মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | ১৭ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

সাতক্ষীরা উপকূলে সুপেয় পানির জন্য হাহাকার

সাতক্ষীরার উপকূলীয় উপজেলাগুলোতে গ্রীষ্মের শুরুতে পানির জন্য রীতিমতো হাহাকার চলছে। উপকূলজুড়ে পানি থৈ থৈ করলেও সুপেয় পানি কোথায় নেই, সবটাই লবণাক্ত। চৈত্রের খরায় প্রাকৃতিক উৎসগুলো শুকিয়ে যাওয়া, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব, লবণাক্ততা বেড়ে সুপেয় পানির আধার নষ্ট হওয়াসহ বিভিন্ন কারণে মিলছে না সুপেয় পানি। গ্রীষ্মের সময় থেকে বিগত ১২ বছর যাবৎ চলতে থাকা এ সমস্যার কারণে উপকূলের জনপদে মারাত্বক প্রভাব ফেলেছে।

বর্তমানে এক কলস সুপেয় পানি সংগ্রহ করতে কয়েক কিলোমিটার পথ পাড়ি দেন উপকূল অঞ্চলের নারী-পুরুষসহ শিশুরা। ঘণ্টার পর ঘণ্টা দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে খাবার পানি সংগ্রহ করার দৃশ্য উপকূলবাসীর নিত্যদিনের কাজ। অপরদিকে নিত্যদিনের কাজে উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষরা লবণাক্ত পানি ব্যবহারের কারণে ছড়িয়ে পড়ছে বিভিন্ন রোগব্যাধি। অতিমাত্রায় লবণাক্ততা এখন উপকূলবাসীর জন্য প্রধান দুর্যোগ, যা মোকাবেলায় দিশেহারা হয়ে পড়েছে প্রান্তিক মানুষরা। বর্তমানে বিশুদ্ধ পানির সংকটে টাইফয়েড, ডায়রিয়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন উপকূলীয় এলাকার মানুষরা।

সরকারি হিসাব অনুযায়ী সাতক্ষীরার ১৩ শতাংশ মানুষ খাবার পানির সংকটে রয়েছে বলে জানানো হলেও বাস্তবে এই চিত্র আরও ভয়াবহ। পানি সংকট নিরসনে সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে উপকূলজুড়ে খাবার পানির জন্য পুকুর খনন, টিউবওয়েল স্থাপন, পন্ডস এন্ড ফিল্টার (পিএসএফ) স্থাপন এবং বৃষ্টির পানি ধরে রাখার ব্যবস্থা করলেও সুপেয় পানির সংকট দূর হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা লির্ডাস, ব্রেড ফর দ্যা ওয়ার্ল্ডসহ জলবায়ু অধিপরামর্শ ফোরামের তথ্যমতে, 'সাতক্ষীরা জেলার ২৩ লাখ ৪৬ হাজার ৬৮১ জন মানুষের ভিতরে উপকূলের ৫ লক্ষাধিক মানুষ সুপেয় পানির সংকটে রয়েছে।' এ কারণে উপকূলীয় অঞ্চলে সুপেয় পানির সরবরাহ নিশ্চিত করতে সরকারকে টেকসই, জনবান্ধব ও পরিবেশবান্ধব উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন করার কথা জানান সংশ্লিষ্টরা।

সূত্রে জানা যায়, ‘২০০৯ সালে আইলা তাণ্ডবের পর সাতক্ষীরার উপকূলীয় উপজেলা আশাশুনি, শ্যামনগর ও কালিগঞ্জসহ গোটা উপকূলীয় এলাকাজুড়ে সুপেয় পানির তীব্র সংকট হয়। ওই বছর জলোচ্ছ্বাসের কারণে নষ্ট হয়ে যায় সুপেয় পানির উৎস। এদিকে বিকল্প হিসেবে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ ও পুকুরের পানি ফিল্টারিংয়ের জন্য ৬৫০টি মেশিন বসানো হলেও বেশিরভাগ হয়ে পড়েছে অকেজো।’

এ বিষয়ে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর বলছে, 'প্রতি লিটার পানিতে ০ থেকে ১ হাজার মিলিগ্রাম লবণ থাকলে সেই পানি পানযোগ্য। কিন্তু উপকূলে প্রতি লিটার পানিতে ১ হাজার থেকে ১০ হাজার মিলিগ্রাম লবণ রয়েছে। এ কারণে সুপেয় পানির সংকট দূর করতে জেলার ১৩২টি পুকুরের মধ্যে ৭৩টি পুনঃখনন হয়েছে। বাকিগুলোও প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’

এ প্রসঙ্গে শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ গ্রামের পিন্টু জানান, ঘূর্ণিঝড় আইলার আগে আমাদের এলাকায় পানির সংকট খুব একটা ছিল না। ২০০৯ সালের পর থেকে এলাকায় লবণাক্ততা বেশি দেখা দিয়েছে। সুপেয় পানির সংকটও তীব্র হয়েছে।

দাতিনাখালী এলাকার শেফালী বেগম বলেন, আমাদের এলাকায় খাওয়ার পানির খুবই সমস্যা। দুই-তিন কিলোমিটার দূরে কলসি নিয়ে পানি আনতে যেতে হয়। সেখানে যেয়ে আবার লাইনে দাঁড়াতে হয়। খাবার পানি সংগ্রহ করতে দিনের তিন-চার ঘণ্টা চলে যায়। খরা মৌসুমে আমাদের এলাকায় পানির জন্য হাহাকার পড়ে যায়। পানির জন্য এই কষ্ট যে কবে দূর হবে তা জানি না। একই এলাকার রজিনা বেগম বলেন, ‘চারদিকে পানি থই থই করছে। কিন্তু, কোথাও খাওয়ার পানি নেই। বাবা আমরা এখন আর কিছু চাই না, শুধু পানি দিয়ে আমাদের বাঁচিয়ে রাখেন।’

এ ব্যাপারে শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আক্তারুজ্জামান বলেন, ‘আইলার পর থেকে সাতক্ষীরা উপকূলীয় এলাকায় সুপেয় পানির সংকট রয়েছে। সুপেয় পানির সংকট নিরসনে সরকারি-বেসরকারি সংস্থাগুলো কাজ করে যাচ্ছে। সুপেয় পানির জন্য গভীর নলকূপ ও পানির বড় ট্যাংকের ব্যবস্থা আছে। বৃষ্টির পানি ধরে রাখতে সরকারি এবং বেসরকারি পানির ট্যাংকি প্রদান করা হয়েছে। যেসব এলাকার গভীর নলকূপ থেকে লোনা পানি উঠে সেসব এলাকায় পুকুর কেটে সুপেয় পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে।’

সাতক্ষীরা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সাতক্ষীরা উপকূলে প্রতি বছর ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের ফলে লোকালয়ে লবণ পানি প্রবেশ করছে এবং খাবার পানির আঁধারগুলো নষ্ট হচ্ছে। এ ছাড়া সাতক্ষীরা উপকূলের সব স্থানে গভীর নলকূপ সাকসেস হয় না। যেসব এলাকায় গভীর নলকূপ স্থাপন করা দরকার সেখানে নলকূপ স্থাপন করা হচ্ছে। আর এলাকার যেসব গভীর নলকূপ থেকে লোনা পানি উঠে সেসব এলাকায় পুকুর কেটে সুপেয় পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে। যেসব এলাকায় লবণাক্ততা বেশি সেই এলাকায় আরও প্ল্যান্টের মাধ্যমে পানি সরবরাহ করা হয়ে থাকে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সম্প্রতি গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ডের মাধ্যমে রেইন ওয়াটার হারবেস্টিং ওয়াটারের কার্যক্রম চলমান আছে সাতক্ষীরা আশাশুনি ও শ্যামনগর উপকূলে। এটিএম থেকে দশ পয়সা দিয়ে প্রতি লিটার পানি নিতে পারবে ২৫ থেকে ৫০টি পরিবার। আশা করছি খুব দ্রুত এই অঞ্চলের পানি সমস্যার সমাধান হবে।’

এসআইএইচ

 

Header Ad

মঙ্গলবার আরও বাড়বে তাপমাত্রা, গরম অনুভূত হবে অনেক বেশি

প্রতীকী ছবি। ফাইল ছবি

দেশের অধিকাংশ জেলার ওপর দিয়ে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। চলমান তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ জনজীবন। অসহনীয় গরমে ঘরের বাইরে টেকা দায়। সূর্যের প্রখরতায় প্রাণ যায় যায় অবস্থা। এমন পরিস্থিতিতে আবারও দুঃসংবাদই দিলো আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আগামীকাল মঙ্গলবার দিনের তাপমাত্রা আরও বাড়বে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। সেই সঙ্গে বাতাসে জলীয় বাষ্পের আধিক্য থাকবে, ফলে আরও অসহনীয় গরম অনুভূত হতে পারে। সোমবার (২৯ এপ্রিল) বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. তরিফুল নেওয়াজ কবিরের দেওয়া পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আবহাওয়া অফিস জানায়, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, পাবনা ও রাজশাহী জেলার উপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ এবং খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের অবশিষ্টাংশ এবং ঢাকা বিভাগের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ময়মনসিংহ জেলাসহ বরিশাল, রংপুর ও চট্টগ্রাম বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। আগামীকাল সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিভাব বিরাজমান থাকতে পারে।

এছাড়া, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া, দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

৩০ এপ্রিল যেমন থাকবে আবহাওয়া:

আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। বিরাজমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিভাব বিরাজমান থাকতে পারে।

সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে এবং কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া, দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।

নওগাঁয় ইটভাটায় অভিযানে ৯ লাখ টাকা জরিমানা

নওগাঁয় ইটভাটায় অভিযান। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

নওগাঁয় ৬টি ইটভাটায় অভিযান চালিয়ে ৯ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এসময় ইটভাটাগুলোর কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়। রবি ও সোমবার পত্নীতলা ও বদলগাছী উপজেলায় ইটভাটায় অভিযান চালিয়ে ৬টি ভাটার স্বত্বাধিকারীর কাছ থেকে জরিমানা অর্থ আদায় করা হয়।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিকেলে এ তথ্য নিশ্চিত করেন নওগাঁ পরিবেশ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক মলিন মিয়া।

তিনি বলেন, ৬টি ইটভাটার জরিমানা আদায় করা হয়েছে এবং ৭ টি ইটভাটা ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই সাথে তাদের সকল কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

এদিকে গত মার্চ মাসে সদর ও মান্দা উপজেলায় অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ৬টি ইটভাটায় ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া আত্রাই ও মহাদেবপুর উপজেলার দুটি ইটভাটার এক লাখ ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।

নওগাঁয় ইটভাটায় অভিযান। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

পরিবেশ অধিদফতরের মনিটরিং এন্ড এনফোর্সমেন্ট উইং-এর এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সুলতানা সালেহা সুমী এ অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে মোবাইল কোর্টে প্রসিকিউটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন নওগাঁ জেলা পরিবেশ অধিদফতরর কার্যালয়ের পরিদর্শক উত্তম কুমার। এ সময় পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা মোবাইল কোর্ট পরিচালনায় সহযোগিতা করেন।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে- পত্নীতলা ও বদলগাছী উপজেলা বেশ কিছু ইটভাটা গড়ে তোলে অবৈধভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল। বিষয়টি পরিবেশ অধিদফতরের নজরে আসে। সেই সূত্র ধরে অভিযানে নামে পরিবেশ অধিদপ্তরের সদস্যরা। অভিযানে পরিবেশ অধিদপ্তরের কোনো ছাড়পত্র না থাকা, খড়ি পোড়ানো ও সঠিক পদ্ধতিতে ভাটার কার্যক্রম পরিচালনা না করায় পত্নীতলা উপজেলার ছালিগ্রাম এলাকার মেসার্স এমএবি ব্রিকস এরে ৫০ হাজার টাকা, কাশিপুর এলাকার বিএসপি ব্রিকস এর ৫০ হাজার, বালুঘা এলাকার এসবিবি এফ ব্রিকস এর ১ লাখ ও চকদুর্গারায়াম এলাকার ফাতেমা ব্রিকস এর ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয় এবং বদলগাছী উপজেলার বুড়িগঞ্জ বাজার এলাকার আদিল ব্রিকস এর ৩ লাখ টাকা এবং এমবিএফ ব্রিকস এর ৩ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়াও আরও বেশ কয়েকটি ইটভাটা ভেঙ্গে দিয়ে কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়।

অভিযান পরিচালনা শেষে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সুলতানা সালেহা সুমী বলেন, অবৈধ যে-সকল ইটভাটা রয়েছে সেগুলো পরিবেশ সুরক্ষায় বিরূপ প্রভাব ফেলছে। আমাদের মন্ত্রণালয়ের নতুন মন্ত্রী দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই দেশে যে-সকল অবৈধ ইটভাটা আছে সেগুলো বন্ধ করে দেয়ার বিষয়ে জিরো টলারেন্স পদক্ষেপ নিয়েছে। এজন্য অবৈধ ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধ করতে সারাদেশে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। সেই কার্যক্রমের অংশ হিসেবে গত দুইদিন থেকে নওগাঁর পত্নীতলা ও বদলগাছি উপজেলার বিভিন্ন ইটভাটায় অভিযান পরিচালনা করে ৬টি ইটভাটাকে ৯ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। পরিবেশ সুরক্ষায় এমন অভিযান চলমান থাকবে বলেও জানান তিনি।

কক্সবাজারে বাস-মাইক্রোবাসের সংঘর্ষ, নিহত ৫

কক্সবাজারে বাস-মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত

কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলায় বাস-মাইক্রোবাসের সংঘর্ষ ৫ জন নিহত হয়েছেন। তাদের মাঝে ঘটনাস্থলে দুইজন আর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন আরো তিনজন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ১৩ জন। এরমধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৪ জন।

সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ঈদগাঁও উপজেলার খোদাইবাড়ি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- চট্টগ্রামের বাঁশখালীর বাহারছড়া ইউনিয়নের ইলশা এলাকার মৃত মফিজুর রহমান ছেলে আবু আহমেদ, একই এলাকার মৃত মাহবুবুল আলমের স্ত্রী মাহমুদা বেগম, আব্দুল কুদ্দুসের স্ত্রী সায়রা খাতুন, গোলাম সোবহানের ছেলে দুলা মিয়া, এবং একজনের পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি।

জানা গেছে, কক্সবাজার বায়তুশ শরফ চক্ষু হাসপাতাল থেকে বাঁশখালী উপজেলার ২৬ জন রোগী চোখের চিকিৎসা শেষে সোমবার দুপুরে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন। তারা দুটি মাইক্রোবাস নিয়ে কক্সবাজার থেকে বাঁশখালীর উদ্দেশ্যে ছেড়ে যান। পথিমধ্যে ঈদগাঁও এলাকায় একটি গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। এতে মারা যান ৫ জন এবং বেশ কয়েকজনকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেয়া হয়।

চকরিয়া মালুমঘাট হাইওয়ে পুলিশের দায়িত্বরত ইনচার্জ এসআই মো. মোজাম্মেল হক জানান, সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ঈদগাঁওর খোদাইবাড়ি এলাকায় যাত্রীবাহী বাস ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুইজন মারা যান। খবর পেয়ে হাইওয়ে পুলিশের একটি টিম দ্রুত ঘটনাস্থলে যায়। তারা মরদেহ উদ্ধার ও দুর্ঘটনাকবলিত গাড়িগুলো জব্দ করে মালুমঘাট হাইওয়ে থানায় নিয়ে আসে।

কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আশিকুর রহমান বলেন, ঈদগাঁওতে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত কয়েকজন নারী-পুরুষকে দুপুর ১টার পর হতে পৃথক সময়ে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে আনা হয়। তাদের মাঝে এক নারী ও এক পুরুষ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। হাসপাতালে আনার আগে মারা যান আরো একজন৷

বিষয়টি নিশ্চিত করে ঈদগাঁও থানার ওসি শুভ রঞ্জন চাকমা বলেন, দুর্ঘটনার পর মহাসড়কের দুই পাশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। হাইওয়ে পুলিশের পাশাপাশি থানা পুলিশও ঘটনাস্থলে গিয়ে যান চলাচল নির্বিঘ্ন করতে কাজ করে। ঘটনাস্থলে দুইজন মারা যান। আরো কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জেনেছি। তাদের বিভিন্ন হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।

সর্বশেষ সংবাদ

মঙ্গলবার আরও বাড়বে তাপমাত্রা, গরম অনুভূত হবে অনেক বেশি
নওগাঁয় ইটভাটায় অভিযানে ৯ লাখ টাকা জরিমানা
কক্সবাজারে বাস-মাইক্রোবাসের সংঘর্ষ, নিহত ৫
বিএনপি দিন দিন সাংগঠনিকভাবে আরও দুর্বল হচ্ছে: ওবায়দুল কাদের
পাক অভিনেত্রীর কাছে ক্ষমা চাইলেন অরিজিৎ সিং
টাঙ্গাইলে গরমে স্কুলছাত্রীর হিটস্ট্রোক, হাসপাতালে ভর্তি
বিশ্বের সবচেয়ে বড় সাপের খোঁজ মিলল ভারতে!
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধে হাইকোর্টের নির্দেশনায় ক্ষুব্ধ শিক্ষামন্ত্রী, যাবেন আপিলে
যুবদল সভাপতি টুকুকে কারাগারে প্রেরণের প্রতিবাদে নয়াপল্টনে বিক্ষোভ মিছিল
নওগাঁয় তাপমাত্রার পারদ ছাড়ালো ৪০.২ ডিগ্রি
জীবন নিয়ে শঙ্কার কথা জানালেন বুয়েটের ছাত্ররাজনীতি প্রত্যাশী ১৫ শিক্ষার্থী
স্কুল-কলেজ-মাদরাসা বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্ধ রাখতে হাইকোর্টের নির্দেশ
করোনা টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথা স্বীকার করল অ্যাস্ট্রাজেনেকা
ধর্ষণ মামলায় আইডিয়ালের মুশতাক-ফাওজিয়ার স্থায়ী জামিন
ঢেঁড়শে পোকার আক্রমণ, খরচ তোলা নিয়ে সংশয়ে কৃষকরা
নারী আম্পায়ার নিয়ে বিতর্ক, যা বললেন মুশফিক-মাহমুদউল্লাহ
চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ ৪৩ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড
যুদ্ধ করতে চায় না ইসরায়েলি সেনারা, বিপাকে নেতানিয়াহু
এবার ঝিনাইদহ উপ-নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন হিরো আলম
থাইল্যান্ড সফর শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী