শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪ | ২৭ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

জাতীয় পার্টি থেকে বহিষ্কার হচ্ছেন রওশন এরশাদ!

জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতাকে রওশন এরশাদকে পাটি থেকে বহিষ্কার করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম। একইসঙ্গে মসিউর রহমান রাঙাকে স্থায়ীভাবে বহিস্কারের সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়েছে।

শনিবার অনুষ্ঠিত জাতীয় প্রেসিডিয়াম বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জাতীয় পার্টির একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, রওশন এরশাদ আগামী ২৬ নভেম্বর পার্টির যে কাউন্সিল আহ্বান করেছেন সেটি বাতিলের জন্য তাকে অনুরোধ করা হবে। কিন্তু অনুরোধ জানানোর পরও রওশন এরশাদ যদি কাউন্সিলে অনড় থাকেন তাহলে তাকে পার্টি থেকে বহিষ্কার করা হবে।

সূত্র জানায়, রওশন এরশাদের সঙ্গে কথা বলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে প্রয়াত এরশাদের ভাগিনা পার্টির যুগ্ম মহাসচিব আদেলুর রহমান আদেল এমপিকে। রওশন এরশাদ যদি ফোন না ধরেন সেক্ষেত্রে তার সন্তান সাদ এরশাদের সঙ্গে কথা বলে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে বৈঠক সূত্র থেকে জানা গেছে।

শনিবার জাপার বনানী কার্যালয়ে সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরামের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ১১টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠক সূত্রে আরও জানা গেছে, জাতীয় পার্টি থেকে কিছুদিন আগে অব্যাহতি পাওয়া মসিউর রহমান রাঙাকে পার্টির সাধারণ সদস্য পদ থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

সূত্র জানায়, বৈঠকে জাপার সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, আমি ম্যাডামকে (রওশন এরশাদ) কিছুদিন আগে মোবাইলে বলেছিলাম-আপনি আমাদের মাতৃ সমতূল্য। আমি সবসময় আপনার সঙ্গে ছিলাম। আপনি কাউন্সিল প্রত্যাহার করুন। তিনি আমাকে ভাল-মন্দ কিছু বলেননি। এরপর একাধিকবার ফোন করলেও ফোন ধরেননি।

তিনি বলেন, সিস্টেমের বাইরে যেই কাজ করবে, পার্টির বিরুদ্ধে বিভেদ সৃষ্টি করবে সে আমার আপন ভাই হলেও তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সভায়, উত্তরবঙ্গের এক প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেন, কারও যদি গ্যাংরিন বা হাত-পায়ে পচন সৃষ্টি হয় সেক্ষেত্রে আঙ্গুল কেটে ফেলতে হয়, নতুবা পুরো হাত বা পা কেটে ফেলতে হয়। তাই সময় থাকতে ষড়যন্ত্রকারীদের সরিয়ে ফেলতে হবে।

বৃহত্তর ঢাকার এক প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেন, দলের ভেতরে থেকে দলকে ক্ষতিগ্রস্ত করা সহজ। আর যদি আগে থেকে চিহ্নিত ষড়যন্ত্রকারীদের দল থেকে বের করে দেওয়া হয়, তাহলে তারা পার্টির তেমন ক্ষতি করতে পারবে না।

পার্টির আরেক প্রেসিডিয়াম ও দলীয় সংসদ সদস্য তার বক্তব্যে বলেন, ‘আমার কাছে ম্যাসেজ আছে সাদ এরশাদ ম্যাডামকে জিম্মি করে রেখেছেন। ঢাকায় অবস্থানরত পার্টি থেকে বহিস্কৃত কয়েকজনের সমম্বয়ে শাদ ম্যাডামের মোবাইল সিজ করে রেখেছেন। তাদের আস্থাভাজন ছাড়া কাউকে রওশন এরশাদের সঙ্গে কথা বলতে দেওয়া হচ্ছে না।

প্রেসিডিয়াসম সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ম্যাডামের কাউন্সিলে কেউ যাবে না। তবে বহিস্কারের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি অসুস্থ, এখন হাসপাতালে আছি। পরে কথা বলব।

সাবেক মহাসচিব ও বর্তমানের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবিএম রুহুল আমীন হাওলাদার বলেন, সংসদের বিরোধী দলীয় নেতার বিষয়ে উনারা (সংসদ সদস্য) সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরই সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা হবেন।

কাউন্সিলের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ম্যাডাম কাউন্সিল ডাক দিয়েছেন সেটা তো আমার জানা নেই। আমি ম্যাডামের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেছি। তিনি তো আমাকে কাউন্সিলের বিষয়ে কিছু বলেননি। কারা ডাকছে সেটা আপনারা অনুসন্ধান করে দেখুন।

সভায় সূত্রে আরো জানা গেছে, সিলেট বিভাগের কয়েকটি জেলাকে কেন্দ্র করে পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য এটিইউ তাজ রহমান এবং আতিকুর রহমান আতিকের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়। পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুর মধ্যস্থতায় পরে পরিবেশ স্বাভাবিক হয়।

বৈঠকে জাপার চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের তার বক্তব্যে বলেন, ‘পার্টির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না, সে যত বড় বা শক্তিশালী হোক না কেনো। দলের মাঝে শৃঙ্খলা রক্ষার্থে আমি যেকোনো কঠোর সিদ্ধান্ত নেব।’

বৈঠকে প্রেসিডিয়ামের ৪১ সদস্যের মধ্যে ৩৮ জন এবং ২৬ এমপির মধ্যে ২০ জন উপস্থিত ছিলেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, ‘কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি, তবে কারও কারও পক্ষ থেকে দাবি তোলা হয়েছে।’   

সভায় সভাপতিত্ব করেন পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের। উপস্থিত ছিলেন মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু, সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, কাজী ফিরোজ রশীদ, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, এডভোকেট সালমা ইসলাম, প্রেসিডিয়াম সদস্য- মো. আবুল কাশেম, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, গোলাম কিবরিয়া টিপু এমপি, এডভোকেট শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, ফখরুল ইমাম এমপি, সৈয়দ মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী, হাজী সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন, এ.টি.ইউ. তাজ রহমান, সোলায়মান আলম শেঠ, নাসরিন জাহান রতনা এমপি, ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী এমপি, লেঃ জেঃ মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী, এডভোকেট মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, মোঃ মিজানুর রহমান, নাজমা আখতার এমপি, আলমগীর সিকদার লোটন, এমরান হোসেন মিয়া, মেজর (অব.) রানা মোহাম্মদ সোহেল এমপি, লিয়াকত হোসেন খোকা এমপি, মোঃ জহিরুল ইসলাম জহির, মোস্তফা আল মাহমুদ, মোহাম্মদ আতিকুর রহমান আতিক, জরিুল আলম রুবেল, সংসদ সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা রওশন আরা মান্নান, শেরীফা কাদের, শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ, নুরুল ইসলাম তালুকদার, পনির উদ্দিন আহমেদ, পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান আহসান আদেলুর রহমান।

এনএইচবি/এমএমএ/

Header Ad

সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেনের সাবেক স্ত্রী নাসিম পারভীনের লাশ উদ্ধার

ছবি: সংগৃহীত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ বান্ধবী ও নিউ ইংল্যান্ড মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাসিম পারভীনের মরদেহ তার বোস্টনের নিজ বাড়ি থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।

নাসিম পারভীন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন এমপি’র সাবেক স্ত্রী। মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের বোস্টনের নিকটস্থ শহর ওয়েষ্ট রক্সবুরির নিজ বাড়ির দরজা ভেঙ্গে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে। দীর্ঘদিন ধরে তিনি ওই বাড়িতে একাই বসবাস করতেন। তার মৃত্যুর বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন বোস্টনের আওয়ামী লীগ নেতা ওসমান গণি।

নাসিম পারভীনের ১ ছেলে ও ১ মেয়ে ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের অন্যান্য শহরে থাকেন। উভয়ের ব্যস্ততার কারণে মাঝে মধ্যে মায়ের সাথে দেখা হত। সর্বশেষ মায়ের সাথে তাদের ফোনে কথা হয় ২রা মে বৃহস্পতিবার। এরপর অনেক চেষ্টা করেও তারা আর মাকে ফোনে পাননি। এতে তাদের সন্দেহ হলে মঙ্গলবার বিকেলে ওয়েষ্ট রক্সবুরির বাসায় গিয়ে কলিং বেল টিপে এবং দরজায় ধাক্কা দিয়ে সাড়া না দিলে পুলিশে খবর দেন তার ছেলে। পুলিশ এসে দরজা ভেঙ্গে নাসিম পারভীনের মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। তবে তার মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি।

বোস্টন প্রবাসী নাসিম পারভীন সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী একে আব্দুল মোমেনের সাবেক স্ত্রী।

তাদের বিবাহ বিচ্ছেদের পর তিনি ১ ছেলে ও ১ মেয়ে নিয়ে ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের (বোস্টনের নিকটস্থ) ওয়েষ্ট রক্সবুরির বাড়িতে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করতেন। পরে ছেলেমেয়েরা চাকুরির জন্য অন্যান্য শহরে বসবাস শুরু করলে তিনি ওই বাড়িতে একাই থাকতেন।


নাসিম পারভীন নিউ ইংল্যান্ড (বোস্টন) মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। এর আগে তিনি স্থানীয় আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ছিলেন। তার দেশের বাড়ি পাবনা জেলায়। পুলিশের কাছ থেকে মরদেহ হস্তান্তরের পর তার নামাজে জানাজা ও দাফনের ব্যবস্থা করা হবে বলে স্থানীয় মুসলিম কমিউনিটির নেতারা জানিয়েছেন।

পানি শুন্য ছোটযমুনা নদীর বুকে ধান চাষ!

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

চারদিকে শুধু ধান আর ধান। দেখে মনে হবে হাজার বিঘার মাঠ। সেখানে দোল খাচ্ছে কৃষকের স্বপ্নের সোনার ফসল ধান। আর সেই ধান কাটছে বেশ কয়েকজন কৃষক। তারা নিজেরাই শ্রমিকের মতো ধান কাটছে। আবার একজনকে গরু চড়াতেও দেখা যায়।

বলছি নওগাঁর খরস্রোতা ছোট যমুনা নদীর কথা। হঠাৎ চোখে পড়ে নদীটির বুকে ধান চাষ। শুকিয়ে যাওয়ায় জেলার বদলগাছী উপজেলার তেজাপাড়া- কাদিবাড়ি পাশাপাশি দুটি এলাকায় ধান চাষ করেছেন শতাধিক কৃষক। সেই নদীর বুকে কয়েকজনকে ধান কাটতে দেখা যায়। আবার অনেক জায়গা থেকে ধান কেটে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানে গিয়ে কথা হয় তসলিম, আফজাল, রফিকুল, শামিম ও মোস্তফার সাথে। তারা জানালেন, আমরা ৫-৭ জন মিলে বেশ কিছু জায়গায় ধান চাষ করেছি। তাই নিজেরাই ধান কাটছি। এই ধান দিয়ে আমাদের সারা বছরের সংসার চলে। অবশ্য বৃষ্টির কারণে পানি জমতে শুরু করেছে। আর কয়েকদিন পর পানিতে ভরে যাবে নদীটি। তারা আরও জানান, উত্তর দিকের তেজপাড়া ব্রিজ থেকে দক্ষিণে প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকায় বিভিন্ন লোকজন এই নদীর বুকে ধান চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। নদী শুকালে আমরা ধান চাষ করতে পারি। যা দিয়ে আমাদের সংসার চলে।

 

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

নদীর বুকে গরুকে ঘাস খাওয়াতে নিয়ে এসেছেন এক যুবক। তিনি জানালেন, প্রায় দেড় মাসে আগে এই নদি শুকিয়ে গেছে।

তবে যেখানে যার মানানসই। নদীতে থাকবে পানি, আর মাঠে হবে ধান। এমন দৃশ্যই ভালো লাগবে সকলের। আর যে যার মতো সুবিধা খুঁজবে এটাই স্বাভাবিক।

নওগাঁর নদী, খাল-বিল দখল ও দূষণের প্রতিবাদে বিভিন্ন সময় রাস্তায় নামা সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন একুশে পরিষদের সভাপতি এ্যাড. ডিএম আব্দুল বারী বলেন, বিভিন্ন নদী, খাল-বিল, প্রাকৃতিক বনায়নে ভরপুর আমাদের মাতুভূমি বাংলাদেশ। কিন্তু আমাদের বিরূপ আচরণের কারণে আমরা নিজেরাই প্রকৃতিকে বিভিন্নভাবে ধ্বংস করে ফেলছি। নওগাঁসহ সারাদেশের নদী, খাল-বিল দখল ও দূষণের জন্য সংশ্লিষ্টদের পাশাপাশি জনসচেতনতাও এর জন্য দায়ী। তবে নদী শুকিয়ে গেলে সেখানে ধান চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করা সেটা খারাপ কিছু না। সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টদের অনুমতি নিয়ে চাষ করলে ভালো হয়। এতে অনেকে জীবিকা নির্বাহ করতে পারবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বদলগাছী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সাবাব ফারহান বলেন, বোরো মৌসুমে উপজেলায় ১১ হাজার ৭শত ৪০ হেক্টর জমিতে ধান চাষ হয়েছে। এছাড়া নদীর ধারে উল্লেখযোগ্য হারে ধান উৎপাদিত হয়েছে। কারণ নদীর পাশের জমিতে পলির আস্তরণ জমে এবং সেখানে জৈব পদার্থের পরিমাণ বেশি থাকে। তাই সেখানে ধান, সবজিসহ সব ধরণের ফসল ভালো উৎপাদিত হয়ে থাকে।

নওগাঁ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী ফয়জুর রহমান বলেন, ছোট যমুনা নদীসহ কয়েকটি নদী ও খাল পুন:খননের জন্য আবেদন দেওয়া আছে। অনুমোদন পেলে যেকোনো সময় কাজ শুরু হবে।

এদিকে নওগাঁ-৩ আসনের সংসদ সদস্য সৌরেন্দ্র নাথ চক্রবর্ত্তী সৌরেনের চেষ্টায় বদলগাছী উপজেলায় ছোট যমুনা নদীর ৩৩ কিলোমিটার অংশের পুন:খনন কাজ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। যেটা যেকোনো সময় বাস্তবায়ন হওয়ার পথে।

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বর্জনে অর্জন দেখছে বিএনপি

ছবি: সংগৃহীত

নির্বাচনে অংশ না নিলেও চলমান উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের নজর ছিল বিএনপির। সদ্য শেষ হওয়া প্রথম ধাপের নির্বাচন বর্জনে নানামুখী অর্জন দেখছে দলটি। এর অন্যতম কারণ, ভোটার উপস্থিতি কম, হামলা, সংঘর্ষ, জালভোট, কারচুপি, বর্জনের মতো নেতিবাচক দিক ছিল নির্বাচনে। পাশাপাশি দলের সিদ্ধান্ত অমান্যকারী প্রার্থীরা খুব বেশি সুবিধা করতে পারেনি।

বিএনপি নেতাদের মতে, বিএনপির আহ্বানের কারণে ভোটারদের কেন্দ্রবিমুখ করা সম্ভব হয়েছে। এর ফলে নির্দলীয়-নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি জোরাল হবে। কূটনৈতিকভাবেও সরকারের ওপর চাপ বাড়বে, যা আগামী দিনে বিএনপির রাজপথের আন্দোলনকে এগিয়ে নিতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।

বুধবার ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপের ১৩৯টি উপজেলা নির্বাচনের পর রাতে বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফেরাম স্থায়ী কমিটির সভায়। বৈঠকে উপজেলা নির্বাচনে বিএনপির পর্যবেক্ষণে কি উঠে এসছে, সে বিষয়ে আলোচনা হয়। ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ায় বিএনপির প্রধান দাবি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি আদায়ে ভূমিকা রাখবে বলে নেতারা মনে করেন।

বৃহস্পতিবার বিকালে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রথম ধাপে চেয়ারম্যান পদে ভোট পড়ার হার ৩৬ দশমিক ১ শতাংশ। এ নিয়ে বিএনপির নীতিনির্ধারণী ফোরামের এক নেতা জানান, দিনব্যাপী ভোটারের আকাল ছিল। সেখানে এই পরিসংখ্যান একেবারেই অগ্রহযোগ্য।

খোঁজ নিয়ে যানা গেছে, অংশ গ্রহণ না করলেও নির্বাচন মনিটর করেছে বিএনপি। ভোটারা যাতে কেন্দ্রে যেতে নিরুৎসাহী হয়, সে জন্য আগে থেকেই দলের তৎপরতা ছিল। নির্বাচনের দিন সাধারণ মানুষসহ দলীয় নেতাকর্মী ও দলের সমর্থকদের ভোটকেন্দ্রে যেতে নিরুৎসাহিত করতে আগে থেকেই গণসংযোগ এবং লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে।

দলের নেতাদের মতে, প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে বিএনপির প্রাপ্তি দিকগুলো হচ্ছে, আবারও প্রমাণিত হয়েছে যে, এই নির্বাচন কমিশন এবং সরকারের পক্ষে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব নয়। দলের কর্মীরা আর্থিক ক্ষতি হাত থেকে রক্ষা পেয়েছেন। পাশাপাশি মিথ্যা মামলায় অভিযুক্ত হওয়ার হাত থেকে রেহাই পেয়েছেন। ক্ষমতাসীন দল অন্তদ্বন্দ্ব কোন্দলের বিষয়টি সামনে এসেছে।

দেশের মানুষ ভোটবর্জনের আহ্বান সাদরে গ্রহণ করছেন বলে দলটির সর্বস্তরের নেতারা মনে করেন। তাদের মতে, নির্বাচন বিরোধী দলগুলোর অংশ না নেওয়া এবং ভোট থেকে বিরত থাকার আহ্বানে মনের দিক থেকে জনগণ আরও শক্ত অবস্থানে ছিল। ফলে জোরজবরদস্তি করে অল্পসংখ্যক মানুষকে নিতে পারলেও বড় অংশ ভোটকেন্দ্রে যায়নি। ফলে ভোটার উপস্থিতি কম হয়েছে, জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে এই ভোট গ্রহণযোগ্য করা কঠিন হবে। নির্বাচন নিয়ে মূল্যায়ন করতে গিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীদের কথাগুলো সাধারণ মানুষ আগ্রহ নিয়ে শুনেছেন। লিফলেট বিতরণের মধ্যমে দলের বক্তব্য পথঘাটে, দোকানে, ভোটারদের কাছে তুলে ধরা হয়েছে। ফলে জাতীয় নির্বাচনের মতো উপজেলা নির্বাচনও বর্জন করেছে জনগণ।

উপজেলা নির্বাচনে ভোটারদের কেন্দ্রবিমুখ করার জন্য দলের নেওয়া পদক্ষেপ কাজে লেগেছে দাবি বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ বলেন, ভোটারদের ভোটবিমুখ করতে প্রায় লাখ লাখ লিফলেট ছাপিয়ে উপজেলা, ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ডগুলোতে পাঠানো হয়েছিল। উপজেলা, ইউনিয়ন, ওয়ার্ড ও গ্রামপর্যায়ে কর্মিসভা, মতবিনিময় সভা এবং যৌথ সভাও হয়েছে। দেওয়া হচ্ছে, বিভিন্ন দিকনির্দেশনাও। দলের নানামখী উদ্যোগের ফলে ভোটাররা কেন্দ্রবিমুখ ছিল। তিনি বলেন, এই নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত যে সঠিক ছিল, তা প্রামাণিত হয়েছে। এই নির্বাচন বর্জন করে অন্যতম বড় অর্জন হচ্ছে, তাদের নির্বাচন-সংক্রান্ত কোনো মামলার মুখোমুখিও হতে হয়নি।

বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নির্বাচনের আগের দিনও ভোটারদের কেন্দ্রবিমুখ রাখার চেষ্টা সফলতা নিয়ে সন্দেহ ছিল। কারণ, সর্বশক্তি নিয়োগ করেও অনেক স্থানে বিএনপি নেতাদের নির্বাচন থেকে দূরে রাখা যায়নি। এ ছাড়া স্থানীয় নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি বেশি হয়ে থাকে। আর বিএনপির ভোটার ফেরানোর কার্যক্রমে অনেক কর্মী সক্রিয়ভাবে দায়িত্ব পালন করেনি। এরপরও ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ায় বিএনপি নেতারা খুশি।

প্রসঙ্গেত, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো চলমান উপজেলা পরিষদ নির্বাচনও বর্জনের সিদ্ধান্ত নেয় বিএনপি। দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে ভোটে যাওয়া নেতাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয় দলটি। প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়া ৭৯ জন নেতা এবং দ্বিতীয় ধাপে অংশ নেওয়া ৬১ নেতাকে বহিষ্কারও করে তারা। পাশাপাশি হুঁশিয়ার করা হয়, বিএনপি ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের কোনো নেতা ভোটে অংশ নেওয়া বহিষ্কৃতদের কোনোভাবে সহায়তা করলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একই সঙ্গে ভোটারদের কেন্দ্রবিমুখ করতে দেশব্যাপী লিফলেট বিতরণের কর্মসূচি পালন করে।

সর্বশেষ সংবাদ

সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেনের সাবেক স্ত্রী নাসিম পারভীনের লাশ উদ্ধার
পানি শুন্য ছোটযমুনা নদীর বুকে ধান চাষ!
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বর্জনে অর্জন দেখছে বিএনপি
ফিলিস্তিনি ভাই-বোনদের রক্ষা করুন, বললেন পলক
বিএনপির সমাবেশ মানেই অগ্নি সন্ত্রাস ও রক্তপাত: ওবায়দুল কাদের
চড়া সবজির দাম, নাগালের বাইরে নিত্যপণ্য
প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানালেন গোবিন্দগঞ্জ বিএনপির নেতৃবৃন্দ
ইসরায়েলের তীব্র হামলার মুখে রাফা ছাড়ল ৮০ হাজারের বেশি মানুষ
টাঙ্গাইলে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ
ভারতীয় নির্বাচনে কোনো হস্তক্ষেপ করছি না : যুক্তরাষ্ট্র
বাবা হওয়ার খুশিতে আবারও বিয়ে করলেন জাস্টিন বিবার
জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের পূর্ণ সদস্যপদ ইস্যুতে ভোট আজ
মানিকগঞ্জে পাইলট আসিমের জানাজায় হাজারো মানুষের ঢল
দেশে দ্বিতীয় স্যাটেলাইট নির্মাণের কাজ চলছে: প্রধানমন্ত্রী
বুবলীর পর একই থানায় অপু বিশ্বাসের জিডি!
বিমান ঘাঁটিতে পাইলট আসিমের দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত
ইউরোপা লিগ: অপরাজিত থাকার রেকর্ড গড়ে ফাইনালে লেভারকুসেন
টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশ
প্রেমিক যুগলকে মারধরের পর গলায় জুতার মালা, ইউপি চেয়ারম্যান বরখাস্ত