রবিবার, ১৯ মে ২০২৪ | ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
Dhaka Prokash

ঈদের বাজারেও ক্রেতা সংকটে ভুগছে টাঙ্গাইলের তাঁত শিল্প

প্রাচীনকাল থেকে নারীদের প্রথম পছন্দ তাঁতের শাড়ি। এই শাড়ির চাহিদা পূরণ করে আসছে টাঙ্গাইলের তাঁত পল্লী। জেলার বিভিন্ন এলাকায় তাঁতের শাড়ি তৈরি হলেও দেলদুয়ার উপজেলার চন্ডী-পাথরাইল ও পাশের এলাকা নিয়ে সেই তাঁত পল্লীটি। টাঙ্গাইল তাঁত শিল্প দেশের অন্যতম পুরানো কুটির শিল্প। এখানকার মানুষের রোজগারের প্রধান মাধ্যম হচ্ছে এই শিল্প। সুঁতা কাটা থেকে শাড়ি বানানো, শাড়ি বানানো থেকে শাড়ি বিক্রি পর্যন্ত সম্পৃক্ত তাঁত পল্লীর অধিকাংশ মানুষ। শাড়ির বাজারের সঙ্গে ঘুরে এখানকার সাধারণ মানুষের ভাগ্যের চাকা। অথচ ঈদের বাজারেও সংকটে টাঙ্গাইলের তাঁত শিল্প।

নব্বই দশকের হিসেব অনুযায়ী টাঙ্গাইলের কুটির শিল্পের তাঁতগুলো তাঁতীদের বাড়ির অভ্যন্তরে বসানো হয়। এর মধ্যে ৭২ শতাংশ ৫টি তাঁতের সমন্বয়ে গঠিত, ১১ শতাংশ তাঁত ৬ থেকে ১০টি তাঁতের সমন্বয়ে গঠিত এবং ৬ শতাংশ তাঁত ১১ থেকে ১২টি তাঁতের সমন্বয়ে গঠিত এবং অবশিষ্ট ১১ শতাংশ ১২টির অধিক তাঁতের সমন্বয়ে গঠিত। ১৯৯২ সালের হিসেব অনুযায়ী টাঙ্গাইল জেলায় ১ লাখের অধিক তাঁত শিল্প ছিল এবং তাঁতীর সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৫০ হাজার। ২০০৮ সালে এক লাখ ছোট-বড় কারখানায় ৩৭ হাজার ২২২টি তাঁত এবং ৭০ হাজার তাঁতী ছিল।

২০১৩ সালের শুমারিতে পাওয়া তথ্যানুযায়ী টাঙ্গাইল জেলায় ওই সময়ে ৬০ হাজার তাঁত ছিল। এর মধ্যে ৮ হাজার ৩০৫টি পিট তাঁত, ৫১ হাজার ১৪১টি চিত্তরঞ্জন তাঁত এবং ৮৯২টি পাওয়ার লোম তাঁত। সেই ঐতিহ্যবাহী তাঁত শিল্পের তাঁতের সংখ্যা কমে বর্তমানে দাঁড়িয়েছে ৩৪ হাজার ৪০২টি। বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে শিল্পটি। দফায় দফায় সুঁতার দাম বৃদ্ধি, করোনাভাইরাস এবং ওমিক্রনের ধাক্কাসহ কারিগরের অভাবে এই শিল্প হুমকির মুখে। রমজানে চলে ঈদের প্রস্তুতি। শাড়ির চাহিদা মেটাতে রমজানজুড়ে থাকে তাঁতের সেই খঁটখঁটি শব্দ।

তাঁত পল্লীর বিক্রয় কেন্দ্রগুলোতে থাকে সারি-সারি ব্যক্তিগত গাড়ি। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসে খুচরা ও পাইকারি শাড়ি ক্রেতারা। অথচ ঈদ ঘনিয়ে এলেও এবারে নেই সেই পুরানো চিত্র। জেলার একমাত্র শাড়ির হাট করটিয়ার চিত্রও একই। মধ্যম দামের সুতি জামদানি শাড়ির চাহিদা থাকলেও অন্য শাড়ির চাহিদা অনেকটাই কম।

এই শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গত এক বছরে ১০০ শতাংশের বেশি সুঁতার দাম বেড়েছে। সুঁতার দাম বৃদ্ধি, করোনাকালীন হোঁচট-এমন কি কারিগরের অভাবে তাঁত শিল্প হুমকির মুখে। এ ছাড়াও সুঁতার দাম বৃদ্ধির সঙ্গে কিছু শাড়ির দাম বেড়ে যাওয়ায় ক্রেতা কমেছে। খরচ কমাতে চিত্তরঞ্জন ও পাওয়ার লোমে শাড়ি উৎপাদন হচ্ছে। কম খরচে একই ধরনের শাড়ি পাওয়ায় হস্তচালিত তাঁত শিল্পে বিরূপ প্রভাব পড়েছে বলেও সংশ্লিষ্টদের ধারণা।

শাড়ি ব্যবসায়ীরা মনে করেন, বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের প্রথম ঢেউয়ের লকডাউনে তাঁতে শাড়ি তৈরিতে নিষেধাজ্ঞা ছিল। দীর্ঘস্থায়ী লকডাউনে অসংখ্য কারিগর বেকার হয়ে পড়েন। বেঁচে থাকার তাগিদে এই পেশা ছেড়ে ভিন্ন পেশায় যান তাঁতীরা। এরপর ২০২০ সালের বন্যায় জেলার তাঁত শিল্প আরও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বন্যার পানিতে কারখানার তাঁত, তাঁতে থাকা সুঁতার ভিম, কাপড় ও সরঞ্জামাদি নষ্ট হওয়ায় বিনিয়োগের লোকসান হয়। এর পরও তাঁতশিল্প ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছিল। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর ২০২১ সালের রমজানের আগ মুহূর্তে তাঁত খুলে। এরই মধ্যে সুঁতা, রঙ, রাসায়নিক কেমিক্যালসহ কাঁচামালের দাম বেড়ে যায়। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ এসে সেখানেও আরেক ধাক্কা দেয়। প্রথমে তাঁতীরা অস্থায়ী সংকট মনে করলেও ক্রমশ তাঁতপল্লী স্থায়ী সংকটে পড়ে। বর্তমানে ৮৫ শতাংশ হস্তচালিত তাঁত বন্ধ রয়েছে। হস্তচালিত তাঁতের জায়গা দখল করছে পাওয়ার লোম।

তাঁত বোর্ডের তথ্যমতে, জেলায় তাঁতের সংখ্যা কমে হয়েছে ৩৪ হাজার ৪০২টি। তাঁত মালিকের সংখ্যা রয়েছে ৪ হাজার ১৫১ জন। এই তাঁত পল্লীতে কেউ শাড়ি বুনেন, কেউ চরকায় সুঁতা কাটেন , কেউ কাপড়ের নকশার সুঁতা কাটেন। আবার সুঁতা রঙ করা, শুকানো, পাটিকরা, সুঁতা কাটা, ড্রাম থেকে ভিমে সুতা পেঁচানো, তানা সাজানো, মালা বা নকশার ডিজাইন তোলা, কাপড় ভাঁজ করা, পেটি করা এবং বাজারজাত ও আনা-নেওয়ার কাজ করে থাকে এই পেশার সঙ্গে সম্পৃক্তরা। পেশাটি নিয়ে তৃণমূলে যারা সম্পৃক্ত তারাও উদ্বিগ্ন।

স্থানীয় অধিকাংশ তাঁতীরা ইতিমধ্যে পেশা পরিবর্তন করেছে। যমুনা চরাঞ্চল ও সিরাজগঞ্জের কারিগররা টাঙ্গাইলের তাঁতপল্লীর হাল ধরেছে। এসব এলাকা থেকে প্রায় আড়াইশ কারিগর এসে তাঁত পল্লীতে তাঁতের কাজ করছেন।

কাতুলী থেকে আসা বুদ্দু মিয়া, জব্বার হোসেন ও সিরাজগঞ্জ থেকে আসা মোন্তাজ আলী, আবু তাহের, আলম, হোসেন আলী ও রবিউল ইসলামের সঙ্গে কথা হয়। এসব কারিগররা জানান, হস্তচালিত তাঁত বিলুপ্তির পথে। অধিকাংশ কারিগর চিত্তরঞ্জনে চলে গেছেন। অনেকে পাওয়ার লোমেও চলে গেছেন। হস্তচালিত তাঁতে শাড়ি বানাতে সময় বেশি লাগে। শাড়ি বানিয়ে যা উপার্জন হয় এতে সংসার চলে না। কিন্তু পাওয়ার লোমে অল্প সময়ে বেশি শাড়ি বানানো যায়। ফলে কারিগররা পাওয়ার লোম ও চিত্তরঞ্জন তাঁতের দিকে ঝুঁকছে। অন্যান্য শ্রমিকদের উন্নয়নে নানা ধরনের সংগঠন থাকে। আমাদের পেশায় কোনো সংগঠনও নেই। যারা নিরুপায় তারাই এখনও এই পেশায় আছে।

প্রবীণ তাঁতী সচীন রাজবংশী বলেন, টাঙ্গাইলে শাড়ির অবস্থা ভালো না। কারিগর পাওয়া যায় না। হস্তচালিত তাঁতে শাড়ি বানাতে বেশি সময় লাগে। সেই অনুযায়ী কারিগরদের মুজুরি দেওয়া যায় না। ফলে কারিগররা চিত্তরঞ্জন ও পাওয়ার লোমের দিকে ঝুঁকছে।

তিনি আরও বলেন, আমরা মহাজনদের কাছ থেকে সুঁতা, তানা এনে কারিগর দিয়ে শাড়ি বানাই। শাড়ি তৈরি করে মহাজনদের দেই। তারাই বিক্রি করেন। সেক্ষেত্রে আমরা ক্ষুদ্র মুজুরি পাই। ইচ্ছে করলে আমরা কারিগরদের মুজুরি বাড়াতে পারি না।

পবন দাসের মতো অনেকেই হস্তচালিত তাঁত বন্ধ করে শুরু করেছেন ছোট্ট পরিসরে পাওয়ার লোমের কারখানা। তিনি জানান, কারিগরের অভাব থেকে মূলত পাওয়ার লোম শুরু। পাওয়ার লোমের কারখানা বিদ্যুৎ চালিত। ফলে অল্প কারিগরে বেশি উৎপাদন সম্ভব।

এদিকে কম কারিগরে অধিক শাড়ি উৎপাদন করতে চায়না থেকে র‌্যাপিয়ার মেশিন এনেছেন বাদল রাজবংশী। হস্তচালিত তাঁতে তিন দিনে তৈরি করা হতো একটি শাড়ি। জানা গেছে, এই মেশিনে একদিনে তৈরি করা হচ্ছে একই মানের ৩টি শাড়ি। কম্পিউটারে ডিজাইন করে দিলে নির্ধারিত ডিজাইনে অটো শাড়ি বানানো যাবে। একই তানায় একাধিক ডিজাইনের শাড়ি বানানো যাবে । নতুন এই মেশিন কারিগরের অভাব দূর করে গুণগত মান বজায় রাখতে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন এই উদ্যোক্তা।

শাড়ি ব্যবসায়ী তারাপদ শাড়ি হাউজের স্বত্ত্বাধিকারী পলাশ বসাক জানান, এবারের ঈদে অর্থনৈতিক অস্বচ্ছলতায় সাধারণ মানুষ তুলনামূলকভাবে কম শাড়ি কিনছে। উৎসবে কেনাকাটার জন্য সবারই একটা বাজেট থাকে। বাজেটের ভেতরে যেটা বেশি জরুরি সেটা আগে কেনেন। অনেকে শাড়ির পরিবর্তে থ্রি-পিস কিনে ঈদের কেনাকাটা সেরে নিচ্ছেন।

তাঁত পল্লীর বিক্রয় কেন্দ্রের স্বত্ত্বাধিকারী সোরহাব হোসেন জানান, টাঙ্গাইলের তাঁতের শাড়ির মূল ব্যবসা ঈদ-পূজাকে কেন্দ্র করে। সারা বছর ব্যবসাটাকে ধরে রাখা হয়। ঈদ বা পূজাকে ঘিরে সারা বছরের উৎপাদিত শাড়ি বিক্রি শেষ হয়। রমজান চলছে। ঈদের আগে সব শাড়ি বিক্রি শেষ হয়। এবার তুলনামূলকভাবে বিক্রি কম। তবে ঈদের আগে বিক্রি বাড়বে বলে মনে করেন তিনি।

এ ব্যাপারে টাঙ্গাইলের তাঁত পল্লীর শাড়ী ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি রঘুনাথ বসাক বলেন, ঈদের বাজারে এই বছর শাড়ি বিক্রি কম। সুঁতার দাম ১০০ শতাংশ বেড়ে যাওয়ায় উৎপাদন খরচ বেড়ে যাচ্ছে। মধ্যম দামের শাড়ির বিক্রয় মূল্য বাড়লেও অন্যান্য শাড়ি আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। তবুও দামি ও কমদামি শাড়ির ক্রেতা পাওয়া যাচ্ছে না। মধ্যম দামের শাড়ি কিছুটা বিক্রি হচ্ছে। আমার ধারণা ঈদ ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে শাড়ি বিক্রি বাড়বে।

তিনি আরও বলেন, এটা দেশের অন্যতম কুটির শিল্প। এই শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে সরকারি-বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকতা প্রয়োজন।

এসআইএইচ

Header Ad

ভারতে গিয়ে নিখোঁজ ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য

ছবি: সংগৃহীত

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার চিকিৎসার জন্য ভারতে গিয়ে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছেন। দু’দিন ধরে তাকে ফোনে বা কোনো মাধ্যমে না পেয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন তার পরিবারের সদস্যরা। গত ১১ মে সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম চিকিৎসার জন্য ভারতের কলকাতায় যান বলে জানিয়েছে তার পরিবার।

এদিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংসদ সদস্যের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) আব্দুর রউফ। ইত্তেফাককে তিনি জানান, গত ১১ মে চিকিৎসার জন্য গেদে বর্ডার হয়ে ভারতে গিয়েছিলেন তিনি। সবশেষ গত বৃহস্পতিবার (১৬ মে) কথা হয়েছে। এরপর থেকে সব প্রকার যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।

তিনি বলেন, তিন দিন পার হলেও পরিবারের সদস্যরা তার সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করতে পারেননি। বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীকে অবগত করা হয়েছে। সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা বিভাগ বিষয়টি তদারকি করছে।

সংসদ সদস্যের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস গণমাধ্যমকে বলেন, গত দুদিন ধরে আমার আব্বুর সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করতে পারছি না। আমরা দুশ্চিন্তায় আছি। তবে সব ধরনের চেষ্টা করছি। সরকারের ঊর্ধ্বতন পর্যায়ে জানানো হয়েছে। প্রয়োজন হলে আমরা পরিবারের লোকজন কলকাতা যাব।

একটি সূত্রে জানা গেছে, তিনি চিকিৎসার জন্য কলকাতায় গিয়ে কোনো হোটেলে না উঠে মন্ডলপাড়া লেন বড় নগরের তার পূর্ব পরিচিত একটি বাড়িতে উঠেন। তিনি যে বাড়িতে উঠেছিলেন সেই বাড়ির মালিক কলকাতা বড় নগর থানায় একটি অভিযোগ করেছেন। তার একটি কপি কলকাতার উপ-হাইকমিশন পাঠানো হয়েছে। এরপর কলকাতা পুলিশ নড়েচড়ে বসেছেন এবং তাকে খোঁজার জন্য একটি টিম তৈরি করেছেন।

এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ আবু আজিফ জানান, সংসদ সদস্যের নিখোঁজ থাকার খবর লোকমুখে শুনেছি। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ থানায় কোনো অভিযোগ করেনি।

কালীগঞ্জ পৌর মেয়র আশরাফুল ইসলাম আশরাফ বলেন, এখন পর্যন্ত তার কোনো সংবাদ আমরা পাইনি। ভারতে লোক পাঠানো হয়েছে। পরিবারের সদস্যরা কলকাতার বাংলাদেশি দূতাবাসে আছেন। আমরা চেষ্টা করছি তার খোঁজ করার।

উল্লেখ্য, আনোয়ারুল আজীম আনার ঝিনাইদহ-৪ আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য। তিনি ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে টানা ৩ বার আওয়ামী লীগ থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

কালশীতে পুলিশ বক্সে আগুন দিল অটোরিকশাচালকরা

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর মিরপুরের কালশীতে এবার ট্রাফিক পুলিশ বক্সে আগুন দিয়েছে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাচালকরা।

রোববার (১৯ মে) বিকেল সাড়ে চারটার দিকে কালশী মোড়ে অবস্থিত ট্রাফিক পুলিশের বক্সে আগুন দেয় বিক্ষোভকারীরা।

পল্লবী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোখলেসুর রহমান জানান, কালশী মোড়ে অবস্থিত একটি ট্রাফিক পুলিশ বক্সে আগুন দিয়েছে অটোরিকশাচালকরা। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।

এর আগে কালশীতে সড়ক অবরোধ করে অটোরিকশাচালকরা রাস্তা অবরোধ করেন। এতে সড়কের দুই দিকে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

এর আগে হাইকোর্টের আদেশের পর মিরপুর এলাকা থেকে অটোরিকশা বন্ধ করে দেওয়া হয়। এর প্রতিবাদে অটোরিকশাচালকরা মিরপুর-১০, মিরপুর-১ ও আগারগাঁও এলাকার সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে। অটোরিকশা চালকদের বিক্ষোভে মিরপুরজুড়ে তীব্র যানজট শুরু হয়েছে। ক্রমেই তা আশপাশের এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে।

‘পৃথিবী থেকে বিদায়,ভালো থাকো সবাই, সব শেষ আমার’ লিখে ফেসবুকে পোষ্ট দিয়ে যুবকের আত্নহত্যা

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

নওগাঁর সাপাহারে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে তৌফিক হোসেন (২০) নামে এক যুবক আত্মহত্যা করেছেন। রবিবার (১৯ মে) দিবাগত ভোর ৫ টার দিকে যে কোন সময় নিজ বাড়ির মাটির ঘরের তালের তিরে মায়ের ব্যবহৃত ওড়নায় ঝুলিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি।

নিহত তৌফিক হোসেন উপজেলা সদর ইউনিয়নের জয়পুর মাষ্টারপাড়া এলাকার মোস্তফার ছেলে। খবর পেয়ে পুলিশ রবিবার সকালের দিকে লাশ উদ্ধার করে।

নিহতের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, তৌকির পারিবারিক কলহের কারণে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে বলে জানা যায়। আত্মহত্যার আগে তৌকির তার ফেসবুক আইডিতে লিখেন- ‘পৃথিবী থেকে বিদায়,ভালো থাকো সবাই, সব শেষ আমার।’

বিষয়টি নিশ্চিত করে সাপাহার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) পলাশ চন্দ্র দেব ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘ফেসবুকের স্ট্যাটাস দেখে বিষয়টি প্রাথমিকভাবে পারিবারিক কলহের কারণ বলে মনে হয়েছে। হয়তো পরিবারের সদস্যদের সাথে কোন ধরনের মান অভিমান ছিল। যার কারনে অভিমান থেকেই তৌফিক আত্নহত্যা করে থাকতে পারেন।’

ওসি আরও বলেন, ‘নিহত তৌফিক এর পরিবার বিনা ময়নাতদন্তে মরদেহ দাফন করার জন্য আবেদন করেছিল। পরিবার থেকে কোন অভিযোগ না থাকায় মরদেহ রবিবার দুপুরে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’

সর্বশেষ সংবাদ

ভারতে গিয়ে নিখোঁজ ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য
কালশীতে পুলিশ বক্সে আগুন দিল অটোরিকশাচালকরা
‘পৃথিবী থেকে বিদায়,ভালো থাকো সবাই, সব শেষ আমার’ লিখে ফেসবুকে পোষ্ট দিয়ে যুবকের আত্নহত্যা
মেট্রোরেলের উত্তরা-টঙ্গী রুটে হবে পাঁচ স্টেশন
টাঙ্গাইলে নির্মাণাধীন ভবনের ছাদ থেকে পড়ে প্রাণ হারালো রাজমিস্ত্রী
পৃথিবীতে ধেয়ে আসতে পারে আরও ভয়ানক সৌরঝড়
পাকিস্তানে সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ১৪ জন নিহত
স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
ঈদের আগেই মসলার বাজার গরম, ডলারের মূল্যবৃদ্ধির অযুহাত ব্যবসায়ীদের
বান্দরবানে সেনাবাহিনীর অভিযানে ৩ কেএনএফ সদস্য নিহত
বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা কংগ্রেসের ভোটব্যাংক : অমিত শাহ
কারও কাছে ভিক্ষা করে দেশের মানুষ চলবে না : প্রধানমন্ত্রী
যশোরে বিনা যৌতুকে ৫০ জোড়া তরুণ-তরুণীর বিয়ে
বাংলাদেশের স্টাইলে ভোট করতে চাইছেন নরেন্দ্র মোদী : অরবিন্দ কেজরিওয়াল
রাজধানীতে স্বেচ্ছাসেবক লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ছাত্রলীগ কর্মী নিহত
টাঙ্গাইলে পুলিশকে পিটিয়ে আসামি ছিনতাই
পঞ্চম বাংলাদেশি হিসেবে এভারেস্ট জয় করলেন চট্টগ্রামের বাবর আলী
সৌদি আরবে পৌঁছেছেন ২৮ হাজারের বেশি হজযাত্রী
দুই বাংলাদেশিকে অপহরণ করেছে আরসা
কিরগিজস্তানে হামলা, সাহায্য চাইলেন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা