রবিবার, ১১ মে ২০২৫ | ২৮ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

কলেজছাত্র ইমন হত্যা মামলায় সেচ্ছাসেবক লীগ নেতা গ্রেফতার

ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নিয়ে গুলিতে নিহত কলেজছাত্র ইমন হত্যা মামলায় টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার মহেড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও সেচ্ছাসেবক লীগ নেতা বাদশা মিয়া গ্রেফতার হয়েছে।

শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠানো হয়েছে তাকে। এর আগে শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাতে থানার পাশ থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

বাদশা মিয়া ওই ইউনিয়নের ডোকলাহাটী গ্রামের হাকিম মিয়ার ছেলে এবং ইউনিয়ন আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি।

পুলিশ জানায়, গত ৪ আগস্ট ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের মির্জাপুরের সোহাগপাড়া এলাকায় গোড়াই হাইওয়ে থানার সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নিয়ে গুলিবিদ্ধ হয় কলেজছাত্র ইমন (১৮)। এরপর দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর মারা যান তিনি। পরে নিহতের ভাই সুমন গত ২২ আগস্ট ১৫৭ জনের নাম উল্লেখ করে ৪০০-৫০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মির্জাপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় ১০০ নম্বর আসামি বাদশা মিয়া।

নিহত ইমন গোপালপুর উপজেলার হেমনগর ইউনিয়নের নলিন মণ্ডল বাড়ি এলাকার জুলহাস মিয়ার ছেলে। তিনি অলোয়া মনিরুজ্জামান খান বিএম কলেজ থেকে ২০২৩ সালে এইচএসসি পাস করে হেমনগর ডিগ্রি কলেজে ভর্তি হয়েছিল।

এ মামলায় সাবেক কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক ও বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু ছাড়াও সাবেক সাত সংসদ সদস্যকে আসামি করা হয়েছে। এছাড়াও টাঙ্গাইল সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও মির্জাপুরের পাঁচজন ইউপি চেয়ারম্যানসহ আরও ১৪৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৪০০-৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোশারফ হোসেন বলেন, গতকাল শুক্রবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আজ শনিবার ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী, গ্রেপ্তার চাচা

ছবি: সংগৃহীত

রংপুরের মিঠাপুকুরে ধর্ষণের শিকার হয়ে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে পঞ্চম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় তার বাবা শনিবার মামলা করেছেন। এদিনই অভিযান চালিয়ে প্রতিবেশী একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ

ভুক্তভোগী ছাত্রী উপজেলার একটি গ্রামের দিনমজুরের মেয়ে। এতে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম মাসুদ রানা (৪২)। তিনি সম্পর্কে শিশুটির প্রতিবেশী চাচা।

মামলার এজাহারে জানা গেছে, শিশুটি স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে। কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন সে। সম্পর্কের চাচা মাসুদ রানা গত বছরের ৮ নভেম্বর চকলেট ও বিস্কুট খাওয়ানোর কথা বলে তাকে পাশের আমবাগানে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। এরপর বিভিন্ন স্থানে একই ঘটনা ঘটালে শিশুটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। সম্প্রতি মেয়ের শারীরিক পরিবর্তন বুঝতে পারেন মা। শনিবার চিকিৎসকের কাছে নিয়ে তার শারীরিক পরীক্ষা করালে চিকিৎসক জানান, মেয়েটি পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা।

পরিবারের সদস্যরা শিশুটির কাছে ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে সে জানায়, প্রতিবেশী মাসুদ রানা দীর্ঘদিন ধরে তার সঙ্গে ‘খারাপ কাজ’ করে আসছে। বিষয়টি জানার পর তার বাবা মামলা করলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে বাড়ি থেকে মাসুদকে গ্রেপ্তার করে।

শিশুটির বাবা বলেন, ‘মোর ছইলটা (মেয়েটা) একনা হাবাগোবা (অটিজম) টাইপের। মাসুদ রানা সুযোগ পাইয়া মোর ছইলটার সর্বনাশ করি দেছে। ইয়ার উপযুক্ত বিচার চাও।’

মা জানান, শিশুটির বয়স ১৩ বছর। এ বিষয়ে ‎মিঠাপুকুর থানার ওসি আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আসামিকে গ্রেপ্তারের পর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।

 

Header Ad
Header Ad

লঞ্চে দুই তরুণীকে বেল্ট দিয়ে মারধর, নেহালসহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা

লঞ্চে দুই তরুণীকে বেল্ট দিয়ে মারধর (ইনসটে নেহাল আহমেদ ওরফে জিহাদ)। ছবি: সংগৃহীত

মুন্সীগঞ্জে যাত্রীবাহী এমভি ক্যাপ্টেন লঞ্চে দুই তরুণীকে বেল্ট দিয়ে পেটানোর ঘটনায় আলোচিত ঘটনায় এবার আইনি পদক্ষেপ নিয়েছে পুলিশ। মুক্তারপুর নৌ পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মিলন হোসেন রোববার (১১ মে) সকালে মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন।

মামলায় মূল অভিযুক্ত হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে মুন্সীগঞ্জ শহরের বাসিন্দা নেহাল আহমেদ ওরফে জিহাদকে। তার সঙ্গে অজ্ঞাতনামা আরও ২০ থেকে ২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। ঘটনার পর জিহাদকে আটক করে গ্রেপ্তার দেখানো হয় এবং রোববারই তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

মামলায় যৌন নিপীড়ন, বেআইনি অনুপ্রবেশ, লঞ্চে ভাঙচুর ও মারধরের অভিযোগ আনা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, মামলা হয়েছে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১০ ধারায়।

মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ওসি সাইফুল আলম বলেন, “ঘটনার ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হলে আমরা অভিযুক্ত জিহাদকে শনিবার আটক করি। আমরা ভুক্তভোগী দুই তরুণীকে থানায় অভিযোগ দিতে বলেছিলাম, কিন্তু তারা আসেননি। একইভাবে লঞ্চ কর্তৃপক্ষকেও অভিযোগ করতে বলা হয়েছিল, সাড়া মেলেনি। পরে মুক্তারপুর নৌ পুলিশ নিজেই বাদী হয়ে মামলা দায়ের করে।”

ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, সাদা পোশাক পরা এক তরুণী লঞ্চের সামনের অংশে দাঁড়িয়ে আছেন, আর জিহাদ নামের এক যুবক তাকে বেল্ট দিয়ে বর্বরভাবে মারধর করছেন। আশপাশে থাকা ৫০-৬০ জন বিভিন্ন বয়সী পুরুষ সেই দৃশ্য মোবাইলে ধারণ করে উল্লাস করছেন ও স্লোগান দিচ্ছেন।

পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার সময় লঞ্চে যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছিল, তা জনমনে চরম ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে। ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করে দোষীদের আইনের আওতায় আনার আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন।

Header Ad
Header Ad

ভারতে ব্লক পিনাকী, ইলিয়াস, কনক ও জুলকারনাইনের ইউটিউব চ্যানেল

সাংবাদিক ড. কনক সরওয়ার, সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের, ব্লগার ও লেখক পিনাকী ভট্টাচার্য, সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

ভারতে নিষিদ্ধ করা হয়েছে অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট, লেখক ও ব্লগার পিনাকী ভট্টাচার্য, সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন, ড. কনক সরওয়ার এবং জুলকারনাইন সায়েরের ইউটিউব চ্যানেল। ভারত সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, দেশটির নাগরিকরা এখন থেকে এসব ইউটিউব চ্যানেলে আর প্রবেশ করতে পারবেন না।

শনিবার (১০ মে) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে বিষয়টি নিশ্চিত করেন পিনাকী ভট্টাচার্য। তিনি লেখেন, “আমার, ইলিয়াসের এবং কনকের ইউটিউব চ্যানেল ব্লক করে দেওয়া হয়েছে ভারতে। ভারতমাতা তার শত্রুদেরকে চিনে।” একই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে তিনি ইঙ্গিত দেন যে, বাংলাদেশে কারা তাদের বিরোধিতা করছে, তা এখন সহজেই বোঝা যাচ্ছে।

এদিকে, জুলকারনাইন সায়ের তার ফেসবুক পোস্টে লেখেন, “আমার অপরাধটা কিরে ভাই? কবে ইউটিউব চ‍্যানেল একটা খুলছিলাম, তেমন কিছুই পোস্ট করি না, ওইটাও ভরত মাতা তাগো দেশে ব্যান কইরা দিলো।”

এই ঘটনার একদিন আগে, শুক্রবার (৯ মে) ভারতের অনুরোধে ইউটিউব থেকে বাংলাদেশের চারটি জনপ্রিয় টেলিভিশন চ্যানেলও ব্লক করে দেওয়া হয়। চ্যানেলগুলো হলো—যমুনা টিভি, একাত্তর টিভি, বাংলাভিশন ও মোহনা টিভি। ভারত থেকে বিবিসির এক প্রতিবেদক নিশ্চিত করেছেন, এই চ্যানেলগুলো ইউটিউবে আর দেখা যাচ্ছে না। এসব চ্যানেল চালাতে গিয়ে ভারতীয় ইউজারদের সামনে ভেসে উঠছে একটি বার্তা—“সরকারি নির্দেশে জাতীয় নিরাপত্তা ও জনশৃঙ্খলার কারণে এই কনটেন্ট এই দেশে (ভারতে) পাওয়া যাচ্ছে না।”

ভারতের ডিজিটাল নিরাপত্তা ও তথ্যপ্রযুক্তি আইনের আওতায় সরকার যদি মনে করে, কোনো অনলাইন কনটেন্ট জাতীয় নিরাপত্তা, সার্বভৌমত্ব কিংবা জনশৃঙ্খলার জন্য হুমকি, তাহলে তা ব্লক করার আদেশ দেওয়ার পূর্ণ অধিকার রাখে। ডিসমিসল্যাবের প্রতিবেদনে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, এর আগেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘এক্স’ (সাবেক টুইটার) জানিয়েছিল, ভারতে তাদের ৮ হাজার অ্যাকাউন্ট ব্লক করা হয়েছে সরকারি নির্দেশনায়। এসব পদক্ষেপকে ঘিরে ভারতের গণমাধ্যম ও ডিজিটাল স্বাধীনতা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী, গ্রেপ্তার চাচা
লঞ্চে দুই তরুণীকে বেল্ট দিয়ে মারধর, নেহালসহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা
ভারতে ব্লক পিনাকী, ইলিয়াস, কনক ও জুলকারনাইনের ইউটিউব চ্যানেল
চীন-পাকিস্তানের ঘনিষ্ঠতায় আফগানিস্তান, ভারতীয় প্রভাব নিয়ে উদ্বেগে নয়াদিল্লি
এলডিসি থেকে উত্তরণে দ্রুত-সমন্বিত পদক্ষেপের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
ভারত–পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি: কবে শুরু হচ্ছে আইপিএল
‘আওয়ামী লীগ পালিয়েছে’ বলায় বিএনপির ৪ কর্মীকে কুপিয়ে জখম
রাজনৈতিক দলের বিচারে ট্রাইব্যুনাল আইন সংশোধন করে গেজেট প্রকাশ
ভারতে যাওয়ার সময় দর্শনা চেকপোস্টে আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেফতার
সরকার শেখ হাসিনার পথেই হাঁটছে: রিজভী
লা লিগার মোড় ঘুরাতে আজ এল ক্লাসিকোতে মুখোমুখি বার্সেলোনা-রিয়াল মাদ্রিদ
দুই পুত্রবধূকে সঙ্গে নিয়ে ভাইয়ের বাসায় খালেদা জিয়া
যুদ্ধবিরতির ২৪ ঘণ্টা না যেতেই ভারত-পাকিস্তানকে ট্রাম্পের নতুন প্রস্তাব
মেসির দুর্দান্ত গোলেও রক্ষা হয়নি, মিনেসোটার কাছে বিধ্বস্ত ইন্টার মায়ামি
‘এই মোটু’ বলে কটাক্ষ, রেগে গিয়ে গুলি
গেজেটের পরই আওয়ামী লীগের নিবন্ধন নিয়ে সিদ্ধান্ত: সিইসি
আবারও শাহবাগ অবরোধ
বিশ্ব মা দিবস আজ (ভিডিও)
আইনের মাধ্যমে আ.লীগ নিষিদ্ধের প্রক্রিয়া ইতিবাচক মনে করে বিএনপি
ঢাকায় বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই