সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫ | ১৫ আষাঢ় ১৪৩২
Dhaka Prokash

নতুন দলের শীর্ষ ছয়টি পদ নিয়ে ‘সমঝোতা’

নাহিদ ইসলাম ও আখতার হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

এ মাসেই বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতৃত্বে নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ হতে যাচ্ছে। নতুন এই রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশের সম্ভাব্য তারিখ ২৬ ফেব্রুয়ারি। রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে দলের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হতে পারে। 

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সামনের সারিতে থাকা ছাত্রনেতারাই নতুন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ পদগুলোতে আসছেন। এই দলের আহ্বায়ক পদে নাহিদ ইসলামের মনোনয়ন নিয়ে শুরু থেকেই জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের কারও কোনো আপত্তি ছিল না। সদস্যসচিব হিসেবে কে আসবেন, মূলত তা নিয়ে মতবিরোধ ছিল। সমঝোতার ভিত্তিতে এই পদে আখতার হোসেনের নাম অনেকটাই চূড়ান্ত। তিনি এখন জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্যসচিব।

নতুন দলের আহ্বায়কের দায়িত্ব নিতে যেকোনো সময় অন্তর্বর্তী সরকার থেকে পদত্যাগ করতে পারেন উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। দলের মুখ্য সংগঠক ও মুখপাত্র পদে দেখা যেতে পারে সারজিস আলম ও হাসনাত আবদুল্লাহকে।

এদিকে জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে আত্মপ্রকাশ করতে যাওয়া নতুন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ ছয়টি পদে কারা আসছেন, তা অনেকটাই চূড়ান্ত হয়েছে। দলের সাংগঠনিক কাঠামোতে ‘সমঝোতার’ ভিত্তিতে নতুন দুটি পদও সৃষ্টি করা হচ্ছে। আহ্বায়ক, সদস্যসচিব, মুখপাত্র এবং মুখ্য সংগঠকের পাশাপাশি জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক ও জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব নামে দুটি পদ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

শীর্ষ ছয়টি পদের বাইরে নতুন দলে গুরুত্বপূর্ণ পদ পেতে পারেন জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন, যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার, তাসনিম জারা ও আরিফুল ইসলাম আদীব, যুগ্ম সদস্যসচিব অনিক রায়, মাহবুব আলম ও অলিক মৃ। এ ছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আবদুল হান্নান মাসউদকেও দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে দেখা যেতে পারে।

নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশের আয়োজন সামনে রেখে জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শতাধিক নেতার সমন্বয়ে প্রস্তুতি কমিটি গঠন করা হয়েছে। গত বুধবার বিকেল থেকে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত রাজধানীর বাংলামোটরে জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রস্তুতি কমিটির প্রথম সভা হয়। সেখানে ২৬ ফেব্রুয়ারি আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠান সামনে রেখে বিভিন্ন দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানের শৃঙ্খলা ও সাংস্কৃতিক আয়োজনসহ বিভিন্ন ধরনের কাজের জন্য কয়েকটি উপকমিটি করা হয় সেই সভায়। তবে গতকাল শুক্রবার রাত পর্যন্ত নতুন দলের নাম চূড়ান্ত হয়নি।


সমঝোতা
তরুণদের নিয়ে নতুন এই রাজনৈতিক দল গঠনের প্রক্রিয়ায় নেতৃত্ব দিচ্ছে জাতীয় নাগরিক কমিটি। এই কমিটিতে বিভিন্ন মতাদর্শের সাবেক ছাত্রনেতারা রয়েছেন। এর মধ্যে ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক নেতাদের একটি অংশ জাতীয় নাগরিক কমিটিতে বেশ সক্রিয়। নতুন দলের দ্বিতীয় শীর্ষ পদে (সদস্যসচিব) ‘পছন্দের নেতাকে’ বসাতে চাইছিল তারা।

অন্যদিকে জাতীয় নাগরিক কমিটিতে থাকা ছাত্রশিবিরের সাবেক নেতাদের সঙ্গে সমঝোতার ভিত্তিতে জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক পদে আলী আহসান জোনায়েদের (শিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সভাপতি) নাম বিবেচনায় আছে। আর দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব পদে আসতে পারেন জাতীয় নাগরিক কমিটির বর্তমান আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। নতুন দলে যুক্ত হতে যাওয়া জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিনজন নেতার সঙ্গে কথা বলে এসব বিষয় নিশ্চিত হওয়া গেছে।

দল গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর চলতি ফেব্রুয়ারি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে শিবিরের সাবেক নেতা ও জাতীয় নাগরিক কমিটির সহমুখপাত্র আরেফীন মোহাম্মদ হিজবুল্লাহ বিষয়টি সামনে আনেন। এ নিয়ে তিনি জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্যসচিব আখতার হোসেনের সঙ্গে কথা বলেন। নতুন দলে সদস্যসচিব পদ নিয়ে ছাত্রশিবিরের সাবেক নেতাদের তৎপরতার বিষয়টি জাতীয় নাগরিক কমিটির একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।

মতবিরোধের একপর্যায়ে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের নিজেদের অবদানের বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তুলে ধরতে থাকেন শিবিরের সাবেক নেতারা। তবে অবদান তুলে ধরতে গিয়ে কেউ যাতে গণ-অভ্যুত্থানের ‘ইতিহাস বিকৃত’ না করেন, ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে এমন আহ্বান জানান অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। একই ধরনের অভিযোগ করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আবদুল হান্নান মাসউদও।

নাগরিক কমিটির দায়িত্বশীল একজন নেতা গতকাল বলেন, নাগরিক কমিটি সবাইকে নিয়েই পথ চলতে চায়। সেই জায়গা থেকে নতুন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ পদগুলো নিয়ে একধরনের বোঝাপড়া হয়েছে। এর ভিত্তিতে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে আলী আহসান জোনায়েদের নাম অনেকটাই চূড়ান্ত করা হয়েছে। তবে যিনি ফেসবুকে বিতর্কের সূত্রপাত করেছেন, তাঁকে আপাতত নতুন দলে কোনো পদে রাখা হচ্ছে না।

নতুন এই সংগঠন সম্পর্কে ধারণা দিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিনের সামনে ১৭ ফেব্রুয়ারি সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সামনের সারিতে থাকা অন্তত সাতজন সমন্বয়ক। তাঁরা জানান, এই ছাত্রসংগঠনের নীতি হবে ‘স্টুডেন্টস ফার্স্ট’ ও ‘বাংলাদেশ ফার্স্ট’।

আহসান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় দপ্তর সেলের সম্পাদক। আর রিফাত রশীদ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নির্বাহী কমিটির সদস্য।

নতুন ছাত্রসংগঠনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে আবদুল কাদেরের নাম প্রায় চূড়ান্ত বলে জানান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একাধিক নেতা। গণ-অভ্যুত্থানের সময় ৯ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করে আলোচনায় আসেন কাদের। কাদেরের সঙ্গে নতুন ছাত্রসংগঠনের সদস্যসচিব হতে পারেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক সানজানা আফিফা অদিতি।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দায়িত্বশীল একজন নেতা জানান, আগামী এপ্রিল-মে মাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নির্বাচন হতে পারে—এমন আলোচনা আছে। যদি নির্বাচন হয়, তাহলে আবদুল কাদের ও আবু বাকেরকে যথাক্রমে ভিপি ও জিএস প্রার্থী করে প্যানেল ঘোষণা করবে নতুন ছাত্রসংগঠন।

আবু বাকের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। কাদের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। শীর্ষ পদের আলোচনায় থাকা জাহিদ আহসান একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের এবং সানজানা আফিফা অদিতি ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। এ ছাড়া তাহমিদ আল মুদাসসির চৌধুরী ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষ ও রিফাত রশীদ ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।

আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়ার আগে তাঁরা বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা করছেন। নতুন ছাত্রসংগঠনের বিষয়ে ঢাকার সাতটি বড় সরকারি কলেজ ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মতামত নেওয়া হচ্ছে। শিগগিরই নতুন এই ছাত্রসংগঠনের আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশ ঘটতে যাচ্ছে।

 

Header Ad
Header Ad

অবশেষে ‘শাটডাউন’ কর্মসূচি প্রত্যাহার করল এনবিআর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা

ছবি: সংগৃহীত

চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ঘোষিত ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি অবশেষে প্রত্যাহার করেছেন। রোববার (২৯ জুন) রাতে ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা শেষে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের সভাপতি হাসান মাহমুদ তারেক এক বিবৃতিতে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।

বিবৃতিতে তিনি জানান, গত ২৮ ও ২৯ জুন এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের ডাকে যে পূর্ণদিবস শাটডাউন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে, তার ফলে দেশের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে অচলাবস্থা তৈরি হয় এবং সামগ্রিকভাবে অর্থনীতিতেও এর প্রভাব পড়ে। এই সংকট নিরসনে দেশের ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ উদ্যোগী হয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনা করেন। অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনায় কিছু বিষয়ে ইতিবাচক প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

হাসান মাহমুদ তারেক আরও বলেন, সরকার রাজস্ব ব্যবস্থার সংস্কারের লক্ষ্যে যে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট উপদেষ্টা কমিটি গঠন করেছে, এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ তা আন্তরিকভাবে স্বাগত জানায়। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, এই কমিটির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে কাজ করে একটি টেকসই রাজস্ব সংস্কারে ভূমিকা রাখা সম্ভব হবে। এসব বিবেচনায় নিয়ে তারা শাটডাউন কর্মসূচি প্রত্যাহার করছেন বলে জানান তিনি।

অন্যদিকে, এনবিআরের চলমান সংকট নিরসনে সরকার ইতোমধ্যে একটি উচ্চপর্যায়ের উপদেষ্টা কমিটি গঠন করেছে। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খানের সভাপতিত্বে গঠিত এই কমিটিতে আরও রয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টারা।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এনবিআরের আওতাধীন কাস্টমস হাউস, আইসিডি, বন্ড কমিশনারেট ও শুল্ক স্টেশনসমূহের সকল শ্রেণির কর্মস্থলকে ‘অত্যাবশ্যকীয় সেবা’ হিসেবে ঘোষণার প্রস্তাবও অনুমোদন করা হয়েছে।

সরকার ও ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের আন্তরিক প্রচেষ্টা এবং এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের ইতিবাচক মনোভাবের ফলে এ সংকট নিরসনের পথে এগোচ্ছে—এমনটাই আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

Header Ad
Header Ad

বাংলাদেশে আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স: জানুন কীভাবে পাওয়া যায় অস্ত্র রাখার অনুমতি

ছবি: এআই

সম্প্রতি আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের নিয়ম-কানুন ও লাইসেন্স পদ্ধতি নিয়ে জোর আলোচনা শুরু হয়েছে। বাংলাদেশে ব্যক্তিগত বা আত্মরক্ষার জন্য বৈধভাবে আগ্নেয়াস্ত্র কেনা, রাখা ও ব্যবহারের জন্য একটি নির্দিষ্ট আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হয়, যা মূলত ১৮৭৮ সালের 'Arms Act' এবং ১৯২৪ সালের 'Arms Rules' আইনের আওতায় পরিচালিত হয়।

কারা আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে পারেন?

আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স পাওয়ার জন্য কিছু নির্ধারিত মানদণ্ড রয়েছে। নিচে উল্লেখযোগ্য শর্তগুলো তুলে ধরা হলো—

আবেদনকারীকে অবশ্যই বাংলাদেশের বৈধ নাগরিক হতে হবে।

আত্মরক্ষার জন্য জীবনহানির আশঙ্কা থাকলে কেবলমাত্র আবেদন করা যাবে।

অস্ত্রের জন্য কমপক্ষে ৩০ বছর বয়স হতে হবে, সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৭০ বছর।

আবেদনকারীকে অবশ্যই আয়কর দাতা হতে হবে এবং ০৩ (তিন) কর বছরে ধারাবাহিকভাবে পিস্তল/ রিভলবার/রাইফেল এর ক্ষেত্রে ন্যূনতম ০৩ (তিন) লক্ষ টাকা এবং শটগান এর ক্ষেত্রে ন্যূনতম ০১ (এক) লক্ষ টাকা আয়কর দিতে হবে। আবেদনকারী কর্তৃক পরিশোধিত আয়করের পরিমাণ উল্লেখসহ এনবিআর কর্তৃক ইস্যুকৃত প্রত্যয়নপত্র আবেদনের সাথে দাখিল করতে হবে।

অনুমোদন পাওয়ার পর দেশীয় কোনো বৈধ অস্ত্র ডিলারের কাছ থেকে বা আমদানি করে অস্ত্র সংগ্রহ করা যাবে।

একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ দুইটি আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

 

কীভাবে আবেদন করবেন?

লাইসেন্স পেতে হলে আবেদনকারীকে নিজ জেলার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের অস্ত্র শাখা থেকে নির্ধারিত আবেদনপত্র সংগ্রহ করতে হবে। এরপর আবেদনপত্র জমা দিয়ে কিছু ধাপ অনুসরণ করতে হয়—

এসবি রিপোর্ট: পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ আবেদনকারীর তথ্য যাচাই করে একটি প্রতিবেদন তৈরি করে।

জেলা প্রশাসকের অনুমোদন: এসবি রিপোর্টের ভিত্তিতে জেলা প্রশাসক আবেদন অনুমোদন করেন।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনাপত্তি পত্র (NOC): এরপর আবেদনটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয় এবং অনাপত্তি পত্র পাওয়ার পরই লাইসেন্স ইস্যু করা হয়।

আবেদনের সঙ্গে যা জমা দিতে হবে:

বৈধ নাগরিকত্বের প্রমাণ (জাতীয় পরিচয়পত্র)

আয়কর সার্টিফিকেটের ফটোকপি

ছয় কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি

নির্ধারিত লাইসেন্স ফি

আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের নিয়ম

২০১৬ সালের "আগ্নেয়াস্ত্র লাইসেন্স প্রদান, নবায়ন ও ব্যবহার নীতিমালা" অনুসারে কেবলমাত্র আত্মরক্ষার জন্য আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এ নীতিমালায় ব্যক্তিগতভাবে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।

'টেস্ট ফায়ার' বা পরীক্ষামূলক গুলি চালনার নিয়ম

নতুন অস্ত্র: প্রথমবার অস্ত্র কেনার পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতিতে ‘টেস্ট ফায়ার’ করা যায়।

নবায়নের সময়: পুরনো অস্ত্রের কার্যকারিতা যাচাই করতে লাইসেন্স নবায়নের সময় ‘টেস্ট ফায়ার’ করতে হয়, তাও জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে।

অনুমতি: টেস্ট ফায়ারের পূর্বে অবশ্যই কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে।

গুলি সংগ্রহের নিয়ম

গুলি কেনার জন্য জেলা প্রশাসকের অনুমতি প্রয়োজন।

গুলির পরিমাণ লাইসেন্সে নির্ধারিত থাকে।

গুলির হিসাব সংশ্লিষ্ট থানা ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জানাতে হয়।

অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ নিয়মাবলি

লাইসেন্সধারীর নামেই অস্ত্র ব্যবহার: মালিক নিজে ব্যবহার করলে তার নামে লাইসেন্স থাকতে হবে। দেহরক্ষী ব্যবহার করলে তার নামেও লাইসেন্স থাকতে হবে।

অস্ত্র হারালে: তাৎক্ষণিকভাবে নিকটস্থ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে হবে।

বিদেশ ভ্রমণে গেলে: আগ্নেয়াস্ত্র থানায় জমা দিয়ে যেতে হবে।

নির্বাচনের আগে: নির্বাচনকালে লাইসেন্সধারীদের অস্ত্র জমা দিতে হয়।

লাইসেন্স নবায়ন: প্রতি বছর লাইসেন্স নবায়ন বাধ্যতামূলক।

বাংলাদেশে আগ্নেয়াস্ত্র রাখা কোনো বিলাসিতা নয়, বরং কঠোর নিয়মকানুনের মধ্য দিয়ে প্রাপ্ত একটি দায়িত্বপূর্ণ অনুমতি। এ সংক্রান্ত আইন ও নির্দেশিকা মান্য করেই একজন নাগরিক অস্ত্রের মালিক হতে পারেন। আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার ও লাইসেন্সের বিষয়টি আইনত সংবেদনশীল হওয়ায় এ বিষয়ে সতর্কতা ও সচেতনতা দুটোই অপরিহার্য।

Header Ad
Header Ad

ভুলবশত ব্যাগে ম্যাগাজিন, বিষয়টি সম্পূর্ণ অনিচ্ছাকৃত: আসিফ মাহমুদ

যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভূঁইয়া। ছবি: সংগৃহীত

যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভূঁইয়া ব্যাগে ম্যাগাজিন পাওয়ার ঘটনায় নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। তিনি দাবি করেছেন, ঘটনাটি সম্পূর্ণ অনিচ্ছাকৃত এবং তাঁর লাইসেন্সপ্রাপ্ত বৈধ অস্ত্রের অংশ হিসেবে একটি ম্যাগাজিন ভুলবশত ব্যাগে থেকে গেছে।

রোববার (২৯ জুন) সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, “নিরাপত্তার স্বার্থে আমার একটি লাইসেন্স করা বৈধ অস্ত্র রয়েছে। গণঅভ্যুত্থানের নেতৃত্বে অংশ নেওয়ার পর আমার ওপর কয়েকবার হামলা ও হত্যাচেষ্টা হয়েছে। তাই যখন সরকারি প্রোটোকল বা সিকিউরিটি থাকে না, তখন নিজের এবং পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই এই অস্ত্র ব্যবহার করা হয়।”

তিনি জানান, মরক্কোর মারাকেশে অনুষ্ঠিতব্য ‘ওআইসি ইয়ুথ ক্যাপিটাল ইন্টারন্যাশনাল প্রোগ্রামে’ অংশ নিতে আজ ভোর ৬টা ৫০ মিনিটের ফ্লাইটে যাওয়ার কথা ছিল। ভোরে তাড়াহুড়োর মধ্যে প্যাকিং করার সময় একটি ম্যাগাজিন ভুল করে ব্যাগে থেকে যায়। স্ক্যানিংয়ে ধরা পড়ার পর সেটি তিনি নিজেই তার প্রোটোকল কর্মকর্তার কাছে হস্তান্তর করেন।

আসিফ মাহমুদ বলেন, “শুধু ম্যাগাজিন দিয়ে আমি কী করব? যদি আমার কোনো খারাপ উদ্দেশ্য থাকত, তাহলে অস্ত্র রেখে আসতাম না। এখানে অবৈধ কিছু ছিল না, কিন্তু এটাকে ঘিরে অনেকে অপ্রয়োজনীয় আলোচনা করছে।”

সংবাদপত্রে খবর চাপা দেওয়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “চাপ দিয়ে সংবাদ সরানোর অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। ঘটনার পর আমি ফ্লাইটে ছিলাম। অনেকক্ষণ পরে ইন্টারনেটে এসে দেখি, ইতোমধ্যে বিষয়টি নিয়ে নানা খবর ছড়িয়ে পড়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “নাগরিক হিসেবে কেউ যদি নিরাপত্তার ঝুঁকিতে থাকেন, তবে নিয়ম মেনে তিনিও অস্ত্রের লাইসেন্স নিতে পারেন।”

এই ঘটনায় কোনো আইনি জটিলতা তৈরি হয়নি বলে জানা গেছে। তবে সামাজিক মাধ্যমে বিষয়টি ঘিরে আলোচনার ঝড় উঠেছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

অবশেষে ‘শাটডাউন’ কর্মসূচি প্রত্যাহার করল এনবিআর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা
বাংলাদেশে আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স: জানুন কীভাবে পাওয়া যায় অস্ত্র রাখার অনুমতি
ভুলবশত ব্যাগে ম্যাগাজিন, বিষয়টি সম্পূর্ণ অনিচ্ছাকৃত: আসিফ মাহমুদ
মৌলিক সংস্কারে ঐকমত্য এখনও অনেক দূর: আখতার হোসেন
ঢাকায় চালু হচ্ছে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক কার্যালয়
এনবিআরের শীর্ষ ৬ কর্মকর্তার দুর্নীতি তদন্তে দুদক
বিএনপি–ছাত্রদলের বিরুদ্ধে শিবিরের পরিকল্পিত অপপ্রচারের অভিযোগ নাছিরের
আবাসিক হোটেল থেকে স্বামী–স্ত্রী ও ছেলের লাশ উদ্ধার
প্রথমবারের মতো ৩০ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল রেমিট্যান্স
ইমাম-খতিবদের বেতন ২০১৫ সালের পে-স্কেল অনুযায়ী দিতে অর্থ মন্ত্রণালয়ে চিঠি
আ.লীগ নেতাদের সঙ্গে সেই ফজর আলীর ছবি ভাইরাল
জনগণ ও অর্থনীতির স্বার্থে ছাড় নয়, এনবিআর কর্মীদের উদ্দেশ্যে কঠোর বার্তা
ক্লাব বিশ্বকাপে আজ মেসির সামনে সাবেক ক্লাব পিএসজি
অ্যান্টি-এজিং ওষুধেই মৃত্যু? রহস্যে ঢাকা শেফালি জারিওয়ালার অকালপ্রয়াণ
উত্তরায় হোটেল দখলের চেষ্টা, ‘মব সৃষ্টি’র ঘটনায় আটক ৯ জন
সান্তাহারে কানে হেডফোন লাগিয়ে রেললাইনে হাঁটার সময় ট্রেনের ধাক্কায় নিহত যুবক
ভিজিট ভিসার মেয়াদোত্তীর্ণ সৌদি প্রবাসীদের জন্য সুখবর
আ.লীগ নেতার অপকর্ম বিএনপির ওপর চাপানোর চেষ্টা চলছে: রিজভী
৮ আগস্ট ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’ বাতিল করল সরকার
ঢাকায় বিষধর রাসেলস ভাইপার সাপ উদ্ধার