বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫ | ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
Dhaka Prokash

পল্লিতে রবির কিরণ

রবীন্দ্রনাথকে আমরা সাহিত্যপ্রেমীরা ভেবে থাকি তিনি একজন কবি, সাহিত্যিক, লেখক, একজন দার্শনিক। কিন্তু পল্লি উন্নয়ন গবেষক হিসেবে আমি মনে করি রবীন্দ্রনাথ শুধু এক জায়গায় স্থির নন, তিনি পল্লি উন্নয়নের এক আলোকবর্তিকার নাম। তিনি জমিদারের সন্তান হয়েও জমিদারির খোলস ভেঙে গড়ে তুলেছিলেন আরেক প্রজাদরদী গল্পের স্ক্রিপ্ট। চিরায়ত প্রথার খোলস ভেঙে মানবিক প্রজাহিতৈষী জমিদার হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন সমাজের কাছে। রাশিয়ার চিঠিতে দেখা যায় রবীন্দ্রনাথ এক পল্লি নায়ক। তিনি লিখেছেন, ‘জমির স্বত্ব ন্যায়ত জমিদারের নয়, চাষির’।

নবীন জমিদার রবীন্দ্রনাথ সব শ্রেণির লোককেই আপন করে নিতে পেরেছেন খুব অল্প সময়ে। তাই তো তিনি বলেছিলেন, ‘আমি তোমাদেরই লোক।’ তিনি অনুভব করেছিলেন, ‘ভিক্ষা দিয়ে মনুষ্যত্ব জাগানো যায় না, তোমাদের ভালো একমাত্র তোমরা নিজেরাই করতে পার। যে কাজ পাঁচজনের উপকারে লাগবে, সে কাজ তোমরা একত্রে মিলেমিশে কর, ‘দশে মিলে করি কাজ, হারি জিতি নাহি লাজ।’

দরিদ্রদের স্বাবলম্বী করার জন্য পল্লি উন্নয়নের নানাবিধ কর্মসূচি হাতে নেন তিনি। তিনি জানতেন এজন্য দরকার কৃষি ব্যবস্থায় আধুনিকায়ন ও বিজ্ঞানভিত্তিক চাষাবাদ। শিলাইদহ কুঠিবাড়ির ৮০ বিঘা জমি দেশের প্রথম কৃষি গবেষণাগার হওয়ার অপেক্ষায় ছিল। ১৯০৯ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বিদেশ থেকে ফিরে শুরু করলেন বৈজ্ঞানিক প্রথায় চাষ, সার, পাম্প ইত্যাদির ব্যবস্থা। রবীন্দ্রনাথ ক্যানিং এ ডেনিয়াল হ্যামিলটনের কৃষিক্ষেত্র ও গবেষণাগার দেখে উদ্বুদ্ধ হয়েছিলেন।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শিলাইদহে প্রথম ১৯১০ সালে সেচ কাজে পাম্পের মাধ্যমে ভূগর্ভস্থ পানি ব্যবহার করেন। জমি উর্বরের জন্য জেলেদের কাছ থেকে নৌকা বোঝাই ইলিশ মাছ সস্তায় কিনে নিতেন। চুন দিয়ে মাটিতে চাপা দিয়ে জৈব সার তৈরি করতেন। ট্রাক্টর এর মাধ্যমে শিলাইদহে চাষাবাদ শুরু করেন- যা এনেছিলেন রাশিয়া থেকে।

রবীন্দ্রনাথ অনেকটা সময় পল্লি অঞ্চলে থেকেছেন, অবলোকন করেছেন গরিব প্রজা কৃষকের উপর ঋণের বোঝা। জমিদারি করতে গিয়ে স্পষ্ট দেখেছেন মহাজনের উচ্চ সুদের ঋণ গরিব কৃষককে কীভাবে আরও দরিদ্র করছে সর্বস্বান্ত করছে। তিনি বুঝতে পেরেছিলেন ঋণ ব্যবস্থায় এখনই পরিবর্তন করতে না পারলে পল্লি উন্নয়নে তার সব উদ্যোগই পরাস্ত হবে।

গ্রামের দরিদ্র প্রজাদের কষ্ট লাঘব করতে ১৮৯৪ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শিলাইদহে প্রথম কৃষি ব্যাংক স্থাপন করেন। এই ব্যাংক সম্পর্কে সুধীর সেন তার Rabindranath Tagore on Rural Reconstruction গ্রন্থে লিখেছেন-‘Shilaidaha in the district of Nadia was selected as the center of his experience. A part of nucleus for rural work was already available there. An Agriculture Bank had been founded (in 1893-94) to advance loans particularly seasonal to the cultivators on reasonable rates of interest.’

স্বল্প সুদে ঋণ দিয়ে রবীন্দ্রনাথ দরিদ্র কৃষকদের মহাজনদের হাত থেকে মুক্ত করার প্রয়াস চালিয়েছেন। ১৯১৩ সালে নোবেল বিজয়ের কিছু অর্থ তিনি অসহায় মানুষদের কল্যাণে ব্যাংকে বিনিয়োগ করেন। পিতার আদেশে ১৯৮৩ সাল থেকে প্রায়ই পূর্ববঙ্গে আসতেন জমিদারি রক্ষার কাজে। ঘুরতেন পদ্মায় এক বোট থেকে আরেক বোটে চড়ে। বিভিন্ন স্থানের জমিদারি স্বপরিবারে দেখার সুযোগ তিনি পেতেন। শিলাইদহের কুঠিবাড়ির আশেপাশে অসহায় দরিদ্র জনগোষ্ঠীর কষ্ট দেখে তার বিবেক নাড়া দিত।

শিলাইদহ ছিল রবীন্দ্রনাথের এক অনুভবের জায়গা। তিনি কৃষকপ্রজা কফিলুদ্দীন-জামালুদ্দীন শেখের সঙ্গে ধানক্ষেতের পোকা মারার পদ্ধতি নিয়ে বহুসময় কথা বলেছেন। উন্নতমানের বীজ ও সার সময়মতো কৃষকেরা যাতে পায়, সে বিষয়েও খোঁজ রাখতেন। গ্রাম উন্নয়ন, সমবায়, দারিদ্র্য বিমোচন, প্রান্তিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন, সবকিছুই ছিল কুষ্টিয়ার কুঠিবাড়ি, সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর, নওগাঁর পতিসর ও খুলনার দক্ষিণ ডিহি অঞ্চলকে কেন্দ্র করে।

রবীন্দ্রনাথের উন্নয়ন দর্শন পল্লি সমাজের জন্য এক উন্নত মডেল। তার উন্নয়ন দর্শন ছড়িয়ে দিতে হবে নিভৃত পল্লিতে। এগুলো নিয়ে আমাদের লেখক গবেষকদের আরও অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। সরকারের ঊধ্‌র্বতন নীতিনির্ধারকদের পর্যায়ে এ বিষয়ে নজর দিতে হবে। বাংলাদেশে পল্লি উন্নয়নে একের পর এক প্রকল্প গ্রহণ করা হয় কিন্তু অনেকটাই যুগোপযোগী বলে মনে হয় না। আজ থেকে শতবর্ষ আগে রবীন্দ্রনাথ উন্নয়নের এক আশ্চর্য রকমের যাদুমন্ত্র শিখিয়েছেন সে বিষয়ে মনোযোগ দেওয়া দরকার। আজ উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নে বিস্তর সমস্যা সামনে এসে ঘুরপাক খাচ্ছে। এর মূলে রয়েছে সিদ্ধান্ত গ্রহণে অপরিপক্কতা ও সমন্বয়ের অভাব।

পূর্ববাংলার নদী, প্রকৃতি, গ্রামবাংলার মানুষের মর্মচেতনা স্পষ্ট বুঝতে পেরেছিলেন রবীন্দ্রনাথ। প্রমত্তা পদ্মা চষে বেড়িয়েছেন একসময়। বোটের জানালা দিয়ে নদীতীরের মানুষের জীবনযাত্রা দুর্ভোগ স্বচক্ষে প্রত্যক্ষ করেছেন। মহাজনদের কাছে হাঁটুগেড়ে বসে থাকা অসহায় দরিদ্র কৃষককে দেখেছেন। উঁচু নিচু ভেদাভেদ খণ্ডাতে চেয়েছেন । সমস্যা উত্তরণের জন্য নানান রকম সম্ভাবনাও আগলে ধরেছেন। সেই সময়ের ঘুণে ধরা সমাজকে জাগিয়েছেন শিক্ষার আলো জ্বালিয়ে। পল্লির মানুষের অজ্ঞতা, কুসংস্কার দূর করে আলোর মশাল তুলে ধরেছেন। দরিদ্র মানুষের মুক্তির বার্তা পল্লিউন্নয়নের আলোকবর্তিকা সামনে এনেছেন তিনি। পল্লিতে রবীর কিরণ আজও স্পষ্ট প্রতীয়মান।

ড. সারিয়া সুলতানা
পল্লি উন্নয়ন গবেষক ও সহকারী সম্পাদক, ঢাকাপ্রকাশ২৪ডটকম

এসএন

 

 

 

 

 

 

Header Ad
Header Ad

সাম্যকে নিয়ে একটি গুপ্ত সংগঠন বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে : ছাত্রদল সভাপতি

জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যাকাণ্ড নিয়ে একটি গোপন সংগঠন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব।

বৃহস্পতিবার (১৫ মে) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সাম্য হত্যার বিচার, নিরাপদ ক্যাম্পাস নিশ্চিতকরণ এবং উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আয়োজিত ছাত্রদলের অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

রাকিব বলেন, “সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশের এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চলে আসছে। আমরা বারবার জানালেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ দেখা যায়নি।” তিনি সাম্যকে সাহসী ছাত্রনেতা হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, “জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে সাম্য অগ্রণী ভূমিকা রেখেছিল। তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমরা দ্রুত বিচার চাই।”

ছাত্রদল সভাপতি আরও বলেন, “সাম্য হত্যাকে ঘিরে যে গোপন সংগঠন মিথ্যাচার ও প্রপাগান্ডা ছড়াচ্ছে, তাদের দাঁতভাঙা জবাব দেওয়া হবে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবি আদায়ের আন্দোলনে একমাত্র ছাত্রদলই মাঠে আছে-অন্যান্য ছাত্রসংগঠনের কোনো ভূমিকাই নেই।”

এদিকে সাম্য হত্যাকাণ্ডে শোক প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ক্লাস ও পরীক্ষা অর্ধদিবস স্থগিত রাখা হয়। শোকপ্রকাশ ও বিচার দাবিতে শিক্ষার্থীদের নানা কর্মসূচি চলেছে।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (১৩ মে) রাতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের কালীমন্দির গেটসংলগ্ন এলাকায় দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে নিহত হন শাহরিয়ার আলম সাম্য। পরে পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে।

সাম্য ঢাবির শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী ছিলেন। পাশাপাশি তিনি এ এফ রহমান হল ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন। তার গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার ফখরুল আলমের বাড়ি।

Header Ad
Header Ad

টিকটকে লাইভ করার সময় তরুণীকে গুলি করে হত্যা

ভ্যালেরিয়া মার্কেজ। ছবি: সংগৃহীত

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছিল সরাসরি সম্প্রচার। পর্দার ওপারে হাজারো অনুসারী চেয়ে ছিল ভ্যালেরিয়া মার্কেজের দিকে, যিনি নিজের বিউটি সেলুন থেকে লাইভে ছিলেন। কিন্তু কিছু সেকেন্ডের মধ্যেই সেই দৃশ্য রূপ নেয় এক মর্মান্তিক বাস্তবতায়—লাইভ চলাকালেই গুলি করে হত্যা করা হয় ২৩ বছর বয়সী এই তরুণী ইনফ্লুয়েন্সারকে।

ঘটনাটি ঘটেছে মেক্সিকোর জালিস্কো রাজ্যের গুয়াদালাজারায়, ভ্যালেরিয়ার নিজের সেলুন ‘Blossom The Beauty Lounge’-এ। স্থানীয় সময় বুধবার (১৪ মে) সেলুনের ভেতরেই ঘটে এই নির্মম হত্যাকাণ্ড।

ভ্যালেরিয়া তার টিকটক লাইভে অনুসারীদের সঙ্গে কথা বলছিলেন। ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, তিনি একটি টেবিলে বসা, হাতে একটি পুতুল। হঠাৎ পেছন থেকে একটি পুরুষ কণ্ঠ শোনা যায়—"এই, ভ্যালে?" তিনি উত্তর দেন, "হ্যাঁ।" কয়েক সেকেন্ড পরেই শব্দ বন্ধ করে দেন লাইভের, আর ঠিক তারপরেই পেছন থেকে গুলির শব্দ। গুলিবিদ্ধ হয়ে ভ্যালেরিয়া প্রথমে নিজের পাঁজরে হাত দেন, তারপর টেবিলের ওপর লুটিয়ে পড়েন। ভিডিওতে স্বল্প সময়ের জন্য হামলাকারীর মুখও ধরা পড়ে, যিনি পরে ফোনটি তুলে নিয়ে চলে যান।

ভ্যালেরিয়া মার্কেজ। ছবি: সংগৃহীত

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, কিছুদিন আগে ভ্যালেরিয়া তার লাইভে বলেছিলেন, তিনি অনুপস্থিত থাকার সময় এক ব্যক্তি তার সেলুনে ‘দামি উপহার’ রেখে গিয়েছিলেন। এই বিষয়টি নিয়ে তিনি উদ্বিগ্ন ছিলেন। বলেছিলেন, ‘আমি অপেক্ষা করব না, যদি সে ফিরে আসে।’

পুলিশ জানিয়েছে, হত্যাকারী মোটরসাইকেলে এসেছিল এবং ‘উপহার দেওয়ার’ অজুহাতে সেলুনে প্রবেশ করে। ভ্যালেরিয়ার বুক ও মাথায় গুলি করা হয় এবং ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু ঘটে।

পুলিশ জানিয়েছে, মার্কেজের হত্যাকাণ্ড নারীহত্যা বা ‘ফেমিসাইড’ প্রোটোকল অনুযায়ী তদন্ত করা হচ্ছে। ফেমিসাইড মানে লৈঙ্গিক কারণে নারীদের হত্যা করা। জালিস্কো রাজ্য কৌঁসুলির কার্যালয়ের মতে, ফেমিসাইডের সঙ্গে অবমাননাকর সহিংসতা, যৌন নির্যাতন, খুনির সঙ্গে সম্পর্ক বা জনসমক্ষে ভুক্তভোগীর দেহ প্রদর্শন যুক্ত থাকতে পারে। কৌঁসুলির কার্যালয় এখনো পর্যন্ত কোনো সন্দেহভাজনের নাম প্রকাশ করেনি।

ভ্যালেরিয়ার মৃত্যু নতুন করে সামনে এনেছে মেক্সিকোতে নারী সহিংসতা ও সামাজিক মাধ্যমে জনপ্রিয় নারীদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ। ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবে তার ইনস্টাগ্রাম ও টিকটক মিলিয়ে অনুসারী ছিল প্রায় দুই লাখ। অনলাইনে তিনি মূলত বিউটি ও লাইফস্টাইল বিষয়ক কনটেন্ট তৈরি করতেন।

জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, লাতিন আমেরিকা ও ক্যারিবীয় অঞ্চলে নারীহত্যার দিক থেকে মেক্সিকোর অবস্থান চতুর্থ। এর আগেও এই অঞ্চলে টার্গেট করে নারী ইনফ্লুয়েন্সার বা কর্মীদের হত্যা ও নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে।

ঘটনার পরপরই পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। এখনো পর্যন্ত কোনো সন্দেহভাজনের নাম প্রকাশ করা হয়নি। তবে ভিডিও ফুটেজ ও সাক্ষীদের তথ্যের ভিত্তিতে হত্যাকারীকে চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে।

Header Ad
Header Ad

জুলাই থেকে ২০ শতাংশ কমছে ইন্টারনেটের দাম: ফয়েজ আহমদ

ছবি: সংগৃহীত

আগামী জুলাই মাস থেকে দেশে ইন্টারনেটের দাম ২০ শতাংশ কমবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।

বিশ্ব টেলিযোগাযোগ ও তথ্য সংঘ দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১৫ মে) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ ঘোষণা দেন।

তিনি বলেন, “আগামী ১ জুলাই থেকে আইআইজি (ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে) এবং আইএসপি (ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার) পর্যায়ে ইন্টারনেটের দাম ২০ শতাংশ কমবে। এরপর ধাপে ধাপে গ্রাহক পর্যায়ে এর প্রভাব পড়বে।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা চাই দেশের জনগণ যেন কম দামে মানসম্পন্ন ইন্টারনেট সেবা পায়। তাই মোবাইল অপারেটরগুলোকে এই মূল্য হ্রাসের উদ্যোগে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।”

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. জহিরুল ইসলাম এবং বিটিআরসির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মো. এমদাদ উল বারী।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সাম্যকে নিয়ে একটি গুপ্ত সংগঠন বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে : ছাত্রদল সভাপতি
টিকটকে লাইভ করার সময় তরুণীকে গুলি করে হত্যা
জুলাই থেকে ২০ শতাংশ কমছে ইন্টারনেটের দাম: ফয়েজ আহমদ
চুয়াডাঙ্গায় চলতি মৌসুমের আম সংগ্রহ উৎসবের উদ্বোধন
ময়মনসিংহ-১১ আসনের সাবেক এমপি কাজিম উদ্দিন গ্রেপ্তার
কোনও অবস্থাতেই মোদীকে বিশ্বাস করা যাবে না: ইমরান খান
এসি মিলানকে কাঁদিয়ে ৫১ বছর পর শিরোপা জিতল বোলোগনা
সীমান্তে টহলরত অবস্থায় বজ্রপাতে প্রাণ গেল বিজিবি সদস্যের
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ভাসমান দোকান উচ্ছেদ
অভিনেতা মিশাকে মারধরের ভিডিও ভাইরাল, যা জানা গেল
দ্বিতীয় দিনেও রাজপথে জবি শিক্ষার্থীরা, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত চলবে আন্দোলন
ছাত্রীর সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় ধরা রাবি শিক্ষক, ভিডিও ভাইরাল
ভারতের মণিপুরে বন্দুকযুদ্ধে নিহত ১০
রংপুরের পিকআপ-মোটরসাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষে কিশোর নিহত
উপদেষ্টা মাহফুজের মাথায় বোতল নিক্ষেপ, অভিযুক্তকে খুঁজছে পুলিশ
যুদ্ধবিরতির আলোচনার মধ্যেই ইসরায়েলি হামলায় নিহত আরও ৮৪ ফিলিস্তিনি
আমরা ভারতের বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালের যুদ্ধের প্রতিশোধ নিয়েছি: শেহবাজ শরিফ
পুলিশের লাঠিচার্জে ছত্রভঙ্গ নার্সিং শিক্ষার্থীরা, শাহবাগে যান চলাচল শুরু
অভিযানে ক্ষতিগ্রস্ত ৩ রিকশাচালককে দেড় লাখ টাকা অনুদান, পাবেন চাকরিও
বিশ্বের ‘সবচেয়ে দরিদ্র প্রেসিডেন্ট’ হোসে মুজিকা মারা গেছেন