শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪ | ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
Dhaka Prokash

বিশেষ সাক্ষাৎকার

বেগম রোকেয়া পদক ও নারীর অগ্রযাত্রা

ঢাকাপ্রকাশের স্টুডিওতে ডা. সারিয়া সুলতানা

প্রতি বছর ৯ ডিসেম্বর নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়ার জন্মদিনে পালন করা হয় বেগম রোকেয়া দিবস। এদিন নারীর উন্নয়নে অবদান রাখার জন্য বিশিষ্ট নারীদের বেগম রোকেয়া পদক প্রদান করা হয়।

২০২১ সালে অন্যান্যদের মধ্যে বেগম রোকেয়া পদক পেয়েছেন কুষ্টিয়া জেলার গবেষক ড. সারিয়া সুলতানা। পুরস্কার গ্রহণের পরে তিনি উপস্থিত হয়েছিলেন ঢাকাপ্রকাশের স্টুডিওতে। সমাজে নারীর বর্তমান অবস্থান নিয়ে ঢাকাপ্রকাশের সারা জেরিন তাসপিয়া কথা বলেছেন এই গবেষকের সঙ্গে।

-আপনাকে অভিনন্দন। সম্প্রতি আপনি বেগম রোকেয়া পদকে ভূষিত হয়েছেন, এ বিষয়ে আপনার অনুভূতি জানতে চাচ্ছি–

-বেগম রোকেয়া পদক একটি রাষ্ট্রীয় পদক এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কমিটির আহ্বায়ক। এ পদক দেওয়ার ক্ষেত্রে কমিটির সদস্যগণ খুবই বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়েছেন। আমি ছাড়া আরও যে চারজন এ সম্মানে ভূষিত হয়েছেন তারা প্রত্যেকেই এ পদক পাওয়ার যোগ্যতা রাখে এবং এদেশের নারী উন্নয়নে অনেক কাজ করে যাচ্ছেন তারা। সম্ভবত আমি সর্বকনিষ্ঠ সদস্য হিসেবে পদকটি পেয়েছি। আমার বয়স ৪০-এর কোটায়। এ বয়সে এমন একটি পদক পাব কখনও ভাবিনি। আমি খুবই আনন্দিত। প্রথমে আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই, আমার মতো একজন গবেষককে পল্লী উন্নয়নে মনোনয়ন দিয়েছেন বলে। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রাণালয়ের যারা এ কমিটিতে আছেন তাদেরও আমি ধন্যবাদ জানাতে চাচ্ছি। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি কারণ পল্লী উন্নয়নে আমার গবেষণা যথাযথ মূল্যায়ন পেয়েছে। এ পদক গ্রহণ করে আমার দায়িত্ব আরও বেড়ে গেল।

-পল্লী উন্নয়নে আপনার ব্যাপক গবেষণা ও তৎপরতা রয়েছে । এ বিষয়ে যদি কিছু বলতেন–

আমার গবেষনার বিষয় 'Role of Link Model on sustainable rural development in Bangladesh.' আমি গবেষণা করছি, কীভাবে ইউনিয়ন পরিষদকে আরও শক্তিশালী করে পল্লী উন্নয়ন করা সম্ভব লিংক মডেল পদ্ধতির মাধ্যমে। ইউনিয়ন পরিষদের উন্নয়ন ছাড়া কখনওই পল্লীকে শক্তিশালী করা সম্ভব নয় এবং পল্লীর জনগনের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়ন করা সম্ভব নয়। তবে সেটি যদি একটি পদ্ধতির মাধ্যমে করা যায় তবে জবাবদিহিতা, স্বচ্ছতা ও অংশগ্রহণ বাড়বে। এর ফলে টেকসই পল্লী উন্নয়ন হবে। এ ক্ষেত্রে লিংক মডেল পদ্ধতিটি খুবই কার্যকর। যেমন- ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান থাকবেন সভাপতি। প্রতিটি গ্রামে ইউনিয়ন পরিষদে জাতি গঠনের জন্য যে ১৬টি ডিপার্টমেন্টের প্রতিনিধিরা কাজ করে, এ প্রতিনিধিরা প্রতি মাসে ইউনিয়ন সমন্বয়ে মিটিং করবেন। সেখানে প্রত্যেক গ্রামের প্রতিনিধি থাকবেন এবং এখানে চেয়ারম্যান সভাপতি থাকবেন ও ইউনিয়ন পরিষদের সকল সদস্য উপস্থিত থাকবেন। সেখানে একধরনের মিনি পার্লামেন্ট সৃষ্টি হবে। তখন তারা গ্রামের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন এবং এখানে সবাই তাদের কাজের জন্য জবাবদিহি করতে বাধ্য হবে। এর ফলে জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা সৃষ্টি হবে।

-পল্লী উন্নয়নে নারীর ভূমিকা কী?

-পুরুষ-নারী উভয়ের অবদান রয়েছে। তবে বর্তমানে পল্লী উন্নয়নে নারীরা যথেষ্ট কাজ করছে। আমি ফিল্ড ওয়ার্ক করতে গিয়ে দেখেছি পুরুষের পাশাপাশি নারীরা সমান তালে কাজ করার চেষ্টা করছে। একসময় নারীর সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা ছিল না। এখন নারী সে সুযোগটি পাচ্ছে এবং গ্রাম ইউনিয়নের মিটিং-এ এক তৃতীয়াংশ নারী অংশগ্রহণ করছে। তাদের প্রিতিনিধিত্ব করার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। পল্লী উন্নয়নে নারীর ক্ষমতায়ন লক্ষ্যণীয়। টেকসই পল্লী উন্নয়নের এইচডিজি-এর ৫ নম্বর লক্ষ্যের একটি অংশ women empowerment। নারীরা পল্লী উন্নয়নে অবশ্যই অবদান রাখছে, আশা করছি আরও অবদান রাখবে।

-আমাদের দেশে নারীরা কি তাদের কাজের যথাযথ মূল্যায়ন পাচ্ছে?

-নারীরা বিভিন্নভাবে বৈষম্যের শিকার। আমরা নারীরা নারীদের দ্বারাও নির্যাতিত। একটি কর্মস্থলে একজন নারী আরেকজন নারীর সফলতা দেখতে পারছেন না। এ ধারণায় পরিবর্তন আনতে হবে। এখনও নারীরা পরিপূর্ণ স্বাধীনতা পায়নি, সেটি না পরিবারে আর না কর্মস্থলে। নারীর পরিপূর্ণ স্বাধীনতা দরকার, যেটি শুধু পল্লী উন্নয়ন নয়, রাষ্ট্রের উন্নয়নের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ।

-নারীর ক্ষমতায়ন করতে আমাদের কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন?

-আমার মনে হয় সবার আগে আমাদের মানসিকতার পরিবর্তন প্রয়োজন। মানুষের মানসিকতার ইতিবাচক পরিবর্তন ছাড়া কখনও উন্নয়ন সম্ভব না। উন্নয়নের প্রথম শর্ত হচ্ছে মানসিকতার ইতিবাচক পরিবর্তন। আমাদের ‘আমি’ চিন্তা না করে সামষ্টিকভাবে ‘আমাদের’ চিন্তা করতে হবে।

-গ্রামীণ নারীসমাজ এখনও অবহেলিত। তাদের উত্তরণের জন্য আমাদের কী করণীয়?

-প্রথমেই নারীকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত হওয়া প্রয়োজন। নারীশিক্ষায় সরকার অনেক ব্যয় করছে এবং বিভিন্নভাবে সাহায্য করছে। শিক্ষা গ্রহণের পথটি আমাদের জন্য এখন সহজ। তাছাড়া বাল্যবিবাহ রোধে আমাদের সকলের সতর্ক হতে হবে। সরকারের একার পক্ষে সকল সমস্যা সমাধান করা সম্ভব নয়। তাই আমাদের সকলের সমষ্টিগত সহযোগিতা এবং সচেতনতা প্রয়োজন।

-নারী উদ্যোক্তা তৈরিতে কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া উচিত বলে মনে করছেন?

-নারীদের নিজেদের স্পৃহা প্রয়োজন। আমার নিজের স্পৃহা না থাকলে কেউ আমাকে তুলে ধরবে না। অন্যরা অনুপ্রেরণা দিয়ে সাহায্য করবে তবে নারীর নিজেকে নিজের তুলে ধরতে হবে। অবশ্যই নিজের চেষ্টা থাকতে হবে। করোনাকালীন এ প্রতিকূলতার মধ্যেও অনেক নারী উদ্যোক্তা তৈরি হয়েছে। এ বিষয়টি খুবই ভালো লেগেছে। নারীরা এখন বুঝতে পারছে এবং তারা স্বাবলম্বী হচ্ছে। প্রতিটি কাজেরই বাধা থাকবে তবে বাধা পেরিয়েই নারীকে এগিয়ে যেতে হবে।

Header Ad

সাড়ে ১০ হাজার বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাচ্ছে যুক্তরাজ্য

ছবি: সংগৃহীত

ভিসার অপব্যবহারের দায়ে প্রায় সাড়ে ১০ হাজার বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাচ্ছে যুক্তরাজ্য। তাঁরা গত এক বছরে সেখানে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়ে আবেদন করেছিলেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফ জানাচ্ছে, সে আবেদন নাকচ হওয়ায় নতুন এক চুক্তির তাদের দ্রুত ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্রিটিশ সরকার।

উন্নত জীবনের আশায় প্রতিবছর বিদেশে পাড়ি জমান বাংলাদেশিরা। মূল গন্তব্য থাকে ইউরোপের নানা দেশ। তবে তাদের একটি বড় অংশই বেছে নেন অসাধু উপায়।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফ জানিয়েছে, স্টুডেন্ট ভিসা, ওয়ার্ক পারমিট এবং টুরিস্ট ভিসায় যুক্তরাজ্যে গিয়ে গত বছরে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছেন প্রায় ১১ হাজার বাংলাদেশি। যাচাই-বাছাই শেষে তাদের ৫ শতাংশের আবেদন গ্রহণ করেছে ব্রিটিশ সরকার।

টেলিগ্রাফের দাবি, এবার অবৈধ এসব বসবাসকারীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিচ্ছে যুক্তরাজ্য। ফাস্ট-ট্র্যাক রিটার্নস চুক্তির আওতায় শুধু ব্যর্থ আশ্রয়প্রার্থীই নন, ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়া ব্যক্তিদেরও ফেরত পাঠানো হচ্ছে বাংলাদেশে।

ভিসা ব্যবস্থার এই অপব্যবহারকারীধের তালিকার শীর্ষে রয়েছে পাকিস্তান। গত বছর, রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছিলেন ১৭ হাজার ৪শ পাকিস্তানি। আর এক্ষেত্রে ভারতীয়ের সংখ্যা ৭ হাজার ৪শ।

২০২৩ সালে বসবাসের অধিকার নেই এমন ২৬ হাজার মানুষকে নিজ দেশে ফেরত পাঠায় যুক্তরাজ্য। এ সংখ্যা ২০২২ সালের তুলনায় ৭৪ শতাংশ বেশি।

নিবন্ধন ছাড়াই নোংরা পরিবেশে তৈরি হচ্ছিল রাফসানের 'ব্লু' ড্রিংকস

ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লায় ‘রাফসান দ্য ছোটভাই’ খ্যাত কন্টেন্ট ক্রিয়েটর ইফতেখার রাফসানের ড্রিংকস ব্লু (BLU) তৈরির কারখানায় অভিযান পরিচালনা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় নোংরা পরিবেশে মান নিয়ন্ত্রণহীনভাবে ব্লু ড্রিংকস তৈরি করায় ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

গত ২৪ এপ্রিল বিএসটিআই ও কুমিল্লা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে পরিচালিত ভ্রাম্যমান আদালত এই জরিমানা করে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মেসার্স ড্রিংকব্লু বেভারেজ, বি-৩৩, বিসিক শিল্পনগরী, আদর্শ সদর, কুমিল্লা; প্রতিষ্ঠানটিকে মোড়কজাতকরণ নিবন্ধন সনদ গ্রহণ না করে ‍‍‘ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংক‍‍’ পণ্য প্রস্তুত করে আসছিল। এছাড়া কোন অটোমেশন মেশিন না থাকার পাশাপাশি নোংরা পরিবেশে গরীব দুস্থ নারী কর্মীদের মাধ্যমে কোন নিরাপত্তা কিংবা ড্রেস কোড ছাড়াই এই ব্লু নামক ইলেক্ট্রোলাইট ড্রিংকস প্রস্তুত হচ্ছিল।

এদিকে কারখানায় কোন পরিমাপ যন্ত্র না থাকায় হাতে করে বোতলজাত করা হচ্ছিল এই ড্রিংকগুলো। নিবন্ধন ছাড়াই মোড়কজাত ও বাজারজাত করায় ‍‍‘‘ওজন ও পরিমাপ মানদন্ড আইন -২০১৮’’ এর ৪১ ধারায় ৩০,০০০ (ত্রিশ হাজার টাকা) অর্থদণ্ড করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, কুমিল্লার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সিনিয়র সহকারী কমিশনার ফারহানা নাসরিন এর নেতৃত্বে পরিচালিত হয়। প্রসিকিউটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন বিএসটিআই, কুমিল্লা অফিসের কর্মকর্তা আরিফ উদ্দিন প্রিয়, পরিদর্শক (মেট্রোলজি) এবং সার্বিক সহযোগিতা করেন ইকবাল আহাম্মদ, ফিল্ড অফিসার (সিএম)।

উল্লেখ্য, গত বছরের ৭ ডিসেম্বর ব্লু নামে ইলেক্ট্রোলাইটস ড্রিংক ব্লু বাজারজাত করার ঘোষণা দেয় আলোচিত ইউটিউবার রাফসান, যিনি রাফসান দ্য ছোট ভাই হিসেবে পরিচিত। তখন লিচু ও তরমুজের ফ্লেভার নিয়ে দুই ক্যাটাগরিতে তারা দেশের বিভিন্ন পয়েন্টে বাজারজাত শুরু করে। সম্প্রতি ‘ব্লু’ লেবুর ফ্লেভার বাজারজাত করছে।

যারা একবেলা খেতে পারতো না, তারা এখন চারবেলা খায়: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: সংগৃহীত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, গ্রামের অর্থনীতি পাল্টে গেছে। যারা একবেলা ভাত খেতে পারতো না, এখন চারবেলা খায়। একসময় গ্রামে হাটবারের বাইরে কিছু পাওয়া যেতো না, এখন সুপার মার্কেট হয়েছে। আমাদের গ্রামের বাজার পাটগাতিতে (টুঙ্গিপাড়ার একটি ইউনিয়ন) ঈদের আগে ২০০টি ফ্রিজ বিক্রি হয়েছে। গ্রামীণ অর্থনীতি যত বেশি মজবুত হচ্ছে, শিল্প-কলকারখানাও তত বাড়ছে।

শুক্রবার (১৭ মে) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির ২২তম দ্বিবার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

আগামী ৬ জুন বাজেট দেওয়া হবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাজেট আমরা ঠিকমতো দিতে পারবো, বাস্তবায়নও করবো। দেশি-বিদেশি নানা কারণে জিডিপি কিছুটা হয়তো কমবে। তবে সেটা পরবর্তী সময়ে উত্তরণ করতে পারবো, সে আত্মবিশ্বাসও আছে।

তিনি বলেন, অর্থনীতি সমিতির এই প্রোগ্রামে অনেকের অনেক বড় বড় ডিগ্রি আছে। অর্থনীতির সূক্ষ্ম ও জটিল বিষয়াদি আপনাদের মতো আমি বুঝি না। তবে এতটুকু বুঝি, কীভাবে দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করতে হয়। কীভাবে মানুষের উপকার হবে।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে অর্থনীতির আকার ছিল মাত্র ৮ বিলিয়ন ডলার। রিজার্ভ ছিল শূন্য। এমনই ভয়াবহ পরিস্থিতির ওপর দাঁড়িয়ে জাতির পিতা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে হাত দেন। প্রণয়ন করেন দেশের প্রথম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা। এতে তিনি কৃষি ও শিল্পের পুনর্গঠন, উৎপাদন বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও দারিদ্র্য নিরসনকে বিশেষ গুরুত্ব দেন। বঙ্গবন্ধু কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে শুরু করে নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো ঢেলে সাজান। বাণিজ্যিক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো জাতীয়করণ করেন। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড প্রতিষ্ঠা করেন।

১৯৭২ সালে স্বাধীন বাংলাদেশের মুদ্রা প্রচলন করা হয় উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু দেশের সেরা অর্থনীতিবিদদের সমন্বয়ে পরিকল্পনা কমিশন গঠন করেন। ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ছিল ৯১ মার্কিন ডলার। জাতির পিতা মাত্র ৩ বছরে তা ২৭৭ মার্কিন ডলারে উন্নীত করেন। প্রবৃদ্ধি ৯ ভাগ অর্জন করেন।

সর্বশেষ সংবাদ

সাড়ে ১০ হাজার বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাচ্ছে যুক্তরাজ্য
নিবন্ধন ছাড়াই নোংরা পরিবেশে তৈরি হচ্ছিল রাফসানের 'ব্লু' ড্রিংকস
যারা একবেলা খেতে পারতো না, তারা এখন চারবেলা খায়: প্রধানমন্ত্রী
রাজধানীতে নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে দুই শ্রমিকের মৃত্যু
শেখ হাসিনা গণতন্ত্রকামী মানুষের নেতা: খাদ্যমন্ত্রী
সৌদি আরবে পৌঁছেছেন ২৪ হাজার ২৩৬ জন হজযাত্রী
যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল
বাংলাদেশে আসছেন কুরুলুস উসমানের নায়ক বুরাক
কোপা আমেরিকার আগে ব্রাজিল শিবিরে দুঃসংবাদ
৫২৩ হজযাত্রীর টাকা নিয়ে উধাও ২ এজেন্সি মালিক
কুমিল্লায় বাস খাদে পড়ে প্রাণ গেল ৫ জনের
নামাজের সময় তালা আটকে মসজিদে দেওয়া হলো আগুন, নিহত ১১
শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি-ম্যানেজিং কমিটি চালাতে নতুন বিধিমালা
প্রেমের বিয়ে, স্ত্রীকে হত্যার পর হাসপাতালে মরদেহ রেখে পালালেন স্বামী!
শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ: রাষ্ট্রপতি
সুস্থ থাকতে বিশ্বনবি (সা.) যে দোয়া পড়তেন
৪ বছর পর পেলেন স্বেচ্ছায় মৃত্যুর অনুমতি, যেভাবে মৃত্যু হবে তরুণীর
পাঠ্যবই থেকে বাদ যাচ্ছে আলোচিত ‘শরীফ-শরীফার গল্প’
মিঠা পানির ঝিনুকে উৎপাদিত মুক্তার তৈরি গহনা প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর