বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

নাগরিক সুরক্ষায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নয় তা প্রমাণিত

বিতর্কটা তুমুল ও বিষয়টাও তুচ্ছ নয়। দেশের স্বাধীনতা, খাওয়া-পরার স্বাধীনতা এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতা কোনটা বড় আর কোনটা ছোট এই নিয়ে চলছে বিতর্ক। যদি প্রশ্ন করা হয় স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা এই দুইয়ের মধ্যে কোনটি বেশি প্রয়োজনীয়?

উত্তর দেওয়াটা কঠিন কিন্তু অসম্ভব নয়। কঠিন কারণ প্রশ্নের পাল্টা প্রশ্নও আসবে কার স্বাধীনতা ও কার নিরাপত্তা। একের স্বাধীনতা অন্যের নিরাপত্তাকে বিপদাপন্ন করে তোলে কি না? স্বাধীনতার সীমা এবং নিরাপত্তার মাপকাঠি কী হবে? আইন করে নিরাপত্তা সুরক্ষিত হবে নাকি স্বাধীনতাকে সংকুচিত করা হবে? বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ বলতে কী বোঝায়? ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন কাকে নিরাপত্তা দেবে? এই সমস্ত প্রশ্নের উদ্ভব হয়েছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সাম্প্রতিক প্রয়োগ নিয়ে।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে আশঙ্কা, আতঙ্ক ও আলোচনা তো কম হলো না। আইন প্রণয়নের সময় থেকেই সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা বলেছিলেন এবং এখনো বলছেন এই আইনের অপপ্রয়োগ হবে না এবং আইনটি সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হবে না। গত বছর আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছিলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করার সঙ্গে সঙ্গেই কোনো সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করা হবে না। (সমকাল, ২১ মে ২০২২)। এতেই স্বস্তি ফেরেনি। কারণ আইনটা এমন যে এর প্রয়োগটাও ভয় ধরাতে পারে। বাস্তব উদাহরণ প্রমাণ করে যে এই আইনটি সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়েছে ফেসবুক পোস্ট ও সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে।

২০২০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২১ সালের ২৫ মার্চ পর্যন্ত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা ৪২৬টি মামলা বিশ্লেষণ করে সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস) দেখিয়েছে যে, এসব মামলায় আসামি করা হয়েছে ৯১৩ জনকে। তাদের মধ্যে ১১ শতাংশের বেশি রাজনীতিবিদ এবং ১০ শতাংশের বেশি সাংবাদিক। এসব মামলায় আটক হয়েছেন ২৭৩ জন, যাদের মধ্যে প্রায় ১৩ শতাংশ হচ্ছেন সাংবাদিক। গবেষণা থাকে যে তথ্য বেরিয়ে এসেছে তাতে দেখা যায়, রাজনীতিবিদরা বেশি অভিযুক্ত হলেও আটকের তালিকায় সাংবাদিকরাই আছেন বেশি।

সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত কোনো সংবাদের বিরুদ্ধে কেউ সংক্ষুব্ধ হলে তিনি প্রতিকার পাওয়ার জন্য প্রেস কাউন্সিলে যেমন যেতে পারেন আবার মানহানিকর কোনো বিষয়ে প্রতিকার পাওয়ার জন্য দণ্ডবিধিতেই (৪৯৯ ধারা) বিধান রয়েছে। কিন্তু একটা ব্যাপার লক্ষ্যণীয় যে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন হওয়ার পর থেকে কোনো ক্ষমতাবান ব্যক্তির বিরুদ্ধে কোনো সংবাদ বা সমালোচনামূলক এমনকি ইঙ্গিতপূর্ণ বা রসিকতামূলক ফেসবুক পোস্টদাতার বিরুদ্ধেও মানহানির অভিযোগ এনে মামলা হচ্ছে। তবে অনেক ক্ষেত্রে এমন সব ব্যক্তি মামলা করছেন, যারা সরাসরি ওই সংবাদ ও ফেসবুক পোস্টের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত নন।

এই আইনের সবচেয়ে বড় ভয় এবং যে দুর্বলতা (অনেকের ধারণা তা রাখা হয়েছে সচেতনভাবেই) সেটা হলো এই আইনে ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা’র কোনো সংজ্ঞা নেই। ফলে রাষ্ট্রের যে কোনো নাগরিক অন্য যেকোনো নাগরিকের বিরুদ্ধে এই আইনে মামলা করতে পারছেন এবং এ আইনের এমনই ক্ষমতা যে, কোনো কোনো ক্ষেত্রে মামলা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই এমনকি মামলা হওয়ার আগেই পুলিশ গ্রেপ্তার করে ফেলছে।

অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, ক্ষমতাবান ব্যক্তি বা সরকারের অসন্তুষ্টির কারণ ঘটে এমন কোনো সংবাদ বা ডিজিটাল মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া প্রকাশ প্রতিরোধ করাই যেন এই আইনের লক্ষ্য। অর্থাৎ নাগরিকের ব্যক্তিগত সুরক্ষার কথা বলা হলেও এই আইনের প্রধান লক্ষ্য যে সেটি নয়, তা বেশকিছু ঘটনায় প্রমাণিত হয়েছে। ফলশ্রুতিতে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে যা সংবাদ মাধ্যম বা গণতন্ত্রের পরিবেশের জন্য বিপজ্জনক।

ঘটনা যা ঘটে তা বলা বা লেখা কী বিপদের কারণ হবে? সিজিএস এর 'দ্য আনএন্ডিং নাইটমেয়ার: ইমপ্যাক্টস অব বাংলাদেশ'স ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট ২০১৮' শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারি ২০২২ পর্যন্ত ২৬ মাসে এই আইনের অধীনে ৮৯০টি মামলায় দায়ের হয়। প্রতি মাসে গড়ে ৮৬ জনের বেশি মানুষসহ ২ হাজার ২৪৪ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।’ ‘দ্য গ্লোবাল ফ্রি এক্সপ্রেশন রিপোর্ট-২০২২’ এর প্রতিবেদন অনুসারে ‘মত প্রকাশের স্বাধীনতায়’ সবচেয়ে তলানিতে থাকা ৫টি দেশের একটি। স্বাধীন মতপ্রকাশের স্বাধীনতার এটাই বাস্তব চিত্র!

যে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আমাদের আবেগ এবং গর্ব সেই যুদ্ধে যারা অংশগ্রহণ করে জীবন উৎসর্গ করেছিলেন বা ফিরে এসেছিলেন বিজয় ছিনিয়ে নিয়ে প্রতিটি মানুষের স্বপ্ন-আশার জায়গা ছিল অভিন্ন। সবারই প্রত্যাশা ছিল, বাংলাদেশ স্বাধীন হলে তা হবে সত্যিকার অর্থে একটি গণতান্ত্রিক দেশ। স্বাধীন দেশে শোষণমুক্ত অর্থনৈতিক ও সামাজিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হবে, সেখানে মানবাধিকার নিশ্চিত করা হবে, প্রতিটি মানুষের অন্ন, বস্ত্র, আশ্রয়, শিক্ষা ও চিকিৎসাসহ জীবনধারণের মৌলিক উপকরণ প্রাপ্তি নিশ্চিত হবে। মৌলিক অধিকারের পাশাপাশি প্রত্যেকের মত প্রকাশের স্বাধীনতা থাকবে, নিরাপত্তা থাকবে জীবন ও সম্পদের।

সেই স্বপ্ন-আশার যেটুকু অর্জিত হয়েছে, যেটুকু হয়নি, না হলে কেন হয়নি দেশ স্বাধীনের পাঁচ দশকেরও বেশি সময় পেরিয়ে এসব প্রশ্ন জনগণের মনে আসাটাই তো স্বাভাবিক। সেই প্রশ্নকে কেন্দ্র করে মানুষের মনে আবেগ তৈরি হওয়াটাও তো স্বাভাবিক! সেই আবেগ প্রকাশকে যদি স্বাধীনতার প্রতি কটাক্ষ আর ষড়যন্ত্র হিসেবে বিবেচনা করা হয় তাহলে স্বাধীনতা আর পরাধীনতার মধ্যে পার্থক্য নিরূপণ হবে কীভাবে?

ভোট ও ভাতের লড়াই এদেশের মানুষের দীর্ঘদিনের। কিন্তু এত উন্নয়নের পরও মানুষের পেটে ভাতের অবস্থা কী? গত ২৯ মার্চ বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সানেম তাদের এক গবেষণায় উল্লেখ করে, ‘প্রয়োজনের তুলনায় খাবার কম খাচ্ছেন নিম্ন আয়ের ৭১ শতাংশ পরিবার। গত ছয় মাসে তাদের জীবিকার খরচ ১৩ শতাংশ বেড়েছে। একবেলা না খেয়ে থাকছে ৩৭ শতাংশ নিম্নআয়ের পরিবার। ৭৪ ভাগ নিম্ন আয়ের পরিবার ধার করে চলছে। খাদ্যবহির্ভূত পণ্যেও নিম্ন আয়ের মানুষ ব্যাপকভাবে খরচ কমিয়েছে। পোশাক, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য।'

শাসক দলের কর্তা ব্যক্তিরা সবসময় বলতে পছন্দ করেন যে তাদের আমলে যে উন্নতি হচ্ছে তা বিগত কোনো আমলেই হয়নি। কথা তো সত্য। কারণ আগে যা হয়েছে তাতো আর হওয়ার উপায় নেই। এখন যা হবে সব তো নতুনই হবে। ফলে সফলতার শ্লাঘা থাকবেই। কিন্তু এই আলোচনাও তো থাকতে হবে যে আর কী কী হতে পারত। কেন হলো না সেই প্রশ্ন এবং সমালোচনাও তো থাকবে। ক্ষমতায় থাকলে সমালোচনা হবে, কেউ করবেন ভালোর জন্য আবার কেউ করবেন ত্রুটি দেখিয়ে ক্ষমতা থেকে নামানোর জন্য। কিন্তু সমালোচনাটাই হবেই এবং গণতন্ত্রের স্বার্থে জনগণের স্বার্থে সমালোচনা করতেই হবে। আর গণতান্ত্রিক শাসনব্যাবস্থা না হলে সমালোচনা সহ্য করা সম্ভব হয় না সেটা তো জানা কথা। কিন্তু জনগণ স্বাধীনতা চাইবে তার স্বপ্নের কথা, তার স্বপ্নভঙের কথা বলার জন্য আর নিরাপত্তা চাইবে তার স্বাধীনতাকে সুরক্ষিত রাখার জন্য। কোনো নিরাপত্তা আইন যদি জনগণের মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে রুদ্ধ করে তখন প্রতিবাদ করেই স্বাধীনতাকে রক্ষা করতে হবে।

রাজেকুজ্জামান রতন: সদস্য, কেন্দ্রীয় কমিটি, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)।

এসএন

কাতার ও বাংলাদেশের মধ্যে সামুদ্রিক পরিবহন সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষর

চুক্তিতে স্বাক্ষর করছেন কাতারের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সুলতান বিন সাদ আল মুরাইখি এবং নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। ছবি: পিআইডি

কাতার ও বাংলাদেশের মধ্যে সামুদ্রিক পরিবহন সংক্রান্ত চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন কাতারের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সুলতান বিন সাদ আল মুরাইখি এবং নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত চুক্তি সই অনুষ্ঠানে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত ছিলেন। এসময় দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা জোরদার করতে আজ মোট পাঁচটি চুক্তি ও পাঁচটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে।

চুক্তিগুলো হলো- কাতার এবং বাংলাদেশের মধ্যে সমুদ্র পরিবহন, বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যে আয়ের ক্ষেত্রে দ্বৈত কর পরিহার এবং রাজস্ব ফাঁকি প্রতিরোধ, বাংলাদেশ সরকার এবং কাতার রাষ্ট্রের মধ্যে আইনি ক্ষেত্রে সহযোগিতা, বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যে পারস্পরিক বিনিয়োগ উন্নয়ন ও সুরক্ষা এবং বাংলাদেশ-কাতার যৌথ ব্যবসায়িক পরিষদ প্রতিষ্ঠা।

চুক্তি ছাড়াও পাঁচটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে জনশক্তি কর্মসংস্থান (শ্রম), বন্দর (এমব্লিউএএনআই কাতার এবং চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ), বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যে শিক্ষা, উচ্চশিক্ষা ও বৈজ্ঞানিক গবেষণা, যুব ও ক্রীড়া ক্ষেত্রে এবং বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যে কূটনৈতিক প্রশিক্ষণে সহযোগিতার স্মারকও স্বাক্ষরিত হয়।

কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান প্রত্যক্ষ করেন।

এর আগে কাতারের আমির প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমিরকে টাইগার গেটে ফুলের তোড়া দিয়ে স্বাগত জানান। তারা সেখানে একান্ত বৈঠকেও মিলিত হন। পরে দুই নেতা পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন।

পুলিশ সদস্যদের পদমর্যাদাভিত্তিক প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন

পুলিশ সদস্যদের পদমর্যাদাভিত্তিক প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

বাংলাদেশ পুলিশের সকল সদস্যের পদমর্যাদাভিত্তিক প্রশিক্ষণের আওতাভুক্ত চুয়াডাঙ্গা জেলায় নায়েক ও কনস্টেবলদের 'দক্ষতা উন্নয়ন কোর্স'-এর  উদ্বোধন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে ১৫তম ব্যাচে ৪২ জন পুলিশ সদস্যের অংশগ্রহণে সপ্তাহব্যাপী পদমর্যাদা ভিত্তিক প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে। প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন করেন পুলিশ সুপার চুয়াডাঙ্গা  আর এম ফয়জুর রহমান, পিপিএম-সেবা।

পুলিশ সদস্যদের পদমর্যাদাভিত্তিক প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, বিপিএম (বার), পিপিএম'র সার্বিক নির্দেশনায় ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টার, কুষ্টিয়ার পরিচালনায় বাংলাদেশ পুলিশের সকল পদমর্যাদার সদস্যরা এ প্রশিক্ষণ কোর্সে অংশ নিচ্ছেন।

পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান উদ্‌বোধনী ক্লাসে প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশ্যে পোশাকের মর্যাদা, সৌজন্যতা ও মার্জিত আচরণ, সহকর্মী ও সেবা প্রত্যাশীদের সাথে পেশাগত আচরণ ও করণীয়-বর্জনীয় সম্পর্কে আলোকপাত করেন।

পুলিশ সদস্যদের পদমর্যাদাভিত্তিক প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

উদ্‌বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মো. রিয়াজুল ইসলাম, (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ); চুয়াডাঙ্গা; মো. নাজিম উদ্দিন আল আজাদ, পিপিএম-সেবা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্); চুয়াডাঙ্গা; আনিসুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল); চুয়াডাঙ্গা; আবদুল আলীম, আরওআই, রিজার্ভ অফিস, চুয়াডাঙ্গা; আমিনুল ইসলাম, আরআই, পুলিশ লাইন্স, কুষ্টিয়া ইনসার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারের প্রতিনিধিসহ চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের বিভিন্ন পদমর্যাদার প্রশিক্ষণার্থী পুলিশ সদস্যবৃন্দ।

গোবিন্দগঞ্জে ১৪ জনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা

আব্দুল লতিফ প্রধান ও শাকিল আকন্দ বুলবুল। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ২ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭ জনের মনোনয়ন পত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বেলা ১১ টায় জেলা প্রশাসকের কনফারেন্স রুমে যাচাই-বাছাই শেষে রিটানিং অফিসার মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেন। গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন অফিসার মো. সাখাওয়াত হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

যাচাই-বাছাই শেষে যাদের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয় তারা হলেন- চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ প্রধান, সাপমারা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শাকিল আকন্দ বুলবুল। ভাইস চেয়ারম্যান পদে মো. মেসবাহ নাহিফুদ দৌলা, উপজেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি গোবিন্দগঞ্জ নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক মো: আব্দুল মতিন মোল্লা, পাপন মিয়া, মাহাবুর রহমান ও বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম তাজু। আর মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দাখিল করেছেন পাপিয়া রানী দাস, মমতা বেগম, আফরুজা খাতুন, সাকিলা বেগম, ফাতেমা বেগম, উম্মেজাহান, সাথী আক্তার।

উল্লেখ্য, ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে এই উপজেলার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ লক্ষ্যে আগামী ৩০ এপ্রিল প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ও ২ মে সকল প্রার্থীকে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হবে। আর ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২১ মে।

সর্বশেষ সংবাদ

কাতার ও বাংলাদেশের মধ্যে সামুদ্রিক পরিবহন সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষর
পুলিশ সদস্যদের পদমর্যাদাভিত্তিক প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন
গোবিন্দগঞ্জে ১৪ জনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা
রাজধানীতে ছাদ থেকে লাফিয়ে ট্রান্সজেন্ডার নারীর আত্মহত্যা
ভাড়া বাড়াইনি, শুধু ভর্তুকি প্রত্যাহার করেছি: রেলমন্ত্রী
নবাবগঞ্জে জাল দলিলে জমি দখলের চেষ্টা, সাবেক ও বতর্মান চেয়ারম্যান জেলহাজতে
ঢাকা ছাড়লেন কাতারের আমির, গেলেন নেপাল
নওগাঁর মান্দায় বিদ্যুতের আগুনে পুড়ল ৮ বসতবাড়ি
ইন্টারনেটের ধীরগতি নিয়ে দুঃসংবাদ, এক মাস চলতে পারে ভোগান্তি
উপজেলা নির্বাচন: প্রথম ধাপে বিনা ভোটে ২৬ প্রার্থী নির্বাচিত
'রূপান্তর' বিতর্ক: জোভান-মাহিসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা
সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত দুই চুয়েট শিক্ষার্থীর পরিবার পাবে ১০ লাখ টাকা
সাঘাটায় নির্বাচনের আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন টিটু
এফডিসিতে সাংবাদিকদের ওপর হামলা, চরম উত্তেজনা
দিনাজপুরে বাঁশফুল থেকে পাওয়া যাচ্ছে চাল, রান্না হচ্ছে ভাত-পোলাও-পায়েস
পদ্মায় নিখোঁজ তিন কিশোরের লাশ উদ্ধার
বাড়তে পারে তাপমাত্রা
আজ রাতেই দেখা মিলবে ‘গোলাপী’ চাঁদের
চতুর্থ ধাপের তফসিল ঘোষণা করলো ইসি
দুই মাসের মধ্যে বেনজীরের দুর্নীতি অনুসন্ধানের প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ