রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫ | ১৫ আষাঢ় ১৪৩২
Dhaka Prokash

অনুমতি না নিয়ে সম্পদ ক্রয় করা সরকারি কর্মকর্তাদের তালিকা তৈরি হচ্ছে!

ছবি: সংগৃহীত

সাবেক পুলিশপ্রধান বেনজীর আহমেদের সম্পদের বিষয়ে সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে নানা রকম সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। এরই মধ্যে সাবেক এই পুলিশপ্রধানের স্থাবর-অস্থাবর সব সম্পত্তি ক্রোক করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। তার সম্পত্তির নতুন নতুন খোঁজখবরও বের হতে শুরু করেছে। বেনজীরকে নিয়ে ঘটনাপ্রবাহ যে নাটকীয় মোড় নিয়েছে, তা একই সঙ্গে বিস্ময় ও তুমুল আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

এদিকে চাকরিতে থাকাকালীন সময়ে তিনি তার স্ত্রী এবং কন্যাদের নামে যে বিপুল সম্পদ বানিয়েছিলেন তার কোনটার জন্যই সরকারের কোন অনুমতি নেননি। অথচ সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারী চাকরি বিধি অনুযায়ী একজন সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারী যদি কোন স্থাবর সম্পত্তি কিনতে চান তাহলে সরকারের কাছে লিখিত ভাবে আবেদন করতে হবে। এবং সরকারের অনুমোদন সাপেক্ষে তিনি ওই সম্পদ কিনতে পারবেন। তাছাড়া কোন সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারীর স্বামী, স্ত্রী বা পরিবারের কোন সদস্য যদি কোন ব্যবসা বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত হতে চান তাহলে সে ক্ষেত্রেও তাদেরকে অনুমতি দিতে হবে।

অতীতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে যে সমস্ত সরকারি কর্মকর্তারা ছিলেন, তাদের স্ত্রী এবং সন্তানদের ব্যবসা বাণিজ্যের বিষয়টি সরকারের কাছ থেকে অনুমোদন নিয়ে করা হতো। কিন্তু বেনজীর আহমেদ যেন ছিলেন আইন বিচারের ঊর্ধ্বে। তিনি কোন কিছুই মানতেন না। চাকরিতে থাকা অবস্থায় তিনি বিপুল পরিমাণ সম্পদের মালিক হয়েছিলেন, জমি কিনেছিলেন। যদিও এসব তার নিজের নামে নয়। তার স্ত্রী এবং নাবালিকা সন্তানদের নামে করেছিলেন। কিন্তু সরকারি কর্মচারী আচরণ এবং শৃঙ্খলা বিধি অনুযায়ী এ ধরনের সম্পদ করার ক্ষেত্রে অবশ্যই অনুমতি নেওয়া বাধ্যতামূলক।

এদিকে বেনজীর আহমেদের এই ঘটনার পর নড়েচড়ে বসেছে সরকার। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সূত্রে জানা গেছে যে, সরকারি কর্মকর্তাদেরকে আইনের কথাটা নতুন করে স্মরণ করিয়ে দেওয়া হবে। এ সংক্রান্ত একটি চিঠি আগামী সপ্তাহে সকল কর্মকর্তা কর্মচারীদের কাছে প্রেরণ করা হবে। নতুন করে তাদেরকে স্মরণ করিয়ে দেওয়া হবে। তারা যদি কোন স্থাবর সম্পদের মালিক হন যেমন জমি জমা ফ্ল্যাট ইত্যাদি, সেক্ষেত্রে তাদেরকে সরকারের অনুমতি নিতে হবে।

এছাড়াও ওই চিঠিতে একজন সরকারি কর্মকর্তার স্বামী, স্ত্রী বা সন্তান কোন ব্যবসা বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত হন, সে ক্ষেত্রেও সরকারের অনুমতি নেওয়ার আইনি বাধ্যবাধকতার কথা তাদেরকে স্মরণ করিয়ে দেওয়া হবে। এবং একটি নির্দিষ্ট সময়ের পর কোন কোন সরকারি কর্মকর্তার কী কী স্থাবর সম্পত্তি আছে এবং সেটি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্টদেরকে অবহিত করা হয়েছে কি না সে সম্পর্কে একটি তালিকা প্রস্তুত করা হবে। এই তালিকা অনুযায়ী যারা সরকারের কোন অনুমতি না নিয়েই সম্পদের মালিক হয়েছেন, সেই সমস্ত সম্পদগুলোকে অবৈধ সম্পদ হিসেবে ঘোষণা করা হবে। এ ক্ষেত্রে তাদেরকে আইনের মুখোমুখি দাঁড় করানো হবে বলেও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলেছেন।

আইন থাকার পরও কেন এতদিন মানা হয়নি- এ ব্যাপারে অবশ্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এখনই কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে জানান, সাধারণত প্রশাসন ক্যাডারে যাদের স্ত্রী ব্যবসা বাণিজ্যিক করেন বা প্রশাসন ক্যাডারের কোন কর্মকর্তা যদি স্থাবর সম্পত্তি যেমন ফ্ল্যাট জমি ইত্যাদি কেনেন তাহলে তারা চাকরি বিধি মেনেই অনুমতি নেন। কিন্তু বেনজীর আহমেদের ক্ষেত্রে এর ব্যত্যয় ঘটেছে বলেও তিনি স্বীকার করেন।

তিনি বলেন, এই বিষয়টি সামনে আসার আগে পর্যন্ত সরকারের কেউই জানতেন যে, বেনজীর আহমেদ এতো বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির মালিক। তবে এই ঘটনা সরকারকে সতর্ক করেছে বলেও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল মহল বলছে। এখন থেকে এই বিষয়টি কড়া নজরদারি আরোপ করা হবে এবং অনুমতি না নিয়ে যারা সম্পদ কিনেছে তাদের তালিকা করে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Header Ad
Header Ad

আ.লীগ নেতার অপকর্ম বিএনপির ওপর চাপানোর চেষ্টা চলছে: রিজভী

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী। ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লার মুরাদনগরে ধর্ষণের ঘটনা ঘিরে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতার অপকর্ম, বিএনপির ওপর চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী।

রোববার (২৯ জুন) গণঅভ্যুত্থান, শোক ও বিজয়ের বর্ষপূর্তি পালন উপলক্ষে গঠিত উপকমিটির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ কথা বলেন তিনি। বলেন, ফ্যাসিবাদের দোসররা পরিকল্পিতভাবে দেশের বিভিন্ন ঘটনা পুঁজি করে সরকার ও বিএনপি নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে।

এ ঘটনায় দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবি জানান রিজভী। তিনি জানান, ১ জুলাই চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে শহীদ পরিবার, গুম খুনের শিকার পরিবার ও সমমনা রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ থাকবেন। অনুষ্ঠানে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যুক্ত থাকবেন।

তিনি আরও বলেন, ক্ষমতায় আসতেই হবে এটা বিবেচ্য বিষয় নয়, ক্ষমতায় এসে শহীদদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করবে বিএনপি। বৃহত্তর স্বার্থে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান রিজভী আহমেদ।

Header Ad
Header Ad

৮ আগস্ট ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’ বাতিল করল সরকার

ছবি: সংগৃহীত

৮ আগস্ট নতুন বাংলাদেশ দিবস বাতিল করেছেন অন্তর্বর্তী সরকার। আজ রবিবার উপদেষ্টা পরিষদ বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, উপদেষ্টা পরিষদ ১৬ জুলাই শহীদ দিবস এবং ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থান দিবস উদযাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ৮ আগস্টের জন্য কোনো বিশেষ উদযাপন হবে না।

গত বুধবার ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের দিন ৮ আগস্ট ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করে সরকার।

পরিপত্রে দিবসটিকে প্রতি বছর যথাযথ মর্যাদায় প্রতিপালন করতে সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থাকে অনুরোধ করা হয়। দিবসটি পালনের জন্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস পালন সংক্রান্ত মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের পরিপত্রের ‘খ’ শ্রেণিভুক্ত করা হয়েছিল।

Header Ad
Header Ad

ঢাকায় বিষধর রাসেলস ভাইপার সাপ উদ্ধার

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকার দোহার থেকে একটি রাসেলস ভাইপার উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার (২৯ জুন) সকাল সাড়ে ৯টার পর সেভ ওয়ার্ল্ড লাইফ অ্যান্ড ন্যাচার (এসডব্লিউএএন) নামের একটি সংগঠন সাপটি উদ্ধার করে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আদনান আজাদ।

তিনি বলেন, সকালে খবর পেয়ে আমরা তিনজন দোহারে যাই। সেখান থেকে সাপটি উদ্ধার করি। বন বিভাগের নির্দেশনায় আমরা এটি অবমুক্ত করবো।

প্রায় বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল বিষধর চন্দ্রবোড়া বা উলুবোড়া বা রাসেলস ভাইপার। গত কয়েক বছর বিশেষ করে ২০২৪ সালে আতঙ্ক ছড়ায় সর্বত্র। এক সময় দেশের বরেন্দ্র অঞ্চলে এর দেখা মিললেও ২০২৪ সালে ৩২ জেলায় পাওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাপখেকো প্রাণীর অস্তিত্ব সংকটে দেশে চন্দ্রবোড়া বা রাসেলস ভাইপারের বিচরণ বেড়েছে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ভেনম রিসার্চ সেন্টার গতবছর জানায়, ২০১৩ থেকে ২০২৪ সালের মে মাস পর্যন্ত দেশের ৩২টি জেলায় রাসেলস ভাইপারের দেখা মিলেছে। প্রতিষ্ঠানের তথ্য যাচাই করলে দেখা যায়, ২০১৩ সাল থেকে এই সাপের বিস্তৃতি বাড়ছে। ২০১৩ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে ৯টি জেলায় এই সাপ দেখা যায়। ২০১৮ সালে এই সাপ থাকা জেলার সংখ্যা বেড়ে হয় ১১টি। ২০২৩ সালে ২৩টি জেলায় এই সাপ নথিভুক্ত করেন ভেনম রিসার্চ সেন্টারের গবেষকরা। সর্বশেষ ২০২৪ সালের মে পর্যন্ত ৩২টি জেলায় এই সাপের দেখা মিলে।

 

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

আ.লীগ নেতার অপকর্ম বিএনপির ওপর চাপানোর চেষ্টা চলছে: রিজভী
৮ আগস্ট ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’ বাতিল করল সরকার
ঢাকায় বিষধর রাসেলস ভাইপার সাপ উদ্ধার
সরকার ব্যর্থ হয়েছে: নাহিদ ইসলাম
উত্তরায় দাঁড়িয়ে থাকা মানুষের ওপর উঠে গেলো ট্রাক, নিহত ৩
আত্মঘাতী হামলায় পাকিস্তানের ১৩ সেনাকে হত্যা করেছে ভারত!
৫ বছর পর মেসির পারিশ্রমিক পরিশোধ করল বার্সেলোনা
দুপুরের মধ্যেই ৮ জেলায় ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আভাস
বাকৃবি ডিবেটিং সংঘের সভাপতি অধ্যাপক খায়রুল, সম্পাদক শুভ্র
কুমিল্লায় আলোচিত ধর্ষণের মামলার মূলহোতা গ্রেফতার
কুমিল্লায় ধর্ষণের ঘটনার ভিডিও ভাইরাল, গ্রেফতার ৩
গাজায় ইসরাইলি হামলা, ২৪ ঘণ্টায় ৮১ ফিলিস্তিনি নিহত
ড. ইউনূসের জন্মদিনে তারেক রহমানের পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা
পিআর পদ্ধতির নামে নির্বাচন বানচালের অপচেষ্টা চলছে: সালাহউদ্দিন আহমদ
জোটবদ্ধ ইসলামি দল হবে আগামী দিনের প্রধান রাজনৈতিক শক্তি: চরমোনাই পীর
খামেনির প্রাণ বাঁচালাম, ধন্যবাদটুকুও দিলো না: ট্রাম্প
পুরস্কার না নিয়ে মনু মিয়ার জানাজায় অভিনেতা খায়রুল বাসার
মা হারালেন ব্যান্ড তারকা তানজির তুহিন
ক্ষমতায় গেলে ১৮ মাসে ১ কোটি কর্মসংস্থান নিশ্চিত করবে বিএনপি: আমীর খসরু
ফিলিস্তিনের মতো সাইপ্রাসও দখলে নিচ্ছে ইসরায়েল!