শনিবার, ১০ মে ২০২৫ | ২৭ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

জাতীয় পার্টি কি বিএনপির দিকে ঝুঁকছে?

ক্ষমতায় যেতে অস্থির হয়ে উঠেছে জাতীয় পার্টি। পার্টির চেয়ারম্যান ও জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের ইতোমধ্যে বিএনপির সঙ্গে দরকষাকষি করছেন বলে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা চলছে। এর মধ্য দিয়ে কার্যত ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছে জাতীয় পার্টির।

এটা আরও পরিস্কার হয়ে উঠে সম্প্রতি জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরকে সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা বানানোর জন্য স্পিকারকে চিঠি দেওয়ার পর।

এ নিয়ে জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ এবং জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের মধ্যে মতো পার্থক্য দেখা দিয়েছে।

জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর কাছে জাতীয় পার্টির সংসদীয় দল গত ১ সেপ্টেম্বর একটি চিঠি দেয়। সেই চিঠিতে বেগম রওশন এরশাদকে বিরোধী দলীয় নেতার পদ থেকে সরিয়ে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান কাদেরকে বসানোর জন্য অনুরোধ করা হয়। আগে থেকেই রওশন ও কাদেরের মধ্যে মতবিরোধ চলছিল। স্পিকারকে দেওয়া চিঠি সেই বিরোধে ঘি ঢেলেছে।

জিএম কাদের বর্তমানে সংসদের বিরোধী দলীয় উপনেতার দায়িত্ব পালন করছেন। শারীরিক অসুস্থতার জন্য জাতীয় সংসদের গত কয়েকটি অধিবেশনে অনুপস্থিত ছিলেন রওশন এরশাদ। তাই অধিবেশনে সমাপনী ভাষণে বিরোধী দলের পক্ষ থেকে উপনেতা জিএম কাদেরই প্রতিনিধিত্ব করেন।

বিরোধী দলীয় নেতার এই অসুস্থতাকে কাজে লাগিয়ে নিজেদের উদ্দেশ্য সফল করতে মরিয়া জাতীয় পার্টির সংসদীয় দলের নেতারা। স্পিকারকে দেওয়া চিঠিতে ২৬ জন সংসদ সদস্যের মধ্যে ২২ জন স্বাক্ষর করেছেন। যারা জিএম কাদেরকে বিরোধী দলীয় নেতা হিসেবে দেখতে চান।

আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে জাতীয় পার্টি যখন সুসংগঠিত করার ডাক দিয়েছেন দলটির প্রধান পৃষ্ঠপোষক তখনই বেঁকে বসেছেন জিএম কাদেরপন্থী সংসদ সদস্যরা। রওশন এরশাদ আগামী ২৬ নভেম্বর জাতীয় পার্টির কাউন্সিলের ডাক দিয়েছেন। সেই কাউন্সিলের মূল উদ্দেশ্য ছিল আগামী নির্বাচন জাতীয় পার্টি এককভাবে করবে নাকি কোনো জোটে যাবে-সেসব বিষয়ে আলোচনা করা ও কাউন্সিল থেকেই সিদ্ধান্ত নেওয়া।

জাতীয় পার্টি সূত্রে জানা গেছে, সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ বরাবরই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বঙ্গবন্ধু পরিবারের প্রতি অনুগত। তাই যত কিছুই হোক তিনি আওয়ামী লীগ ছেড়ে যেতে নারাজ। বরং সংসদ সদস্যদের নিয়ে কীভাবে দরকষাকষি করা যায় সেই পরিকল্পনা করতেই কাউন্সিল করতে চেয়েছিলে বলে জানা গেছে।

অন্যদিকে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের কিছুদিন আগে চিকিৎসার জন্য বিদেশে গিয়েছিলেন। তার সেই সফরকে ঘিরে কানাঘুষা শুরু হয়েছে দলের ভেতর। দলের অনেক নেতাই মনে করেন তিনি চিকিৎসার জন্য নয়, বিশেষ কোনো কারণে বিদেশে যান। সেখানে বিএনপি নেতাদের সঙ্গে তার একটি বৈঠকও হয়।

যদিও জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু সম্প্রতি ঢাকাপ্রকাশ-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, আমি পার্টির মহাসচিব, আমাদের পার্টির চেয়ারম্যান বিদেশে গিয়ে বিএনপির সঙ্গে বৈঠক করলে আমি জানব না?

তিনি বলেন, বিএনপির সঙ্গে জাতীয় পার্টির কোনোদিনই মিত্রতা হবে না। বিএনপি জাতীয় পার্টিকে যত নির্যাতন করেছে তাদের সঙ্গে কখনো মিত্রতা হবে না।

এ বিষয়ে বিরোধী দলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদের রাজনৈতিক সচিব গোলাম মসীহ ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘ম্যাডাম তো দলের ঐক্য ধরে রাখতেই কাউন্সিলের ডাক দিয়েছিলেন। এখন তো দেখছি তারা কাউন্সিলেই যেত চাচ্ছে না।’

রওশন এরশাদকে সরিয়ে জিএম কাদেরকে বিরোধী দলীয় নেতা করতে যারা স্বাক্ষর করেছে তারাই বলতে পারবেন কেন তারা স্বাক্ষর দিয়েছেন। বিষয়টা নিয়ে আমাদের প্রধান পৃষ্ঠপোষকও কনফিউসড, আমরাও কনফিউসড।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যারা আছে তাদের নিয়েই তো কাউন্সিল করতে চেয়েছেন। খেলার কী আছে, আমি শুধু প্রধান পৃষ্ঠপোষকের চিঠি প্রকাশ করেছি। এখানে খেলার কিছু নেই।

তিনি বলেন, আপনি যদি ঘরে বসে বলেন বিএনপির দিকে গেলাম, আমি ঘরে বসে যদি বলি আওয়ামী লীগের দিকে গেলাম সেটা তো ঠিক না। সেটা পরিস্কার করার জন্যই প্রধান পৃষ্ঠপোষক কাউন্সিল ডেকেছেন। আগামী নির্বাচনে কী করা উচিত, জাতীয় পার্টির ভূমিকা কী হবে? নির্বাচনে আমরা এককভাবে অংশ নেব কি না এসব বিষয়ে আলোচনা করতেই কাউন্সিল ডাকা হয়েছে।

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান কি তাহলে বিএনপির দিকে হাঁটছেন এমন প্রশ্নের জবাবে গোলাম মসীহ বলেন, ‘আমরাও দেখছি, তাদের স্টেটমেন্ট সব বিএনপি লাইনের স্টেটমেন্ট। তবে যাই করুক সেটার জন্যও তো সবার সঙ্গে আলাপ না করে হঠাৎ বললাম আমি বিএনপির দিকে গেলাম এটা তো হয় না। এজন্য তো দলের ম্যানডেট নিতে হয়। এটা তো কাউন্সিলে ঠিক হবে। তাদের (জিএম কাদের) স্টেটমেন্টগুলো তো তাদের লাইনেরই স্টেটমেন্ট।’

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানকে বিরোধী দলীয় নেতা করতে স্পিকারকে চিঠি দিয়েছে সেই চিঠিতে আপনাদের ২৬ জন সংসদ সদস্যের ২২ জনই স্বাক্ষর করেছেন। তার মানে বিরোধী দলীয় নেতা কি একা হয়ে গেলেন?

জবাবে মসীহ বলেন, পার্টি যদি থাকে তাতে তো সমস্যা হওয়ার কথা না। আমার বিশ্বাস পার্টি ম্যাডামের সঙ্গেই থাকবে। যেসব সংসদ সদস্যের কথা বলছেন তাদেরকে তো ম্যাডামই সংসদ সদস্য করেছেন। তারা আজকে আছে, দেখবেন অনেক সংসদ সদস্য গত সংসদে ছিলেন, এবার নাই।

গত ১৯ আগস্ট নিখোঁজ বিএনপি নেতা এম ইলিয়াস আলীর ছেলে আবরার ইলিয়াসের বিয়ের অনুষ্ঠানে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের একই টেবিলে বসে দীর্ঘক্ষণ আলাপ করেন। এখান থেকে গুঞ্জনের সূত্রপাত।

এ ছাড়া কিছুদিন আগে জিএম কাদের চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে যান। ঠিক একই সময়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির প্রভাবশালী সদস্য মির্জা আব্বাসসহ বেশ কয়েকজন সিনিয়র নেতা সিঙ্গাপুরে অবস্থান করেন। দেশে ফেরার পথে জিএম কাদের ও মির্জা আব্বাস একই ফ্লাইটের যাত্রী ছিলেন। একই সময়ে বিএনপি ও জাতীয় পার্টির নেতাদের সিঙ্গাপুর সফর রাজনৈতিক অঙ্গনে নানান আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

জাতীয় পার্টি ও রাজনৈতিক মহলে বেশ আলোচনা গোলাম মোহাম্মদ কাদের বিএনপির সঙ্গে মিলে সরকার হটাতে চান। বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোট যদি ক্ষমতায় আসে তাহলে তিনি প্রধানমন্ত্রী হতে চান বলেও গুঞ্জন রয়েছে।

এদিকে এইচ এম এরশাদের দ্বিতীয় স্ত্রী বিদিশা এরশাদ দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করছেন। তিনি দাবি করেন, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের নন। তিনি অবৈধ চেয়ারম্যান। আগামী ৩ মাস পর তিনি আর জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান থাকবেন না।

বিদিশা এরশাদ ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘জিএম কাদের, তিনি নিজে অবৈধ চেয়ারম্যান। তার নিজেরই বৈধতা নেই। তিনি বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ক্ষমতায় যেতে চান। তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখেন।’

তা ছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান সরকারের কঠোর সমালোচনা করছেন এবং আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে চ্যালেঞ্জ জানাতে প্রস্তুত জাতীয় পার্টি।

কিছুদিন আগে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের সরকারের সমালোচনা করে বলেন, ‘সুদসহ ঋণ পরিশোধ করতে গিয়েই শ্রীলঙ্কা দেউলিয়া হয়ে গেছে। ঋণ নির্ভরতার কারণে দেশের ব্যাংকে টাকা নেই। পরিচালন ব্যয় না কমালে ব্যাংক থেকে ঋণ করে বেতন-ভাতা পরিশোধ করতে হবে। এ কারণেই দেশের অবস্থা শ্রীলঙ্কার মতো হতে পারে।’ 

এনএইচবি/এমএমএ/

Header Ad
Header Ad

যমুনা ও সচিবালয়সহ বিভিন্ন এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ

ছবি: সংগৃহীত

পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ সচিবালয়, প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় সব ধরনের সভা-সমাবেশ, গণজমায়েত, মিছিল এবং শোভাযাত্রা নিষিদ্ধ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।

আজ শনিবার দুপুরে ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলীর সই করা এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা জারি করা হয়।

গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‌‘সর্বসাধারণের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, জনশৃঙ্খলা এবং প্রধান উপদেষ্টার নিরাপত্তা রক্ষার স্বার্থে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অর্ডিন্যান্স (অর্ডিন্যান্স নং-III/৭৬) এর ২৯ ধারায় অর্পিত ক্ষমতাবলে ১০ মে থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ সচিবালয় এবং প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় (হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়, কাকরাইল মসজিদ মোড়, অফিসার্স ক্লাব মোড়, মিন্টো রোড) যে কোনো প্রকার সভা-সমাবেশ, গণজমায়েত, মিছিল ও শোভাযাত্রা ইত্যাদি নিষিদ্ধ করা হলো।’

এর আগেও দুইবার যমুনা ও সচিবালয়কে কেন্দ্র করে সভা-সমাবেশ, গণজমায়েত, মিছিল ও শোভাযাত্রা নিষিদ্ধ করেছিল ডিএমপি।

Header Ad
Header Ad

বরেণ্য সংগীতশিল্পী মুস্তাফা জামান আব্বাসী মারা গেছেন

ছবি: সংগৃহীত

বরেণ্য সংগীতশিল্পী, গবেষক ও লেখক মুস্তাফা জামান আব্বাসী আর নেই। আজ শনিবার সকালে বনানীর একটি হাসপাতালে তিনি মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন তাঁর মেয়ে শারমিনী আব্বাসী। মুস্তাফা জামানের বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর। মৃত্যুকালে তিনি দুই কন্যা এবং বহু ভক্ত, অনুরাগী রেখে গেছেন।

মেয়ে শারমিনী আব্বাসী জানান, বেশ কিছুদিন ধরে বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছিলেন মুস্তাফা জামান আব্বাসী। সর্বশেষ গতকাল শুক্রবার শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। আজ ভোর সাড়ে পাঁচটায় তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।

বহুমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী মুস্তাফা জামান আব্বাসী উপমহাদেশের খ্যাতনামা সংগীত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তাঁর পিতা আব্বাসউদ্দীন আহমেদ ছিলেন পল্লিগীতির অগ্রপথিক। এ দেশের পল্লিসংগীতকে তিনিই প্রথম বিশ্বের দেশে দেশে জনপ্রিয় করেছেন। চাচা আবদুল করিম ছিলেন পল্লিগীতি ও ভাওয়াইয়া-ভাটিয়ালির জনপ্রিয় শিল্পী। মুস্তাফা জামান আব্বাসীর বড় ভাই মোস্তফা কামাল ছিলেন প্রধান বিচারপতি। বোন ফেরদৌসী রহমান ও ভাতিজি নাশিদ কামালও সংগীতাঙ্গনে সুপ্রতিষ্ঠিত। তাঁর স্ত্রী আসমা আব্বাসী একজন প্রথিতযশা শিক্ষক ও লেখিকা। তিনি গত বছর মারা গেছেন।

১৯৩৬ সালের ৮ ডিসেম্বর ভারতের কোচবিহারের বলরামপুর গ্রামে জন্ম নেওয়া আব্বাসী শৈশব কাটিয়েছেন কলকাতায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ, এমএ ডিগ্রি অর্জনের পর হার্ভার্ড গ্রুপ থেকে মার্কেটিং বিষয়ে উচ্চশিক্ষা নেন। দীর্ঘ কর্মজীবনে তিনি বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালকসহ বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের নানা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন।

লোকসংগীত গবেষণা ও সংগ্রহে তাঁর অবদান অনন্য। তিনি দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে ফোক মিউজিক রিসার্চ গ্রুপের নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাঁর সংগ্রহে আছে কয়েক হাজার লোকগান। তিনি ২৫টির বেশি দেশে ভাটিয়ালি, ভাওয়াইয়া, নজরুলগীতি পরিবেশন করে বাংলাদেশের সংগীতকে পৌঁছে দিয়েছেন বিশ্বদরবারে। তিনি ছিলেন ইউনেসকোর বাংলাদেশ ন্যাশনাল কমিটি অব মিউজিকের সভাপতি, নজরুল ও আব্বাসউদ্দীনের ইংরেজি জীবনী লেখার দায়িত্বপ্রাপ্ত গবেষক। তাঁর উপস্থাপনায় বিটিভির ‘ভরা নদীর বাঁকে’, ‘আমার ঠিকানা’, ‘আপন ভুবন’ প্রভৃতি অনুষ্ঠান জনপ্রিয়তা পেয়েছে। বাংলাদেশ টেলিভিশনে তাঁর ‘ভরা নদীর বাঁকে’ অনুষ্ঠানটি বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। সমাজসেবায়ও তিনি ছিলেন সক্রিয়, রোটারি ক্লাবের গভর্নর হিসেবে বহু উদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।

মুস্তাফা জামান আব্বাসী রচিত অসংখ্য গ্রন্থের মধ্যে অন্যতম ‘লোকসঙ্গীতের ইতিহাস’, ‘ভাটির দ্যাশের ভাটিয়ালি’, ‘রুমির অলৌকিক বাগান’, উপন্যাস ‘হরিণাক্ষি’, স্মৃতিকথা ‘স্বপ্নরা থাকে স্বপ্নের ওধারে’ এবং ইংরেজি জীবনী। বাংলা সংস্কৃতিতে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি একুশে পদকসহ অসংখ্য সম্মাননা লাভ করেছেন।

Header Ad
Header Ad

মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপে পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা

ছবি: সংগৃহীত

দেশের দক্ষিন-পশ্চিমের সীমান্তবর্তী জেলা চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ শনিবার (১০ মে) দুপুর ১২ টায় চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষনাগার কেন্দ্র এ তাপমাত্রা রেকর্ড করে।

এরআগে, শুক্রবার (৯ মে) চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা লিপিবদ্ধ হয়েছে ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত কয়েকদিন ধরে তীব্র দাবদাহ বয়ে যাচ্ছে এ জেলায়। এতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জেলার মানুষ। রোদের তেজ আর গরমে স্বাভাবিক জীবন যাত্রা মারাত্মক ভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
প্রখর রোদের তাপদাহে তেঁতে উঠেছে প্রকৃতি। ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকা তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে পুরো জেলা। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ।

অস্ত যাওয়ার আগ পর্যন্ত সুর্যের তীব্র তেঁজে পুড়ছে প্রকৃতি। দুপুরের রোদে যেন আগুনের ফুলকি ঝরছে। দুপুর ১২ টার রাস্তাঘাটে লোকজনের চলাচল সীমিত হয়ে পড়ছে। দিনে পাশাপাশি রাতের তাপমাত্রাও বাড়ছে।

এর আগে চলতি গ্ৰীষ্ম মৌসুমে ২৩ ও ২৪ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় যথাক্রমে ৩৬ দশমিক ৬ এবং ৩৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষনাগারের ইনচার্জ জামিনুর রহমান জানান,  আগামী কয়েকদিন  এ জেলার তাপমাত্রা আরো বাড়তে পারে।   ১৪ মে'র পর বৃষ্টিপাতের সম্ভবনা রয়েছে। তারপর তাপমাত্রা কমতে পারে। 

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

যমুনা ও সচিবালয়সহ বিভিন্ন এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ
বরেণ্য সংগীতশিল্পী মুস্তাফা জামান আব্বাসী মারা গেছেন
মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপে পুড়ছে চুয়াডাঙ্গা
সালিসে নারীর চুল কাটলেন ‘বিচারকরা’
আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো শাহবাগে অবরোধ
সৌদি পৌঁছেছেন ৩৭১১৫ হজযাত্রী, ৫ জনের মৃত্যু
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মালবাহী ট্রেন উদ্ধারের পর কক্সবাজার এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত
পাপুলের স্ত্রী সাবেক এমপি সেলিনা ইসলাম গ্রেফতার
ভারতে বিরুদ্ধে ‘অপারেশন বুনিয়ান উল মারসুস’ শুরু করল পাকিস্তান
শাহবাগ ছাড়া অন্য কোথাও ‘ব্লকেড’ দিবেন না: হাসনাত আবদুল্লাহ
চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি নির্বাচনে জয়ী হলেন যারা
ছয়টি ব্যালিস্টিক মিসাইল ছুড়েছে ভারত, পড়েছে নিজেদের রাজ্যেই
শাহবাগে বিক্ষোভে উত্তাল জনতা, খালেদা জিয়ার উপস্থিতি চায় ইনকিলাব মঞ্চ
১৭ বছর পর দেশে ফিরে মসজিদে জুমার নামাজ পড়লেন জোবাইদা রহমান
ভারতে ইউটিউবে বন্ধ যমুনা-বাংলাভিশনসহ ৪ বাংলাদেশি টিভি চ্যানেল
আটকের পরও যে ফোনে ছেড়ে দেওয়া হয় আবদুল হামিদকে
নওগাঁয় দুলাভাইয়ের বাড়িতে বেড়াতে এসে গ্রেপ্তার স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা
বাংলাদেশ সফরে আসছে না ভারত, অনিশ্চিত এশিয়া কাপ
আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে উত্তাল শাহবাগ, জনস্রোতে ভরপুর রাজপথ
বিএনপি ছাড়া সব রাজনৈতিক দল এখন শাহবাগে: সারজিস আলম