শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫ | ১৩ আষাঢ় ১৪৩২
Dhaka Prokash

সমাজ কতটা ধ্বংসপ্রাপ্ত হলে ইমামকে পর্যন্ত পালাতে হয়: তাজুল ইসলাম

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম বলেছেন, একটা দেশের সমাজ কতটা ধ্বংসপ্রাপ্ত হলে, কতটা পচে গেলে সরকারের পরিবর্তনের সাথে সাথে একটা রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীকে পালিয়ে যেতে হয়, মন্ত্রী পরিষদের সকল সদস্যকে পালাতে হয়, গোটা সংসদকে পালাতে হয়, গোটা পুলিশ বাহিনীকে পালাতে হয়, প্রত্যেকটা থানা থেকে পুলিশকে চলে যেতে হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলরকে পালাতে হয়, মাদরাসা ও স্কুল-কলেজের সভাপতিকে পালাতে হয়, শেষ পর্যন্ত মসজিদের ইমামকে পর্যন্ত পালাতে হয়। একটা দেশকে কতটা দূষিত করা হলে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় এটা বুঝতে হবে।

শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দেওয়ানগঞ্জের সানন্দবাড়ী ডিগ্রি কলেজের সভাকক্ষে সানন্দবাড়ী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম।

তাজুল ইসলাম বলেন, এ দেশের স্বাধীনতা নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নাই। অতীতে এ ট্রাইব্যুনালে নিরীহ মানুষকে মিথ্যা অভিযোগে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। বর্তমান ট্রাইব্যুনাল সঠিক ও নিরপেক্ষ বিচার করবে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে বিভিন্ন সময়ে শাসকদের পতন হয়েছে, গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে হয়েছে। কিন্ত এবার ২০২৪ সালে যে নজির সৃষ্টি হয়েছে, ইতিহাসে দ্বিতীয় নজির খুঁজে পাওয়া যাবে না। আমরা চাই না ভবিষ্যতে এমন ইতিহাস বাংলাদেশে আর রচিত হোক।

চিফ প্রসিকিউটর বলেন, রিপাবলিক শব্দটি অনেক গভীর অনেক বড়। ডেমোক্রেটিক রিপাবলিকে জনগণের ইচ্ছাটাই বড় কথা এবং জনগণের ইচ্ছাতেই সরকার নির্বাচিত হবে। জনগণ যেভাবে চাইবে সেভাবে রাষ্ট্র পরিচালিত হবে। রাষ্ট্রে ভোট দেওয়ার বিধান থাকলেও একের পর এক সংসদ নির্বাচন হয়েছে, ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন হয়েছে, উপজেলা নির্বাচন হয়েছে, মেয়র নির্বাচন হয়েছে, জনগণ ভোট দিতে পারেনি। যে সংবিধান আপনাকে আপনার ভোটের অধিকার দিতে পারে না, অথচ লেখা আছে ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক হবে। সেই ইনস্টিটিউশন সমাজ এবং রাষ্ট্রের চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম নয়। যেই প্রশাসন হওয়ার কথা ছিল নাগরিকের, সেই প্রশাসন এমন পর্যায়ে ঠেকেছিল যে একজন বিসিএস কর্মকর্তা তাকে কেন স্যার বলা হচ্ছে না, সেজন্য নাগরিককে গ্রেপ্তার করছে, হয়রানি করছে, মারধর করছে। এই যে মাইন্ডসেট হয়েছে, আমি সরকারি কর্মকর্তা মানেই আমি জনগণের মালিক হয়ে গেছি। এটা দেশের কত বড় যে ভ্রান্তি, এটা যে রাষ্ট্রের ক্ষতি, সেটা বুঝা যায় তাদের আচরণ দেখে।

পুলিশের আচরণ নিয়ে তাজুল ইসলাম বলেন, পুলিশ হওয়ার কথা জনগণের সবচেয়ে কাছের মানুষ। গোটা দুনিয়ার যে প্রান্তেই যান, বিশেষ কিছু দেশ ছাড়া পুলিশ মানেই হচ্ছে জনগণের বন্ধু। সেই পুলিশকে দেখলেই মানুষ ভয়ে পালিয়ে যায়, কোনো ঝামেলা আবার আসছে। সেই পুলিশ কোনো কারণ ছাড়াই আপনাকে গ্রেপ্তার করছে, আপনাকে গুম করছে, বছরের পর বছর, আট বছর, দশ বছর গোপন কারাগারে আটকে রাখছে। অথচ আমাদের দেশে একটা সুপ্রিম কোর্ট আছে, একটা সংবিধান আছে, বিচার বিভাগ আছে, আইন বিভাগ আছে, কিন্তু কোনো প্রতিকার নেই। এই রাষ্ট্রের পুরো কাঠামো ধসে পড়া ছিলো, এই রাষ্ট্র কোনোভাবেই টিকে থাকতে পারে না। যদিও এই রাষ্ট্র স্বাধীন হয়েছিল ১৯৭১ সালে অনেক রক্তের বিনিময়ে, সেই রাষ্ট্র ৫৩ বছরে সেই আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে পারেনি। তার লক্ষ্য অর্জন করতে পারেনি, বরং একটা নিপীড়ক সমাজে পরিণত হয়েছে।

অ্যাডভোকেট ছানোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন, সহকারী অ্যটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ তারিক উল ইসলাম, জেলা বারের সভাপতি অ্যাডভোকেট আমান উল্লাস আকাশ, অ্যাডভোকেট গোলাম নবী, অ্যাডভোকেট শওকত আলী প্রমুখ।

Header Ad
Header Ad

সুন্দর বিশ্ব তৈরি করতে চায় বাংলাদেশ: ড. ইউনূস

ছবি: সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, পৃথিবীকে বদলাতে সব জাতিকে ভূমিকা রাখতে হবে। অংশগ্রহণ করতে হবে সবাইকে। ধ্বংসের আগে সঠিক পথ ধরতে হবে আমাদের।

তিনি বলেন, বিষণ্ণ বিশ্ব নয়, একটি সুন্দর বিশ্ব তৈরি করতে চায় বাংলাদেশ।

শুক্রবার (২৭ জুন) সকালে সাভারের জিরাবোতে অবস্থিত সামাজিক কনভেনশন সেন্টারে দুদিনব্যাপী ১৫তম সোশ্যাল বিজনেস ডের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সামাজিক ব্যবসা দিবস একটি পারিবারিক পুনর্মিলন। বিগত সরকারের আপত্তি ছিল এই দিবস পালনে। ৫ আগস্টের পর প্রথম এ দিবস পালন করতে পারলো বাংলাদেশ।

তিনি আরও বলেন, স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে সামাজিক ব্যবসা একমাত্র উপায়। এ বছরের প্রতিপাদ্য—‘সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণে সবচেয়ে কার্যকর পথ হলো সামাজিক ব্যবসা।’

বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্যসহ নানা খাতে বৈষম্য ও সীমাবদ্ধতা দূর করে একটি টেকসই, ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক মূল্যবোধের ব্যবস্থা গড়ে তুলতে এই আয়োজন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, যে কোনো শিক্ষা সিস্টেম তৈরি করতে হবে স্বপ্ন দেখার মাধ্যমে। স্বপ্ন দেখা শেখানোই প্রথম কাজ হবে শিক্ষা সিস্টেমের। গ্রামীণ বিশ্ববিদ্যালয় নতুন সভ্যতা গড়তে সহায়তা করবে।

তার ভাষায়, স্বপ্ন না দেখলে বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। স্বপ্ন দেখতে হবে। বিষণ্ন বিশ্ব তৈরি করতে চাই না, সুন্দর বিশ্ব তৈরি করতে চাই। নতুন সভ্যতা গড়তে চাই। সেটা আমরা পারব।

উল্লেখ্য, দুদিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানে পাঁচটি পূর্ণাঙ্গ অধিবেশন ও আটটি ব্রেকআউট সেশন থাকবে। দু’দিনের এ আয়োজনে ২৫টিরও বেশি দেশ থেকে ১৮০ জনেরও অধিক বিদেশিসহ সহস্রাধিক অংশগ্রহণ করেছেন।

Header Ad
Header Ad

উড্ডয়নের পর ইঞ্জিনে ত্রুটি, ঢাকায় ফিরল বিমানের ফ্লাইট

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের পরপরই বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সিঙ্গাপুরগামী একটি ফ্লাইটেরর ইঞ্জিনে সমস্যা দেখা দেয়। ২৫০০ ফিট উড্ডয়নের পর ফ্লাইটটি ঢাকায় আসার সিদ্ধান্ত নেয়।

শুক্রবার (২৭ জুন) সকালে বিমানের বিজি ৫৮৪ ফ্লাইটে এ ঘটনা ঘটে। ফ্লাইটটি বোয়িং ৭৩৭-৮০০ মডেলের এয়ারক্রাফট দিয়ে পরিচালিত হচ্ছিল।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালকের মুখপাত্র মো. মাহমুদুল হাসান মাসুন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, ফ্লাইটটি নিরাপদে অবতরণ করেছে। বিমানে মোট ১৫৪ জন যাত্রী এবং ৭ জন ক্রু সদস্য ছিলেন। সব যাত্রী ও ক্রু নিরাপদ ও সুস্থ রয়েছেন।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সূত্র জানায়, বিমানের ফ্লাইটটি বাংলাদেশ সময় ৮ টা ৩৮ মিনিটে বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন করে। উড্ডয়নের পরপরই, প্রায় ২৫০০ ফিট উচ্চতায় পৌঁছালে বিমানের ক্যাপ্টেন ইঞ্জিন-সংক্রান্ত সমস্যার কথা জানিয়ে ঢাকায় ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নেন। পরবর্তীতে বিমানটি বাংলাদেশ সময় ৮ টা ৫৯ মিনিটে সম্পূর্ণ নিরাপদে অবতরণ করে এবং বিমানবন্দরের বে- ১৪ নম্বরে পার্ক করা হয়।

সম্ভাব্য বার্ড স্ট্রাইক ভেবে অবতরণের পর বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ রানওয়ের পরিদর্শন করেন। তবে সেখানে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত বস্তু বা পাখির চিহ্ন পাওয়া যায়নি।

বিমানবন্দর জানায়, কারিগরি পর্যালোচনা শেষে পরবর্তী ফ্লাইট পরিচালনার বিষয়ে যথাযথ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।

 

Header Ad
Header Ad

সেই পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়টি বিবেচনাধীন

ছবি: সংগৃহীত

স্ট্রোক করা মাকে নিয়ে হাসপাতালে যান আনিসা আহমেদ নামে এক এইচএসসি শিক্ষার্থী। এজন্য পরীক্ষার হলে ঢুকতে দেরি হওয়ায় বসতে পারেননি পরীক্ষায়। তার পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক চৌধুরী রফিকুল আবরার (সি আর আবরার)।

শুক্রক্রবার (২৭ জুন) সকালে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের পাঠানো এক বার্তায় তা জানানো হয়।

বার্তায় বলা হয়, চলতি বছরের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়েছে বৃহস্পতিবার (২৬ জুন)। অসুস্থ মাকে হাসপাতালে পৌঁছে দিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেরি হওয়ায় প্রথম দিনের এইচএসসি পরীক্ষায় রাজধানীর সরকারি মিরপুর বাঙলা কলেজ কেন্দ্রের এক শিক্ষার্থীর পরীক্ষা না দিতে পারার ঘটনা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরে এসেছে।

এ বিষয়ে শিক্ষা উপদেষ্টা সিআর আবরার বলেন, মানবিক বিবেচনায় ওই শিক্ষার্থীর বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়টি পাবলিক পরীক্ষা গ্রহণ সংক্রান্ত আইন ও বিধির আলোকে সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে। তার এ দুঃসময়ে আমরাও সমব্যথী। এ পরীক্ষার্থীকে উদ্বিগ্ন না হওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সুন্দর বিশ্ব তৈরি করতে চায় বাংলাদেশ: ড. ইউনূস
উড্ডয়নের পর ইঞ্জিনে ত্রুটি, ঢাকায় ফিরল বিমানের ফ্লাইট
সেই পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়টি বিবেচনাধীন
দেশজুড়ে রথযাত্রা উৎসব শুরু আজ
ইরানকে যুক্তরাষ্ট্রের ৩০ বিলিয়ন ডলারের গোপন প্রস্তাব
প্রত্যেক জেলায় হাসপাতালের মত সিনেমা হলও দরকার: জাহিদ হাসান
দেশে ফিরতে ইরান থেকে পাকিস্তান পৌঁছেছেন ২৮ বাংলাদেশি
যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সিইসির সাক্ষাৎ
খুলনায় বিএনপির নেতার বাড়ি ভাঙচুর, এসআই সুকান্ত চুয়াডাঙ্গায় গ্রেপ্তার
বিশেষ সুবিধা: ১ জুলাই থেকে সরকারি চাকরিজীবীদের কার কত বেতন বাড়ছে
হানিয়া আমিরের সঙ্গে সিনেমায় অভিনয়, ভারতে দিলজিৎকে নিষিদ্ধের দাবি
আমি যদি ভবিষ্যতে শেখ হাসিনার মতো করি, আমারও পতন হবে: কাদের সিদ্দিকী
চীন ও পাকিস্তানের সঙ্গে জোট গড়ছে না বাংলাদেশ: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের নামে থাকা ৯৭৭ স্থাপনার নাম পরিবর্তন
যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা পেতে ‘পাবলিক’ রাখতে হবে সোশ্যাল মিডিয়ার প্রোফাইল
প্রকৃত ঘটনা জানলে হাসনাত আবদুল্লাহ তার ভুল বুঝতে পারবেন: দুদকের ডিজি
বিরামপুরে আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী দিবস পালিত
এনসিপির তুষারের বিরুদ্ধে ‘আপত্তিকর আলাপ’সহ যত অভিযোগ নীলা ইসরাফিলের
২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে ১৯ জনের করোনা শনাক্ত
প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ ১০ বছর নির্ধারণ করে স্বৈরাচারকে রুখে দেয়া হয়েছে: সালাহউদ্দিন আহমদ