সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | ১৬ বৈশাখ ১৪৩১
Dhaka Prokash

টাঙ্গাইলে ব্যাটারিচালিত মেট্রোরিকশা পাচ্ছে বৈধতা

ব্যাটারিচালিত রিকশা-ভ্যান বন্ধে উচ্চ আদালতের নির্দেশনাসহ যখন সবাই সোচ্চার তখন এই ধরনের অবৈধ যানকে লাইসেন্স দিচ্ছে টাঙ্গাইল পৌরসভা। এতে শহরে যেমন বেড়েছে যানজট তেমনি দেখা দিয়েছে বিদ্যুৎ সমস্যা। এতে অসহনীয় হয়ে উঠেছে শহরবাসীর জীবন। ইতিমধ্যে টাঙ্গাইল পৌরসভার লাইসেন্স নিয়ে চলছে কয়েক সহস্রাধিক ব্যাটারিচালিত মেট্রোরিকশা (ইজিবাইক)।

টাঙ্গাইল পৌরসভার লাইসেন্স বিভাগ জানায়, পৌরসভার লাইসেন্সপ্রাপ্ত অটোরিকশার সংখ্যা ৪ হাজার ৫০০। আর রিকশা রয়েছে ৫ হাজার। অটোরিকশা লাইসেন্স ফি ১০ হাজার ৫০০ আর প্যাডেলচালিত রিকশার লাইসেন্স ফি ১ হাজার টাকা।

সরেজমিন দেখা গেছে, ব্যাটারিচালিত মেট্রোরিকশার পেছনে বা চালকের বসার সিটের নিচে সাঁটানো হয়েছে টাঙ্গাইল পৌরসভার লাইসেন্স। টাঙ্গাইল পৌরসভার বর্তমান মেয়র এস এম সিরাজুল হক আলমগীর স্বাক্ষরিত এক বছর মেয়াদী ওই লাইসেন্স ২০২১ সালে প্রথম দফায় অনুমোদিত হয়। ফলে কিছু রিকশার লাইসেন্সের মেয়াদ দেখা গেছে, ২০২১ থেকে ৩০ জুন ২০২২ সাল পর্যন্ত। অর্থাৎ লাইসেন্সের মেয়াদ এরইমধ্যে শেষ হয়ে গেছে।

দ্বিতীয় দফায় স্বাক্ষরিত রিকশার লাইসেন্সের মেয়াদ ২০২২ সাল থেকে ৩০ জুন ২০২৩ সাল পর্যন্ত। এ ছাড়া নিয়ম বহির্ভূতভাবে এর আগেও তৎকালীন টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র ৪ হাজার ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার লাইসেন্স দেন। শহরজুড়ে এ সময় লাগামহীন যানজট লেগে থাকায় ওই ৪ হাজার অটোরিকশা চলাচলে দুই শিফট চালু করা হয়। এরপর থেকে প্রতি শিফটে ২ হাজার করে অটোরিকশা চলাচল শুরু করে।

এদিকে এর ফাঁকে সড়কে নামতে শুরু করে ব্যাটারিচালিত মেট্রোরিকশা। বর্তমানে শহরজুড়ে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার পাশাপাশি চলাচল করছে প্রায় ৭ হাজার মেট্রোরিকশা। আর লাইসেন্সপ্রাপ্ত প্যাডেলচালিত রিকশা রয়েছে ৫ হাজার। বর্তমানে অটোরিকশা দুই শিফটে চলাচল করলেও মেট্রোরিকশা চলছে দিনব্যাপী।

এ ছাড়াও মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছোট-বড় ১২৮টি পরিবহনসহ সরকারি-বেসরকারি অফিস, ব্যাংক, বিমা, আদালতের যানবাহন ও ব্যক্তি মালিকাধীন গাড়িসহ গড়ে প্রতিদিন তিন সহস্রাধিক মোটরসাইকেল চলাচল করছে এই শহরে। এর ফলে শহরের প্রধান সড়কের বেবিস্ট্যান্ড, শান্তিমুঞ্জ মোড়, মেইন রোড, নিরালা মোড়, পার্কবাজার মোড়, ক্যাপসুল মার্কেট, পুরোনো বাসস্ট্যান্ড, সুপারী বাগান মোড়, কলেজ গেট আর নতুন বাস টার্মিনাল এলাকায় রীতিমতো যানজট থাকে। যানজট নিরসনে মোড়ে মোড়ে ট্রাফিক পুলিশ দায়িত্ব পালন করলেও হিমশিম খাচ্ছেন তারা।

চালক ও যাত্রীদের অভিযোগ, এর আগে পৌরসভা নির্ধারিত ১৫০০ টাকা ফি’র ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার লাইসেন্স ১ থেকে দেড় লাখ টাকায় বিক্রি হয়েছে। বর্তমান পৌর প্রশাসন দায়িত্ব নেওয়ার পর এক বছর মেয়াদী প্যাডেলচালিত রিকশার ১ হাজার টাকার লাইসেন্স বিক্রি হয়েছে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকায়। মেট্রোরিকশার লাইসেন্সের কথা বলেও অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হয়েছে। প্রতারণার মাধ্যমে পৌর প্রশাসনের কর্মকর্তারা বিপুল পরিমাণ অর্থ উপার্জন করেছেন বলে দাবি করেন তারা।

মেট্রোরিকশাচালক মো. পলাশ জানান, তিন বছর ধরে রিকশা চালাচ্ছি। রিকশা ও গদি আটকে রেখে লাইসেন্স নিতে বাধ্য করা হয়েছে। লাইসেন্স ছাড়া চালানো যাচ্ছিল না বলেই লাইসেন্সটি নিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, ২০-২৫ হাজার টাকায় পৌরসভা থেকে লাইসেন্স বিক্রি হলেও দেড় মাস আগে মুসলিমপাড়ার একজন গ্যারেজ মিস্ত্রির মাধ্যমে ১২ হাজার টাকায় লাইসেন্স নিয়েছি। সুদের টাকায় রিকশা আর লাইসেন্সটি কিনেছি বলেও জানান তিনি।

মেট্রোরিকশাচালক মো. হযরত বলেন, ২০ হাজার টাকায় লাইসেন্সটি পেয়েছি। তার লাইসেন্স নম্বর ৮২৫। টাকা নিয়েছেন পৌরসভার লোকজন।

৪৯৯৫ নম্বর লাইসেন্সপ্রাপ্ত মেট্রোরিকশাচালক রফিক বলেন, ৪৩ হাজার টাকায় পুরোনো এই রিকশাটি কিনেছি। মাসে ১ হাজার ২০০ টাকা ভাড়ায় লাইসেন্সটি নিয়েছি। লাইসেন্সটি পৌরসভা থেকে কিনেছেন টাঙ্গাইল এলাকার রিকশার গ্যারেজ ব্যবসায়ী আকবর।

এ বিষয়ে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন শিশুদের জন্য ফাউন্ডেশন ও যুবদের জন্য ফাউন্ডেশন এর সভাপতি মুঈদ হাসান তড়িৎ বলেন, উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও অবৈধ মেট্রোরিকশার বৈধতা দেওয়ার ষড়যন্ত্র চালানো হচ্ছে। দ্রুত অবৈধ ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধে জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

এ প্রসঙ্গে রিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুস সবুর বলেন, টাঙ্গাইল পৌরসভা থেকে চলাচলের জন্য ব্যাটারিচালিত মেট্রোরিকশাগুলোর লাইসেন্স দিয়েছে। লাইসেন্স দেওয়ার দায়িত্ব তাদের নয়। পৌরসভার মেয়র এটা করেছেন। ব্যাটারিচালিত মেট্রোরিকশা আমাদের সংগঠনের অন্তর্ভুক্ত নয়। এ লাইসেন্স দেওয়া নিয়েও আমাদের সঙ্গে কোনো মিটিং করেনি পৌর কর্তৃপক্ষ। ইজিবাইক বন্ধে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অমান্যের বিষয়টি মেয়রের বলেও জানান তিনি।

এ ব্যাপারে জানতে টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র এস এম সিরাজুল হক আলমগীরের মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তার পিএস সাজ্জাদ বলেন, এ ব্যাপারে সাক্ষাতে কথা বলা হবে।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালে সড়ক পরিবহন বিষয়ক জাতীয় টাস্কফোর্সের সভায় সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সারাদেশে ব্যাটারিচালিত রিকশা-ভ্যান বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে একই বছরের ১৫ ডিসেম্বর সারাদেশে চলা অবৈধ ব্যাটারিচালিত ৪০ লাখ ইজিবাইক বন্ধের নির্দেশসহ আমদানি ও ক্রয়-বিক্রয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। সেইসঙ্গে অবৈধ ইজিবাইক আমদানি থেকে বিরত থাকতে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এই মর্মে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।

এসআইএইচ

 

Header Ad

কক্সবাজারে বাস-মাইক্রোবাসের সংঘর্ষ, নিহত ৫

কক্সবাজারে বাস-মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত

কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলায় বাস-মাইক্রোবাসের সংঘর্ষ ৫ জন নিহত হয়েছেন। তাদের মাঝে ঘটনাস্থলে দুইজন আর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন আরো তিনজন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ১৩ জন। এরমধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৪ জন।

সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ঈদগাঁও উপজেলার খোদাইবাড়ি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- চট্টগ্রামের বাঁশখালীর বাহারছড়া ইউনিয়নের ইলশা এলাকার মৃত মফিজুর রহমান ছেলে আবু আহমেদ, একই এলাকার মৃত মাহবুবুল আলমের স্ত্রী মাহমুদা বেগম, আব্দুল কুদ্দুসের স্ত্রী সায়রা খাতুন, গোলাম সোবহানের ছেলে দুলা মিয়া, এবং একজনের পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি।

জানা গেছে, কক্সবাজার বায়তুশ শরফ চক্ষু হাসপাতাল থেকে বাঁশখালী উপজেলার ২৬ জন রোগী চোখের চিকিৎসা শেষে সোমবার দুপুরে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন। তারা দুটি মাইক্রোবাস নিয়ে কক্সবাজার থেকে বাঁশখালীর উদ্দেশ্যে ছেড়ে যান। পথিমধ্যে ঈদগাঁও এলাকায় একটি গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। এতে মারা যান ৫ জন এবং বেশ কয়েকজনকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেয়া হয়।

চকরিয়া মালুমঘাট হাইওয়ে পুলিশের দায়িত্বরত ইনচার্জ এসআই মো. মোজাম্মেল হক জানান, সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ঈদগাঁওর খোদাইবাড়ি এলাকায় যাত্রীবাহী বাস ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুইজন মারা যান। খবর পেয়ে হাইওয়ে পুলিশের একটি টিম দ্রুত ঘটনাস্থলে যায়। তারা মরদেহ উদ্ধার ও দুর্ঘটনাকবলিত গাড়িগুলো জব্দ করে মালুমঘাট হাইওয়ে থানায় নিয়ে আসে।

কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আশিকুর রহমান বলেন, ঈদগাঁওতে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত কয়েকজন নারী-পুরুষকে দুপুর ১টার পর হতে পৃথক সময়ে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে আনা হয়। তাদের মাঝে এক নারী ও এক পুরুষ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। হাসপাতালে আনার আগে মারা যান আরো একজন৷

বিষয়টি নিশ্চিত করে ঈদগাঁও থানার ওসি শুভ রঞ্জন চাকমা বলেন, দুর্ঘটনার পর মহাসড়কের দুই পাশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। হাইওয়ে পুলিশের পাশাপাশি থানা পুলিশও ঘটনাস্থলে গিয়ে যান চলাচল নির্বিঘ্ন করতে কাজ করে। ঘটনাস্থলে দুইজন মারা যান। আরো কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জেনেছি। তাদের বিভিন্ন হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।

বিএনপি দিন দিন সাংগঠনিকভাবে আরও দুর্বল হচ্ছে: ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ছবি: সংগৃহীত

জনকল্যাণের রাজনীতি বাদ দিয়ে অপকৌশল গ্রহণ করায় বিএনপি দিন দিন সাংগঠনিকভাবে আরো দুর্বল হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা জানান। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিবৃতির নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাতেই এই বিবৃতি প্রদান করা হয়।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।

বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, সন্ত্রাসী দল বিএনপি নেতারা নিজেদের অত্যাচারিত-নির্যাতিত দেখিয়ে ‘সিম্প্যাথি কার্ড’ খেলার অপচেষ্টা করছে। জনকল্যাণের রাজনীতি বাদ দিয়ে এ ধরনের অপকৌশল গ্রহণ করায় বিএনপি দিনে দিনে সাংগঠনিকভাবে আরও দুর্বল হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, বিএনপি কৃত্রিমভাবে সৃষ্ট একটি রাজনৈতিক দল। অস্তিত্ব সংকটে থাকা রাজনৈতিক দেউলিয়াত্বের কাছাকাছি পৌঁছে যাওয়ায় দলটি সরকারের অস্তিত্ব নিয়ে কথা বলছে! দলের নেতৃবৃন্দ টিকে থাকার জন্য সর্বদা মিথ্যা, বানোয়াট ও রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বক্তব্য উপস্থাপনের মাধ্যমে রাজনীতিতে কৃত্রিম সংকট তৈরির অপচেষ্টা চালায়। বিএনপি নেতৃবৃন্দের বোঝা উচিত, বিরোধী দল নয় বরং রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে সরকারকে কাজ করতে হয়। সুতরাং নিজেদের নেতাকর্মীদের রাষ্ট্রবিরোধী ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড থেকে নিবৃত্ত রাখাটাই বিএনপির জন্য শ্রেয় হবে।

বিবৃতিতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে ক্ষমতায় আছে। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার সুদৃঢ় অবস্থানে রয়েছে। বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা এবং তাদের নেতৃবৃন্দ সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনাকে পঞ্চমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় উষ্ণ অভিনন্দন জানিয়েছে এবং তার সরকারকে স্বীকৃতি প্রদান করেছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার জনগণের ভাগ্যোন্নয়নে কাজ করছে। জনগণের সেবা করাই আওয়ামী লীগের রাজনীতির মূলনীতি। আওয়ামী লীগ সবসময় শাসন-শোষণ ও জুলুমের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে জনগণের অধিকার আদায়ের সংগ্রাম করেছে। আওয়ামী লীগের হাতেই দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার সুরক্ষিত।

সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি শাসনমালের দুর্নীতি-লুটপাট ও দুঃশাসনের কথা জনগণ ভুলে যায়নি। কীভাবে সন্ত্রাস ও উগ্র জঙ্গিবাদকে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে সারা দেশকে সন্ত্রাসের অভয়ারণ্যে পরিণত করা হয়েছিল! সে সব কাহিনি যারা প্রত্যক্ষ করেছে তারা স্মরণ করলে বা কেউ শুনলে এখনো শিউরে ওঠে। জনগণ সেই দুঃসহ সময়ের দিনগুলোতে ফিরে যেতে চায় না। আমরা জনগণের জন্য শান্তিপূর্ণ, নিরাপদ ও কল্যাণকর রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় অঙ্গীকারবদ্ধ।

পাক অভিনেত্রীর কাছে ক্ষমা চাইলেন অরিজিৎ সিং

অরিজিৎ সিং এবং মাহিরা খান। ছবি: সংগৃহীত

ভারতের জনপ্রিয় গায়ক অরিজিৎ সিং আর পাকিস্তানের দর্শকপ্রিয় অভিনেত্রী মাহিরা খান। তিনি দুবাইয়ে হাজির হয়েছিলেন অরিজিতের কনসার্ট শুনতে। তবে অরিজিৎ মঞ্চ থেকে ভিড়ের মধ্যে মাহিরাকে ঠিক চিনতে পারেননি। এ জন্য ক্ষমা চেয়েছেন এই গায়ক।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে এমনই এক ভিডিও। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, দুবাইয়ে কনসার্টে গান গাইছিলেন অরিজিৎ। সেই গান শুনতে কনসার্টে হাজির ছিলেন পাকিস্তানি অভিনেত্রী মাহিরা খান।

মাহিরা খান অরিজিতের মঞ্চের পাশে ভিআইপি আসনে বসে ছিলেন। কিন্তু অরিজিত প্রথমে তাকে দেখে চিনতে পারেননি। পরে বুঝতে পেরে দর্শকের সঙ্গে মাহিরার পরিচয় করিয়ে দেন অরিজিৎই। পাশাপাশি প্রথম দেখায় চিনতে না পারার জন্য ক্ষমাও চেয়ে নেন।

গাইতে গাইতে হঠাৎ থেমে গিয়ে অরিজিৎ বলেন, আপনারা হয়তো শুনে চমকে যাবেন। আচ্ছা, আমি একটু অন্যভাবেই বিষয়টি উপস্থাপন করছি। ওখানে কি কোনো ক্যামেরা আছে? অনেকক্ষণ ধরে চেনার চেষ্টা করছিলাম। তারপর মনে পড়ল, আরে ওর জন্য তো আমি ‘জালিমা’ গানটা গেয়েছিলাম।

কালো পোশাকে বসে ছিলেন মাহিরা। গায়কের কথা শুনে হেসে ওঠেন তিনি। এসময় অরিজিৎ বলেন, আমার সামনে বসে রয়েছেন মাহিরা খান। জালিমা গানটা গাওয়ার সময় মাহিরা নিজেও গাইছিলেন এবং ওখানে দাঁড়িয়েছিলেন। কিন্তু, আমি চিনতে পারিনি। আমি অত্যন্ত দুঃখিত ম্যাম।

শাহরুখ খানের ‘রাইস’ সিনেমায় অভিনয় করেছিলেন মাহিরা খান। যেই সিনেমারই জনপ্রিয় একটি গান ‘জালিমা’। শাহরুখের গলায় এই গানটির কণ্ঠ দিয়েছিলেন অরিজিৎ।

সর্বশেষ সংবাদ

কক্সবাজারে বাস-মাইক্রোবাসের সংঘর্ষ, নিহত ৫
বিএনপি দিন দিন সাংগঠনিকভাবে আরও দুর্বল হচ্ছে: ওবায়দুল কাদের
পাক অভিনেত্রীর কাছে ক্ষমা চাইলেন অরিজিৎ সিং
টাঙ্গাইলে গরমে স্কুলছাত্রীর হিটস্ট্রোক, হাসপাতালে ভর্তি
বিশ্বের সবচেয়ে বড় সাপের খোঁজ মিলল ভারতে!
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধে হাইকোর্টের নির্দেশনায় ক্ষুব্ধ শিক্ষামন্ত্রী, যাবেন আপিলে
যুবদল সভাপতি টুকুকে কারাগারে প্রেরণের প্রতিবাদে নয়াপল্টনে বিক্ষোভ মিছিল
নওগাঁয় তাপমাত্রার পারদ ছাড়ালো ৪০.২ ডিগ্রি
জীবন নিয়ে শঙ্কার কথা জানালেন বুয়েটের ছাত্ররাজনীতি প্রত্যাশী ১৫ শিক্ষার্থী
স্কুল-কলেজ-মাদরাসা বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্ধ রাখতে হাইকোর্টের নির্দেশ
করোনা টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথা স্বীকার করল অ্যাস্ট্রাজেনেকা
ধর্ষণ মামলায় আইডিয়ালের মুশতাক-ফাওজিয়ার স্থায়ী জামিন
ঢেঁড়শে পোকার আক্রমণ, খরচ তোলা নিয়ে সংশয়ে কৃষকরা
নারী আম্পায়ার নিয়ে বিতর্ক, যা বললেন মুশফিক-মাহমুদউল্লাহ
চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ ৪৩ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড
যুদ্ধ করতে চায় না ইসরায়েলি সেনারা, বিপাকে নেতানিয়াহু
এবার ঝিনাইদহ উপ-নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন হিরো আলম
থাইল্যান্ড সফর শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী
কারা বিক্রি করছে ফুটপাত, তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট
এখনো উদ্ধার হয়নি লেকে ডুবে যাওয়া সেই শিশু