সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫ | ১৬ আষাঢ় ১৪৩২
Dhaka Prokash

মহিমাগঞ্জে ট্রেনের যাত্রা বিরতির দাবিতে রেলপথ অবরোধ, মহাপরিচালকের আশ্বাসে ট্রেন চলাচল শুরু

মহিমাগঞ্জে ট্রেনের যাত্রা বিরতির দাবিতে রেলপথ অবরোধ। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা ট্রেনের যাত্রাবিরতির আন্দোলনে সর্বস্তরের সহস্রাধিক মানুষ অংশ নিয়ে এক ব্যতিক্রমী কর্মসূচি পালিত হয়েছে গাইবান্ধার মহিমাগঞ্জে। রেলপথে রংপুর বিভাগের প্রবেশদ্বার ও গাইবান্ধার শিল্পাঞ্চল খ্যাত গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জ রেলস্টেশনে রাজধানীর সাথে চলাচলকারী বুড়িমারী এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রাবিরতির দাবিতে রেলপথ অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন তারা।

বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ঢাকা থেকে বুড়িমারিগামী ৮০৯ আপ বুড়িমারী এক্সপ্রেস ও রংপুরগামী ৭৭১আপ রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেন দুটি আটকে পড়ে। এ সময় ট্রেন যাত্রীদের মাঝে ঠান্ডা পানি ও শুকনো খাবার সরবরাহ করেন আন্দোলনকারীরা। এছাড়াও জরুরি রোগীর স্বাস্থ্যসেবার জন্য কয়েকজন চিকিৎসকও তৈরি রাখা হয় স্টেশনে। এ কারণে সান্তাহার-লালমনিরহাট রেলপথের মধ্যে চলাচলকারী সকল ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে টেলিফোনে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালকের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে সাড়ে ৩ ঘণ্টা পরে অবরোধ তুলে নিলে ট্রেন চলাচল শুরু হয়।

ট্রেনযাত্রীদের মাঝে খাবার, পানি সরবরাহ ও চিকিৎসক সাথে নিয়ে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা ট্রেনের যাত্রাবিরতির দাবিতে ব্যতিক্রমী এক আন্দোলনে যোগ দেন তারা। বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকেল পৌনে ৫টা থেকে রাত ৮টা ২৫ মিনিট পর্যন্ত দুটি ট্রেন আটকে ছিল।

মহিমাগঞ্জে ট্রেনের যাত্রা বিরতির দাবিতে রেলপথ অবরোধ। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

রেলপথে রংপুর বিভাগের প্রবেশদ্বার ও গাইবান্ধার শিল্পাঞ্চল খ্যাত গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জ রেলস্টেশনে রাজধানীর সাথে চলাচলকারী বুড়িমারী এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রাবিরতির দাবিতে রেলপথ অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন সহস্রাধিক মানুষ। এসময় ঢাকা থেকে বুড়িমারিগামী ৮০৯ আপ বুড়িমারী এক্সপ্রেস ও রংপুরগামী ৭৭১আপ রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেন দুটি আটকে পড়ে। তবে এ সময় ট্রেন যাত্রীদের মাঝে ঠান্ডা পানি ও শুকনো খাবার সরবরাহ করেন আন্দোলনকারীরা। এছাড়াও জরুরি রোগীর স্বাস্থ্যসেবার জন্য কয়েকজন চিকিৎসকও তৈরি রাখা হয় স্টেশনে।

এ সংবাদ পেয়ে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নেতৃত্বে একদল পুলিশ এসে জনতাকে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি চালিয়ে যেতে অনুরোধ করেন। এর আগেই বোনারপাড়া রেলওয়ে থানা থেকে একদল রেলপুলিশ ও রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা মহিমাগঞ্জ রেল স্টেশনে এসে অবস্থান নেন।

সরেজমিনে মহিমাগঞ্জ রেল স্টেশনে গিয়ে দেখা গেছে, বুধবার দুপুর থেকে বুড়িমারী এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রাবিরতির দাবিতে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে স্টেশনে জড়ো হতে থাকেন। বিকেল পৌনে ৫টায় মিনিটে ঢাকা থেকে বুড়িমারীগামী ৮০৯ আপ বুড়িমারী এক্সপ্রেস ট্রেনটি মহিমাগঞ্জ স্টেশন অতিক্রম করার সময় জনতা সেটি আটকে দেয়।

আন্দোলনকারীরা জানান, রেলপথে রংপুর বিভাগের প্রবেশদ্বার ও গাইবান্ধার শিল্পাঞ্চল খ্যাত গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার মহিমাগঞ্জ স্টেশনে বুড়িমারী এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রাবিরতির লিখিত নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত এই রেল স্টেশনের ওপর দিয়ে একটি ট্রেনও অতিক্রম করতে দেওয়া হবে না।

গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রাসেল মিয়া স্টেশনে এসে জনতাকে শান্ত থাকার অনুরোধ করেন। এ সময় তিনি ঊর্ধ্বতন রেল কর্তৃপক্ষের সাথে উদ্ভূত পরিস্থিতির খবর এবং স্টেশনের গুরুত্ব ও ট্রেন বিরতির জনদাবি জানিয়ে রেলের টেলিফোনে আলোচনা চালাতে থাকেন।

এরই মাঝে বিকেল সোয়া ৫টার দিকে ঢাকা থেকে রংপুরগামী ৭৭১আপ রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনটি এরে সেটিও আটকা পড়ে। দুটি ট্রেন পাশাপাশি আটকে রেখে আন্দোলনকারীরা সেখানে বক্তব্য রাখেন। পরে রাত ৮টা ২১ মিনিটে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালকের সাথে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার আলোচনায় আশ্বাসের প্রেক্ষিতে জনতা অবরোধ তুলে নেয়।

প্রথমে বুড়িমারী এক্সপ্রেস ও পরে ট্রেনটি ছেড়ে রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনটি ছেড়ে যায়। এ কারণে পাশের বোনারপাড়া স্টেশনে সান্তাহারগামী পদ্মরাগ কমিউটার ও সোনাতলা স্টেশনে লালমনিরহাটগামী বগুড়া কমিউটার ট্রেন দুটিও সন্ধ্যা থেকে আটকে থাকে।

Header Ad
Header Ad

অবশেষে ‘শাটডাউন’ কর্মসূচি প্রত্যাহার করল এনবিআর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা

ছবি: সংগৃহীত

চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ঘোষিত ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি অবশেষে প্রত্যাহার করেছেন। রোববার (২৯ জুন) রাতে ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা শেষে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের সভাপতি হাসান মাহমুদ তারেক এক বিবৃতিতে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।

বিবৃতিতে তিনি জানান, গত ২৮ ও ২৯ জুন এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের ডাকে যে পূর্ণদিবস শাটডাউন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে, তার ফলে দেশের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে অচলাবস্থা তৈরি হয় এবং সামগ্রিকভাবে অর্থনীতিতেও এর প্রভাব পড়ে। এই সংকট নিরসনে দেশের ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ উদ্যোগী হয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনা করেন। অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনায় কিছু বিষয়ে ইতিবাচক প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

হাসান মাহমুদ তারেক আরও বলেন, সরকার রাজস্ব ব্যবস্থার সংস্কারের লক্ষ্যে যে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট উপদেষ্টা কমিটি গঠন করেছে, এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ তা আন্তরিকভাবে স্বাগত জানায়। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, এই কমিটির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে কাজ করে একটি টেকসই রাজস্ব সংস্কারে ভূমিকা রাখা সম্ভব হবে। এসব বিবেচনায় নিয়ে তারা শাটডাউন কর্মসূচি প্রত্যাহার করছেন বলে জানান তিনি।

অন্যদিকে, এনবিআরের চলমান সংকট নিরসনে সরকার ইতোমধ্যে একটি উচ্চপর্যায়ের উপদেষ্টা কমিটি গঠন করেছে। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খানের সভাপতিত্বে গঠিত এই কমিটিতে আরও রয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টারা।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এনবিআরের আওতাধীন কাস্টমস হাউস, আইসিডি, বন্ড কমিশনারেট ও শুল্ক স্টেশনসমূহের সকল শ্রেণির কর্মস্থলকে ‘অত্যাবশ্যকীয় সেবা’ হিসেবে ঘোষণার প্রস্তাবও অনুমোদন করা হয়েছে।

সরকার ও ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের আন্তরিক প্রচেষ্টা এবং এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের ইতিবাচক মনোভাবের ফলে এ সংকট নিরসনের পথে এগোচ্ছে—এমনটাই আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

Header Ad
Header Ad

বাংলাদেশে আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স: জানুন কীভাবে পাওয়া যায় অস্ত্র রাখার অনুমতি

ছবি: এআই

সম্প্রতি আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের নিয়ম-কানুন ও লাইসেন্স পদ্ধতি নিয়ে জোর আলোচনা শুরু হয়েছে। বাংলাদেশে ব্যক্তিগত বা আত্মরক্ষার জন্য বৈধভাবে আগ্নেয়াস্ত্র কেনা, রাখা ও ব্যবহারের জন্য একটি নির্দিষ্ট আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হয়, যা মূলত ১৮৭৮ সালের 'Arms Act' এবং ১৯২৪ সালের 'Arms Rules' আইনের আওতায় পরিচালিত হয়।

কারা আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে পারেন?

আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স পাওয়ার জন্য কিছু নির্ধারিত মানদণ্ড রয়েছে। নিচে উল্লেখযোগ্য শর্তগুলো তুলে ধরা হলো—

আবেদনকারীকে অবশ্যই বাংলাদেশের বৈধ নাগরিক হতে হবে।

আত্মরক্ষার জন্য জীবনহানির আশঙ্কা থাকলে কেবলমাত্র আবেদন করা যাবে।

অস্ত্রের জন্য কমপক্ষে ৩০ বছর বয়স হতে হবে, সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৭০ বছর।

আবেদনকারীকে অবশ্যই আয়কর দাতা হতে হবে এবং ০৩ (তিন) কর বছরে ধারাবাহিকভাবে পিস্তল/ রিভলবার/রাইফেল এর ক্ষেত্রে ন্যূনতম ০৩ (তিন) লক্ষ টাকা এবং শটগান এর ক্ষেত্রে ন্যূনতম ০১ (এক) লক্ষ টাকা আয়কর দিতে হবে। আবেদনকারী কর্তৃক পরিশোধিত আয়করের পরিমাণ উল্লেখসহ এনবিআর কর্তৃক ইস্যুকৃত প্রত্যয়নপত্র আবেদনের সাথে দাখিল করতে হবে।

অনুমোদন পাওয়ার পর দেশীয় কোনো বৈধ অস্ত্র ডিলারের কাছ থেকে বা আমদানি করে অস্ত্র সংগ্রহ করা যাবে।

একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ দুইটি আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

 

কীভাবে আবেদন করবেন?

লাইসেন্স পেতে হলে আবেদনকারীকে নিজ জেলার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের অস্ত্র শাখা থেকে নির্ধারিত আবেদনপত্র সংগ্রহ করতে হবে। এরপর আবেদনপত্র জমা দিয়ে কিছু ধাপ অনুসরণ করতে হয়—

এসবি রিপোর্ট: পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ আবেদনকারীর তথ্য যাচাই করে একটি প্রতিবেদন তৈরি করে।

জেলা প্রশাসকের অনুমোদন: এসবি রিপোর্টের ভিত্তিতে জেলা প্রশাসক আবেদন অনুমোদন করেন।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনাপত্তি পত্র (NOC): এরপর আবেদনটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয় এবং অনাপত্তি পত্র পাওয়ার পরই লাইসেন্স ইস্যু করা হয়।

আবেদনের সঙ্গে যা জমা দিতে হবে:

বৈধ নাগরিকত্বের প্রমাণ (জাতীয় পরিচয়পত্র)

আয়কর সার্টিফিকেটের ফটোকপি

ছয় কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি

নির্ধারিত লাইসেন্স ফি

আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের নিয়ম

২০১৬ সালের "আগ্নেয়াস্ত্র লাইসেন্স প্রদান, নবায়ন ও ব্যবহার নীতিমালা" অনুসারে কেবলমাত্র আত্মরক্ষার জন্য আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এ নীতিমালায় ব্যক্তিগতভাবে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।

'টেস্ট ফায়ার' বা পরীক্ষামূলক গুলি চালনার নিয়ম

নতুন অস্ত্র: প্রথমবার অস্ত্র কেনার পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতিতে ‘টেস্ট ফায়ার’ করা যায়।

নবায়নের সময়: পুরনো অস্ত্রের কার্যকারিতা যাচাই করতে লাইসেন্স নবায়নের সময় ‘টেস্ট ফায়ার’ করতে হয়, তাও জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে।

অনুমতি: টেস্ট ফায়ারের পূর্বে অবশ্যই কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে।

গুলি সংগ্রহের নিয়ম

গুলি কেনার জন্য জেলা প্রশাসকের অনুমতি প্রয়োজন।

গুলির পরিমাণ লাইসেন্সে নির্ধারিত থাকে।

গুলির হিসাব সংশ্লিষ্ট থানা ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জানাতে হয়।

অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ নিয়মাবলি

লাইসেন্সধারীর নামেই অস্ত্র ব্যবহার: মালিক নিজে ব্যবহার করলে তার নামে লাইসেন্স থাকতে হবে। দেহরক্ষী ব্যবহার করলে তার নামেও লাইসেন্স থাকতে হবে।

অস্ত্র হারালে: তাৎক্ষণিকভাবে নিকটস্থ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে হবে।

বিদেশ ভ্রমণে গেলে: আগ্নেয়াস্ত্র থানায় জমা দিয়ে যেতে হবে।

নির্বাচনের আগে: নির্বাচনকালে লাইসেন্সধারীদের অস্ত্র জমা দিতে হয়।

লাইসেন্স নবায়ন: প্রতি বছর লাইসেন্স নবায়ন বাধ্যতামূলক।

বাংলাদেশে আগ্নেয়াস্ত্র রাখা কোনো বিলাসিতা নয়, বরং কঠোর নিয়মকানুনের মধ্য দিয়ে প্রাপ্ত একটি দায়িত্বপূর্ণ অনুমতি। এ সংক্রান্ত আইন ও নির্দেশিকা মান্য করেই একজন নাগরিক অস্ত্রের মালিক হতে পারেন। আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার ও লাইসেন্সের বিষয়টি আইনত সংবেদনশীল হওয়ায় এ বিষয়ে সতর্কতা ও সচেতনতা দুটোই অপরিহার্য।

Header Ad
Header Ad

ভুলবশত ব্যাগে ম্যাগাজিন, বিষয়টি সম্পূর্ণ অনিচ্ছাকৃত: আসিফ মাহমুদ

যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভূঁইয়া। ছবি: সংগৃহীত

যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভূঁইয়া ব্যাগে ম্যাগাজিন পাওয়ার ঘটনায় নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। তিনি দাবি করেছেন, ঘটনাটি সম্পূর্ণ অনিচ্ছাকৃত এবং তাঁর লাইসেন্সপ্রাপ্ত বৈধ অস্ত্রের অংশ হিসেবে একটি ম্যাগাজিন ভুলবশত ব্যাগে থেকে গেছে।

রোববার (২৯ জুন) সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, “নিরাপত্তার স্বার্থে আমার একটি লাইসেন্স করা বৈধ অস্ত্র রয়েছে। গণঅভ্যুত্থানের নেতৃত্বে অংশ নেওয়ার পর আমার ওপর কয়েকবার হামলা ও হত্যাচেষ্টা হয়েছে। তাই যখন সরকারি প্রোটোকল বা সিকিউরিটি থাকে না, তখন নিজের এবং পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই এই অস্ত্র ব্যবহার করা হয়।”

তিনি জানান, মরক্কোর মারাকেশে অনুষ্ঠিতব্য ‘ওআইসি ইয়ুথ ক্যাপিটাল ইন্টারন্যাশনাল প্রোগ্রামে’ অংশ নিতে আজ ভোর ৬টা ৫০ মিনিটের ফ্লাইটে যাওয়ার কথা ছিল। ভোরে তাড়াহুড়োর মধ্যে প্যাকিং করার সময় একটি ম্যাগাজিন ভুল করে ব্যাগে থেকে যায়। স্ক্যানিংয়ে ধরা পড়ার পর সেটি তিনি নিজেই তার প্রোটোকল কর্মকর্তার কাছে হস্তান্তর করেন।

আসিফ মাহমুদ বলেন, “শুধু ম্যাগাজিন দিয়ে আমি কী করব? যদি আমার কোনো খারাপ উদ্দেশ্য থাকত, তাহলে অস্ত্র রেখে আসতাম না। এখানে অবৈধ কিছু ছিল না, কিন্তু এটাকে ঘিরে অনেকে অপ্রয়োজনীয় আলোচনা করছে।”

সংবাদপত্রে খবর চাপা দেওয়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “চাপ দিয়ে সংবাদ সরানোর অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। ঘটনার পর আমি ফ্লাইটে ছিলাম। অনেকক্ষণ পরে ইন্টারনেটে এসে দেখি, ইতোমধ্যে বিষয়টি নিয়ে নানা খবর ছড়িয়ে পড়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “নাগরিক হিসেবে কেউ যদি নিরাপত্তার ঝুঁকিতে থাকেন, তবে নিয়ম মেনে তিনিও অস্ত্রের লাইসেন্স নিতে পারেন।”

এই ঘটনায় কোনো আইনি জটিলতা তৈরি হয়নি বলে জানা গেছে। তবে সামাজিক মাধ্যমে বিষয়টি ঘিরে আলোচনার ঝড় উঠেছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

অবশেষে ‘শাটডাউন’ কর্মসূচি প্রত্যাহার করল এনবিআর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা
বাংলাদেশে আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স: জানুন কীভাবে পাওয়া যায় অস্ত্র রাখার অনুমতি
ভুলবশত ব্যাগে ম্যাগাজিন, বিষয়টি সম্পূর্ণ অনিচ্ছাকৃত: আসিফ মাহমুদ
মৌলিক সংস্কারে ঐকমত্য এখনও অনেক দূর: আখতার হোসেন
ঢাকায় চালু হচ্ছে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক কার্যালয়
এনবিআরের শীর্ষ ৬ কর্মকর্তার দুর্নীতি তদন্তে দুদক
বিএনপি–ছাত্রদলের বিরুদ্ধে শিবিরের পরিকল্পিত অপপ্রচারের অভিযোগ নাছিরের
আবাসিক হোটেল থেকে স্বামী–স্ত্রী ও ছেলের লাশ উদ্ধার
প্রথমবারের মতো ৩০ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল রেমিট্যান্স
ইমাম-খতিবদের বেতন ২০১৫ সালের পে-স্কেল অনুযায়ী দিতে অর্থ মন্ত্রণালয়ে চিঠি
আ.লীগ নেতাদের সঙ্গে সেই ফজর আলীর ছবি ভাইরাল
জনগণ ও অর্থনীতির স্বার্থে ছাড় নয়, এনবিআর কর্মীদের উদ্দেশ্যে কঠোর বার্তা
ক্লাব বিশ্বকাপে আজ মেসির সামনে সাবেক ক্লাব পিএসজি
অ্যান্টি-এজিং ওষুধেই মৃত্যু? রহস্যে ঢাকা শেফালি জারিওয়ালার অকালপ্রয়াণ
উত্তরায় হোটেল দখলের চেষ্টা, ‘মব সৃষ্টি’র ঘটনায় আটক ৯ জন
সান্তাহারে কানে হেডফোন লাগিয়ে রেললাইনে হাঁটার সময় ট্রেনের ধাক্কায় নিহত যুবক
ভিজিট ভিসার মেয়াদোত্তীর্ণ সৌদি প্রবাসীদের জন্য সুখবর
আ.লীগ নেতার অপকর্ম বিএনপির ওপর চাপানোর চেষ্টা চলছে: রিজভী
৮ আগস্ট ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’ বাতিল করল সরকার
ঢাকায় বিষধর রাসেলস ভাইপার সাপ উদ্ধার