মিধিলি'র আঘাতে নোয়াখালীতে ১১২৫ ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত

১৮ নভেম্বর ২০২৩, ০৯:৫৬ এএম | আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৪:৫৭ পিএম


মিধিলি'র আঘাতে নোয়াখালীতে ১১২৫ ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত
ছবি:সংগৃহীত

 

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপ রাতেই রুপ নিয়েছিলো ঘূর্ণিঝড় মিধিলিতে । ঘূর্ণিঝড়টির আঘাতে নোয়াখালীতে ১ হাজার ১২৫টি ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। শনিবার (১৮ নভেম্বর) সকালে গনমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান।

তিনি বলেন, সব উপজেলার মধ্যে দুর্যোগ কবলিত ইউনিয়ন সংখ্যা ৩৪টি। আর দুর্গত মানুষের সংখ্যা ৬ হাজার ৭৬০ জন। জেলায় মোট ১ হাজার ১২৫টি ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। তার মধ্যে আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে ৯১৩টি বাড়ি এবং সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে ২১২টি বাড়ি। তাদের পুনর্বাসনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা হবে।

জানা গেছে, শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) বিকেলে নোয়াখালীর উপকূল জুড়ে তাণ্ডব চালায় ঘুর্ণিঝড় মিধিলি। এতে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে হাতিয়া উপজেলায়। এছাড়া জেলায় সহস্রাধিক গাছপালা উপড়ে পড়েছে, ক্ষতি হয়েছে বিস্তীর্ণ ফসলের খেতের। ঝড়ের কারণে বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে জেলার দ্বীপ উপজেলা হাতিয়া, সুবর্ণচর, কোম্পানীগঞ্জ, কবিরহাট ও জেলা শহর। বিদ্যুৎ না থাকায় মোবাইল নেটওয়ার্কের ভোগান্তিতে রয়েছে মানুষ।

কবিরহাট উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাতিমা সুলতানা বলেন, ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে বিভিন্ন এলাকার ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বড় গাছ ভেঙে পড়েছে। যেকোনো পরিস্থিতিতে উপজেলা প্রশাসন তৎপর রয়েছে।

সুবর্ণচরের ইউএনও মোহাম্মদ আল আমিন সরকার বলেন, ঝড়ের বাতাসের বেগে শতাধিক ঘরবাড়িসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান উড়ে গেছে। ফসলেরও ক্ষতি হয়েছে। তবে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

হাতিয়ার ইউএনও সুরাইয়া আক্তার লাকী বলেন, হাতিয়া উপজেলায় ঝড়ের কারণে এখন পর্যন্ত ৩১০টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তার মধ্যে সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৯০টি এবং আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২২০টি। গাছপালা উপড়ে যেসব সড়কে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন সেগুলো স্বাভাবিক রাখতে আমাদের ফায়ারসার্ভিসের কর্মীরা কাজ করছে।

নোয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি নোয়াখালীর জেনারেল ম্যানেজার মো. জাকির হোসেন বলেন, ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী বাতাসের কারণে আমাদের বিদ্যুৎ সংযোগ স্থাপনে কষ্ট হচ্ছে। আমাদের কর্মীদের দ্রুত কাজের ফলে আমরা বেশিরভাগ এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়েছি। অবশিষ্ট এলাকায় সংযোগ স্থাপনে আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত আছে। আশাকরি খুব দ্রুতই আমরা সবার কাছে বিদ্যুৎ সেবা পৌঁছে দিতে পারব।


৪ মাসে একবার বিছানার চাদর কাচেন অবিবাহিত পুরুষরা: গবেষণা

০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৪:৫৯ পিএম | আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৫:১৩ পিএম


৪ মাসে একবার বিছানার চাদর কাচেন অবিবাহিত পুরুষরা: গবেষণা
বিছানার চাদর। ছবি: সংগৃহীত

ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা বলতে কেবল নিজে পরিপাটি হয়ে থাকা বোঝায় না। নিজের শরীর, পোশাকের পাশাপাশি ঘরের ব্যবহার্য জিনিসও পরিষ্কার রাখা জরুরি। এই যেমন বিছানার চাদর। অনেকেই ২/৩ দিন পর পর এটি পাল্টে থাকেন। কেউ সপ্তাহঅন্তর ধুয়ে দেন বিছানার চাদর।

তবে সাম্প্রতিক একটি গবেষণা বলছে, অধিকাংশ অবিবাহিত পুরুষ দিনের পর দিন বিছানার চাদর বদলান না। চার মাসে এক বার বিছানার চাদর কাচেন তারা। আমেরিকার প্রায় আড়াই হাজার অবিবাহিত যুবককে নিয়ে এই সমীক্ষাটি চালানো হয়। সমীক্ষার আয়োজন করেছিল বিছানার চাদর প্রস্তুতকারী একটি সংস্থা। তবে এই অবস্থার কিছুটা পরিবর্তন হয়, যখন তাঁরা কোনও সম্পর্কে থাকেন।

সমীক্ষায় অংশ নেওয়া প্রায় ৪৫ শতাংশ পুরুষ জানিয়েছেন, নিয়ম করে বিছানার চাদর কাচার কথা তাঁদের মনে থাকে না। একই চাদর দিনের পর দিন বিছানায় পেতে রাখতেও কোনও অসুবিধা হয় না। ফলে সময় গড়িয়ে কখন সেটা চার-পাঁচ মাস হয়ে যায়, তা মাথায় থাকে না।

আবার ১২ শতাংশ পুরুষ জানিয়েছেন, সকালে বেরিয়ে যান। রাতে শুধু ঘুমোনোর জন্য বা়ড়িতে আসেন। ফলে চাদর খুব বেশি নোংরা হয় না। তাই ঘন ঘন বিছানার চাদর বদলানোর তেমন কোনও প্রয়োজনীয়তা নেই। এই সমীক্ষায় অংশ নেওয়া অনেকেই প্রেমের সম্পর্কে রয়েছেন। এই সংখ্যাটা প্রায় ২৭ শতাংশ। তাঁদের ক্ষেত্রে ব্যাপারটি একটু আলাদা। বিছানার চাদর কাচার ক্ষেত্রে তাঁরা কিছুটা এগিয়ে। প্রেমিকার ভয়ে কিংবা যে কারণেই হোক, এক মাস অন্তর তাঁরা চাদর কাচতে দেন।

আয়োজক সংস্থাটি সমীক্ষার শেষে বিছানার চাদর ব্যবহার করা নিয়ে কিছু পরামর্শ দিয়েছে। তাদের মতে, বিছানার চাদর, বালিশের ঢাকা সপ্তাহে এক বার বদলানো উচিত। একই চাদরে দিনের পর দিন ঘুমোনো স্বাস্থ্যকর নয়। ত্বকের জন্যও ভাল নয় এই অভ্যাস। তা ছাড়া, পরিষ্কার চাদরে শুলে ঘুমও গভীর হয়। একটা আলাদা স্বস্তি পাওয়া যায়। শীতে ব্যবহৃত মোটা কম্বলগুলো প্রতিদিন ধোয়া সম্ভব নয়। কারণ শুকাতে অনেক সময় লাগবে। তাই সকালে ঘুম থেকে উঠে এক বার রোদে দেওয়া যেতে পারে। এতে জীবাণুমুক্ত হবে। শীত শেষে কেচে আবার তুলে রাখলেই হলো। সূত্র: আনন্দবাজার


বিএমডব্লিউ গাড়ি যৌতুক না দেওয়ায় ভাঙলো বিয়ে, পাত্রীর আত্মহত্যা

০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৪:৪৩ পিএম | আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৫:১২ পিএম


বিএমডব্লিউ গাড়ি যৌতুক না দেওয়ায় ভাঙলো বিয়ে, পাত্রীর আত্মহত্যা
বিএমডব্লিউ গাড়ি ও শাহনা। ছবি: সংগৃহীত।

অতিরিক্ত যৌতুক দাবি করায় বিয়ে ভেঙে গেছে। কিন্তু এ ঘটনা মেনে নিতে পারেনি ২৬ বছর বয়সি চিকিৎসক পাত্রী শাহনা। তাই বাধ্য হয়ে বেছে নেন ভয়ংকর পথ। আত্মহত্যা করেছেন তিনি। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের কেরলেতে।

জানা গেছে, হবু স্বামী এবং শাহনা তিরুঅনন্তপুরম মেডিক্যাল কলেজে সার্জারি বিভাগে স্নাতকোত্তর করছিলেন। সেখান থেকেই দুই জনের পরিচয়।

শাহনার এক আত্মীয় জানিয়েছেন, পণ হিসাবে আমরা নগদ ৫০ লক্ষ টাকা, ৫০টি সোনার বন্ড এবং একটি গাড়ি দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু বর পক্ষের কাছে তা যথেষ্ট ছিল না। ছেলের বাড়়ি থেকে সোনা, জমি এবং একটি বিএমডাব্লু গাড়ি পণ হিসাবে চাওয়া হয়েছিল।

পুলিশ জানিয়েছে, সম্প্রতি শাহনার বাবা মারা গেছে। তার উপর সহপাঠীর সাথে বিয়ে ভাঙ্গায় নিজেকে সামলাতে না পেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন তিনি।

শাহনার হবু স্বামী রুওয়াজ আবার কেরলের স্নাতকোত্তর মেডিক্যাল পড়ুয়াদের সংগঠনের রাজ্য সভাপতি। শাহনার চরম পদক্ষেপের কথা ছড়িয়ে পড়তেই ওই সংগঠনটি রুওয়াজকে পদ থেকে বহিষ্কার করেছে।

এদিকে কেরলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীণা জর্জ ঘটনার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। শাহনার মায়ের সঙ্গে দেখা করেছেন কেরলের মহিলা কমিশনের প্রধান আইনজীবী সাথীদেবী। পুলিশের কাছে ঘটনার রিপোর্টও তলব করেছে কমিশন।

তিনি জানিয়েছেন, পুলিশের রিপোর্টে যদি দেখা যায় রুওয়াইজের পরিবারের চাহিদা অনুযায়ী পণ দিতে না পারার কারণেই শাহনা চরম সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তা হলে তার পরিবারের বিরুদ্ধেও মামলা চালু করা হবে। সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা


শাহবাগে যাত্রীবাহী বাসে আগুন

০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৪:২১ পিএম | আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৫:১৩ পিএম


শাহবাগে যাত্রীবাহী বাসে আগুন
যাত্রীবাহী বাসে আগুন। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর শাহবাগে আজিজ সুপার মার্কেটের সামনে তরঙ্গ পরিবহনের একটি বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।

বৃহস্পতিবার দুপুর পৌনে ২টার দিকে এ অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।

ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার রোজিনা আক্তার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আজিজ সুপার মার্কেটের সামনে বাসে আগুন দেয়ার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। এ ঘটনায় হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

এর আগে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মতিঝিল বক চত্বরে একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন দেয় অবরোধকারীরা। ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার রোজিনা আক্তার এ ব্যাপারে জানান, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মতিঝিলে গাজীপুর পরিবহনের একটি বাসে অগ্নিসংযোগের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট রওনা হয়। তবে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই স্থানীয়রা ফায়ার এক্সটিংগুইসার দিয়ে আগুন নিভিয়ে ফেলেন।

বিএনপি ও সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর ডাকা দশম দফা অবরোধের দ্বিতীয় দিন আজ। এ দফার অবরোধে বুধবার (৬ ডিসেম্বর) ভোর ৬টা থেকে বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ১২টি যানবাহনে দুর্বৃত্তদের অগ্নিসংযোগের তথ্য জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঢাকা শহরে ৬টি যানবাহনে আগুন দেয়া হয়েছে।

অনুসরণ করুন