সোমবার, ১৩ জানুয়ারি ২০২৫ | ২৯ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

মুফতী শাঈখ মুহাম্মাদ উছমান গনী

জুমার দিনের ফজিলত ও আমল

জুমা শব্দটি আরবি জমা শব্দ থেকে উৎপক্তি। জমা অর্থ হলো একত্রিত হওয়া বা একত্র করা। জমা শব্দের আরেক অর্থ হলো বহু জুমুআহ মানে হলো একত্রিত হওয়ার স্থান বা সময়। ইসলামে শুক্রবারকে ইয়াওমুল জুমুআহ বা জুমা দিবস বলা হয়। জুমার দিনে মুসলিমরা নির্দিষ্ট মসজিদে একত্রিত হন। শুক্রবারে জুমা অনুষ্ঠিত হয় বলে শুক্রবারকে জুমাবার বলা হয়। যেই মসজিদে জুমা অনুষ্ঠিত হয় তাকে মসজিদুল জামে তথা জামে মসজিদ বা জুমা মসজিদ বলা হয়। যে সকল মসজিদে জুমা অনুষ্ঠিত হয় না, সেগুলোকে পাঞ্জেগানা মসজিদ বা ওয়াক্তিয়া মসজিদ বলা হয়। জুমা শব্দটির সাথে জমাআহ বা জমাআত শব্দের স্পর্ক রয়েছে; কারণ জমাআত ছাড়া জুমা হয় না।


কুরআন মজিদে সূরা জুমা নামে একটি সূরা বা অধ্যায় রয়েছে। এতে বলা হয়েছে: “হে মুমিনগণ! জুমুআর দিনে যখন নামাজের জন্য আজান দেয়া হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণ পানে ত্বরা করো (দ্রুত দৌড়াও) এবং বেচাকেনা বন্ধ করো। এটা তোমাদের জন্যে উত্তম যদি তোমরা বুঝো। অতঃপর নামাজ সমাপ্ত হলে তোমরা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড় এবং আল্লাহর অনুগ্রহ তালাশ করো ও আল্লাহকে অধিক স্মরণ করো, যাতে তোমরা সফলকাম হও।” (সূরা৬২ জুমুআহ, আয়াত: ৯-১)।

জুমার দিনের তাৎপর্য:

তাফসীরবিদগণ বলেন, সূরা জুমার পূর্বের সূরার নাম হলো সূরা ‘সফ’। সফ অর্থ কাতার বা সারি। জুমার নামাজ সারিবদ্ধভাবে আদায় করা হয় এবং এতে ঐক্য ও শৃঙ্খলা সৃষ্টি হয় এতে এই ইঙ্গিত রয়েছে। সূরা জুমার পরের সূরা হলো সূরা ‘মুনাফিক‚ন’। এতে এই ইঙ্গিত বিদ্যমান যে, জুমার তরক করা মুনাফিকের লক্ষণ। জুমার নামাজে প্রথম রাকআতে সূরা জুমা ও দ্বিতীয় রাকআতে সূরা মুনাফিক‚ন পড়া সুন্নাত।

হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বর্ণনা করেন, নবী কারীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: ‘যে ব্যক্তি বিনা কারণে জুমা পরিত্যাগ করলো, তাকে মুনাফি হিসেবে তালিকাভুক্ত ও লিপিবদ্ধ করা হয়।’ (ইমাম শাফিয়ী, মিশকাত: ১২১, ফয়জুল কালাম: ৪৬৮, পৃষ্ঠা: ৩৩৩)।

হজরত উমর (রা.) ও হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, আমরা শুনেছি রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন মিম্বরে দাঁড়িয়ে বলেছেন: ‘যারা কয়েকটি জুমা ধারাবাহিবভাবে পরিত্যাগ করবে, আল্লাহ তাদের তাদের অন্তরে সীল মোহর করে দিবেন; অতঃপর তারা গাফিলদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে। (মুসলিম শরীফ)। হজরত আবু জাআদ (রা.) বর্ণনা করেন, রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: যে ব্যক্তি অবজ্ঞা বা অবহেলা করে তিন জুমুআহ পরিত্যাগ করলো, আল্লাহ তার অন্তরে সীল মোহর করে দিবেন। (তিরমিযী, নাসায়ী, আবু দাউদ ও ইবনে মাজাহ)।

মসজিদে নিরবতা প্রসঙ্গ:

হজরত মুআজ ইবনে আনাস জুহানী (র.) বর্ণনা করেন, রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: ‘যে ব্যক্তি জুমুআর দিনে মানুষের ঘাঁড়ের উপর দিয়ে সামনে যাওয়ার চেষ্টা করলো, কিয়ামতের দিন তাকে জাহান্নামের পুল বানানো হবে। (তিরমিযী, মিশকাত: ১২২, ফয়জুল কালাম: ৪৭৩, পৃষ্ঠা: ৩৩৬)। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বর্ণনা করেন, রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: ‘জুমুআর দিনে ইমামের খুৎবাহ প্রদানের সময় যে কথা বললো, সে যেন গাধার মতো যে বোঝা উঠায়। যে তাকে বললো চুপ করো, তারও জুমুআহ নেই।’ (মুসনাদে আহমাদ, মিশকাত: ১২৩, ফয়জুল কালাম: ১৭৪, পৃষ্ঠা: ৩৩৬-৩৩৭)। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: ‘জুমুআর দিনে ইমাম খুৎবাহ দেওয়ার সময় যখন তুমি তোমার ভাইকে বললে, চুপ করো; তখন তুমিও বেহুদা কথা বললে।’ (বুখারী ও মুসলিম, মিশকাত: ১২২/ ফয়জুল কালাম: ৪৭১, পৃষ্ঠা: ৩৩৫)।

জুমার নামাজের গুরুত্ব ও ফজিলত:

‘হজরত তারেক ইবনে শিহাব (রা.) বর্ণনা করেন, রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: ‘জুমা জমাতের সাথে আদায় করা প্রত্যেক মুসলমানের ফরজ কর্তব্য; চার প্রকার লোক ছাড়া। কৃতদাস, নারী, শিশু ও অসুস্থ ব্যক্তি।’ (আবু দাউদ)। হজরত সালমান (রা.) বর্ণনা করেন, রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: ‘জুমার দিনে যে গোসল করলো, সাধ্য মতো পবিত্রতা অর্জন করলো, তেল ব্যবহার করলো, সুগন্ধি ব্যবহার কলো এবং মজিদে গিয়ে কাউকে না ডিঙ্গিয়ে বসলো, নিরবে ইমামের খুৎবাহ শুনলো, অতঃপর নির্ধারিত নামাজ আদায় করলো; আল্লাহ তাআলা তার দুই জুমুআর মধ্যবর্তী গুনাহসমূহ মাফ করে দিবেন।’ (বুখারী শরীফ)। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: ‘যে ব্যক্তি জুমুআর দিনে ভালোভাবে অজু করলো, অতঃপর জুমায় আসলো, মনযোগ দিয়ে খুৎবাহ শুনলো ও চুপচাপ থাকলো, তার এক জুমুআহ থেকে আরেক জুমাহ পর্যন্ত
গুনাহসমূহ ক্ষমা করা হবে, অধিকন্তু আরো তিন দিনের। আর যে খুৎকার সময় অকারণ নড়াচড়া করলো, সেও কথা বললো। (মুসলিম, মিশকাত: ১২২, ফয়জুল কালাম: ৪৭২, পৃষ্ঠা: ৩৩৬)।

জুমার দিনে প্রতি কদমে এক বছরের নামাজ ও রোজার সওয়াব:

হজরত আউস ইবনে আউস (রা.) বর্ণনা করেন, রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: যে ব্যক্তি জুমার দিন জামা কাপড় ধূয়ে গোসল করে, সকাল সকাল মসজিদে গেলো, পায়ে হেঁটে মসজিদে গমনাগমন করলোবাহনে আরোহন করলো না, ইমামের নিকটে বসলো, মনযোগ দিয়ে খুৎবাহ শুনলো, অযথা কাজ করলো না, তার প্রতিটি পদক্ষেপে এক বছরের রোজা ও এক বছরের নামাজের সওয়াব প্রাপ্ত হবে।’ (তিরমিযী, নাসায়ী, আবূ দাঊদ, ইবনে মাজাহ; মিশকাত: ১২২/ ফয়ুল কালাম: ১৭০, পৃষ্ঠা: ৩৩৪-৩৩৫)।

জুমাহ ও খুৎবাহ:

জুমার অন্যতম প্রধান বিষয় হলো খুৎবাহ বা ভাষণ। হাদীস শরীফে আছে, হজরত জাবির ইবনে সামুরা (রা.) বর্ণনা করেন, রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দুটি খুৎবাহ দিতেন, দুই খুৎবার মাঝে বসতেন; খুৎবাহ ও নামাজ উভয়ই হতো সমান। (মুসলিম শরীফ)। প্রথম যুগে জুমুআর নামাজের পরে খুৎবাহ দেওয়া হতো। একদা নবীজি (স.) খুৎবাহ দিচ্ছিলেন এমন সময় বাণিজ্য কাফেলা আসলে অনেকে উঠে চলে যান। ৭ জন মহিলাসহ ১৯ জন বসে থাকেন, এই ১৯ জনের মধ্যে আশারা মুবাশশারা বা ১০ জন বেহেশতের সুসংবাদ প্রাপ্তর ছিলেন। তখন সূরা জুমুআহ এর শেষ আয়াত নাজিল হয়। “তারা যখন কোন ব্যবসায়ের সুযোগ অথবা ক্রীড়াকৌতুক দেখে তখন আপনাকে দাঁড়ানো অবস্থায় রেখে তারা সেদিকে ছুটে যায়। বলুন, আল্লাহর কাছে যা আছে, তা ক্রীড়াকৌতুক ও ব্যবসায় অপেক্ষা উৎকৃষ্ট। আল্লাহ সর্বোত্তম রিযিকদাতা।” (সূরা-৬২ জুমুআহ, রুক‚: ২, আয়াত: ১১)। এর পর থেকে নবীজি (স.) খুৎবাহ পূর্বেই প্রদান করেন। (তাফসীরে জালালাঈন ও মাআরিফুল কুরআন)।

জুমার দিনের নামাজসমূহ:

জুমার মূল নামায ২ রাকআত। জুমার দিনে জুহর ওয়াক্তে জুহরের নামাজের পরিবর্তে দুই রাকআত জুমার নামাজ আদায় করা ফরজ। এর পূর্বে ৪ রাকআত (কাবলাল জুমুআহ) ও পরে ৪ রাকআত (বাদাল জুমুআহ) পড়া সুন্নাত। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বর্ণনা করেন, রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জুমার পূর্বে (কাবলাল জুমুআহ) চার রাকাত নামাজ আদায় করতেন এবং জুমুআর পরে (বাদাল জুমুআহ) চার রাকআত নামাজ আদায় করতেন। (তাবরানী/আলফিয়াহ: ৪৩০)। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: ‘তোমরা যখন জুমুআর নামাজ আদায় করবে, তার পরে (বাদাল জুমুআহ) চার রাকআত নামাজ আদায় করবে। (মুসলিম শরীফ/ আলফিয়াহ, পৃষ্ঠা: ১০০-১০২)। অজুর সাথে সম্পৃক্ত ২ রাকআত (তাহিয়্যাতুল অজু) ও মসজিদে প্রবেশের সাথে সম্পর্কিত ২ রাকআত (তাহিয়্যাতুল মসজিদ বা দুখূলুল মসজিদ) জুমুআর দিনে বেশি পড়া হয়। 
জুমার ফরজের শর্ত পূর্ণ হয়েছে কি না? এই সংশয়ে অনেকে ৪ রাকআত ওয়াক্তিয়া জুহর এবং ২ রাকআত আখেরী
জুহরও আদায় করেন। ২ রাকাত নফল পড়েন আবার শোকরিয়া নামায ২ রাকাতও পড়েন অনেকে। সলাতুত তাসবীহ ৪
রাকাতও কেউ কেউ পড়ে থাকেন শুক্রবারে।

জুমার দিনের সুন্নাত আমলসমূহ:

জুমার দিনের সুন্নাত আমলসমূহ হলো: (১) শবে জুমুআহ বা বৃহস্পতিবার দিবাগত শুক্রবার রাতে ঘুমানোর পূর্বে সুরমা ব্যবহার করা, (২) শুক্রবার খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠা, (৩) তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করা, (৪) ফজরের নামাজ জমাআতের সাথে আদায় করা, (৫) কুরআন তিলাওয়াত করা, বিশেষ করে সূরা কাহাফ ও সূরা জুমুআহ তিলাওয়াত করা, (৬) যিকির আযকার বেশি করা, (৭) দুরূদ শরীফ বেশি বেশি পাঠ করা, (৮) নফল ইবাদাত বেশি করা, (৯) শারীরিক পরিস্কার পরিচ্ছন্ন হয়া ও ক্ষৌর কর্ম করা, (১০) গোঁফ কেটে ছোট করা, (১১) নখ কাটা, (১২) সকালে জুমুআর জন্য গোসল করা, (১৩) গায়ে ও মাথায় তেল ব্যবহার করা, (১৪) নতুন কাপড় বা উত্তম কাপড় পরিধান করা, (১৫) টুপি ও পাগড়ি পরিধান করা, (১৬) সুগন্ধি ব্যবহার করা, (১৭) সকাল সকাল মসজিদে যাওয়া, (১৮) যেখানে জায়গা পাওয়া যায় সেখানে বসা, (১৯) সম্ভব হলে ইমামের কাছাকাছি বসা, (২০) নিরবে খুৎবাহ শোনা, (২১) বেহুদা কথাবার্তা না বলা, (২২) অযথা নড়াচড়া না করা, (২৩) সকল মুসলমানের জন্য দোয়া করা, (২৪) দান খয়রাত করা,
(২৫) সদুপদেশ দেওয়া, (২৬) কবর যিয়ারত করা, (২৭) আত্মীয়-স্বজনের সাথে দেখা সাক্ষাৎ করা, (২৮) পাড়া
প্রতিবেশিদের খোঁজ খবর নেওয়া।

Header Ad
Header Ad

গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাব প্রত্যাহারের আহ্বান জামায়াতের

ফাইল ছবি

গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাব প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার। তিনি দেশের শিল্পকারখানা, ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনীতির স্বার্থে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি এ প্রস্তাব প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন।

সোমবার (১ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে গোলাম পরওয়ার বলেন, শিল্পখাতে গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাবে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি। এ প্রস্তাবে দেশের ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিরা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তিনি উল্লেখ করেন, ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে গ্যাসের মূল্য সাতবার বৃদ্ধি করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, সর্বশেষ ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে গ্যাসের দাম ১৫০ শতাংশেরও বেশি বাড়ানো হয়েছিল। সে সময় গ্যাসের সংকটের কারণে শিল্পকারখানাগুলো রেশনিং পদ্ধতিতে পরিচালিত হতো। বর্তমানে গ্যাস সংকট অব্যাহত রয়েছে। সংকট সমাধানে দেশের সম্ভাবনাময় জায়গাগুলোতে নতুন গ্যাস কূপ খনন এবং বিদেশ থেকে গ্যাস আমদানি জরুরি। মূল্যবৃদ্ধি সংকট সমাধান করবে না; বরং তা আরও জটিলতা সৃষ্টি করবে।

গোলাম পরওয়ার ত্বরিত পদক্ষেপ গ্রহণ করে প্রস্তাব প্রত্যাহারের মাধ্যমে দেশীয় শিল্প ও অর্থনীতি রক্ষার আহ্বান জানান।

Header Ad
Header Ad

ভারতে পালানোর সময় ইডেন ছাত্রলীগ নেত্রী সুস্মিতা গ্রেপ্তার

ভারতে পালানোর সময় ইডেন কলেজ ছাত্রলীগ নেত্রী সুস্মিতা গ্রেপ্তার। ছবি: সংগৃহীত

ভারতে যাবার পথে বেনাপোল ইমিগ্রেশনে গ্রেপ্তার হয়েছেন ঢাকার ইডেন কলেজের ছাত্রলীগ নেত্রী সুস্মিতা পান্ডে ও তার ছোট ভাই সত্যজিত পান্ডে। গ্রেপ্তার সুস্মিতা ও তার ছোট ভাই মাগুরা সদরের ঢাকা রোডের স্বপন পান্ডের মেয়ে। চিকিৎসার জন্য তারা সোমবার (১৩ জানুয়ারি) বিকালে ভারত যাচ্ছিলেন। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সন্ধ্যা ৬টার দিকে পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

ইমিগ্রেশন পুলিশের পরিদর্শক ইব্রাহিম আহম্মেদ জানান, মাগুরা জেলা সদরের স্বপন পান্ডের মেয়ে আজ বিকালে বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন দিয়ে ভারতে প্রবেশকালে তাঁকে সন্দেহজনক হিসাবে তাদের আটক করা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদ করলে ঢাকার নিউ মার্কেট এলাকার একটি হত্যা মামলার আসামি হিসাবে স্বীকার করেন সুস্মিতা। তিনি ঢাকা ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক।

আটককৃতরা মাগুরার সাতদোহা এলাকার স্বপন পান্ডের মেয়ে সুস্মিতা ও সত্যজিত পান্ডে। তাদের কে আটক করে বেনাপোল পোর্ট থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।

বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি রাসেল মিয়া জানান, ঢাকা ইডেন কলেজ শাখার ছাত্রলীগ নেত্রী সুস্মিতা এবং তার ছোট ভাই সত্যজিত পান্ডে ভারতে যাওয়ার সময় ইমিগ্রেশন তাদের আটক করে আমার অধিন্যাস্ত পোর্ট থানায় হস্তান্তর করেছে। এখান থেকে তাদেরকে ঢাকার নিউ মার্কেট থানা হেফাজতে হস্তান্তর করা হবে।

Header Ad
Header Ad

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন ১৭ ফেব্রুয়ারি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন ১৭ ফেব্রুয়ারি। ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থগিত হওয়া দ্বাদশ সমাবর্তন আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। সোমবার (১৩ জানুয়ারি) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক আখতার হোসেন মজুমদার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বাদশ সমাবর্তন ১৭ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে। সমাবর্তন সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্যাবলী পরে জানানো হবে।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সালেহ্ হাসান নকীব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে (ফেসবুকে) লিখেছেন, ‘ভালো-মন্দ মিলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় চলছে। একটা ভালো খবর, অনেক চেষ্টার পর আমরা দ্বাদশ সমাবর্তনের একটা তারিখ পেয়েছি ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫। ছয় হাজারের বেশি রেজিস্ট্রেশন হয়েছে। সবার সহযোগিতা কামনা করছি।’

উল্লেখ্য, এর আগে ২০২৩ সালের নভেম্বরে সমাবর্তনের তারিখ নির্ধারণ করা হলেও অনিবার্য কারণ দেখিয়ে তা স্থগিত করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পরে তৎকালীন উপাচার্যসহ প্রশাসনের কয়েকজন কর্তাব্যক্তি গত বছরের জুন মাসে রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সৌজন্য স্বাক্ষাৎ করে ২৮ নভেম্বর নতুন তারিখ নির্ধারণ করেন। তবে ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পট পরিবর্তন ও বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন প্রশাসন আসায় নির্ধারিত সময়ে সমাবর্তনের আয়োজন করা সম্ভব হয়নি। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৫৩ সালে। সর্বশেষ একাদশ সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয় ২০১৯ সালের ৩০ নভেম্বর।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাব প্রত্যাহারের আহ্বান জামায়াতের
ভারতে পালানোর সময় ইডেন ছাত্রলীগ নেত্রী সুস্মিতা গ্রেপ্তার
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন ১৭ ফেব্রুয়ারি
সীমান্তে উত্তেজনা: নয়া দিল্লিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে তলব
পুলিশে বড় রদবদল, ৭৫ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বদলি
৫ আগস্ট ‘সার্বক্ষণিক যোগাযোগে’ ছিলেন বাংলাদেশ ও ভারতের সেনাপ্রধান
জাকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ প্রকাশ, তফসিল ১ ফেব্রুয়ারি
বিপিএলে টানা তিন জয়ে উড়ছে চট্টগ্রাম কিংস
প্রথমবার বিদেশি লিগে খেলার সুযোগ পেলেন পেসার নাহিদ রানা
সচিবালয়ের সামনে এসআইদের আমরণ অনশনের ডাক
সচিবালয় ঘেরাও করলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি কর্মীদের মাল্টিপল-এন্ট্রি ভিসা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা
বেরোবিতে ইউজিসির নিয়মকে ‘বৃদ্ধাঙ্গুলি’ দেখিয়ে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নিয়োগ
দাবানলের আগুনে প্রাণ হারালেন হলিউড তারকা ররি স্কাইজ
বদলগাছীতে সংঘর্ষ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ
বাংলাদেশ আমাদের প্রতিবেশী, একসঙ্গেই থাকতে হবে: ভারতীয় সেনাপ্রধান
বিরামপুরে বিজ্ঞান ও তারুণ্য মেলার উদ্বোধন
শেখ হাসিনার যোগসাজসে সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দিয়েছে ভারত: রিজভী
ভারত নয়, পাকিস্তান থেকেই আসছে পেঁয়াজ
পরকীয়া সন্দেহে স্ত্রীকে হত্যা করে থানায় হাজির স্বামী