বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫ | ১২ আষাঢ় ১৪৩২
Dhaka Prokash

সাবেক সিইসি হাবিবুল আউয়ালকে এখনো গ্রেফতার করা হয়নি: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

সোমবার (২২ জুন) সকালে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা (বামে) এবং সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। ছবি: সংগৃহীত

সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালকে গ্রেফতারের বিষয়ে সংবাদ অস্বীকার করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

সোমবার (২২ জুন) সকালে গাজীপুরের মৌচাকে হর্টিকালচার সেন্টার পরিদর্শনের সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “সাবেক সিইসি হাবিবুল আউয়ালকে এখনো গ্রেফতার করা হয়নি। গতকাল তার গ্রেফতারের যে খবর প্রচারিত হয়েছে, তা সঠিক নয়।”

এ সময় তিনি আরো জানান, রোববার উত্তরা এলাকা থেকে সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ কে এম নুরুল হুদাকে স্থানীয়দের সহায়তায় আটক করে পুলিশে হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে গ্রেফতারের সময় যেভাবে তাকে ঘিরে মব জাস্টিসের পরিস্থিতি তৈরি হয়, তা অনভিপ্রেত বলে মন্তব্য করেন উপদেষ্টা।

তিনি বলেন, “আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতিতে যদি এমন কোনো ঘটনা ঘটে থাকে, তবে বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, নির্বাচন কমিশনের সাবেক কোনো কর্মকর্তাকে আইনের বাইরে কোনোভাবে অপমান করা উচিত নয়। সকলেরই আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া প্রয়োজন।

গাজীপুর হর্টিকালচার সেন্টার পরিদর্শনকালে জেলা প্রশাসক নাফিসা আরেফীন, পুলিশ সুপার ড. চৌধুরী যাবের সাদেক, কেন্দ্রের প্রধান এনামুল হকসহ কৃষি মন্ত্রণালয় এবং পুলিশ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সেন্টারের বিভিন্ন স্থাপনা ঘুরে দেখেন এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

প্রসঙ্গত, আগের দিন বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে কাজী হাবিবুল আউয়ালকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গ্রেফতার করেছে। পরে ডিবির এক কর্মকর্তা সেই দাবি অস্বীকার করেন। আজ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বক্তব্যে বিষয়টি স্পষ্ট হয়।

সাবেক সিইসিদের বিরুদ্ধে নানা সময় দুর্নীতি, ভোট কারচুপি ও পক্ষপাতের অভিযোগ উঠেছে, যা বর্তমানে জনসাধারণ ও রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে।

Header Ad
Header Ad

প্রবাসে বসবাসরত ৪৭ হাজার বাংলাদেশির এনআইডি আবেদন

ছবি: সংগৃহীত

বিদেশে বসবাসরত প্রায় ৪৭ হাজার বাংলাদেশি নাগরিক জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) পাওয়ার জন্য আবেদন করেছেন বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সম্প্রতি প্রবাসীদের ভোটার নিবন্ধন সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত ৯টি দেশে প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এ দেশগুলো থেকে মোট ৪৬ হাজার ৯৮২টি আবেদন পাওয়া গেছে। এর মধ্যে অর্ধেকের বেশি আবেদন ইতোমধ্যে যাচাই-বাছাই শেষে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ এস এম হুমায়ূন কবীর বলেন, “আগামী ১৫ জুলাই থেকে জাপানে ভোটার কার্যক্রম শুরু হবে। এছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকা ও যুক্তরাষ্ট্রেও আমরা দ্রুত কার্যক্রম চালু করতে পারব বলে আশা করছি।”

প্রতিবেদনে বলা হয়, উপজেলা নির্বাচন অফিসে বর্তমানে তদন্তাধীন রয়েছে ২২ হাজার ৫৭৫টি আবেদন। ইতোমধ্যে ২০ হাজার ২৬৬টি আবেদন যাচাই শেষে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে আরও ৪৯৫টি আবেদন। অন্যদিকে, সংশ্লিষ্ট ৯টি দেশের বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে আঙুলের ছাপ ও ছবি সংগ্রহ করা হয়েছে ২৫ হাজার ৫৫০ জন আবেদনকারীর।

দেশভিত্তিক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, সবচেয়ে বেশি আবেদন জমা পড়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে—মোট ১৯ হাজার ৫৬২টি। অন্যদিকে, সবচেয়ে কম আবেদন জমা পড়েছে অস্ট্রেলিয়া থেকে—মাত্র ১৫৩টি। এছাড়া, বিভিন্ন কারণে যাচাই-বাছাই শেষে ৩ হাজার ৬৪৬টি আবেদন বাতিল করা হয়েছে।

নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা জানান, প্রবাসীদের জন্য এনআইডি কার্যক্রমকে সহজ ও কার্যকর করতে দূতাবাসের সহযোগিতায় তথ্য সংগ্রহ, ছবি ও আঙুলের ছাপ গ্রহণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এতে করে বিদেশে থাকা বাংলাদেশিরা সহজেই ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারবেন এবং প্রয়োজনীয় নাগরিক সুবিধা গ্রহণ করতে সক্ষম হবেন।

Header Ad
Header Ad

ইসরায়েলি চারটি যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিত করেছিলেন যে বাঙালি পাইলট

ছবি: সংগৃহীত

১৯৬৭ সালের জুন মাস। ইসরায়েল হঠাৎ হামলা চালায় আরব দেশগুলোর ওপর। পাঁচ দিনে ধ্বংস করে দেয় মিশরের দুই শতাধিক যুদ্ধবিমান। জর্ডানের মাফরাক ঘাঁটিতেও আক্রমণ চালায় ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান। কিন্তু সেদিন, এক বাঙালি পাইলট বদলে দেন যুদ্ধের দৃশ্যপট।

তিনি ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট সাইফুল আজম। তখন ছিলেন পাকিস্তান বিমান বাহিনীর সদস্য। জর্ডান সরকারের আহ্বানে জর্ডান বিমান বাহিনীর হয়ে লড়তে যান। ৫ জুন, নিজের হান্টার যুদ্ধবিমানে চড়েই মাফরাকের আকাশে তিনি গুলি করে ভূপাতিত করেন ইসরায়েলের একটি ‘মিস্টেয়ার’ জেট। পরে ইরাকে গিয়েও ৭ জুন ভূপাতিত করেন আরও দুটি ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান।

এখানেই শেষ নয়। এর আগে, ১৯৬৫ সালের পাক-ভারত যুদ্ধে ভারতের একটি যুদ্ধবিমানও গুলি করে ধ্বংস করেছিলেন সাইফুল। এভাবে তিনি একমাত্র পাইলট যিনি চারটি ইসরায়েলি ও একটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিত করেন—তাও চারটি ভিন্ন দেশের হয়ে লড়াই করে: পাকিস্তান, জর্ডান, ইরাক এবং পরে স্বাধীন বাংলাদেশের বিমান বাহিনীতে যোগ দিয়ে ইতিহাস গড়েন।

জীবনভর সাহস, দক্ষতা ও নৈতিকতা দেখানো এই বীর পাইলট ২০০১ সালে ‘লিভিং ঈগল’ হিসেবে আন্তর্জাতিক হল অব ফেমে স্থান পান। পরবর্তীতে তিনি বাংলাদেশে এমপি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। ২০২০ সালে মৃত্যুর পর ইসরায়েলি সংবাদপত্রেও প্রশংসিত হন এই বাঙালি।

সাইফুল আজম—শুধু একজন পাইলট নন, তিনি ইতিহাসের এক জীবন্ত কিংবদন্তি। যিনি আকাশে নিজের প্রতিভা দিয়ে রচনা করেছিলেন অসম্ভবকে সম্ভব করার এক অনন্য উপাখ্যান।

Header Ad
Header Ad

পার্বত্য চট্টগ্রামের গহীন অরণ্যে চিতা বাঘের অস্তিত্বের নতুন প্রমাণ

ছবি: সংগৃহীত

পার্বত্য চট্টগ্রামের গহীন অরণ্যে আবারও দেখা মিলেছে চিতা বাঘের। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে কাজ করা সংস্থা ক্রিয়েটিভ কনজারভেশন অ্যালায়েন্স (সিসিএ) সম্প্রতি বান্দরবানের একটি সংরক্ষিত বনে ক্যামেরা ট্র্যাপের মাধ্যমে এশিয়াটিক প্রজাতির একটি চিতাবাঘের ছবি ধারণ করেছে। চলতি জুন মাসেই স্থাপিত ক্যামেরায় এই বিরল প্রাণীটি ধরা পড়ে, যা দীর্ঘদিনের ধারণার বাস্তব ভিত্তি দিল।

এই আবিষ্কার প্রমাণ করে যে, পার্বত্য চট্টগ্রামের বনভূমিতে এখনও চিতা বাঘের অস্তিত্ব রয়েছে। ঐতিহাসিকভাবে ১৯০৬ সালের একটি রেকর্ডে সাঙ্গু ও মাতামুহুরী অববাহিকার বনে চিতা বাঘের উপস্থিতির তথ্য পাওয়া গিয়েছিল। তবে সাম্প্রতিক সময়েও এই বিরল প্রাণীকে ক্যামেরায় ধরা পড়তে দেখা গেছে।

সিসিএ প্রধান নির্বাহী শাহরিয়ার সিজার জানিয়েছেন, প্রাণীটির নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে সঠিক অবস্থান গোপন রাখা হয়েছে, যাতে কোনো শিকারি এর ক্ষতি করতে না পারে। তিনি আরও জানান, ২০১৫ সালেও পার্বত্য চট্টগ্রামে একটি চিতা বাঘের উপস্থিতি রেকর্ড করা হয়েছিল, তবে বর্তমানে সংখ্যাটি আরও হ্রাস পেয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এদিকে, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক এবং বাঘ বিশেষজ্ঞ ড. মনিরুল এইচ খান এই আবিষ্কারকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, অঞ্চলটি চিতাবাঘের প্রজনন ও বিচরণের জন্য উপযুক্ত হলেও শিকারি ও বন উজাড়ের মতো হুমকিগুলো এর অস্তিত্বের জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে গবেষকরা ধারণকৃত চিতাবাঘটির লিঙ্গ ও অন্যান্য বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণে কাজ করছেন।

এই আবিষ্কার বাংলাদেশের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের দিক থেকে নতুন আশার আলো দেখাচ্ছে, বলেও মনে করছেন গবেষকরা।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

প্রবাসে বসবাসরত ৪৭ হাজার বাংলাদেশির এনআইডি আবেদন
ইসরায়েলি চারটি যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিত করেছিলেন যে বাঙালি পাইলট
পার্বত্য চট্টগ্রামের গহীন অরণ্যে চিতা বাঘের অস্তিত্বের নতুন প্রমাণ
আজ থেকে শুরু এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা
২০২৬ সালে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে বাংলাদেশ!
১৬ জুলাই ‘শহীদ আবু সাঈদ’, ৮ আগস্ট ‘নতুন বাংলাদেশ’ দিবস ঘোষণা
জার্মানি বাংলাদেশের উন্নয়নের অংশীদার: প্রধান উপদেষ্টা
ইসরায়েলে আবারও ড্রোন হামলা
এবার ‘জুলাই যোদ্ধা’ তালিকায় ছাত্রলীগ নেতার নাম!
দেশে আজ ২৬ জনের করোনা শনাক্ত
ইরান-ইসরায়েল বাচ্চাদের মতো মারামারি করছিল, আমি থামিয়েছি : ট্রাম্প
স্ত্রীকে হত্যা: ‘অপারেশন সিঁদুরে’ অংশ নেয়ায় দায়মুক্তি চান ভারতীয় কমান্ডো!
মুক্তিযুদ্ধসহ অতীতের সব ভুলের জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন জামায়াতের আমির
নীলফামারীতে বিএনপির সদস্য সংগ্রহের দায়িত্বে সাইদুর রহমান রয়েল
হাসিনার সেই ‘৪০০ কোটি টাকার’ পিয়নের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট-সঞ্চয়পত্র ফ্রিজ
আশুরা ও রথযাত্রা উপলক্ষে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে: ডিএমপি কমিশনার
যমুনা সেতু মহাসড়কে ৫৯ লাখ টাকার মালামালসহ ট্রাক ডাকাতি, গ্রেফতার ২
‘প্রজাপতি ২’ থেকে ফারিণকে বাদ, দেবের বিপরীতে নতুন মুখ
ডেঙ্গুতে একদিনে আরও দুইজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৩২৬ জন
সাবেক গভর্নর কুমোর হার, নিউইয়র্কের সম্ভাব্য মেয়র মুসলিম তরুণ মামদানি