বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | ৫ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

একজন লড়াকু মানুষের বিদায়

দেশের এখন সবচেয়ে বড় সংকট অনুসরণ করার মতো কোনো চরিত্র নেই। মানুষ কার কাছে শিখবে, কার কাছে যাবে, কোথা থেকে পাবে সাহস? চারিদিকে চালাক মানুষের ভিড়ে কোথায় পাবে সরল মানুষ যার কাছে দুঃখের কথা বলা যায়। ক্যারিয়ারের কথা বলছে সবাই, চরিত্র তৈরি করার কথা তো বলছে না কেউ। নিজেকে বড় ভাবার মানুষের অভাব নেই কিন্তু নিজেকে বড় করে তোলার সংগ্রামে লিপ্ত আছেন তেমন মানুষ কই? লক্ষ্যে অবিচল থেকে লক্ষ্য অর্জনের জন্য সাধ্যমতো সব করা যায়, কিন্তু কোনো কিছুর জন্যই লক্ষ্য বিচ্যুত হওয়া যায় না- এমন দৃষ্টান্ত কোথাও তো দেখি না।

কারো কাছে বয়স একটা সংখ্যা মাত্র। ক্রমাগত বাড়ে কিন্তু কাবু করে ফেলে না, উদ্যমকে লাগাম পরাতে দেয় না, কৌতূহলকে অবদমন করেন না বরং কৌতূহলের বাতাসে পাল উড়িয়ে দেন, সবসময় থাকেন আগ্রহী ও উদ্যোগী। কেউ আবার বয়সজনিত অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগান বর্তমানের সমস্যা সমাধানে। তার তো বয়স নিয়ে ভাবনার সময়ই থাকে না। একজন সেরকম আমৃত্যু যুবক ছিলেন আমাদেরই মাঝে। যিনি তার ৮১ বছর বয়সকে থোরাইকেয়ার করে ১৮ বছরে নামিয়ে এনেছিলেন। ছুটেছেন অবিরাম। কিন্তু আমরা কি তার যৌবনের শক্তিকে মূল্যায়ন করেছি?

শিক্ষার উদ্দেশ্য কী? জানতে চাইলে নির্দ্বিধায় প্রায় সবাই বলে উঠবেন, কী আবার? ক্যারিয়ার গড়ে তোলা। কারণ শেখানো হয়েছে, লেখা পড়া করে যে, গাড়ি ঘোড়া চড়ে সে। অথবা বাবা- মা উদ্বেগ জড়ানো কণ্ঠে বলেন, ভালো করে পড়াশুনা কর, তা না হলে খাবি কী করে? আর এদেশে থেকে কোনো লাভ নেই, বাইরে গিয়ে প্রতিষ্ঠিত হতে হবে। সেই লক্ষ্যে চলতে থাকে বিদেশে পড়াশুনা এবং শিক্ষাজীবন শেষে সেখানেই স্থায়ী হওয়ার চেষ্টা। এর বিকল্প যারা ভাবেন তাদের বাস্তব জ্ঞানের বিষয়ে সকলেই প্রশ্ন তুলবেন। একবাক্যে বলেন যে, তারা হয় বোকা অথবা তাদের যোগ্যতা নেই। কিন্তু শিক্ষাগত যোগ্যতা আছে, বিলাসী জীবনযাপনের মতো আয় রোজগার আছে, বিস্তর সামাজিক যোগাযোগ আছে তার পরও ফিরে এসেছেন দেশের মাটিতে এমন মানুষকে কী বলা যায়?

বাইরে থেকে দেখলে তার জীবন বিতর্কপূর্ণ, ঝুঁকিপূর্ণ, বৈচিত্র্যময় ও বর্ণিল। জীবনের প্রতিটি বাঁক ফেরানোর মুখে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নিজের কথা ভেবে নয়, দেশ ও জনগণের স্বার্থ বিবেচনায়। ১৯৬৪ সালে ঢাকা মেডিকেল থেকেএমবিবিএস পাস করে লন্ডনে গিয়েছিলেন এফআরসিএস পড়তে। তখন তার জীবনযাপন ছিল শখ ও বিলাসিতায় পূর্ণ। তিনি প্রাইভেট জেট চালানোর লাইসেন্স পেয়েছিলেন, যুবকদের আকাঙ্ক্ষিত দামি স্যুট, টাই, শার্ট, জুতা পরতেন। ৪ বছরের এফআরসিএস কোর্স তখন শেষের দিকে। প্রাইমারি পরীক্ষায় ভালোভাবেই উত্তীর্ণ হয়েছেন, আর কয়েকদিন পরেই ফাইনাল পরীক্ষা। ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেল বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ। তার মনে কি এই প্রশ্ন আসেনি যে কী করবেন তিনি তখন? উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ আর অনিশ্চিত জীবনের টানাপোড়েন। কিন্তু তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন সংগ্রামের অনিশ্চিত অথচ মহত্তম পথটাই বেছে নেবেন। ক্যারিয়ারের পরীক্ষা নয় দেশপ্রেমের পরীক্ষায় অংশ নিলেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে জনমত গঠনে নেমে পড়লেন লন্ডনের রাস্তায়।

লন্ডনের হাইড পার্কে অনুষ্ঠিত এরকম একটি সমাবেশে প্রকাশ্যে তিনি পাকিস্তানি পাসপোর্ট ছিঁড়ে ফেললেন। পরে যখন জিজ্ঞেস করা হয়েছিল এই যে পাসপোর্ট ছিঁড়ে পাকিস্তানের নাগরিকত্ব বর্জন করলেন, সিদ্ধান্তটা কী তিনি হঠাৎ করে, না চিন্তা-ভাবনা করে নিয়েছিলেন? হাসতে হাসতে তিনি বলেছিলেন, 'পাসপোর্ট ছিঁড়ে ফেলা ছিল পাকিস্তানিদের গণহত্যার বিরুদ্ধে একটি প্রতিবাদ। তোমরা আমাদের হত্যা করছ, আমি তোমার পাসপোর্ট ছিঁড়ে ফেললাম, নাগরিকত্ব বর্জন করলাম।'

তো পাসপোর্ট ছিঁড়ে ফেললেন এরপর কাজ কী? আপাত নিরাপদ বিদেশে থেকে স্বাধীনতার জন্য সহায়তা করা নাকি সংগ্রামে অংশ নেওয়া? তিনি বেছে নিলেন সেই ঝুঁকিপূর্ণ পথ।

১৯৭১ সালের মে মাসের শেষে তিনি পৌঁছালেন আগরতলায় মুক্তিযুদ্ধের ২ নম্বর সেক্টরে। সেখানেই গড়ে তুলেছিলেন একটি হাসপাতাল। যুদ্ধে আহত মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসার জন্য গড়ে তোলা হয়েছিল এই হাসপাতাল যার নাম দেওয়া হয়েছিল 'বাংলাদেশ ফিল্ড হাসপাতাল'। ভবন তৈরির অপেক্ষা না করে ছন-বাঁশ দিয়ে নির্মাণ করাহয়েছিল ৪৮০ শয্যার হাসপাতাল আর এর অপারেশন থিয়েটার। যুদ্ধে গুরুতর আহত মুক্তিযোদ্ধাদের জটিল অপারেশনও করা হতো বাঁশের তৈরি এই হাসপাতালে। প্রশিক্ষিত নার্স নেই তো কী হয়েছে হাতের কাছে তো আগ্রহী মানুষ আছে? ফলে প্যারামেডিক প্রশিক্ষণ দিয়ে গড়ে তোলা হয়েছিল একদল সেবাদানকারী। মুক্তিযুদ্ধে এই ফিল্ড হাসপাতালের ভূমিকা অপরিসীম। এই হাসপাতালটিই স্বাধীন বাংলাদেশে জন্ম নিল গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র নামে।

স্বাধীনতার পর তার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান ওষুধ নীতি প্রণয়ন। দেশের ওষুধের বাজার প্রায় পুরোটাই ছিল বহুজাতিক কোম্পানির নিয়ন্ত্রণে। অনেক অপ্রয়োজনীয় ওষুধসহ প্রায় সাড়ে ৪ হাজার ওষুধ ছিল বাজারে। দেশে কারখানা তৈরি করে উৎপাদন করা হতো আর অধিকাংশই কোম্পানিগুলো বিদেশ থেকে আমদানি করত। ফলে ওষুধের দাম ছিল বেশি আর কষ্টার্জিত বৈদেশিক মুদ্রা চলে যেত দেশের বাইরে। গণমানুষের জন্য চিকিৎসা সহজলভ্য করার জন্য স্বাধীনতার পর থেকেই দেশীয় ওষুধ শিল্প গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখেছিলেন এবং সমাজতান্ত্রিক দেশ থেকে কম দামে ওষুধ আমদানির কথা নীতি নির্ধারক মহলের সঙ্গে আলোচনা করেছিলেন তিনি। অবশেষে ওষুধ নীতি করাতে সক্ষম হন ১৯৮২ সালে। এর ফলে সাড়ে ৪ হাজার ওষুধ থেকে প্রায় ২ হাজার ৮০০ ওষুধ নিষিদ্ধ করা হয়। আজ দেশীয় পুঁজিপতিদের মালিকানায় ওষুধ শিল্পের যে বিকাশ, তা সেই ওষুধ নীতিরই সুফল। এখন মানুষের চাহিদার ৯৫ শতাংশেরও বেশি ওষুধ দেশেই উৎপাদিত হয়। বাংলাদেশ এখন ওষুধ রপ্তানিকারক দেশ।

যখন কোভিড মহামারির আতঙ্ক, তখন তিনি কোভিড আক্রান্ত হয়েছিলেন। গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালেই হয়েছিল তার চিকিৎসা। 'যে হাসপাতাল তৈরি করলাম, সেখানে যদি নিজে আস্থা না রাখি, সাধারণ মানুষ আস্থা রাখবেন না' এটাই ছিল তার যুক্তি। আবার করোনা চিকিৎসায় দামি ওষুধ গ্রহণ করতে রাজি হননি। তার যুক্তি ছিল, 'প্রথমত করোনা চিকিৎসায় এত দামি ওষুধ দরকার নেই। দ্বিতীয়ত, যে ওষুধ কেনার সামর্থ্য সাধারণ মানুষের নেই, সেই ওষুধ আমি খাব না।' অনুরোধ করেও কোনো ডাক্তার তার এই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করাতে পারেননি।

আবার যখন তার কিডনি রোগ যখন ধরা পড়ল, তার আমেরিকান ডাক্তার বন্ধুরা তাকে আমেরিকায় নিয়ে ট্রান্সপ্লান্ট করে দেওয়ার উদ্যোগ নিলেন। কিন্তু তিনি রাজি হননি কারণ বাংলাদেশে কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট আইন পরিবর্তনের জন্য তিনি আন্দোলন করছিলেন। বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী কাছের আত্মীয় ছাড়া কেউ কিডনি দান করতে পারেন না। এতে মানুষ সেবা থেকে বঞ্চিত হয়। 'দেশের সাধারণ মানুষ কিডনি ট্রান্সপ্লান্টের সুযোগ পাবে না, আর আমি আমেরিকা থেকে করে আসব বা দেশে মিথ্যা কথা বলে করতে হবে, তা হয় না। আমি ট্রান্সপ্লান্ট করব না। বরং ডায়ালাইসিস করব, যে সেবা গরিব মানুষকেও দিতে পারব।'

তার কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল আপনার গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের সম্পদের পরিমাণ কত? 'হবে কয়েক হাজার কোটি টাকার', তার নির্বিকার উত্তর। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের এত টাকার সম্পদ, আপনার কখনো মনে হয় না এখান থেকে নিজের কিছু পাওয়ার ছিল? 'না, না আমি টাকা-সম্পদ দিয়ে কী করব। দেশের মানুষের জন্যে আরও অনেক কিছু করার ছিল।' এই ছিল তার উত্তর। তার আরও স্বপ্ন ছিল, চিকিৎসা বাণিজ্য বন্ধ করার, একটি ফ্যাসিবাদমুক্ত গণতান্ত্রিক দেশের, সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচনের এবং সেই স্বপ্ন পুরনের লক্ষ্যে তার আমৃত্যু লড়াই ছিল। তিনি কি বামপন্থী ছিলেন? না। তিনি কি প্রথাগত অর্থে ডানপন্থী ছিলেন? তাও নয়। ফলে রাজনৈতিক নানা প্রশ্নে তার সঙ্গে অনেক দ্বিমত থাকলেও মানুষের প্রতি তার দায়বোধ নিয়ে বিতর্ক করবেন না কেউ।

তার জীবন আমাদের শেখায়, জিততে চাইলে মানুষ নাও জিততে পারে কিন্তু কোনো মানুষ যদি প্রতিজ্ঞা করে তিনি হারবেন না তাহলে তাকে হারানো সম্ভব না কিছুতেই। সে রকম মানুষ ধ্বংস হয়ে যেতে পারে কিন্তু হার মানে না কিছুতেই। আমাদের তেমনি একজন হার না মানা যোদ্ধা ছিলেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

রাজেকুজ্জামান রতন: সদস্য, কেন্দ্রীয় কমিটি, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)

এসএন

রোমাঞ্চকর টাইব্রেকারে ম্যানসিটিকে বিদায় করে সেমিতে রিয়াল মাদ্রিদ

রিয়াল মাদ্রিদের জয় উদযাপন। ছবি: সংগৃহীত

নির্ধারিত ৯০ মিনিটে আলাদা করা গেল না দুই ক্লাবকে। অতিরিক্ত ৩০ মিনিট শেষেও থাকল সমতা। ম্যানচেস্টার সিটির আক্রমণের তীব্র ঝাপটা সামলে লড়াইয়ে টিকে রইল রিয়াল মাদ্রিদ।

অবধারিতভাবে তাই রোমাঞ্চকর ম্যাচ গড়াল পেনাল্টি শুটআউটে। সেখানে দুটি শট সেভ করে নায়ক বনে গেলেন গোলরক্ষক আন্দ্রি লুনিন। শিরোপাধারীদের ছিটকে দিয়ে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে উঠল আসরের রেকর্ড ১৪ বারের চ্যাম্পিয়নরা।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) নির্ধারিত সময়ের খেলা ছিল ১-১ গোলে সমতায়। এরপর টাইব্রেকারে ম্যানচেস্টার সিটিকে ৪-৩ ব্যবধানে হারিয়ে শেষ চারে জায়গা করে নেয় লস ব্লাঙ্কোরা।

ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক হয়ে খেলতে থাকে সিটি। বিপরীতে পাল্টা আক্রমণে ম্যাচের ১২ মিনিটে লিড পায় রিয়াল। গোল করে দলকে এগিয়ে দেয় রদ্রিগো। এরপর আর কোনো গোল না হলে ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় রিয়াল মাদ্রিদ।

বিরতি থেকে ফিরে গোল শোধে মরিয়া হয়ে খেলতে থাকে ম্যানসিটি। বেশ কিছু আক্রমণ করেও গোল পেতে ব্যর্থ হয় স্বাগতিকরা। অবশেষে ম্যাচের ৭৬ মিনিটে ম্যাচে সমতায় ফেরে ম্যানসিটি। ডি ব্রুইন গোল করে দলকে সমতায় ফেরান। ১-১ সমতায় শেষ হয় নির্ধারিত সময়ের খেলা।

অতিরিক্ত সময়েও যথারীতি আক্রমণে আধিপত্য ধরে রাখে ম্যানসিটি। তবে গোলের দেখা পায়নি কোনো দল। এরপর টাইব্রেকারে রিয়াল গোলরক্ষক ফিরিয়ে দেন বের্নার্দো সিলভা ও মাতেও কোভাচিচের শট। অন্যদিকে ম্যানসিটির গোলরক্ষক ফেরান কেবল মাত্র লুকা মদ্রিচের শট। শেষ পর্যন্ত ৪-৩ গোলের জয়ে শেষ চারে পা রাখে রিয়াল মাদ্রিদ।

বিএনপির চিন্তাধারা ছিল দেশকে পরনির্ভরশীল করা: প্রধানমন্ত্রী

বক্তব্য রাখছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: সংগৃহীত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অবৈধভাবে সংবিধান লঙ্ঘন করে যারা বারবার ক্ষমতায় এসেছে, তারা এ দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি, এটাই দুর্ভাগ্য। বিএনপির চিন্তাধারা ছিল দেশকে পরনির্ভরশীল করা।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকালে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করেন তিনি। রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে পুরাতন বাণিজ্য মেলার মাঠে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

খাদ্যের পর পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই সরকারের লক্ষ্য জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপির সময়ে খাদ্য ঘাটতি ছিল। এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে দেশ। আমার কারও কাছে মুখাপেক্ষী হয়ে থাকব না। নিজেরাই নিজেদের খাদ্য উৎপাদন করব।

৭৫ পরবর্তী যারা ক্ষমতায় এসেছিল, তাদের কারও জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা ছিল না মন্তব্য করে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো। কিন্তু অবৈধভাবে সংবিধান লঙ্ঘন করে যারা বারবার ক্ষমতায় এসেছে, তারা এ দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি, এটাই দুর্ভাগ্য।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে আমি যখন সরকার গঠন করলাম, তখন রিজার্ভ মানিও তেমন ছিল না। এশিয়াতে তখন খাদ্য মন্দা। আমাদের লক্ষ্য ছিল আমরা কারও কাছে হাত পেতে চলব না। নিজের ফসল নিজে উৎপাদন করব।

‘জাতির পিতা সবসময় বলতেন- আমরা কারও কাছে ভিক্ষা চাইব না, কারণ ভিক্ষুক জাতির ইজ্জত থাকে না। আমরা মান-সম্মান নিয়েই বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে চলতে চাই। সেই আদর্শে আমরা দেশকে এগিয়ে নেওয়ার পদক্ষেপ নিয়েছি।’-বলেন শেখ হাসিনা।

অনুষ্ঠানে প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের পক্ষ থেকে ১৮ থেকে ২২ এপ্রিল দেশব্যাপী প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এতে সভাপতিত্ব করছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান।

প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর অংশ হিসেবে ১৮ ও ১৯ এপ্রিল দুই দিন প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া দেশব্যাপী ৬৪টি জেলার ৪৬৬টি উপজেলায় এই প্রদর্শনী একযোগে অনুষ্ঠিত হবে। এসব প্রদর্শনীতে স্ব স্ব উপজেলা থেকে উন্নত জাতের এবং অধিক উৎপাদনশীল জাতের গবাদিপশু যেমন- গাভী, বাছুর, ষাঁড়, মহিষ, ছাগল, ভেড়া, মুরগি, হাঁস, দুম্বা, কবুতর, সৌখিন পাখি, পোষা প্রাণি এবং বিভিন্ন প্রযুক্তি প্রদর্শন ইত্যাদি স্থান পাবে।

ফেসবুক লাইভে অস্ত্রাগার দেখানোয় চাকরি হারালেন এসপি রানা

ছবি সংগৃহিত

তিনজন বহিরাগতকে অস্ত্রাগার দেখানো এবং সেখান থেকে ফেসবুকে সরাসরি সম্প্রচারের সুযোগ দেওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় খুলনা রেঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) মুহাম্মদ শাহেদ ফেরদৌস রানাকে বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া হয়েছে। গত ৯ এপ্রিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। বিসিএস পুলিশের ২৫ তম ব্যাচের কর্মকর্তা শাহেদ ফেরদৌস ২০০৬ সালের ২১ আগস্ট পুলিশ বাহিনীতে যোগ দেন। তিনি চাঁদপুরের স্থায়ী বাসিন্দা।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ২০২০ সালের ২৯ আগস্ট ঢাকায় স্পেশাল সিকিউরিটি অ্যান্ড প্রোটেকশন ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় ৩ জন বহিরাগতকে অস্ত্রাগার পরিদর্শন করানো, অস্ত্রের বর্ণনা দিয়ে ফেসবুকে সরাসরি সম্প্রচারের সুযোগ দিয়েছিলেন খুলনার রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ের পুলিশ সুপার শাহেদ ফেরদৌস রানা। এ কাজে তাকে সহায়তা করেন পুলিশ পরিদর্শক (সশস্ত্র) গোলাম মোস্তফা, পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) সৈয়দ আনিসুর রহমান, এসআই (নিরস্ত্র) নুর–এ–সরোয়ার রিপন, এসআই (সশস্ত্র) আবু সাঈদ মো. ওবাইদুর রহমান এবং এসআই (সশস্ত্র) মানিক খান।

প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, পরবর্তীকালে শাহেদ ফেরদৌসের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশ অধিদপ্তরে প্রস্তাব পাঠানো হয়। পরে তার বিরুদ্ধে রুজু করা বিভাগীয় মামলায় উপস্থাপিত ভিডিওটি সিআইডির ফরেনসিক বিভাগের বিশেষজ্ঞ দিয়ে পরীক্ষা–নিরীক্ষা করা হয়। এরপর সুস্পষ্ট মতামতসহ প্রতিবেদন পাঠানোর জন্য বলা হয়। গত ২৪ আগস্ট সিআইডির ফরেনসিক বিভাগের পাঠানো প্রতিবেদনে উপস্থাপিত ভিডিওটি সম্পাদনা করা হয়নি অর্থাৎ প্রকৃত মর্মে মতামত দেওয়া হয়।

অসদাচরণের অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় গুরুদণ্ড হিসেবে শাহেদ ফেরদৌসকে ‘বাধ্যতামূলক অবসর প্রদান’- এর প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়। পরবর্তীতে সরকারি কর্ম কমিশনের পরামর্শ চাওয়া হয়। গত ১ জানুয়ারি সরকারি কর্ম কমিশন বাধ্যতামূলক অবসর প্রদানের দণ্ড দেওয়ার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করার পরামর্শ দেয়। এরপর তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়।

সর্বশেষ সংবাদ

রোমাঞ্চকর টাইব্রেকারে ম্যানসিটিকে বিদায় করে সেমিতে রিয়াল মাদ্রিদ
বিএনপির চিন্তাধারা ছিল দেশকে পরনির্ভরশীল করা: প্রধানমন্ত্রী
ফেসবুক লাইভে অস্ত্রাগার দেখানোয় চাকরি হারালেন এসপি রানা
ইউক্রেনে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহত ১৭
৭১ বছর পর সূর্যের কাছে আসছে এভারেস্টের চেয়ে বড় ধূমকেতু
সড়ক দুর্ঘটনায় সংগীতশিল্পী পাগল হাসানসহ নিহত ২
টাইমের প্রভাবশালী ১০০ ব্যক্তির তালিকায় বাংলাদেশের মেরিনা
ঢাকায় আসছে মার্কিন প্রতিনিধিদল
দুপুরের মধ্যে ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের আভাস, হুঁশিয়ারি সংকেত
এসব কাজ আর করব না- ‘রূপান্তর’ নাটক প্রসঙ্গে জোভান
ইরানের হামলার জন্য নেতানিয়াহুই দায়ী: এরদোগান
৪০ বছর ধরে হজযাত্রীদের বিনামূল্যে খাওয়ানো সেই বৃদ্ধ মারা গেছেন
ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের জন্য দুঃসংবাদ
পীরজাদা হারুনকে বয়কট করলেন চিত্রনায়িকা শিল্পী
উপজেলা নির্বাচন: তৃতীয় ধাপের তফসিল ঘোষণা
গুলশানে বারের সামনে চুলোচুলি, সেই ৩ নারী গ্রেপ্তার
গোবিন্দগঞ্জে অটোরিকশা চালক হত্যার বিচার দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ
মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতির আলোকে প্রস্তুতি নিতে মন্ত্রীদের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
উপজেলা নির্বাচনের নামে দেশে আরেকবার ধাপ্পাবাজি: আমীর খসরু
সংসদ এলাকায় ড্রোন, মুচলেকায় ছাড়া পেলেন সাবেক এমপিপুত্র