মধ্যরাতে সরিয়ে দেওয়া হলো খালেদা জিয়ার ফ্লাইটের দুই কেবিন ক্রুকে

ছবি: সংগৃহীত
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দেশে ফেরার আগ মুহূর্তে তৈরি হলো নতুন চাঞ্চল্য। তার ফেরার নির্ধারিত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট বিজি ২০২ থেকে দুইজন কেবিন ক্রুকে হঠাৎ করে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
সরিয়ে দেওয়া দুই কেবিন ক্রু হলেন—আল কুবরুন নাহার কসমিক ও মো. কামরুল ইসলাম বিপোন। শুক্রবার (২ মে) মধ্যরাতে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হয় বলে জানিয়েছে বিমানের ফ্লাইট সার্ভিস বিভাগ।
বিমান সংশ্লিষ্ট একটি গোয়েন্দা সূত্র জানায়, নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার শঙ্কায় তাদের বাদ দেওয়া হয়েছে। জানা গেছে, ওই দুই কেবিন ক্রুর অতীতে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা এবং কিছু বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত থাকার তথ্য পাওয়া গেছে।
প্রাথমিকভাবে ৫ মে লন্ডন থেকে ঢাকাগামী বিজি ২০২ ফ্লাইটের কেবিন ক্রু তালিকায় ছিলেন—চিফ পার্সার নিশি, ফ্লাইট পার্সার কসমিক ও বিপোন, এবং জুনিয়র পার্সার রিফাজ। কিন্তু শেষ মুহূর্তে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে কসমিক ও বিপোনকে বাদ দিয়ে তাদের স্থলে নিয়োগ দেওয়া হয় ফ্লাইট পার্সার ডিউক ও ফ্লাইট স্টুয়ার্ডেস আনহারা মারজানকে।
সূত্রমতে, আল কুবরুন নাহার কসমিক অতীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানার ফ্লাইট পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন এবং তার বিরুদ্ধে একাধিকবার কারণ দর্শানোর নোটিশ ও গ্রাউন্ডিংয়ের অভিযোগ রয়েছে। অপরদিকে, কামরুল ইসলাম বিপোন সরকারি দলের নানা রাজনৈতিক আয়োজনে সক্রিয় ভূমিকা রাখার অভিযোগে অভিযুক্ত।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের জনসংযোগ মহাব্যবস্থাপক বোসরা ইসলাম বলেন, “ডিউটি পরিবর্তন বা রিশিডিউলিং স্বাভাবিক বিষয়। তবে সরিয়ে দেওয়ার বিষয়ে আমি অবগত নই।” তিনি আরও বলেন, “গোয়েন্দা প্রতিবেদন পাওয়া গেলে তা বিবেচনায় নিয়ে অনেক সময় ডিউটি পরিবর্তন করা হয়। বিষয়টি অতিমাত্রায় ব্যতিক্রম কিছু নয়।”
প্রসঙ্গত, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দীর্ঘ চিকিৎসা শেষে ৫ মে লন্ডন থেকে দেশে ফিরছেন। সঙ্গে থাকবেন তার পরিবারের সদস্য ও বিএনপির শীর্ষ নেতারা।
