সোমবার, ১২ মে ২০২৫ | ২৯ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

ডিবিপ্রধানের বক্তব্যের নিন্দা জানালেন রিজভী

রুহুল কবির রিজভী। ছবি সংগৃহীত

‘বিএনপি নেতারা অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের দায় স্বীকার করেছেন’ ডিবিপ্রধান হারুন-অর-রশীদের এমন বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। তিনি দাবি করেছেন, বিএনপির নেতারা এ ধরনের কোনো স্বীকারোক্তি দেননি।

শনিবার (১৮ নভেম্বর) বিএনপির সহদপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপুর পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ নিন্দা জানান।

বিবৃতিতে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ৮ নভেম্বর গণমাধ্যমে প্রকাশিত ২৮ অক্টোবরের নাশকতার ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া বিএনপির শীর্ষ নেতাদের স্বীকারোক্তি নিয়ে ডিবিপ্রধানের বক্তব্য সম্পূর্ণরূপে মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। কারণ ২৮ অক্টোবরের পর নাশকতার যেসব ঘটনা ঘটেছে, তার সবগুলোতেই সরকারদলীয় ক্যাডার ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যরাই জড়িত। চাক্ষুষ ও বিভিন্ন ফুটেজে তা সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে।

রিজভী বলেন, ‘আমরা গ্রেপ্তারকৃত বিএনপি নেতাদের আইনজীবীদের কাছ থেকে জানতে পেরেছি, নেতারা ডিবি কার্যালয়ে এ ধরনের কোনো স্বীকারোক্তি দেননি।’ সরকারের বিশ্বস্ত দোসর হিসেবে গোয়েন্দাপ্রধান নির্লজ্জ মিথ্যাচার করেছেন, যা চতুর অপকৌশল মাত্র। তিনি ডিবিপ্রধানের মিথ্যাচারের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

Header Ad
Header Ad

রংপুরে ধর্ষণের পর শিশুকে হত্যার অভিযোগ, ওসি অবরুদ্ধ

ছবি: সংগৃহীত

রংপুরের মিঠাপুকুরে সাত বছর বয়সী এক শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শিশুটির পরিবারের দাবি, ধর্ষণের পর শিশুটিকে হত্যা করে লাশ বালুচাপা দেওয়া হয়। এ ঘটনায় ফজলু মিয়া নামের এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ।

ঘটনার পর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ঘটনাস্থলে গেলে ‘অসৌজন্যমূলক’ আচরণের অভিযোগে তাঁকে অবরুদ্ধ করেন এলাকাবাসী। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সেনাসদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ওসিকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন। নিহত শিশুটির বাড়ি মিঠাপুকুরের বালুয়া মাসিমপুর ইউনিয়নের একটি গ্রামে। অভিযুক্তও একই গ্রামের বাসিন্দা।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ সকাল সাড়ে আটটার দিকে অভিযুক্ত ফজলু মিয়া কৌশলে শিশুটিকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ। এ সময় চিৎকার দেওয়ায় শিশুটিকে শ্বাস রোধ করে হত্যা করা হয়। পরে বাড়ির পাশে বালুর স্তূপে মরদেহ চাপা দিয়ে রাখা হয়। প্রতিবেশী এক নারী বালুর নিচে হাত দেখতে পেলে আশপাশের লোকজন বালুর নিচ থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করেন।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ঘটনার পর বেলা দেড়টার দিকে অভিযুক্ত ফজলু মিয়ার বাড়িতে ভাঙচুর ও আগুন দেন বিক্ষুব্ধ লোকজন। পরে ঘটনাস্থলে মিঠাপুকুর থানার ওসি আবু বক্কর সিদ্দিক গেলে অবরুদ্ধ করে রাখেন এলাকাবাসী। স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, ওসি আবু বক্কর সিদ্দিক এলাকাবাসীর সঙ্গে ‘অসৌজন্যমূলক’ আচরণ করেছেন। পরে মিঠাপুকুরের ইউএনও ও সেনাবাহিনী বিকেল চারটার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে ওসিকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন।

এ বিষয়ে ওসি আবু বক্কর সিদ্দিক কোনো কথা বলতে রাজি হননি। মিঠাপুকুরের ইউএনও বিকাশ চন্দ্র বর্মণ বলেন, স্থানীয় জনতা উত্তেজিত ছিলেন। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে ঘণ্টাখানেক আগে ওসিকে নিয়ে আসা হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে কোনো রাজনীতি নেই: প্রধান উপদেষ্টা

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: সংগৃহীত

স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়ন ও সংকট মোকাবিলায় সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে কোনো রাজনীতি নেই, বরং এ খাতের ঘাটতি পূরণে দরকার সম্মিলিত প্রচেষ্টা ও আন্তরিকতা।

সোমবার (১২ মে) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত প্রথম সিভিল সার্জন সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “স্বাস্থ্যখাতে আমাদের ঘাটতি রয়েছে, কিন্তু সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও অনেক ভালো করা সম্ভব। একে অপরকে দোষারোপ না করে সবাই মিলে সমস্যার সমাধান করতে হবে।” তিনি আরও বলেন, “স্বাস্থ্যসেবায় কাঠামোর চেয়ে মন-মানসিকতা বড়, আর সেখানে কোনো রাজনীতির জায়গা নেই।”

সিভিল সার্জনদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “আপনারা মন থেকে চাইলেই, শুধু নিয়ম-কানুন ঠিকভাবে মেনে চলেই, বর্তমান অবকাঠামো ও সম্পদের মধ্য দিয়েই স্বাস্থ্যসেবার মান ২৫ শতাংশ পর্যন্ত উন্নয়ন সম্ভব।”

জনবল ও সরঞ্জাম ঘাটতির কথা তুলে ধরে হাত গুটিয়ে বসে না থেকে বরং বিদ্যমান সম্পদকে কাজে লাগিয়ে চিকিৎসা সেবা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান ড. ইউনূস। তিনি বলেন, “যা রয়েছে, তা দিয়েই কাজ চালিয়ে যেতে হবে। পাশাপাশি সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করতে হবে।”

অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম। তিনি বলেন, “স্বাস্থ্য ব্যবস্থার কেন্দ্রবিন্দুতে জেলা পর্যায়ের সেবার মান উন্নয়ন জরুরি, আর সে লক্ষ্যেই এই সম্মেলনের আয়োজন।”

প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, “প্রশাসনের ডিসি সম্মেলন প্রতিবছরই হয়, কিন্তু সিভিল সার্জনদের নিয়ে এমন সম্মেলন এতদিন হয়নি—এটা আমার বোধগম্য নয়। এই আয়োজন নিয়মিত হওয়া উচিত।”

উল্লেখ্য, প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনে দেশের ৬৪ জেলার সিভিল সার্জনরা অংশ নিচ্ছেন, যেখানে সরাসরি মতবিনিময়, নীতিনির্ধারণ এবং সমস্যা চিহ্নিতকরণ ও সমাধানের পথ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।

Header Ad
Header Ad

নিলামে উঠল এস আলম গ্রুপের বেনামি প্রতিষ্ঠানের ৩১ একর জমি

ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামের সাগরিকা বিসিক শিল্প এলাকায় অবস্থিত এস আলম গ্রুপের বেনামি প্রতিষ্ঠান কর্ণফুলী ফুডস (প্রা.) লিমিটেড-এর ৩১ একর জমি এবার নিলামে তুলেছে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি। সোমবার (১২ মে) ব্যাংকের জুবিলী রোড শাখা স্থানীয় একটি দৈনিকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এ তথ্য জানায়।

এতে বলা হয়, অর্থঋণ আদালত আইন ২০০৩-এর ১২(৩) ধারা অনুযায়ী খেলাপি বিনিয়োগ আদায়ের উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠানটির মালিকানাধীন কারখানা ও জমি বিক্রির জন্য দরপত্র আহ্বান করা হচ্ছে।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, কর্ণফুলী ফুডস গত ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ইসলামী ব্যাংকের কাছ থেকে নেওয়া বিনিয়োগের বিপরীতে মুনাফাসহ মোট ১ হাজার ৭৮৩ কোটি ২২ লাখ টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হয়েছে। এই ঋণ আদায়ে প্রতিষ্ঠানটির ৩০ একর ৬০ শতক জমি ও কারখানা নিলামে তোলা হয়েছে, যা ৪৩টি আলাদা তপসিলে বিভক্ত। উল্লেখযোগ্য যে, জমির মধ্যে পুকুর, নালা এবং কিছু খাস জমিও রয়েছে।

প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে রয়েছেন পটিয়ার কেলিশহর ইউনিয়নের মো. রহিম উদ্দিন চৌধুরী এবং চেয়ারম্যান হিসেবে আছেন চট্টগ্রাম নগরের বাকলিয়া থানাধীন ইসলামিয়া ম্যানসন এলাকার নজরুল ইসলাম। যদিও কর্ণফুলী ফুডসের নামে এই বিনিয়োগ দেওয়া হলেও, ইসলামী ব্যাংকের একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন যে এটি আসলে এস আলম গ্রুপের বেনামি প্রতিষ্ঠান। ওই ঋণ অনুমোদনের সময় অনিয়ম ও চাপে স্বাক্ষর না করায় ব্যাংকের দুই কর্মকর্তা বদলি ও চাকরিচ্যুত হন বলেও জানা গেছে।

এর আগেও এস আলম গ্রুপের মালিকানাধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও জমি নিলামে তোলে ইসলামী ব্যাংক। ২০ এপ্রিল প্রায় ৯,৯৪৮ কোটি টাকার ঋণ আদায়ে তাদের একটি চিনিকল ও ১১ একর জমি নিলামে ওঠে। এরপর ২৭ এপ্রিল স্টিল মিল, বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও ভোজ্যতেল কারখানাসহ ১১৪৯ শতাংশ জমির বিপরীতে ২,১৮০ কোটি টাকার ঋণ আদায়ে নিলাম ডাকা হয়। একইভাবে, ৮২ কোটি টাকা খেলাপি আদায়ে আরও দুটি কোম্পানির সম্পদও নিলামে তোলে ব্যাংকটি।

এস আলম গ্রুপকে ঘিরে ধারাবাহিক ঋণ বিতরণ, বেনামি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বিনিয়োগ গ্রহণ, এবং পরিশোধে ব্যর্থতার অভিযোগে দেশের ব্যাংকিং খাতে ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি হয়েছে। ইসলামী ব্যাংক বলছে, আইনানুগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই এসব ঋণ আদায়ে তারা ব্যবস্থা নিচ্ছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

রংপুরে ধর্ষণের পর শিশুকে হত্যার অভিযোগ, ওসি অবরুদ্ধ
স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে কোনো রাজনীতি নেই: প্রধান উপদেষ্টা
নিলামে উঠল এস আলম গ্রুপের বেনামি প্রতিষ্ঠানের ৩১ একর জমি
টেস্ট ক্রিকেট থেকে বিরাট কোহলির অবসর, রাখলেন না বোর্ডের অনুরোধ
ওহা সে গোলি চলেগি, ইহা সে গোলা চলেগা: মোদির হুঁশিয়ারি
বিডিআরের ৪০ জওয়ানের জামিন
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে জুলাই গণহত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল
‘অন্তর্বর্তী সরকার আসার পর একটিও গুমের ঘটনা ঘটেনি’
সন্ত্রাসবিরোধী অধ্যাদেশ জারি
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৮ শিশুসহ ২৬ ফিলিস্তিনি নিহত
এবার জাতীয় পার্টির নিবন্ধন বাতিলের দাবি
এল ক্লাসিকো জিতে শিরোপার আরও কাছে বার্সেলোনা
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গণহত্যার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল আজ
যুদ্ধে ভারতের ৮৩ বিলিয়ন, পাকিস্তানের ৪ বিলিয়ন ডলার ক্ষতি
আসছে ঘূর্ণিঝড় 'শক্তি' আঘাত হানতে পারে যেসব অঞ্চলে
কাউন্টার অ্যাটাক ‘বুনইয়ানুম মারসুস’-এর সাফল্য উদযাপন করছে পাকিস্তান
নওগাঁয় কালবৈশাখীর তাণ্ডবে যুবক নিহত
‘ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার’ দেশে বিভক্তির সুযোগ নেই: আমীর খসরু
ভুটানকে হারিয়ে সাফের সেমিতে বাংলাদেশের যুবারা
বিএনপি নেতার বাড়ি থেকে যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার