শুক্রবার, ৯ মে ২০২৫ | ২৬ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

বাজেট বিষয়ে একটি গাণিতিক সমাধান দরকার

বাজেটের মূল বিষয় হলো–বাজেট অবশ্যই বড় হবে। টাকার অঙ্ক আরও বড় হবে। বাংলাদেশের অর্থনীতি, বাজার বড় হচ্ছে। এখন আসল কথা হলো–বাজেট কোন খাতে কীভাবে বরাদ্দ হবে, কোন কোন খাতে খরচ করা হবে, আর কীভাবে রাজস্ব আদায় করা হবে, সেটা দেখতে হবে। অর্থ আদায়ের বিষয়ে যেটুকু সম্ভব কর আদায় বা ইনকাম ট্যাক্সের বোঝা না বাড়িয়ে, যতটুকু সম্ভব সহনীয়ভাবে রাজস্ব আদায় করা উচিত।

প্রত্যক্ষ কর আদায়ে গুরুত্ব দেওয়া উচিত বলে আমি মনে করি। দুঃখজনক হলো–বাংলাদেশ ভ্যাটের উপর নির্ভরশীল বেশি। ভ্যাট হলো পরোক্ষ কর। অনেকেই ঠিক মতো ট্যাক্স দেয় না। মানুষের উপর কর বোঝা মনে হওয়ার কারণে ট্যাক্স ফাঁকি দেওয়ার প্রবণতা আরও বাড়ছে। অনেকের টিন আছে, ট্যাক্স দেন না। সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে, লিকেজ যেন না হয়। ঘাটতি বাজেট তো হবেই। তবে তা যতটা সম্ভব দেশীয় উৎস থেকে নিতে হবে। বাইরের উৎস থেকে অর্থ নেওয়াটা এড়িয়ে যাওয়া উচিত। অধিক সুদে ঋণ না নিয়ে ওয়ার্ল্ড ব্যাংকসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে সফট লোন বা স্বল্প সুদে ঋণ নেওয়াটা অধিক গ্রহণযোগ্য।

আমার মতে, সবচেয়ে জরুরি হলো স্বাস্থ্য, শিক্ষা, চিকিৎসা ও অবকাঠামো খাতে মনোযোগ দেওয়া। বাজেটে অবকাঠামো খাতে পর্যাপ্ত বরাদ্দ থাকে। অথচ আমাদের দেশে স্বাস্থ্যখাতে মাত্র পাঁচ শতাংশ ব্যয় করা হয়, যেটি মোটেও কাম্য নয়। এখন তো আরও বড় চ্যালেঞ্জ আসছে। সেখানে মাত্র পাঁচ শতাংশ তো একেবারেই কম। এটি বাড়াতে হবে। শুধু বাড়ানো নয়, সঠিক ব্যবহার করতে হবে–অপচয় যেন না হয়। দুর্নীতি যেন না হয়।

শিক্ষার ক্ষেত্রে ১২ শতাংশের মতো বরাদ্দ থাকে। আসল যে শিক্ষা খাতের উন্নয়ন, ক্লাসরুমের উন্নতি, শিক্ষার্থীদের মানোন্নয়নসহ শিক্ষকদের ট্রেনিংয়ের ক্ষেত্রে অবহেলা দেখা যায়। আগে কিন্তু এ রকম ছিল না। আগে শিক্ষকদের ট্রেনিং ছিল আবশ্যক।

সবচেয়ে বড় একটা বিষয় হলো–সামাজিক সুরক্ষাবোধ। সামাজিক নিরাপত্তা। যেমন–বয়স্ক ভাতা, প্রতিবন্ধীদের সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা, অবসরে পেনশন প্রদানসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে আরও বেশি মনোযোগ দেওয়া দরকার বলে আমি মনে করি। সামাজিক নিরাপত্তার কথা বলা হলেও এটি আসলে এই খাতে ব্যবহার করা হয় না। যা বরাদ্দ থাকে, সেটিও সঠিক ব্যবহার হয় না।

কৃষি খাতেও কিন্তু প্রণোদনা অপেক্ষাকৃত কম। কৃষকদের মানোন্নয়নে আরও বেশি ভর্তুকি দিতে হবে। পেট্রল, ডিজেল, বিদ্যুৎ ইত্যাদির দাম বেড়েছে। অথচ তা কমানো দরকার ছিল।

রপ্তানি খাতেও দেখা যায় তৈরি পোশাক (আরএমজি) খাতে প্রণোদনা বেশি থাকে। কিছু কিছু ক্ষেত্র যেমন–পাট, চামড়া, সিরামিক ক্ষেত্রে আরও প্রণোদনা দেওয়া দরকার। আমার মনে হয় এখানে এক ধরনের ভারসাম্যহীনতা রয়েছে।

বাজেটের ক্ষেত্রে আমি মনে করি, মানুষের সামাজিক নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে তাদের কীভাবে আরেকটু উন্নত জীবনযাত্রার অংশীদার করা যায়, সেটি খেয়াল রাখা খুব দরকার। আমাদের দেশে আয় এবং বণ্টনের বৈষম্য দিন দিন বাড়ছে। বেশিরভাগ কর্মকাণ্ডের সুফল ভোগ করে ধনী বা উচ্চ মধ্যবিত্ত শ্রেণি। এগুলোতে কাউন্টার করতে হলে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি এসব ক্ষেত্রগুলোতে ব্যালেন্স করতে হবে।

বাজেটকে উন্নয়নের জায়গা থেকে করতে হবে। এ উন্নয়ন হবে সাধারণ মানুষের উন্নয়ন। সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার মান যেন উন্নত হয়। সাধারণ মানুষকে উপকৃত করতে হলে আয় বৈষম্য কমাতে হবে। সুষম উন্নয়নের দিকে বেশি নজর দিতে হবে। বাংলাদেশ গঠনের একটা মূল লক্ষ্য ছিল অর্থনৈতিক মুক্তি। সে লক্ষ্য কতটুকু ফলপ্রসূ করতে পারছি? বাজেট তো এ লক্ষ্য অর্জনের একটি হাতিয়ার।

আমাদের বাজেট ইমপ্লিমেন্টেশন বা বাস্তবায়বন ঠিকভাবে হয়না বলেই বাজেট অনেক দুর্বল। বিভিন্ন ধরনের প্রকল্প নেওয়া হয়; কিন্তু আমরা দেখি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কালক্ষেপণ। দুই বছরের প্রকল্প পাঁচ বছরে যায়, পাঁচ বছরেরটি আরও দীর্ঘমেয়াদি। ফলে এটার খরচ বেড়ে যায়। আমাদের বাস্তবায়নটা সবচেয়ে দুর্বল অবস্থায় আছে। আমার মনে হয় প্রাতিষ্ঠানিক দক্ষতা এবং জবাবদিহিতা না হলে সেটি ফলপ্রসু হবে না।
সরকার যে আলোচনা করে তা শুধু শিল্প বা বনিক সমিতির প্রতিনিধিদের সাথে। সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ নেই।

স্থানীয় পর্যায়ে যেসকল প্রতিনিধি আছে ,তাদের সাথে আলোচনা করতে হবে, তাদের মতামত নিতে হবে। এমপিরা বলে তাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিল করার জন্য এই লাগবে সেই লাগবে। তাতে কিন্তু মানুষের চাহিদার প্রতিফলন ঘটে না। সবচেয়ে দুর্বলতা হলো সংসদে যেটি আলোচনা হয়, সেটি মোটেও অর্থবহ না। কন্সট্রাক্টিভ আলোচনা সেখানে হয় না।

বাজেটের বিরুদ্ধে গঠনমূলক সমালোচনার জায়গাটি তো আর নেই বললেই চলে। সংসদ সদস্যদেরও দোষ আছে। বাইরে থেকে যেটুকু সমালোচনা হয়, সেটি আমলে নেওয়া হয় না। কাজেই বাজেট প্রণয়নের দিকটিও আমাদের আরও বেশি চিন্তাভাবনা করে করতে হবে। বাজেট বরাদ্দ এবং সমন্বয়ের বিষয়ে আরও বেশি নজর দিতে হবে। একটি গাণিতিক সমাধান দরকার। এত টাকা আয় করব, এত টাকা খরচ করব। তা না হলে বাজেট আসলে কোনোভাবেই অর্থবহ হবে না।

লেখক: সাবেক গভর্নর, বাংলাদেশ ব্যাংক

এসএ/

Header Ad
Header Ad

নওগাঁয় দুলাভাইয়ের বাড়িতে বেড়াতে এসে গ্রেপ্তার স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে এসে গ্রেপ্তার হলেন রাজশাহীর সাবেক মেয়র খায়রুজ্জামান লিটনের এপিএস আব্দুল ওয়াহেদ খান টিটুকে (৪০)। শুক্রবার (৯ মে) ভোর তিনটার দিকে পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে উপজেলার চাকরাইল এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় টিটুকে আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে ওই বাড়ির মালিক আব্দুল ওহাব চৌধুরী সাগরকেও (৪৫) গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

অপরদিকে একই দিনে পৃথক পৃথক অভিযান চালিয়ে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের আরও তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তার আব্দুল ওয়াহেদ খান টিটু (৪০) রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র খায়রুজ্জামান লিটনের এপিএস এবং রাজশাহীর বোয়ালিয়া থানার রাণীবাজার এলাকার মৃত আব্দুল ওয়াদুদ খানের ছেলে। এছাড়া তিনি রাজশাহী মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ এর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলে জানা গেছে।

অপরদিকে গ্রেপ্তার বাড়ির মালিক আব্দুল ওহাব চৌধুরী সাগর (৪৫) চাকরাইল এলাকার মৃত সাব্বির আহমেদ চৌধুরীর ছেলে।

অপর গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, উপজেলার আধাইপুর ইউনিয়নের বসন্তপুর গ্রামের মৃত মহির উদ্দিনের ছেলে এবং উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি ও ওই ইউনিয়নের মেম্বার আমিনুল ইসলাম উজ্জল (৪০), রাজাপুর এলাকার বাবুল হোসেনের ছেলে ও আওয়ামীলীগের সমর্থক মিলন হোসেন (৩৮) এবং বালুভরা ইউনিয়নের চকগোপালপুর গ্রামের মৃত অশোক কুমার সরকারের ছেলে ও আওয়ামীলীগের সমর্থক পুলকেশ সরকার (৫২)।

জানা যায়, গ্রেপ্তারকৃত আব্দুল ওয়াহেদ খান টিটু বাসার মালিক সাগর চৌধুরীর ভাই টিটুর সম্পর্কে বড় শ্যালক। সেই সুবাদে আব্দুল ওয়াহেদ খান টিটু গত বুধবার রাতে বেড়াতে আসে। এরপর গোপনে সেখানে লুকিয়ে ছিল। বিষয়টি জানাজানি হলে ওই বাসা ঘেরাও করে রাখে স্থানীয় জনতা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে নিয়ে আসে।

এদিকে গ্রেপ্তারকৃত ৫ জনের মধ্যে ৪ জনকে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটনার মামলায় গ্রেপ্তার দেখালেও বাড়ির মালিক সাগর চৌধুরীকে নিয়ে চলছে নাটকীয়তা। তাকে কোন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হবে তা নিয়ে চলছে আইনগত আলোচনা।

সকলকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন বদলগাছী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, খবর পেয়ে শুক্রবার ভোর রাতে চাকরাইল এলাকায় সাগর চৌধুরীর বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। এসময় ওয়াহেদ খান টিটুকে গ্রেপ্তার করা হয়। সেই সাথে বাড়ির মালিককেও গ্রেপ্তার করা হয়। এছাড়া একই রাতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তারকৃত ৫ জনের মধ্যে ৪ জনকে ঘটে যাওয়া ককটেল বিস্ফোরণ ঘটনার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আর বাড়ির মালিক সাগর চৌধুরীর ব্যাপারে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। তাকে নিয়ে আইনগত প্রক্রিয়া চলমান আছে।

উল্লেখ, গত বছরের ৫ নভেম্বর বদলগাছী উপজেলার গোবরচাঁপা হাট এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে (আজ) শুক্রবার তাদেরকে আদালতে পাঠানোর কথা রয়েছে।

Header Ad
Header Ad

বাংলাদেশ সফরে আসছে না ভারত, অনিশ্চিত এশিয়া কাপ

ছবি: সংগৃহীত

চলতি বছরের আগস্টে বাংলাদেশ সফরে তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলতে আসার কথা ছিল ভারতের। পাশাপাশি সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠেয় এশিয়া কাপ নিয়েও ক্রিকেটপ্রেমীদের প্রত্যাশা ছিল তুঙ্গে। কিন্তু হঠাৎ করে বদলে যাওয়া ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) এই সফর এবং এশিয়া কাপ উভয় ইভেন্টেই অনাগ্রহ প্রকাশ করেছে।

ভারতীয় দৈনিক টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, বিসিসিআই স্পষ্টতই জানিয়েছে—ভারত বাংলাদেশ সফর করবে না এবং এশিয়া কাপেও অংশ নেবে না। এ সময়টিতে বরং স্থগিত হয়ে যাওয়া আইপিএলের বাকি ম্যাচ আয়োজন করার পরিকল্পনা করছে তারা।

গতকাল (৮ মে) ধর্মশালায় পাঞ্জাব কিংস ও দিল্লি ক্যাপিটালসের মধ্যকার ম্যাচ চলাকালে হঠাৎ নিরাপত্তাজনিত কারণে ফ্লাডলাইট নিভিয়ে খেলা বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে জানানো হয়, ম্যাচটি স্থগিত করা হয়েছে। এর আগে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান সামরিক উত্তেজনা পরিস্থিতি আরও জটিল করে তোলে। ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে বন্দুকধারীদের হামলার জবাবে ভারত পাকিস্তানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়, যার পর পাকিস্তানও পাল্টা প্রতিক্রিয়া দেখায় বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ধর্মশালার ঘটনার পর আইপিএলের সব ক্রিকেটার ও স্টাফরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এবং ম্যাচ শেষে তারা তড়িঘড়ি করে সেখান থেকে বেরিয়ে যান। বিসিসিআই তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাকেই এখন সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছে।

 

ছবি: সংগৃহীত

সূচি অনুযায়ী, আইপিএল চলতি মে মাসেই শেষ হওয়ার কথা ছিল। এরপর জুনের শুরুতে ইংল্যান্ডে পাঁচ টেস্টের সিরিজ খেলতে যাওয়ার কথা রয়েছে ভারতীয় দলের। কিন্তু ধর্মশালার ঘটনার জেরে বিসিসিআই আইপিএলের অবশিষ্ট ১৬টি ম্যাচ পিছিয়ে দিয়ে পরে আয়োজনের চিন্তা করছে। এর ফলে জুন-সেপ্টেম্বর সময়টায় আন্তর্জাতিক সফর কিংবা এশিয়া কাপ আয়োজন সম্ভব নয় বলেই জানানো হয়েছে।

টাইমস অব ইন্ডিয়া জানায়, বিসিসিআই এমনকি বাংলাদেশ সফর ও এশিয়া কাপ বাতিলের সিদ্ধান্তে নমনীয় হওয়ার কোনো ইঙ্গিতও দিচ্ছে না।

এ সিদ্ধান্ত দক্ষিণ এশিয়ার ক্রিকেটের জন্য একটি বড় ধাক্কা। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) এবং এসিসি (এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল) হয়তো ভারত ছাড়া বিকল্প ব্যবস্থার চিন্তা করতে পারে, কিন্তু টুর্নামেন্টের আকর্ষণ ও বাণিজ্যিক গুরুত্ব ভারত ছাড়া অনেকটাই কমে যাবে।

Header Ad
Header Ad

আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে উত্তাল শাহবাগ, জনস্রোতে ভরপুর রাজপথ

ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে বিক্ষোভ ও অবরোধ কর্মসূচিতে উত্তাল হয়ে উঠেছে রাজপথ। হাজার হাজার ছাত্র, যুবক ও সাধারণ জনগণের অংশগ্রহণে শুক্রবার (৯ মে) বিকেল থেকে এ অবরোধ শুরু হয়।

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহর আহ্বানে এ কর্মসূচি শুরু হয়। তিনি সকালে যমুনা ভবনের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “বাদ জুমা শাহবাগ ফোয়ারার সামনে জনসমুদ্র গড়ে উঠবে। আজ বোঝা যাবে দেশের মানুষ আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ চায় কি না।”

বিকেল ৪টা ৪০ মিনিটে মিন্টো রোড থেকে মিছিল নিয়ে শাহবাগে পৌঁছে আন্দোলনকারীরা অবরোধ শুরু করেন। রাস্তার মাঝে বসে পড়ে তারা স্লোগানে স্লোগানে উত্তপ্ত করে তোলে চারদিক।

এ সময় ‘ব্যান ব্যান আওয়ামী লীগ’, ‘একটা একটা লীগ ধর, ধরে ধরে জেলে ভর’, ‘ফাঁসি চাই শেখ হাসিনার’—এমন নানা স্লোগান দিতে শোনা যায়।

অবরোধে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), ছাত্রশিবির, আপ বাংলাদেশ, গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, ইনকিলাব মঞ্চসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতা-কর্মীরা অংশ নেন। বিকেল ৫টার দিকে আপ বাংলাদেশের আহ্বায়ক আলী আহসান জুনায়েদের নেতৃত্বে একটি বড় মিছিল শাহবাগে এসে যোগ দেয়।

সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বাংলামোটর দিক থেকে ঢাকা মহানগর শিবিরের শত শত নেতাকর্মী মিছিলসহ শাহবাগে এসে যোগ দেন এবং শিবির-শিবির স্লোগানে মুখর করে তোলেন মোড়টি।

এছাড়া কওমি মাদ্রাসার বিভিন্ন স্তরের ছাত্রদের উপস্থিতিও দেখা যায় বিক্ষোভস্থলে। আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, “যতক্ষণ না আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে সরকারিভাবে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত তারা রাজপথ ছাড়বেন না।”

অবরোধের কারণে শাহবাগ থেকে সায়েন্সল্যাব, বাংলামোটর, টিএসসি ও মৎস্যভবন অভিমুখে যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। এতে আশপাশের এলাকায় তীব্র যানজট দেখা দিয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

নওগাঁয় দুলাভাইয়ের বাড়িতে বেড়াতে এসে গ্রেপ্তার স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা
বাংলাদেশ সফরে আসছে না ভারত, অনিশ্চিত এশিয়া কাপ
আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে উত্তাল শাহবাগ, জনস্রোতে ভরপুর রাজপথ
বিএনপি ছাড়া সব রাজনৈতিক দল এখন শাহবাগে: সারজিস আলম
শিক্ষার্থী পারভেজ হত্যায় গ্রেপ্তার টিনা ৩ দিনের রিমান্ডে
চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড ৪১.০২ ডিগ্রি সেলসিয়াস; বইছে তীব্র তাপপ্রবাহ
কাশ্মীরে ফের বিএসএফের গুলি, ৭ পাকিস্তানি নিহত: দিল্লির দাবি বিচ্ছিন্নতাবাদী
নওগাঁয় ককটেল বিস্ফোরণে উড়ে গেল বাড়ির টিন
ভারত-পাকিস্তান সংঘাত ‘আমাদের বিষয় নয়’: যুক্তরাষ্ট্র
দেশের তীব্র তাপপ্রবাহ নিয়ে যা বলল আবহাওয়া অফিস
আ.লীগ নিষিদ্ধে গুরুত্বের সাথে সরকার বিবেচনা করছে: সরকারের বিবৃতি
টাঙ্গাইলে নাশকতা মামলায় আ.লীগ নেতা রাজ্জাকসহ ২ জন গ্রেফতার
অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত আইপিএল
এবার অপেক্ষা তারেক রহমানের ফেরার, চলছে জোরালো প্রস্তুতি
পদ্মার এক ইলিশের দাম সাড়ে ৮ হাজার টাকা
৫ মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে থানায় নেওয়া হলো আইভীকে
জুমার পর যমুনার সামনে বড় জমায়েতের ডাক হাসনাত আব্দুল্লাহর
প্রথম আমেরিকান পোপ হলেন রবার্ট প্রিভোস্ট
একের পর এক ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল ভারত, সীমান্তজুড়ে ব্ল্যাকআউট
নিষিদ্ধ হচ্ছে স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও যুবলীগ