রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫ | ৯ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গিয়ে প্রেম, অতঃপর বিয়ে

ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনই বদলে দিলো দুটি জীবনের গল্প। বরগুনার মীর রিজন মাহমুদ নিলয় এবং ফৌজিয়া তাসনীন আনিকার পরিচয় হয়েছিল এই আন্দোলনের মঞ্চে। প্রথমে ভালো লাগা, পরে ধীরে ধীরে রূপ নেয় গভীর ভালোবাসায়। অবশেষে, শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) বিকেলে বিয়ের পিঁড়িতে বসে তারা তাদের প্রেমের পূর্ণতা দেন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার এই আন্দোলন শুধু নতুন বাংলাদেশের স্বপ্নকেই সামনে আনেনি, বরগুনার মাটিতে একটি নতুন সম্পর্কেরও জন্ম দিয়েছে। আন্দোলনের পেছনে সহস্র মানুষের ত্যাগ আর আত্মত্যাগের মাঝে, নিলয় ও আনিকা খুঁজে পেয়েছেন জীবনের সঙ্গী। তবে দেশের কল্যাণে যেকোনো প্রয়োজনে আবারও ঝাঁপিয়ে পড়তে প্রস্তুত থাকবেন বলে জানান এই নবদম্পতি।

গত ৫ আগস্ট থেকে তাদের ভালো লাগার শুরু, যা ৭ আগস্ট ভালোবাসায় রূপ নেয়। পরবর্তীতে, ২৫ আগস্ট তারা তাদের সম্পর্কের কথা পরিবারকে জানান। উভয় পরিবারের সম্মতিতে এই সম্পর্ক পরিণয় পায়, এবং শেষ পর্যন্ত প্রেম হয়ে ওঠে প্রণয়।

মীর রিজন মাহমুদ নিলয় বলেন, আনিকার সঙ্গে আন্দোলনের মাধ্যমেই পরিচয় হয়। এমনিতে ওকে আগে দূর থেকে চিনলেও কখনও কথা হয়নি। আন্দোলন চলাকালে সবার সঙ্গেই আমার কথা হত। সবাইকে সাহস দিয়ে আন্দোলন বেগবান করার জন্য বলতাম। এ কারণেই ওর সঙ্গে আমার কথা বলা শুরু হয়। তবে ওই সময়ে আমাদের কোনো প্রেমের সম্পর্ক ছিল না। গত ৫ আগস্ট যখন একত্রে বিজয় মিছিলে আনন্দ উল্লাস করছিলাম তখন আমাদের মধ্যে ভালো লাগা শুরু হয়।

ফৌজিয়া তাসনীন আনিকা বলেন,আন্দোলনের সময় নিলয়ের সঙ্গে আমার পরিচয় হয়। ওই সময় আন্দোলন নিয়ে বিভিন্ন বিষয়ে কথা হত। তখন সাহস এবং সততা দেখে নিলয়ের ওপর আমি দুর্বল হই। যেখানে ওর আত্মীয়-স্বজনের মধ্যে অনেকেই বর্তমান নিষিদ্ধ সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিল, তাদের মতামতের বিরুদ্ধে গিয়ে আমাদের সঙ্গে আন্দোলন করেছে। এ ছাড়াও অন্য একটি সংগঠন তাদের ব্যানারে নিলয়কে আন্দোলনে অংশ নিতে বললেও সে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গেই আন্দোলনে যুক্ত হয়। ওর ওপর দুর্বল হওয়ার মূল কারণই হচ্ছে এমন সততা। পরবর্তীতে গত ৫ আগস্ট বিজয় মিছিলে আমার প্রতি আলাদা কেয়ার দেখে ওর প্রতি দুর্বলতা আরও বেড়ে যায়। পরে ৭ আগস্ট আমাকে প্রেমের প্রস্তাব না দিয়ে সরাসরি বিয়ের প্রস্তাব দেন নিলয়।

বিশেষ কি কারণে আনিকাকে ভালো লেগেছে জানতে চাইলে নিলয় বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়ার যে সাহসিকতা ওর মধ্যে ছিল এটি আমাকে মুগ্ধ করেছে। ওই সময়ে ফ্যাসিস্ট হাসিনার বিরুদ্ধে সাহস নিয়ে আন্দোলনে নেমে যে দেশকে ভালোবাসতে পারে সে মানুষকেও ভালোবাসতে পারে।

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাইলে আনিকা বলেন, আমরা এখনও শিক্ষার্থী। আমাদের প্রথম পরিকল্পনা হচ্ছে আমাদের একত্রে সফল হতে হবে। আমরা দুজনে একত্রিত থেকে সামনের দিকে এগিয়ে যাব। এ ছাড়া এখানও নিষিদ্ধ সংগঠনের অনেকে বলে আমরা কীভাবে আন্দোলনে গেলাম। আমার কথা হচ্ছে যদি একটি দল অন্যায় করে, সে অন্যায়কে সাপোর্ট দেয়া কি আমার দেশকে ভালোবাসা? অবশ্যই না। আমরা সবসময় নিরপেক্ষ থেকে দেশকে ভালোবাসবো। কোনো দল অথবা বর্তমান যে সরকার রয়েছে তারাও যদি কোনো ভুল করে আমরা তারও বিরুদ্ধে যাব, শুধু মাত্র দেশের জন্য।

Header Ad
Header Ad

জিএম কাদের ও স্ত্রীর ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ

জিএম কাদের ও তার স্ত্রী শরীফা কাদের। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের ও তার স্ত্রী শরীফা কাদেরের ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

এনবিআরে সেট্রাল ইন্টেলিজেন্স থেকে পাঠানো চিঠির সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। ওই চিঠি দেশের সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান বরাবর দেওয়া হয়েছে।

গত ২০ মার্চ থেকে চাঁদাবাজি, মনোনয়ন বাণিজ্য ও দলীয় ফান্ডের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক।

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের (জি এম কাদের) ১৯৯৬ সাল থেকে বিভিন্ন আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৯-২০১৪ সালে তিনি বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন।

Header Ad
Header Ad

হাসিনার মতোই একাত্তরে নেতাকর্মীদের ছেড়ে পালিয়েছিলেন শেখ মুজিব : তাজউদ্দিনকন্যা শারমিন

বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদের মেয়ে শারমিন আহমদ। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদের মেয়ে শারমিন আহমদ সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের অনুষ্ঠানে মন্তব্য করেছেন যে, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ শেখ মুজিবুর রহমান তার নেতাকর্মীদের বিপদে ফেলে পালিয়ে গিয়েছিলেন, যেভাবে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনাও দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন।

শারমিন আহমদ বলেন, শেখ মুজিব গ্রেফতার হওয়ার আগে তাজউদ্দিন আহমদকে কোনো নির্দেশনাই দিয়ে যাননি। তিনি নেতাকর্মীদের ছেড়ে নিজের পরিবারকে নিরাপদ স্থানে রেখে পালিয়ে গিয়েছিলেন। এমনকি তিনি স্বাধীনতার ঘোষণাও দেননি এবং কোনো চেইন অব কমান্ডও নির্ধারণ করেননি।

তিনি আরও বলেন, শেখ মুজিব জানতেন যে ক্র্যাকডাউন হতে যাচ্ছে। এরপরও তিনি নেতাকর্মীদের কোনো নির্দেশনা না দিয়ে বলেন, ‘তোমরা যা করার করবে।’ সেই রাতে তাজউদ্দিন আহমদ শেখ মুজিবকে প্রশ্ন করেছিলেন, ‘পৃথিবীর ইতিহাসে কোথাও নাই যে, যুদ্ধের মুখে জাতিকে ফেলে দিয়ে নেতা ধরা দিয়েছেন।’ কিন্তু শেখ মুজিব তখনও নির্দিষ্ট কোনো পরিকল্পনা দেননি।

শারমিন আহমদ আরও উল্লেখ করেন, মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস এতদিন চাপা দিয়ে রাখা হয়েছে এবং অনেক সত্য এখনো বের হয়ে আসেনি। তিনি দাবি করেন, এই ইতিহাস বাদ দিয়ে সরকার শুধু ৭ মার্চ ও ২৬ মার্চের দিকেই নজর দিয়েছে এবং ১৯৭২ সালের দিকে চলে গেছে।

উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর জাতীয় চার নেতার পরিবারের সঙ্গে শেখ পরিবারের বিরোধ সামনে আসে। তাজউদ্দিন আহমদের ছেলে তানজীম আহমেদ সোহেল তাজ একাধিকবার অভিযোগ করেছেন যে, তাদের পরিবারকে নিজেদের প্রয়োজনে ব্যবহার করেছেন শেখ হাসিনা।

Header Ad
Header Ad

২৫ মার্চ সারাদেশে এক মিনিটের প্রতীকী ‘ব্ল্যাক আউট’ পালন

ছবি: সংগৃহীত

গণহত্যা দিবস উপলক্ষে আগামী ২৫ মার্চ রাত ১০টা ৩০ মিনিট থেকে ১০টা ৩১ মিনিট পর্যন্ত সারাদেশে এক মিনিটের জন্য প্রতীকী ‘ব্ল্যাক আউট’ পালন করা হবে। তবে কেপিআই (Key Point Installation) এবং জরুরি স্থাপনাগুলো এই কর্মসূচির আওতামুক্ত থাকবে। আজ রবিবার (২৩ মার্চ) মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গণহত্যা দিবস উপলক্ষে মহামান্য রাষ্ট্রপতি এবং প্রধান উপদেষ্টা বিশেষ বাণী প্রদান করবেন। একইসঙ্গে দেশের সকল স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সমন্বয়ে আলোচনা সভা ও স্মৃতিচারণের আয়োজন করা হবে।

২৫ মার্চের দিন সকালে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে গণহত্যা ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া ঢাকাসহ দেশের সকল সিটি করপোরেশনে গণহত্যার ওপর দুর্লভ আলোকচিত্র ও প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী আয়োজন করা হবে। এই কর্মসূচিগুলো বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারে প্রচার করা হবে।

গণহত্যা দিবস উপলক্ষে বাদ জোহর বা সুবিধাজনক সময়ে সব মসজিদে বিশেষ মোনাজাত এবং অন্যান্য উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হবে।

এছাড়া সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত এবং বেসরকারি ভবনগুলোতে ২৫ মার্চ রাতে কোনো অবস্থাতেই আলোকসজ্জা করা যাবে না।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

জিএম কাদের ও স্ত্রীর ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ
হাসিনার মতোই একাত্তরে নেতাকর্মীদের ছেড়ে পালিয়েছিলেন শেখ মুজিব : তাজউদ্দিনকন্যা শারমিন
২৫ মার্চ সারাদেশে এক মিনিটের প্রতীকী ‘ব্ল্যাক আউট’ পালন
১০ শতাংশ দাম কমছে ইন্টারনেটের
দীর্ঘ ৮ দিনের ছুটির কবলে বেনাপোল স্থলবন্দর
প্রধান উপদেষ্টার চীন সফর হবে মাইলফলক : চীনা রাষ্ট্রদূত
পাওনা আদায়ে এস আলম গ্রুপের সম্পত্তি নিলামে তুলছে ইসলামী ব্যাংক
সাগরে নিখোঁজের ৩০ ঘণ্টা পর বিজিবি সদস্যের মরদেহ উদ্ধার
সেনাপ্রধানের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে হাসনাতের সঙ্গে সারজিসের দ্বিমত
টয়লেটে বেশিক্ষণ থাকায় যাত্রীকে মারলেন পাইলট
পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর ২০ শতাংশ শুল্ক তুলে নিলো ভারত
গাজীপুরে স্ত্রী-সন্তানকে হত্যার পর স্বামীর আত্মহত্যা
হাসিনাবিরোধী আন্দোলনের বিষয়ে ভারত অবগত ছিল: জয়শঙ্কর
নামাজরত বাবাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করল ছেলে
নিয়ন্ত্রণে সুন্দরবনের আগুন, তদন্ত কমিটি    
গাজার পর লেবাননেও ইসরায়েলী হামলা  
দুপুরের মধ্যে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের আভাস  
টঙ্গীতে মহাসড়ক অবরোধ করে শ্রমিকদের বিক্ষোভ, দুর্ভোগে যাত্রীরা  
রাজধানীর সড়কে বসছে ‘রিকশা ট্র্যাপার’    
ঐকমত্য কমিশনের কাছে প্রস্তাব, দুপুরে যাচ্ছে বিএনপি-এনসিপি