রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০২৪ | ২৫ কার্তিক ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

সবুজ পর্যটন, পর্যটনের সবুজায়ন

গত ১৮ ও ১৯ মে ২০২৩ তারিখে ভারতের মিজোরামে মিজোরাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হলো জি-২০ পর্যটনবিষয়ক আন্তর্জাতিক কনফারেন্স। এই কনফারেন্সে মোট ৯০টি গবেষণাপত্র উপস্থাপন ও ২টি প্ল্যানারি সেশন অনুষ্ঠিত হয়। এই কনফারেন্সে সবুজ পর্যটন বিষয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করার জন্য আমন্ত্রিত হই। উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে পঠিত মূল প্রবন্ধের আলোকে এই প্রবন্ধটি রচনা করা হলো।

প্রারম্ভকথা
ভারতের জি-২০ ট্যুরিজম ট্রাকের অধীন ট্যুরিজম ওয়ার্কিং কমিটি তাদের পর্যটনকে নতুনভাবে ঢেলে সাজানোর ৫টি অগ্রাধিকার অধিক্ষেত্র চিহ্নিত করে। উদ্দেশ্য হলো ২০৩০ সালে এসজিডি অর্জন ত্বরান্বিত করা। পর্যটনের জন্য নির্ধারিত ৫টি অধিক্ষেত্র হলো: সবুজ পর্যটন, ডিজিটালাইজেশন, দক্ষতা উন্নয়ন, মাইক্রো-স্মল-মিডিয়াম এন্টারপ্রাইজ ও গন্তব্য।

উল্লেখ্য, জি-২০ গ্রুপের দেশগুলি হলো আর্জেন্টিনা, অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, কানাডা, চীন, ফ্রান্স, জার্মানি, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইতালি, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, মেক্সিকো, রাশিয়া, সৌদি আরব, দক্ষিণ আফ্রিকা, তুরস্ক, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এই গ্রুপের সদস্য দেশগুলো বিশ্ব জিডিপির ৮৫ শতাংশ এবং মোট জনসংখ্যার দুই-তৃতীয়াংশের প্রতিনিধিত্ব করে। মোট ১৯টি দেশ ও একটি ইউনিয়ন নিয়ে ১৯৯৯ সালে এই গ্রুপ তৈরি হয়। ২০২৩ সালে জি-২০ গ্রুপের প্রেসিডেন্সি রয়েছে ভারতের হাতে। ২০২৪ সালে যাবে ব্রাজিলের হাতে।

সূচনা
বিশ্বে পর্যটনের বহুমাত্রিক ইতিবাচক মাত্রা রয়েছে, একথা অনস্বীকার্য। তবে দায়িত্বশীল পর্যটন রীতি অনুশীলন না করা এবং নীতিবিরুদ্ধ পর্যটন পরিচালনা করার জন্য পর্যটনের নানাবিধ নেতিবাচক বিষয় গোচরীভূত হতে শুরু করেছে। প্রচলিত পর্যটনের এইসব নেতিবাচক ও ক্ষতিকারক সমস্যা দূরীকরণের জন্য পর্যটন সৃজন ও পরিচালনায় সতর্ক থাকা উচিত। এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য সবুজ পর্যটন একটি অন্যতম সমাধান। সবুজ পর্যটন একটি ইতিবাচক বিষয়, যা সমকালীন বিশ্ব অনুসরণের নতুন তাগিদ অনুভব করছে। সবুজ পর্যটন পরিবেশবান্ধব পর্যটন সেবা প্রদান করে। জি ২০ গ্রæপভূক্ত দেশ হিসেবে ভারত সবুজ পর্যটনের নবরূপে সৃষ্টি ও অনুশীলনের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করবে বিশেষজ্ঞ মহল আশা করে।

সবুজ পর্যটনের ধারণা
সবুজ পর্যটন ধারণাটি পরিবেশগত কর্মক্ষমতা উন্নত করার মাধ্যমে পর্যটন উদ্যোগ গ্রহণে অত্যন্ত আকর্ষণীয়। এটি কার্যকর ও বাস্তবসম্মত ব্যবস্থাপনার কৌশলও বটে। পর্যটনের সাথে সম্পৃক্ত প্রতিটি দায়িত্বশীল পক্ষ পর্যটনের নামে নেতিবাচক প্রভাব নিয়ন্ত্রণ করতে সবুজ পর্যটনের বিকাশ, অনুশীলন ও মালিকানা প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে আসতে হবে। এক্ষেত্রে জি ২০ দেশসমূহের সরকারসমূহকে অগ্রগামী ভূমিকা পালন করতে হবে। পর্যটন শিল্পে সবুজ লেবেলিং বাজারের পরিসর বিস্তৃত করার সাথে বহুবিধ নতুন ক্ষেত্র খুলে দিতে পারে।

সবুজ পর্যটনের কতগুলি কর্মএলাকা রয়েছে, যেমন পযটন পরিচালনায় সবুজায়ন, পর্যটনে সবুজ বিনিয়োগ, সবুজ পর্যটন গন্তব্য গড়ে তোলা ও পরিচালনা, পর্যটক ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে সবুজায়ন রীতিতে গড়ে তোলা ইত্যাদি। এর প্রতিটি কর্মএলাকা সকল পরিবেশকে ব্যবহারোপযোগী করে রাখা, টেকসই অর্থনীতি গড়ে তোলা, পরিবেশের উপর নেতিবাচক প্রভাব হ্রাস, জীবনধারায় সবুজায়ন, বন্যপ্রাণীকে বন্য আবাসে থাকতে সাহায্য করা, স্থানীয় সম্প্রদায়ের জীবনধারা রক্ষায় সমর্থন এবং সুশাসন ও ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করে এবং সর্বোপরি জৈবিক ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ করে।

চক্রাকার সবুজ পর্যটন
পর্যটনে সবুজায়ন বলতে সাধারণত রৈখিক সবুজ পর্যটনকে (Linear Green Tourism) বুঝে থাকি। তবে সমকালীন বিশেষজ্ঞ মহল রৈখিক সবুজ পর্যটনের পরিবর্তে চক্রাকার সবুজ পর্যটন (Circular Green Tourism) অনুশীলনকে অধিক যুক্তিযৌক্ত বলে মনে করছেন। কারণ চক্রাকার সবুজ পর্যটন দক্ষতার সাথে সম্পদ রক্ষণাবেক্ষণ করে, পরিবেশের উপর নেতিবাচক কমায় এবং প্রাকৃতিক পুঁজি সংরক্ষণ করে। এই ধরণের পর্যটনের সাথে লোকেরা নিজেদেরকে আরও পুনর্ব্যবহারযোগ্য উপায়ে সম্পৃক্ত করতে পারে, দক্ষ প্রযুক্তি গ্রহণ করে এবং বর্জ্যকে সম্পদে পরিণত করে। ফলে প্রকৃতির উন্নতি ও রক্ষণাবেক্ষণ সহজতর হবে। চক্রাকার সবুজ পর্যটন ভবিষ্যতকে টেকসই করার এক বাস্তব ও কাক্সিক্ষত পর্যটন।

সবুজ পর্যটনে আমাদের দায়িত্ব
সবুজ পর্যটন ধারণা চিহ্নিতকরণ, বিনিয়োগ ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক অনুশীলনের অন্তর্গত ব্যবস্থাপনা নির্ধারণ এবং এর সাথে স্থানীয় জনগণের পূর্ণ সম্পৃক্তকরণ অত্যন্ত জরুরি। সবুজ পর্যটনের বিপণন পদ্ধতিকে বর্তমান বিপনণের সাথে একটি ক্রমবর্ধমান ও উন্নয়নশীল অবস্থানে নিয়ে যেতে হবে। সরকারকে পর্যটন বাজারে অনুপ্রবেশে ট্যুর অপারেটর ও ট্রাভেল এজেন্টদেরকে সহযোগিতার কৌশল নির্ধারণ করতে হবে। উচ্চ মূল্যের কারণে সবুজ পর্যটনকে বিশেষ বিবেচনায় তৈরি করতে হবে। পণ্য উন্নয়ন ও মূল্য নির্ধারণ কৌশলে এবং পর্যটন পণ্যের গুণমান নির্ধারণে পর্যটকদের সাথে যৌথ উদ্যোগে কাজ করতে হবে। মনে রাখতে হবে যে, পর্যটনের সবুজ পণ্য বাজারে প্রশংসিত পণ্য হিসেবে ক্রেতাকর্তৃক সমাদৃত হতে হবে।

সবুজ পর্যটনে বিনিয়োগের কৌশলে গন্তব্য, সময়, প্রবেশ্যতা, পর্যটন পণ্য পোর্টফোলিও, শিক্ষা ও সকল স্টেকহোল্ডারদের সামাজিকীকরণের উপর গুরুত্ব দিতে হবে। এই ক্ষেত্রে স্থানীয় ও আঞ্চলিক বিনিয়োগকারীদের অগ্রাধিকার দিতে হবে। এটি পর্যটন শিল্পের স্থায়িত্বের অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

উপসংহার
সবুজ পর্যটনের সবচেয়ে সফল দিক হলো এটি সম্প্রদায়ভিত্তিক ব্যবস্থাপনা পদ্ধতিতে পরিচালিত হয়। তাই স্থানীয় জনগণের জ্ঞানের ব্যবহারের মাধ্যমে স্থানীয় জনগণের জন্য সবুজ পর্যটন গড়ে তোলা সহজ। আঞ্চলিক উন্নয়নের জন্য উপযুক্ত সবুজ পর্যটন প্রশিক্ষণ এবং প্রাকৃতিক সংরক্ষণ এবং আনুগত্যের জন্য আচরণগত শিক্ষা অপরিহার্য। সবুজ পর্যটনের মাধ্যমে পর্যটনের সবুজায়নের জন্য সরকারকে সর্বাগ্রে এগিয়ে আসতে হবে। আর সাথে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বিনিয়োগকারী ও অনুশীলনকারীদের বাস্তবায়নের জন্য উদার মনোভাব নিয়ে সাথে যুক্ত থাকতে হবে।

মোখলেছুর রহমান: রেক্টর, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্যুরিজম স্টাডিজ, ঢাকা

এসএন

 

Header Ad

দেশের সকল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের কমিটি গঠনের জন্য টিম গঠন

ছবি: সংগৃহীত

দেশের সব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের সাংগঠনিক কমিটি গঠন করা হয়েছে। সংগঠনটির পরিকল্পনা ও র্কমসূচির সেতুবন্ধন স্থাপনের লক্ষ্যে বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দিকনির্দেশনায় এ কমিটি করা হয়।

শনিবার জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দীন নাসিরের পরামর্শে এ কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিতে থাকা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ও পদবি-

সহ-সভাপতি মো. আরিফুল হাসান প্রান্ত (ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি), যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. হাবিবুর রহমান হাবিব (ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি), যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. জাহদিুল ইসলাম শামীম (কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ), সহ-সভাপতি মো. মেহেদী হাসান (ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি), যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. জুবায়ের হোসেন (ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি), যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জিন্নাতুল ইসলাম (ইউনিভার্সিটি অব ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সায়েন্সেস), সহ-সভাপতি মো. ফেরদৌস মাহমুদ (নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি), যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন (আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশ), যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক-চৌধুরী মো. নওশীন পাশা দীপু (ইন্ডিপেন্ডেট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ), সহ-সভাপতি সাজ্জাদ হোসেন (ইউনিভার্সিটি অব স্কলাসর), যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক- ইয়াসিন ইবনে জাবির (প্রাইমএশিয়া ইউনিভার্সিটি), যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক-সেলিম মাহমুদ (ফারইস্ট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি), সহ-সভাপতি পারভেজ হোসেন (নর্দান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ), যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আরাফাত সিদ্দিকী (উত্তরা ইউনিভার্সিটি), যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. সজল (বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজি) সহ-সভাপতি মো. পলাশ মিয়া (শান্ত মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি) যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. হামীম আল হাসান তালুকদার (ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ) যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক- জিহাদ হোসাইন (অতীশ দ্বীপঙ্কর ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি), সহ-সভাপতি এম আরিফুর রহমান (ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজী), যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. ওয়াহিদুজ্জামান শুভ (আনোয়ার খান মডার্ন ইউনিভার্সিটি), যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. আমিনুল ইসলাম (রবীন্দ্র সৃজনকলা বিশ্ববিদ্যালয়), সহ-সভাপতি- মো. দিনার হোসেন (জেডএনআরএফ ইউনিভার্সিটি অব ম্যানেজমেন্ট সায়েন্সেস)।

এছাড়াও যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক-এ কে এম জাহিদুল ইসলাম তালুকদার (সোনারগাঁও ইউনিভার্সিটি), যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক-শরিফুল ইসলাম (প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটি), সহ-সভাপতি ফয়সাল আহমেদ আকন (আহসানউল্লাহ ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি), যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক- মো. মশিউর রহমান মহান (সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটি), যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. হেলালুর রহমান সংগ্রাম (রয়্যাল ইউনিভার্সিটি অব ঢাকা), সহ-সভাপতি মো. আল মামুন (স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ), যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. মুশফিকুর রহমান মাহিন (নটরডেম ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ), যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক- মো. ফিরোজ হাসান (দ্য মিলেনিয়াম ইউনিভার্সিটি), সহ-সভাপতি মো. রাসেল (আশা ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ), যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক- মো. জাকির হাসান (নাঈম) (বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি), যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. মিনার হোসেন (পিপলস ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ), সহ-সভাপতি মো. তারেকুল ইসলাম খান তারেক (ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ), যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. আল আমিন বাবলু (বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজি), যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক- রাশেদ খান মিলন (প্রাইম ইউনিভার্সিটি), সহ-সভাপতি- মো. মনোয়ার হোসেন (ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ), যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মীর মাহমুদুল হাসান আকাশ (ইউনিভার্সিটি অব ডেভেলপমেন্ট অল্টারনেটিভ), যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক- খালিদ হোসেন হৃদয় (ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক), সহ-সভাপতি কাজী শাহ নিয়াজ রাহান (ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি), যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক- রায়হান উল ইসলাম (ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি), যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক- মো. ইয়াসির আরাফাত সারজু (সিটি ইউনিভার্সিটি), সহ-সভাপতি- মো. নাজমুল হাসান লাভলু (মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি), যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা শুভ (গণবিশ্ববিদ্যালয়), যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন বাবু (এশিয়ান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ), সহ-সভাপতি মো. ফরহাদুল আজম (গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ), যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক- মো. জাহিদ হাসান (রাকিব) (স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ), যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক- মো. জিয়াউল হক জিয়া (কুইন্স ইউনিভার্সিটি), সহ-সভাপতি- মো. নুর আলম জিকু (ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ), যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক- মো. রাকিব হাসান (ইউনিভার্সিটি অব সাউথ এশিয়া)।

যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক- শামসুজ্জামান পাঠান (বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব হেলথ সায়েন্সেস), সহ-সভাপতি- মো. জাহিদুল ইসলাম দীপু (বাংলাদেশ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, মুগ্ধা), যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক- এনামুল হক রাবিন (হামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ), রণদা প্রসাদ সাহা বিশ্ববিদ্যালয় (নারায়নগঞ্জ)।

যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক- এস টি শাকিল (ইউনিভার্সিটি অব স্কিল এনরিচমেন্ট অ্যান্ড টেকনোলজী, (নারায়ণগঞ্জ), সহ-সভাপতি মো. জারিফ আহমেদ (ঈষাখাঁ ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, কিশোরগঞ্জ), যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক- মেহেদী হাসান পিয়াল (জার্মান বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ), যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. মোকারিম হাসান সাঈদ, সহ-সভাপতি মুন্নী খাতুন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক-লাবণ্য আক্তার, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক- মনজিলা রিমি (সেন্ট্রাল উইমেন্স ইউনিভার্সিটি), যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক- আনিকা আজাদ।

পদধারী বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সব নেতাদের তাদের স্ব স্ব বিশ্ববিদ্যালয় সাংগঠনিক টিমের সঙ্গে সমন্বয় করার জন্য বলা হয়েছে।

Header Ad

দেশ ধ্বংস করে পালিয়ে গিয়ে এখন নিরীহ নেতাকর্মীদের উস্কে দিচ্ছে: সোহেল তাজ

সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদের ছেলে সোহেল তাজ। ছবি: সংগৃহীত

শেখ হাসিনার দেশ ত্যাগের তিন মাস পর আওয়ামী লীগ ঢাকায় একটি কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। দলটির পক্ষ থেকে নেতাকর্মীদের আজকের কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের আহ্বান জানানো হয়েছে। তবে এ কর্মসূচিকে ঘিরে উত্তেজনা বিরাজ করছে; পাল্টা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে ছাত্র-জনতা। এ নিয়ে জনমনে ছড়িয়ে পড়েছে উদ্বেগ।

রোববার দুপুরে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদের ছেলে সোহেল তাজ নিজের ফেসবুক পেজে আওয়ামী লীগকে নিয়ে একটি পোস্ট দেন। ওই পোস্টে তিনি মন্তব্য করেন, “একটি পরিবার দেশটাকে ধ্বংস করে পালিয়ে গিয়ে এখন নিরীহ নেতাকর্মীদের উস্কে দিচ্ছে, যাতে তারা আবার বাংলাদেশকে শোষণ করতে পারে।”

সোহেল তাজ তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে, দুপুর ১টার দিকে একটি পোস্টে আওয়ামী লীগের কর্মসূচির বিরুদ্ধে সরব হন। রাজধানীর জিরো পয়েন্টে দুই আওয়ামী লীগ কর্মীকে আটকের একটি প্রতিবেদনের স্ক্রিনশট শেয়ার করে তিনি লিখেছেন, “একটি পরিবার ও তাদের অনুসারীরা বাংলাদেশকে ধ্বংস করে হত্যা, গুম, খুন, নির্যাতন এবং গণতন্ত্র হত্যা করেছে। জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে তারা হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করেছে, শত শত মানুষকে অন্ধ করেছে, এবং হাজার হাজার মানুষকে পঙ্গু করেছে। দুর্নীতির মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে এবং সংগঠনকে ধ্বংস করেছে। এখন সেই পরিবার বিদেশে বসে পাচারকৃত টাকার পাহাড়ে বসে খেলা দেখছে এবং নিরীহ নেতাকর্মীদের উস্কে দিচ্ছে।”

 

এদিকে, শহীদ নুর হোসেন দিবস উপলক্ষে গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে ১০ নভেম্বর ঢাকার গুলিস্তান জিরো পয়েন্টে বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দিয়েছে আওয়ামী লীগ। তাদের এই কর্মসূচির পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন একই স্থানে গণজমায়েতের ডাক দেয়। কর্মসূচি ঘোষণার পর শনিবার রাতেই শিক্ষার্থীরা সেখানে বিক্ষোভ করেন, যা পরিস্থিতিকে আরও উত্তেজনাপূর্ণ করে তোলে।

আগামী দিনে এ সংঘাতমূলক পরিস্থিতি কোন দিকে গড়াবে, তা নিয়ে জনমনে উদ্বেগের পাশাপাশি নিরাপত্তা নিয়ে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

Header Ad

অচিরেই অনিবন্ধিত অটোরিক্সা নওগাঁ শহরে প্রবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হবে: জেলা প্রশাসক

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

দেশের চলমান পরিস্থিতির পর নওগাঁয় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ভবিষ্যতে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির যাতে অবনতি না হয় সে বিষয়ে সার্বক্ষণিক গোয়েন্দা নজরদারির পাশাপাশি জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি ও আনসার সদস্যসহ সকল আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সর্বদা সচেষ্ট আছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল আউয়াল।

রোববার (১০ নভেম্বর) দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলার আইন-শৃঙ্খলার সার্বিক পরিস্থিতি বিষয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা জানান জেলা প্রশাসক।

প্রেস ব্রিফিংয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নির্দেশনায় জেলা ম্যাজিস্ট্রেসি থেকে ইস্যুকৃত সকল সমর্পনযোগ্য আগ্নেয়াস্ত্র লাইসেন্সের বিপরীতে ক্রয়কৃত আগ্নেয়াস্ত্র জমা নেয়া হয়েছে। বর্তমানে জমাকৃত আগ্নেয়াস্ত্র কমিটির মাধ্যমে যাচাই-বাচাই করে ফেরত প্রদানের প্রক্রিয়া চলমান আছে। এছাড়াও গত দুই মাসে জেলায় ১৫২টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে বিভিন্ন অপরাধের দায়ে ৪১টি মামলায় ৬ লাখ ৫৯ হাজার ৯৫০ টাকা জরিমানা ও ১৪০ জনকে কারাদন্ডের দন্ডিত করা হয়েছে। সীমান্তে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখতে এবং চোরাচালন রোধে বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গত দুই মাসে ৩৩১টি অভিযান পরিচালনা করে ২১৪টি মামলায় ২৩৪ জনকে আটক করে। ২ কোটি ৬৭ লাখ ৩৯ হাজার ৯২টাকা সমমূল্যের মালামাল উদ্ধার করে।

জেলা প্রশাসক আব্দুল আউয়াল বলেন- দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ও মানুষের ক্রয় ক্ষমতার নাগালের মধ্যে রাখতে টাস্কফোর্সের মাধ্যমে বাজার মনিটরিং কার্যক্রম চলমান রয়েছে। নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যবহারের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট ও সচেতনতামূলক গনসংযোগ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। এই কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বিভিন্ন বাজার ও চালকলে ব্যবসায়ী, বিক্রেতা ও ক্রেতাদের মাঝে লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। একই সাথে নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যাবহারের জন্য ১৭টি মামলায় ১৫ হাজার ৬০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, নওগাঁ শহরের যানজট নিয়ন্ত্রণে অনিবন্ধিত অটোরিক্সা, থ্রি হুইলার পৌরসভার মাধ্যমে নিবন্ধনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। অচিরেই অনিবন্ধিত অটোরিক্সা, থ্রি হইলার নওগাঁ শহরে প্রবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হবে। সকল আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতায় এবছর শারদীয় দুর্গাপূজা শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপিত হয়েছে।

নওগাঁ জেলায় বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতক কারনে দায়েরকৃত হয়রানিমূলক মামলাসমূহ প্রত্যাহারের বিষয়ে গঠিত কমিটির সভা আয়োজন ও গণবিজ্ঞপ্তি জারি করাসহ এ সংক্রান্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে। শ্রেনিকক্ষে নিয়মিত পাঠদান কার্যক্রম অব্যাহত রাখাসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শৃংখালা ফিরিয়ে আনা হয়েছে। বৈষম্যবিরোধি ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নওগাঁ জেলার শহিদদের তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে এবং আহতদের চূড়ান্ত তালিকা প্রস্তুতের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

জেলার যে সমস্ত স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানে জনপ্রতিনিধিদের অনুপস্থিতিতে সরকার কর্তৃক প্রশাসক নিয়োগ দেয়া হয়েছে, সে সমস্ত প্রতিষ্ঠান নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে যাতে জনগন তাদের কাঙ্ক্ষিত সেবা পেতে পারে বলেও জানান জেলা প্রশাসক।

এসময় পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিনসহ সেনাবাহিনী, র‌্যাব ও প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

দেশের সকল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের কমিটি গঠনের জন্য টিম গঠন
দেশ ধ্বংস করে পালিয়ে গিয়ে এখন নিরীহ নেতাকর্মীদের উস্কে দিচ্ছে: সোহেল তাজ
অচিরেই অনিবন্ধিত অটোরিক্সা নওগাঁ শহরে প্রবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হবে: জেলা প্রশাসক
অন্তর্বর্তী সরকারের নতুন উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিচ্ছেন যারা
শিশু মুনতাহার নির্মম হত্যাকাণ্ড: গৃহশিক্ষিকা ও পরিবারের সদস্যসহ ছয়জন গ্রেপ্তার
মেডিকেল ও ডেন্টালে ভর্তি পরীক্ষার তারিখ চূড়ান্ত
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে আরও পাঁচজন: সন্ধ্যায় শপথ গ্রহণ
ঠিকানায় মার্কিন নির্বাচন বিশ্লেষণ: বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক কোন পথে?
এই সরকারের বৈধতা হলো গণঅভ্যুত্থান : উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ
ঢাকা মহানগরে সব পোস্টার ও ব্যানার অপসারণের নির্দেশ দিলো বিএনপি
ভারতে বিএসএফ হাতে গ্রেপ্তার রাবি ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সেনাপ্রধানের সাক্ষাৎ
শহীদ নূর হোসেন দিবসে তারেক রহমানের শ্রদ্ধা নিবেদন
ফের পুলিশ অ্যাসোসিয়েশনের কমিটি বিলুপ্ত, নতুন কমিটি গঠন
আসিফ নজরুলকে হেনস্থাকারী সেই আ.লীগ নেতা শ্যামলের বাড়ি টাঙ্গাইল, শাস্তি চায় এলাকাবাসী
পলাতকদের ফেরাতে শেখ হাসিনাসহ অন্যদের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারি করছে সরকার
শহীদ নূর হোসেন দিবস উপলক্ষে মির্জা ফখরুলের বাণী
ট্রাম্পের ছবি নিয়ে হাসিনার নির্দেশনা বাস্তবায়নকারী ১০ জন গ্রেপ্তার
গলায় রশি পেঁচানো অবস্থায় নিখোঁজ মুনতাহার মরদেহ মিলল পুকুরে
আফগানিস্তানকে হারিয়ে সিরিজে ফিরল বাংলাদেশ