শনিবার, ১৮ মে ২০২৪ | ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
Dhaka Prokash

হবিগঞ্জে হত্যা মামলায় ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড

হবিগঞ্জে কৃষক তোতা মিয়া হত্যাকাণ্ডের মামলায় ৫ জনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে ২ জনকে যাবজ্জীবন ও ৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। মামলার বাকি ১৩ আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (৯ মে) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (১ম) মো. আজিজুল হক এ রায় দেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মৃত আলফু মিয়ার ছেলে সিজিল মিয়া (৩৫) ও বশির আহমেদ ভিংরাজ, মৃত চেরাগ আলীর ছেলে জিতু মিয়া (৫২), মৃত ফজল হোসেনের ছেলে শাহ আলম (৩০) এবং মৃত ছুরুক মিয়ার ছেলে ফজল মিয়া (৫০)। যাবজ্জীবনপ্রাপ্তরা হলেন- মৃত আলফু মিয়ার ছেলে ইউনুছ মিয়া ও মৃত আ. ছোবহানের ছেলে আব্দুল্লাহ মিয়া (৫৩)।

হবিগঞ্জ আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ মুছা মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ২০১৪ সালের ১ আগস্ট হবিগঞ্জ সদর উপজেলার গোপায়া ইউনিয়নের দীঘলবাক গ্রামে আসামিরা প্রকাশ্যে কৃষক তোতা মিয়াকে হত্যা করে। এ ঘটনায় পরদিন তার ছেলে মো. আব্দুল কাইয়ুম বাদী হয়ে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ৩৩ জনকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট জমা দেয় পুলিশ। এরপর ২৯ জন সাক্ষী এ মামলায় সাক্ষ্য দেন। এর প্রেক্ষিতে আদালত মঙ্গলবার বিকালে ওই রায় দেন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত শাহআলম চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে বসতঘর নির্মাণ করলে জনসাধারণ গ্রামের মুরুব্বি তোতা মিয়ার কাছে সালিশের জন্য শরণাপন্ন হন। এতে শাহআলমের প্ররোচনায় আসামিরা তোতা মিয়া ও অন্যান্যদের উপর হামলা চালায়। দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আঘাত করে তোতা মিয়াকে গুরুতর আহত করা হয়। এসময় আরও বেশ কয়েকজন আহত হন। গুরুতর আহতাবস্থায় তোতা মিয়াকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। অন্যান্য আহতদের সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. নুরুজ্জামান এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে জানান, এই রায়ের মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। নিহত কৃষক তোতা মিয়ার পরিবার এতে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

এসজি

Header Ad

আবারও বাড়ল সোনার দাম, কাল থেকে কার্যকর

ছবি: সংগৃহীত

কিছু দিন পর পরই স্বর্ণের দাম বেড়ে যাওয়া যেন রীতিমত স্বাভাবিক ঘটনা হয়ে দাড়িয়েছে। কোন ভাবেই লাগাম টানা যাচ্ছেনা মূলবান এই ধাতুটির দামের। কয়েক দফা বাড়ানোর পর আবারও ভরিতে ১ হাজার ১৭৮ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১৮ হাজার ৪৬০ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)।

শনিবার (১৮ মে) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। রোববার (১৯ মে) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ১৮ হাজার ৪৬০ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৩ হাজার ৮২ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৬ হাজার ৯১৬ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৮০ হাজার ১৩১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

তবে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। ক্যাটাগরি অনুযায়ী বর্তমানে ২২ ক্যারেটের রুপার দাম ভরি ২ হাজার ১০০ টাকা।

এর আগে, গত শনিবার (১১ মে) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১৭ হাজার ২৮২ টাকা নির্ধারণ করে বাজুস।

যে কারণে ডিবিতে গিয়েছিলেন মাওলানা মামুনুল হক

ছবি: সংগৃহীত

প্রায় আড়াই ঘণ্টা অবস্থানের পর মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয় থেকে বেরিয়ে গেছেন হেফাজত ইসলামের নেতা মাওলানা মামুনুল হক ।

শনিবার (১৮ মে) রাত পৌনে ৮টার দিকে রাজধানীর মিন্টু রোডের ডিবি কার্যালয় থেকে বেরিয়ে যান তিনি।

এর আগে তিনি সাংবাদিকদের জানান তার ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন নেওয়ার জন্য তিনি ডিবি কার্যালয়ে এসেছিলেন।

মামুনুল হক বলেন, আমাকে যখন গ্রেপ্তার করা হয়েছিল তখন মামলার আলামত হিসেবে আমার মোবাইল ফোনটি জব্দ করা হয়েছিল। সেই মোবাইল ফোনটি নিতে আমি আজ ডিবি কার্যালয়ে এসেছি।

ডিবি কার্যালয়ে মামলা সংক্রান্ত কোনো বিষয় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাকে ডিবি ডাকেনি এবং মামলা সংক্রান্ত কোনো বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেনি। আমার জব্দ করা মোবাইল ফোনটি ফেরত পেতে আমি আজ ডিবি কার্যালয়ে এসেছি।

মোবাইল ফোনটি তিনি ফেরত পেয়েছেন কিনা জানতে চাইলে উত্তর না দিয়েই ব্যক্তিগত গাড়িতে করে ডিবি কার্যালয় ছেড়ে চলে যান।

২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্টে এক নারীর সঙ্গে মাওলানা মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। খবর পেয়ে হেফাজতের স্থানীয় নেতা-কর্মীরা রিসোর্টে গিয়ে ভাঙচুর চালিয়ে তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যান। ঘটনার পর থেকে ঢাকার মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসায় অবস্থান করেন মামুনুল হক।

১৫ দিন পর ১৮ এপ্রিল ওই মাদরাসা থেকে মাওলানা মামুনুল হককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় তার বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন তার সঙ্গে রিসোর্টে অবরুদ্ধ হওয়া ওই নারী। যদিও ওই নারীকে তার দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করে আসছেন মামুনুল হক।

এরপর ওই মাসেই দেশের বিভিন্ন স্থানে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহসহ অর্ধশতাধিক মামলা হয়। পরে সেসব মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর থেকে এসব মামলায় কারাগারে ছিলেন মামুনুল হক। গত ৩ মে সকালে গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পান তিনি।

টুইটারের ঠিকানা বদলে আনুষ্ঠানিকভাবে এখন এক্স ডটকম

ছবি: সংগৃহীত

টুইটারের নাম বদলে এক্স হওয়ার পর এখন ওয়েবসাইটের ঠিকানাতেও এল পরিবর্তন। ওয়েবসাইটের ঠিকানা বদলে করা হয়েছে এক্স ডটকম। এর ফলে ব্রাউজারে টুইটার ডটকম লিখে প্রবেশ করলেও ওয়েবসাইটের ঠিকানা এক্স ডটকম প্রদর্শিত হবে।

ইলন মাস্ক এ নিয়ে এক্সে গতকাল শুক্রবার একটি বার্তাও দিয়েছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, সব কোর সিস্টেম এখন এক্স ডটকমে পাওয়া যাবে। বার্তার সঙ্গে একটি ছবিও যোগ করেছেন। যাতে বড় করে লেখা রয়েছে এক্স ডটকম। পরিবর্তিত হওয়ার পর প্রথমবার এক্স ডটকম ওয়েবসাইটে প্রবেশের পর নিচে একটি লেখা প্রদর্শিত হচ্ছে। সেখানে লেখা রয়েছে, ‘ইউআরএল পরিবর্তন করা হয়েছে। এটি আমরা আপনাদের জানাচ্ছি। তবে আপনাদের গোপনীয়তা ও তথ্য সুরক্ষার সেটিংস আগের মতোই অপরিবর্তিত থাকবে।’

টুইটারের ডোমেইন নাম পরিবর্তন এক্স পুনঃ ব্র্যান্ডিংয়ের অংশ। টুইটার কিনে নেওয়ার পর নাম, লোগোসহ বিভিন্ন পরিবর্তন আনেন ইলন মাস্ক। ২০২২ সালে ৪ হাজার ৪০০ কোটি মার্কিন ডলারে খুদে ব্লগ লেখার ওয়েবসাইট টুইটার কিনে নেন ইলন মাস্ক। এরপর ‘এক্স’ অক্ষর যুক্ত করে সরিয়ে ফেলেন পুরোনো নীল পাখির লোগো। যুক্ত হয় কালো রঙের আবহ। টুইটারের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় এক্স।

বলা হয়, এক্স শব্দের প্রতি ইলন মাস্কের বিশেষ আকর্ষণ রয়েছে। আর তাই তিনি টুইটারের নাম বদলে রেখেছেন এক্স। এ ছাড়া তাঁর একটি স্টার্টআপের নামও ছিল এক্স। ১৯৯৯ সালে এক্স ডটকম নামে একটি অব্যবহৃত ওয়েবসাইট কিনে রাখেন মাস্ক, যা পরবর্তী সময় পেপ্যালে রূপান্তর হয়। এমনকি ইলন মাস্কের আরেক প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্সেও এক্স অক্ষর রয়েছে। টেসলার প্রথম গাড়ির মডেলের নামেও ছিল এক্স। এমনকি তাঁর এআইভিত্তিক স্টার্টআপের নামও এক্স এআই।

সূত্র: দ্য ভার্জ

 

সর্বশেষ সংবাদ

আবারও বাড়ল সোনার দাম, কাল থেকে কার্যকর
যে কারণে ডিবিতে গিয়েছিলেন মাওলানা মামুনুল হক
টুইটারের ঠিকানা বদলে আনুষ্ঠানিকভাবে এখন এক্স ডটকম
প্রতিবন্ধী সন্তানকে বিষ খাইয়ে হত্যা করলেন মা-বাবা
সুবর্ণচরে ট্রাক্টরের চাপায় শিশুর মৃত্যু
হঠাৎ ডিবিতে মাওলানা মামুনুল হক
অভিমানে গলায় ফাঁস দিয়ে কৃষকের আত্মহত্যা
ট্রোল কখনো পাত্তা দেই না : জেফার
পলাশবাড়ীতে চাচার ছুরিকাঘাতে ভাতিজির মৃত্যু
নরসিংদীতে বজ্রপাতে মা-ছেলেসহ ৪ জন নিহত
সদস্যপদ ফিরে পেলেন জায়েদ খান, বাতিল হতে পারে নিপুণের
অস্থির ডিমের বাজার, প্রতি ডজনে বেড়েছে ৩০ টাকা
মোটরসাইকেলে বাড়ি ফেরার পথে ট্রাকের ধাক্কায় প্রাণ গেল কলেজছাত্রের
যুক্তরাষ্ট্রে প্রবল ঝড়ের আঘাতে ৭ জনের মৃত্যু
জিয়াউর রহমান বাকশালের সদস্য হয়েছিলেন: ওবায়দুল কাদের
মা হারালেন সংগীতশিল্পী মোনালি ঠাকুর
মালয়েশিয়ায় ২ লাখ টাকায় বিক্রি হওয়ার অভিজ্ঞতা জানালেন বাংলাদেশি শ্রমিক
মসজিদে ভোজের আয়োজন করলেন ডিআইজি বাতেন, ইসিতে অভিযোগ
ধোলাইখালে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের আগুন নিয়ন্ত্রণে
টাঙ্গাইলে ধান কাটতে এসে বজ্রপাতে প্রাণ হারালেন দুই ভাই