শুক্রবার, ৯ মে ২০২৫ | ২৬ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

পিএম কেয়ার ফান্ড নিয়ে মোদির ‘লুকোচুরি’

একটা সরকার আর তার প্রধানমন্ত্রী কি শুধুই মিথ্যে কথার উপরে দাঁড়িয়ে আছে? করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে পিএম কেয়ার ফান্ডের টাকা খরচ নিয়েও মিথ্যা কথা বলেছিল খোদ পিএমও, মানে প্রধানমন্ত্রীর অফিস। ভ্যাকসিন আবিস্কার বা তৈরির জন্য পিএম কেয়ার ফান্ড থেকে ১০০ কোটি টাকা দেওয়া হবে বলে রীতিমত প্রেস বিবৃতি দেওয়া হয়েছিল। এ পর্যন্ত এক টাকাও দেওয়া হয়নি। লোকেশ বাত্রা নামে এক সমাজকর্মীর করা আরটিআই (তথ্য জানার অধিকার) থেকেই এই সত্যি প্রকাশে এসেছে। খবরটি ডিজিটাল পোর্টাল দ্য ওয়ারে প্রকাশিত হয়েছে।

কারোনা মহামারীর প্রথম ঢেউ এর সময়ে স্বাধীনতার সময় থেকে চলা প্রধানমন্ত্রী ত্রাণ তহবিল নিয়ে নানা প্রশ্ন তুলে মোদি তার নেতৃতে পি এম কেয়ার ফান্ড গঠন করেন। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতামনও সদলা ছিলেন। যদিও এটা সরকারি তহবিল নয়। কিন্তু বিভিন্ন শিল্পসংস্থা ৩ উদ্যোগপতি এই তহবিলে কোটি কোটি টাকা দেন! রেল থেকে ব্যাংক বিভিন্ন সরকারি সংস্থার কর্মীদের মাইনে থেকে কেটে বাধ্যতামূলকভবে টাকা নেওয়া হয়! কত টাকা উঠেছে আজ পর্যন্ত মোদি তা জানাননি। হিসেবও দেননি।

২০২০ সালের ১৩ মে পিএমও থেকে এক প্রেস বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, কোভিড ১৯ এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার তিন হাজার একশ কোটি টাকা দেবে। যেমন, অন্যদেশের সরকারও দিয়েছে। আর ভ্যাকসিন তৈরি করার জন্য পি এম কেয়ার ফান্ড থেকে ১০০ কোটি টাকা দেওয়া হবে। যা সরাসরি জনগণের দানের টাকা। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, এই টাকা দেশের প্রধান বৈজ্ঞানিক পরামর্শদাতা বিজয় রাঘবনের নজরদারিতে দেওয়া হবে।
সেই টাকা দেওয়া হয়েছে কিনা জানতে চেয়ে ২০২১ এর ১৬ জুলাই আরটিআই করেন বাত্রা। তাকে নানা ভাবে হেনস্তা করা হয় ও বারবার বলা হয় পিএম কেয়ার ফান্ড যেহেতু সরকারি ফান্ড যেহেতু সরকারি ফান্ড নয় সেই ব্যাপারে কিছু বলা যাবে না। কিন্তু তিনি হাল ছাড়েননি। অবশেষে স্বাস্থ্য মন্ত্রক থেকে জানানো হয়,ভ্যাকসিন তৈরির জন্য পিএম কেয়ার ফান্ড থেকে কোনও টাকাই দেওয়া হয়নি!

"সব কা সাথ,সব কা বিকাশ”

আওয়াজ তুলে নারেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় এসেছিলেন। তার সময়ে বিকাশ সব থেকে বেশি বেশি হয়েছে গৌতম আদানির। এই করোনা অতিমারির ২০২০ সালে আদানির সম্পত্তি যা ছিল ৬৬ লাখ কোটি টাকা। ২০২১ সালের শেষে তা সাড়ে সাত গুণ বেড়েছে। মুকেশ আম্বানির সম্পত্তি বৃদ্ধি এর পরেই। কিন্তু অনেক কম।

পশ্চিমবঙ্গে দিলীপ ঘোষ, সুকান্ত মজুমদার বা সমীক ভট্টাচার্য এর মতো বিজেপির নেতা বা পাড়ার বিজেপি কর্মীদের জিজ্ঞাসা করলেই হতাশা টের পাওয়া যাবে। মোদিজি কার বিকাশ করছেন?এই সময়ে অর্থাৎ ২০২০ থেকে ২০২১ সালে দেশের ২০ কোটি মানুষ আরও গরিব হয়ে গিয়েছে। দেশের কয়েক কোটি মানুষকে রেশনে দুই কেজি করে চাল গম দেওয়া হচ্ছে। যাতে তারা একেবারে না খেতে পেয়ে, মরে না যায়। কিন্তু এই এক বছরে ভারতে এর সংখ্যা বেড়েছে আরও ৪০জন। ভারতের একাধিক বিমানবন্দরও রেল স্টেশন। বেসরকারি করণের নামে তুলে দেওয়া হয়েছে এই মোদিপন্থী শিল্পপতিদের হাতে।

সম্প্রতি মোদি ওয়ার্ল্ড ইকনমি ফোরামে টেলিপ্রমটারে দেখে তার ভাষণে বলছেন, ভারতে বিনিয়োগের এটাই সেরা সময়। ঠিকই বলছেন! এটাই মোদিমিক্স। অর্থাৎ মোদির অর্থশাস্ত্র। গৌতম আদানিও মোদির প্রশংসা করে ঠিকই বলেছেন, মোদির দেখানো পথে দেশ এগিয়ে চলেছে। আসলে মিথ্যা প্রচারের উপর নির্ভর করা ফ্যাসিস্ট সরকার ও তাদের হাত ধরা ক্রনি ক্যাপিটাল একসঙ্গে চলে। ইউরোপের ইতিহাস তাই বলে। ভারতেও তাই হচ্ছে। ভারতের নাগরিকরা কি করবেন তা তাঁদেরই ভাবতে হবে। এর সঙ্গে কালীঘাটের ব্যানার্জি পরিবারের ৪০টি বাড়ির ব্যাপারটা গুলিয়ে ফেললে চলবে না। ওটা কিন্তু ফ্যাসিজিম নয়!

কোনো দেশে ফ্যাসিবাদ একা আসে না। হিটলার বা মুসোলিনির মত রাস্ট্রবাদের কথা বলে ক্রমাগত কিছু মানুষকে ধর্মীয় বা বা জাতিগত বিচারে টার্গেট বানানো একজন ডিক্টেটর একা দেশে ফ্যাসিবাদী শাসন কায়েম করতে পারে না। তার জন্য দিন রাত ২৪ ঘণ্টা ওই নেতা ও তার মিথ্যা প্রচারকে, ঘৃণার বার্তাকে সাধারণ মানুষের মনের মধ্যে গেঁথে দেওয়ার জন্য প্রচার যন্ত্র। হিটলারের জার্মানি বা মুসোলিনির ইতালিতে সেই কাজ করেছিল দেশের প্রধান প্রধান সংবাদপত্র ও সরকারি রেডিও। বেশি কিছু পড়তে হবে না। হাতের কাছে বিবেকানন্দ মুখোপাধ্যায়ের 'দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ইতিহাস' বইটি থাকলে বা জোগাড় করে পড়ে দেখতে পারেন।

ভারতে সেই কাজ করছে দিল্লি ও নয়ডার বিভিন্ন মিডিয়া হাউজ। এরাই মালিক হিন্দি ও ইংরেজি সংবাদপত্রও সর্বভারতীয় টিভি চ্যানেলগুলির। প্রচারের জন্য দেদারসে সরকারি অর্থও বিজ্ঞাপন পাচ্ছে তারা। মুনাফা বাড়ছে। উত্তরপ্রদেশ-সহ পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা ভোট এগিয়ে আসায় এদের মুখোশ খুলে গিয়েছে পুরোপুরি।
দিল্লির টাইমস নাও এর নতুন হিন্দি চ্যানেল টাইমস নবভারতের সাংবাদিক তিলক কাটা সুশান্ত সিনহা। রোজ রাতে প্রাইম টাইমে 'রাজনীতির পাঠশালা' নামে এক অনুষ্ঠান করেন। একটাই কাজ, মোদি ও বিজেপির গুনকীর্তন প্রচার এবং কংগ্রেস ও রাহুল গান্ধীকে গালাগালি। দিল্লির যেসব প্রতিষ্ঠিত সাংবাদিক মোদি জমানায় বাধ্য হয়ে ইউটিউব চ্যানেল খুলেছেন,তাদেরও গালাগালি করতে ছাড়েন না। যে কেউ ইচ্ছে ওঁর টুইটার অ্যাকাউন্টে গিয়ে দেখতে পারেন। টাইমস এর মালিক জৈনরা পুরোপুরি মোদীর সমর্থক ও ভক্ত। তাদের কাগজের কলকাতার এডিশনেও এই মহান সাংবাদিকের ছবি দিয়ে বিজ্ঞাপন বার হচ্ছে। মূল্যবৃদ্ধি থেকে বেকারি বা দেশের আর্থিক অবস্থা এমনকি চার্চ ভাংচুর এই সব বিষয় কিন্তু সুশান্তের পাঠশালায় পড়ানো হয় না।

অন্য ছবিটি মুকেশ আম্বানির চ্যানেলের হিন্দির এডিটর আমন চোপড়ার। ইনিও তিলকধারী এবং প্রাইম-টাইম শো, করেন রোজ রাতে।এরও কাজ ওই একই মোদীর প্রচার এবং রাহুল গান্ধীকে উপহাস করা। যেমন-হিন্দুত্ববাদী শব্দ, যা রাহুল জয়পুরের ভাষণে বলেছিল। রামদেব এর সফরসঙ্গী হয়ে তার মুখ দিয়ে রাহুলকে খিল্লি করে 'বাওড়া' বলানোর কাজটি এই অমন করেছিলেন। দুই দিন আগে রায়পুরের এক ধর্মসম্মেলনে সাধুবেশী কালীচরণ মহাত্না গান্ধীকে গালাগালি দিয়ে বলেছিল, ওকে হত্যা করার জন্য নাথুরাম গেডসে্কে প্রণাম।

সেই কালীচরণকে পরের দিন টিভিতে বসিয়ে আমনের কি কাকুতি মিনতি। মহারাজ একবার বলুন ভুল হয়ে গিয়েছে। আপনার জন্য গোটা হিন্দুদের অসম্মান করে সমালোচনা করছে সেকুলাররা। ওরা বলার সুযোগ পেয়ে যাচ্ছে। কালীচরণের মত পাষণ্ড তো কথাটি বলে বিরাট মজা পেয়েছে। কারণ, দেশ জুড়ে প্রচুর প্রচার পেয়েছে। সবাই ওর নাম জেনে গিয়েছে। ওই কথার পরেই সে বলেছিল, এখনই বিজেপির উচিত সংবিধান বদলে হিন্দু রাষ্ট্র ঘোষণা করা। তা নিয়ে কিন্তু তিলক কাটা সাংবাদিক কিছু বলছে না। উল্টে বলছে আপনার একার জন্য হিন্দুত্ববাদী মানে হিন্দুদের নিয়ে অপপ্রচার হচ্ছে। মোদিজিও গান্ধীকে ফুল দেন।

আমন চোপড়া এতটাই অশিক্ষিত যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যে মোহনদাস গান্ধীজিকে মহাত্না গান্ধী বলেছিলেন, তা-ও জানে না। গুজরাটের কোন একটি হিন্দু সাধুর নাম করে বললো এখন অন্য সাধুদের কি মত তা নিয়ে আলোচনা করবো। প্যানেলে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ নেতা আরও গেরুয়াধারীদের নিয়ে আলোচনা শুরু হলো।
কেন এফ আই আর হওয়ার পরেও কালাচরণকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না। তিলককাটা আমনের মতো সাংবাদিকরা একটাও প্রশ্ন করে না।

 

লেখক: ভারতের সিনিয়র সাংবাদিক

Header Ad
Header Ad

নওগাঁয় দুলাভাইয়ের বাড়িতে বেড়াতে এসে গ্রেপ্তার স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে এসে গ্রেপ্তার হলেন রাজশাহীর সাবেক মেয়র খায়রুজ্জামান লিটনের এপিএস আব্দুল ওয়াহেদ খান টিটুকে (৪০)। শুক্রবার (৯ মে) ভোর তিনটার দিকে পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে উপজেলার চাকরাইল এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় টিটুকে আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে ওই বাড়ির মালিক আব্দুল ওহাব চৌধুরী সাগরকেও (৪৫) গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

অপরদিকে একই দিনে পৃথক পৃথক অভিযান চালিয়ে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের আরও তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তার আব্দুল ওয়াহেদ খান টিটু (৪০) রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র খায়রুজ্জামান লিটনের এপিএস এবং রাজশাহীর বোয়ালিয়া থানার রাণীবাজার এলাকার মৃত আব্দুল ওয়াদুদ খানের ছেলে। এছাড়া তিনি রাজশাহী মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ এর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলে জানা গেছে।

অপরদিকে গ্রেপ্তার বাড়ির মালিক আব্দুল ওহাব চৌধুরী সাগর (৪৫) চাকরাইল এলাকার মৃত সাব্বির আহমেদ চৌধুরীর ছেলে।

অপর গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, উপজেলার আধাইপুর ইউনিয়নের বসন্তপুর গ্রামের মৃত মহির উদ্দিনের ছেলে এবং উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি ও ওই ইউনিয়নের মেম্বার আমিনুল ইসলাম উজ্জল (৪০), রাজাপুর এলাকার বাবুল হোসেনের ছেলে ও আওয়ামীলীগের সমর্থক মিলন হোসেন (৩৮) এবং বালুভরা ইউনিয়নের চকগোপালপুর গ্রামের মৃত অশোক কুমার সরকারের ছেলে ও আওয়ামীলীগের সমর্থক পুলকেশ সরকার (৫২)।

জানা যায়, গ্রেপ্তারকৃত আব্দুল ওয়াহেদ খান টিটু বাসার মালিক সাগর চৌধুরীর ভাই টিটুর সম্পর্কে বড় শ্যালক। সেই সুবাদে আব্দুল ওয়াহেদ খান টিটু গত বুধবার রাতে বেড়াতে আসে। এরপর গোপনে সেখানে লুকিয়ে ছিল। বিষয়টি জানাজানি হলে ওই বাসা ঘেরাও করে রাখে স্থানীয় জনতা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে নিয়ে আসে।

এদিকে গ্রেপ্তারকৃত ৫ জনের মধ্যে ৪ জনকে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটনার মামলায় গ্রেপ্তার দেখালেও বাড়ির মালিক সাগর চৌধুরীকে নিয়ে চলছে নাটকীয়তা। তাকে কোন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হবে তা নিয়ে চলছে আইনগত আলোচনা।

সকলকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন বদলগাছী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, খবর পেয়ে শুক্রবার ভোর রাতে চাকরাইল এলাকায় সাগর চৌধুরীর বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। এসময় ওয়াহেদ খান টিটুকে গ্রেপ্তার করা হয়। সেই সাথে বাড়ির মালিককেও গ্রেপ্তার করা হয়। এছাড়া একই রাতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তারকৃত ৫ জনের মধ্যে ৪ জনকে ঘটে যাওয়া ককটেল বিস্ফোরণ ঘটনার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আর বাড়ির মালিক সাগর চৌধুরীর ব্যাপারে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। তাকে নিয়ে আইনগত প্রক্রিয়া চলমান আছে।

উল্লেখ, গত বছরের ৫ নভেম্বর বদলগাছী উপজেলার গোবরচাঁপা হাট এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে (আজ) শুক্রবার তাদেরকে আদালতে পাঠানোর কথা রয়েছে।

Header Ad
Header Ad

বাংলাদেশ সফরে আসছে না ভারত, অনিশ্চিত এশিয়া কাপ

ছবি: সংগৃহীত

চলতি বছরের আগস্টে বাংলাদেশ সফরে তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলতে আসার কথা ছিল ভারতের। পাশাপাশি সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠেয় এশিয়া কাপ নিয়েও ক্রিকেটপ্রেমীদের প্রত্যাশা ছিল তুঙ্গে। কিন্তু হঠাৎ করে বদলে যাওয়া ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) এই সফর এবং এশিয়া কাপ উভয় ইভেন্টেই অনাগ্রহ প্রকাশ করেছে।

ভারতীয় দৈনিক টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, বিসিসিআই স্পষ্টতই জানিয়েছে—ভারত বাংলাদেশ সফর করবে না এবং এশিয়া কাপেও অংশ নেবে না। এ সময়টিতে বরং স্থগিত হয়ে যাওয়া আইপিএলের বাকি ম্যাচ আয়োজন করার পরিকল্পনা করছে তারা।

গতকাল (৮ মে) ধর্মশালায় পাঞ্জাব কিংস ও দিল্লি ক্যাপিটালসের মধ্যকার ম্যাচ চলাকালে হঠাৎ নিরাপত্তাজনিত কারণে ফ্লাডলাইট নিভিয়ে খেলা বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে জানানো হয়, ম্যাচটি স্থগিত করা হয়েছে। এর আগে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান সামরিক উত্তেজনা পরিস্থিতি আরও জটিল করে তোলে। ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে বন্দুকধারীদের হামলার জবাবে ভারত পাকিস্তানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়, যার পর পাকিস্তানও পাল্টা প্রতিক্রিয়া দেখায় বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ধর্মশালার ঘটনার পর আইপিএলের সব ক্রিকেটার ও স্টাফরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এবং ম্যাচ শেষে তারা তড়িঘড়ি করে সেখান থেকে বেরিয়ে যান। বিসিসিআই তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাকেই এখন সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছে।

 

ছবি: সংগৃহীত

সূচি অনুযায়ী, আইপিএল চলতি মে মাসেই শেষ হওয়ার কথা ছিল। এরপর জুনের শুরুতে ইংল্যান্ডে পাঁচ টেস্টের সিরিজ খেলতে যাওয়ার কথা রয়েছে ভারতীয় দলের। কিন্তু ধর্মশালার ঘটনার জেরে বিসিসিআই আইপিএলের অবশিষ্ট ১৬টি ম্যাচ পিছিয়ে দিয়ে পরে আয়োজনের চিন্তা করছে। এর ফলে জুন-সেপ্টেম্বর সময়টায় আন্তর্জাতিক সফর কিংবা এশিয়া কাপ আয়োজন সম্ভব নয় বলেই জানানো হয়েছে।

টাইমস অব ইন্ডিয়া জানায়, বিসিসিআই এমনকি বাংলাদেশ সফর ও এশিয়া কাপ বাতিলের সিদ্ধান্তে নমনীয় হওয়ার কোনো ইঙ্গিতও দিচ্ছে না।

এ সিদ্ধান্ত দক্ষিণ এশিয়ার ক্রিকেটের জন্য একটি বড় ধাক্কা। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) এবং এসিসি (এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল) হয়তো ভারত ছাড়া বিকল্প ব্যবস্থার চিন্তা করতে পারে, কিন্তু টুর্নামেন্টের আকর্ষণ ও বাণিজ্যিক গুরুত্ব ভারত ছাড়া অনেকটাই কমে যাবে।

Header Ad
Header Ad

আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে উত্তাল শাহবাগ, জনস্রোতে ভরপুর রাজপথ

ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে বিক্ষোভ ও অবরোধ কর্মসূচিতে উত্তাল হয়ে উঠেছে রাজপথ। হাজার হাজার ছাত্র, যুবক ও সাধারণ জনগণের অংশগ্রহণে শুক্রবার (৯ মে) বিকেল থেকে এ অবরোধ শুরু হয়।

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহর আহ্বানে এ কর্মসূচি শুরু হয়। তিনি সকালে যমুনা ভবনের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “বাদ জুমা শাহবাগ ফোয়ারার সামনে জনসমুদ্র গড়ে উঠবে। আজ বোঝা যাবে দেশের মানুষ আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ চায় কি না।”

বিকেল ৪টা ৪০ মিনিটে মিন্টো রোড থেকে মিছিল নিয়ে শাহবাগে পৌঁছে আন্দোলনকারীরা অবরোধ শুরু করেন। রাস্তার মাঝে বসে পড়ে তারা স্লোগানে স্লোগানে উত্তপ্ত করে তোলে চারদিক।

এ সময় ‘ব্যান ব্যান আওয়ামী লীগ’, ‘একটা একটা লীগ ধর, ধরে ধরে জেলে ভর’, ‘ফাঁসি চাই শেখ হাসিনার’—এমন নানা স্লোগান দিতে শোনা যায়।

অবরোধে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), ছাত্রশিবির, আপ বাংলাদেশ, গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, ইনকিলাব মঞ্চসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতা-কর্মীরা অংশ নেন। বিকেল ৫টার দিকে আপ বাংলাদেশের আহ্বায়ক আলী আহসান জুনায়েদের নেতৃত্বে একটি বড় মিছিল শাহবাগে এসে যোগ দেয়।

সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বাংলামোটর দিক থেকে ঢাকা মহানগর শিবিরের শত শত নেতাকর্মী মিছিলসহ শাহবাগে এসে যোগ দেন এবং শিবির-শিবির স্লোগানে মুখর করে তোলেন মোড়টি।

এছাড়া কওমি মাদ্রাসার বিভিন্ন স্তরের ছাত্রদের উপস্থিতিও দেখা যায় বিক্ষোভস্থলে। আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, “যতক্ষণ না আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে সরকারিভাবে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত তারা রাজপথ ছাড়বেন না।”

অবরোধের কারণে শাহবাগ থেকে সায়েন্সল্যাব, বাংলামোটর, টিএসসি ও মৎস্যভবন অভিমুখে যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। এতে আশপাশের এলাকায় তীব্র যানজট দেখা দিয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

নওগাঁয় দুলাভাইয়ের বাড়িতে বেড়াতে এসে গ্রেপ্তার স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা
বাংলাদেশ সফরে আসছে না ভারত, অনিশ্চিত এশিয়া কাপ
আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে উত্তাল শাহবাগ, জনস্রোতে ভরপুর রাজপথ
বিএনপি ছাড়া সব রাজনৈতিক দল এখন শাহবাগে: সারজিস আলম
শিক্ষার্থী পারভেজ হত্যায় গ্রেপ্তার টিনা ৩ দিনের রিমান্ডে
চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড ৪১.০২ ডিগ্রি সেলসিয়াস; বইছে তীব্র তাপপ্রবাহ
কাশ্মীরে ফের বিএসএফের গুলি, ৭ পাকিস্তানি নিহত: দিল্লির দাবি বিচ্ছিন্নতাবাদী
নওগাঁয় ককটেল বিস্ফোরণে উড়ে গেল বাড়ির টিন
ভারত-পাকিস্তান সংঘাত ‘আমাদের বিষয় নয়’: যুক্তরাষ্ট্র
দেশের তীব্র তাপপ্রবাহ নিয়ে যা বলল আবহাওয়া অফিস
আ.লীগ নিষিদ্ধে গুরুত্বের সাথে সরকার বিবেচনা করছে: সরকারের বিবৃতি
টাঙ্গাইলে নাশকতা মামলায় আ.লীগ নেতা রাজ্জাকসহ ২ জন গ্রেফতার
অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত আইপিএল
এবার অপেক্ষা তারেক রহমানের ফেরার, চলছে জোরালো প্রস্তুতি
পদ্মার এক ইলিশের দাম সাড়ে ৮ হাজার টাকা
৫ মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে থানায় নেওয়া হলো আইভীকে
জুমার পর যমুনার সামনে বড় জমায়েতের ডাক হাসনাত আব্দুল্লাহর
প্রথম আমেরিকান পোপ হলেন রবার্ট প্রিভোস্ট
একের পর এক ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল ভারত, সীমান্তজুড়ে ব্ল্যাকআউট
নিষিদ্ধ হচ্ছে স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও যুবলীগ