীদের ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ, গ্রেপ্তার ২ হাজার
ট্রেনের ধাক্কায় প্রাণ হারালেন পুলিশ কর্মকর্তা
আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ডের সভা শনিবার
যেসব অভিযোগে ১১১০ দিন কারাগারে ছিলেন মামুনুল হক
শনিবার যেসব জেলার স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা বন্ধ থাকবে
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার প্রমাণ পেয়েছে বিবিসি!
নওগাঁয় আ.লীগ নেতার প্রচারে যাওয়া ছাত্রদলের ২ নেতাকে শোকজ
বলিউডের ছবিতে গাইলেন আসিফ আকবর
যাত্রীবাহী বাস উল্টে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনা, নিহত ২০