সোমবার, ১৩ জানুয়ারি ২০২৫ | ২৯ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

জাহান্নামের কঠিন শাস্তি থেকে বাঁচার সাত আমল

প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত

জাহান্নাম ভয়ঙ্কর স্থান। এটা পাপিষ্ঠ ও অবিশ্বাসীদের ঠিকানা। যেখানে গুনাহগারদের শাস্তি দেওয়া হবে। কিছু পাপিষ্ঠ সেখানে শাস্তি পেয়ে জান্নাতে প্রবেশ করবে। আর অবিশ্বাসীরা চিরকাল জাহান্নামে থাকবে। চিরস্থায়ী শাস্তি ভোগ করবে।

জাহান্নাম হলো আখিরাতে এমন একটি বিশাল এলাকা, যেখানে বিভিন্ন ধরনের শাস্তির জন্য ভিন্ন ভিন্ন এলাকা নির্ধারিত আছে। সেগুলোকে প্রধানত সাত ভাগে ভাগ করা হয়েছে। এগুলোকে জাহান্নামের নামও বলা হয়ে থাকে। সেগুলো হলো- ১. নার তথা আগুন। ২. জাহান্নাম তথা আগুনের গর্ত। ৩. জাহিম তথা প্রচণ্ড উত্তপ্ত আগুন। ৪. সায়ির তথা প্রজ্বলিত শিখা। ৫. সাকার তথা ঝলসানো আগুন। ৬. হুতামাহ তথা পিষ্টকারী। ৭. হাবিয়া তথা অতল গহ্বর।

জাহান্নামের শাস্তি যেমন হবে:

পবিত্র কোরআন ও হাদিসে জাহান্নামের আগুনের উত্তাপের কিছু বিবরণ দেওয়া হয়েছে। এক আয়াতে মহান আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘এটা তো লেলিহান অগ্নি, যা গায়ের চামড়া খসিয়ে দেবে।’ (সুরা মাআরিজ, আয়াত : ১৫-১৬)

অন্য আয়াতে এসেছে, ‘তাদের মাথার ওপর ঢেলে দেওয়া হবে ফুটন্ত পানি, যা দিয়ে তাদের চামড়া ও পেটের ভেতর যা আছে তা বিগলিত করা হবে।’ (সুরা হজ, আয়াত : ১৯-২০)

আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেন, ‘এক হাজার বছর জাহান্নামকে উত্তপ্ত করা হয়েছে। ফলে তার আগুন রক্তিম বর্ণ ধারণ করেছে। অতঃপর পুনরায় এক হাজার বছর উত্তাপ দেওয়ার ফলে এটি সাদা রং গ্রহণ করেছে। তারপর আরও এক হাজার বছর উত্তাপ দেওয়ার ফলে এর আগুন কৃষ্ণবর্ণ হয়ে গেছে। সুতরাং জাহান্নাম এখন সম্পূণরূপে গাঢ় কালো তমসাচ্ছন্ন।’ (তিরমিজি শরিফ)

জাহান্নামের আগুনের উত্তাপ কখনো প্রশমিত হবে না। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘অতঃপর তোমরা (আজাব) আস্বাদন করো, আমি তো তোমাদের শাস্তি কেবল বৃদ্ধিই করব।’ (সুরা নাবা, আয়াত : ৩০)।

জাহান্নাম থেকে মুক্তি পেতে যে সাত আমল করবেন:

১. আল্লাহ ও রাসুলের ওপর বিশ্বাস: জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচার প্রধান উপায় হলো, আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের ওপর যথাযথ ঈমান আনা এবং জীবন ও সম্পদ আল্লাহর পথে বেশি ব্যয় করা। মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘হে মুমিনরা, আমি কি তোমাদের এমন বাণিজ্যের সন্ধান দেব, যা তোমাদের রক্ষা করবে বেদনাদায়ক শাস্তি থেকে? তা এই যে তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের ওপর ঈমান আনবে এবং তোমাদের জীবন ও সম্পদ দিয়ে আল্লাহর পথে লড়াই করবে। এটাই তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা জানতে!’ (সুরা : সাফফ, আয়াত : ১০-১১)

২. আল্লাহ ও রাসুলের আনুগত্য: আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের অবাধ্যতা থেকে বেঁচে থাকা জাহান্নাম থেকে মুক্তির অন্যতম উপায়। মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘আর কেউ আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের অবাধ্য হলে এবং তাঁর নির্ধারিত সীমা অতিক্রম করলে তিনি তাকে (জাহান্নামের) আগুনে নিক্ষেপ করবেন; সেখানে সে স্থায়ী হবে। আর তার জন্য আছে অপমানজনক শাস্তি। (সুরা : নিসা, আয়াত : ১৪)

৩. যাবতীয় পাপ মুক্ত হওয়া: ইসলামের দৃষ্টিতে জাহান্নামে যাওয়ার মতো পাপ আছে, সেসব পাপ থেকে বেঁচে থাকলে জাহান্নাম থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। ওই পাপগুলো হলো—শিরক করা, নবী-রাসুলদের মিথ্যা প্রতিপন্ন করা, কুফরি করা, হিংসা করা, জুলুম করা, খিয়ানত করা, আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্ন করা, কৃপণতা করা, লোক-দেখানো কিংবা জাগতিক ফায়দা হাসিল করার জন্য ভালো কাজ করা, মুনাফেকি করা, আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ে যাওয়া এবং কোরআন-হাদিসে বর্ণিত কবিরা গুনাহ করা। এসব পাপ থেকে বেঁচে থাকলে জাহান্নাম থেকে মুক্তি মিলবে। (আল-জান্নাতু ওয়ান্নারু মিনাল কিতাবি ওয়াস-সুন্নাতিল মুতাহহারাহ—আবদুর রহমান বিন ওহাফ আল-কাহতানি, পৃষ্ঠা : ১২৩-১২৪)

৪. শিরক থেকে বেঁচে থাকা: শিরক একটি জঘন্য অপরাধ, যা বিশুদ্ধ তাওবা ছাড়া ক্ষমা হয় না। এর মাধ্যমে জান্নাত হারাম হয়ে যায় এবং চিরস্থায়ী জাহান্নামের আগুনে দগ্ধীভূত হতে হয়। সুতরাং শিরক থেকে বেঁচে থাকতে হবে। এ মর্মে মহান আল্লাহ বলেন, ‘নিশ্চয়ই যে ব্যক্তি আল্লাহর শরিক স্থাপন করবে, তার ওপর জান্নাত হারাম এবং জাহান্নাম হবে তার চূড়ান্ত ঠিকানা। আর সেদিন জালিমদের কোনো সাহায্যকারী থাকবে না।’ (সুরা : মায়েদা, আয়াত : ৭২)

৫. বেশি পরিমাণ দান করা: দান-সদকার মাধ্যমে সামাজিক নিরাপত্তা সুদৃঢ় হয় এবং জান্নাতের পথ সুগম হয়। মহান আল্লাহ বলেন, ‘যদি তোমরা প্রকাশ্যে দান করো তবে তা উত্কৃষ্ট এবং যদি গোপনে দান করো এবং দরিদ্রদের প্রদান করো, তাহলে তোমাদের জন্য তা কল্যাণকর। আর এর দ্বারা তিনি তোমাদের পাপ মোচন করে দেন। বস্তুত তোমাদের কৃতকর্ম সম্পর্কে আল্লাহ যথাযথভাবে খবর রাখেন।’ (সুরা : বাকারাহ, আয়াত : ২৭১)

৬. ফরজ ইবাদত আদায় করা: মহান আল্লাহ কর্তৃক বান্দার ওপর যেসব ইবাদত ফরজ করা হয়েছে সেগুলো যথাযথভাবে আদায় করা জাহান্নাম থেকে মুক্তির অন্যতম উপায়। সালাত, সিয়াম, জাকাত, হজ প্রভৃতি। সালাদ আদায় করা সম্পর্কে মহান আল্লাহ বলেন, ‘অবশ্যই মুমিনরা সফলকাম হয়েছে। যারা তাদের সালাত বিনয় ও নম্রতা সহকারে আদায় করে।’ (সুরা : মুমিনুন, আয়াত : ১-২)

৭. দোয়া করা: পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ জাহান্নাম থেকে বাঁচার দোয়া শিখিয়েছেন। ওই দোয়াগুলো নিয়মিত পাঠ করলে জাহান্নাম থেকে মুক্তি মিলবে। পবিত্র কোরআনের ভাষায়—‘হে আমাদের রব! আমাদের ইহকালে কল্যাণ দান করো এবং পরকালেও কল্যাণ দান করো। আর আমাদের দোজখ-যন্ত্রণা থেকে রক্ষা করো।’ (সুরা : বাকারাহ, আয়াত : ২০১)

অন্য আয়াতে এসেছে, ‘হে আমাদের রব! আমাদের থেকে জাহান্নামের শাস্তি নিবৃত্ত করো; জাহান্নামের শাস্তি তো নিশ্চিতভাবে ধ্বংসাত্মক; নিশ্চয়ই তা আশ্রয়স্থল ও বসতি হিসাবে অতীব নিকৃষ্ট!’ (সুরা : ফুরকান, আয়াত : ৬৫-৬৬)

মহান আল্লাহ আমাদের জাহান্নামের আজাব থেকে হেফাজত করুন।

Header Ad
Header Ad

৫ আগস্ট ‘সার্বক্ষণিক যোগাযোগে’ ছিলেন বাংলাদেশ ও ভারতের সেনাপ্রধান

বাংলাদেশের সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান এবং ভারতের সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী। ছবি: সংগৃহীত

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত বছরের ৫ আগস্ট বাংলাদেশে পট পরিবর্তনের সময় সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের সঙ্গে ‘সার্বক্ষণিক যোগাযোগ’ রেখেছিলেন বলে জানিয়েছেন ভারতের সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী।

সোমবার (১৩ জানুয়ারি) দিল্লিতে ভারতীয় সেনাবাহিনীর বার্ষিক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।

ছাত্র-জনতার ৩৬ দিনের অভ্যুত্থানে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট বাংলাদেশে ক্ষমতার পালাবদল হয়। সরকার থেকে উৎখাত হন প্রধানমন্ত্রী পদে থাকা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা। তিনি পদত্যাগ করে ভারতে আশ্রয় নেন। এরপর থেকে ‘বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্কে তিক্ততা শুরু’ এমন সংবাদ প্রতাশিত হয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে।

জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী বলেন, ‘আজ পর্যন্ত কোনো পক্ষ থেকে কোনো ঝুঁকি দেখা যায়নি। । আমার সে দেশের সেনাপ্রধানের সঙ্গেও নিয়মিত যোগাযোগ আছে। বাংলাদেশে যখন পালাবদল ঘটল, তখেনা আমরা নিজেদের মধ্যে সব সময় যোগাযোগ রেখে চলছিলাম। এরপর গত ২০ নভেম্বরও আমাদের মধ্যে একটা ভিডিও কনফারেন্স হয়েছে, দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিকভাবেই চলছে।’

শেখ হাসিনা উৎখাত হওয়ার পর পাঁচ মাসের বেশি সময় ধরে ভারতে অবস্থান করছেন। ভারতের সেনাপ্রধানের বক্তব্যে স্পষ্ট হয়, শেখ হাসিনার দেশ ছাড়ার প্রক্রিয়াটি দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে সমন্বয় রেখেই সম্পন্ন হয়েছিল।

সংবাদ সম্মেলনে জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী বাংলাদেশে তার কাউন্টারপার্টের দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারের প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন। তিনি বলেন, ‘উনি (বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানে) যেমন বলেছেন ভারত তাদের জন্য স্ট্র্যাটেজিক (কৌশলগত) দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ, কথাটা আমাদের দিক থেকেও সত্যি।’

‘বাংলাদেশ আমাদের কাছে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ... আমরা প্রতিবেশী, আমাদের একসঙ্গে থাকতে হবে এবং একে অপরকে বুঝতে হবে, এবং নিজ স্বার্থে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে কোনো বৈরিতা নয়।’

উপেন্দ্র দ্বিবেদী আরও বলেন, যদি আপনারা (দুই দেশের) সম্পর্কের কথা বলেন, সেটা ওখানে নির্বাচিত সরকার না আসা পর্যন্ত সম্ভব নয়। তবে দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে সম্পর্ক একদম ঠিক আছে, সব মসৃণভাবে চলছে।

Header Ad
Header Ad

জাকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ প্রকাশ, তফসিল ১ ফেব্রুয়ারি

জাকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ প্রকাশ। ছবি: ‍সংগৃহীত

বহুল প্রতীক্ষিত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনের রোডম্যাপ প্রকাশ করেছে। নির্বাচনের তফসিল আগামী ১ ফেব্রুয়ারি ঘোষণা করা হবে।

আজ সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান এ সিদ্বান্ত জানান।

এ সময় উপাচার্য জাকসু নির্বাচনের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার কাছে পরামর্শ চেয়েছেন। জাকসু নির্বাচনের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয় যদি চায়, তাহলে তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী নির্বাচন আয়োজন করতে পারে।

অধ্যাপক কামরুল আহসান বলেন, ১৯৭১ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকে মাত্র নয়বার জাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রায় ৩৩ বছর ধরে প্ল্যাটফর্মটি নিষ্ক্রিয় রয়েছে। সর্বশেষ ১৯৯২ সালে জাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বহুল প্রতীক্ষিত ইতিমধ্যে ১০ জানুয়ারি খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান

 

জাবি উপাচার্যের সঙ্গে সাক্ষাতে গত জুলাই মাসে গণ-অভ্যুত্থানের সময় বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার প্রশংসা করেন অধ্যাপক ইউনূস। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষাগত অগ্রগতিতেও সন্তোষ প্রকাশ করেন।

জাকসু নির্বাচনের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, ‘যদি আপনারা চান, তাহলে জাকসু নির্বাচন আয়োজন করুন। নির্বাচনটি আপনাদের নেতৃত্বে আয়োজন করুন।’

এ সময় অধ্যাপক কামরুল আহসান জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থী-শিক্ষক ও সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় করা মামলা সম্পর্কেও প্রধান উপদেষ্টাকে জানান। তিনি বলেন, আহত শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের চিকিৎসার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ৩৭ লাখ টাকা দিয়েছে।

বৈঠকে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ে সহ-উপাচার্য অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান ও অধ্যাপক সোহেল আহমেদ এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আবদুর রব প্রমুখ।

 

Header Ad
Header Ad

বিপিএলে টানা তিন জয়ে উড়ছে চট্টগ্রাম কিংস

ছবি: সংগৃহীত

বিপিএলে দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছে চট্টগ্রাম কিংস। ঢাকা পর্বে হার দিয়ে যাত্রা শুরু করলেও চট্টগ্রাম পর্বে এসে টানা তিন ম্যাচে জয় তুলে নিয়েছে তারা। সর্বশেষ সোমবার সিলেট স্ট্রাইকার্সকে ৩০ রানে হারিয়ে পয়েন্ট তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে মোহাম্মদ মিঠুনের নেতৃত্বাধীন দলটি।

সিলেট পর্বের শেষ দিনের প্রথম ম্যাচে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে চট্টগ্রাম কিংস ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ২০৩ রানের বড় সংগ্রহ করে। পাকিস্তানি ওপেনার উসমান খান এবং ইংলিশ ব্যাটার গ্রাহাম ক্লার্কের দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে আসে ৭৮ রান। উসমান ৩৫ বলে ৫৩ রান করেন, যেখানে ছিল আটটি চার ও একটি ছক্কা। ক্লার্ক খেলেন ৩৩ বলে ৬০ রানের দারুণ ইনিংস, যেখানে ছিল তিনটি চার ও পাঁচটি ছক্কা। শেষ দিকে মিঠুনের ১৯ বলে ২৮ রান এবং হায়দার আলীর ১৮ বলে ৪২ রানের ঝোড়ো ইনিংস দলকে বড় সংগ্রহ এনে দেয়।

জবাবে সিলেট স্ট্রাইকার্স ৪২ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ব্যাকফুটে চলে যায়। এরপর জর্জ মানসে ৩৭ বলে ৫২ রান এবং জাকের আলী ২৩ বলে অপরাজিত ৪৭ রান করেন। তবে চট্টগ্রামের বোলিং আক্রমণের সামনে সিলেটের লড়াই যথেষ্ট হয়নি। পাকিস্তানি পেসার ওয়াসিম জুনিয়র ৪ ওভারে ২৫ রান দিয়ে ৩ উইকেট শিকার করেন, যা দলের জয়ের ভিত গড়ে দেয়।

এই জয়ে চট্টগ্রাম কিংস চার ম্যাচে তিনটি জয় নিয়ে পয়েন্ট তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। তাদের ধারাবাহিক পারফরম্যান্স বিপিএলের শিরোপা দৌড়ে তাদের শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

৫ আগস্ট ‘সার্বক্ষণিক যোগাযোগে’ ছিলেন বাংলাদেশ ও ভারতের সেনাপ্রধান
জাকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ প্রকাশ, তফসিল ১ ফেব্রুয়ারি
বিপিএলে টানা তিন জয়ে উড়ছে চট্টগ্রাম কিংস
প্রথমবার বিদেশি লিগে খেলার সুযোগ পেলেন পেসার নাহিদ রানা
সচিবালয়ের সামনে এসআইদের আমরণ অনশনের ডাক
সচিবালয় ঘেরাও করলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি কর্মীদের মাল্টিপল-এন্ট্রি ভিসা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা
বেরোবিতে ইউজিসির নিয়মকে ‘বৃদ্ধাঙ্গুলি’ দেখিয়ে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নিয়োগ
দাবানলের আগুনে প্রাণ হারালেন হলিউড তারকা ররি স্কাইজ
বদলগাছীতে সংঘর্ষ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ
বাংলাদেশ আমাদের প্রতিবেশী, একসঙ্গেই থাকতে হবে: ভারতীয় সেনাপ্রধান
বিরামপুরে বিজ্ঞান ও তারুণ্য মেলার উদ্বোধন
শেখ হাসিনার যোগসাজসে সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দিয়েছে ভারত: রিজভী
ভারত নয়, পাকিস্তান থেকেই আসছে পেঁয়াজ
পরকীয়া সন্দেহে স্ত্রীকে হত্যা করে থানায় হাজির স্বামী
ভ্যাট বাড়ানোর কারণ জানালেন খাদ্য উপদেষ্টা
মাহফিলে ‘তুমি’ সম্বোধন করা নিয়ে যে ব্যাখ্যা দিলেন আজহারী
ঝগড়ায় ভালোবাসা বেড়ে যায় দ্বিগুণ, বলছে গবেষণা
শেখ হাসিনাসহ গণহত্যায় জড়িতদের গুরুত্বপূর্ণ কল রেকর্ড প্রসিকিউশনের হাতে
রুপির দাম সর্বকালের সর্বনিম্ন, এক ডলারে ৮৬ রুপি